āϰāĻŦিāĻŦাāϰ, ā§§ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

2872 (2)

গল্প-- অবশেষে দেখা হলো
লেখা-- #S_M_Sahadat_Hossen(কষ্টের ফেরিওয়ালা)
উৎসর্গ-- Ahsan Habib
>>>পর্ব:-০৩<<<
.
.
তপু ঘড়ির দিকে থাকাল দেখল রাত ৩.০০ টা বাঝে তাই সে আবার ঘুমাতে চেস্টা করল কিন্তু ঘুম যেন তার কাছে আসছে না। যতবারি চোখ বন্ধ করবে ততবারি তপু সেই স্বপ্নের কথা ভাবে। তপু বাইরে থাকাল দেখল আকাশের মেঘ গুলা সরে গেছে এবং ঐ দূর নীল আকাশে এক টুকরো চাঁদ তার সমস্ত মায়াবী আলো দিয়ে চারিদিক মাথিয়ে তুলছে। তপু ঐ চাঁদের মায়াবী আলো দেখতে গেল বাইরে। আকাশে কত তারার মেলা। তাঁরাও খুব উজ্জ্বল ভাবে জ্বলছে। তাঁরা মনে হয় আজ খুব খুশি। তপু বাইরে বসে আকাশের দিকে থাকিয়ে চাঁদ ও তারার হাসি খুশির খেলা দেখছে। তপু মনে মনে ভাবে এত কষ্টের মাঝে সে কী ভাবে সুখি থাকতে পারে। হয়তো কষ্টের মাঝে এমন একটা জিনিস আছে যে টা বুক ভরা কষ্টের মাঝে একটু খানি সুখ এনেদিতে পারে। আর তপুর কাছে সেই জিনিসটা হচ্ছে সুবেদা। যতক্ষন সুবেদার সাথে এবং সুবেদার কথা ভাবে ততক্ষন তাঁর মনের সব কষ্ট হওয়া হয়ে যাই। হঠাৎ কেউ একজন মধুর কন্ঠে একটা শব্দ করে, তপু বুঝে যাই এটা আযান। মুয়াজ্জিন তাঁর মধুর কন্ঠে আযান দিচ্ছে আর তপু খুব মনযোগ দিয়ে সেই আযান শুনছে, এই আযান তপুর অনেক ভালো লাগে। তপু সুবেদাকে যখন ভাবে ঠিক তখনি কিছুনা কিছুনা কারণে তার ভাবনার ছেদ ঘটে। ঠিক তেমনি আজও তাই হলো।
.
তপু ওঠে চলে গেল মসজিদে। সে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ে। সে বিশ্বাস করে মনকে শান্তি দেওয়ার জন্য নামায পড়া প্রয়জোন। নামায মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, আর সবচেয়ে বড় কথা হল নামায জান্নাতের ছাবি। তপু নামায পড়ে বাইরে কিছুক্ষন বসে থাকে। আর ভাবে সুবেদার সাথে কখন কী ভাবে দেখা করবে। তপু ভাবছে আজ বিকালে সে সুবেদার বাসার সামনে যাবে সুবেদাকে এক নজর দেখার জন্য।
.
বিকালে তপু প্রাইভেট পড়িয়ে আসার সময় সুবেদাদের বাসার দিকে যাই, সুবেদাকে দেখার জন্য। তপু দেখল সুবেদার বাসার সামনে দরজাই তালা দেওয়া। তপু এর মানে কিছু বুঝতে পারে না। তপু আশেপাশে থাকচ্ছে কাউকে দেখে কী না দেখলে জিজ্ঞেস করবে যে ওরা কোথায় গেছে। তপু দেখল এক বৃদ্ধা হেঁটে আসছে তাঁর দিকে। তাঁর সামনে এসে জিজ্ঞেস করল..
