āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2997

----তিতলী অফিসে একটু কাজ পড়ে গিয়েছে আসতে দেরি হবে তুমি খেয়ে শুয়ে পড়ো । (আমি)
----দেরি না,যদি পারিস  একটু তাড়াতাড়ি বাসায় আই বাবা । (মা)
----কি হয়েছে মা? আর তিতলী কোথায়?
----মেয়েটারর বিকাল থেকে প্রচন্ড জর এসেছে।
----বিকাল থেকে জর, আমাকে বলো নি?
----বাদ দে এখন, আর তাড়াতাড়ি বাসায় আই।
----আমি এখনি আসছি রাখো।

কলটা রেখে বেরিরে পড়লাম বাড়ির দিকে। কেমন একটা অস্থিরতা কাজ করছে আমার মাঝে নিজেকে শান্ত করতে পারছি না কোনোমতে । তিতলীর কিছু হলে নিজেকে আমি ঠিক রাখতে পারি না। খুব ভালোবাসি মেয়েটাকে আর এই মেয়েটা আমার "বউ" তিতলী সুলতানা টুম্পা "  জীবনের সবটা পাওয়ার মাঝে একটা সেরা উপহার আমার জীবনের। বিয়েটা আমাদের পারিবারিক পছন্দে হয়। তার মানে এই নয় যে আমাদের সম্পর্ক ছিলো আগে।  বাকিটা সময় হলে বলবো এখন বাসায় চলে এসেছি। তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে দেখি,
মা তিতলীর মাথায় জলপট্টি দিয়ে দিচ্ছে আর কম্বল গায়ে চুপ্টি করে শুয়ে আছে মায়ের কোল ঘেঁসে।
আমি তিতলীর কাছে গিয়ে কম্বল এর ভিরত থেকে হাত ধরে বুঝতে পারলাম কতোটা অসুস্থ মেয়েটা। গাঁ থেকে আগুনের তাপপ্রকাশ পাওয়া যাচ্ছে এতোটা জর এসেছে । 

----ডাক্তার দেখিয়েছো,  মেডিসিন দিয়েছে কি মা? (আমি)
----দিয়ে গিয়েছে সন্ধার আগে খাইয়ে দিয়েছি তবুও জর কমেনি।
----চিন্তা করোনা মা তোমার মেয়ের জর কমে যাবে যাও খেয়ে তুমি শুয়ে পড়ো আমি আছি।
----তুই আগে ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে নে তারপর আমি যাচ্ছি।

জামা কাপড় পালটে একটু ফ্রেস হয়ে নিলাম। কেনো জানি খিদে নেই একটুও তাই আর খেলাম না। "মা" কে খেয়ে নিতে বললাম। "মা" যেতে চাচ্ছে না তবুও জোর করে পাঠালাম। সারা রাত বসে থাকতে দিলে হয়তো বেশী খুসি হতো। কিন্তু তা তো হয় না বয়স হয়েছে রাত জাগলে অসুস্থ হয়ে পড়বে তাই ।
তিতলীর মাথার কাছে বসলাম কপালে হাত দিতে তিতলী কেমন কেঁপে উঠলো মনে হলো। 
কারণ আমার হাতটা একটু ঠান্ডা ছিলো। আর তিতলীর জরে শরীরটা গরম, আর গরমের মাঝে একটু ঠান্ডা আভাস পেলে কিছুটা এমনি হয়।  বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো তাই আবহাওয়া টাও একটু ঠান্ডা।
মেয়েটার মুখটা শুকিয়ে আছে মনে হচ্ছে সারাদিন খাওয়া দাওয়া করেনি একটুও। কিছুক্ষন পর মা আসলো খাবার নিয়ে।
তিতলী সারাদিন কিছু খাইনি তাই ঘুম থেকে উঠলে একটু খাইয়ে  মেডিসিন খাইয়ে দিতে বললো "মা"।
মা খাবার রেখে তিতলীর মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে একটা চুমো দিয়ে চলে গেলো তার নিজের ঘরে।
খুব ভালোবাসে তিতলীকে মা। তাকে বউমা নয় নিজের মেয়ের থেকেও বেশী ভালোবাসে।আর যদি কোনো শব্দ থাকতো তাহলে সেটাই করে রাখতো তিতলীকে। আর ঠিক তেমনি তিতলী মা ও বাবাকে কে ভালোবাসে সীমাহীন যার তুলনা বা প্রকাশ করতে পারবো না।

