āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3005

গল্পের নাম :- নিলীমার নীলাচল।
.
.
লেখক :- এম ডি ইসমাইল হোসাইন ( ক্লান্ত মুসাফির )
.
.
:- আচল! আচল! এই যে আম্মু। ( রায়হান )
:- কি হয়েছে রায়হান ভাই? ( আমি )
:- আপনার মেয়ে তো ওদিকে যাচ্ছে। ব্যাথা পেতে
পারে।
:- হ্যা তাইতো।
:- ওকে থামান। না হয় রিক্তা ম্যাডামের কাজে
ডিস্টার্ব করবে।
উনি কিন্তু বাচ্চাদেরকে একবারে সহ্য করতে পারেন
না।
সেদিন উনার ল্যাপটপ এ পানি ঢেলে দিছিল।
:- আচ্ছা থামাচ্ছি।
আমি গিয়ে আমার মেয়েকে আনলাম। আনতে গিয়ে
দেখি আমাদের এম ডি ম্যাডাম। চশমার ফাঁক দিয়ে
তাকায়ে
আছেন। চোখ গুলো রক্তবর্ণ। কিন্তু কিসের জন্য লাল
হয়ে আছে। বুঝা যাচ্ছে না। কাল রাতে ঘুমান নি
নাকি আমার
এহেন কর্মকান্ড দেখে? কিছু না বলে চলে গেলেন।
এই চলে যাওয়ার মানে আমি বুঝি। আমি এই অফিসে
সাত বছর
যাবৎ চাকুরী করতেছি। এই অফিসের আদি অন্ত সব
আমার
জানা। আমার বস খুব শান্ত শিষ্ট হলেও ইনি ঠিক
উল্টো। খুব
কড়া। একটুও এদিক সেদিক করা ইনার পছন্দ নয়।
মেজাজ
অনেক খারাপ। শুনেছি এখনো বিয়ে করেন নি। আমি
এটাও
জানতাম, বিয়ের আগে সব মেয়েদের মন মেজাজ
অনেক খিটখিটে হয়। তবে কত টুকু সত্য আমি জানি
না।
,
দুপুরে লাঞ্চের পরে পিওন এসে আমাকে বলে। ভাই
আপনাকে ম্যাডাম ডাকে। অফিসে অনেক ম্যাডাম।
আমি
যেইহারে পরিচিত যেকোন ম্যাডাম ই আমাকে
ডাকতে
পারেন। আমার জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল, কোন
ম্যাডাম তলব
করতেছেন? কিন্তু এই মুহূর্তে সেটার প্রয়োজন মনে
করলাম না। আমি বুঝে গেছি কোন ম্যাডাম আমায়
ডেকেছেন।
দশমিনিট পর ম্যাডামের রুমে গেলাম। আসার পথে
অনেকেই আমার দিকে চেয়ে কূটনৈতিক হাসি
দিচ্ছিল।
কেননা আমি তাদের খুব জ্বালাতাম। বুঝলেন না?
আমি ওদের
বস। কড়া শাসনে রাখতাম। ওরা কেউ আমাকে অফিস
টাইমে
হাসতে দেখেছে কিনা সন্দেহ আছে। মনে মনে
আমার চাকুরী চ্যুত কামনা করত। আজ ওদের হাসির
মাঝে এটাই
বুঝতে পারছি। ওরা বুঝাতে চাচ্ছে। যাও ব্যাটা এই
বার তোমার
চাকুরী টা গেল। পারলে বাঁচাও। আমি ম্যাডামের
রুমের
সামনে এসে নিজেকে যথেষ্ট সংযত ও স্বাভাবিক
রাখার
চেষ্টা করছি। দরজা ধাক্কা দিয়ে...
:- আসি ম্যাডাম?
:- জ্বী আসুন।
:-
:- বসুন।
:- কি জন্য ডেকেছেন?
:- এই আপনার আসার সময় হল?
:- না মানে ম্যাডাম। একটা হিসাব ক্লোজ করতে
গিয়েই
দেরী হয়ে গেল।
:- ওহ আচ্ছা। একটা কথার উত্তর দিবেন আমায়?
:- ম্যাডাম! উত্তর দেওয়ার আগে এসির রিমোট টা
দিয়ে
এসির পাওয়ার বাড়িয়ে নিন।
:- কেন?
:- যেইহারে আপনি ঘামছেন। আমার শীত লাগলেও
আপনার
গরম করছে তা বুঝতে পারতেছি।
:- চুপ করুন।
:- ভালর জন্যই বলছিলাম।
:- চুপ করুন। মুখে মুখে কথা বলে।
:- জ্বী বলুন।
:- আপনি কি এখানে কাজ করতে আসেন নাকি
আপনার বাচ্চা
সামলাতে আসেন?
:- দুটোই।
আমার উত্তর শুনে ম্যাডাম যেন আরো হট হয়ে গেল।
আমার শীত করছে কিন্তু ওনার গরম করছে। উনি এবার
বললেন।
:- দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা ঠিক না। শেষে
পানিতে ডুবে
যাবেন।
:- অভিজ্ঞতা ও কন্ট্রোল নিজের কাছে থাকলে তা
পারা যায়
ম্যাডাম।
:- আমি কিছুতেই ভেবে পাচ্ছি না। আপনার মত
একজন ফাঁকিবাজ
ও অলস ব্যাক্তিকে আব্বু কি করে সাত বছর ধরে
রেখেছেন।
:- সাত বছর গেলে আপনিও বুঝবেন।
:- মুখ সামলে কথা বলুন। এটা অফিস।
:- মনে আছে।
:- আমি নতুন এম ডি। আমিও যেমন পরিশ্রমী তেমন
পরিশ্রমী ছাড়া কাউকে রাখব না।
:- ঠিক আছে ম্যাডাম কাল রিজাইন লেটার পেয়ে
যাবেন।
:- ঠিক আছে। যান এখন।
,
রাগে ফুসতে ফুসতে অফিস থেকে বেরিয়ে এলাম।
সবাই আমার মুখ খানা দেখে মজা নিচ্ছে।
সেদিন আর থাকি নি অফিসে। আমার মেয়ে আঁচল
কে
নিয়ে বেরিয়ে আসি।
:- আব্বু। আজকে আমরা তাড়াতাড়ি ছুটি পেলাম তাই
না?
:- হ্যা মা। তুমি খুশি না?
:- হ্যা। আমি খুব খুশি।
:- আরো একটা খুশির খবর আছে।
:- কি আব্বু, তাড়াতাড়ি বল না।
:- কাল থেকে পুরোটা সময় তোমার সাথে থাকব। আর
অফিসে যাব না।
:- সত্যিই আব্বু?
:- হ্যা মা সত্যি ।
:- You are great.
:- Same to you.
:- ummmmmmma.
:- মামনি এক গালে কেন? অন্য গাল যে রাগ করবে?