-- কে বাবা তুমি?(বৃদ্ধা)
-- আমি তপু আমি আসছি সুবেদাদের বাসাই,,,আচ্ছা ওরা কোথায় আপনি জানতে পারেন?(তপু)
-- ওরা তো এখান থেকে চলে গেছে(বৃদ্ধা)
এই কথা শুনার পর তপু মনে হল পুরা আকাশটা তার মাথায় বেঙ্গে পরেছে।
-- কেন চলে গেছে তা কী জানেন?(তপু)
-- এক বখাটা ছেলের ভয়ে চলে গেছে ওরা।(বৃদ্ধা)
-- ওরা এখন কোথায় আছে জানতে পারেন?(তপু)
-- তা তো জানি না বাবা,,,কিন্তু তুমি কে?(বৃদ্ধা)
তপু আর কেন উত্তর দেয় না। উত্তর দিবে কী ভাবে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছে সে। তার কথার উত্তর না পেয়ে বৃদ্ধা কিছুক্ষন অবাক দৃষ্টিতে থাকিয়ে থেকে চলে গেল। আর তপু কিছুই ভাবতে পারছে না। আজ থেকে তার পৃথিবীটা আবার অন্ধকার হয়ে গেল। এই এক দিন আলো ছিল সুবেদার জন্য, আজ সেও চলে গেল। সুবেদা ছিল তপুর একমাত্র সুখের প্রতীক। তপুর খুব কষ্ট হচ্ছে এতদিন যা কষ্ট ছিল সব আরো বেড়ে গেছে। তপু ভাবছে না তাঁর সুখের প্রতীককে এভাবে হারাতে দিবে না। যে ভাবেই হোক তাকে খুঁজে বের করতে হবে।
.
অনেক জাইগাই খুঁজেও সুবেদার কোন খুঁজ খবর পেল না। তপু হার মেনে নিল নিয়তির কাছে। এখন তপুর জন্য আরো একটা কষ্ট বেড়েছি। হ্যাঁ সে টা হচ্ছে সুবেদাকে হারানোর কষ্ট, অনেক ভালোবেসে ফেলছিল তাকে। সুবেদা তপুর কাছে একদিনের পরিচয়, এই একদিনে থাকে নিয়ে অনেক গভীর পর্যন্ত ভেবে ফেলছে। সুবেদাকে এভাবে হারাবে তপু ভাবতে পারি নি। তপু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে আনমনে। তপু যাচ্ছে নদির ধারে। যখন তাঁর মন খারাপ হয় তখন সে নদির ধারে গিয়ে বসে থাকে। ঠিক তেমনি আজ ও যাচ্ছে। আজ তাঁর মনে অনেক কষ্ট। সে ভাবছে পৃথিবীর সব কষ্ট মনে হয় তাঁর জন্য। তাঁর পরিবারের কষ্ট, ভালোবাসা হারানোর কষ্ট সব এখন তপুকে গ্রাস করেছে। তপু বুঝতে পারছে না সে কী করবে বা কী করা উচিত। চারা দিকে শুধু কষ্ট আর কষ্ট।
.
হঠাৎ আবারো মুয়াজ্জিন তাঁর মধূর কন্ঠে আযান দেয়। এই একটা জিনিস এখন তাকে শান্তি দিতে পারবে আর সে টা হচ্ছে নামায। তপু ওঠে নামায পড়তে চলে যাই। নামায পড়ে প্রাইভেট পড়াতে চলে যাই। প্রাইভেট পড়া শেষে সে বাসাই চলে যাই। আজ তাঁর বাইরে ভালো লাগছে না। সারক্ষন তাঁর মাথাই একটাই কথা গুরছে আর সে টা হচ্ছে সুবেদা কে কী সে আর কোন দিন খুঁজে পাবে না। তাঁর ভালোবাসার মানুষকে কী এভাবে হারাতে হবে। এই একটা কথার কারণে তাঁর কিছু ভালো লাগছে না। বাসাই এসেই তাঁর মায়ের সামনে পরল সে..
-- আম্মু কিছু বলবে?(তপুর আম্মু)
-- বলছিলাম কী বাবা তোর আব্বু ঔষধ তো শেষ যদি কিছু টাকা দিতি তাইলে কিছু ঔষধ কিনে আনতাম(তপুর আম্মু)
.
.
>>>>পরবর্তী পর্ব<<<<

গল্প-- অবশেষে দেখা হলো
লেখা-- #S_M_Sahadat_Hossen(কষ্টের ফেরিওয়ালা)
উৎসর্গ-- Ahsan Habib
>>>পর্ব:-০৪<<<
.
