āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3467

গল্পঃ সুখের কাছে
.
আমার উপন্যাস পড়ার একটা বদ অভ্যাস আছে। বদ অভ্যাস বলছি এই কারণে যে রাত বারোটার পরে উপন্যাস পড়ার জন্য মন আনচান করে। অবশ্য রাত জাগাটাই একটা বদ অভ্যাস। কিন্তু আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ফজরের আজানের পরে ঘুমানোর। মা জননী চেঁচামিচি করে ফজরের নামাজটা পরেই ঘুমাতে আমার তখন শয়তানে পায়। ফজরের নামাজ না পরে ঘুমানোটাও একটা বদ অভ্যাস। উপন্যাস পড়ার জন্য ধৈর্য আমার কম। ধৈর্য বলতে উপন্যাসের প্রথম পৃষ্টা পড়ার আগে শেষের পৃষ্টা পড়ে দেখি উপন্যাসটা রুমান্টিক কি না। এটা আরো বাজে অভ্যাস। কিন্তু কি আর করব আমার মন মানেনা। নিজের জীবনে তো আর রবী ঠাকুরের নন্দিনী নচিকেতা গুরুর নীলাঞ্জনা হুমায়ন স্যারের অপ্সরী মৃণ্ময়ী এরা কেউই আসেনি। তাই উপন্যাস গল্পে তাদের পড়ে মনের সুখ মিটাই। এটা মনে হয় বাজে অভ্যাস না যতটুকু বুঝি। আমার আরো বদ অভ্যাস আছে সেগুলো কারো সাথে ভাগাভাগি করিনা কারণ তাহলে তারা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। অনেক ছোট থাকতে বাবা একটা ডায়েরী এনে দিয়েছিল ডায়েরীটা সেভাবেই পরে রয়েছে আলমারিতে। মাঝে মাঝে বের করি কিছু লিখব বলে। মাঝে মাঝে লিখি কিন্তু প্রতিবারই লিখে পাতাটাই ছিঁড়ে ফেলি। এত বাজে হাতের লিখা মাঝে মাঝে তো আমার লিখা আমিই বুঝিনা। যেদিন বুঝতে পেরেছিলাম আমার হাত ডায়েরীতে লাগার যোগ্যতা অর্জন করেনি সেদিন থেকে ফোনেই যা ইচ্ছে প্রতিদিন লিখি। কেউ দেখেও না তাই নিকটতা বেশি ভয় কম। কারণ আমার হিজিবিজি কেউ পড়লে ভয় আকাশে উঠবে। আমাকে যতটা ভাল মনে হচ্ছে আমি ততটা ভাল নই। আমি ছেলেটা বদে ভরা। প্রতিদিন বালিকা কলেজের সামনে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বালিকাদের দেখতে ইচ্ছা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানেও যাই মাঝে মাঝে। কিন্তু গিয়ে আর বেশিক্ষণ থাকতে পারিনা। আজকাল মেয়েদের এত বাজে রুচি যা বলার বাইরে। পোশাকের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। ছেলেদের চাহিদাটা তারা নিজেদের চাহিদা বানিয়ে নিয়েছে। তারা এটা কেন বুঝেনা যে শার্ট প্যান্টে বাবু পুরুষেরা কাজল শাড়িতে নারী। আমি সারাক্ষণই আল্লাহর কাছে বলি আল্লাহ আমার মত বদ ছেলের কপালে তো বদ মেয়েই আছে তা জানি। কারণ তুমিই বলেছ যে যেমন তার সহধর্মিণীও হবে তেমন কিন্তু একটা অনুরোধ আধুনিকা যেন নাহয়। কিন্তু আমার বিয়েটাই করতে ইচ্ছে করেনা। এই কর সেই কর। বাজার কর। শালিকার জন্য এই নে শালা বাবুর জন্য সেই নে। এগুলো আমার একদমই ভাল লাগেনা। তবে আমার ললিত লতাকে পেয়ে গেলে অন্য কথা। ফাসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিলেও  অন্য মেয়েকে বিয়ে করবনা। আমার সবচেয়ে পছন্দের পোশাক হচ্ছে পাঞ্জাবি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো আমার এত বছরের জীবনে পাঞ্জাবী পরেছি মাত্র একটা! নিজের কাপড় নিজেই কিনি অনেক বছর হচ্ছে কিন্তু কোনদিনই পাঞ্জাবি কিনতে পারিনি। কোন পাঞ্জাবি রেখে কোনটা কিনব। কোনটার রঙ ভাল কোনটার খারাপ এসব ভাবতে ভাবতে আর কেনাই হয়না। একটাই পাঞ্জাবি কিনে দিয়েছিল মা। লাল পাঞ্জাবি অনেক কম দামী কিন্তু আমার হাজার টাকার প্যান্ট শার্টের থেকে পাঞ্জাবিটাই প্রিয়। প্রতি জুম্মায় আমি এই পাঞ্জাবি পরেই যাই। কমপক্ষে এক সপ্তাহে একবার মা আমার প্রতি খুশি হয় পাঞ্জাবিটা পরে মসজিদে গেলে। ঘড়ি কিনতে গেলেও একই সমস্যা হয়। আসলে আমি পছন্দ করতে পারিনা কিছু কিছু জিনিষ।
...
রাত দুটো বাজে। উপন্যাস বের করেছি পড়ব। সুখের কাছে। বুদ্ধদেব গুহ। প্রথমের কয়েক পৃষ্টা পড়ে অজানা এক দেশে হারিয়ে গিয়েছি। মাঝখানে মাত্র এসেছি। মোটরমিস্ত্রী সৃখন আর স্যানালের মেয়ে মহুয়ার প্রেমের কাহিনীটা বেশ জমে উঠেছে। আমি উপন্যাসটা আরো চোখের কাছে এনে পড়ছি কারণ এক্ষণি রুমান্টিকতা হবে। কিন্তু না হলনা। মা ডাকাডাকি শুরু করল। মেজাজটা এমন খারাপ হল। ভাবটাই নষ্ট করে দিল। মা বলল ' আদর উঠ উঠ। দেখ কে এসেছে ' মাঝ রাতে আবার কে এসেছে ভেবে উঠলাম। উঠে দেখলাম গ্রাম থেকে একজন এসেছেন। রাতে উনার সাথে কোন কথা হয়নি। অতিথিকক্ষে ধুলো ময়লা জমে আছে বলে আমরা দুজনে একসাথেই শুলাম। মুরুব্বীদের সাথে কি কথা আর হয়। আজকাল কি করা হচ্ছে? চাকুরীবাকরির কি খবর ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি আবার চুপ করে ঘুমিয়ে পরেছিলাম। আসলে মা বলেছে গ্রাম থেকে এসেছে কিন্তু আমি উনাকে চিনিনা। মায়ের কোন আত্মীয় মনে হয়। সকাল হল। দাঁতে ব্রাশ নিয়ে বাগানের দিকে হাঁটছি। প্রতিদিন সকালে বাগানে পানি দিয়ে আসি আরকি। হাঁটছি আর গুনগুন করছি " আমার মন মানেনা সজনী আমার মন মানেনা দিনরজনী আমার মন মানেনা " গুনগুন করা বন্ধ হয়ে গেল। বাগানে একজন পানি দিচ্ছে তাও এই ভোর সকালে! বাড়িতে তো কোন কাজের লোক নেই! সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে একটা মেয়ে পানি দিচ্ছে! মুখ দেখতে পারছিনা কারণ আমি পিছনে দাঁড়িয়ে আছি। মাথায় কাপড় দেয়া। আমি মুখে ব্রাশ লাগিয়ে হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছি। মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে মনে হল ভয় পেয়েছে! আমার বুকের মধ্যে কেমন জানি করছে। এমন আর কোনদিন করেনি। ফুলের বাগানে ভেজা চুলের উপরে মাথায় কাপড়। এই সৌন্দর্য থেকে চোখ সরাতে ইচ্ছে করছেনা। মেয়েটা হয়ত ভাবছে। কি ব্যাহায়া ছেলে জীবনে কোনদিন মনে হয় মেয়ে মানুষ দেখেনি। মেয়েটা