:- যাও তুমি অনেক দুষ্টু হইছ। গাল তো তোমার ই।
,
আচল আমার বাম গালে কিস করল। ওর মনে কখন কি
চলে
আমি বুঝে উঠতে পারি না। গালে চুমো খাওয়ার
পরে
অনেক জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিল। ব্যাথায়
ককিয়ে
উঠলাম।
:- আব্বু! আব্বু! এই আব্বু তুমি ব্যাথা পাইছ?
আমি কথা বলি না দেখে আচল প্রায় কেঁদেই দিছে।
আসলে আমি রাগ করি নি। আমার অতীত মনে পড়ে
গেছিল। তাই ভাবছিলাম। আচল এমন কিছু করে বসে
যা আমার
অতীত মনে পড়ে যায়। সে কেঁদে কেঁদে বলল।
:- আব্বু আমি খুব পঁচা। আমি তোমাকে কামড়ে
দিয়েছি। তুমি
আমাকে মার।
:- না আম্মু তুমি অনেক ভাল। সুইট, কিউট আর লক্ষী
একটা
মেয়ে। আমার রাজকুমারী।
:- তাহলে ওই টা কিনে দাও।
,
মেয়ের আবদার আমি ফেলি না। দোকানে গিয়ে
দেখি।
আমার পকেটে যা আছে তার থেকেও ওটা বেশী
দামী। কি করি? এখান থেকে বাসাও অনেক দূর। না
হলে
ওকে রেখে টাকা নিয়ে এসে কিনে নিতাম। মাথায়
আইডিয়া
এল। হাতে একটা ব্রেসলেট ছিল। সেটা দোকানদার
কে
দিলাম। আর বললাম। ভাই এটা রাখেন। এর সঠিক মূল্য
দিয়ে আমি
আমার ব্রেসলেট ফেরত নিয়ে যাব।
,
খেলনা পেয়ে আচল খুব খুশি। ওকে খুশি তে দেখলে
আমার মন প্রাণ শান্তি পায়।
আমার মন আনন্দে নেচে উঠে। ওর সুখেই আমি আমার
সুখ খুজে পাই ।
,
ওর বয়স যখন দেড় বছর। তখন থেকেই আমার কাছে
থাকে। ফিডার খাওয়ানো থেকে শুরু করে সব কিছু
আমি করতাম। ওর সার্বক্ষণিক দায়িত্ব ছিল আমার
কাছে। দাদু দিদা কারো কাছেই থাকত না। শুধু
আমাকে ছাড়া। কি বাধনে যে আবদ্ধ ছিলাম জানি
না। তবে এইটুকুই বুঝি। আমাদের সম্পর্ক বাপ মেয়ে র ।
আরেকটু গোড়া থেকে বলি। তাহলে সবাই ক্লিয়ার
করে বুঝবেন। নিলীমা হচ্ছে আচলের মা। মানে
আমার বউ। নিলীমার সাথে আমার পরিচয় হয়। যখন
আমি বি এস সি প্রথম সেমিষ্টার। ও ছিল ভর্তি
ইচ্ছুক ছাত্রী। মানে অনার্সে ভর্তির জন্য কোচিং
করত। ওর কোচিং এই ওর সাথে আমার দেখা।
চোখাচোখি ও টুকটাক কথা বার্তা ছয় মাস চলে। ওর
হাবভাব অন্য রকম লাগত আমার কাছে। তাই একদিন
ওকে প্রস্তাব দিয়েই বসলাম।
:- হাই।
:- হ্যালো।
:- আপনি কি এখানেই পড়েন?
:- আপনি কি কানা নাকি? এইটুকুও এখনো জানেন না?
:- না জানি তো।
:- তাহলে?
:- কিন্তু কি দিয়ে আপনার সাথে কথা শুরু করব। ভেবে
পাচ্ছিলাম না। তাই এই কথা দিয়েই শুরু করলাম।
:- ওহ আচ্ছা। কিন্তু আপনি কি কখনো মেয়ে মানুষ
দেখেন নি? আই মিন কারো সাথে কথা বলেন নি?
:- দেখেছি তো।
:- তাহলে ভয়ে এরকম কুচকে যাচ্ছেন কেন?
:- না। কিছু বলার ছিল।
:- আপনি কি বলবেন? তা আমি বুঝে গেছি। যখন
বলতে চাইছেন একটা সুযোগ দেওয়াই যায়। বলুন কি
বলবেন?
:- আপনার এফ বি আইডিটা কি দেওয়া যাবে?
আমার এমন কথা বলা দেখে সে অনেক আশ্চর্য হয়ে
গেছিল। ওর ভাব মূর্তি দেখেই বুঝা যাচ্ছিল। কোন
কথা বলছেনা দেখে আমি ই বললাম।
:- কি? দেওয়া যাবে না? ওকে ঠিক আছে। চললাম।
:- আমি কি একবারো বলেছি দিব না।
:- না তা বলেন নি?
:- আচ্ছা আপনি কি আর কিছুই বলতে চাননি?
:- না। কেন বলুন তো?
:- কিছু না। এমনি।................... এটা আমার এফ বি
আইডি।
,
আর কিছু না বলে চলে গেল। এমনে দেখা যাচ্ছে
খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু এক রাশ দু:খ নিয়ে
ফিরছে।
ভাবছিলাম। আজকে মনের কথাটা বলে দেব। কিন্তু
উনার যেভাব। তাই দেখে আমিও একটু সুযোগ নিলাম।
আপনারাই বলেন। এরকম ভাব ওয়ালীর সাথে কি ভাব
না দেখানোটা উচিত ? অবশ্যই না। তাইতো ভাব
দেখিয়ে দিলাম। এও বুঝিয়ে দিলাম ভাব কারে কয়?
ইমরান নাকি কোন শিল্পী জানি গাইছিল। সখি
ভালবাসা কারে কয়?
আমি তার উল্টা করলাম, সখি ভাব কারে কয়?
,
আমি নিশ্চয়ই কোন মেয়ে না। তবুও কিছু জানি। এখন
মেয়েটি গিয়ে হাতের জিনিস ছুড়ে মেরে বিছানায়
ধপাস করে পড়ে যাবে। আর নরম বালিশে মুখ লুকিয়ে
কাঁদবে । না হলে আয়নার সামনে গিয়ে বার বার
নিজের চেহারা দেখবে। আর না হয়। বারান্দায়
গিয়ে একা একা দাড়িয়ে খোলা আকাশের দিকে
তাকিয়ে কাঁদবে। আয়নায় মুখ দেখা নিয়ে যথেষ্ট
যুক্তিগত কোন কিছু পাই নি। তবে আমার যা মনে হয়
তাই বললাম। যদি কোথাও মেয়েটি রিজেক্ট হয়।
তবে আগে চেহারা দেখবে। মনে মনে এটা ভাববে
যে আমার চেহারার জন্য রিজেক্ট করল না তো
আবার? তাই খুতিয়ে খুতিয়ে নিজের চেহারা ভাল
করে পর্যবেক্ষণ করে।
,
আমি আর কি? বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লম্বা ঘুম
দিলাম। ঘুম থেকে উঠে বালিকা র কথা মনে হতেই
সেই নাম লিখে সার্চ দিলাম। কিন্তু একটা নয় বহু
আইডি চলে আসল। কিন্তু কোনটা যে ওর কেমনে
বুঝব?