.
এই কথা শুনার পর তপুর মনটা খারাপ হয়ে গেল কারণ তাঁর কাছে একটা টাকাও নাই। সে কী ভাবে তাঁর মা কে বলবে যে তাঁর কাছে টাকা নাই। তাঁর চোখের কোণে এক ফোঁটা জল এসে বীড় করল। খুব কষ্ট হচ্ছে তাঁর। তপু ভাবছে আমি এমন এক ছেলে যে বাবাকে ঔষধ কিনে দিতে পারছি না, কষ্টে তাঁর বুকটা ফেটে যাচ্ছে তবুও সে স্বাভাবিক হতে চেস্টা করল কারণ তাঁর মা সামনে। সে চাই না তাঁর মা তাঁর কষ্টটা বুঝোক। কিন্তু সে জানে না মা তো সন্তানের মুখ দেখেই বুঝতে পারে যে তাঁর সুখ দুঃখের কথা। তেমনি তাঁর মাও বুঝতে পারে যে তাঁর কাছে টাকা নাই, কারণ এখন মাসের শেষে এখন টাকা থাকার কথা না তাই তাঁর মা তাকে বলল,
-- বাবা তোর কাছে টাকা নাই মনে হয়, থাক বাবা না থাকলে দিতে হবে না(তপুর আম্মু)
-- না আম্মু আমার কাছে টাকা আছে আমি কাল আসার সময় আব্বুর জন্য ঔষধ নিয়ে আসব(অনেক কষ্টে এই মিথ্যা কথাটা বলল যাতে তাঁর আম্মু আর বেশি কষ্ট না পাই)
তপু তাঁর আম্মুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না কারণ তার চোখ দুটি জলে ভরে ওঠেছিল যে কোন সময় চোখ দুটি থেকে পানি নামতে পারে। রুমে গিয়ে সে অনেক কাঁদল। সবার আড়ালে কাঁদল সে কারণ কষ্ট পেলে কাঁদতে হয় সবার আড়ালে। এক দিকে তাঁর পরিবারের কষ্ট অন্যদিকে সুবেদাকে হারানোর কষ্ট সব কষ্ট মিলে তাঁর বুকটা ছিড়ে যাচ্ছিল।
.
তপু ঘুমানোর চেস্টা করল কিন্তু ঘুম তাঁর কাছে আসছে না। সব চিন্তা তাঁর মাথায় এসে বীড় করছে। তাঁর এই মুহর্তে মরে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে, কিন্তু সে পারছে না কারণ সে মরে গেলে তাঁর পরিবারকে দেখার মত কেউ নেয়। তাঁর চোখ বেয়ে শুধু পানি পড়ছে, এটা ছাড়া তাঁর আর কিছু কারার নাই। তপু ভাবছে সে চাকরির জন্য আর একবার চেস্টা করবে, এরপর যদি না হয় তাইলে সে তাঁর সব সার্টিফিকেট আগুনে ফুঁড়ে ফলবে। সে দিন সারা রাত তপু ঘুমাতে পারে নি। সব কষ্ট তাঁর ঘুম কেড়ে নিছে। তপু সারা রাত চাঁদের সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিয়েছে। সারা রাত শুধু বসে বসে চোখের জল ফেলছে নীরবে। তাঁর চোখের জল কেউ দেখে নি শুধু নীল আকাশের চাঁদ আর তারাগুলো ছাড়া। যেদিন তপুর খুব বেশি মন খারাপ হয় তখন সে নির্জন যাইগায় বসে বসে তারা আর চাঁদ দেখে। ঐ চাঁদ আর তারা বলতে পারবে তপুর কান্নার কথা।
.