ছোট বেলা থেকে মেয়েটা মা বাবার ভালোবাসা পাইনি কখনো। সমস্ত আদর, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে" মা বাবার" ভালোবাসা থেকে।
তিতলীর মা বাবা দুইজনে ভালোবেসে বিয়ে করে, বিয়ের দুই বছরের পরে তিতলী দুনিয়ার আলো দেখতে পাই। তিতলী জন্ম নেওয়ার তিনমাস পরে তার মা জানতে পারে তিতলীর বাবার আরেক টা সংসার আছে  তাদের বিয়ের আগেই থেকে  কিন্তু এতোদিন কিছু জানতে পারিনি তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কথা।
সে দিনের পর তিতলীর মা তার বাবাকে ডির্ভোস দেই আর তিতলীর নানুর বাসাতে গিয়ে ঠায় নেই। তার দুই মাস পরে তিতলীর মা নতুন করে জীবন গড়ে নেই অন্য কারো সাথে ।
তার একটা জীবন আছে কতোদিন এমন জীবন নিয়ে থাকবে তাই নিজের জীবনের সুখটা নিজেই বেঁছে নিলো।

তারপর থেকে তিতলী তার মামা ও নানুদের কাছে বড় হতে লাগলো তিতলীর বাবা মাঝে মাঝে খোজ নিতো কিন্তু কখনো দেখতে আসতে সাহস পেতো না ।
তিতলীর মা আসতো বছরের মাথায়। এমনি করে বড় হতে থাকে তিতলি।
বড় হওয়ার সাথে সাথে তার মা ও বাবার সম্পর্কে জানতে পারলো। একটু বড় হওয়াতে তিতলীর সব দায়িত্ব ও ওর খরচ সবটা তার বাবা নিজের কাঁধে নিয়ে নেই। কিন্তু তিতলীকে  তার নানু বাসা তে রাখতো আর তিতলী ওখানেই থাকতো। এমনি করে  জীবন টা চলতে থাকে তিতলীর। মা বাবার আদর, স্নেহময় ভালোবাসা, মায়া মমতা কখনো পাইনি তিতলী কিন্তু সে কাওকে দোষারোপ করেনি তার মা বাবাকে,
করেছে তার ভাগ্য কে। তিতলী কখনো তার মা বাবাকে অসম্মান করিনি বরং একজন সন্তান কে মা বাবাকে যতোটা ভালোবাসা দেওয়ার কথা, সেটাই প্রকাশ করেছে  তিতলী তাদের কাছে ।
তিতলী অর্নাস ২য় বর্ষে পড়ে এখন। ছাত্রী হিসেবে খুবি ভালো।
আমি হৃদয় আর একটা কেম্পানিতে ভালো পজিশন এর জব করি।
মা বাবা বিয়ের জন্য মাথা খারপ করে দেই সবসময়।
তাই তাদের মেয়ে দেখতে বলি। ঘটক ধরলো মা বাবা
এমনি চলতে থাকে সময়টা 
কাকতালীয় ভাবে আমার বিয়ের জন্য তিতলীকে দেখতে গেলো আমার পরিবার ।
তার নানু বাসা থেকে আমাদের বাসা ৮০/৯০ কিলোমিটার দুরে হবে। যায় হোক,
তিতলীককে দেখে সবার খুব পছন্দ হয়েছিলো আমারো খুব ভালো লাগে তিতলীকে। কিছুক্ষন পর তিতলীর সবটা তার নানুরা বলে, তারা কিছু গোপন করতে চাই নি,
আমার মা বাবাকে সবটা জেনে মা বাবা অমত হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম  তারা বললো বাসায় গিয়ে জানাবে মতামত।
বাসায় রাতে বাবা বললো তাদের অমত এই মেয়েটার পরে।  কিন্তু মেয়েটার সবটা জানার পর তার জন্য একটা মায়া জমে গেলো মনের মাঝে। স্বপ্ন ছোঁয়া ভালোবাসার ন্যয় তার একঝলক দেখার পরে তার সবটা জানার পরে তার ভালোবাসা আমায় ছুঁয়ে দিয়েছে। মনে মনে ডিসিশন নিলাম এই মেয়েকেই বিয়ে করবো।
মা বাবাকে ডেকে বললাম।