ইচ্ছা করছে মাথার চুল টেনে ছিড়ে ফেলি।
আবার ওকে প্রয়োজন। দুই দিন পরে আবার সেই
কোচিং সেন্টারের সামনে দাড়িয়ে আছি। কিন্তু
ওকে পাচ্ছি না। তাই এক আপুর সহায়তা নিলাম।
:- আপু একটু শুনবেন?
:- জ্বী বলুন।
:- আজ নিলীমা আসে নি?
:- কোন নিলীমা?
:- ঐ যে একটু লম্বা করে ফর্সা মেয়েটা।
:- ওহ। সেতো চলে গেছে।
:- ওহ শীট!
:- কিছু বললেন?
:- না আপনাকে কিছুই বলিনি।
,
এমন সময় দুটি মেয়েকে আমার পেছন দিয়ে হেটে
যেতে দেখলাম। তারা আলাপ করতে করতে যাচ্ছে।
:- জানিস পালকি । ছেলেদের একটুও বিশ্বাস করা
যায় না।
:- কেন রে কি হইছে?
:- এক ছেলে আমার কাছ থেকে ফেবু আইডি নিয়ে
সেই যে গেছে। এখনো পর্যন্ত রিকো পাঠাল না।
:- বলিস কি রে!
:- ঠিকই বলছি। আর আজব ব্যাপার কি জানিস?
:- কি!!!!
:- একজন এর কাছে সাড়া না পেয়ে অন্য কাউকে
ট্রাই করে। এগুলো নিজের চোখে দেখে সহ্য হয়?
বল।
:- না একদম না।
,
দেখছেন নি কত্তবড় বজ্জাত মেয়ে। আমি নাকি
তারে প্রোপোজ করেছি। সেখানে আমি নাকি
রিজেক্ট হইছি। আমার এখন কি করতে মন চায়
জানেন? মন চায় যেন কচু গাছে ফাস লটকাই।
জানেনই তো আমি চাইলাম। আমি তো তাকে
প্রেমের অফার দেই নি। তারপরেও কি সুন্দর করে
গল্প করে যাচ্ছে।
:- এই নীলিমা, দাড়া। এই ভাইয়া তোকে খুজছে।
:- ভাইয়া কিছু কইবেন? ( নীলিমা )
দেখছেন। কেমন লাগে? এখন আবার ভাইয়া ডাকে।
আমি সহজ ভাবেই বললাম
:- ঐ দিকটায় চলেন কথা আছে।
কিছু না বলে আমার পিছু পিছু হাটতে লাগল। এক
নির্জন জায়গায় গিয়ে বসলাম।
:- আচ্ছা আপনার কি কোন সমস্যা আছে?
:- কেন? কি সমস্যা?
:- ঐ যে আপনার বান্ধবীর কাছে কিসব বলছিলেন।
:- ভাল করেছি। যেখানে জানি। আপনি আমাকে
পছন্দ করেন। তারপরেও যদি দেখি আপনি অন্যকারো
সাথে কথা বলছেন। তখন কেমন লাগে? সেই জন্যই
বান্দবীর কাছে এগুলো বলেছি।
:- আমি তো তার কাছে আপনার খোজই করতেছিলাম।
:- কেন?
:- আপনার আইডি এখনো খুজে পাই নি।
:- খুজে পাননি মানে?
:- খুজে পাইনি। এত গুলো আইডি। কেমনে বুঝব এটা
আপনার আইডি।
:- হুম ঠিক কথা। আচ্ছা এই নাম্বারে সার্চ দিন।
:- ওকে।
,
আমি তো মহাখুশি। রাজকন্যা সহ রাজত্ব পাওয়ার মত
ব্যাপার মনে হল। নাম্বার, আইডি দুটোই একসাথে
পেলাম।
এরপরে চ্যাটিং, কেয়ার টেকিং, শেয়ারিং,
লাভিং আরো অনেক কিছু চলে আমাদের মাঝে।
এভাবে আরো ছয় মাস কেটে গেল। মোট এক বছর
হল।
হঠাৎ ই সে বলল,
:- নীল। তুমি কি আমাদের বিয়ের ব্যাপারে কিছু
ভাবছ না?
:- হ্যা ভাবছি তো।
:- কবে বউ বানাবে আমায়?
:- এইত আমার বি এস সি শেষ হলে।
:- এত দেরী?
:- হ্যা। এর আগে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
:- কিন্তু নীল। বাবা আমার জন্য ছেলে দেখছে।
:- কি বল এইসব?
:- ঠিকই বলছি। কিছু একটা কর।
,
আমি মহা চিন্তায় পড়ে গেলাম। কি করব? কিছুই
বুঝতে পারছি না। আমার বি এস সি এখনো শেষ হয়
নি। এত কম বয়সে বিয়ে করলে মা বাবা অনেক কষ্ট
পাবেন। বিশেষ করে উনাদের পছন্দের বাইরে বিয়ে
করলে খুব কষ্ট পাইবেন। আমি এমনই এক চিপায়
পড়ছি। যাকে খাটি বাংলায় মাইনকা চিপা বলে।
যদি বাবা মায়ের মন রাখতে যাই তাহলে নিলীমা
কে হারাতে হবে। আর যদি নিলীমা কে পাই তাহলে
বাবা মাকে হারাতে হবে। উনাদের জানানোর পরে
এই র একশন টা দেখিয়েছিল। আমি ভাল মতই বুঝতে
পারি আমার ফ্যামিলি থেকে নিলীমা কে মেনে
নিবে না। আমিও ওকে ছাড়া আর কাউকে ভাবতে
পারি না।
দুই পরিবার দুই দিকে। আমরা এক দিকে। ওর মতামত
নিয়ে আমরা কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
ওকে বলে দেই যে, আমার রেজাল্ট না হওয়া পর্যন্ত
এই বিয়ে গোপন থাকবে। যেহেতু আমরা স্বামী
স্ত্রী। সেহেতু শারীরিক সম্পর্ক অবৈধ নয়। একদিন
আমরা করেই ফেললাম।
আমার বি এস সি শেষ। ওদিকে ওর ভার্সিটি র
লেখাপড়া গর গর
করে এগুচ্ছে। ও ওর বাপের বাড়িতে আমি আমার
বাপের
বাড়িতে।
এক সময় আমাদের সম্পর্ক ফাঁস হয়ে যায়। অনেক কিছু
হয়।
কিন্তু কোন পক্ষই কিছুতেই আপস হয় না। আমার দাদা
ছিলেন
মাতবর টাইপের মানুষ। উনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবাই
আমাদের
বিয়ে মেনে নেয়। ছোট খাট অনুষ্ঠান করে নিলীমা
