āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3006

আজকে মনটা তত ভালো লাগছে না।নিজেকে খুবই নগণ্য মনে হচ্ছে।কারণ ফাহিমের কাছ থেকে আজকে ছ্যাকাটা খেয়েই ফেললাম।বেটা বলে কিনা সুন্দরী মেয়েদের সাথে প্রেম করাই ওর একমাত্র লক্ষ্য। ছিঃ মানুষ এত চিপ মনের হয় কি করে! আমি তো ওকে সত্যি ভালোবাসতাম।তাহলে আমাকে কি করে ফাহিম ছেড়ে চলে গেলো? এটা কিসের শাস্তি পেলাম আমি?আমি কাকে হার্ট করেছি?কাকে???তখনই দেখি আম্মা আচলে হাত মুছতে মুছতে এসে বললো
-পাশের গলির দোকান থেকে একটা ডিম নিয়ে আয়তো।
আমি ভ্রু কুচকে বললাম
-আমি এখন যেতে পারব না।অনেক টেনশনে আছি!
আম্মা এগিয়ে এসে হাতে ৮টাকা গুজে দিয়ে বললো
-জলদি যা।
-ধুরর
আমার অনেক মেজাজ খারাপ লাগছে।বাড়িতেও দেখি শান্তি নেই।

মোল্লা চাচার দোকানে প্রায়ই আসা হয়।আমাকেই আসতে হয়।আম্মার আরেকটা সন্তান থাকলে ভালো হইত। মোল্লা চাচা আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো
-কি লাগবে তারাননুম!
-একটা ব্রয়লারের ডিম লাগবে!
-নাও।
আমি ডিমটা নিয়ে চলে আসার সময় চোখ পড়লো প্রাণ কোম্পানির লিচু কাপের উপর।এটা আমি প্রায় ছয়মাস খাইনি।লোভ লাগায় ডিমটা ফেরত দিয়ে ৮টাকায় ৪টা লিচু কাপ নিয়ে বাসায় ঢুকতেই
-কিরে ডিম দে।
আমি লিচু কাপের উপরের কাগজ সরিয়ে সেটা খাওয়াতে মন দিলাম।আম্মা আবারও বললো
-কি হলো দে!
আমি খেতে খেতেই বললাম
-কিসের ডিম? আমি কি ডিম পাড়ি যে ডিম দে ডিম দে করছ?
-কানের নিচে দেব একটা?  ফাজিল মেয়ে।তোকে দিয়ে কোনো কাজ হয়না।দূর হ......
কথাগুলো আমার কানে গেলো না।ফাজিল মেয়ে কথাটা শুনেই আমার নিরবের কথা মনে হয়ে গেলো।ও হ্যা নিরব! ওকেই তো আমি কষ্ট দিয়েছিলাম।আমাকে সারাক্ষণ ফাজিল মেয়ে বলে ক্ষেপাত। ভালোও বাসতো।কিন্তু আমি তো ওকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম না।তারমানে ওকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আজ আমি কষ্ট পেলাম।ওকে সরি বলতে হবে আমাকে।তাহলেই আর কষ্ট পাব না।ইয়াহু......
আম্মা আমাকে হালকা ঢাক্কা দিয়ে বললো
-রাস্তা থেকে সর।
ওমনি আম্মাকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলাম
-উম্মাহ তুমি আমাকে টেনশন থেকে মুক্তি করে দিলা আম্মা।
-সর তো....

দৌড়ে রুমে আসলাম। নিরবের নম্বরটা খুজে বের করতে হবে!আমার ফোনে তো নাই ওর নম্বর। আজ থেকে প্রায় ১বছর আগের কথা। আজকাল সবাই কাউকে ফেসবুকে খুজে কিন্তু আমি জানি নিরব ফেসবুক ইউজ করে না।সব ডায়রি বের করে খুজতে লাগলাম। শেষমেশ হতাশ কোনো জায়গায়ই পেলাম না।ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। নাহ এভাবে হতাশ হলে চলবে না।কিন্তু করবো টা.....ওহহ মনে পড়েছে ওর নম্বর তো আমার একটা সিমকার্ডে সেভ করা ছিলো।ওটা খুললেই তো হয়।বন্ধ  সিমকার্ড তো চারটা!কোনটাতে আছে সেটা তো মনে নেই।সবগুলা খুলে দেখি। তিনটা অন করলাম। নেই! চার নম্বর টা বাতিল সিম রেজিস্ট্রেশন করা নেই। হতাশ হলাম আবারও।ধুর ভাল্লাগেনা।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম চোখ ফুলে ছোটো ছোটো হয়ে গেছে।কেমন কোরিয়ান মত দেখাচ্ছে। স্বপ্নে ফাহিমকে হাসতে দেখলাম, নিরবকে কাঁদতে দেখলাম আর নিজেকে ওদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। কিসব দেখছি। নিরবের খোজ নিইনি ১বছর।এতদিনে ওর কি অবস্থা হয়েছে আল্লাহ জানে।সবারই একদিন না একদিন অনুশোচনা হয় আমার যেমন হচ্ছে। আজ বিকেলেই সিম রেজিস্ট্রেশন করতে যাব।
.
বিকেলে ব্যাগ গুছিয়ে পাঁচশত টাকার নোট আর খুচরা কিছু টাকা নিয়ে বের হতেই আম্মার ডাক
-তারাননুম কই যাস এত সেজেগুজে?
-তোমার জামাই এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।

