"স্নেহহীন অনুরাগ"
.
.
অাকাশের তারাগুলো ঝিলমিল জ্বলছে। বিষাদমুক্ত অাকাশে চাঁদের হাসিটা অনাবিল।
অন্ধকারাচ্ছন্ন চারপাশে ঝিঁঝি পোকা ঝি-ঝি শব্দে গান গাইছে। রাতের অন্ধকারে ডুবে থাকা শহরটি এখন ঘুমন্ত।
এই ঘুমন্ত শহরের প্রতিটি মানুষ তার ক্লান্ত অবষণ্ণ শরীরটা বিছানায় বিলিন করে দিয়েছে। চোখ দুটো হারিয়ে গেছে নিগূঢ় ঘুমের রাজ্যে।
তবে জেগে অাছে কিছু রাত জাগা মানুষ গুলো, সেই মানুষগুলোর চোখে ঘুম নেই। তাদের নীর্ঘুম রাত গুলো কেটে যায় বিষাক্ত নিকোটিনের মগ্নতায়।
অামিও এর ব্যতিক্রমী নই, অামার প্রতিটি রাত কেটে যায় নিকোটিনের ধোয়ার সঙ্গে।
বাসার ছাদে বসে পুরো রাত এই ঘুমন্ত শহরটি দেখতে অামার এক অদ্ভুত ভালো লাগে।
.
বসে অাছি ছাদের পূর্ব পাশের একটি বেঞ্চে, বরাবরের মতই নিকোটিনে মগ্ন অামি। নিকোটিন ছাড়া যেন এই রাত অামার কাছে মূল্যহীন। অাজকের এই রাতটা অামার কাছে ব্যতিক্রমী লাগছে। প্রতিটি মানুষের জীবনে নাকি এই রাতটি একবারের জন্য অাসে, এই রাত দিয়েই নাকি শুরু হয় দুটি জীবনের পথচলা।
শুনেছি মানুষ নাকি এইরাতকে ঘীরে অনেক স্বপ্ন বোনা শুরু করে। এই রাতের প্রতিটি মুহূর্ত নাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে অামার কাছে এই রাতের কোনো গুরুত্ব নেই।
হয়তো এই রাতটি অামার কাছে অাজ অবহেলিত।
.
লাল বেনারসিতে এক অপরিচিতা আমার অপেক্ষায় অামার ঘরে বসে অাছে, সদ্য বিয়ে করা মেয়েটির নাম সমাপ্তি। হয়তো ঘরের দরজার পানে তাকিয়ে অাছে কখন অামি সেই দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করবো। কিন্তু অামি অাদৌ কি সেই ঘরে প্রবেশ করবো? সেই ইচ্ছে কি অামার মাঝে অাছে? হয়তো নেই।
অামি কখনো চাইনি অামার এই নিষ্প্রাণ জীবনে কারো সুন্দর একটি জীবনকে জড়িয়ে সেই জীবনটিকেও বিলুপ্তের পথে ঠেলে দিতে।
কিন্তু পবিরারের চাপ অার বাবার বয়সের কাছে পরাজিত হয়ে অবাধ্য ছেলে অামি বাধ্য হয়ে বিয়েটি করেছি।
.
রাত প্রায় অনেক হয়েছে, দু-চোখে ঘুমের পরিভ্রমণ।
হয়তো সমাপ্তি অামার জন্য অার অপেক্ষায় বসে থাকেনি, হয়তো সমাপ্তি হারিয়ে গেছে ঘুমের গভীরতায়।
তাই অামি ছাদ থেকে একপা দুপা করে রুমে চলে গেলাম।
রুমে গিয়ে দেখলাম সমাপ্তি গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে অাছে। সমাপ্তির ঘুমন্ত চেহারাটি কি সুন্দর, যেন এক ডানাকাটা পরী অামার বিছানায় পরে অাছে।
জানালার ভাঙ্গা কাচ দিয়ে এক টুকরো জোসনা এসে সমাপ্তির চেহারার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে হাজার গুন।
অন্য কেউ হলে হয়তো মুহূর্তেই সমাপ্তির প্রেমে পড়ে যেত, কিন্তু অামি পড়লাম না। সব কিছু অগ্রাহ্য করে সমাপ্তির পাশে শুয়ে পড়লাম।
কিছুক্ষণ পর অামিও অচেতন হয়ে গেলাম গভীর ঘুমে।
.
