āĻŽāĻ™্āĻ—āϞāĻŦাāϰ, ā§Š āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2878

★......প্রতিদান......★
:
আজ বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে এলাম,মনটা একটু খারাপ লাগছে বটে!কিন্তু ভালোও লাগছে এই ভেবে যে,একটা কাজ ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারলাম।বাবার প্রতি দায়িত্বও শেষ হলো,সংসারটা এবার নতুন ভাবে সাজানো যাবে।বাবার ঘরটা গেস্টরুম বানাতে হবে,বাসায় একটা গেস্ট রুম ছিলনা বলে লুনার কত অভিযোগ।বাসায় গেস্ট এলে ওর নাকি মানসম্মান যায়,ঠিকই তো বলেছে বাসায় একটা গেস্ট রুম প্রয়োজন।
বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর বুদ্ধিটাও তার।আমারও যে মত ছিলনা তা নয়,বাবারও বোধ হয় এটাই ইচ্ছা ছিলো।কারন তিনি আমাদের মতামতের কোন বিরোধিতা করেননি।
তা ছাড়া মায়ের মৃত্যুর পরে বাবা খুবই নিঃসঙ্গ ছিলেন,আমি ও লুনা দুজনই চাকরিজীবী অফিসে যাই,বাবাকে কে সময় দেবে?
ওখানে গিয়ে বাবা নিশ্চয় ভালো থাকবেন।সমবয়সি অনেক কে পাবেন সঙ্গি হিসেবে,কাজটা ভালোই করেছি,আমার সব সপ্ন আমার পরিবার কে ঘিরে।
লুনাকে ভালবেসে বিয়ে করেছি,আমাদের সংসারে অনাবিল আনন্দ বয়ে এনেছে আমাদের সোনার টুকরা ছেলে।তাকে পেয়ে আমার জীবনটা সত্যি অন্যরকম হয়ে গেলো।আমার সব মনোযোগ এখন স্ত্রী-পুত্রের দিকে,বাবা মাকে দেখার সময় কই?
যেদিন মা মারা গেলো সেদিন একটু অপরাধবোধ মনে জেগেছিল।মনে হয়েছিল আমার অবহেলার কারনেই কি মা চলে গেলো?
মা স্ট্রোক করেছিলেন,হয়তো ভেতরে ভেতরে আরো অসুখ দানা বেধেঁছিল,কিন্তু মুখ ফুটে কখনো কাউকে কিছু বলেননি তিনি।মাকে দেখতে তো সুস্হই দেখাতো,তাই কখনো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি।
বাবার বিষয় সম্পত্তি তেমন ছিলনা,তবে আমাদের একটা ছিমছাম একতলা বাড়ী ছিলো।ছোটবেলা থেকে সেখানে বড় হয়েছি বলেই হয়তো বাড়ীটা ভালোই মনে হতো।কিন্তু লুনা আধুনিক মেয়ে,ওর বাড়ীটা মোটেই পছন্দ হতো না।বলত পুরোনো স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ,পরে ভেবে দেখলাম কথাটা তো ও ভুল বলেনি।আমি তখন সবেমাত্র চাকরিতে ঢুকেছি,অন্যখানে বাসা নিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার মত ক্ষমতা আমার হয়ে ওঠেনি।তাই লুনার পরামর্শে বাবাকে বুঝালাম,এই বাড়ীটা জমি সহ বিক্রি করে দিলেই মোটামুটি হালফ্যাশনের একটা ফ্ল্যাট কিনেও কিছু টাকা ব্যাংকে রাখা যাবে।আমার বাবা এই প্রস্তাবে রাজি হননি,শেষে আমি রাগ করে লুনাকে নিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার হুমকি দিলাম। যদিও জানি এ আমার ক্ষমতার বাহিরে,লুনা তখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা।এ সময় ওর কিছু বাড়তি যত্নআত্তি প্রয়োজন।
এ অবস্হায় আমার সাহায্যে এগিয়ে এলেন মা।তিনি বাবাকে বুঝিয়ে রাজি করালেন,অবশেষে বাবা রাজিও হলেন কিন্তু তখন থেকে আমার সাথে ঠিকভাবে কথা বলতেন না।সেই থেকে বাবা মায়ের সাথে আমার একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেলো।
নতুন ফ্ল্যাট টা বাবা-মা আমার নামে দিতে চাইলেন,কিন্তু আমার অনুরোধে বাবা তার হবু নাতির নামে উইল করে দেন।আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবে এই কাজটি করেছিলাম।যেদিন নতুন ফ্ল্যাটে আমরা শিফট করলাম সেদিন লুনার আনন্দ যেনো বাধ মানছিল না।আমারও ভালো লেগেছিলো ওর হাসি মুখ দেখে,আমাদের ছেলের বয়স তখন চার বছর,ওকেও একটা আলাদা রুম দেওয়া হলো।ছেলের ঘরটি ছবির মত করে সাজাল লুনা,শুধু ছেলের ঘরই নয় পুরো বাসাটা সুন্দর করে সাজাল লুনা।
ফ্ল্যাট কেনার পরে যে টাকা বেচেছিল তার অনেকটাই খরচ করা হলো ঘর সাজানোর কাজে।
শুধু পরিবর্তন হলোনা বাবা মায়ের ঘরটি,সেই আগেরকার খাট,ঘুনে ধরা চেয়ার-টেবিল-আলমারি,ঠিক আগের বাড়ীর ঘরটির মতো।এই ঘরটি সাজাতে দেননি মা,তিনি বলেছিলেন থাকুক না কিছু স্মৃতি।আমি কিছু মনে করিনি,কিন্তু লুনার মনে ক্ষোভ ছিলো খুব।
মা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন সেই কবে,বাবাকেও আজ বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এলাম,সেই সাথে বাধাঁ মুক্ত হলো লুনার ঘর সাজানোর পথটা।
(পরিশিষ্ট) এতক্ষন নিজের লেখা ডায়েরির কয়েকটি পাতা পড়ছিলেন আবীর চৌধুরী।তার চোখের কোণে পানি,এখন তার বয়স পঁচাত্তর।
পাঁচ বছর আগে লুনা তাকে ছেড়ে চলে গেছে।আর তার আদরের ছেলে আনন্দ চৌধুরী আজ সকালে তাকে রেখে গেলো বৃদ্ধাশ্রমে.....!!
THE END
লেখক:-Hedayetul islam (কষ্টের ফেরিওয়ালা)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