কে আমাদের বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে আসি। চলতে
থাকে
আমাদের সংসার। এদিকে আমি চাকুরী তে জয়েন
দেই।
আর ওর লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যায়। বিয়ের বছর খানেক
পরে ওর কোল আলো করে আচল আসে। পরিবারের
সবাই খুব খুশি। আমি একটু মিশুক টাইপের ছিলাম।
ফলে
যেকেউ আমার সাথে মিশত। অনেক মেয়েরাই আমার
সাথে কথা বলত। উল্লেখ্য যে, আমি আমার বউ নিয়ে
শহরে থাকি।
আচল ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। বাপ হিসেবে
আমার দায়িত্ব কর্তব্য আরো বেড়ে যায়। কেমনে যে
কি করব? কিছুই বুঝতেছি না। একদিকে আচলের
আগমনের
খুশি অন্যদিকে সংসারের চিন্তা। আমি তালহীন
হয়ে যাচ্ছিলাম।
আমার মেয়ের বয়স পুরোপুরি ১ বছর । আমার আর তর
সইতেছে না। কবে যে আমার মেয়ে আব্বু ডাকব।
আমার
উষ্ণ প্রাণ টা শীতল করিব। তা আল্লাহই জানেন।
এখন শুধু অ্যা অ্যা করে। আমি কিছুই বুঝি না। মা
মেয়ে যে
কি বুঝে? তা দেখে মনে হয় খুব খুশি এরা।
একদিনের ঘটনা :
আমি অফিস থেকে ফিরছি। অনেক বৃষ্টি আর
সন্ধ্যার
কাছাকাছি। রিক্সা করে ফিরতেছিলাম। বৃষ্টি র
সময় রিক্সা অলা
দের তেল মারতে হয়। সেই সাথে অতিরিক্ত ভাড়া
তো
আছেই। আমি ডাবল ভাড়া দিয়ে বাসায় আসছি।
পথিমধ্যে এক
মেয়ে রিক্সা দাড় করাল।
:- ভাইয়া। আমাকে একটু হেল্প করেন। অনেক ক্ষণ
ধরে
দাড়িয়ে আছি। রিক্সা পাচ্ছি না।
:- ঠিক আছে উঠে পড়ুন। আপনার যদি কোন আপত্তি
না
থাকে।
:- ওকে। অনেক উপকার করলেন। সন্ধ্যার আগে
আমাকে বাসায় যেতেই হবে।
,
এই মেয়েটি আমার সর্বনাশের মূল ছিল। না ঠিক এই
মেয়েটি
নয়। এই মেয়ের রিক্সায় চড়া।
আমরা যেদিকে যাচ্ছিলাম। দুজনের গন্তব্যই এক।
আগে
মেয়ের বাসা পরে আমার বাসা। নিয়মাধীন
মেয়েটিকেই
আগে নামতে হবে। রিক্সা যেদিকে যাচ্ছে। তার
সামনের
দিক থেকে জোরে বৃষ্টি পড়তেছে। তাই বাধ্য হয়ে
রিক্সার হুড তুলে দিয়েছি আর সামনে কাগজ দিয়ে
মুড়ে
নিয়েছি। যাতে বৃষ্টির পানিতে আমরা না ভিজি।
রিক্সা দাড়াল ঠিক
দ্বিতল একটা বাসার সম্মুখে। মেয়েটি ভাড়া
মিটিয়ে চলে
গেল। যাওয়ার সময় হাত দিয়ে টাটা দিয়ে গেল।
উপকারের
প্রতিদানে। কিন্তু সেই প্রতিদান ই যে আমার কাল
হবে আমি
কি জানতাম? ঘাড় সোজা করে দেখি। সামনের
রিক্সায় আমার
স্ত্রী আর পাশের বাসার ভাবি। আমার মেয়ের জন্য
মশারী
কিনেনিয়ে যাচ্ছে। আমাকে কয়েকদিন বলেছে
কিন্তু
অফিসের চাপে এবং অন্য টেনশনে ভুলেই যাই।
আজকেও ভুলে গেছি। আমার ভুলে যাওয়া ও দেরী
দেখে ও নিজেই এসেছে কিনতে।
সাথে যে ভাবী ছিল। সেটাকে ডাইনি বলব নাকি
কুটনি বলব
ভেবে পাই না। সারাদিন বসে বসে স্টার জলসা আর
জি বাংলার
নাটক দেখে । আর রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু
উনাদের কখনো বনিবনা হইছে। আমি এখনো শুনিনাই।
সারাদিন
ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। এখন লেগেছে আমার
বউয়ের পিছে। আমি বাসায় না থাকলে ই দুজনে
মিলে নাটক
দেখব। আমি যাওয়ার সাথে সাথে ই উনি চলে
যাবেন। আর
আমার বউ আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
বাসায় যেতে এখনো দশমিনিট লাগব। এই দশ
মিনিটেই
অনেক কিছু শিখায়ে ফেলবে বউকে। আমি এই
দু:শ্চিন্তাই
করতেছি।
ভয়ে ভয়ে ঘরে গেলাম। কি ভাবছেন? বউ মাইর দিব?
আরে না ভাই। জীবনেও আমার উপরে হাত তুলবে না।
এটা
আমি নিশ্চিত। আমি ভয় পাচ্ছি। সে না আবার
আমাকে ভুল
বুঝে। বাসায় ঢুকে সবকিছু নরমাল মনে হচ্ছে। বোম
এখনো ব্লাস্ট হয় নি। হবে কি না বুঝাও যাচ্ছে না।
কি ব্যাপার!
এত কিছু হয়ে গেল অথচ বউ কিছুই বলছে না। অন্যসব
দিনের মত আমাকে খাবার দিল। নরমালি একই
বিছানায় ঘুমাইল। এত
দিন যেইভাবে শুইত সেইভাবেই শুইছে। আমি মনে মনে
ভাবলাম যাক তাহলে ভুল আমাকে বুঝে নি। পরের
দিন
সকালে দেখি বউ বিছানায় নাই। চোখ কচলে চেয়ে
দেখি
বউ ড্রেসিং টেবিলের সামনে টোলে বসে চুল
আচড়াচ্ছে। আমার রোমান্টিকতা বেড়ে গেল। বউকে
পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। ও লাফিয়ে উঠল, আমি
ছিটকে
খাটে পড়ে গেলাম।
:- খবরদার! খবরদার! ঐ নোংরা হাতে আমাকে যদি
স্পর্শ
করেছিস তো.........
