#গার্লফ্রেন্ড_যখন_ভাবি _
-আমাকে কি যেতেই হবে… (আমি)
>হুম… যেতেই হবে (নদী)
-না গেলে হয়না… (আমি)
>না যেতেই হবে... (নদী)
-তোমাকে ছেড়ে যেতে মন চাইছে না।
>তবুও যেতে হবে। না হলে তোমার সাথে ব্রেকাপ। -ওকে ঠিক আছে যাব…
>মাত্র তো তিনটা বছর দেখতে কেটে যাবে।
-হুম… কিন্তু?
>আর কোন কিন্তু নয়। যেতে বলছি যাবে ব্যাস…
-আরে বাবা বললাম তো যাবো… (মন খারাপ করে)
*
অতঃপর আমার বুকে না আমার কাধে মাথা রেখে…
>আমারো তোমাকে যেতে দিতে ইচ্ছে করছে না… তোমায় খুব মিস করব। (নদী বলেই চুপ হয়ে গেল)
-তাহলে না যাই… (আমি)
>না যেতেই হবে… সন্ধ্যা হয়ে এল চল বাসায় যেতে হবে। (নদী)
-হুম চল তোমাকে ছেড়ে দিয়ে আসি। (আমি)
>হুম চল... (নদী)
>আমাকে ভূলে যাবে না তো… (নদী)
-কি বলছ এসব উল্টা পাল্টা কথা। কোন দিন ও না। (আমি)
>আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না… বলেই আমার হাতটা ওর সমস্ত শক্তি দিয়ে চেপে ধরে রাখছে যেন, কেউ কোন দিন কেরে নিতে না পারে। *
এখন পরিচয়টা দেওয়া যাক… কথা দেখেতো আপনারা বুঝতেই পারছেন ওর আমার মাঝে কি? যাই হোক আমি সাগর। আমেরিকার একটা university তে scholarship পাইছি। আর তাই সেথানে যাওয়া নিয়ে যত কথা। আর উনি হলেন আমার সোনা পাখি, নদী। ওর সাথে আমার পরিচয় হয়েছে আসার এক খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে… তবে বিষয়টা যে খুব একটা ভাল ছিল তা নয়। চলুন ফ্লাস ব্যাকে যাই…
বিয়ের দিন ভাবির বাসা…
>দশ হাজার না দিলে গেট ছাড়ব না (একটা মেয়ে) আমার আবার এই সব বিষয়ে খুব ইন্টারেস্ট। তাই আমিও বলা শুরু করলাম…
-দশ হাজার… তা তো বুজলাম কিন্তু দশ হাজার কি দিব? (আমি)
>কি মানে? (মেয়েটা)
-কি মানে হল দশ হাজার তো অনেক কিছু হয়… যেমন মনে করেন_ দশ হাজার কিল ঘুসি… তারপর আপনার ইট, কাথা, বালিশ, এমন কি… (আমি)
>এমন কি সেইটা বলুন...
-না সেইটা সবার সামনে বলা যাবে না… (চোখ টিপি মেরে) মাইয়া তো মনে হয় লজ্জা পাইছে...
