āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3007

অণু গাড়িতে উঠলো। এমনিতেই অনেক রাত হয়ে গেছে। গাড়িতে উঠে চুপচাপ বসে রইলো সে। আলতাফ হোসেন বললেন, ‘এতো টেনশন করে কী সমস্যার সমাধান হবে বলুন?’
অণু বললো, ‘নাহ, টেনশন কিসের?’
‘টেনশন করার মতোই বিষয়। কিন্তু এতো ভাববেন না। দেখি কী করা যায়। একটা কিছু ব্যবস্থাতো করতেই হবে’।
‘আমার মাথায় কিন্তু কিছু আসছে না ভাইয়া’।
‘এই বৃষ্টির রাতে এমন মনমরা হয়ে বসে থাকলে মাথায় কিছু আসবেও না অণু। মাথাটাকে একটু রিল্যাক্সড হতে দিন। গান শুনবেন?’

অণুর এখন গান শুনতে ইচ্ছে করছেনা। বৃষ্টি তার অসম্ভব পছন্দ। তারওপর গাড়ির কাঁচের ভেতর থেকে রাতের ঢাকার এমন বৃষ্টি দেখা নি:সন্দেহে অদ্ভুত এক আনন্দের অনুভূতি। কিন্তু এসব উপভোগ করার মতো মানসিক অবস্থা তার নেই। আলতাফ হোসেন বললেন, ‘বলুন, কার গান শুনবেন?’
অণু আলতাফ হোসেনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো। তারপর বললো, ‘আপনার যার ভালো লাগে ভাইয়া’।
‘শ্রীকান্তের গান শুনি কী বলেন? এই মেঘলা দিনে একলা, ঘরে থাকে নাতো মন, কাছে যাবো, কবে পাবো, ওগো তোমার নিমন্ত্রণ...’।

আলতাফ হোসেন গানের সিডি খুঁজতে খুঁজতে নিজে নিজেই গুনগুন করে গান গাওয়া শুরু করলেন। তার এক হাতে স্টিয়ারিং হুইল, আরেক হাতে তিনি অণুর সামনের গাড়ির ড্যাস বোর্ড থেকে সিডি বের করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সিডি বের করতে গিয়ে অণুর দিকে অনেকটা ঝুঁকে আসতে হলো আলতাফ হোসেনকে। অণু কিছুটা সরে গিয়ে তাকে জায়গা করে দেয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু তারপরও কিছুটা সময়ের জন্য আলতাফ হোসেনের শরীরের স্পর্শ এড়াতে পারলো না সে। আলতাফ হোসেন একগাদা সিডি বের করলেন। কিন্তু সিডিগুলো একহাতে তিনি সামলাতে পারলেন না। সবগুলো সিডি একসাথে ছড়িয়ে পড়লো অণুর কোলের উপর। আলতাফ হোসেন বিব্রত ভঙ্গিতে বার কয়েক সরি বলতে বলতে সিডিগুলো অণুর কোলের উপর থেকে কুড়িয়ে নিলেন। কিন্তু মুহূর্তের জন্য অণুর কেমন অস্বস্তিকর অনুভূতি হলো। তার মনে হলো আলতাফ হোসেনের হাত কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও ইচ্ছাকৃতভাবেই তার উরুতে চেপে বসেছে।

এই অফিসে প্রায় বছর দুই হবে অণু আছে। এই দুই বছরে আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে কখনোই কোন আপত্তিকর আচরণ সে পায় নি। এমন নয় যে এই সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা অণুর কম। বরং অন্যান্য অনেক মেয়ের তুলনায় এই অভিজ্ঞতা তার বেশিই। তার বাস্তবতা তাকে অহরহ এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করে। যেন সকল পুরুষেরই ধারণা, এই প্রায় মধ্য বয়সে চলে আসা, অথচ অবিবাহিতা একটি মেয়ে নিশ্চয়ই খুব সহজলভ্যই হবে।

আলতাফ হোসেন সম্পর্কে হুট করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছে যেতে অণুর খারাপই লাগছে। তারপরও ঘটনাটা অণু মাথা থেকে তাড়াতে পারলো না। ভেতরে ভেতরে সে গুঁটিয়ে গেলো। আলতাফ হোসেন বললেন, ‘নাকি অঞ্জন দত্তের গান শুনবেন? একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে, থাকবে না সাথে কোন ছাতা...। এখন অবশ্য বিকেল না, রাত। আচ্ছা রাতের বৃষ্টি নিয়ে কী কোন গান নেই?’

অণু জবাব দিল না। আলতাফ হোসেন নিজ থেকেই বললেন, ‘নেই মানে? আছোতো। সেই বিখ্যাত রোম্যান্টিক গান, এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না...। গানটা কেমন লাগে আপনার? আমারতো অসাধারণ লাগে। খেয়াল করে দেখেছেন, গানটা কিন্তু খুব সিডাকটিভ! রুনা লায়লার কণ্ঠটাও এখানে অনেক অ্যাপিলিং’।

অণু হঠাৎ বললো, ‘আমার না মাথাটা খুব ধরেছে ভাইয়া। আপনি কিছু মনে না করলে গানটা আপাতত থাকুক?’

