দজ্জাল মেয়ের ভালবাসা
লেখক-Md Jasim uddin Shuvo (ক্ষুদ্র লেখক)
পর্ব-৫
জানি না চিরকুটে কি লিখা আছে
খুলে দেখতে ইচ্ছে করছিলো কিন্ত
এখানে
খুলতে বারণ করাতে সেটা আর পারা
গেল না।যাইহোক চিরকুটটা পকেটে
রেখে
চাচাতো ভাইকে বললাম...
--এই তুই এখানে একটু দাড়া আমি তোকে
একটা জিনিজ লিখে দিবো তুই কি রুমু
আপুকে দিতে পারবি?
--কি দিবে ভাইয়া আর দিতে পারবো
না
কেন অবশ্যই পারবো।
--তোর এতো কিছু জানা লাগবে না।
--ঠিক আছে দাও।
--অপেক্ষা কর আমি লিখছি।
লিখতে শুরু করলাম...
প্রিয় রুমু,
জানি তোমাকে নাম ধরে ডাকার
অধিকার
হারিয়ে ফেলেছি বা তুমি কেড়ে
নিয়েছো
কি করবো বলো শেষ বার নয় ভুল করে
ডেকেই ফেললাম।
জানি না আমি তোমাকে ভালবাসতে
পেরেছিলাম কি না তবে আমি বলবো
তোমাকে আমার মন প্রাণ উজার করে
ভালবেসেছিলাম জানি বিশ্বাস
করবে না।
আর যতো দিন এ দেহে প্রাণ আছে শুধুই
তোকেই ভালবেসে যাবো আর কাউকে
এ মনে জায়গা দিতে পারবো না।
আমি বুঝে গেছি আমার প্রতি তোর
কোন ফিলিংস নাই আর থাকবেই কোন
কারণে
আমি একটা অর্করমার ঢেঁকি তোর মতেই
সেজন্য চলে গেলাম তোর জীবন থেকে
ভাবিস না যে আমি ফিরবো। ভালো
থাকিস আর আর এই অর্করমার কথা মনে
রাখিস না জানি না বললেও তুই
এমনিতেই ভুলে যাবি।
শেষে শুধু এটুকুই বলবো আমাকে ভুলে তুই
যদি সুখি হবি তবে আমি তোর সুখের
পথে কাঁটা হয়ে কখনোই দাঁড়াবো না
কারণ কি জানিস কারণ তোর সুখ তো
আমার সুখ,ভলো থাক।
ইতি,
একটা অপদার্থ অর্করমার ঢেঁকি।
চিরকুটটা চাচাতো ভাইয়ে হাতে
ধরিয়ে দিয়ে বললা...
---এই নে এটা তোর রুমু আপুকে দিবি কেউ
যেন না দেখে।
--ঠিক আছে ভাইয়া।
.
চলে আসলাম ম্যাসে প্রায় সন্ধা হয়ে
গেছে। কোন কিছুই ভাল লাগছে না
সন্ধার পর শুয়ে পড়লাম লাইট নিভিয়ে
আলো ভালো লাগছে না কেমন অশস্তি
লাগছে তবু ঘরটা অন্ধকার হলো না
কোথা থেকে একদল জোনাকী এসে
ঘরটা আলোয় ভরিয়ে দিলো তবু ভালো
লাগছে না, লাগবেই কি করে যেখানে
জীবনটাই অন্ধকার হয়ে গেছে।
ঘুম আসছে না বার বার মেয়েটার কথা
মনে পড়ছে,মনের আর কাজ নেই আমার
খেয়ে আমার পরে কাঁদে অন্য কারো
জন্য!! আচ্ছা রুমু কি আমার কথা
ভাবছে,না আমি একি ভাবছি আমাকে
নিয়ে তার ভাবার টাইম আছে নাকি!!
আরে রুমুতো আমাকে একটা চিরকুট
দিয়েছে দেখিতো পড়ে।
মনে হয় তার ভুল স্বীকার করে কিছু
লিখছে
তাড়াতাড়ি পড়ে দেখি...
