āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2967 (2)

নয়টি থাপ্পড় অতঃপর ভালোবাসা
.
পর্ব-৪
শুভ বের হলো টিউশনির উদ্দেশ্যে ,সেখানে গিয়ে বেশ মনটা খুশিই হলো তার কারণ তারা আজ বেতনটা দিয়ে দিলো দু মাসেরটা একসাথে মোটমাট ১১হাজার টাকা। এ টাকা শুভর কাছে ১১লক্ষ টাকার সমান মূল্য।যাইহোক শুভ সিদ্ধান্ত নিলো এর মধ্য থেকে ৫ হাজার টাকা বাসায় পাঠাবে আর বাদ বাকী টাকা নিজে খরচ করবে। জান্নাতের জন্য একটা হলুদ রংয়ের শাড়ী কিনবে আর
সাথে একটা ভালো দামী কলম। জান্নাত মেয়েটা আসলেই বড় অদ্ভুত তার কারণ যেখানে অন্য সব মেয়েরা নীল রংয়ের শাড়ী পছন্দ করে কিন্ত জান্নাত পছন্দ করে হলুদ রং। কারণ অবশ্য একটা আছে,শুভর পছন্দ যে হলুদ রং।
শুভ হাঁটতে হাঁটতে একটা মার্কেটে গিয়ে ১৭৫০ টাকা মূল্যর একটা হলুদ রংয়ের শাড়ী কিনলো আর সাথে একটা দামী কলম সাথে একটা ডায়েরী কিনলো এবং ঝকঝকে কাগজে মোড়ানো একটা বক্রে করে রেখে জান্নাতকে ফোন করে বিকালে দেখা করতে বললো।
.
নির্দিষ্ট সময়ে এসে দেখে জান্নাত আগেই এসে বসে আছে।
শুভ অবাক হয়ে যায় যে যদি দেখা করার কথা বলা হয় তাহলে একদিন ও জান্নাতের আগে আসতে পারে না শুভ,মেয়েটা পারে বটে।
--কেমন আসিস..শুভ?
--জানি না,তো তুই?
--অনেক খুশি,কিন্ত তুই কেমন আছিস তুই যানিস না ক্যামনে?
--এ মূহুত্বে আমি ও ভালো আছি।
--(শুভ ঠোঁটের কোণ থেকে এক চিলতে হাসি বেড়িয়ে এলো কারণ শুভর খুশি দেখে জান্নাত বলছে, এ মূহুত্বে আমি ও ভালো আছি) তোর জন্য একটা উপহার আনছি ফিরিয়ে দিবি নাতো (গোমড়া মুখে কথাটা বললো শুভ)।
--রাগি গলায়..তোকে কি আমার আনতে জন্য উপহার আনতে বলছি?
--উপহার কি কেউ চেয়ে নেয়,আমার খুব করে মন চায়ছে তাই আনছি।
--ওরে আমার বুদ্দ জ্ঞানী মহারাজ রে আমায় এখন জ্ঞান দিতেছে,তা টাকাটা কোথায় থেকে এলো।
--ঐ যে সকালে বললাম আজকে
পকেট ভর্তি হবে মানে টিউশনির টাকাটা পাইছি।এর মধ্য থেকে ৫ হাজার টাকা বাসায় পাঠাইছি আরো ৬হাজার টাকা আমার
কাছে ছিলো এর মধ্য থেকে
তোর জন্য উপহার আনছি বড্ড আশা করে ফিরিড়ে দিস না।
--বলছি যে ফিরিয়ে দেব,দে
কি দিবি।
--শুভ বক্রাটা জান্নাতের হাতে দিয়ে,,জানি না তোর পছন্দ হবে কি না এই সামান্য উপহার।
--ঠাস,,উপহার কোনদিন সামান্য হয়,তারপর তোর হাতের উপহার বলে কথা।
--কি মেয়েরে বাবা কথায় কথায় থাপ্পড় মারে,,বলছি তোর পছন্দ হইছে।
--জান্নাত বক্রাটা খুলে চোখ আটকে গেল শাড়ীটার উপর,তার পছন্দের সেই শাড়িটি এটা যেটা কিনা কদিন আগে মার্কেটে দেখে এসেছিলো এবং কিনবে ভাবছিলো।জান্নাতের চোখে অশ্রু এ অশ্রু দুঃখের না আনন্দে বহু আনন্দের,এ আনন্দ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে পাওয়া যায় না।
--শাড়িটা তোর হয়নি তাহলে?
