āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§Š āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2876

.

       গল্পঃ  " অদৃশ্য বন্ধন"
                    জায়েদা সিদ্দিকা

মেয়েটির নাম ছিল অনামিকা। সবাই ওকে অনু বলে ডাকতো। মেয়েটি বিবাহিতা। চাকুরীজীবী। কর্মক্ষেত্রে মেয়েটি ছিল সকলের মধ্যমণি। আর হবেই বা না কেন...!! মেয়েটি ছিল, প্রাণবন্ত, ছটফটে, চঞ্চল!  কর্মক্ষেত্রে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো।
কাজে অলসতা ছিল না। দক্ষতার সাথে সমস্ত কিছু ম্যানেজ করতো। তাই বসও মেয়েটিকে বেশ স্নেহের চোখে দেখতেন।
সহকর্মীদের  সাথেও মেয়েটির সম্পর্ক  ছিল বন্ধুর মত।

লম্বা, শ্যামবর্ণ  মেয়েটিকে
যে দেখত, সেই পছন্দ করতো!  করবেই বা না কেন....!!? তথাকথিত সুন্দরী না হলেও, মেয়েটির চেহারাটা ছিল খুব মায়াবী।  আর ব্যবহারটাও ছিল চমৎকার।
মেয়েটি সাবলীল ভাবে সবার সাথে মিশতে পারতো...!

ব্যক্তিগত জীবনে একটিমাত্র পুত্র সন্তানের জননী, অনুর ব্যবসায়ী স্বামী  তাকে খুব ভালবাসতো। সুখি দম্পতি হিসাবেই তারা সমাজে পরিচিত ছিল।
আধুনিক জীবনযাত্রা এবং পারিবারিক রক্ষণশীলতার মাঝে তাদের জীবনের দিনগুলো বেশ ভালোই কেটে যাচ্ছিল।

একদিন সহকর্মীদের সাথে গল্প করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুক নিয়ে কথা হচ্ছিল। আধুনিক মানসিকতার মেয়ে অনুর ফেইকবুকের প্রতি অনীহা শুনে সহকর্মীরা তাকে নিয়ে খুব হাসাহাসি করে।
অনু লজ্জা পায়, একটু বুঝি কুন্ঠিতও হয়! অনেকটা জিদের বশেই অনু ফোন কিনে ফেইস বুকে আই ডি খুলে নেয়।
কিন্তু প্রথম দিকে অনু বেশ ভয়ে ভয়ে থাকত। পরিচিত লোক ছাড়া কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতো না...

বেশ কিছু দিন পর, অনেক গুলো রিকোয়েস্টের মাঝে "অহিদুর অন্ত" নামে একটি আইডি থেকে অনুর কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে।  কিন্তু নিজ জেলার  নাম দেখেও ,পরিচিত নয় বলে অনু লোকটির রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করা থেকে বিরত থাকে!

অনু অবসর সময়ে অন্যদের প্রোফাইলে ঢুকে তাদের দেয়া পোস্টগুলো পড়ে। গল্প পড়তে অনুর বেশ ভালোই লাগে। এমনই একদিন অন্ত 'র প্রোফাইলে ঘুরতে গিয়ে অন্ত'র লেখা  বেশ  কিছু গল্প পড়ে অনু। সেখানে অন্ত ' র আত্মজীবনী নিয়ে লেখা একটা গল্প, অনুকে খুব আকৃষ্ট করে। অনু গল্প পড়ে মুগ্ধ হয়ে অন্ত' র রিকোয়েস্ট একসেপ্ট  করে নেয়।

এরপর থেকেই অনু অবসর পেলেই অন্ত' র প্রোফাইলে ঢুকে গল্প পড়ত। অন্ত নামের ছেলেটি ছবি আঁকতে বেশ পছন্দ করতো। গল্প আর তার লেখা কবিতায় ছেলেটার প্রোফাইলটা সমৃদ্ধ ছিল।
এছাড়াও বিভিন্ন দর্শনীয় সুন্দর স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াতো সে, আর ছবি তুলতো। তারপর সেগুলো তার টাইমলাইনে পোস্ট করে দিতো। অনু সেগুলো দেখতো এবং মুগ্ধ হতো!!
আর সেগুলোতে লাইক দিতে এবং সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করতেও তার ভুল হতো না।  এভাবেই একদিন অন্ত তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর কমেন্ট বক্সেই তাদের টুকটাক কথা চলতে থাকে।

একদিন রাতে অন্ত,
অনুর ইনবক্সে নক করে...

অন্তঃ  হ্যালো,,,,,,
কেমন আছেন, আপনি?