তোর সাথে দেখা করার ইচ্ছাটা মন
থেকে
মরে গেছে সেজন্য অন্য একজনের হাতে
কিছু লিখে পাঠালাম।
কি ভেবেছিস আমি তোর আমি তোকে
জ্বালাতন করি সব সময় তাই,এই
জ্বালাতনের মাঝে যে কতোটা
ভালোবাসা লুকিয়ে ছিলো
তুই কখনো বুঝতে পারিসনি আর কখনো
পারবিও না।
জানিস তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন
দেখিছিলাম
ছোট একটা ঘর হবে আমাদের সেখানে
বাবুই পাখির মতো শত কষ্টের মাঝেও
একসাথে থাকবো একসাথে।আচ্ছা তুই
আমার দজ্জালগিরি দেখলি আর
আমার মনের ভেতর যে ভালোবাসার
তাজমহল তৈরি হয়েছিলো শুধু তোর জন্য
সেটা একবারো দেখতে পেলি না।
মনে রাখ তুই আজ থেকে আর কোনদিন ও
আমার সাথে যোগাযোগ করবি না,আর
যদি করতে চেষ্টা করিস তাহলে আমি
এখন
তোকে কিছু করবো না আমি নিজেকে
শেষ
করে দিবো তুই ইতোমধ্য জেনে গেছিস
আমি
যা বলি তা করতে পিছপা হইনা কখনো।
তুই বাসায় এসে ও আমার সাথে একদমই
দেখা করবি না তোকে আমার মন থেকে
চিরতরে বিদায় জানালাম।
ভালো থাক সুখে থাক অন্য কাউকে পথ
চলার সঙ্গি হিসাবে বেছে নিস জানি
একথা
শুনে তুই আনন্দে দিশেহারা হয়ে গেছিস
তার কারণ ভাবছিস আজ থেকে এই
দজ্জাল মেয়ের হাত থেকে রক্ষা
পাইলাম।
দিন গুলো তোর অনেক অনেক ভালো কাটুক এই কামনাটুকুই করি।
ইতি
অভাগা মেয়ে তোর কাছে দজ্জাল
মেয়ে রুমু।
চলবে....
দজ্জাল মেয়ের ভালোবাসা লেখক-Md
Jasim uddin Shuvo
(ক্ষুদ্র লেখক)
পর্ব-৬ পর্ব
চিরকুটটা পড়া শেষ অনুভব করলাম দু-
চোখে অশ্রু টলমল করছে যে কোন মূহুত্বে
মৃত্তিকায় পড়বে পড়বে ভাব আমি ও
বাঁধা দিলাম না পড়ুক যতো খুশি
শুনেছি অশ্রু ঝড়লে নাকি নিজেকে
অনেক হালকা লাগে সাথে
নিকোটিনের ধোঁয়া।
নিজেও শপদ করলাম যে
রুমু তুমি যদি আমাকে আহবান না কর
আমি নিজ থেকে কোন দিন সাড়া
দিবো না।
দেখতে দেখতে ১টি বছর কেটে গেল রুমু
সাথে যোগাযোগ নেই শত ইচ্ছা
থাকলেও
নিজেও যোগাযোগ করিনি। নিজের
কথা রাখতে সবচেয়ে বড় কথা হলো রুমু
চিরকুটে বলেছিলো তার সামনে যেন
কোনদিন ও না দাঁড়াই।
.
শুনেছি রুমু নাকি এবার এস এস সি
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে মনে
মনে
অনেক খুশি তবু খুশিটা প্রকাশ করতে
পারিনাই।রুমু ও খবরটা আমাকে দেয়নি
সবচেয়ে বড় দুঃখটা এখানেই হাজার
হোক
এতো বড় খুশির খবরটা একবার ও দিতে
মনে চায়লো না তার!!
আর খবরটা আমাকে দিবেই বা কেন
আমি
তার কে হই?
আচ্ছা আমি যে ক্ষণে ক্ষণে তাকে
ভাবি সে
কি আমাকে নিয়ে ভাবে?
