দজ্জাল মেয়ের ভালোবাসা
# Writer Md Jasim uddin Shuvo (ক্ষুদ্র লেখক)
!
পর্ব-৩
মেয়ে কি কথা বললো আমায় নাকি তার মনে পড়ে না।অনেক হতাশ হলাম তার কথা শুনে,হওয়াটাই স্বাভাবিক যার জন্য কি না
শহরের কলেজ ছেড়ে গ্রামের কলেজে ভর্তি
হওয়ার ডিসিশন নিলাম সে কি না আমার
কথা,আমায় খুঁজে বেড়ানো বা আমায় নিয়ে ভাবেই না!!
বসে রইলাম আনমনে সাড়াশব্দ বিহীন কাঠের পুতুলের মতো।
নিরবতা ভেঙ্গে রুমু বললো--
--খুঁজেছি অনেক খুঁজেছি তোমায়
খুঁজেছি তোমায় নীল আকাশের মাঝে
তখনি মেঘে ডাকা আকাশ পাইনি আর খুঁজে
---আমি ও খুঁজেছি তোমার হাজারো লোকের ভিড়ে
কিন্ত পাইনি তোমার এই চিরচেনা মুখটিকে।
--আম্মু বলেছে চিন্তা করিস না মা
দেখা হবে একই ছাদের তলে একই স্থানে
তর ঐ অর্করমার ঢেঁকির সাথে ১বছর পড়ে
সেজন্য তোমায় নিয়ে ভাবি না
মূহুত্বে বা ক্ষণে ক্ষণে।
আমিতো তার কথা শুনে আনন্দে দিশেহারা
অপেক্ষা না করে প্রশ্ন করলাম--
--একই ছাদের তলে একই স্থানে ১বছর পড়ে
কি মানে বলবা?
--দেখি তোমার কমন সেন্সস কতটুকু বল
দেখি ১বছর পড় কি?
--আনন্দে গদগদ করতে করতে বললাম আমি বুঝতে পারছি।
--কি বুঝতে পারছো বল দেখি?
--তোমার আম্মু তোমাকে বলেছে ১বছর পর
তোমার আমার বিয়ে।
--কি??? ফাজিল ছেলে কি বললি?
--ক্যান বিয়ে।
--থাপ্পর দিয়ে তর সব গুলো দাঁত ফেলে দিমু
--(ভয়ে হাঁটু যে কেমন করতেছে বুঝাইতে পারবো না আপনাদের তবু ও রুমুকে বললাম)তুমি একটু বুঝিয়ে দাও।
আমার এই অবস্থা দেখে রুমু বললো-
--১বছর পর আমি তোর কলেজে ভর্তি হবো
বুঝলি অর্করমা।
যাক বাবা মেয়েটা এতো জিলাপীর পাঁচের মতো কথা বলে বুঝতে পারা দাঁয়।
প্রথমে কথা গুলো শুনে আনন্দ প্রায় হার্ট এট্যাক করে ফেলছিলাম আর এখন আপনারাই বলুন আমার অবস্থা কি রখম হইছে আমি নাই বললাম।
কিছুক্ষণ পরে ভয়ে ভয়ে রুমুকে বললাম-
--একটা কথা বলি অনুমতি দিলে?
--বল।
--না গেলে হয় না তুমি এখানেই ভর্তি হয়ে লেখাপড়া কর।
--আরো কিছু?
--আমি না ডিসিশন নিয়েছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে ঐ কলেজ থেকে ট্রাসফার হয় এখানে এসে ভর্তি হবো।
--কি বললি এই বললেই একটা লাঠি দিয়ে এগিড়ে আসতে লাগলো।
--আমার যাওয়ার কোন রাস্তা নাই সামনে
পেঁতনী থ্যুক্কু রুমু আর এক পাশে দেওয়াল আর এক পিছনে ডোবা।
রুমু এগিয়ে আসছে আমি ভয়ে একটু একটু করে ডোবার দিকে পিছিয়ে যাচ্ছি।
রুমুর রাগে এতো ভয় পাই কেন জানেন ২বছর আগে একবার আমার মাথা ফাটাই ছিলো দজ্জাল মাইয়াটা।
যাইহোক পিছাতে পিছাতে পড়ে গেলাম
ডোবায়।উহ কি পানি রে বাবা কামড়ে একদম ফেলাফেলা করে দিচ্ছে দেহটাকে।
আর পাড়ে থেকে রুমু মুখ এ্যটোম বোমা
হাইড্রোজেন,পারমানবিক যত প্রকার
বোমা আছে ফাটাচ্ছে অর্নরগল।
পঁচা পানির কামড় সাথে রুমুর বকা সব মিলিয়ে হট এ কম্বেনেশন ঠিক যেন হানি সিং এর ডিজে গানের পার্টি আমার জন্য।
শেষমেষ রুমুর মজুত রাখা সব মধুর বাণী শেষ,শুধু যাবার বেলা বলে গেল কাল সকাল ১০ টার পর যদি তোকে বাড়িতে দেখি তাহলে বুঝে নিস কি হবে।
আমার অবস্থা তখন ১২,১৫,২৫ টা যাই বলেন না কেন
কম যাবে,কি মেয়েরে বাবা,কি দেখে যে আব্বু ঐ মেয়েটার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে রেখেছে
একমাএ আল্লাহ জানে।
!