ব্যাপার কি! বউ তো কখনো এমন রি একশন
দেখায়নাই। আর
আমাকে তুই করে বলেনাই। শত রাগ হলেও তুমি করে
বলেছে। একি আমার বউ নাকি কিরনমালা র কটকটি।
আমার
বউকে চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। ইচ্ছা মত আমাকে
ঝাড়ল । মনের খায়েশ মিটানো শেষ হলে। এক খানা
চিঠি
ধরিয়ে দিয়ে লাগেজটা টানতে টানতে বাইরে চলে
গেল।
একটু পর খেয়াল করলাম। ওর কোলে আমার মেয়ে।
এখন পাঠক পাঠিকা রা বলবেন হয়তো।
আরে বলদের ঘরে বলদ। বাচ্চা মায়ের কোলে থাকবে
নাতো কার কোলে থাকবে? সেটা ভাই আমিও
জানি। কিন্তু
আজকে ওকে আমি সত্যিই ভয় পাচ্ছি। হ্যা ভাই, ও
বাপের বাড়ি
চলে যাচ্ছে। ওকে যদি ফিরাতে যাই। তাহলে আমার
মেয়েটা হয়তো নিচে পড়ে যাবে। তাই আর ওকে
বাধা
দেই নি।
ও চলেই গেল। কারো শুনা কথা নয়। নিজের দেখা।
ভুল
তো বুঝবেই। এখন আমি যদি হাত জোর করেও বলি।
নিলীমা তুমি যা দেখছ সবই ভুল।
দেখ নিলীমা অনেক ক্ষেত্রে চোখের দেখা ভুল
হয়ে যায়। তোমার দেখা হয়তো সত্যিই ছিল কিন্তু
আমার
উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না। এই কথা গুলো শুনলে খুব
বিরক্ত
হবে। মনে করবে গলিত সীষা যেন ওর কানে ঢেলে
দিচ্ছি।
আমার সুখের সংসার এক মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল।
দু:খের কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়ে গেল। কখন,
কোনদিন
যে থামবে তা আল্লাহই জানে।
কেটে গেল একটি মাস। ভাইরে মুখে তো বলেই
ফেললাম। একমাস কেটে গেল। শুধু আমি জানি
কেমনে
কাটল? নিলীমার দিন তো সুখেই কাটবে। কেননা ওর
সাথে
আমার মেয়ে আছে। আমার বুকটা হাহাকার করে
উঠছে।
আমার মেয়ে হয়তো এতদিনে বাবা ডাক শিখে
ফেলছে
কিন্তু কাকে বাবা ডাকবে? সেই মানুষটাই তো নাই।
,
দিনগুলা খুব কষ্ট করেই কাটতেছিল। এক রাত্রে
স্বপ্নে
আচল আচল করে চিৎকার করে উঠেছি।
সাতদিন জ্বর ছিল। আমার পাষাণ বউটার মন একটুও
গলে নি।
একবারের জন্যও আমাকে দেখতে আসে নি।
এরই মাঝে আমার বাবা মাকে যেতে বলেন । উনারা
যান।
একটা আশা নিয়ে। যদি তাদের বউমা ফিরে আসে।
কিন্তু
ফিরেনাই। বরং অনেক অপমান করেছে। দুই
তিনমাসের জন্য
আমার কাছে আচল কে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই দুই
তিন মাস
পরে যেন ওকে সহ আচলকে চিরতরে ভুলে যাই। এখন
নাকি বাবা ডাকতে পারে। তাই যেন মন ভরে বাবা
ডাক শুনে
নেই। পরে আর শুনতে পারব না। একটু একটু ডাকে
কোনরকম বুঝা যায়। বাবা ডাকতেছে। আমি ওতেই
খুশি।
এবার আমাকে ডেকে পাঠাল।
.
আমি মনে মনে একটু খুশি হলাম। ভাবলাম এবার বোধ
হয়
আমার কাছে ফিরে আসবে। কি মনে হয় আপনাদের?
নিলীমা কি আসবে আমার সাথে?
কি শিউর দিতে পারছেন না? আমিও দিতে পারছি
না। আরে ভাই
রাখেন না দেখি। আগে তো শ্বশুড়ের বাড়ি যাই।
সময় মত পৌছে গেলাম। আমি গিয়েছি সন্ধ্যার সময়।
যাতে
করে উনারা একটু জোর করে থাকার জন্য। আমি একটু
থেকে যাব। বাসায় গিয়ে দাড়োয়ান কে গেট খুলতে
বললাম। উনি আমাকে ভাল মতই চিনেন। আমি যে এ
বাড়ির
জামাই। তারপরেও ভেতরে চলে গেল। গিয়ে ম্যাডাম
মানে আমার বউ কে ডেকে নিয়ে আসল। বউ আর
আমি
দাড়িয়ে আছি। মাঝখানে আধা হাত জায়গা বাকি।
কিন্তু আমাদের বাধা
হিসেবে এখনো গেট রয়েছে। আমি গেটের এ
পাড়ে। আর নিলীমা ওপাড়ে। আমাকে একটা লিষ্ট
দিল। যে
আচল নাকি এগুলো খায়। এটা খাওয়াতে হবে। ওটা
খাওয়াতে
হবে। এই ভাবে যত্ন করতে হবে, এভাবে করলে ওর
অসুখ বেধে যাবে। মা তো তাই সন্তানের প্রতি
দায়িত্ব টা
অনেক বেশি। বিশেষ করে এই মুহূর্তে স্বামীর
থেকে। আমি যে তার স্বামী। মনে হয় নিলীমার
মনেই
ছিলনা। আমাকে ওখান থেকেই বিদায় দিল। বাসায়
পর্যন্ত
ঢুকতে দিল না। আমার শ্বশুড় বাড়ি থেকে আমার
বাড়ি
মোটামুটি দূরে। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত দশটা
হয়ে গেল।
কলিং বেল চাপ দিলাম। বাবা একটু অসুস্থ। মায়েই
খুলল। মা
আমাকে দেখে ভূত দেখার মত চমকে গেল।
:- কি রে নীল তুই?
:- হ্যা মা। কোন অসুবিধা? আর আমার বাসায় আমি
ঢুকব না?
:- কিন্তু তুই এত রাতে?
:- না মা। আমি শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। উনারা
খুব যত্ন করল।
আমাকে কোন মতেই আসতেই দিতে চাইল না। আমি
জোর করেই এসে পড়েছি। আমি আমার কলিজার
টুকরা
মেয়েকে ছাড়া কেমনে থাকব? বল মা?
:- নীল। তুই এখনো মিথ্যা বলাও শিখিস নি। যে কেউ
ধরে
ফেলবে তোর মিথ্যা বলার সময় ।
,
মা আর দাড়াল না। চলে গেল। আমি চাকুরী স্থগিত
করেছি।
শুধুমাত্র আমার মেয়ের কারণে। আমাদের সংসারে
যা
আছে তাই খাওয়ার লোক নাই। চাকুরী করে কি করব?
আস্তে আস্তে ওর দেওয়া সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
আমার
মনের আকাশে আবার মেঘ জমতে আরম্ভ করেছে।
আমি কি আচলকে হারিয়ে ফেলব?
হঠাৎ করেই আমার সেই দিনের আগমন ঘটল। আমার
শ্বশুর
এসেছেন উনার নাতনি কে নিতে। আমি উনাদের
বাসায় এনে
অনেক যত্ন করে খাবার দিয়েছি। যত ধরনের
আপ্যায়ন ছিল
সব করেছি। শেষে বলে দিয়েছি। ওনাদের মেয়ে কে
আসতে। আমার দেওয়া নির্দিষ্ট তারিখে নীলিমা
এসেছে।
বাইরে গাড়ির হর্ণ বাজাচ্ছে। আমাদের কোন
দাড়োয়ান নাই।
আমরা যে খোজ পাই সেই গেট খুলি। দেখি আব্বা
যাচ্ছে
গেট খুলতে। আমি আব্বাকে থামিয়ে দিলাম। বললাম
আপনি
অসুস্থ। শুয়ে থাকেন। আমি আচলকে নিয়ে একটু ঘুরে
আসি। আর যদি ফকির বা মিসকীন কেউ আসে
তাহলে আমার
মেয়ের নামে মানত করে দশটা টাকা দিয়ে আসি।
আব্বা বললেন, নীল তোমার কি ইদানিং মাথা
খারাপ হইছে?
