বখাটে
writer-Md Jasim uddin shuvo
(ক্ষুদ লেখক)
পর্ব-৩
শুভর পিছনের ইতিহাস শুনে পরি নিরবে শুধু চোখের অশ্রু ফেলছে।একটা মানুষ এতোটা কষ্ট বয়ে চলে কিভাবে?
সে তো মানুষ কোন যন্ত্র না তবে কিভাবে পারছে জীবন অতিবাহিত করত? পরি ভাবছে আর অশ্রু অঝোর ধারায় তার চোখ দিয়ে পড়ছে।
শুভর জন্য ইতো মধ্যেই পরির খুব মায়া জম্মে গেল।হঠাৎ শুভ ডাকের শব্দে পরি ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে এলো...--এই সুমন মেয়েটাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আয়..শুভ
--কিন্ত ভাই সকালে ছাড়ার কথা না বললেন
--ছিলো কিন্ত..
--কিন্ত কি ভাই??
--সবাইকে এখানে আসতে বল তারপর বলছি
(সিগারেট টানতে টানতে কথাগুলো বলছ)
সবাই যখন একত্র হলো সবার ঊদ্দেশ্য শুভ বলা শুরু করলো...
--সবাই শুনো কিসের জন্য মেয়েটাকে আমরা এখানে আটকে রেখেছি??
--অবশ্যই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য
--হুম।কিন্ত আমাদের সবচেয়ে সম্মানীয় ব্যক্তি মাষ্টার চাচা আমাকে অনুরোধ করেছে মেয়েটাকে ছেড়ে দিতে।
--তবে কি এই অন্যায়ের বিচার ও হলো না(সবাই মিলে বললো)
--হবে,চেয়ারম্যান মাষ্টার চাচার কাছে কথা দিয়েছে যে তার মেয়েকে এখন ছেড়ে দিল সকালেই নিশির ধর্ষণকারী মানে তার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিবে।
--যদি না দেয় ভাই তবে?
--তবে চেয়ারম্যান আকাশের তাঁরা হয়ে যাবে (কোমর থেকে পিস্তল বের করে)
তারপর শুভ সেখান থেকে চলে গেল এবং পরিকে পরীদের বাসায় পৌঁছে দিল সুমন ও তার সহযোগিরা।.
সকালে চেয়ারম্যান তার কথা মতো তার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিলো।
আর দিকে গ্রামে আনন্দের ছড়াছড়ি শুভকে ঘিরে কারণ শুভর জন্য আজ এতো বড় এক অন্যায়ের বিচার হতে চলেছে।
বিকেল বেলা শুভ হাঁটছে আর পরি তাকে ফলো করছে।
শুভ হাঁটতে হাঁটতে একটা কবরস্থানে প্রবেশ করে এবং একটি কবরে পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
পরি আড়াল থেকে দেখছে শুভ কি করে।
শুভ আপন মনে বলছে..
বাবা আজ আমি পেরেছি,আজ আমি পেরেছি একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে,তুমি নিশ্চয়ই খুশি হয়েছো যে তেমার খোকা তোমার বলা কথা পালন করছে।
বাবা জানো আজ আমার এই সাহসিকতার জন্য গ্রামের মানুষ কতোটা আনন্দিত সব তোমার জন্য।
সবাই বলছে বাবকা বেটা তুমি যেমন ছিলে তেমন নাকি আমি হয়েছি।জানো আমার গর্বে বুক ফেটে যায় যখন নাকি গ্রামের মানুষগুলি তোমারকে নিয়ে নিয়ে সম্মান দিয়ে বলে,তুমি ছিলে এই গ্রামের সাহসি নেতা।
জানো বাবা এখন আমাকে সবাই কতোটা আদর করে,ভালবাসে,কতোটা সম্মান করে! সবাই বলে তুমি একা নও বেটা আমরা সবাই তোমার সাথে।আমার যে তোমার কেউ নেই তা তারা মতে করতেই দেয় না।জানো বাবা তবুও তোমাকে মাকে অনেক অনেক মিস করি।আমার পৃথিবীর সমস্ত জুড়ে শুধু তোমরাই আছো আর থাকবে যতোদিন এই শরীলে প্রাণ বায়ু নামক জিনিজটা থাকবে।
জানো বাবা তোমার মুখ থেকে খোকা ডাক শুনতে কতোটা ইচ্ছে হয় (হামাগুড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছে শুভ)
বাবা আমি আবারো কথা দিচ্ছি চিরকুটে তোমার লেখা প্রত্যেকটি কথা আমি রাখবো,যতোদিন এ দেহে রক্তবিন্দু আর প্রাণ বায়ু নামক জিনিজটা উপরওয়ালা রাখবে।
.