আম্মা বেশ রেগে আমার দিকে তাকালো।আমি জোরে হেটে চলে আসলাম।মোল্লা চাচার দোকানে এসে ৫টা লিচুকাপ কিনে নিয়ে রেজিস্ট্রেশনের দোকানের দিকে রওনা দিলাম।

পুরো একশত টাকা খরচ হইলো।যাক বাবা এবার নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে।সিমকার্ড, সিমকার্ডের কাগজ একহাতে নিয়ে অন্যহাতে লিচু কাপের কাগজ তুলতে তুলতে সিড়ি দিয়ে নামছি।ধীরগতিতে একটা ছেলে উঠে আসছে উপরে।আমি পাশ কাটানো সত্ত্বেও লাগলো ধাক্কা।আমার হাত থেকে সব পড়ে গেছে। আহা! লিচু কাপের কাগজ মাত্রই সরিয়েছিলাম।রেগে গিয়ে বললাম
-ওই মিয়া দেখে চলতে পারেন না?
ছেলেটা তো কথা বলেনা।মরুক গা।আমি সিমকার্ডের কাগজ টা হাতে তুলে নিলাম। ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দেখি কি যেনো খুঁজতেছে।
-কি খুঁজছেন?
কেমন যেন মিনমিনে সুরে বললো
-আমার চশমাটা.....!!!
-চশমা?পড়ে গেছে?ওয়েট দেখছি।
আমি এদিক ওদিক তাকাতেই দেখি চশমাটা দুইধাপ নিচে পড়ে আছে।আমি নামতে যাচ্ছি তখনই দেখি একটা ভুঁড়িওয়ালা মোটা লোক হেটে আসছে।
আমি জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম
-নাআআআআআ ওটাতে পা দেবেন না।
ঠিক তখনই ভুঁড়িওয়ালা লোকটা চশমাটার উপরে পা দিয়ে দিলো।কচচচ করে একটা শব্দ শুনলাম।রাগে মেজাজ গরম হয়ে গেলো।
-আপনি ওটা ভেঙে দিলেন কেনো?
ভুঁড়িওয়ালা লোকটা আমার দিকে ফিক করে হেসে দিয়ে বললো
-তোমার চিৎকারে ভয় পেয়ে পা দিয়ে দিয়েছি।
-এ্যাএএএ
লোকটা পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। একটা সরিও বললো না।আচ্ছা বেয়াদব তো। বয়সে বড় মানুষদেরও দেখি কমন সেন্স নেই।যত্তসব।
-পেয়েছেন ওটা?
-আপনি কিছু শুনতে পান নি?
-শব্দ শুনলাম।কিন্তু দেখতে পারছি না তো।
আমি চশমাটা তুলে এনে ছেলেটার হাতে দিলাম।ছেলেটা ওটা চোখে দিয়ে আমার দিকে তাকালো।আমার হাসি ঠেকায় কে!
-হিহিহিহিহিহিহি।হাহাহাহাহা
-আপনাকে ঘোলা ঘোলা দেখা যাচ্ছে।
-হিহি আপনার চশমার গ্লাস তো ফেটে গেছে দেখবেন কি করে।
মুহূর্তেই ছেলেটার চোখ ছলছল করে উঠলো।চশমাটা খুলে ফেলায় আমি ছেলেটার চোখ স্পষ্ট দেখতে পেলাম। কি গভীর চোখ। এদিকে আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
-আপনি থাকুন আমি গেলাম।
-শুনুন।
-কিছু বলবেন?
-বলছি যে আমাকে একটু চশমার দোকানে নিয়ে চলুন না প্লীজ। আমি চশমা ছাড়া কিছু দেখতে পারি না।
মহা ঝামেলাতে পড়লাম তো।এখন একে ধরে আমায় চশমার দোকানে নিয়ে যেতে হবে?বাড়ি যাব কখন?ওদিকে আম্মা তো....
-কি হলো চলুন না প্লীজ।
একেবারেই যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।আবার এমন অসহায় একটা ছেলেকে হেল্প না করাটাও বেমানান দেখায়।
-আচ্ছা চলুন।
মহারাজকে নিয়ে তিন চারটা দোকান ঘুরতে হলো।ওনি যে চশমা ব্যবহার করেন সেটা পাওয়া যাচ্ছে না।কিসব পাওয়ার টাওয়ার আলা চশমার কথা বলছে। এভাবে উনি আমার হাত ধরে ঘুরছে সেটা কেউ দেখলে কি ভাববে।আমার বিএফেরও হাত ধরে ঘুরিনি কোনোদিন।
শেষমেশ একটা দোকানে পাওয়া গেলো।দাম ৭০০টাকা।ছেলেটা চশমাটা চোখে দিয়ে মানিব্যাগ বের করলো।মাথা নিচু করেই মিনমিনে সুরে বললো
-আপনার কাছে ২০০টাকা ধার হবে?
-কিহহহহ।২০০টাকা?
-জ্বী কালকে দিয়ে দিব।
এই ছেলেটা আমাকে জ্বালিয়ে খাচ্ছে দেখছি। প্রচন্ড অনিচ্ছা সত্ত্বেও টাকা দিতে হলো।
-এবার আমি যেতে পারি?
কোনো কথা বলছে না।কেমন অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে আমি যেন খুব অস্বস্তিকর একটা কথা বলে ফেলেছি।
-এই যে হ্যালো....
-ওকে কিন্তু আমি যাব কিভাবে?
-আপনি কিভাবে যাবেন তা আমি কিভাবে বলব!
মাথা নিচু করে উত্তর দিলো
-আসলে আমার কাছে আর টাকা নেই।আপনি যদি ভাড়াটা দিয়ে দিতেন।
-কিহহহহ।আপনার সব দায়িত্ব কি আমার নাকি!আজব তো।
-দিন না। শোধ করে দিব তো।
-কত টাকা লাগবে?
-৮০টাকা দিতে পারেন।
আমার জাস্ট অসহ্য লাগছে।মন বলছে ঠাটিয়ে একটা চড় মেরে দিই।আমার ভাগ্যে এত ঝামেলা কেনো!
-নিন।এবার আমি যাই?
-অনুমতি নেওয়ার কি আছে।চাইলেই যেতে পারেন।
-অসহ্য।
-আপনার নামটা বলে যান।নাহলে টাকা ফেরত কিভাবে দিব?
-তারাননুম!টাটা।