পরদিন সাকলেও তপু সুবেদাকে অনেক খুঁজে কিন্তু কোথাও পেল না তাকে। সুবেদাকে না পেয়ে তাঁর খুব কষ্ট হচ্ছে। তপু কিছুক্ষন একটা পার্কে বসল। হঠাৎ তাঁর চোখ গেল একটা ছোট্র শিশুর দিকে। শিশুর বয়স বেশি না চার-পাঁচ বছর হবে। গায়ে একটা ময়লা কাপড়। শিশুটি রাস্তার ডাসটবিন হতে কিছু খুড়িয়ে নিচ্ছে মনে হয়। শিশুটিকে দেখে তপুর মনে একটা প্রশ্ন জাগল, আচ্ছা শিশুটি আমার চেয়ে তো দ্বিগুণ কষ্টে আছে, ও ভালো মত খাবারও খেতে পারে না এক বেলা খেলে আর দুই বেলা না খেয়ে থাকে, আর আমি তিন বেলাই খাবার খায় হয়তো ভালো খাবার না তবুও তো খায়। শিশুটির পরনে একটা ময়লা ছেড়া কাপড় আর আমার পরনে হয়তো খুব ভালো কাপড় নাই কিন্তু কিছু ভালো তো আছে। ওদের চাইতো তো আমি অনেক সুখে আছি। ওরা যদি এত কষ্টে থেকে এক ফুঁটা চোখের জল না ফেলে হাসি খুশি থাকতে পারে তবে আমি কেন পারবো না। হ্যাঁ আমাকে পারতে হবে। এই গুলা ভাবনাই আসে তপুর। তপু কিছুক্ষন বসে থেকে আবার হাঁটা দেয় অজানা গন্তব্যে। তপু হাঁটছে আর ভাবছে সেই শিশুটির কথা। শিশুটি যদি এত টুকুতে সুখে থাকতে পারে তাইলে আমি কেন পারবো না। না আমাকে পারতেই হবে। বার বার এই একটাই কথা মথায় গুরপাক খাচ্ছে তপুর। তপু তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তাঁর বাবার জন্য ঔষধ নিয়ে গেল। বাসাই গিয়ে দেখে তাঁর ছোট ভাই মন খারাপ করে বসে আছে। তাঁর এই ভাবে বসে থাকা দেখে তপু জিজ্ঞেস করল,
-- কিরে কী হয়ছে এই ভাবে মন খারাপ করে বসে আছিস কেন?
-- ভাইয়া আগামী কাল থেকে আমার পরীক্ষা, স্যার বলছে আজকের মধ্য পরীক্ষার ফিস জমা দিতে হবে, নাইলে পরীক্ষা দিতে পারবো না।
-- ঠিক আছে আমার থেকে নিস
এই বলে তপু তাঁর রুমে চলে আসল, তাঁর মনে আবারো কষ্ট ওকি দিচ্ছে, কিন্তু না এবার সে শক্ত হবে, আর কোন কষ্ট যাতে তাকে না ছোঁয় সে জন্য তপু যথেষ্ট চেস্টা করবে। তপুর হাজারো ভাবনা বাদ দিলে একটা ভাবনা থেকে যাবে আর সে টা হচ্ছে সুবেদার ভাবনা। কারণ তপু সুবেদাকে এক দিনে এত ভালোবেসে ফেলছে যে তাকে ভুলা কোন ভাবেই সম্ভব না। সুবেদার সাথে এখনও ভালোভাবে পরিচয় হয় নি। এমন কী সুবেদা কী রকম সেটাও জানে না। শুধু জানে মেয়েটির কন্ঠ সুন্দর, শুধু জানে মেয়েটি মায়াবী, শুধু জানে মেয়েটির কাজল কালো চোখ দুটি সুন্দর, শুধু জানে মেয়েটি খুব ভালো এবং খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারে। এই টুকু জানে তপু এর চেয়ে বেশি কিছু জানে না এবং জানতেও চাই না। ওর কথা ভাবতে ভাবতে হাজারো কষ্টের মাঝে তপুর দিন চলে যাই। সুবেদাকে তপু অনেক খুঁজে কিন্তু কোথাও পেল না। কিছুদিন যাবার পর তপু তাকে আর খুঁজে না কারণ তাঁর বিশ্বাস সুবেদা একদিন না একদিন তাঁর কাছে আসবেই, তাঁর ভালোবাসার টানে আসবে, তাঁর মনের টানে আসবে, তাকে আসতেই হবে।
.
.
>>>>পরবর্তী পর্ব<<<<

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