মসজিদ থেকে মাগরিগের আযান ভেসে আসছে শুভ তখনো তার মা-বাবার কবরস্থানে শুয়ে আছে।
একটু পর উঠে আস্ত আস্ত চলে আসতেছিলো হঠাৎ...
--একি আপনি এখানো কেন??
--নিশ্চুপ..পরি
--আসলে আমার সেদিন আপনাকে আটকে রাখা ঠিক হয়নি,আমাকে ক্ষমা করে দিবেন
--নিশ্চুপ(চোখ দিয়ে শুধু নিরবে অশ্রু ঝরছে)
--আপনি কাঁদছেন কেন? বললাম তো আমার ভুল হয়ে গেছে।
--তবু নিশ্চুপ
--আপনার কি হয়েছে?
--আপনে আসলে কি কোন মাটিতে গড়া যে এতোটা কষ্ট নিয়ে চলতে পারেন?
--তারমানে আপনি সব কথা শুনেছেন।
--কাঁন্না থামিয়ে..আপনার জীবনের সব ঘটনা জানা শেষ,এখন শুধু ভাগ নেওয়ার কাজটা বাকি।
--এ কষ্টগুলো একান্তই আমার,যে এই কষ্টগুলো নিবে ষে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।-আমি পারবো সইতে যদি আপনি আমার হাতে হাত রেখে চলেন।
--কি বলছেন মাথা ঠিক আছে আপনার!
--এতোদিন ঠিক ছিলো না
--মানে?
--ভালবাসি আপনাকে
--ঠাস! চলে যান বলছি এখান থেকে।
পরি চড় খেয়ে আস্ত আস্তে চলে যাচ্ছে অশ্রু ফেলতে ফেলতে।সাহস কত আমাকে ভালোবাসে বলে।আমার মা-বাবার যেটুকু ভালোবাসেছিলো সেটুকু আমি সইতে পারছিনা আর উনি আসছে ভালোবাসতে (রাগে গজ গজ করতে কথা গুলো বলছে শুভ)
চলবে...
বখাটে
.
পর্ব-৪
শুভ বাসায় ফিরে ভাবতে লাগলো যে কাজটা ঠিক হয়নি মেয়েটাকে অপমান না করলে ও পারতাম।
যাক কালকে ক্ষমা চেয়ে দিবো।
শুভ ঘুমাতে চেষ্টা করলে ও ঘুম যেন তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
মেয়েটার প্রতিচ্ছবি বার বার ভেসে আসছে শুভর সামনে,তবে কি মেয়েটাকে একবার দেখেই....না না এ হতে পারে না।
.
আজ সকালটাই কেমন অদ্ভত লাগছে শুভর
কাছে কারণ এর আগে এতো সকালে ঘুম
থেকে উঠা হয় না শুভর।
শুভর প্রতিদিনের অভ্যাস ঘুম থেকে উঠেই
আবুল চাচার চায়ের দোকানে
বসে চা খাওয়া।
সকাল ৯টা বেজে ১মিনিট শুভ বসে চা
খাঁচ্ছে।এমন সময় সেই মেয়েটা মানে
পরি সেখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
--একটু শুনবেন?..শুভ
--আমাকে বলছেন?..পরি
--গতকালের ঘটনার জন্য আমি সত্যি দুখিত।
--তবে কি আমাকে আপনি ভালোবাসবেন!
--না দেখ এটা আমার পক্ষে সম্ভব না।
--কেন সম্ভব না?
--দেখুন আমি একজন বখাটে ছেলে।
--এখন আমার কাছে আপনি আমার স্বপ্নের নায়ক।
--কি বলছেন এসব!
--আপনাকে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারছি না,যেদিকে তাকাই সে দিকে শুধু আপনাকে দেখতে পাচ্ছি।এখন আপনিই বলেন আমি কি করবো?
--এটা আপনি আবেগের কারণে বলছেন,কিছুদিন যাক একাই আবেগর ঘোর কেটে যাবে (কিছুটা হেসে দিয়ে)
--এটা কোন আবেগ না,আমি অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আপনাকে ভালোবাসবো।
--এখন আপনি বাসায় যান তারপর একটু লেবুর জল খান।ভালো থাকবেন।
--আরে শুনুন!
--বায়
.