বাসায় আসলাম।
ঘুম আসতেছে না চুলকাতে চুলকাতে অবস্থা কেরসিন।ভাবতেছি চলে গেলে আর আসবো না এমন দজ্জাল মেয়ের কাছে। আবার ভাবছি আমার ভালোর জন্যই তো দজ্জালগীরি করে। না ভালো লাগছে সর্তক করে দিছে যেহেতু সেহেতু যেতেই হবে।কিন্ত যাবার আগে তার মুখ খানি না দেখলে যে আমার চলবেই না। কানে হেট ফোন লাগিয়ে চললাম রুমুর বাসার দিকে উদ্দেশ্য এক পলক তাকে নয়ন ভরে দেখা।
পাঁচ মিনিট পর পৌঠালাম রুমুর বাসায় কাছে।রুমুর ঘরটার পিছনে ছিলো একটা জালানা,জালানা কাছে যেয়ে দেখলাম জালানা খোলা ভালোই হলো।
জালানা দিয়ে তাকিয়ে আমি তো পুরাই থ,একি রুমু কাঁদছে!!
জানি মেয়েটা আমাকে অনেক ভালোবাসে কিন্ত বুঝতে দিতে চায় না।
অবাগ করার ব্যপার রুমুকে আজকে সত্যি খুব সুন্দর লাগছে যেন আকাশ থেকে কোন
পরী এই ধরণীতে নেমে পড়েছে।
রুমুকে আমি কোন দিন কাঁদতে দেখিনি সে
জন্য তাকে অন্য রখম লাগছে,চোখে অশ্রু খোলা চুল আমার চোখে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে মায়াবী কন্যা।
চলবে...
দজ্জাল মেয়ের ভালবাসা
Writer-Md Jasim uddin Shuvo (ক্ষুদ্র লেখক)
!
পর্ব-৪
ভোরে থেকে সব কিছু গোছাতে লাগলাম
উদ্দেশ্য ম্যাসে ফিরে যাওয়া। আশা ছিলো
অনেক দিন গ্রামে ঘুরবো ফিরবো কিন্ত পোড়া
কপাল আমার সে ভাগ্য আর হলো না।
সকাল ৯টা আম্মুকে বললাম..
--আম্মু আমি যাচ্ছি
--কোথায়?
--ম্যাসে ফিরে যাচ্ছি।
--তুই না বললি অনেক দিন থাকবি কিন্ত এখন তো
সবে মাএ ৩দিন হলো এলি।
--ইচ্ছে ছিলো কিন্ত
থাকতে পারলাম কই।
--কি হইছে রে শুভ আমায়
বল?
--আর বলে কি হবে।
--কি হইছে বলবি তো নাকি?
--তোমার হবু পূএ বধু
মানে ঐ দজ্জাল মেয়ের জ্বালায় কি আর থাকা
যায়।
--আস্তে বল অর্করমা
--আম্মু তুমি ও আমায় অর্করমা বললে? --কিসের
জন্য বলছি পিছনে ফিরে দেখ আমি গেলাম এখান
থেকে।
আমি অবাগ হয়ে বললাম আম্মু কোথায় যাচ্ছ আর
পিছনে কি বাঘ না ভাল্লুক যে আমাকে ভয়
পেতে হবে।
আর আমার সাথে যে মেয়ের বিয়ে ঠিক করছো
সে মেয়ে তো বাঘ বা ভাল্লুক এর চাইতে ও
হিংস্র।
পিছন ফিরে দেখি রুমু খাইছে আমারে আজকে
আমার আর রক্ষা নাই।
আমতা আমতা করে বললাম....
