ভালোবাসার অপমৃত্যু
#লেখা Md Jasim uddin Shuvo (ক্ষুদ্র লেখক)!
!
আঁকাবাঁকা মেঠো পথ,রাস্তার দুই ধারে
সরিষা ক্ষেতক্ষেতের পর ক্ষেত।
সরিষার হলুদ পাঁপড়িতে চারদিকে
হলুদের বৈচিএ এ যেন গ্রাম বাংলার এক
অপরূপ সৌন্দর্যের রুপরেখা।
রাস্তা থেকে দুর দুরান্তে ছোট ছোট
গ্রাম দেখা যায়।দুপুরের পর জনমানবহীন
শূন্য এ মেঠো পথে শূন্য মনের দুটি মানুষ
হাঁটছে,
কারণ আজকেই তাদের ভালোবাসার
মৃত্যু ঘটবে।
ছেলেটির নাম শুভ ও মেয়েটির নাম
রুমু।
দুজনে একে অপকে কতটা ভালোবাসতো
সে পরিমাপটা তারা নিজেরাও
জানতো না,
হয়তোবা সে ভালোবাসা পরিমাপের
মাপকাঠি পৃথিবীতে তৈরি হয়নি ।
রুমু ও শুভ হেঁটে যাচ্ছে কারো মুখে
কোনো কথা নেই।নিরবতা ভেঙ্গে রুমু
বললো-
রুমু--ঠিক মত খেয়ে নিও।
শুভ--কথা নেই।
রুমু--আমি যদি জানতে পারি তুমি
হাবিজাবি খাঁইছো..কেঁদে।
শুভ--কথা নেই শুধু চোখ দিয়ে অবিরত
অশ্রু ঝরছে।
রুমু--কাঁদছো কেনো?
শুভ--এতক্ষণে শুভ বললো তুমি কাঁদছো
কেনো?
রুমু--চোখে কি যেন পড়লো তাই...হেসে
দিয়ে।
শুভ--হুমএকটা কথা রাখবা?
রুমু--তুমি যদি মরতে বলো তাতেও আমি
রাজি,শুধু একবার বলেই দেখ।
শুভ--কাল তোমার বিয়ে, আমি জানি
আমার মন বলছে আজকের পর তুমি কি
করতে চাচ্ছ আমার ভালোবাসার কসম
যদি আমাকে এতটুকু ভালোবেসে থাকো
তাহলে কথা দাও তুমি নিজেকে কিছু
করবে না কথা দাও..কেঁদে দিয়ে।
রুমু--রুমু কথা বললো না,এক দৃষ্টিতে শুভ এর
দিকে তাকিয়ে রইলো।
শুভ--কথা দাও নিজেকে শেষ করবে না...
হাত ধরে।
রুমু--রুমু হাত ছাড়িয়ে নিয়ে,আমি
নিজেকে শেষ করবো ক্যান আজকের পর
আমার স্বামী সংসার হবে আমিতো
মহা আনন্দেই থাকবো।
শুভ--শুভ জানে মেয়েটার মনে ঝড় বয়ে
যাচ্ছে কিন্ত বলতে পারছে না।
তবু আমাকে ছুঁয়ে কথা দিতে হবে।
রুমু--এটা আমি পারবো না আমি
এমনিতেই সুখি হব তুমি দেখে
নিও..কেঁদে।
শুভ--তাহলে হয়তোবা তোমার আগেই..
রুমু--চুপ একদম চুপ।শুভকে বলতে দিলোনা
শুভ--তাহলে ছুঁয়ে কথা দাও।
রুমু--বেশ এই তোমায় ছুঁয়ে কথা দিলাম
তুমি যা বলবে আমি তাই করব তবুও তুমি
ভুলেও ঐ কথা মুখে আনবে না।
শুভ--তুমি ভালো থাকলে আমিও ভালো
থাকবো।
রুমু--আচ্ছা শুভ তুমি আমার একটা কথা
রাখবে?
শুভ--কি বলো।
রুমু--তোমার হাতটা ধরে একটু হাঁটতে
দিবে?
শুভ--হুম ধরো।
!
শুভ ও রুমু হাত ধরে হাঁটছে ক্ষণিকের জন্য
শুভ অতীতে চলে যায়।
এই হাত ধরে শুভ হেঁটেছে কত অজানা পথ।
রিকশায় চড়ে ঘুড়ে বেড়িয়েছে কত
অজানা রাজ্যে হাজারো স্বপ্ন বুনেছে
দুজনে।সে স্বপ্ন এক নিমিষেই ভেঙ্গে
চুরমার হয়ে গেল। ভাবতেই শুভ র দুচোখে
অশ্রু এসে গেল।
রুমু--অনেক পথ এসেছো এবার ফিরে যাও।
শুভ--তোমার সাথে জীবনের শেষ পথ
চলা আর একটু যাই প্লিজ বাঁধা দিও না।
রুমু--তোমাকে বাঁধা দেওয়ার ক্ষমতা
আমার নেই।
শুভ--এ জীবনে পেলাম না কথা দাও ঐ
জীবনে তুমি আমার হবে।
রুমু--এক আল্লাহ দুই রাসুল ছাড়া তোমার
কাছ থেকে কেউ আমাকে আলাদা করতে
পারবে না দেখে নিও।
শুভ--তাই যেন হয়।হে আল্লাহ এই দুনিয়ায়
আমার ভালোবাসাকে পেলাম না
পরকালে তুমি তাকে আমার করে দিও..
কেঁদে।
রুমু--এবার যাও আমায় একলা চলতে দাও
এবং তুমি একলা চলতে শিখো।
শুভ--হুম বিদায়।
রুমু--বিদায়।
শুভ--ভালো থেকো,সবাইকে নিয়ে সুখি
হও।
রুমু--আর তুমি?