সকালের ঘুমটা ভাঙ্গলো অন্যভাবে, যেটা অামি কখনো অামি প্রত্যাশা করিনি।
সমাপ্তি ঘুম থেকে উঠে গোসল শেষ করে ভেজা চুল নিয়ে অামার কানের কাছে কি যেন বলছিলো।
অামি ভেজা চুলের ঘ্রাণ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম, সমাপ্তির চোখে চোখ পড়তেই ভয় পেয়ে সমাপ্তি বিছানার পাশে বসে গেলো।
মুহূর্তেই অামার চোখ দুটো লাল বর্ণে ধারন করলো, সেটা দেখে সমাপ্তি অারো বেশি ভয় পেতে লাগলো।
সে মনে মনে ভাবতে লাগলো অামি হয়তো তার গায়ে হাত তুলবো, তাকে মারবো।
কিন্তু না, এর কিছুই অামি করলাম না। অামি সেই অাবারও ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
এভাবেই কেটে গেলো সাতটি মাস, এই সাত মাসে অামি সমাপ্তিকে ছুঁয়েও দেখিনি।
ছুয়ে দেখবো তো দূর, ঠিক মত ওর সাথে কথা পর্যন্ত বলিনি।
এ নিয়ে হয়তো ওর মন অাকাশে দুঃখরা অানাগোনা করছিলো, তবে অামার কিছুই করার নেই।
কিন্তু সমাপ্তির মন অাকাশে যে দুঃখের অানাগোনা সেটা ওকে দেখে বুঝা প্রায় দুস্কর।
সমাপ্তিকে দেখলে বুঝা যায় সে অনেক সুখে অাছে এই বিবাহিতা জীবন নিয়ে।
অামি ভেবেছিলাম এ নগরীতে অামার মত অভিনেতা দ্বিতীয় কেউ নেই।
কিন্তু সেটা ভুল প্রমাণিত করে দিলো সমাপ্তি। সে অামার থেকেও বড় অভিনেতা।
.
বাড়ির পূর্ব পাশে মসজিদের মাইক থেকে যখন মুয়াজ্জিনের মধুর কন্ঠ থেকে ফজরের অাজান শোনা যায় তখন সমাপ্তি বিছানা ছেড়ে মায়ের ঘরে চলে যায় মাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে নামাজের জন্য। বাবাকে মসজিদে যাওয়ার জন্য।
সকাল হলে বাবার জন্য রঙ চা এবং অামি না চাওয়া শর্তেও অামার জন্য কফি।
ছোট বোনের জন্য টিফিন তৈরি করা এবং সবার জন্য নাস্তা বানানো, এসব তার প্রতিদিনকার রুটিন।
সবসময় হাসিখুশি থাকে, বাবা মা সমাপ্তির মত একটি মেয়েকে ঘরের বউ হিসেবে পেয়ে অনেক খুশি।
কিন্তু অামি পেয়েও যেন কিছুই পাইনি।
কারো শূন্যতা অামাকে ঘীরে রাখে প্রতিনিয়ত।
প্রথম প্রথম সমাপ্তির ইচ্ছে হতো অামি কেন তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করি সেটা জানার। কিন্তু এখন অার হয়তো সেই ইচ্ছেটা অার হয়না।
সমাপ্তি হয়তো ধরেই নিয়েছে এটাই জীবন, এটাই নিয়তির খেলা।
.
হঠাৎ একদিন মাঝ রাতে সমাপ্তির বোমি বোমি ভাব হলো, সমাপ্তি বিছানা ছেড়ে বেলকনিতে বসে বোমি করার চেষ্টা করলো।
অামি তখন জেগেই ছিলাম, কিছুক্ষণ পর লক্ষ করলাম সমাপ্তি বোমি করেছে। এবং বোমি করার পর নিজেকে অনেকটা হাল্কা অনুভব করছে। সমাপ্তি অাবার নিজেকে বিছানায় অাবিস্কার করলো।
অামি বিস্মিত হলাম হঠাৎ কেন ওর বোমি হবে? তার মানে কি ও?? নাহ্ নাহ্ এ অামি কি ভাবছি।
সকালে নাস্তার টেবিলে যখন অামরা সবাই নাস্তা করতে বসলাম তখন হঠাৎ করেই মা সমাপ্তিকে প্রশ্ন করলো।
.
-কিরে মা শরীর খারাপ?
.
-না অাম্মু অামি ঠিক অাছি
.
-দেখে তো বোঝা যাচ্ছে তোর শরীর খারাপ, মায়ের কাছে মিথ্যে বলিস?
.
-না মা, অাসলে রাতে বোমি করেছিলাম একবার।
.
হঠাৎ করেই মা এবং বাবা দুজনের মুখই চক চক করে উঠলো, মুহূর্তেই তারা দুজন খুশিতে যেন অন্য কোথাও হারিয়ে গেলো। অামি স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই নাস্তা করছি। একটুও বিচলিত হইনি।
মা হঠাৎ হাসি মুখে বললো
.
-কিরে নীল তুই তো বাবা হচ্ছিস রে
.
মায়ের কথা শুনে অামি হাসলাম, যে মেয়েটিকে অামি ছুঁয়েও দেখিনি সে মেয়েটির অস্তিত্বে এক অনাগত শিশুর অস্তিত্ব কিভাবে অাসবে?
অামার মুখে হাসিটা বিদ্যমান, অামার হাসি দেখে অনেকদিন পর সমাপ্তিও হাসলো। তবে অামার মতই তার হাসিটায় ছিলো শুধুমাত্র বাবা মা দুজনকে খুশি করার প্রচেষ্টা।
নাস্তা শেষ করে যখন অামি উঠে দাড়ালাম ঠিক তখনই সমাপ্তি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়লো।
অামি ধরার অাগেই মা সমাপ্তিকে জড়িয়ে ধরে অামাকে বললো পানি দিতে।
অামি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি দিতেই মা সমাপ্তির মুখে পানি ছিটা দিলো, সাথে সাথে সমাপ্তি চোখ খুলে তাকালো।
বাবা মা এবং অামি তখর স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম।
.
কিছুক্ষণ পর অামি সমাপ্তিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।
ডাক্তার সমাপ্তির শরীর চেক-অাপ করে রিপোর্ট দেখা শেষ করে অামার দিকে রিপোর্ট টি বাড়িয়ে দিলো।
অামি রিপোর্ট দেখে বুঝলাম সমাপ্তির কিছুই হয়নি এবং সকালে মা যেটা নিয়ে খুশি হয়েছিলো সেটার কোনো চিহ্ন তার অস্তিত্বে নেই।
অামি অাগ্রহ সহকারে ডাক্তারকে জিজ্ঞাস করলাম অজ্ঞান হওয়ার কারণ কি।
অামার প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার বললেন।
.
-অাপনার স্ত্রী ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করেনা, এবং ঘুমটাও হয়তো ঠিক মত হয়না। যার কারণে এমনটি হয়েছে।
অামি কিছু ঔষদ লিখে দিচ্ছি ঔষদ গুলো নিয়মিত সেবন করতে হবে তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
অার মিঃ নীল স্ত্রীর যত্ন নিবেন অাশা করি।
.
ডাক্তারের কথা শুনে সমাপ্তি দ্বীর্ঘশ্বাস নিলো। সেই দ্বীর্ঘশ্বাসে জড়িয়ে অাছে ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অার্তনাদ।
অামি উঠে দাড়িয়ে ডাক্তারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তিকে নিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে অাসলাম।
হাসপাতালেরই ফার্মেসী থেকে থেকে প্রেসক্রিপশনের ঔষদ গুলো নিলাম।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে একটি রিক্সা ধরলাম।
রিক্সায় উঠার পর সমাপ্তির মুখ থেকে হঠাৎ প্রশ্ন শুনে অামি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম।
.
-একটা কথা বলবেন অামাকে?
.
অামি হ্যা সূচক মাথা নাড়লাম।
.
-অামাকে কেন স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন? কি দোষ অামার কেন অামি অাপনার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত?
.
বলেই সমাপ্তি একটি দ্বীর্ঘশ্বাস নিয়ে অামার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো উত্তরের অাশায়।
কিন্তু অামার নিরাবতা বলে দিচ্ছিলো এর উত্তর অামার কাছে নেই, তাই চোখ অাড়াল করে নিলো সমাপ্তি।
তবে অামার কাছে এর উত্তর অাছে, অনেক দ্বীর্ঘ একটি উত্তর।
ভাবলাম এখনই সব কিছু সমাপ্তিকে খুলে বলি, কিন্তু সমাপ্তির দৃষ্টি অন্য দিকে। হয়তো অামাকে সে ঘ্রিনা করা শুরু করেছে।
অাচ্ছা পৃথিবীর কোনো স্ত্রী কি তার স্বামীকে ঘ্রিনা করবে যদি সে স্বামী অামার মত হয়?
.
বাসায় ফিরলাম, অাজ প্রথম অামি সমাপ্তিকে নিজ হাতে খাইয়ে দিলাম।
যখন অামি সমাপ্তিকে খাইয়ে দিচ্ছিলাম তখন সমাপ্তির চোখ থেকে ক্রামগত অশ্রুপাত হচ্ছিলো। হয়তো সেটা খুসির, হয়তো অানন্দের।
বিছানায় সমাপ্তি অামার কাধে মাথা রেখে শুয়ে অাছে। অন্যদিন হলে হয়তো অামি বিরক্ত হতাম, চোখ দুটো লাল বর্ণ হয়ে যেত।
কিন্তু না অাজ অার সেইসব কিছুই হচ্ছেনা। অামার ইচ্ছে করছে ঠোট দিয়ে ওর কপালটা ছুঁয়ে দিতে, ভালোবাসার রেখা অঙ্কন করে দিতে। কিন্তু অামি হয়তো সেটা পারবো না। অামার অবচেতন মনে সেই সাহস টুকু নেই।
.