--তু তু তুমি এতো সকালে
--কলার ধরে আমি বাঘ-ভাল্লুক এর চাইতে হিস্র
না।
--না না মানে ভুল হয়ে গেছে আমার।
--ভাবছিলাম এসে বলবো সরি আমার ভুল হয়ে
গেছে আর কিছুদিন গ্রামে থেকে যাও। কিন্তু
এখন বলবো তোমার যা ইচ্ছা তাই করো আমার
কিছুই আসে যায় না।
--বললাম তো আমার ভুল হয়ে গেছে।
--ভুল তো আমার তোমাকে এতো শাসন করা
আমার একদমই ঠিক হয়নি। জোড় হাত করে
বলছি আমাকে ক্ষমা করে দিও প্রীল্জ।ভাল
থেকো বিদায়।
--এই রুমু এমন করো না আমার আর
এমনটা হবে না।
--(পিছন ফিরে) আমার নাম ধরে ডাকার অধিকার
হারিয়ে ফেলেছো আর আমার নাম ধরে ডাকবে
না কখনো। আর আপনার ফোনটা দিন।
--এগুলো কি বলছো রুমু!! (কথা টুকু বলতে দেরী
বোমা ফাটতে দেরী হলো না)
--কথা কানে যায় না
তোর আমার ধরে ডাকতে বারন করছি না তোরে
আর তোর ফোন দিতে বলছি না।(উচ্চ স্বরে ধমক
দিয়)
--এই নাও আমার ফোন।
--দে
এক মিনিটের মতো ফোনটা দিয়ে কি যেন করলো
তারপর...
--কি করলে ফোন দিয়ে?
--তোর মাথা।তোর ফোন থেকে আমার নাম্বার
ডিলিট করে দিলাম।
আর ভবিষ্যতে আমার সাথে যোগাযোগ করার
বৃথা চেষ্টা করবি না। তোর মতো অর্করমার
ঢেঁকি আমার জীবনে আর দরকার নাই।
একদিন বুঝবি আমি তোর জীবনে কি ছিলাম
কতখানি জায়গা জুড়েছিলাম সেদিন তুই আমায়
মন খুলে ডাকলেও সাড়া পাবি না।
--এই তুমি নিজেকে কি মনে করো। যাও যাও
আমাকে তোমার ভালোবাসা লাগবে না।তুমি
না
ভালোবাসলে মনে হয় দুনিয়ায় মেয়ের অভাব
পড়ে গেছে।
--ভালো থাক সুখে থাক পারলে এই দজ্জাল
মেয়েটাকে ক্ষমা করে দিস তোকে সব সময়
বিরক্ত করার জন্য।
--যা যা তোকে এতো আমার
কেয়ার করতে হবে না।
--আমার একটা অনুরোধ তুই আজকে ম্যাসে যাস না
প্রীল্জ।
--তোর অনেক অনুরোধ রাখছি মাফ কর আর পারবো
না।
--আমি আন্টিকে বলে যাচ্ছি তুই যেন থেকে
যাস,আমার জন্য না আন্টি আমাকে বলছিলো তুই
যেন আর একদিন থেকে যাস। রুমু চলে গেল আর
কোন কথা বললো না দিয়ে গেল এক গাদা কষ্ট।
সন্ধার পরে খেয়ে শুয়ে পড়লাম আর ভাবতে
লাগলাম,এভাবে আর চলতে পারে না কোন ইসু
পেলেই রাগারাগি সাথে মারামারী আর কষ্ট
দেওয়া সেটা তো বনাস। আমি ও কম কিসের
আমি ও অভিমান করতে জানি বলবো না রুমু
তোমার সাথে কথা,করবো তোমার সাথে দেখা
তখন তুমি ও বুঝবে আমি তোমার কতটা জায়গা
জুড়ে ছিলাম সেদিন তুমিই আমাকে আহবান
করবে গ্রহন করবে আমার এই বুকের জমিয়ে রাখা
ক্ষুদ্র ভালোবাসা।
এগুলো ভাবতে ভাবতেই কখন যে রাত শেষ বলতেই
পারবো না।
সকাল ৯টা রেডি হয়ে রওনা দিলাম উদ্দেশ্য
ম্যাসে যাওয়া।
হঠাৎ পথিপথে চাচাতো ভাইয়ের সাথে দেখা...
--ভাই এইটা রুমু আপু তোমাকে দিতে বলেছে
--কি এটা?
--জানিনা আমাকে খুলে দেখতে বারণ করছে
--ঠিক আছে দে।
হাতে নিয়ে দেখলাম একটা চিরকুট তাতে উপরে
লেখা দয়া করে বাসায় থাকতে এটা খুলবে না
ম্যাসে গিয়ে খুলে দেখবে।
চলবে...
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