-এখন খুলে বলুন দশ হাজার কি চান… নাকি ওই টা? (আমি)
>টাকা টাকা দেন... (মেয়েটা)
-ওহ আগে বলবেন তো। কিন্তু টাকা দেব কেন? (আমি)
>বিয়ে করতে আসছেন আর টাকা দিবেন না তা কি হয়… (ভেংচি কেটে)
-ভাইয়া এরা দেখি মেয়ে বেচে দিচ্ছে আমাদের কাছে… (আমি)
>ওই মোটেও আমরা মেয়ে বিক্রি করছি না… (মেয়েটা)
-সেই জন্যই তো টাকা চাচ্ছেন…
>আচ্ছা বউ বাদ দেন। শালি পাবেন নতুন খরচ তো একটু হবেই তাই না। আর শালি দের তো কিছু দিতে হবে… (মেয়েটা)
-ওমা ভাইয়া তোমার শালি তো আমাদের শালি হইতে চায়… (চোখ মেরে)
>মোটেও না…
-আপনাদের জন্য তো আপনার বোনের দেবরেরা আছে… আর কি চান? (আমি)
>উমমম শখ কত? (আবার ভেংচি কেটে)
-তাহলে টাকা চাচ্ছেন কেন? কারণ দেখান… (আমি)
*
ওদের কাছে আর কোন কারণ নেই সব আমি শেষ করে দিছি। টাকা অবশ্য আমরা দিব ঐ টাই। কিন্তু একটু মজা করে নেই।
>না কোন কারণ নেই… টাকা চাইছি এখন টাকা দিবেন নইলে গেট ছাড়ব না… (মেয়েটা)
-একি আপনারা কি আমাদের নিরিহ পেয়ে ডাকাতি শুরু করছেন… (আমি)
>মনে করেন তাই…
-আচ্ছা ঠিক আছে। তবে এখন থেকে কিন্তু আপনাদের ডাকাতনী বলেই ডাকব…
>খবর দার… খালি ওই নামে ডাকলে কি করব সেটা…
<এই তোরা কি শুরু করলি… টাকা টা দিয়ে দে… (ভাইয়া) আমার বড় ভাইয়া আর যেন তর সইছে না। একটু মজা করব তাও করতে দিবে না। তারপর আর কি করার টাকা দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম… ওহ না আমি না সবাই ঢুকল কেন জানি আমি যেতে পারছি না। কেউ আমার পথ আটকেছে…
-একি আপনি আমার পথ আটকালেন কেন? টাকা তো দিলাম… (আমি)
>আপনি মনে হয় খুব খচ্চোর টাইপ… খেচ্চোর হি হি হি (মেয়েটা) বলেই এক দৌড় দিল…
*
তবে মেয়েটা সত্যি দেখতে অসাধারণ! প্রেম করার মত। কালো ল্যাহেঙ্গায় দারুণ লাগছিল… কিন্তু এই সব চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে অনুষ্ঠানে গেলাম। বিয়ের সব আয়োজন চলছে…
কিছুক্ষণ পর…
>এইযে খচ্চোর মহাশয় খাবেন না… (হঠাৎ একটা মেয়েলি আওয়াজ পেলাম)
-কে কে খচ্চোর… আমি… (আমি)
>তাছাড়া তো কেউ নয়। বেশি কথা বলেন আপনি… (তথনকার অর্পূব সেই মেয়েটা)
-আপনিও তো কম নন। ডাকতনি… (আমি)
>কিহ্ আমি ডাকাতনি… (মেয়েটা)
-তাছাড়া আবার কে? যে ভাবে টাকার জন্য আমাদের ভয় দেখালেন… (আমি)
>পরে দেখাব মজা… এখন খেতে আসেন আমার সাথে…
-হুম চলেন…
>আরে ওদিকে কোথায় যাচ্ছেন… (মেয়েটা)
-কেন খেতে… (আমি)
>আপনি ওখানে খাবেন না। আমার সাথে আসেন আপনার জন্য আলাদা ভাবে স্পেশাল ব্যবস্থা করা হয়েছে...
-মেয়ের মতলব তো ভাল না… (মনে মনে)
<ওই সাগর কই যাও? খাবে না? (আরমান ভাই)
-হুম খাব। (আমি)
<তাহলে ওদিকে কই যাও? (আরমান ভাই)
-আমার জন্য স্পেশাল ব্যবস্থা করা হয়েছে। গেলে আসেন… (আমি)
>না আর কেউ আসবে না। শুধু আপনি একাই। (মেয়েটা)
*
কি আর করার তারপর ওর সাথে একটা রুমে গেলাম। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, আমার সাথে কি হতে চলেছে। এই মেয়ের উদ্দেশ্য কি? তার পর একটা বুদ্ধি এল মাথায়। আর একটু আনদাজ করতে পারলাম যে কি হতে চলেছে আমার সাথে। তারপর ও খাবার নিয়ে আসল…
>হুম এই নেন খাওয়া শুরু করবেন না? (মেয়েটার ডাকে ভাবনার ছেদ পরল)
*
ভাবছি কি করা যায় তারপর শুরু করলাম। যেই একটু খাইছি তাতেই তার উদ্দেশ্য আমি ধরে ফেলেছি। কিছু একটা করা দরকার নইলে এগুলোখাইলে তো আমি শেষ। তারপর আমিও নাটক শুরু করলাম ঝাল ঝাল বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হওয়ার ভান করলাম। মাইয়া তো এতক্ষণ আনন্দে ছিল। কিন্ত্র এখন আর তার মুখটা দেখার মত নাই। কিন্তু এক বালতি আফসুস আমি দেখতে পারছি না। ওমা একি শনিছি আমি… মাইয়া আমারে কি বলতাছে…
>উঠুন উঠুন প্লিজ… আর কখনো এই রকম করব না। উঠুন না প্লীজ… (মেয়েটা)
_ওমা মাইয়া দেখি বাতাস করতেছে। মজাই লাগতেছে… কিন্তু এইভাবে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। তারপর অনিচ্ছা সত্যেও চোখ খুলাম…
>আমি খুবই দুঃখিত? আমার এইটা করা ঠিক হয়নি… প্লিজ কাউকে বলবেন না? (মেয়েটা)
-ওকে বলবনা। তবে একটা শর্ত আছে? (আমি) >বলুন কি শর্ত…
-তেমন কিছু না। আপনার নামটা বলতে হবে? >আমি নদী… (হাসতে হাসতে বলল)
-আর আমি…
যেই বলব তখন ও বলে উঠল…
>আপনি সাগর তাই তো… (নদী)
*
এ কি এই মেয়ে আমার নাম জানল কিভাবে? ও মনে পরছে আরমান ভাই তখন আমার নাম ধরে ডেকে ছিল হয়তো তখন শুনছে? এরপর এইটা ওইটা ইত্যাদি নানা কথা বলছি… শেষে ফোন নাম্বারটা নিতে ভুলি নাই। তারপর ফোনে কথা হতে থাকে। আর আমি ধিরে ধিরে ওর প্রতি দুর্বল হতে থাকি। তাই একদিন ঠিক করি ওকে প্রোপোজ করব আর তাই
-কালকে একটু দেখা করতে পারবা… (আমি) >কাল কোথায়? (নদী)
-টি.টি.সি. বিকাল ৪টা…
>ওকে…
*
পরের দিন…
প্লান অনুযায়ী টাককা লাল গোলাপ নয়টা কিনে আমার গন্তব্বে গেলাম। মহারানির এখনও আসার সময় হয়নি? ওই তো আসতেছে… আজকে শাড়ি পড়ে আসছে। কি অর্পূব লাগতেছে। যেন স্বর্গ থেকে কোন অপস্বরী নেমে এসেছে…
-এত দেরি করলে কেন? (আমি)
>রাস্তায় জ্যাম ছিল… এখন বল কি জন্য ডেকেছ? (নদী)
-বলছি… একটু অপেক্ষা কর… বলেই ঘামতে শুরু করলাম। কাউকে কোন দিন প্রোপোজ করি নি তো তাই।
>একি তুমি ঘামছ কেন? (নদী)
-না এমনি… (আমি)
>এখন বল কি বলবে… (নদী) অতঃপর এক বুক সাহস নিয়ে
*
গোলাপ গুলো ওর সামনে দিয়ে। হাটু গেড়ে…
তুমি কি আমার সাথি হবে? হবে কি আমার বউ? হবে কি আমার মায়ের বউমা? হবে কি আমার না আমাদের বাচ্চার মা? দিবে কি ভালবাসার পরশ? আমি তোমাকে ভালবাসি… I love u বলেই চোখ বন্ধ করলাম… জানিনা কি হবে?
একটু পর…
কেউ যেন আমার হাত থেকে ফুল গুলো নিল… তারপর…
>চোখ বন্ধ করে আছ কেন? আর এই কথাটা বলতে এত দিন লাগল… আমি তোমাকে ভালবাসি। (নদী)
-সত্যি… (আমি)
>হুম… চল আজ তোমার সাথে ঘুরব সারাটা বিকাল… (নদী)
তারপর সারাটা বিকাল ঘোরা আর এভাবেই শুরু হয় আমাদের এক সাথে পথ চলা। কিন্তু সুখের সময় খুব কম। তারপর আমি Scholarship পেয়ে যাই আর আমাকে যাওয়ার জন্য আগেই তো বললাম…
*
-এই তোমার বাসা চলে এসেছে… (আমি)
>হুম… (নদী) ওকে বাসায় দিয়ে নিজে বাসায় আসলাম।
*
এক সপ্তাহ পর... আমি চলে গেলাম। ও খুব কেঁদেছিল। আমার ও মনটা খারাপ। তারপর থেকে প্রতি দিন ওর সাথে কথা হত। প্রায় ৬ মাস যাওয়ার পর আর তেমন কথা হত না? আমিও আমার পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পরি। এখন আর কথা হয় না বললেই চলে। এভাবেই কেটে যায় তিনটা বছর, বাবা ফোনে বলল ভাইয়ার নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে। আগামী সপ্তাহে নাকি বিয়ে। কিন্তু আমি যেতে পারব না। আমার ফাইনাল পরিক্ষা আগামী সপ্তাহ থেকে। তার পর ভাইয়ার বিয়ে হয়ে যায়। নদী কে ফোন দিলাম কিন্তু নাম্বার বন্ধ। কয়েক দিন ট্রাই করলাম ওই একি কথা বলে চলেছে অন্য পাশের মেয়েটা। তারপর সব কমপ্লিট করে বাসার উদ্দেশ্যে আসলাম। আজ আমার খুব আনন্দ হচ্ছে আজকে আর সোনা জান পাখিকে দেখতে পারব।
_ কিন্তু বাসায় আসার পর আমি আর আমি রইলাম না। আমার সব কিছু ওলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে। মা আমকে যে কথা বলল আর আমি চোখে যা দেখছি। তা আমি কল্পনাও করতে পারছি না। আমার সোনা পাখি আর আমার নেই। সে এখন অন্য কারো। সে এখন আমার ভাবি সেই জন্য কষ্টটা আরো বেশি হচ্ছে কারণ আমি তাকে আর ভূলতে চাইলেও ভূলতে পারবনা। সে যে সব সময় আমার চোখের সামনে থাকবে, আমার সব কিছু কাপছে হঠাৎ…
>তুমি সাগর তাই না… (নদী না না এখন আর নদী বলার অধিকার আমার নেই ও তো আমার ভাবি)
-অভিনয়টাও ভালোই শিখে গেছে… আমার সব স্বপ্ন গুলো ভেঙ্গে তছনচ করে দিয়ে এখন আর আমাকে চিনছে না… (মনে মনে)
-হুম আমি সাগর।
বলেই রুম্চেলে আসলাম। ওখানে থাকলে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারতাম না। রুমে এসেই দরজা লাগিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলাম। আর আমার স্মৃতিতে বার বার ওর কথা ভেসে উঠতে লাগল। ও বলেছিল আমায়…
“কখনও ছেড়ে যাবে না তো” কিন্তু তুমি তো আমাকে ছেড়ে স্বার্থ পরের মত চলে গেলে। ভাবতে ভাবতে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। _ছকিনা এইভাবে আমারে রাইখা গেলি…
সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠলাম। ফ্রেস হয়ে বাইরে গেলাম। আর আসলাম রাত করে। কারো সাথে কথা বলি না এখন আর। কারো সাথে ফাজলামি করি না। এভাবেই কাটছে আমার দিন। দেখতে দেখতে প্রায় ২সপ্তাহ চলে গেছে। আমি এখনও নদী ওহ্ দুঃখিত ভাবির সাথে কথা বলি নি। কারণ ওকে দেখলে যে বুকের ভেতর চিন চিন করে ওঠে। কিন্তু আমি না চাইলে কি হবে সে যে আমাকে ভাল থাকতে দেবে না। তাইতো হঠ্যাৎ…
>কি দেবর মহাশয়… আমার সাথে তো ভাল করে কথাও বললে না? (ভাবি)
-একি তু-তু-তু তুমি না মানে ভাবি আপনি? (আমি) >আপনি না তুমি করেই বলবা… (ভাবি)
-সব শেষ করে দিয়ে এখন বলছে তুমি করে বলতে। নিজেই তো সেই অধিকার আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে… তবে
ওকে দেখে মনে হচ্ছে ও আমাকে একে বারে ভূলে গেছে আর ভাইয়া কে নিয়ে সুখেই আছে… ”ছকিনা তু্ই বুজলি না আমারে” (মনে মনে)
-আচ্ছা বলব… কিছু বলবে… (আমি)
>তোমার ভাইয়ার মুখে তোমার অনেক কথা শুনেছি। তুমি নাকি খুব দুষ্টু। খচ্চোর টাইপের। (ভাবি)
-ওর কথা শুনে মনে হচ্ছে ও আমাকে জানেই না… অভিনয় টা দারুন করছে। (মনে মনে)
”ছকিনা কেন আমার সাথে এমন করলি”
>কি ভাবছ… (ভাবি)
-কিছু না। এমন একটা সময় আসে যখন মানুষ আর আগের অবস্থানে থাকে না। (আমি) >এটাতো তোমার ভাইয়া বলেনি যে তুমি এথন অন্যদের জ্ঞান দিয়ে বেড়াও। (ভাবি)
-ভাবি তা ভাইয়া আপনাকে ঠিক মত ভালবাসে তো…
>হুম বাসে… অনেক…
যাক এইটা ভেবেই ভাল লাগছে যে সে তো সুখেই আছে। তবে আমি কেন পারব না… কিন্তু পারছি তো না। দেখতে দেখতে আরো ১ সপ্তাহ কেটে গেল। আর আমি আমার স্মৃতি গুলোর মধ্যে আটকে আছি আর কুড়ে কুড়ে মরছি। কিছু দিন পর...
*
রাত ১২টা ভাইয়া ভাবি, বাবা, মা সবাই আমার রুমে এসে এক সাথে বলে উঠল Happy birthday to U আজ আমার জন্ম দিন। সবাই ধন্যবাদ দিলাম…
>আজ তোমার জন্য একটা বিশেষ গিফ্ট আছে… (ভাবি) আমার হঠাৎ তিন বছর আগের স্মৃতি মনে পরল। এই ভাবেই নদী আমাকে Wish করে ছিল। তাই আর ঘুমতে পারলাম না। ছাদে চলে আসলাম। এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ…
>কি ভাবছ অমন করে… (কারো গলার আওয়াজ পেলাম)
-না কিছু না। সেই স্মৃতিগুলো খুব মনে পরছে… (আমি) তবে কন্ঠটা অন্যকারো নয় নদীর মানে ভাবির
>মনে পরে লাভ…
-জানি কোন লাভ নেই। কিন্তু ভূলতে যে পারব না… >কেন পারবেনা…
-ভালবেসে ছিলাম যে…
>না তুমি আমাকে ভালবাসনাই!
-কি করে বুঝাই তোমায়… কিন্তু প্রেমের স্মৃতি যে ভোলা যায় না।
>যদি ভালবাসতে তাহলে একবার খবর নিতে…
-কি খবর নিব ভালই তো আছো…
>তুমি আমার দিকে কি একটু দেখবা না…
-দেখার যে অধিকার নেই আমার
>কে বলেছে…
বলেই আমাকে ঘুরিয়ে কলার চেপে ধরল…
-ভাবি ছেড়ে দাও কেউ দেখলে কি ভাববে? (আমি) >কি ভাববে ভাববে আর কে ভাবি হুম… (ভাবি) কেমন যানি একটা খটকা লাগছে…
কিন্তু সব কিছু শেষ হয়ে গেল। যখন ভাইয়া ভাবি এক সাথে ছাদে আসল (তার মানে এতক্ষণ যার সাথে কথা বললাম সে আর কেউ নয় নদী)। আমি আমার নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছি না এক চেহারার দুই জন মানুষ হয় কি করে। তারপর ভাবি আমাকে সব খুলে বলল, ভাবি আর নদী যমজ বোন ভাবির নাম মেঘা। আর ভাবি বড়। ওরা এক সাথে কোথাও যায় না। কিন্তু সব কিছু শেয়ার করে! আর এটাও ওদের প্লান যে আমি এখনও তাকে ভালবাসি কি না।
-আমি পাস করেছি? (আমি)
>হুম করেছ… (নদী)
*
তারপর ভাবিকে ধন্যবাদ দিলাম। ওনারা চলে গেল আর আমাদের শুরু হয়ে গেল। আপনারা আবার অন্যকিছু ভাবিয়েন না। অনেক দিনের না বলা কথা গুলো বলা শুরু হল…
>এতো ভালবাস কেন আমায়… (নদী)
-বিয়ের পর বলব… (আমি)
ও আমার বুকে ওর লজ্জা মাথা মুখটা লুকাল।
_
লেখা : লিটন (খচ্চোর)
বিদ্র: ভূল ত্রুটি ক্ষমা করবেন!
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