শুভ--আমায় নিয়ে ভাবতে হবে না
তোমায়, আর হ্যা মনে রেখো তোমার
জীবন শুধু তোমার একার নয় এতে আমার
উপস্থিতি আছে সর্বদা, তাই কোন কিছু
করার আগে ভেবে নিও আমায় কষ্ট
দিবে না ভালো রাখবে।
রুমু--তুমি আর পরিবর্তন হলে না।
শুভ--পরিবর্তন আর হতে চাই না...মনে
মনে শুভ বলছে রুমু জানি আমি তোমাকে
কোনদিন ভুলতে পারবো না দেখে নিও
আমি তোমায় দুর থেকে ভালোবেসে
যাবো চিরদিন।
রুমু-- কি ভাবছো?
শুভ--কিছুনা।আমি আছি।
রুমু--একটু দাঁড়াও।শেষবারের মতো
আমাকে সেই নাম ধরে একটু
ডাকবে..কেঁদে?
শুভ--তুমি এভাবে কাঁদতে পারো না
আমার জানপাখি "সখি"।
রুমু--জানো তোমায় ভালোবেসে
তোমার সখি হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম
চিরকাল তা আর হলো না।
ভালো থাকো বিদায়।
!
রুমু চলে যাচ্ছে গুটি গুটি পায়ে যেন
ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না।
শুভ ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে বাঁকরুদ্ধ
অবস্থায়।
শুভ-- একটু দাঁড়াও।
রুমু--বলো।
শুভ সাথে সাথে রুমু জড়িয়ে ধরলো
সাথে বাঁধ ভাঙ্গা কাঁন্না।রুমুও শুভকে
শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো কেঁদে শুভ র বুক
ভিজিয়ে দিলো।
তাদের কাঁন্নায় যেন আকাশ ভাড়ি হয়ে
আসছে,পাখিরা মিষ্টি সুরের গান
থামিয়ে দিচ্ছে,গাছের পাতা ঝড়ে
পড়ছে,পরিবেশ একদম শান্তে হয়ে
জানান দিচ্ছে তারাও যেন আজ অসুখি।
রুমু--তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরলে!
তোমাকে অনেক বলেছি তবু কোনদিন
আমাকে জড়িয়ে ধরনি আজ আমার কাছে
এটা অনেক বড় ধরনের পাওয়া তোমার
কাছ থেকে।
আমি তোমার এই ভালোবাসা নিয়েই
আজীবন বেঁচে থাকবো তুমি দেখে
নিও।
শুভ--কোনো কথা বলতে পারলো না ...শুধু
চোখের জল ছাড়া।
রুমু--আর পিছু ডেকো না প্লিজ আমি এই
জীবনে আর তোমার কষ্ট সইতে পারবো
না।
শুধু যাবার আগে একটা কথাই বলে
যাই...আমি তোমার ছিলাম তোমারই
থাকবো যতদিন এ দেহে প্রাণ থাকবে।
শুভ--শুভ কেঁদেই চলছে কোনো কথা বলতে
পারছে না।
রুমু--প্লিজ আর কেঁদো না, যাবার আগে
একটু হাসো,নইলে আমি মরলেও তোমার ঐ
নিস্বার্থ-নিস্পাপ ভালোবাসার
অভিশাপ থেকে কখনো রেহাই পাবো
না।
শুভ--ভালো থেকো..যাও আমি তোমাকে
আজ থেকে মুক্তি দিলাম ।আমার কথা
মনে পড়লে প্লিজ কষ্ট পেয়ো না এতে
আমি ভালো থাকবো না মনে রেখো
তুমি ভালো থাকলে আমি ভালো
থাকবো।
রুমু--বিদায়..আর পিছু ডেকো না সইতে
পারবো না।
শুভ--বেশ ডাকবো না...বিদায়।
!
মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে চোখ-মুখ
ফুলিয়ে ফেলছে..রুমু কিছু দুর গিয়ে
একবার পিছু ফিরে তাকিয়ে আবার
চলতে শুরু করল আর ফিরে তাকালো না
তাকালে হয়তো আর যেতে পারবে না
এই মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে।শুভ ঠাঁয়
দাঁড়িয়ে কোন নড়াচড়া নেই যেন
পাথরের একখানা মুর্তি।
শুভ র মনে হচ্ছে তার পায়ের নিচ থেকে
মাটি সরে যাচ্ছে সে আর দাঁড়িয়ে
থাকতে পারছে না।গলা কাঁটা মুরগীর
মতো ছটফট করছে তার শরীলখানা যেন
এই বুঝি সে হ্নদয়ের রক্ত ক্ষরণে মারা
যাবে ।
আবার ভাবছে না আমাকে বেঁচে
থাকতে হবে
আমায় রুমুর ভালোবাসার জোড়ে বেঁচে
থাকতে হবে। আমি না থাকলে রুমু
কিছুতেই বেঁচে থাকবে না, আমার জন্য
না হলেও আমায় রুমুর জন্য বেঁচে থাকতে
হবে,আমি চাই না আমার জন্য আমার
ভালোবসার মানুষটি ক্ষতি হোক।আমি
চাই রুমু তুমি সুখে থাকো ভালো থাকো।
মরাল--এভাবেই অনেক সত্যিকারের
ভালোবাসা হারিয়ে যায়।মানুষের
জীবনে ভালোবাসা আসলে মানুষটি
বদলে যায় অন্যরখম ভাবে যদি সেটা হয়
নিঃস্বার্থ-নিঃস্পাপ।
সর্বোপরি সত্যিকারের ভালোবাসা
বেঁচে থাকুক চিরকাল যুগযুগ ধরে।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2986
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§:ā§Šā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