দ্রুত বাইরে এসে একটা অটো নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। খুব গরমে ঘেমে একাকার লাগছে।উহ। অটো থেকে নেমে ভাড়া দিতেই দেখি ছেলেটা আমার সামনে দাঁড়িয়ে।
-কি ব্যাপার আপনি এখানে?
-কিছু মনে না করলে আপনাদের বাসা থেকে এক গ্লাস পানি খেয়ে যেতে পারি?
-ওহহো। কোনো দোকানে কি পানি ছিলো না?
-প্লীজজ
আবার সেই করুণ চেহারা।কিছু ছেলের চেহারাও তাহলে ইনোসেন্ট হয় জানতাম না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও হ্যা বলে দিলাম।

রুমে ঢুকতেই আম্মা আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে অবাক হয়ে গেলো
-দেখা করতে যাবি বললি আবার সাথে করে নিয়েও এসেছিস।আসো বাবা বসো।
-জ্বী আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম।তোমার নাম কি?
-জ্বী আমার নাম আরিয়ান স্বপ্ন।

আম্মার দিকে তাকিয়ে বললাম
-আম্মা ওনাকে একগ্লাস পানি খাইয়ে বিদায় করো।আমি রুমে গেলাম।ফ্রেশ হয়ে ঘুম দেব। কেউ ডিস্টার্ব করবে না।আর আপনি পানি খেয়েই চলে যাবেন।
আম্মা আমাকে টেনে বললো
-উহ মেহমানদের সাথে এমন বিহেভ করে কেউ।
-ধুর যা খুশি করো। আমি গেলাম।

রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে দিলাম লম্বা ঘুম। যখন ঘুম ভাঙলো তখন দেখি রাত ৯:৩২ ঘুমিয়েছিলাম ৫:২৫এর দিকে! নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়েছিলাম তাই টের পাই নি।যাইহোক সমাজবিজ্ঞান বইটা দিয়ে পড়তে আরম্ভ করে দিলাম। এখন একটু দুধচা খেতে পারলে বেশ হত।
পড়া মুখস্থ করতে করতে দরজা খুলতেই আমার চোখ কপালে উঠে গেলো। ভয় পেয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম। স্বপ্ন দেখছি নাতো।আস্তে আস্তে হালকা দরজা খুলে দেখলাম বাইরে অনেক লোকজন। আমার আম্মা আব্বা, মামা-মামি,খালা-খালু,নানি।আমি দরজা খুলতেই কয়েকটা পিচ্চি রুমে ঢুকেই চিৎকার আরম্ভ করে দিলো।
-আজ তারান আপুল বিয়ে কি মজা কি মজা!
-এই আজকে কার বিয়ে বললি?
-কেনো তোমাল বিয়ে!
-এ্যাহ।
এসব কি হচ্ছে। রুম থেকে বেরুতেই আম্মা আমার দিকে দৌড়ে আসলো।এসে মাথায় ওড়না দিয়ে দিলো
-মাথায় কাপড় দিয়েও তো বেরুতে পারিস।
-এসব কি হচ্ছে একটু বলবে!
সোফাতে কয়েকজন বসে আছে। সেই ছেলেটা মাথায় পাগড়ি দিয়ে বসে আছে।আমাকে দেখেই লজ্জাতে মাথা নিচু করে ফেললো।আম্মা আমাকে সোজা ওর পাশে নিয়ে গিয়ে বসালো। নাকে নাকফুল পরানো হলো।কাজী বিয়ে পড়ানো আরম্ভ করেছে।এসব কি হচ্ছে।মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি। কবুল বলে সই করে দিলাম। মোনাজাত শুরু হয়েছে। আমার প্রচন্ড মাথা ঘুরছে।মনে হচ্ছে জ্ঞান হারাব।
.
মাথাটা ঝিমঝিম করছে।অনেক কষ্টে চোখ মেলে তাকালাম। কি ব্যাপার আমি কোথায়!এটা তো আমার রুম না। আমাকে কি তাহলে কেউ কিডন্যাপ করেছে? উহহ। পাশে অনেকগুলো প্রাণ লিচু কাপ দেখলাম।টেনশনে মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটা নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম।
-আপনার ঘুম ভাঙলো তাহলে।মানুষ এত ঘুমায় কি করে!
ছেলেটাকে দেখে ভূত দেখার মত চমকে গেলাম।
-আপনি এখানে কি করছেন?
-বাসর রাতে মানুষ কি করে?
-বাসর রাত?কার বাসর রাত?
-কাল রাত সাড়ে নয়টার সময় আপনার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।এখন বাজে ভোর চারটা।

সব মনে পড়লো।কেন জানি খুব কষ্ট হচ্ছে আমার।এভাবে বিয়ে হলো আমার!কত্ত বড়বড় স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি।শেষপর্যন্ত এই চাশমিশ লেখা ছিলো আমার কপালে।কিচ্ছু জানি না, চিনি না আর একেই কিনা....

-আমি জানি আপনি চমকে আছেন এখনো। আসলে আমি কাল বাসা থেকে রাগ করে চলে গিয়েছিলাম।বাবা-মা জোর করে আমার বিয়ে ঠিক করেছিলো।আমি বুঝতে পারি কে কেমন হতে পারে।সেই মেয়েটা মোটেই ভালো ছিলো না।এদিকে আমারও কোনো পছন্দের মেয়ে ছিলো না।তাই চলে গিয়েছিলাম।আর তখনই আপনার দেখা পেয়ে গেলাম আমি।প্রথম দেখেই আপনাকে আমার মনের রাজত্বের রাণী বানিয়ে ফেলেছি।আপনার বাসায় গিয়ে আমার বাবা মাকে বলে তখনই ঠিক করি আপনাকে আজই বিয়ে করব আমি।