কি ভাবছি এতো অসম্বব আমাকে নিয়ে
তার
সময় আছে নাকি।
.
আজ কলেজে নবীন বরন অনুষ্ঠান নতুন ছাএ
ছাত্রিদের বরন করা হবে,সবার মাঝের
আনন্দের ফুল ঝুড়ি বইছে কিন্ত আমার
এতে
মোটেও আগ্রহ নেই।
রুমে বসে আছি আর ওদিকে অনুষ্ঠান শুরু
হয়ে গেছে।
কিছুক্ষণ পরে কয়েকজন বন্ধু এসে
জোড়াজুড়ি
করতে লাগলো অনুষ্ঠানে যেতে ও বলতে
ভুলে গেছি বন্ধুদের মধ্যে সুমন ও আছে।
সুমন আমার ছোট বেলার বন্ধু দুজনে এক
সাথে গ্রাম থেকে এ কলেজে ভর্তি
হয়েছি।
সবচেয়ে বড় কথা হলো রুমু ও সুমন একে
অপরকে ভালোভাবে চিনে-জানে, রুমু
সুমনকে ভাইয়া বলে ডাকে। . যাইহোক
সুমনে জোড়াজুড়িতে বললাম তুই যা
আমি আসতেছি।
সুমন চলে গেল অতঃপর আমি আস্তে
আস্তে
হাঁটতেছি অনষ্ঠানে যাওয়া জন্য।
কলেজের গেটের কাছে কারো সাথে
ধাক্কা! পিছন ফিরে সরি বলতে যাবো
তখনি দেখলাম এক মানবীকে সরি তো
বলাই হলো না বরং উল্টো হাঁটা শুরু
করলাম। মানবীটা আর কেউ না সে
ছিলো রুমু। আমি যেন শূন্য থেকে
মাটিতে পড়ে গেলাম কোন মতে
সেখান থেকে চলে গেলাম। পরে
জানতে পারলাম রুমু এ কলেজে ভর্তি
হয়েছে।অনুষ্ঠানে আর গেলাম না চলে
গেলাম ক্লাস রুমে জানি না কেন
জানি অশ্রু আর বাঁধা মানতে চায়ছে
না। কতদিন পর দেখা মন চায়ছে তার
দিকে চেয়ে থাকি অপলক দৃষ্টিতে এ
বুকের জ্বালা মিটাই তার হাতটি ধরে
মন চাইছে বলতে তোকে ভালোবাসি
তোকে ছেড়ে যাস না চলে এ বুকের
মাঝখানে
রাখবো তোকে নিবির যতনে হাতটি
তোর দিবনা ছেড়ে ধমকা হাওয়া
হাজারো ঝড়-তুফানে তবু ছেড়ে যাস না
এই অর্করমার ঢেঁকিটাকে। . এরপর থেকে
প্রায়ই দেখা হয় কলেজ ক্যামপাসে
কিন্ত কোনদিন কথা বলিনাই। চিরকুটে
লেখা পত্যেকটি কথা আমি পালন
করবোই।
এভাবে অনেকদিন কেটে গেল রুমুকে
দেখলে
ভালো লাগে না বলে কলেজে গিয়ে
ক্লাস
থেকে বের হই না।
বেশকিছুদিন ধরে খেয়াল করছি রুমু
সুমনের
সাথে কি যেন বলে হাসি মুখে বলুক
তাতে
আমার কি!
আরো বেশকিছুদিন যাওয়া পর দেখলাম
রুমু আমার দিকে চেয়ে কি যেন ভাবে
আনমনে হয়ে,ভাবুক তাতে আমার কি!
এখন দেখছি কথা বলতে চাচ্ছে। কোন
একদিন--
--হ্যালো মিষ্টার (রুমু) --নিশ্চুপ (পিছন
ফিরে তাকিয়ে আমি)
--আমি আপনাকে
বলছি।
--এদিক ওদিক তাকিয়ে আমাকে
বলছেন?