পানির মগ হাত থেকে রেখে আমার পাশ দিয়ে চলে গেল। যখন আমার পাশ দিয়ে গেল তখন আমার বুকের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল খুব কাছের কেউ পাশ দিয়ে গেল। সকালটা অন্যরকম লাগছে। এত ভাল আর কোনদিন লাগেনি। কেন জানি নাচতে ইচ্ছে হচ্ছে। বাগানে আর কি পানি দিব আমার মনেই পানি লাগবে। দৌড়িয়ে মায়ের কাছে গেলাম। আরে মায়ের কাছে গিয়ে দেখি মেয়েটা আর মা রান্নাঘরে! বুঝতে পারলাম অতিথি চাচার মেয়ে খুব সম্ভবত। নাশতা খাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে আর আমি এখনো মায়ের কাছে যেতে পারছিনা শরমে। মেয়েটা সারাক্ষণই মায়ের সাথে সাথে থাকছে। কত আস্তে আস্তে কথা বলে। চোখগুলো কি অপরুপ। নাশতার টেবিলে বসে আছি। খাওয়ার সময় মা বলল ' ঝুমুর এই হল আমার ছেলে আদর। আদরে আদরে বাদর করে তুলেছি। ' সবার সামনে মানসম্মানটাই হাল্কা করে দিল। ভাগ্যেস বাবা নেই। বাবা থাকলে আরো পঁচাত। বাবার অফিস তারপর বৃদ্ধাশ্রম এগুলো দেখতে দেখতে সময় পায়না নাশতা একসাথে খাওয়ার। মাঝে মাঝে খায় মাঝে মাঝে খায়না। আমি আর অতিথি চাচা বসে খাচ্ছি। মা আর ঝুমুর আমাদের বেরে দিচ্ছে। কিন্তু আমার আর খেতে ইচ্ছে করছেনা। উঠতে চেষ্টা করলাম। ওমনিই ঝুমুর বলল ' আরে অর্ধেক খাবার খেয়ে কেউ উঠে নাকি? ' মুখের উপর চলেও যেতে পারিনি। আর চাচাও বলল ' খাও বাবা খাও ' খেয়ে শেষ একেবারে। এমন খাওয়া গত পাঁচ বছরে খাইনি।
...
সকাল বেলায় দাঁতে ব্রাশ নিয়ে বাগানে হাঁটছি। বাগানটা বাড়ি থেকে একটু দূরে। আজকে গিয়ে দেখি ঝুমুর নেই। ঝুমুর। নামটা কত মধূর। কিন্তু বাগানে গিয়ে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল কারণ ঝুমুরকে বাগানে দেখলাম না। কি আর করা মগ দিয়ে বাগানে পানি দিচ্ছি। কিছুক্ষণ পর ঝুমুর আসল। আমি ভাব নিয়ে চলে যেতে চাইলাম। ঝুমুর বলল ' আমি এসে অসুবিধে করলাম নাকি? চলে যাচ্ছেন যে? ' আমি দাঁড়িয়ে পরলাম। অন্যরকম ভাল লাগছে। বাগানে কত সৌন্দর্যরূপ ফুল। কিন্তু আজকে আমাকে ফুলের ঘ্রাণ মাতাল করতে পারেনি। আমি ঝুমুরের চোখেই মাতাল হয়ে পরেছি। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছি। ঝুমুর লজ্জা পেয়ে বলল ' কি করেন আপনি? ' আমি হাসি দিয়ে বললাম ' নাম শুনে বুঝতে পারেননি? চাকরী আমার বাবার অফিসে হয়ে গিয়েছে কিন্তু মা দিচ্ছেনা এত তাড়াতাড়ি যোগ দিতে আরকি ' ঝুমুর হাসল। মুখে হাত দিয়ে হাসল। এরকম চন্দ্রহাসি আমি কোনদিন দেখেনি। তারপর বলল ' ভাল। আচ্ছা বাগানটা কি আপনার? ' আমি বললাম ' না আমার বাবা শখ করে বাগানটা করেছে। ফুল খুব পছন্দ বাবার ' ঝুমুর বলল ' আপনি পছন্দ করেননা? ' ফুলের থেকে ফুলের গন্ধ বেশি পছন্দ আমার ' ঝুমুর বলল ' আচ্ছা তাহলে থাকুন আমি যাই ' আমি বললাম ' আচ্ছা আপনারা আর কতদিন আমাদের