āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ⧍ā§Ļ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3464

গল্পঃ আলতা
.
বিয়ে করেছি কিন্তু মিসেস আমার সাথে থাকতে ভয় পায়! মাঝেমাঝে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চেহারা দেখি। আচ্ছা আমি কি খুব বেশীই কালো? শ্যামলা কালো তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ছিল। এরকম অদ্ভুত মেয়ে আমি জীবনেও দেখিনি। আমি বাঘ না ভাল্লুক যে আমাকে দেখেই ভয় পায়? জীবনে দুটো কাজ আমার দ্বারা হবেনা কখনো। এক ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠা। দুই নিজের টাই বাঁধা। ছোট বোন দশম শ্রেণীতে পড়ে কিন্তু এত সুন্দর করে টাই বাঁধে বলার বাহিরে। সারাক্ষণ নিজের গলায় টাই বেঁধে পাগলামু করে। বলে ' ভাইয়া আমি যদি ছেলে হতাম না তাহলে সারাদিনে একবারও গলা থেকে টাই খুলতাম না। ' বিয়ে করার পরেও সেই বোনই টাই বেঁধে দেয়! এমনি এমনি আবার বেঁধে দেয়না। রোজ একশ টাকা দিতে হয়! যতই সে লক্ষ্মী সেজে থাকুক। অবশ্য এরকম ভাবে টাকা দেয়ার একটা স্বাদ আছে যা বড় ভাইয়েরা বুঝে।
.
' পেত্নী ' করে ডাক দিতেই পেত্নী হাজির। আসলেই সে একশ টাকা পাবে তো এজন্যই ডাক দেয়ার আগেই চলে আসে আর যদি কোন কাজে ডাকতাম তাহলে তার জ্বর আসে মাথা ব্যাথা হয়। পায়ে ব্যাথা হাত কেটে গিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি অজুহাত থাকে। টাই বাঁধতে বাঁধতে বলল ' আচ্ছা ভাইয়া তুমি কি ভাবীকে মার? না মানে তোমাকে এত ভয় পায় তো তাই বললাম? ' উত্তর কি দিব? উত্তর তো আমিই খুঁজি। বললাম ' হ্যাঁ মারি মানে খুব পিটাই কিন্তু স্বপ্নে বাস্তবে তো আর সামনে আসেনা! ' হো হো করে হেসে পেত্নী বলল ' আহারে বেচারার কত দুঃখ। ' কাটা গায়ে মরিচের গুঁড়া দিল আরকি। আসলে সব দোষ মায়ের। তার পুত্রবধূকে সে কিছুই বলেনা। বলে যেদিন ইচ্ছে হবে সেদিনই তোর রুমে যাবে! এসব কথা বাদই দিলাম। বাসর ঘরে এসে দেখেছিলাম রুমে নববধূ নেই। নববধূ ছোট বোনের রুমে! এ নিয়ে এখনো বোনের মশকরা সহ্য করতে হয়।
.
অফিসের সহকর্মীরা বলছে একদিন বাড়িতে এসে নতুন বৌ দেখে যাবে। আমি ভাবছি যে মেয়ে আমার সামনেই আসেনা সে আসবে অফিসের সহকর্মীদের সামনে। তবুও তো আর কিছু করার নেই। বিয়ে তো আর মানুষ জীবনে হাজারবার করেনা আর হাজারবার দেখতেও আসবেনা। আমার বসের আবার চরিত্রে সমস্যা। যদি বস আসতো তাহলে আমার বৌয়ের দিকেও নজর দিতো নিশ্চিত। বস আসেনি সে জন্য বড় করে দীর্ঘশ্বাস নিলাম। সবার সামনে তো গেল। আমার পাশে এসে দাঁড়াল। কিন্তু সব কথা আমারই বলতে হচ্ছে। সহকর্মীরা যাবার সময় বলছিল ' কিছু মনে করবেন না। ভাবী কি বোবা?  ' আমি শ্বাস নিয়ে বলেছিলাম ' প্রায় '। অগোছালো রুমটা গোছালো করতেও নববধূর ঘরে আগমন ঘটেনা। কজনের কপালে এরকম বৌ আছে? বিয়ে করেও কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমুতে হয়। আমার প্রতি মেয়েটার একটু মায়াও হয়না! এরকম বিবাহিত ব্যাচেলর প্রায় কয়জন আছে?