আজ পর্যন্ত কোন ফকিরকে গাড়ি নিয়ে আসতে
দেখি নি।
আমি আর কিছু না বলেই চলে আসলাম। আমি আচলকে
একহাতে ধরে অন্যহাত পকেটে ঢুকিয়ে মাথা নিচের
দিকে ঝুকিয়ে এগুতে এগুতে বলতে লাগলাম। এই নিন
একশ
টাকা আমার মেয়ের নামে মানত............ ।
আমি এমন ভাব করলাম। যেন ও দেখে যাতে না বুঝে
আমি
এই কাজটা ইচ্ছা মত করেছি।
আমি থমকে দাড়িয়ে ওর দিকে চেয়ে আছি।
কিছুই বলছে না। ঠিক মতই বুঝতে পারছি। অপমান টা
সহ্য
করতে পারে নি। চোখ দিয়ে লাভা বের হচ্ছে। পাশ
কাটিয়ে ভেতরে যেতে চাচ্ছিল।
আমি বললাম, ভেতরে যাওয়ার কোন অনুমুতি নাই।
সে থমকে দাড়াল। ও হয়তো ভাবতেও পারেনাই। এই
দিনটি
ওর জন্য এত তাড়াতাড়ি এসে যাবে। দুফোটা অশ্রু
গড়িয়ে
পড়ল।
:- এই নাও তোমার মেয়ে। মেয়াদ শেষ। তাই ফিরিয়ে
দিলাম।
:-............. ( নিশ্চুপ।)
:- আর হ্যা। অতি শীঘ্রই ডিভোর্স পেপার পেয়ে
যাবে।
তোমাকে সহ তোমার মেয়েকে চিরতরে ভুলে যাব।
যেহেতু এখনো আমার স্ত্রী আছ। সেই জন্য তুমি
করে বললাম। সাইন করার পরে যদি কখনো কথা হয়।
তবে
আপনি করে বলব।
ভাল থেক। এবার আসতে পার।
,
কথাগুলো যে কত কঠিন হয়ে বলতে হয়েছে। বলতে
গিয়ে বারবার আমার গলা ধরে গেছে। চোখের বাধ
মানতে নারাজ চোখের পানি। তবুও কথা থেকে যায়।
পুরুষ
মানুষ অল্প কষ্টে চোখের জল ফেলে না। আমারও
পড়ে নি।
ওর আর বাধা মানে নি। গাল বেয়ে তীব্র বেগে ঝড়ে
পড়ছে। আমি গেট লাগিয়ে চলে আসছি। আচল কি
যে
কান্না শুরু করে দিছে। আমার বুকটা হাহাকার করে
উঠল। সেই
কান্নারত অবস্থায়ই নিয়ে গেল। সে যখন চলে
যাচ্ছিল।
তখন আমার মনে হল। বুকের খাচা দুইপাশে সরিয়ে
মাঝখান
থেকে কলিজা টেনে হিচড়ে বের করে নিয়ে
যাচ্ছে।
আমি সেই রাতে আর ঘুমাতে পারি নি। আমি আমার
মেয়েকে বুকে শুইয়ে ঘুম পাড়িয়েছি। আমার অনেক
দামী ফাইলে প্রশ্রাব করে দিছিল। তবুও একটা ধমক
পর্যন্ত
দেই নি। আবার সেই কাজটা করেছি। তবুও আমার
কলিজার
টুকরো মেয়েকে একটা কথাও বলিনি। তারপরের দিন
রাতে
কোন ভাবেই ঘুম আসছে না। বাহিরে গিয়ে সিগারেট
টানতেছি। এমন সময় ফোন বেজে উঠল। শ্বশুর মশাই
ফোন দিয়েছেন। উনি যা বলছেন তাতে আমার
মেজাজ
পুরো গরম হয়ে গেছে। পারলে এখুনি ছুটে যাই।
কোনমতে সকাল হলেই ছুটি শ্বশুর বাড়ি। গিয়েই
কান্না
শুনতে পাই। আমার মেয়ে কান্না করতেছে। দুইদিনে
মেয়ের কি হাল করেছে। কিন্তু বাবুর পিঠে দাগ হয়ে
গেছে । কাজের মেয়েটির কাছে শুনলাম। খুব বেশী
কান্নাকাটি করে আর কিছুই খেতে চায় না। তাই চড়
মেরেছে। আমিও সপাং করে প্রচন্ড জোরে দুই
গালে
দুটি চড়ই দিয়েছি। আমার কাছে মনে হল গায়ের
সমস্ত শক্তি
তখন আমার বাহুতে চলে এসেছে। সে চড় খেয়েই
অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমার সেদিকে কোন খেয়াল
নেই। এতটুকুন বাচ্চাকে যে মারতে পারে তার মনে
কোন মাতৃত্ব বোধ নাই।
আমার শ্বশুর উনার মেয়েকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে
গেলেন। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে চলে এলাম।
আমি
আনার সময় একটুও কান্না করেনি। ক্লান্ত হয়ে
ঘুমিয়ে
গেছে।
,
আমাকে গেট থেকে কুকুরের মত ধুর ধুর করে তাড়িয়ে
দিয়েছিল। যতটা না আঘাত পাইছি তারচেয়ে বেশি
আঘাত পাইছি
আমার মেয়েকে মেরেছে তাই। সেই থেকে আমার
মেয়ে আমার কাছেই বড় হচ্ছে। ওর বয়স এখন ছয় বছর।
বাবা মা কেউ নাই আমার। দুজনেই মারা গেছে। এই
পৃথিবী
তে আমি আর আমার মেয়ে। যেখানেই জব করি
সেখানেই ওকে সাথে করে নিয়ে যাই। বেশ ভাল
মতই
চলছে আমাদের বাপ মেয়ের সংসার।
এখনো পর্যন্ত আমরা এক হই নি। আচল মাঝে মাঝেই
জিজ্ঞেস করে। আব্বু আমার আম্মু এখনো বিদেশ
থেকে আসে না কেন?
আমি আর কত মিথ্যা বলব। একদিন তো সত্যি টা
বেরিয়েই
আসবে। তখন কি জবাব দেব। আমি নিলীমার ছবি বড়
করে
আমার বেডরুমে টাংগিয়ে রেখেছি। সেই ছবি
দেখেই ও
তার মাকে চিনে।
.