বাড়িতে থাকবেন? ' ঝুমুর বলল ' চার পাঁচদিনের মতো হবে ' শুনে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল। ঝুমুর বলল ' কি ব্যাপার মুখটা কাল হয়ে গেল কেন? ' আমি বললাম ' এত কম দিন থাকবেন তো আসলেন কেন? ' ঝুমুর হেসে চলে গেল। ব্যাপারটা বুঝলাম না। দেখতে দেখতে পাঁচটা দিন চলে গেল। এত  তাড়াতাড়ি সময় চলে গেল বুঝতে পারেনি। আমি কেন যে কেউই ঝুমুরের প্রেমে পরতে বাধ্য। এত কাছ থেকে দেখেছি কথা বলেছি মজা করেছি প্রেমেও পরে গিয়েছি। এই সাতদিনে কি ভালবাসা হয়? ভালবাসার কথা বলতাম কিন্তু ঝুমুর কি মনে করবে। ক্ষণিক সময়ের জন্য এসেছিল আবার চলে যাবে। মনটা  এত খারপ হয়ে গেল। ইচ্ছে হচ্ছে জোর করে ঝুমুরকে বাড়িতে রেখে দেই। একয়দিন মনে হচ্ছিল আমার বউ বাড়িতে ছিল। আর আজকে চলে যাবে। আমার কপালে প্রেম ভালবাসা নেই বুঝেছি। দূপুরে স্টেসনে নামিয়ে দিয়ে আসতে হবে। ভাবছি ঝুমুর যাই মনে করুক আমার ভালবাসার কথা আমি বলে দিবই। একটা চিরকুটে লিখলাম ' ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে ঝুমুর। সারাজীবনের জন্য তোমাকে আমাদের বাড়িতে রেখে দিতে চাই। এই বদ ছেলেটা তোমাকে ভালই রাখবে ' চিরকুটটা কোথায় রাখব ভেবে পাচ্ছিনা। আমার রুম থেকে একটা উপন্যাস আনলাম। সুখের কাছে। বুদ্ধদেব গুহ। যে উপন্যাসটা শেষ করার আগেই আমার জীবনে ঝুমুর এসে গিয়েছে। ঝুমুর আর ঝুমুরের বাবা মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। উপন্যাসের ভিতরে চিরকুটটা রাখলাম। মন খারাপ একদম কথা বলছিনা। সি এন জি থেকে নেমে স্টেশনে গেলাম। ট্রেন এল। কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দিবে। ঝুমুরের বাবা ট্রেনে উঠে পরেছে। ঝুমুর আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমার ব্যাগ থেকে উপন্যাসটা বের করে ঝুমুরের হাতে দিলাম উপহার হিসেবে। ঝুমুর খুশি হল। কোনদিন যদি উপন্যাসটা পড়ে তাহলে আমার মনের কথাটা জানতে পারবে। ঝুমুর বলল ' দাঁড়ান একটু ' বলে ট্রেনে গেল আবার ফিরে এল একটা বই নিয়ে এসে বলল ' সমরেশ মজুমদার আপনার প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন তাইনা? ' আমি অবাক হয়ে বললাম ' হুম ' তারপর আমার হাতে বইটা দিয়ে বলল ' পড়বেন ' বলেই ট্রেনে চলে গেল। বইটা দেখলাম। আত্মপক্ষ। সমরেশ মজুমদার। ট্রেন এখনো ছাড়েনি। আমি গাছতলার বেঞ্চে বসে উপন্যাসটা খুললাম। প্রথম পৃষ্টাতেই একটা চিরকুট। আগ্রহ নিয়ে খুললাম। দেখলাম লেখা আছে ' আমার হবু বরকে তো আমার পছন্দ হয়েছে। একটু অগোছালো স্বভাবের। সমস্যা নেই আমি ঠিক করে নিব ' চিরকুটটা পড়া শেষ আর ট্রেন ছেড়ে দিল। ট্রেন ছাড়ার আর সময় পেলনা। আমার সুখের সময় কেউ সহ্য করতে পারেনা। এসব কিছু মায়ের প্ল্যান ছিল। ভাবতেই নাচতে ইচ্ছে করছে।
...