.
নাস্তা করার সময় নববধূ বারবার মায়ের পিছনে দাঁড়ায়। মনে হয় যেন ভূত দেখছে। মেয়েদের ভয়ের চোখ আবার অপরূপ দেখায়। ঘড়ি শার্ট আর পরে দাঁড়িয়ে আছি। কতক্ষণ হল পেত্নীটাকে ডাকছি কিন্তু আসছেনা। মেজাজ খারাপ হচ্ছে। পেত্নীর রুমের দিকে পা বাড়াতেই রুমে নববধূর আগমন! আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পরল অবস্থা। বললাম ' তো আপনার আগমন হল কি কারণে? নববধূ আধ-আধ স্বরে বলল ' বলতে আসলাম যে নওশিন বাড়িতে নেই। কোথায় জানি গেল ' আমি হেসে বললাম ' ওহ তারমানে তুমি আমার টাই বেঁধে দিতে আসছ? এই কথা আগে বলবেনা। দাও দাও টাইটা বেঁধে দাও। ' নববধূ চোখ কপালে তুলে বলল ' আরে আমি টাই বাঁধতে পারিনা ' আমি জোর দেখিয়ে বললাম ' তুমি যদি আজ টাই বেঁধে না দাও তাহলে আজ অফিসেও যাবনা রুম থেকেও বেরোতে দিবনা ' নববধূ নরম স্বরে বলল ' পারিনা তো '
.
বলেই রুম থেকে চলে গেল। কোনরকম টাই বেঁধে অফিসের দিকে রওনা দিলাম। বারান্দায় যেতেই নওশিনের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিল আমাকে জুন । কথা বলার ইচ্ছে হল। পিছিয়ে গিয়ে বললাম ' মুন একটা কাজ করো তো। নওশিন আসলে বলে দিও আমার কালো।ঘড়িটা খোঁজে দিতে। ' নববধূ বড়বড় করে বলল ' মুন কে? আমার নাম তো জুন ' আমি একটু ভাব নিয়ে বললাম ' ভুল কি বললাম? মুন মানে তো চাঁদ। আর তুমি চাঁদের থেকে কম নাকি? ' আমার কথা শুনে জুন দরজা বন্ধ করে দিতে চাইল। বললাম ' আরে আমার নামটা কি শুনবেনা? ' বিরক্ত হয়ে বলল ' বলুন শুনি ' আমি হেসে বললাম ' ফেব্রুয়ারি ' জুন এবার মুচকি হেসে ' যান তো ' বলেই দরজা বন্ধ করে দিল। জুনের পা দুটো দেখে মনে হচ্ছিল এই পা দুটোতে আলতা দিলে অপরূপ লাগত। অফিস শেষে এক জায়গা থেকে ছোট বোতলের আলতা নিলাম।
.
আলতা আর রঙের মধ্যে পার্থক্য কি বুঝলাম না। বাড়িতে এসে নওশিনের হাতে দিলাম জুনকে দিতে। দিয়েছে কি না জানিনা। জানালা খুলে দাঁড়িয়ে আছি। সিগারেট  ধরাব কি না ভাবছি। এই মুহুর্তে জুন রুমে এল। হাতের সিগারেট জানালা দিয়ে ফেলে দুনম্বরী হাসি দিয়ে বললাম ' আরে তুমি এখানে? ' জুনের চোখে-মুখে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। চোখে আধ ভয় আধ আনন্দ। পিছনে হাতে আলতা। রুমের দরজা বন্ধ করছে! আমার চোখ কপালে উঠল। যে মেয়ে আমার সামনেই আসেনা সে মেয়ে আজকে আমি রুমে থাকতেই দরজা বন্ধ করছে! বললাম ' দরজা বন্ধ করছ কেন? ' জুন আমার সামনে এসে বলল ' আলতা দিয়ে দিতে পারেন? ' আমি তাড়াতাড়ি বললাম ' না ' জুন বলল ' সেজন্যই দরজা বন্ধ করলাম। ' আমি অবাক হয়ে বললাম ' মানে? ' জুন হাতে আলতা ধরিয়ে দিয়ে বলল ' আপনি নিজের হাতে আলতা না দিয়ে দিলে আলতাও দিবনা আর রুম থেকে বেরোতেও দিবনা বুঝছেন? ' ||

Siyam Ahmed Joy

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