ঐ দিনের পর থেকে আমি আর শ্বশুর বাড়ি যাই নি।
নিলীমা
মাঝে মাঝে আমার মেয়েকে দেখে গেছে। কিন্তু
সেও আর বাসায় আসে নি। আচলকে নিতে অনেক
চেষ্টা
করেছে। কিন্তু আচল যায় নি। আচল ওর মায়ের মত মন
করে কোলে যেত। কিন্তু আমি এখনো বলি নি। এটাই
হচ্ছে তোমার আম্মু। আমার কাছ থেকে আচলকে
দেখার সাহস করে উঠতে পারে না। আমার বাসার
কাজের
মেয়েটা মাঝে মাঝে দেখা করায়। আমাকে সব বলে
দেয়। কিন্তু আগের মত রাগ এখন আর উঠে না। অনেক
শান্ত হয়ে গেছি। এতদিনে অবশ্য ভুল ভেঙে গেছে।
,
একটু কাহিনী টা বলি। ঐ যে মেয়েটাকে লিভ
দিয়েছিলাম
মনে আছে? সেটা সাধারণ কিছু নয়। একটা চক্রান্ত
ছিল।
অন্যজনে করেছিল। আমাদের সুখ কোন ভাবেই ইনার
সহ্য হচ্ছিল না। তাই ঐ মেয়েটির দ্বারা আমার
সংসারের শান্তি
নষ্ট করে দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালার বিধান ১০০%
সত্য।
আমার ঘর ভাঙতে গিয়ে নিজের ঘরই ভেঙে গেছে।
বিয়ে হয়ে ছিল। কিন্তু জামাই রাখে নি। ডিভোর্স
দিয়ে
দিছে।
আমার ঘর ভাঙতে তো পারলই না। শেষে ওর ঘরও ঠিক
রাখতে পারল না।
,
মেয়ে টা ইদানিং ওর আম্মু কে চাচ্ছে। মেয়েটার
যে কি
হল বুঝতেছি না। কিছুদিন পর পর জ্বর আসে। জ্বরের
সময়
প্রলাপ বকে। আর ওর মাকে চায়।
একদিন তো খুব জ্বর। আমি আচলের মাথায় জলপট্টি
বেধে
দিচ্ছি। কাজের মেয়েটা বলল, ভাইজান আর কত
এভাবে
নিজেকে কষ্ট দিবেন? আপনি গিয়ে একটু ঘুমান।
আমি দিচ্ছি।
:- তুই পারবি না। তুই বরং অন্য কাজ কর। আমি
এদিকটা দেখছি।
:- পারব। আপনি গিয়ে একটু ঘুমান। দু দিন ধরে ঘুমান
না। আপনার
কিছু হলে আচলের কি হবে?
:- হ্যা তাইতো। আচ্ছা তুই কর। আমি একটু ঘুমাই। ও যদি
কান্নাকাটি
করে আমাকে ডাক দিবি কেমন?
:- আচ্ছা ভাইজান।
,
আমি ঘুমাতে গেলাম। শোয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে
পড়লাম। যখন উঠলাম তখন দেখি সোয়া চারটার মত
বাজে।
আমি ধরফরিয়ে উঠলাম। কাজের মেয়েটাকে
জিজ্ঞেস
করলাম।
:- আমাকে ডাক দিস নি কেন?
:- ভাইজান। আপনি অনেক ঘুমাচ্ছিলেন। তাই বিরক্ত
করিনাই।
:- কিন্তু দুপুরে ওকে ঔষধ খাওয়াতে হবে। যা পানি
আন।
:- ব্যাস্ত হবেন না। ভাবি এসে সব কিছু করেছেন।
:- কোন ভাবি, কিসের ভাবি? কি সব বলছিস তুই?
:- নিলীমা ভাবি।
,
আমার মনটা শীতল হয়ে গেল। মনে মনে বললাম যাক।

এসেছে ভালই হয়েছে। এই ছয় বছরে হাড়ে হাড়ে
বুঝেছি। বাচ্চা লালন পালন করা কত কষ্ট। শত কষ্ট
হোক তবুও
আমি পেরেছি। এমনকি খুব ভালমতই পেরেছি।
আমি রুমে গেলাম। হালকা ঝাড়ি দেবার জন্য।
:- তুমি? এখানে কি কর?
:- প্লীজ নীল। এখন আর এরকম করোনা। আমার
মেয়েটা অসুস্থ। ওকে সুস্থ হতে দাও।
:- তোমার মেয়ে? কে তোমার মেয়ে?
:- আচল আমার মেয়ে। আমি ওকে জন্ম দিয়েছি।
:- জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না। ওর মা, বাবা সব
আমিই। অন্য
কেউ না।
:- নীল। আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে প্লীজ ক্ষমা
করে দাও। আমি তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম। সেদিন
ওই
মেয়েটাকে তোমার সাথে দেখে আমার মাথা ঠিক
ছিল না।
কয়েকমাস পরে আমি জেনে যাই। যেজন্য তোমার
উপর রাগ করেছি। তা নিতান্তই ভুল। এর কোন ভিত্তি
নাই। আমি
অনেক জেদী একটা মেয়ে। আমি ভেবেছি। তুমি
অবশ্যই আমাকে নিতে আসবে। কিন্তু ছয়টা বছর হয়ে
গেল। আমাকে আনতেও গেলে না, দেখতেও
গেলে না। এমনকি বেঁচে আছি কি না মরে গেছি।
একবারো খবর ও নিলে না। আমি ভেবে অবাক
হচ্ছিলাম।
সেই নরম মনের মানুষ টা কি তুমি?
