গল্পের নাম: "নীল ডায়েরীর পাতায় বোবা পরীর গল্প"
.
.
লেখক: Naimul Islam Rubel (নিশ্চুপ জীবনের লুকোচুরি)
.
.
রাস্তা দিয়ে হাঁটছে নীল। ল্যামপোস্ট এর আলোয় অন্ধকার অনেকটায় কেটে গেছে কিন্তু তার মনের অন্ধকার যেন কাটছেই না। কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না পরীর কথা গুলো। যে মেয়েটা ৩০ মিনিট এস এম এস না দিলে রাগে ফেটে পরত,সেই মেয়েটায় দেখা করার কথা বলেও দেখা করলো না।
.
এইতো সেই দিনের কথা,পার্কে বসে বাদাম খাচ্ছিলো নীল।এমন সময় দেখতে পায় দূরে একটা মেয়েকে কিছু বখাটে ছেকেরা উত্ত্যক্ত করছে।নীল ভাবে যাবে কি আবার ভাবে এই যে সমাজ তাতে ঝামেলায় না জড়ানোই ভালো।কিন্তু ঘটনাটা খুব বেশি মাত্রায় খারাপের দিকে মোড় নিচ্ছিল।নীল এগিয়ে যায় ঘটনা স্থানের দিকে।কাছে যেতেই মেয়েটা দৌড়ে এসে নীল কে জড়িয়ে ধরে।
.
নীলের তখন একটাই বিষয় উপলব্ধি করতে পারছে,মেয়েটার হার্ট-বিট এতটাই বেড়ে গেছে সে নিজেও অনুভব করতে পারছে ধক-ধক করে শব্দ হচ্ছে।একটা মেয়ে কতটা ভয়ে একজন অপরিচিত ছেলের বুকে আশ্রয় নেয় এখন বুঝতে পারছে।কিন্তু বখাটে গুলি নীলের দিকে আসতেই পুলিশের গাড়ির হুইসল শুনতে পায় তাই তারা চলে যায়।নীল মেয়েটাকে বলে চলুন এবার আপনাকে পৌঁছে দেই।
.
মেয়েটাও বাধ্য মেয়ের মত নীলের সাথে সাথেই চলতে শুরু করলো।কিছু দূরে গিয়ে রিকশা ডাক দেয় নীল।মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করে কই যাবেন আপনি,বাসা কই আপনার?মেয়েটা চুপ করে আছে নীল আবার ও জানতে চায় কই যাবেন বলুন।মেয়েটা তার ব্যাগ থেকে একটা খাতা আর কলম বের করে লিখে দেয় ঠিকানা।আর নিচে লিখে এইযে শুনুন আমি কথা বলতে পারিনা,আমার সাথে এত জোড়ে কথা বলবেন না।নীল মেয়েটার দিকে আবার তাকায় মেয়েটা কি সত্যি বলছে?
.
যাই হোক রিকশা করে রওয়ানা দেয় নীল আর মেয়েটা।নীল বার বার মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে আর ভাবছে বিধাতা এত সুন্দর করে যাকে সৃষ্টি করলেন তার মুখে ভাষা দিলেন না ক্যানো?ভাবতে ভাবতে অপলক দৃষ্টিতে বার বার চোখ চলে যায় মেয়েটির দিকে।কিছু সময় পরে মেয়েটা ঈশারা করে রিক্সা থামার জন্য।নীল রিক্সা থামাতে বলে।মেয়েটা একটা বড় গেট ওয়ালা বাড়ির সামনে দাঁড়ায়।নীল ভার মিটিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে।হয়ত ভিতরে যেতে ঈশারা করবে এই আশায়।
.
কিন্তু মেয়েটি নীল কে হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে চলে যায়।নীল কিছু বুঝে উঠতে পারছে না।কেন মেয়েটার জন্যে এত খারাপ লাগে কিসের জন্য।একটা রিক্সা ডাক দেয় নীল।রিক্সা বসে ভাবছে ক্যানো মেয়েটা কথা বলতে পারেনা,বাসায় ডাকলে শুনতে পারত অন্য কারো কাছে তার সমস্যার কথা।যাই হোক পরে একদিন খোজ নিবে তাদের এলাকার কারো থেকে।
.
কয়েকদিন পরে নীল মেয়েটির বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটির অপেক্ষায়।কিন্তু আজকে কি মেয়েটি বের হবে নাকি হবে না বাসা থেকে?এই ভাব চিন্তার মাঝেই বেলকোনির দিকে নজর যায় নীলের।একি সেই মেয়েটা দেখি ওখানে নীলের দিকেই তাকিয়ে আছে।নীল ঈশারা করে নিচে আসতে কথা বলবে তাই।কিন্তু মেয়েটি নীলের কথা বুঝতে পারলো কি পারলো না তা বুঝার আগেই রুমের ভিতরে চলে যায়।
.
কিছু সময় পরে মেয়েটি একটি কাগজ গোল করে জানালা থেকে ছুড়ে দেয় ছেলেটির কাছে।ছেলেটি দূর থেকে দেখে কিছু একটা ছুড়ে দিলো মেয়েটি।কাছে এসে দেখে মেয়েটি একটি চিরকুট লিখে দিয়েছে।"এখান থেকে চলে যান,কেউ দেখলে আপনার সমস্যা হবে" নীল হাত দিয়ে মেয়েটিকে বোঝাতে চাচ্ছে সে মেয়েটির নাম্বার চাচ্ছে শুধুই এসএমএস দিবে।
.
