āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2964

স্বপ্ন কণ্যা
.
প্রতিদিন শুভ বিকাল বেলা প্রায় এক ঘন্টা পায়ে হেঁটে সূরু পাকা রাস্তাটি ধারে যায় আর এদিক সেদিক তাকায় যদি তার স্বপ্নে দেখা সেই মেয়েটিকে একবার দু-নয়ন মেলে একবার দেখা যায়। কিন্ত ভাগ্যটা কতোই ভালো যে এ পর্যন্ত মেয়েটিকে একটিবারও দেখতে পারলো না শুভ।
অথচ শুভ প্রায় প্রতিটি রজনিতে মেয়েটিকে দেখতে পায় সেই পাকা সূরু রাস্তার ধারে এলো কেশে, মুক্ত পাখির ন্যায় ছুটে চলতে।
.
আজও শুভ সেই রাস্তার ধারে বসে আছে কিন্ত মেয়েটির দেখা নেই, তবে কি স্বপ্ন কখনো সত্যি হয় না??তবে কেন বার বার তার সামনে ভেসে বেড়ায় মায়া ভরা মুখটা,কেন নূপুরের আওয়াজে প্রতিটা মূহুত্বে পাগল হয়ে যাচ্ছে তার মন???
অনেক প্রশ্ন ঘুরাফেরা করছে তার মনে কিন্ত এ প্রশ্নের উওর তার কাছে সম্পর্ণ অজানাই রয়ে যাচ্ছে!
.
শুভ সিদ্ধান্ত নিলো আজ আর ঘুমাবে না মেয়েটিকে আর তার স্বপ্নের ক্যানভ্যাসে আঁকবে না, দেখবে না তার মায়াবী মুখের দুষ্ট হাসি,শুনবে না তার নূপুরের পাগল করা আওয়াজের প্রতিধব্নি।
কিন্ত ঘুমের কাছে হার মানতেই হলো শুভকে কারণ ঘুম রাজ যে তার খুবই কাছের কেউ সে অনুপাতে তার ফেলে ঘুম বাবাজি যায় কি করে।
শুভ পড়ার টেবিলেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল।
অতঃপর সে দেখতে পেলো সেই মেয়েটি নূপুর পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। হঠাৎ করে কোথা থেকে এক
দল মেঘ এসে পরিবেশটা অন্ধকার ছন্ন বানিয়ে দিলো এবং পরবর্তীতে বৃষ্টির আর্গমন ঘটে গেল। মেয়েটা দৌড়ে চলে যেতে লাগলো, তখন শুভর কানে শুধু নূপুরের ছনছন আওয়াজ ভেসে আসতে লাগলো।শুভ জোড়ে মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করলে ওপর প্রান্তে থেকে ভেসে এলো নূপুর! শুভ চিৎকার দিয়ে বললো
নূপুর দাঁড়াও,নূপুর দাঁড়াও।
.
---ঐ শয়তান রাত্রি বেলায়
কাকে এতো জোড়ে ডাকছিস!
আর মেয়েটা কে??তোর সাথে মেয়েটার সম্পর্ক কি বল?? ,,,,শুভর আম্মু।
--ইয়ে মানে স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখছিলাম আম্মু।(শুভ তার মায়ের ডাকে বাস্তবে ফিরে এসে বলল)
--কি তুই আজকাল স্বপ্নের মধ্যে প্রেম শুরু করে দিলি,কি ছেলে আমার বাস্তবে মেয়েদের দিকে তাকাতে সাহস না পেয়ে শেষমেষ স্বপ্নে!!!
--আম্মু তুমি এভাবে বলতে পারো না,আমি মেয়েদের ভয় পাবো কেন?
--হা তুমি তো আমার বাহাদুর ছেলে। তা স্বপ্নে দেখা মেয়েটা দেখতে কেমন রে?
--আম্মু তুমি না!!
--যা ছেড়ে দিলাম।কিন্ত আজকাল দেখছি অন্যরখম হয়ে গেছিস।বিকাল হলে কোথায় যেন চলে যাস,আগে তো এমন ছিলি না!!!
--সত্যি আম্মু আমি নিজেও জানি না আমায় কোন রোগে ধরেছে!
--এককাজ কর শুভ।তুই বরং কয়দিন তোর খালার বাড়ি থেকে ঘুরে আয় এতে ভালো লাগতে পারে।
--ঠিক আছে আম্মু।
(শুভর সবচেয়ে কাছের প্রথম বন্ধু হচ্ছে তার মা।শুনে অনেকে অবাক হতে পারেন কিন্ত বাস্তবে এটাই সত্যি। আর শুভর বাবা হলো দ্বিত্বীয়। শুভ তার আম্মুর এক কথায় খালার বাসায় যাওয়ার পিছনে একটা রহস্য লুকিয়ে আছে,সেটা তার স্বপ্নেদেখা নূপুরকে তার খালার বাসার সামনের সূরু রাস্তায় দেখে প্রতি স্বপ্নে।সেজন্য তার আম্মুর এককথায় খালার বাসায় যেতে রাজি হয়ে যায় শুভ)
.
খালার বাসায় দু-দিন ভালোই কাটলো রাতে স্বপ্নে আসেনি মেয়েটি, কিন্ত প্রতিদিন রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছে মেয়েটির জন্য। শুভ খালার বাসায় থেকেই কলেজ চালিয়ে যেতে লাগলো।
একদিন কলেজ থেকে ফেরার
সময় আকাশ মেঘে ঢেকে গেল, সাথে ঝিড়িঝিড়ি বৃষ্টি,গর্জনের ন্যায় বজ্রপাত।
শুভ ভিজতে ভিজতে বাসার কাছে,যেই না বাসায় যাবে তখনি রাস্তায় জমে থাকা সামান্য কাঁদায় পা পিছলে দু-পা দুদিকে। কাঁদায় মাখামাখি পিছন থেকে আবার অট্রহাসি,শুভ একরাশ বিরক্তি নিয়ে যেই না ধমক দিবে তখনি তার চোখ আটকে যায় মেয়েটির চোখের দিকে।
এ যেন হাজারো বছরের চেনা একজোড়া নয়ন, এলোকৈশি, বহুদিনের পরিচিত নূপুরের সেই ঝনঝন আওয়াজ।
কে এই মেয়ে???
.
শুভ কাঁদার মধ্যে বসে থেকেই কথাগুলো চিন্তা করছে।
তখন মনে পড়ে গেল স্বপ্নে দেখা মেয়েটার কথা।এটা নূপুর, কিভাবে সম্ভব,নানা চিন্তা এখন শুভর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। শুভ চেয়ে দেখলো তার থালতো বোন অনামিকা নূপুরের সাথে কথা বলছে,,
---ছেলেটা কে রে??দেখ কাঁদার মধ্যে বসে কেমন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে,জানি মেয়ে মানুষ কোনদিন দেখে নাই!!
পাগল নাকি??...নূপুর
---তাইতো!!ভাইয়া তো কোনদিন এভাবে মেয়েদের দিকে তাকায় না।
--ভাইয়া!! ঐ পাগল ছেলেটা তোর ভাই!
--ধুর বার বার পাগল বললিস নাতো।ভাইয়া সত্যি অনেক ভালো কিন্ত ভাইয়া নাকি প্রতিরাতে একটা মেয়েকে স্বপ্ন দেখে।তাকে স্বপ্নে দেখার পর থেকে ভাইয়া কেমন হয়ে যাচ্ছে তাই খালা আমাদের বাসায় ঘুরতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
--তা সেই স্বপ্ন কণ্যাটা কে??
--কি জানি! শুধু বলছে তার পায়ে নূপুর,চোখে হালকা কাজল,এলোকেশ। ভাইয়াটা কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে। আর মাঝে মাঝে আবোল তাবোল হয়ে যায়,এখন যে ভাইয়াটার কি হলো!
--ঠিক আছে এবার চল নদীতে গোসল করে আসি।
.
শুভ বুঝতে পারলো অনামিকা নূপুরকে আগে থেকেই চেনে তাই অনামিকার কাছ থেকেই ভালো করে খোঁজ নিতে হবে।বাসায় যাবার সাথে সাথে অনামিকার কাছে জানতে পারে, মেয়েটার নাম সত্যি নূপুর তারা ঢাকা থেকে তার মামা বাড়ি বেড়াতে এসেছে।অনামিকা আর নূপুর সমবয়সী বিধায় তারা খুবই একে অপরের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। একটুপর নূপুর অনামিকাকে ডেকে বললো,চল নদীতে গোসল করে আসি।অনামিকাদের শুভ যেতে চাইলে অনামিকা বাঁধা দিলো না।
.
কিছুদুর এসে অনামিকা নূপুরকে বললো তুই ভাইয়ার সাথে যা আমি একটু পর আসছি।
শুভ আর নূপুর হাটছে।শুভ নূপুরের সাথে কথা চাচ্ছে আবার ভয় ও পাচ্ছে।নূপুরি আগে কথা বললো..
--আপনার নাম কি??
--শুভ আর আপনার?
--শুধুই শুভ সামনে পিছনে কিছু নাই,আমি ইসরাত জাহান নূপুর।
--অনেক আগে থেকেই জানি আপনি নূপুর,আমার পুরো নাম মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন শুভ।
--কিভাবে জানেন আমার নাম নূপুর,আমি তো আপনাকে প্রথম দেখলাম।
--ইয়ে..মানে
--ইয়ে মানে আর আপনি ঘামছেন কেন?কোন সমস্যা?
--না মানে গরম পড়ছে তো।
--কি বলেন এই ঝিড়িঝিড়ি বৃষ্টির মধ্যে গরম লাগছে আপনার!
--ও তাই তো।
--তাহলে ঘামছেন কেন?
--এমনি।আচ্ছা এটা কিভাবে সম্ভব?
--কিসের কথা বলছেন?
--আমি আপনাকে কখনো বাস্তবে সামনে দেখিনি তবে কেন প্রতিরাতে আপনাকে ঘুমের ঘোরে দেখছি। জানেন স্বপ্নে আপনাকে যে সাজে দেখেছি ঠিক সেই সাজে বাস্তবে দেখতে পেলাম,এটা কিভাবে সম্ভব বলতে পারেন।আমি বাস্তবে ভালোবাসার মানে বুঝি নাই কিন্ত স্বপ্নে যেদিন আপনাকে দেখতে পেলাম তখন থেকেই আমার পুরো পৃথিবীটা পাল্টে যেতে লাগলো,কেন বলতে পারেন?
আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আমি আপনাকে বাস্তবে দেখছি না ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখছি। কিছু বলছেন না কেন??
---কি বলবো বা কি করবো?
--একটা চিমটি কাটবেন?
--কেন?
--বুঝতে চাইছি যে আমি স্বপ্নে আছি না বাস্তবে আছি।
--ঠিক আছে।
--ওমা! এতো জোরে কেউ চিমটি কাটে! মাংস খাননি কখনো মনে হয় সেজন্য মাংস কেটে নিয়ে গেলেন।
--না খাইনি এখন থেকে খাব। চিমটি খেঁয়ে ফলাফল কি দাঁড়ালো?
--পুরাই বাস্তবে আছি বলেই শুভ নূপুরের হাতটা ধরলো এবং বললো আমি আর তোমাকে স্বপ্ন দেখতে চাইনা।আমি তোমাকে আমার বাস্তব জীবনের পথ চলার সঙ্গী হিসাবে পেতে চাই সারাজীবন। তোমার হাত ধরে জ্যোৎস্না রাতে আকাশের তারা দেখতে চাই, গোধূলী লঘনে তোমার কোলে মাথা রেখে নৌকায় ভেসে হারিয়ে যেতে চাই,তোমার হাত ধরে মৃত্তিকার বুকের উপর সবুজ ঘাসের সরু পথ দিয়ে হেঁটে যেতে চাই অনেক অনেক দুর।আচ্ছা আমার এই ক্ষুদ্র চাওয়া কি আপনি পূরণ করবেন।
--না পারবো না।
--কেন??,,,মূহুত্বে উজ্জল মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল শুভর।
--কাছের মানুষকে কি কেউ
আপনি ডাকে?? যদি তুমি বলে ডাকো তাহলে চেষ্টা করতে পারি।
--তাহলে আমি তুমি করে একবার কেন হাজারবার বলবো তুমি করে।
--তাহলে এবার প্রপোস কর।
--কিন্ত কি দিয়ে করবো?
--জানি না।
--শুভ দেখতে পেলো রাস্তার পাশে কলমি ফুল সেটি তুলে এনে নূপুরের কাছে হাঁটু গেড়ে ফুলটি সামনে দিয়ে শুভ বললো,,,
তুমি কি আমার মনের আঙ্গিনার ছোট বাগানের মালিনী হবে। যেখানে তুমি সারাদিন আনন্দে ঘুড়াফেরা করবে,আমার মনের ফুটে থাকা প্রতিটি ফুলের যত্ন করবে বিনিময়ে তোমার উপহার হিসাবে থাকবে আমার অঘাত নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।এ ভালোবাসা কখনো ফুড়াবে না বরং রাত শেষে উজ্জ্বল আলোর ন্যায় বাড়তে থাকবে। ধরতে দিবে কি তোমার হাতটা???
--যদি একবার এই হাতটা শক্ত করে ধরতে পারো তবে কখনো ছাড়তে চাইলেও দিবো না ছাড়তে। ভালোবেসে ঘর বাঁধবো কখনো যাবো না ছেড়ে কথা দিলাম,
যদি শক্ত করে ধরো হাত।
--অবশেষে আমি পাইলাম আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমাড়িকে। কাছে পেয়ে ভালোবেসে হাতটা ধরলাম কখনো দিবো না ছেড়ে। অতঃপর শুভ আর নূপুর দুজন দুজনার হাতটা ধরে সুরু পথ দিয়ে হাটতে লাগলো।শুধু হলো তাদের নতুন পথ চলা।
এভাবেই চলুক তাদের ভালোবাসা।
বিঃদ্রঃ এ ধরনের ভালোবাসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবেন না। কিন্ত সত্যিকারের ভালোবাসা বেঁচে থাকুক চিরকাল যুগযুগ ধরে।
.
লেখা-Md Jasim uddin Shuvo
(ক্ষদ্র লেখক)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