--আপনাকে না অর্করমার ঢেঁকিকে
বলছি।
--ও আচ্ছা ঠিক আছে আসি।
--আসি মানে তোমাকে কিছু বলার
আছে।
--আমি তো অর্করমার ঢেঁকি না,আপনি
ভুল করছেন।
--সত্যি অনেক বড় ভুল করেছি,আচ্ছা
আমাকে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না। --
আশ্চর্য তো ক্ষমা করবো মানে আর
কিসের জন্য ক্ষমা চাইছেন,আপনি কে?
--এতো অল্পতেই ভুলে গেলে? --আমি
কাউকে সহজে ভুলি না যদি না সে
আঘাত করে।আপনি যান আমার
গার্লফেন্ড
আপনার সাথে দেখলে খারাপ ভাববে।
মূহুত্বেই অভিমানী অশ্রু ভরা চোখ
জোড়া
রাগে লাল হয়ে গেল রুমুর। বুঝতে
পারলাম হয়তো এখানে বেশীক্ষণ
থাকলে আমার অবস্থা খারাপ করে
দিতে পারে সেজন্য চলে এলাম ওখান
থেকে।
আসার সময় কথার আওয়াজ পেলাম তা
হলো-
তোর গার্লফেন্ডের আমি যদি মাথা
না ফাটাইছি তা হলে আমার নাম রুমু
না,
আমায় ছেড়ে গার্লফেন্ড অন্য মেয়েকে
ভালোবাসিস তোরে খাইছি।আমি তো
মনে মনে আনন্দে-খুশিতে গদগদ কিন্ত
প্রকাশ করতে পারছিনা।
.
কিছুক্ষণ পর দেখলাম রুমু সুমনকে কি যেন
বলতেছে,কি বলতে পারে?
ভাবতে লাগলাম কিন্ত ভাবার সময়
পেলাম
না কারণ আমাদের রোমান্টিক
স্যারের আগমন ক্লাস রুমে। স্যারকে
এতোদিন আমি আবুক মার্কা ভাবতাম
কিন্ত আজকে কেন জানি রোমন্টিক
বলতেই ভালো লাগছে। স্যারকে
রোমান্টিক বলার কারণ আগে বলে
নেই।স্যার আসলে প্রেম করে করে
বিয়ে
করেছে।তারজন্য তার কাছে প্রেম
হচ্ছে
স্বর্গীর সম্পদ,আর যদি কেউ এসে বলে
যে স্যার আমি ঐ মেয়েকে ভালবাসি
তবে স্যারের উওর হবে চালিয়ে যাও
একজন স্যারের কাছে এরখম উওর
আসেলেই আশ্র্চযের ব্যপার। শুধু তাই নয়
কোন ছেলে বা মেয়ে এসে বলে স্যার ও
আমার সাথে রাগ করছে কথা বলছে না
তাহলে তাকে বুঝতে চেষ্টা করবে না
বুঝলে 100 বোল্টের ধমক ফ্রী। আরো
অনেক গুনের বৈশিষ্ট আছে আমদের
রোমন্টিক স্যারের সেগুলো আর না
বললাম।
.
যাইহোক রোমন্টিক স্যারের ক্লাস
করছি প্রায় 25 মিনিট পর... --স্যার
আসতে পারি? (রুমু)
--হুম আসতে
পারো।কিন্ত তুমি তো প্রথম বর্ষের
ছাত্রি এখানে কেন?
--একটা কথা বলতে
স্যার।আমি জানতে পেরেছি স্যার
আপনি সমস্যার সমাধান করে দিতে
পারেন।
--কি সমস্যা বলো?
--স্যার ইয়ে মানে
--হুম বলো?
--স্যার আমার স্বামী আজ ১বছর ধরে
আমার সাথে রাগ করে কথা বলে না,
আমার সাথে দেখা করে না,বাসায়
যায় না,এখন আপনি বলেন আমি কি
করবো?
--তো এখানে কেন বলছো?
--কারণ এখানে আমার স্বামী উপস্থিত
আছে প্লীজ আপনি একটু ওকে যদি
বুঝাতেই।
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