----তোমরা কি চাও বউমা না একটা মেয়ে যে তোমাদের আমার মতো ভালোবাসাবে?
----আমাদের একমাত্র সন্তান তুই আর কেও নেই, তোর বউ যে হবে সে হবে আমাদের একটা মেয়ে সমান ।
----তাহলে তিতলীর পরিবারকে বলো বিয়ের দিন ঠিক করতে।
----তাই বলে জেনে শুনে?
----মা, মেয়েটা জীবনে তার মা বাবার ভালোবাসা পাইনি, তাদের আদর স্নেহ কেমন জানে না মেয়েটা , সে সবসময় চাই তার মা বাবাকে কাছে পেতে সেই সৌভাগ্য তার হয় নি মেয়েটার। সে চাই মা বাবাকে তার
আর যে মেয়ে তার মা বাবার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যাকুলা হয়ে যায় সেই আর যায় হোক কখনো তোমাদের দুরে ঠেলে দেবে না। নিজের মা বাবার মতো ভালো বাসবে তোমাদের।
----বাহ্, ছেলে দেখছি আমাদের অনেক বুঝতে শিখেছে হৃদয়ের বাবা?
----ঠিকি বলেছিস মেয়েটা কে দেখে মনে হচ্ছিলো ও এমন একটা পরিবার চাই যেখানে মা বাবার ভালোবাসায় ভরপুর,  ঠিক আছে  ওর সাথে তোর বিয়ে হবে।(বাবা)
----দেখো মা আমি চাই না তোমাদের কেও আবর্জনা, বিরক্তিকর কিছুর মতো ছুড়ে ফেলে দিক বাইরে, আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি মা অনেক ভালোবাসি।

ঠিক তার কয়েক দিনের মধ্য তিতলীর সাথে আমার বিয়ে সম্পূর্ন হয় । তিতলী বাড়ির বউ হয়ে আসার সাথে নিয়ে আসে ভালোবাসা এক প্রদীপ যে প্রদীপ এর আলো দিয়ে আলোকিত করে রাখে আমাদের চাঁর জনের ছোট সংসারটা।
বিয়ের রাতে তিতলীকে কথা দিয়েছিলাম তার ছোট বেলার কষ্টের দিন গুলো সুখ দিয়ে পুরোন করতে পারবো না তবে এতো ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দেবো যে পিছনের দিন গুলো কখনো মনে করতে দিবো না। আমি আমার কথা রেখেছি। আমি যতোটা না ভালোবাসি তার থেকে বেশী ভালোবাসে তিতলী আমাকে। তিতলী আমার কাছে সবসময় বায়না করে, কিছু না কিছু চাইবে, কিন্তু তার চাওয়া  গুলো থাকতো খুবি সামান্য। দিন শেষে তার জন্য চকলেট, আইস্ক্রিম কিছু না কিছু আনতে হতো,
মাঝে মাঝে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায় চাঁদ দেখতে,
বৃষ্টিতে ভিজতে চাই সবসময় যখনি বৃষ্টি হবে । 
আর এই বৃষ্টির কারণে আজ এত জর এখন তার।
গতো রাতে বৃষ্টি হয়  তাতে ইচ্ছা মতো ভিজলো রাত পার হতে না হতে লাগলো ঠান্ডা সকালে টের পেলাম ।  আর বিকেল না হতেই আসলো জর,
এতো মানা করলাম শুনেনি এখন কষ্টা সে পাচ্ছে আমাকেও দিচ্ছে।
পাগলী মেয়েটার কিছু হলে তার থেকে আমার খুব কষ্ট হয় যে। তিতলী নড়ে উঠাতে ভাবনার মাঝে ছেঁদ পরলো। রাত ১২ টা ছাড়িয়ে গিয়েছে তিতলীকে ডেকে কিছু খাইয়ে দিয়ে মেডিসিন দিতে হবে।
তিতলীর বড় একটা সমস্যা মেডিসিন খেতে চাই না। বাচ্চাদের তো যায় হোক, এমনি সেমনি বুঝিয়ে, গাল হা করিয়ে খাওয়ানো যায় কিন্তু,
একে  না পারা যায় বুঝানো না পারা যায় গাল হা করিয়ে খাওয়া নো।
দেরি কারা যাবে না যতো জলদি সম্ভব মেডিসিন দিতে হবে না হলো আরো বেশী শরীর খারাপ করবে।
একটু পর শুনতে পেলাম তিতলী মা মা বলে শব্দ করছে,তার ডাক গুলো এমন ।