বেশ কয়েক বছর পরের কথা।
বাবুটা ঘুমিয়ে আছে। ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললেই কাঁদবে ওঁয়া ওঁয়া এঁহহে এঁহহে করে। বাবুদের কান্না করার সময়ই সবচেয়ে অপুরুপ দেখায়। খোঁচা দিয়ে দিলাম জাগিয়ে। কান্না আরম্ভ করে দিল। পাশের রান্নাঘরে বাবুর আম্মু ইফতার তৈরি করতেছে। বাবুর কান্না শুনে বলে উঠল ' ছেলেটা ঘুম থেকে উঠে পরেছে। কই তুমি একটু দেখনা ' আমি বললাম ' দেখছি দেখছি ' বাবু তো কান্না করেই যাচ্ছে। আমি কোলেও নিচ্ছিনা আদরও করছিনা। কান্না করার সময় হাত পা যখন নাচায় তখন আমার আরো বেশী ভাল লাগে। নিষ্পাপ মুখ নিষ্পাপ হাত পা গাল। অনেক্ষণ ধরেই কাঁদছে। ঝুমুর রান্নাঘর থেকে এসে ঝাড়ি দিল ' কি ব্যাপার? ছেলেটা কাঁদছে তুমি দেখছনা? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দাঁত ক্যালাচ্ছ ' আমি হেসে বললাম ' তুমি যাওতো রান্না কর। আমার ভাল লাগে বাবু কাঁদলে ' ঝুমুর রেগে বলল ' ইফতার বানাতে দিবেনা নাকি? মাত্রই ঘুম পারিয়ে গেলাম এখন আবার জাগিয়ে কাঁদাচ্ছ। এখন ইফতার বানাব কিভাবে? ' আমি বললাম ' চল একসাথে বানাই। ওঁয়া ওঁয়া করে কাঁদুক আমার কোলে আর তুমি বানাবে। ঝুমুর আবারো ঝাড়ি দিয়ে বলল ' যত্তসব অকাজের কথা' আমি ঝুমুরের কোল থেকে বাবুকে নিয়ে বাবুর দাদূর কাছে দিয়ে এলাম। মায়ের কোলে গেলে আবার কান্না থেমে যায়। ঝুমুর রান্নাঘরে। রান্নাঘরে গেলাম। ঝুমুর বলল ' কি ব্যাপার তোমার না কি কাজ পরে আছে? এখানে আসলে কেন? ' আমি বললাম ' তোমায় বিরক্ত করাও একটা কাজ ' ঝুমুর ঝাড়ি দিয়ে বলল ' উফ যাওতো। আজকে সাতটা বাজলেও ইফতার তৈরি হবেনা এমনিতেই। ' ভাব নিয়ে দরজার দিকে পা বাড়িয়ে বললাম ' যাবই তো কিন্তু একটা কথা বলতে এসেছিলাম। আচ্ছা নাই বা বললাম। ' ঝুমুর জোর গলায় বলল ' কি বলবে বল তো এত ঢঙ না করে ' আমি বললাম ' না মানে আজকে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে ' ঝুমুর মিষ্টি হাসি সহ ভেঙচি দিয়ে বলল ' এহহ আর অন্যদিন বুঝি লাগেনা? '

Siam Ahmed Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