--জান্নাত কিছু বললো না শুভকে জড়িয়ে ধরলো।
--আর শুভ দু হাত উঁচু করে বললো এই এই জান্নাত কি করছিস লোকে দেখছে তারা কি ভাবছে।
আমি তোর শুধু বন্ধু কিন্ত অন্যরা এলোমেলো ভাবছে ছাড় না।
--আমি তোকে ভালোবাসি তুই বুঝিস না কেন? তোর জন্য এ বুকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে ভালোবাসা জমিয়ে রাখতে রাখতে এখন
যে পাহাড় সমান হয়ে গেছে
এখন যে আর আমি তোকে ছাড়া নিজেকে ভাবতেই পারছি না। আমার কল্পনা জুড়ে,আমার ভাবনা জুড়ে,আমার মস্তিষ্কে যে শুধু তুই ভেসে বেড়াস,তোকে ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ,পানি ছাড়া যেমন মাছ, গাছ ছাড়া যেমন তরুলতা বাঁচতে পারে না তেমন তোকে ছাড়া আমি কখনোই বাঁচতে পারবো না। জান্নাত কথা গুলো বলছে আর নদীর ন্যায় তার চোখ দিয়ে অবিরত অশ্রু ঝড়ছে।
--পৃথিবীতে সব চাওয়াই পূরণ হয় না,আর তোর এই চাওয়াটা ও
ঐ চাওয়ার মধ্যে অন্তভুক্ত হয়ে গেছে, কেন জানিস কখনো শুনেছিস যে তেল আর জল একসাথে মিশেছে। আমার জীবনে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে তোকে রাখবো বল,তুইতো মাসে খরচ লাগে ১৫ হাজার বা এর উপরে আর আমি টিউশনি করিয়ে পাই মাএ ১১ থেকে ১২হাজার টাকা তোকে চালাবো কিভাবে বল। কখনো চাইনিস খাওয়াতে পারবো না পারবো না তোকে বিলাসীতার কোন বস্তু কিনে দিতে।
শুনে রাখ অভাব যখন দুয়ারে এসে দাঁড়াবে তোর ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালাবে।
--তুই ভুল ভাবছিস!
--চাই না আমি তোর মুখ থেকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনতে।
--তবে শুনে রাখ,আমি কেমন স্বভাবের তুই ভালোভাবেই জানিস, আমি যদি তোকে এ জীবনে না পাই তাহলে এজীবন টা তোর নামে উৎস্বর্গ করে দিয়ে যাবে মনে রাখিস।
--দেখ পাগলামি রাখ।তবে সত্যি কথাটা শুন আমি ও তোকে ভালোবাসি কতোটা ভালোবাসি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো।কিন্ত আমি জানি আমার এ ভালোবাসা এ সমাজের কাছে তোর বাবার কাছে অর্থহীন। আমার থেকে তুই শতগুন ভালো ছেলে পাবি।যা এবার বাসায়
যা আর হ্যা একটা কথা বলি
তোর যেদিন হবে সেদিন আমার দেওয়া এই শাড়ীটা পড়িস
অনেক ভালো মানাবে তোকে। --তবে তাই হোক তুই যেটা চাস। যা এখান থেকে আমার সামনে, আমি কোনদিন তোর সামনে
আসবো না যদি বধু বেশে না আসতে পারি।
.
দুজন দু দিকে চলে যাচ্ছে দু জনের চোখে অশ্রু খেলা করছে। শুভ মনে মনে বলছে আল্লাহ
যা করে ভালোর জন্যই করে। হয়তো আল্লাহ আমার জন্য
ভালো কিছু রেখেছে।কিন্ত আমি যে জান্নাতকে এতোটাই ভালবাসি তাকে কিভাবে ভুলে থাকবো।
না আর এখানে থাকবো না চলে যাবো এখান থেকে অনেক দুরে যেখান থেকে তাকে চাইলো দেখতে পারবো না,চাইলেও শত ব্যস্ততার
তার হাসি খুঁজে পাবো না, ইচ্ছে থাকলে ও বৃষ্টি ভেজা দুপুড়ে তার সাথে ভিজতে পারবো না,শুধু রাতটা একটু কষ্টে কাটবে তার কথা মনে করে না হয় ঘুমহীন কাটিয়ে দিবো তবু তো তার মায়াবী চোখের অশ্রু আমাকে দেখতে হবে না।কিন্ত জান্নাত আমি তোমাকে সত্যিই উজার করে ভালোবেসেছিলাম,না বলে চলে যাচ্ছি বলে আমাকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করবে তাতে বরং তোমারই লাভ হবে অন্য কাউকে ভালোবাসতে শিখতে পারবে। আমি না হয় তোমাকে দুর
থেকেই ভালোবেসে যাবো,
এভাবে ভালোবাসলে কেউ আমাকে বাঁধা দিতে না।ভালো থেকো তুমি,বাহ্যিক জগৎ থেকে তোমাকে বিদায় জানালাম কিন্ত মনের গহীন থেকে তোমাকে কোনদিন বিদায় জানাতে পারবো না এটা আমি বুঝে গেছি।
.