:- ন্যাকামি বাদ দাও। আর বাবার বাসায় চলে যাও।
আমি ডিভোর্স
পেপারে সাইন করে দিয়েছি। তোমাকে আমার আর
প্রয়োজন নাই। ছয় বছর পেরেছি। বাকি জীবনও
পারব।
তুমিও সাইন করে দিও।
:- প্লীজ একটা সুযোগ দাও। এমন কঠিন তুমি হয়োনা।
আচলের দিব্যি।
আমারো ইচ্ছে হচ্ছিল না। ওকে দূরে ঠেলে দিতে।
খুব
করেই চাচ্ছি। সে আমার কাছে থেকে যাক। আমি
মুখে যা
বলছি। তা ছয় বছর ধরে জমে থাকা ইগো। একটাও
মনের
কথা না।
আমি বললাম।
:- যে আমার কাছে হাত পাতে তাকে খালি হাতে
ফিরাই না।
সুযোগ চায় তাকেও নিরাশ করি না।
,
এবার ওর চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেল। খুব খুশি হয়ে
বলল।
:- তোমার সব শর্তে আমি রাজি। তবুও আমাকে আর
দূরে
ঠেলে দিও না।
:- ঠিক আছে। আমার মেয়ে যা জাজ করবে তাই হবে।
:- আমি খুশি মনেই মেনে নেব।
,
দু দিন পর আমার মেয়ের জ্বর ঠিক হল। বিচারক কে
খাটে
বসিয়ে আমরা দুজন চেয়ারে বসলাম।
:- আম্মু। এই হচ্ছে তোমার আম্মু। উনি বিদেশ থেকে
ফিরে এসেছেন। ( নিলীমাকে দেখিয়ে )
:- আম্মু। হ্যা। আমিই তোমার আম্মু।
:- না তুমি আমার আম্মু কেন হবা? তুমি তো আমার
খালামনি।
:- না মামনি। আমিই তোমার আম্মু।
:- হ্যা আম্মু। এই মেয়েটাই তোমার আম্মু। তুমি কি
চাও যে
উনি আমাদের সাথে থাক।
:- আমাকে একটু ভেবে দেখতে হবে। বিকালে
জানাব।
পেন্ডিং এ থাকলে হেব্বি খারাপ লাগে। এখন তো
আমার
মেয়েই আমাদের দুজনকেই ঝুলিয়ে রেখেছে। কখন
যে বিকাল হবে? কখন যে রায় দিবে আমার মেয়ে।
ধুর
ভাল্লাগেনা।
বিকেলে আবার উকিল বিহীন তিনজনের কোর্ট বসল।
জজ সাহেবা ( আচল ) এবার রায় দিবেন। এবং দিয়েও
ফেলেছেন। রায় আমার বিপক্ষে। আমার পক্ষে রায়
দিলে আমি খুশি হতাম না। আমিও মনে মনে
বলতেছিলাম। আর
দোয়া করতেছিলাম।
আল্লাহ আমার মেয়ে যেন আমার বিরুদ্ধে ই রায়
দেয়।
আমার বিরুদ্ধে রায় দেওয়া মানে নিলীমা আমাদের
সাথেই
থাকবে।
রায় পাবার পরে নিলীমা ভীষণ খুশি। সেতো
আচলকে
কোল থেকে নামাচ্ছেই না। আমি ছয়টি বছর
দেখাশোনা
করলাম। আর একদিনের ভালবাসায় ই আপন হয়ে গেল?
আসলে মায়ের ভালবাসা তো।
রাতে শুতে যাব। মহা বিপাকে পড়লাম। দেখি আমার
বিছানায় মা
আর মেয়ে শুয়ে আছে। পাশে একটা বালিশ রাখা।
আমি
বালিশটা নিয়ে সোফায় ঘুমাতে গেলাম।
:- একি নীল, তুমি কই যাচ্ছ?
:- দেখতেই তো পারছ।
:- আমাদের মিল তো করেই দিয়েছে। কেন এখন নতুন
করে বাহানা করতেছ। শুয়ে পড় বলছি।
একটানে ফেলে দিল বিছানায়। আমিও ঘুমায়ে
পড়লাম।
মাঝরাতে সজাগ পেলাম। মনে হল ভারী কোন ময়দার
বস্তা
আমার উপরে রাখা হইছে।
:- একি তুমি আমার উপরে কেন?
:- বিছানা টা অনেক শক্ত। তাই নরম জায়গায় শুয়ে
আছি।
:- তাই বলে আমার বুকে?
:- চুপ! আস্তে বল। মেয়ে শুনতে পাবে।
:- ওকি ঘুমিয়েছে?
:- না স্বপ্নে ফুটবল খেলতেছে।
এই বলেই হাসি শুরু করে দিল। রাতটা শেষ হয়ে
গেছে।
সকালেই দেখি কোর্ট বসেছে। আমি তড়িঘড়ি করে
নিচে গেলাম।
:- কি বলবেন জজ সাহেবা?
:- আমার আলাদা একটা বিছানা লাগবে।
:- কিন্তু কেন? আর এখনই আলাদা শুইবেন?
:- কি করব? মাঝরাতে আপনাদের যে হাসাহাসি ,
আমার ঘুমাতে
খুব ডিস্টার্ব হয়। আমি এইরকম কোলাহলে ঘুমাতে
পারব না।
কালই যেন আমার আলাদা বিছানা হয়।
:- ওকে জজ সাহেবা। তুমি যা বলবে তাই হবে।
:- এইটা কোর্ট। কোর্টের নিয়ম ভাঙবেন না।
:- যথা আজ্ঞা ম্যাডাম।
,
নিলীমা পাশের রুমে আচলের থাকার ব্যাবস্থা করল।
আমি
আর আচল শুয়ে আছি।
:- নিলীমা শুনছ?
:- হুম্ম বল।
:- আমাদের মেয়ের জাজমেন্ট দেখছ?
:- হুম্ম দেখছি।
:- ভবিষ্যতে আমি ওকে ""ল ""তে পড়াব। তুমি কি বল?
:- আমার আর কি বলার আছে। তুমি যা বলবে তাই।
:- কেন তুমি খুশি নও?
:- অনেক খুশি আমি। আচ্ছা নীল আমি তো তোমাকে
অনেক কষ্ট দিয়েছি। তুমি আমাকে কোন শাস্তি
দিবা না?
:- হ্যা দিব।
:- কি শাস্তি দিবা?
:- আমি তোমার মেয়েকে লালন পালন করেছি। একটুও
কষ্ট করতে হয় নি তোমার। তাই ভাবছি আরেকটা
সন্তানের
দায়িত্ব তুমি নিবা। মা আর বাবা মায়ের ভালবাসা
দিয়ে তাকে মানুষ
করবা। আর এটাই তোমার শাস্তি। বুঝাতে হবে তো
সন্তান
লালন পালন কতটা কষ্টের।
:- আমি তোমার এই শাস্তি মাথা পেতে নিলাম।
পাশের রুম থেকে আচল বলে উঠল। আমার কিন্তু
একটা ভাই
চাই।
আমরাতো অবাক এত রাতেও আচল সজাগ। আর ওর
কথা
শুনে দুজনেই হেসে ফেললাম।
হা হা হা........
,
,
,,,,,,,,,,,,,, শেষ ,,,,,,,,,,,,, ,
,
,
পরিশিষ্ট ও লেখকের কিছু কথা :-
.
{{ এরকম ভুল বুঝাবুঝি র কারণে অনেক সুখী সংসারের
সুখ
নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি সংসারও ভেঙে যায়। তাই
সবার কাছে
অনুরোধ ভুল বুঝাবুঝি থাকবেই। ভুল বুঝাবুঝি
সংসারের একটা
অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক সময় চোখের দেখাও ভুল হয়।
যেমনটা আমি গল্পে ফুটিয়ে তুলেছি।
সবথেকে বড় কথা। কোন চ্যানেল দেখে নয় নিজের
পরিবার পরিজনকে নিজের মত করে ভালবাসুন।
হয়তো
চ্যানেলে যা শিখাচ্ছে তা আপনার পরিবারে
সাপোর্টেড
নয়। দোহাই আপনাদের কাছে অল্প একটু ভুলের জন্য
সংসার টাকে নষ্ট করে দিবেন না।
আমার জানা মতে, সংসার জীবনে সুখী হতে হলে
তৃতীয় ব্যাক্তির অনু প্রবেশ একবারেই নিষিদ্ধ করুন।
নিজেদের ঝামেলা নিজেরাই মিটিয়ে ফেলুন।
অন্যকাউকে
ডাকবেন না। সমাধান এর চেয়ে সমস্যা আরো তীব্র
হবে। }}

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