মেয়েটি হাত দিয়ে না না করেই যাচ্ছে,এর মাঝে কেউ একজন মেয়েটিকে ডাক দেয়।মেয়েটি ভিতরের দিকে চলে যায়।নীল অনেক সময় অপেক্ষার পরেও মেয়েটি ওইদিন আর আসে না।নীল চিরকুটটা পকেটে করে বাসার দিকে চলে যায়।ওইরাতে মেয়েটির কথা ভাবতে ভাবরেই কেটে যায় নীলের রাত।
.
পরের দিন বিকাল বেলা......
.
নীল আবার ও দাঁড়িয়ে আছে,মেয়েটির অপেক্ষায়।প্রায় ৩০ মিনিট পর মেয়েটি আসলো।মেয়েটি নীলকে দেখে চোখ বড়বড় হয়ে গেলো আরো কিছুটা রাগের ভঙ্গী।রুমের ভিতর চলে যায় প্রায় ৫মিনিট পর একটা কাগজ জানালা থেকে ছুড়ে দেয় ছেলেটির দিকে।যেখানে একটি নাম্বার ০১৯৪৭২৮৮৪৮............ লেখা।নীলের আর বুঝতে বাকি রইলো না ওইটা ওই মেয়ের নাম্বার।
.
অনেকটা খুশির সহিত লাফ দিয়ে উঠে নীল,নাম্বারটা মোবাইলে ডায়াল করে।ওই প্রান্ত থেকে কেউ রিসিভ করে কিন্তু নিশ্বাস এর শব্দ ছাড়া আর কিছুই শুনতে পারে না।নীল দুই তিন বার হ্যালো হ্যালো করে উপরের বেলকোনির দিকে তাকালো।নীল দেখে মেয়েটি তার তর্জনী আঙুল টা তার ঠোঁটের সাথে চেপে ধরা।নীলের মনে পড়ে গেলো মেয়েটি কথা বলতে পারে না......
.
নীল ফোন রেখে দেয়,সাথে সাথেই এসএমএস করে...... "Sorry Amar Thik Mone Cilo na"To Kemon Achen"
.
মেয়েটিও রিপ্লাই করে "Ji Valo Achi kintu Apni Ekhon Cole Jan kew Dekhle Problem Hobe"
.
এই ভাবেই এসএমএস এর পরে এসএমএস এ কথা চলতে থাকে নীল আর মেয়েটির।এত সময়ে মেয়েটির নাম জেনে গেছে নীল। "পরী" মেয়েটির নাম। কিন্তু নীল তার ফোনে নাম্বারটি সেব করে "বোবা পরী" নামে।সারাদিন পরীর সাথে এসএমএস এ চ্যাটিং হতে থাকে।দিন গুলি তাদের খুব ভালোই যাচ্ছে.....
.
প্রায় ৫ মাস পড়ে........
.
নীল আর পরীর দেখা করার কথা আজকে।নীল দাঁড়িয়ে আছে পার্কে কখন তার পরী আসবে।প্রায় ১৫ মিনিট পরে তার দিকে একটা মেয়ে আসছে।নীল ভাবলও হয়ত অন্য কেউ হবে।কিন্তু কাছে এসে মেয়েটি জিজ্ঞেস করে আপনি কি নীল?একটু অবাক গয়েই উত্তর দেয় নীল জি আমিই নীল কিন্তু আপনি কে?জি আমি পরীর কাজিন।নীল জিজ্ঞেস করে কিন্তু পরী কই?মেয়েটি বলে চলুন আপনাকে যেতে যেতে বলি পরীর কাছেই চলুন......মেয়েটি নীলকে সব বলতে শুরু পরীর কিছু অজানা কথা।
.
পরী.......
.
প্রায় আপনার সাথে পরিচয়ের আগে থেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগছে।তার দুইটা কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে।ডাক্তার যত দ্রুত সম্ভব অন্তত একটা কিডনি রিপ্লেস করতে হবে।কিন্তু তার রক্তের গ্রুপ এ নেগেটিভ খুব দুর্লভ।তাই সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।আর এই যুগে কে দিবে কিডনি বলুন।কিন্তু সব থেকে বড় কথা ও এখন হসপিটালে।হয়ত এর পরে ফিরে আসবে কিনা সন্দেহ?নীল বলে থামুন এবার আমি সহ্য করতে পারছিনা......
.
হসপিটালে গিয়ে পরীকে দেখে বেডে শুয়ে আছে।নীলকে দেখে অবাক হয় কেননা কাজিন কে বলতে পাঠিয়েছিলো পরী মরে গেছে কিন্তু তার কাজিন মিথ্যা বলেনি।নীল তাকে বলল তুমি বস আমি আসছি......নীল ডাক্তারের সাথে কথা বলে সে বলে সেই পরীকে কিডনি দিতে চায়।ডাক্তার নীলকে কিছু টেস্ট করতে বলে।সব কিছুর পরীক্ষা শেষে ডাক্তার জানান হ্যাঁ আপনি দিতে পারবেন আর পরীও সুস্থ হয়ে যাবে।
.
এর দুইদিন পরে....
.
আজকে পরীর কিডনি অপারেশন,দুই পরিবারের সবাই এখন জানেন তাদের সম্পর্কটা। নীল তার পরিবারকে বুঝিয়ে রাজি করেছে পরীকে কিডনি দিবে তাই।আর পরীর বাবা-মা এই বোবা মেয়ের জন্য নীলের ভালোবাসা দেখে আর না করতে পারেনি......একটু পরে তাদের অপারেশন দুই পরিবারের সবাই বাইরে বসে অপেক্ষা করছে দুটি হাসিমুখ কে আবার হাসি মুখে দেখার আর আল্লাহ্ এর কাছে দোয়া করছেন। (সমাপ্ত)
.
ডেডিকেটেড টু: "লাজুক রাজকন্যা"
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3026
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
⧍:ā§Ēā§Ŧ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