প্রচন্ড মেজাজ খারাপ লাগছে।এমন কাহিনি মনে হয় কোনো লেখক তার গল্পেও লেখেনি।উহহহ
-আমার জিনিসপত্র কোথায়?
মস্ত বড় একটা ব্যাগ এনে দিলো আমার সামনে।ফোন পেলাম বাট চার্জ নেই। চার্জার পেলাম না।আম্মা টা যে কি করে না।ধুরর
-আপনার ফোন টা দিন!
-কেনো?
-এই যে মি. শুনুন আমার সাথে থাকতে গেলে আমাকে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। কৈফিয়ত দেওয়া পছন্দ  না আমার।
ফোনটা নিয়ে আম্মাকে ফোন দিলাম।
-এমন ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিলে কি করে? যে সে এসে বলল আর তার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিলে?
-যে সে কি!সব খোজ নিয়েই বিয়ে দিয়েছি। জামাইএর বাপ হেব্বি বড় কোম্পানির মালিক। জামাই ও ওখানেই কাজ করে।
-তুমি গিয়ে দেখে এসেছো?
-তোর মোল্লা চাচার ছেলে ওই কোম্পানিতে কাজ করে।জামাই আর জামাইএর বাপ দুজনেই খুব ভালো।সুখে থাকতে আর কি চাই!!
-মেইন জিনিসটা হলো ভালোবাসা।আমি ওকে ভালোবাসতে পারব না।বাই।
মুখ ঘুরিয়ে ফোনটা ফেরত দিলাম।
-একটুও ভালোবাসা যাবে না তারাননুম?
-নাআআআআ.....
.
আজ প্রায় ১মাস হতে চললো। স্বপ্নকে আমার ভালো লাগে নি।একটু মায়া জন্মেছে।কিন্তু স্বপ্ন আমাকে পাবার স্বপ্ন দেখেই যাচ্ছে। নিরবের কাছে আজো ক্ষমা চাইতে পারলাম না।কারণ সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করার দিনই ওটা হারিয়ে গেছে। তাই মনে হয় আমি আজো ভালো থাকতে পারলাম না।কিন্তু স্বপ্ন আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে।কিচ্ছু ভালো লাগেনা।একটু অবসর দরকার।
স্বপ্ন আমার রুমে এসে আমার ঘা ঘেষে বসলো।
-একটু সরে বসুন।
-কেনো?
-বলেছি না আমার কাছে কৈফিয়ত চাইবেন না।
-আচ্ছা।
আচ্ছা বলেই সরে গেলো।একটুও রোমান্টিক না। আমি যেটা মানা করি সেটা সে করলে আরো বেশি খুশি হই। কিন্তু সে বুঝে না।অবুঝ গরু।
-বলছি যে কাল আপনাকে ঘুরতে নিয়ে যাব।
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে বললাম
-কোথায়?
-আপনার পছন্দের কোথাও।রেডি থাইকেন।
.
স্বপ্ন একটা সাদা রংএর পাঞ্জাবি পরেছে।আমাকে একটা নীল সালোয়ারকামিজ বের করে দিলো
-ইউউউ আমি নীল রং পছন্দ করি না।
-তাহলে সবুজ টা?
-হ্যা এটা চলতে পারে।