আলতাফ হোসেন বিচলিত গলায় বললেন, ‘অবশ্যই, অবশ্যই। আমি বোধহয় গান নিয়ে খুব ছেলে মানুষি করে ফেলছিলাম, না? আসলে চারদিক থেকে এতো প্রেসার, মাঝে মাঝে মনে হয়, কিছু সময়ের জন্য হলেও সব ভুলে একটু রিল্যাক্সড হই। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না বুঝলেন? আচ্ছা অণু, আপনার বিয়ে টিয়ের কি হলো, কিছু ভাবছেন বিয়ে নিয়ে?’

অণু ঠান্ডা গলায় বললো, ‘এটা নিয়ে আপনার সাথে আরেকদিন কথা বলি ভাইয়া? আজ আমার শরীরটা ভালো লাগছে না। আপনি এক কাজ করুন, আমাকে আসাদগেট নামিয়ে দিন। আমি ওখান থেকে রিকশা করে চলে যেতে পারবো’।

আলতাফ হোসেন যেন আঁৎকে উঠলেন, ‘এই বৃষ্টির মধ্যে আপনি আসাদগেট নেমে যাবেন? পাগল নাকি?’

আলতাফ হোসেন অণুকে আসাদ গেট নামিয়ে দিলেন না, তিনি অণুকে নামিয়ে দিলেন অণুদের বাসার গেটে। তবে অণুদের বাসার গেট অবধি পৌঁছানোর পথটুকু তিনি অনর্গল কথা বলে গেলেন। তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবনের কথা। সেই জীবনে তিনি প্রচন্ড দু:খী একজন মানুষ। তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল তার স্ত্রীকে বিয়ে করা। কিন্তু তার মেয়ে দুটির মুখ চেয়ে তিনি কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। বাইরে বাইরে সবাই তাকে দেখে ভাবে তিনি একজন অতি সদালাপী, হাসি, খুশি মানুষ। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তার চেয়ে দু:খী মানুষ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। মাঝে মাঝে সুইসাইড করে মরে যেতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু ওই মেয়ে দুটির মুখ চেয়েই পারেন না। তিনি খুব চান, কেউ একজন তার এই দু:খটা বুঝুক। তাকে একটু শান্তি দিক, আশ্রয় দিক। কিন্তু এমন কেউ কী আছে?

অণু একইসাথে জড়সড় ও সতর্ক হয়ে আলতাফ হোসেনের এইসব কথা শুনলো। কারো সামনে কেউ এমন দু:খের কথা বললে তার উচিৎ মানুষটাকে শান্তনা দেয়া। অন্তত হ্যাঁ হুঁ কিছু একটা বলা। কিন্তু এই পুরোটা সময় অণু একদম চুপ করে রইলো। সে কথা বললো আলতাফ হোসেন যখন তাকে তাদের বাসার গেটে নামিয়ে দিলেন তখন। কিন্তু কথা বলেই অণুর মনে হলো সে কথা বলে ভুল করেছে। কথা না বলাই বরং ভালো ছিলো। অণু গাড়ি থেকে নেমে সামান্য ঝুঁকে গাড়ির ভেতর উঁকি দিয়ে বললো, ‘ভাইয়া, এতো রাতে অনেক কষ্ট দিলাম আপনাকে’।
আলতাফ হোসেন বললেন, ‘না, না। কষ্ট কী!’

অণু বললো, ‘এক কাপ চা খেয়ে যান ভাইয়া?’

অণুর ধারণা ছিলো না যে এই এতোরাতে অণুর চায়ের দাওয়াত আলতাফ হোসেন গ্রহণ করবেন। সে স্রেফ সৌজন্যতাবশত: বলেছে। কিন্তু অণুকে চমকে এবং একইসাথে প্রচন্ড বিরক্ত করে দিয়ে আলতাফ হোসেন বললেন, ‘এই ওয়েদারে এক কাপ চা পেলে মন্দ হয় না। তবে কফি হলে সবচেয়ে ভালো হতো। বাসায় কফির ব্যবস্থা আছে?’

অণু যেন সামান্য হলেও আশার আলো দেখতে পেলো। সে চট করে বললো, ‘না ভাইয়া, আমাদের বাসায়তো কফির ব্যবস্থা নেই’।

কিন্তু আলতাফ হোসেন উচ্ছ্বসিত গলায় বললেন,  ‘কোন সমস্যা নেই, চা হলেই চলবে। একটু কড়া লিকারের চা। খাওয়ার সময় চোখ বন্ধ করে ভাববো, কফি খাচ্ছি, ব্ল্যাক কফি, হা হা হা’।

~ নিঃসঙ্গ নক্ষত্র - A Novel By Sadat Hossain

আসছে ২০১৮ -এর বইমেলায়

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