চোখ বন্ধ করে অামার কাধে মাথা রেখে সমাপ্তি শুয়ে অাছে, অামি জানি সমাপ্তি ঘুমায়নি।
অামি অপেক্ষা করছিলাম সমাপ্তির মুখে সেই প্রশ্নটা দ্বিতীয়বার শোনার জন্য। কারণ সেই প্রশ্নের উত্তর অাজ অামি সমাপ্তিকে দিব।
কেন তাকে অামি স্ত্রীর অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করেছি সেটার কারণ গুলো অাজ অামি ওকে সব বলবো।
অামার অপেক্ষাটা ক্রমাগত দ্বীর্ঘ হতে লাগলো। হয়তো সমাপ্তি ঘুমিয়ে পড়েছে।
অামি সমাপ্তির কপালের চুল গুলো হাত দিয়ে কপাল থেকে সরিয়ে দিতে লাগলাম। ঠিক তখনই হঠাৎ করে সমাপ্তি চোখ খুললো। সাথে সাথে অামি হৃদপিন্ডের কম্পনে অনুভব করলাম ভয়ের মাত্রা।
অামি সমাপ্তির চোখের দিকে তাকালাম, লক্ষ করলাম তার দুচোখে মায়া জড়িয়ে অাছে। জড়িয়ে অাছে কাউকে ভালোবাসার এক প্রবল ক্ষমতা।
.
ঘরে শুনশান নিরাবতা, দুজনেই নিশ্চুপ, কিছুক্ষণ পর পর আমাদের দুজনের চোখে চোখ পড়ছে। যখন চোখাচোখি হচ্ছে তখন লজ্জায় অামরা দুজনই দৃষ্টি অাড়াল করে নিচ্ছি।
হঠাৎ অামার অপেক্ষার সমাপ্ত ঘটালো সমাপ্তি।
সকালের সেই প্রশ্নটা অাবার করলো সে, কেন অামি তাকে স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করছি।
অামি একটি দ্বীর্ঘশ্বাস নিয়ে নিজেকে হাল্কা করে নিলাম।
তারপর বলতে লাগলাম অামার জীবনে অাসা একটি মেয়ের গল্প, যে মেয়েটিকে অামি খুব ভালোবাসতাম।
মেয়েটির নাম ছিলো "নীলা"।
.
অাধ-ঘন্টা ধরে অামি নীলার সব কিছু সমাপ্তিকে খুলে বললাম, সব শুনে সমাপ্তির চোখে অশ্রুবর্ষণ শুরু হলো।
অামার চোখ দুটোও অশ্রুসিক্ত হয়ে গেছে।
.
-একটা মানুষ কাউকে এতটা ভালোবাসতে পারে সেটা অাপনাদের দুজনের গল্পটা হয়তো না শুনলে অামি বুঝতে পারতাম না। (সমাপ্তি)
.
অামি একটি দ্বীর্ঘশ্বাস নিলাম
.
অাচ্ছা মেয়েটির কি হয়েছিলো? (সমাপ্তি)
.
-ব্লাড ক্যান্সারে অাক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে (অামি)
.
সমাপ্তি একটি দ্বীর্ঘশ্বাস নিলো, দ্বীর্ঘশ্বাস নিয়ো বললো
.
-নীলার যায়গায় অামাকে বসানো যায়না? কথা দিচ্ছি অামার ভালোবাসা দিয়ে অামি অাপনার সব অতীতকে মুঁছে দিব।
.
-(অামি নিশ্চুপ)
.
-কি একটি সুযোগ কি অামাকে দেয়া সম্ভবকর হবেনা?
.
অামি হাসলাম, দ্বীর্ঘ চার বছর পর অামি মন খুলে একটু হাসলাম।
নাহ্, এ হাসিতে কোনো অভিনয় লুকিয়ে ছিলোনা। ছিলোনা কাউকে খুশি রাখার প্রচেষ্টা।
অামি সাথে সাথে সমাপ্তিকে জড়িয়ে ধরলাম, সে অামার বুকে মাথা লুকিয়ে রেখে হু-হু করে কেঁদে উঠলো।
অামি সমাপ্তির মাথাটা বুকের মাঝে চেপে ধরলাম। অনুভব করতে দিলাম অামার বুকের হৃদস্পন্দনের ভালোবাসি শব্দটি
.
সমাপ্ত।
.
লেখাঃ Arif Mahamud
(Silent Writer)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŽāĻ্āĻāϞāĻŦাāϰ, ā§Š āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2877
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§Ļā§Ž PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