স্বপ্নকে নিয়ে একটা পার্কে আসলাম।একটা গাছের নিচে বসলাম।স্বপ্ন বেশ দূরত্ব নিয়েই বসেছে।
-একটা গান চালু করুন।
-কত দূরে গেলে কাছে পাব তোমাকে..ধীরে ধীরে...
-শাট আপ ফোনে গান দিন।দেখি আমি দিতেছি।
আমার পছন্দের গান চালু করলাম।আমাদের সামনে একটু আড়ালে একটা কাপল বসেছে।ধীরে ধীরে দুজনের মুখ কাছাকাছি আসছে। কিস করলো মনে হয়।ওদের ওমন দেখি নিজেরই লজ্জা লাগছে।আমি ফিরে তাকিয়ে দেখি স্বপ্নও ওদিকে তাকিয়ে আছে।ওর মুখে হালকা টাচ করে বললাম।
-লজ্জা করে না ওদিকে হা করে তাকিয়ে আছেন।
-আজকালকার প্রেম মানেই এসব।
-এই মি. আমিও প্রেম করতাম বুঝছেন।প্রেম মানেই এসব না।
-হ্যা করতেন।তবে আমার বিশ্বাস আপনি কখনো আপনার প্রেমিকের হাত ধরেও ঘুরেন নি।
-আপনাকে কে বললো?
-প্রথম যেদিন আমার হাত ধরেছিলেন সেদিনই বুঝেছিলাম এই হাত প্রথম কোনো ছেলের হাত ধরেছে।
-হিহিহিহি ওলে বাবালে তাই নাকি।
হাসতে হাসতেই সেই কাপলদের দিকে চোখ গেলো।ছেলেটা এবার অন্য জায়গায় হাত দিচ্ছে।রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে। স্বপ্নকে বললাম
-চলুন এখান থেকে।
-কেনো?
-আবার প্রশ্ন?
-সরি।চলুন
কিন্তু হঠাৎ কেনো জানি স্বপ্নকে বললাম ওদের চেহারা দেখব আমি।কিন্তু লুকিয়ে।ও বললো চলেন দেখি। ওদের চেহারা দেখতেই আমি থ! এটা কি দেখছি!নিরব!! ক্লাসের ভদ্র ছেলে!
ওদের সামনে এগিয়ে গেলাম। নিরব আমাকে দেখে একটুও অবাক হলো না।বললো
-তুই এখানে?
-তোর এসব অপকর্ম দেখে চোখ আটকে গেলো।
-প্রেম করলে এসব করাই লাগে।তুইও তো ফাহিমের সাথে করতিস।এখন এখান থেকে ভাগ।
-প্রেম মানেই এসব না। আর তোর চেয়ে ফাহিম অনেক ভালো ছিলো।
-কে কত ভালো জানা আছে।তা তুই এখানে কার সাথে অপকর্ম করতে এসেছিস?

আমার চোখে পানি টলমল করছে।এতক্ষণে স্বপ্ন আমার কাছে আসলো।খুবই অপমানিত হলাম মনে হচ্ছে। কেন জানি স্বপ্নের একহাত চেপে ধরলাম।স্বপ্ন ওদেরকে বললো
-ও ওর স্বামীর সাথে এসেছে।সবাই আপনার মত অপকর্ম করতে আসে না।
আমার দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বললো
-এর কাছে তুমি ক্ষমা চাইতে চেয়েছিলে। একে কষ্ট দিলে কিভাবে? এর তো মনই নেই। চলো এখান থেকে।
স্বপ্ন আমার হাত ধরে ওখান থেকে নিয়ে আসলো।আমার খুব কান্না আসছে।খুব কান্না আসছে।
.
বাড়ি এসেও এত খারাপ লাগছে যে রাতে কিছুই খেলাম না।চুপচাপ শুয়ে ছিলাম।স্বপ্ন রুমে আসলো মনে হয়।আমাকে জোর করে বিছানা থেকে উঠিয়ে বসালো।
-ওসব কথা ভুলে যাও তারাননুম।এভাবে কষ্ট পেয়ো না প্লীজ।
-আপনি জানলেন কি করে আমি নিরবকে সরি বলতে চেয়েছিলাম?

মাথা নিচু করে মিনমিনে সুরে স্বপ্ন বললো
-মাঝে মাঝে তোমাকে দেখতেই তো রাত কেটে যায়।একদিন তুমি স্বপ্নে সরি বলছিলে নিরবকে।সেখান থেকেই জেনে গেছি।আসলে তুমি শুধু আমার ছিলে।এখন অবশ্য হও নাই কিন্তু ভবিষ্যৎ এ হবে।
আমার আবার খুব কান্না আসছে।মেয়েরা এত কাঁদতে পারে কিভাবে!মেয়েদের ইমোশনটা বেশি মনে হয়।এখন আমি কান্না পাচ্ছে আনন্দে।এমন করে কেউ আমাকে ভালোবাসবে ভাবিনি।
-তারাননুম কাঁদছ কেনো? দেখি তাকাও আমার দিকে।এইইই....
এগুলো বলে স্বপ্ন আমার চোখ মুছিয়ে দিতে হাত বাড়ালো।আমি হাতটা ধরে একদিকে মেলিয়ে দিয়ে স্বপ্নের বুকে মুখ গুজে দিলাম।স্বপ্ন বললো
-এবার কি একটু ভালো বাসা যাবে আমাকে?
-নাআআআআআআ....
স্বপ্ন একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো,হয়ত একটুও ভালোবাসব না বলে।আমিও একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম, 'একটু না অনেককককককক ভালোবাসব বলে'!
.
লেখা--যারিন রাইসা(অস্পর্শী অপরাজিতা)

#sopnile

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