শুভ চলে আসলো মেয়েটার কাছ থেকে,বিদায় নিয়ে বললে ভুল হবে একপ্রকার জোর করে।
.
বিকাল বেলা বদ্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে
তারপর রাত ১০টা পর্যন্ত চায়ের দেকানে
বসে কয়েক কাপ চা আর সাথে এক প্যাক
সিগারেট শেষ করে বাসায় ফিরলো শুভ।
.
সারা রাত বাহিরে কাটালেও বকার মত কোন মানুষ নেই শুভর।
নাই পিছুটান নাই শাষণ করার মতো মানুষ।
কে শাষণ করবে? শুভর মা-বাবা তো
আকাশের তারা হয়ে গেছে অনেক আগেই,
ভাবতেই ভাবতেই চোখের কোণে অশ্রু জমে গেলে।অশ্রু দেখার মত কেউ নেই লুকিয়ে কি লাভ অতঃপর অশ্রু গুলো জায়গা পেল মৃত্তিকার বুকে।
শুভ ভাবছে আমার একটা বোন ও নেই।
যদি থাকতো তাকেই আকরে ধরে বেঁচে থাকতাম।সবকিছুতেই কপাল লাগে শুভ মৃধু হেসে উঠলো।
.
শুভর ঘুম আসছে না কেধ জানি ঘুমগুলো ছুটি নিতে চায়ছে।
মন ও ছুটে চায়ছে মেয়েটার কাছে মানে
পরির কাছে।শুভ তার নিজের মন কেই বকছে,সালা আমার খেয়ে আমার পরে
থাকতে চাস না আমার কাছে,পরে থাকিস
ঐ মেয়ের কাছে।
.
যাবেই না কেন পরিকে যেই দেখবে সেই
তার মায়ার প্রেমে পড়ে যাবে।
পরির রুপের বর্ণনা আর কি দিবো
এক কথায় সে আকাশের পরির মতোই দেখতে।সারা রাত কাঁতরাতে কাঁতরাতে শুভ
ফজরের আযানের পর নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে
পড়লো।
.
শুভ প্রতিদিন সকাল ১০টার পরে ঘুম থেকে উঠে কিন্ত আজ কারো হাতের ছোঁয়ায়
ভোরেই ঘুম ভেঙ্গে গেল।
--আপনি এখানে??
--কেন আসতে মানা আছে নাকি??
--অবশ্যই মানা আছে এমন আমার ঘুম
ভাঙ্গাতে।
---আমি তো ঘুম ভাঙ্গাইনি।আপনি নিজেই
তো ঘুম থেকে উঠলেন।আর শুনলাম আপনি
নাকি ১০টার আগে ঘুম থেকে উঠেন না?
--হ্যা কিন্ত তাতে আপনার কি??
--এখন থেকে খুব ভোরে উঠবেন।আর আমার হাতের ছোঁয়ায় এমন করে উঠলেন কেন?? নিশ্চয় আমায় ভেবে ভেবে আপনি
ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
--হ্যা।এই না না,আপনাকে নিয়ে আমি ভাবতে যাবো কেন?
--কারণ আমি আপনার.....
--আমার কি?
--বুঝে নিন।
--আমার ধারণা শক্তি অনেক কম নাই
বললেই চলে।
--ঠিক আছে বুঝতে হবে না।আপনি এখন
রুম থেকে বের হয়ে ফ্রেশ হয়ে আসেন।
.
শুভ রুম থেকে বের হয়ে দাঁত ব্রাশ করে হাত
মুখ ধুঁয়ে প্রতিদিনের অভ্যাসে সেই চায়ের দোকানে।কয়েক কাপ চা সাথে কয়েকটা
সিগারেট খাওয়া শেষে মনে পড়লো পরির
কথা।ইশ পরিকে না রুমের মধ্যে রেখে এলাম।তাড়াতাড়ি হাঁটা দিলো শুভ বাসার
উদ্দেশ্যে।বাসায় গিয়ে শুভ তো পরাই অবাগ
এটা তার রুম! শুভর বিস্বাস হচ্ছছিলো না
এটা তার রুম।
তার রুমে তো যেখানে সেখানে ছারপোকা,ইদুঁর দেখা যায়।আর এখধ তো মনে
হচ্ছে এটা কোন নামী দামি লোকের কুটির।
সামনের টেবিলে শুভ দেখতে পেল কিছু
ফুল সেখান থেকে মিষ্টি সুভাস ছড়াচ্ছে।
চলবে.....
.
লেখক-Md Jasim uddin Shuvo
(ক্ষুদ্র লেখক)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