মা কোথায় তুমি?
মা আমাকে ফেলে যেও না?
আমার একটু আদর করো না মা আমি তোমার কাছে থাকতে চাই ?
মা, মা, কই তুমি  মা, মা?

হতো স্বপ্ন দেখছে তার মা কে খুজছে বুঝতে পারলাম। তিতলীর মা ডাকা শুনে চোখের কোনা থেকে   এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো। এতোদিন পর ওর মাকে খুজছে ঘুমের ঘোরে, মা কে খুব ভালোবাসে যে, সবকিছু দিয়ে পরিপূর্ণ করলেও মায়ের ভালোবাসা পরিপূর্ণ করতে পারবে না দুনিয়ার কেও।

তিতলীকে ডাক দিলাম।

----তিতলী, তিতলী চোখটা একটু খোলো প্লিজ, কি হয়েছে ?
----......( ফুলের পাঁপড়ির মতো চোখ খুলে আমার দিকে তাকালো)
----খুব কষ্ট হচ্ছে?
----.....?(মাথা নাড়িয়ে না বললো)
----আচ্ছা এখন উঠো আর একটু কিছু খেয়ে নেও?
----.....?(খাবে না বললো মাথা নাড়িয়ে)
----এমন করলে হবে না অল্প কিছু তো খেতে হবে, না হলে মেডিসিন খাবে কি করে?

( বালিস থেকে মাথা তুলে মাথাটা আমার কোলে  রাখলো আর আমাকে জড়িয়ে ধরে আদুরে কন্ঠে বললো)

----খাবো না আমি মেডিসিন বাবু?
----আচ্ছা মেডিসিন খেতে হবে না, খাবার তো খাও একটু?( তিতলীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি)
----না।
----একটু বেশী না, না হলে কিন্তু আমিও খাবো না?
----একটু তাহলে?
----আচ্ছা একটু।

বালিসে হ্যাঁলান দিয়ে বসিয়ে দিলাম কম্বল টা যেনো তার সঙ্গী সাথী যেভাবে জড়িয়ে আছে বাবা।
পরোটা, আলু ভাজি আর ডিম ভাজি দিয়ে গেছে "মা"। ভাত খেতে মন চাই না এমন জর অবস্থায় তাই পরোটা বানিয়ে দিয়েছে।  একটু একটু করে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছি আর নানান কথায় তাকে খুসি করার চেষ্টা চলছে যাতে সেই খুসিতে তাকে বেশী করে খাওয়া তে পারি। খুব কষ্ট করে দুইটা পরোটা খাওয়ালাম বায়না ধরলো আর খাবে না তো খাবে না জোর করাও ঠিক হবে না তাই ছেড়ে দিলাম। হাত ধুয়ে তিতলীর পাসে বসে যেই বললাম এবার মেডিসিন নিতে হবে ওমনি বাচ্চাদের মতো প্যাঁনপেঁনে কাঁন্না শুরু করে দিলো।

----আরে আরে কাঁদো কেনো?
----মেডিসিন খেতে হবে না বললে, এখন আবার বলছো কেন?😭
---- মেডিসিন না খেলে তো জর কমবে না আরো বেশী কষ্ট হবে তো?
----না খেলেও সুস্থ হবো,, আদি কালে তো এমন মেডিসিন ছিলো না তারা তো ভালো হতো এমনি আমিও ভালো হবো।😁
----হা হা হা,, তখন কার সময় আরো কঠিন মেডিসিন ছিলো মেডাম, গাঁচড়া তিতাযুক্ত ঔষুধ যা রস করো খাওয়াতো বুঝলেন।
----আমার খেতে গেলে বমি আসে. 😖
----আসলে আসবে তাও খেতে হবে?
----পারবো না তুমি খাও।
----আচ্ছা আগে তুমি তার পর আমি।
----না।
----ঔষুধ নেও হাতে আর পানি নেও আর চোখ বন্ধ করে একঢোকে খেয়ে নেও?
----তুমি খুব পচা।
----জানি এখন নেও।
----তুমি একটুও ভালো না।
----জানি তো হয়েছে এখন খাও?
----ওয়াক, কেমন জানি লাগছে এয়য়ে।
----হা হা হা,, কিচ্ছু হবে না।