অনুঃ  এই তো ভালো। আপনি কেমন আছেন?

অন্তঃ আমিও ভালো আছি।

অনুঃ  আচ্ছা, আপনি এত সুন্দর গল্প কি করে লিখেন, বলুন তো?

অন্তঃ  (অন্ত যেন একটু লজ্জিত হয়ে বলে..)
কোথায় আর ভালো লিখলাম বলেন..!?

অনুঃ  আমি যে আপনার লেখা, আর আপনার তোলা ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই...!!

এভাবেই শুরু হয় তাদের কথোপকথন।
অনু জেনে নেয়, অন্ত এখনও অবিবাহিত। প্রথম সারির একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সে এখন একটা প্রাইভেট ব্যাংকের উচ্চপদস্থ অফিসার হিসাবে কর্মরত আছে। আর তার বর্তমান পোস্টিং খুলনাতে!!
তেমনিও অন্ত'ও অনুর  কাছ থেকে তার সংসার,  স্বামী, সন্তান সম্পর্কে সব কথা জেনে নেয়।

এভাবেই দুজনের মাঝে সুন্দর একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মাঝেই তাদের মধ্যে কথা হয়, বিভিন্ন ব্যাপারে গল্প হয়। দেখতে দেখতে দিনের পর দিন, এরপর মাসের পর মাস কেটে যায়।

অনু খেয়াল করে, অন্ত শুধু ভালো লেখেই না, তার ব্যক্তিত্বটাও আকর্ষনীয়..! তাদের দুজনের আলোচনায় কখনও কোন আপত্তিকর কথা ওঠে  না। তবে তাদের ব্যস্ত জীবনের অল্প সময়ের কথায় দুজনেই খুব আনন্দ পায়...
অনুর খুব ভালো লাগে অন্ত'র সাথে কথা বলতে, তেমনি অন্ত'রও....

কথা বলার এক পর্যায়ে অনু আবিষ্কার করে যে, অতীতে ফেলে আসা তার প্রিয় মানুষটির সাথে, ব্যক্তিত্বে কথায়, কৌশলে, ধৈর্যে অন্ত' র অনেকটাই মিল রয়েছে! উতলা হয়ে ওঠে অনু! ব্যাপারটা তার অস্তিত্বকে নাড়া দেয়।

দীর্ঘ এক যুগ যাকে গোপনে বুকে লালন করে আসছিলো, হঠাৎ সে মূর্ত হয়ে ওঠে। অনু ভয় পায়। সে অন্ত' র কাছ থেকে  নিজেকে গুটিয়ে নিতে চায়। কিন্তু কেন, অন্ত সেটার কোন কারণ জানে না...
অনুর নিজেকে এভাবে  গুটিয়ে নেয়া, অন্তকে খুব আঘাত করে।
.

অন্ত' র প্রকৃতিটা যদিও খুব কঠিন ছিল, তবুও সে অনুকে মিস করতো, খুব বেশিই মিস করতো।
মুখ ফুটে কিছু বলতো না, তবে অনুর সান্নিধ্যটা ঠিকই মন থেকে চাইতো।
ওদিকে অনুও দোটানায় দুলতে থাকে। সেও ভীষণ মিস করে অন্ত কে। কিন্তু যতবারই অন্ত'র সাথে মেসেজে কথা বলে, ততবারই তার অতীত তার সামনে এসে দাঁড়ায়। ওর অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে! ও বুঝে উঠতে পারে না,,,,,
ও' কি অন্ত'র বন্ধুত্বকে মিস করে,,,
না কি ওর ফেলা আসা অতীত ওকে টানে..!?
প্রতিটা মুহূর্তে দ্বিধাদ্বন্দে জর্জরিত আর ক্ষত বিক্ষত হতে থাকে  অনু!
সুখ, শান্তিতে পরিপূ্র্ণ নিথর জীবনটায় হঠাৎ ওঠা ঢেউয়ে অনুর স্বাভাবিক দিনগুলো এলোমেলো হয়ে যায়!!!!
সিদ্ধান্তহীনতা এবং কষ্টের বেড়াজালে ক্রমশঃ জড়িয়ে যায় অনু। বুঝে উঠতে পারে না, কি তার করা উচিত!! সে কি অন্ত' র সাথে তার বন্ধুত্বটা  কন্টিনিউ করবে,,,,,
না কি অন্ত' র জীবন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেবে!!
অনু এখন আর আগের মত কথা বলে না অন্ত' র সাথে। কখনও কখনও অন্ত' র পাঠানো মেসেজ গুলো সীন করে, রিপ্লাই না দিয়েই অনু মাঝে মাঝেই ফেসবুক থেকে বের হয়ে যায়।