লেখা-Md Jasim uddin Shuvo (ক্ষুদ্র লেখক)

নয়টি থাপ্পড় অতঃপর ভালোবাসা
.
শেষ অংশ-অন্তিম পর্ব
জান্নাত অশ্রুসিদ্ধ চোখে বাসায় ফিরে তার রুমে নিজেকে বন্ধ করে রাখে।এদিকে তার বাবা করিম সাহেব তার মেয়ের এই অবস্থা দেখে অস্থির হয়ে যায়।
করিম সাহেব বার বার ডাকতে থাকে জান্নাতকে কিন্ত দুয়ার খুলে না খুলে নিরবে কাঁদতে থাকে। অনেকদিন ধরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে জমিয়ে রাখা ভালোবাসা একদিনে এভাবে হারিয়ে যাবে সে ভেবেই চোখের অশ্রুগুলো মৃত্তিকার বুকে বার বার পড়ছে অঝোর ধারার।
--মা আমার কথা একটু শুনো। এভাবে আর আমাকে আর কষ্ট দিয়ো না..করিম সাহেব।
--নিশ্চুপ।
--দরজা খুলো মা আমি যে
তোমার কষ্ট মেনে নিতে পারছি না।তোমার কিসের এতো কষ্ট আমাকে বলো আমি কথা দিচ্ছি আমার জীবন দিয়ে হলেও তোমার সুখ আমি ছিনিয়ে আনবো।
--তবু নিশ্চুপ..জান্নাত।
--তুমি জানো আমি হার্ডের রোগী, এভাবে আমাকে কষ্ট দিলো আমি যে তোমার আম্মুর মতো উপারে চলে যাবো তুমি জানো মা। তুমি আমার বেঁচে থাকার শেষ ভরসা তুমি এভাবে কষ্ট পেলে আমি কিভাবে থাকি বলো মা, দরজা খুলো আমাকে রক্ষা করো।
.
এবার আর জান্নাত থাকতে পারলো না দৌড়ে দরজা খুলে করিম সাহেবকে জড়িয়ে জোড়ে জোড়ে কাঁন্না করতে লাগলো আর মেয়ের
এ দৃশ্য দেখে করিম সাহেব নিজেও কেঁদে দিলো।গত ঊনিশটি বছর যে মেয়েকে একটুও চোখের পানি ফেলতে দেখেনি আর সে মেয়ে কিনা অঝোর ধারায় কাঁদছে,করিম সাহেব আর নিজেকে সামলিয়ে রাখতে পারলো না।
--দেখ মা তুই যখন দু-বছরের বাচ্চা একটা মেয়ে ঠিক মত কথা টুকু বলতে পারিস না তখনি তোর মা তোকে ফেলে আমাকে নিস্ব করে কাঁদিয়ে চলে গেল পরপাড়ে। তোর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি ২য় কোন বিয়ে করিনি তোর অযত্ন হবে বলে।
কারণ তুই ছিলি তোর মা আর আমার একমাএ আদরের সন্তান। তোর মা যখন শেষ বিদায়ের
সময় আমাকে বলে গেল যে,
তোকে যেন কোনদিন ও না কাঁদাই, সে থেকে আমি তোকে কখনো কাঁদতে দেই নি তুই ও কখনো কাঁদিসনি, আজ কেন এভাবে নিজে অশ্রু বন্যায় ভাবছিস আমায় বল,
না হলে যে তোর মাকে দেওয়া কথা ভুল বলে প্রমাণিত হয়ে যাবে,(করিম সাহেব কথাগুলো বলছে আর দু-চোখে অশ্রু ঝরছে)
--বাবা,ও চলে যাচ্ছে।
--কে চলে যাচ্ছে?
--শুভ।
--ঐ ছেলেটা,কিন্ত কেন চলে যাচ্ছে, কোথায় চলে যাচ্ছে,আর চলে যাচ্ছে তুই এভাবে কাঁদছিস কেন?
--আমি সবচেয়ে তোমাকে ভালোবাসি, তারপর পর শুভকে।শুভ ও আমাকে অনেক ভালোবাসে কিন্ত সমাজ,তোমার ভয়ে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন আমাকে ফেলে এই ইট-বালুর শহর ছেড়ে অনেক দুর চলে যাচ্ছে। আমি বাঁচবো না বাবা ওকে ছাড়া।
--কি এতো সাহস ঐ ছেলেটার আমার মেয়েকে কাঁদিয়ে এখন চলে যাওয়া হচ্ছে,হাত পা ভেঙ্গে তোর সামনে হাজির করবো এখনি।
--কিন্ত হাত-পা ভেঙ্গে গেলে তো তোমার মেয়ে আরো কাঁন্না করবে।
--তাহলে হাত-পা বেঁধে সারাজীবনের তোর হাতে দিলে হবে তো?
--জান্নাত লজ্জায় কিছু বলতে পারলো না।
--খোঁজ নাও শুভ কোথায় আছে?
.
জান্নাত শাকিলকে ফোন দিয়ে জানতে পারে শুভ সবকিছু গুছিয়ে রেল স্টেশনের দিকে রওনা হয়ে গেছে কিন্ত কোথায় যাবে তা শাকিল জানাতে পারে না।
জান্নাত তার বাবাকে এ কথা বললে তার বাবা স্টেশন মাষ্টারের কাছে ফোন দিয়ে জানতে পারে ট্রেন বিকাল ৪টার দিকে ছাড়বে আর এখন বাজে ৩টা ৩০মিনিট মানে হাতে আছে মাএ ৩০মিনিট এর মধ্যে যা করার করতে হবে। জান্নাত ও বাবা করিম সাহেব স্টেশনের দিকে ছুটলো।
.
এদিকে শুভ স্টেশনে পৌঁছে টিকেট সংগ্রহ করে বসে আছে।
শুভ জানে জান্নাত ফোন দিবে সেজন্য আগেই সিম কার্ডটা পাল্টিয়ে ফেলেছে, কি হবে পিছু টানে। তবু ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ছে মায়া মাখা মুখটার কথা ভেবে,এ মুখের দিকে শত কষ্ট ভুলে থাকা সম্ভব কিন্ত এ মায়া মাখা মুখটাকে ছেড়ে শুভ চলে যাচ্ছে অনেক দুরে। মনে পড়ছে মায়া মাখানো শহটাকে, এ শহরেই কাটিয়ে দিয়েছে র্দীঘ পাঁচটি বছর।এ শহরের প্রতিটি ধূলিতে মিশে আছে শুভর স্মৃতি জড়ানো কষ্টের ছাপ,এখন মিশে গেল কংক্রিকের চাপে পড়ে শুভর ভালোবাসার গোছানো বাগানখানি।
-কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই অশ্রু ধারা বইতে লাগলো শুভর আবার ভাবতে ভাবতে লাগলো
আমি কাঁদছি কেন,আমি নিজেই তো ইচ্ছা করে চলে এলাম আর এখানে এতো লোকের ভীড়ে
এভাবে কাঁদলে লোকজন কি ভাববে!
.
হঠাৎ পিছনে নরম হাতের স্পর্শে শুভ থমকে গেল পিছনে তাকিয়ে শুভ অবাক না হয়ে থাকতে পারলো না।একি জান্নাত এখানে কিভাবে জানলো আমি এখানে
চলে এসেছি!!!
--তুই এখানে??..শুভ
--আগে বলো তুমি কোথায় যাচ্ছো।
--ইয়ে মানে,এক বন্ধুর বিয়েতে। (শুভ বললো)
--তবে তোমার পানি কেন?
--চোখটার আজকাল কি যেন
হয়েছে যখন তখন পানি ঝড়ে ভাবছি এবার ডাঃ দেখাতে হবে।
--বাহ!! অভিনয়টা তো বেশ ভালোই করতে পারো দেখছি।
--কিসের অভিনয়??
--ঠাস!!
--এখন মারলে কেন?
--তুমি আমার সুখের জন্য আমাকে ছেড়ে অনেক দুরে যাবে না আর তাতেই আমি সুখি হবো তাই না!! আর এখন অভিনয়
করে বলছো বন্ধুর বিয়েতে যাচ্ছো আবার কষ্ট সইতে না পেরে অশ্রু ঝড়াছো কিন্ত আমাকে বলো চোখে সমস্যা হইছে ডাঃ দেখাতে হবে!!আর কত অভিনয় করবে আমার সাথে বলতে পারো?
--শুভ মাথা নিচু করে জান্নাতের কথাগুলো শুনছে কারণ এর উওর দেওয়া মত কোন ভাষা জানা
নেই শুভর কাছে।
.
এমন সময় করিম সাহেব
কাজী নিয়ে হাজির স্টেশনে।
--শুভ....করিম সাহেব
--জ্বী আক্কেল??ভয় পেয়ে
--আমার মেয়েটাকে অনেক কাঁদিয়েছো এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে।আর শাস্তিসরুপ তোমাকে এখনি জান্নাতকে বিয়ে করতে হবে,বাদ বাকী ব্যবস্থা আমি পরে দেখে নিবো।
--জ্বী আক্কেল আপনি কি বলছেন এসব!!
--আমার মেয়ের চোখের অশ্রু মুছে দিতে আমি সব কিছু করতে পারি।প্লীজ বাবা জান্নাতকে বিয়ে কর।আর খবরদার আমাকে
আক্কেল বলবে না এখন থেকে আমি তোমার শশুর আব্বা।
.
অতএব স্টেশনের মধ্যেই জান্নাত আর শুভর বিয়ে সম্পূর্ণ হলো।
--তোমাদের আজকের এই শুভক্ষণে আমার উপহার সরুপ এখান সোজা থেকেই রাঙ্গামাটিতে হানিমুনের ব্যবস্থা।সেজন্য ট্রেনের একটা পূরো কামরা বুক আছে রাঙ্গামাটি যাওয়ার জন্য।(বলা বাহূল্য জান্নাতের বাবা মানে করিম সাহেব এলাকার মধ্যে প্রভাবশালীদের মধ্য একজন এবং সম্মাণীয় ব্যক্তি সেজন্য স্টেশন মাষ্টারকে একটা কামরার জন্য অনুরোধ করায় দিয়ে দেয়)
.
অতঃপর ট্রেন চলছে তার আপন গতিতে।জান্নাত আর শুভ পাশাপাশি বসে আছে কেউ কথা বলছে না।এতো ব্যস্ততার মধ্যে শুভ খেয়াল করেনি জান্নাত যে তার দেওয়া হলুদ শাড়িটা পড়ে এসেছে,শুভর ঠোঁটে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
--হাসলে কেন??.জান্নাত
--আজকে এই শাড়িটা পড়লে কেন?
--তুমিই না বলছিলে আমার বিয়ের দিন এই শাড়িটা পড়তে।
--তুমি কি জানতে আজকে আমার সাথে তোমার বিয়ে হবে??
আমাকে যদি না পেতে তাহলে??
--জান্নাত কিছু বলতে পারলো না, দুচোখে তার অশ্রু খেলা করছে।
--এই তোমার হাতটা একটু ধরতে পারি??খুব ইচ্ছে করছে ধরতে, ধরতে দিবে?
--ঠাস!হাত ধরবে তা আবার
নিজ বউয়ের কাছে অনুমতি নেওয়া লাগবে,রেগে গিয়ে।
--না মানে তুমি যদি রাগ করো সেজন্য,আর এক কথা তোমাকে
কি একটু জড়িয়ে ধরতে পারি??
.
জান্নাত আবার যখন থাপ্পড় মারতে যাবে তখন,শুভ জান্নাতের হাত ধরে ফেললো অতঃপর বললো..
--দুদিনে অলরেডি নয়টি থাপ্পড় হজম করে ফেলেছি আর পারবো না।?
--কি কারণে থাপ্পড় দিয়েছি যদি বুঝে থাকো তাহলে এখন শুধু তোমাকে ভালোবাসা দিবো।দুজনে মিলে বানাবো বালুর চড়ে স্বর্গীয় বাসভবন,যেখানে থাকবে না
কোন ভালোবাসার অপূর্ণতা থাকবে শুধু নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। দুজনে কাছাকাছি কথাগুলো বলছে তারপর......
বাকীটা আপনারা বুঝে নিন আমার না লিখলেও চলবে।
তবে এতো কষ্টের ভালোবাসা অর্জন করেছে তারা,তাদের জন্য তো একটু দোয়া করতেই আমরা।
আসুন আমারা তাদের জন্য
দোয়া করি,ভবিষ্যতে তারা
যেন ১ডজন বাচ্চা-কাচ্চার বাবা-মা হতে পারে।
.
.
লেখা-Md Jasim uddin Shuvo
(ক্ষুদ্র লেখক)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