কষ্টকর ভাবে অনিচ্ছাকৃত  খেলো বুঝা গেলো। এবার হয়তো জরটা একটু কমলেও কমবে আসা করি আল্লাহ্‌ রহমতে।
এখন একটা সুন্দর ঘুমের প্রয়োজন তিতলীর।  তাই বালিস ঠিক করে দিয়ে বললাম,

----নেও এবার চুপ্টি করে শুয়ে থাকো আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি?
----তুমি তো খাওনি এখনো?
----আমি আসার সময় খেয়ে আসছি বাইরে থেকে এখন ঘুমাও তো?
----মিথ্যা বলে কখনো পার পেয়েছো?
----এসব বাদ দেও বেশী কথা বলতে হয় না শুয়ে থাকো।
----কোথায়?
----বালিসে শুয়ে পড়ো আমি মাথায় বিলি কেঁটে দিচ্ছি?
----না।
----কেনো?
----ওতে শুবো না।
----তাহলে বসে থাকবে এমন করে?
----না।
----তবে?
----এখানে মাথা দিয়ে ঘুমাবো?
----কোথায়?
----এইযে তোমার বুকের উপর?
( বলে দেরি করলো না পাগলীটা ওমনি জড়িয়ে ধরলো কম্বল সহকারে)
----সেটা নাই বুঝলাম তবে তুমি যা গাঁয় দিয়ে আছো তাতে আমি তো গরমে শেষ হয়ে যাবো?
----ফ্যাঁন চালিয়ে দেও জোরে।
----তোমার শীত করবে আরো বেশী?
----করুক তবুও আমি এভাবে ঘুমাবো না হলে নয়, দেখো খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কথা বলতে?
----আচ্ছা ঠিক আছে কথা বলতে হবে না চুপ্টি করে শুয়ে থাকো এমন করে.

বলতে পাগলীটা আরো শক্ত করে ধরলো আমাকে যেনো কোথায় চলে যাবো তাকে ফেঁলে। পাগলী একটা যা বলবে তাই।
সেই বলাটাই থাকে আমার প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করার শব্দটা। যেমন করে খোঁলোসের এর আবরণ এ মুক্তকে ঢেকে রাখে তেমন করে এই মেয়েটা আমাদের সবাইবে তার ভালোবাসা দিয়ে ঢেকে রাখে। তার জীবনের সব জমানো ভালোবাসার মালিকা বানিয়ে দিয়েছে আমাকে। তিতলীর মুখ পান চেয়ে দেখি ঘুমিয়ে পড়েছে। অসম্ভব মায়বী লাগছে মেয়েটাকে ঘুমন্ত অবস্থায়। কপালে একটা ভালোবাসার পঁরশে একটা চুমো দিলাম। মনে মনে বললাম খুব ভালোবাসি তোমাকে সারা জীবন এমন করে বেসে যাবো যতো দিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখবে এই দুনিয়াতে।
জোরে বললে হয়তো ঘুমটা ভেঙে যাবে।
আমি একটু নড়তে আমাকে আরো শক্ত করে ধরলো।
কেনো জানি আজ আর ঘুমাতে ইচ্ছা করছে না,এই মায়াবী মুখটার দিকে তাঁকিয়ে রাত টা পার করে দিতে ইচ্ছা করছে।
ইচ্ছা করছে সারা রাত মাতায় হাত বুলিয়ে দিতে।
আর মাঝে মাঝে একটা চুমো দিয়ে  বলতে ইচ্ছা করছে  ভালোবাসি গো, খুব ভালোবাসি তোমাকে।
:
:
ডেডিকেট:- Tickly Sultana Tumpa

:
লেখাঃ- Hridoy Khan(অদৃশ্য পরীর জামাই)
:
*** ***

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