ওদিকে অন্ত' র কষ্টের মাত্রাটা দিন দিন বাড়তেই থাকে।। ও বুঝে  উঠতে পারে না, দুজনের স্বাভাবিক বন্ধুত্বে আজ হঠাৎ কেন এই কালো মেঘের ঘনঘটা.!?
ভেতরে ভেতরে অনুর সান্নিধ্যের জন্য অন্ত অস্থির হয়ে ওঠে।
ওদিকে হঠাৎ বেড়ে ওঠা দূরত্বটা দুজনকে মনের দিক থেকে আরও কাছাকাছি এনে দেয়।
অন্ত' র আবেগ এবং অভিমানে ভরা মেসেজগুলো অনুকে চোখের জলে ভাসায়। কিন্তু অনু এগুলোর কোন উত্তর দেয় না।

এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। অনেক ভেবে একদিন রাতে মনটাকে শক্ত করে মোবাইলে লগইন করে অনু। বুক ফুঁড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে তার। "ভালো থেকো, অন্ত"-----  মনে মনে কথাটা বলে অকম্পিত হাতে ওর ফেসবুক আইডিটাকে ডিএকটিভ করে দেয় অনু।
কোন ঠিকানা না রেখে বিশাল জনসমুদ্রে হারিয়ে যায়, ও...!!!

প্রতিদিনকার অভ্যাসমত অফিস থেকে ফিরে, খাওয়া দাওয়া সেরে  বেশ রাত করে মোবাইলটা নিয়ে বসে অন্ত। প্রথমেই অনুর ইনবক্সে ঢোকে।
কিন্ত হায়!!! 
যে নামটির পাশে এই সময়টায়, সবুজ বিন্দুটি জ্বল জ্বল করে জ্বলত, সেটি আজ আর নেই। কালো হয়ে রয়েছে নামের জায়গাটাও...!!!
বুকটায় মোচড় দিয়ে ওঠে ওর।  দুচোখে জল আসে না, তবে চোখ দুটো জ্বালা করে..!!  অনেকগুলো প্রশ্ন জাগে ওর মনের গভীরে---,,,
কেন এবং কোথায় হারালো অনু..!? কেন জানালো না ওকে...!!?
এই বিশাল জনারণ্যে ওকে এখন  কোথায় খুঁজবে  অন্ত !? ওর কাছে যে অনুর মোবাইল নাম্বারটাও নেই, নেই অনুর বাড়ির ঠিকানাও....!!
প্রতিদিন গভীর রাতে, একবার হলেও অনুর ইনবক্সে ঢোকে অন্ত। মনে ভীরু আশা..
হঠাৎ কি কখনও ওর প্রিয় নামটা  দেখতে পাবে ও..,,,,!!
দেখতে পাবে নামের পাশে জ্বলতে থাকা সবুজ বিন্দুটি....!!!?
কিন্তু সেই মুহূর্তটা আর আসে না....!! তবুও আশা- নিরাশার দোদুল দোলায় দুলতে থাকে অন্ত'র মন..!!  নীরব অভিমানে, অধীর অপেক্ষায় কাটে তার প্রতিটা দিন!

কখনও কখনও পুরনো মেসেজগুলো পড়ে অন্ত।
অজান্তেই হেসে ওঠে সে......,কখনও কখনও মনটা বিষন্নতায় ভরে যায়।
তবে তার বুকের রক্তক্ষরণের কথা কেউ কোনদিন জানতে পারে না!!!

আর অনু...!?
স্বামী, সন্তান, সংসার, চাকুরী নিয়ে ব্যস্ত থাকা অনু কখনও কোন নির্ঘুম রাতে অন্ত কে ভেবে চোখের জলে বালিশ ভেজায় কি না,,,
সেটা আমার জানা নেই!!!

###  কিছু সম্পর্ক থাকে, খুব জটিল এবং অদ্ভুত। যে সম্পর্কগুলোকে ভালবাসা, প্রেম, বন্ধুত্ব, কোন নামেই আখ্যায়িত করা যায় না।  এরকম সম্পর্কে জড়িত দুটি মানুষ, কেউ কখনও কাউকে কাছেও চায় না। অনেক দূরে থেকেও দুজন, দুজনের সান্নিধ্যটাই চায়। তাদের পুরোটা সম্পর্ক জুড়ে থাকে শুধুই অপরিসীম ভাললাগা,,,,!!  কিংবা কিছুটা ভালবাসাও থাকে হয়তো!!!
তবে এর পরিসমাপ্তিতে থাকে এক পৃথিবী সমান কষ্ট!!! ###

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