#অবাক_পৃথিবী
☆
আমারও পরাণো যাহা চায়,
তুমি তাই তুমি তাই গো…
আমারও পরাণো যাহা চায়
তোমা ছাড়া আ…
-অর্পূব এক কন্ঠস্বর ভেসে আসছে কানে। কন্ঠটা চিরচেনা। প্রতিদিন এই কন্ঠটা শুনেই আমার সাধের ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। তবে শুধু যে আমার তা নয় আরও একজনের ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। তবে সে অন্য কেউ নয় আমার সব চেয়ে কাছের বন্ধু। আমাকে ছাড়া যে একটা দিন কল্পনা করতে পারেনা। তবে কন্ঠটা কিন্তু অসাধারণ। অনেকে এই রকম কণ্ঠকে কোকিল কন্ঠ বলে থাকে। আমার খুব হিংসা হয়। তাই আমিও না না আমার সেই বন্ধু দুজনে মিলে গান গাওয়ার চেষ্টা করি। তো আমাদের এমন কন্ঠ অনেক প্রথম যখন আমি গান গাইতে শুরু করছিলাম আমার সাথে রাস্তার দুইটা কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করছিল। তবে আমি অনেক হ্যাপি ছিলাম। কারণ প্রথম বারে আমার দুইজন ফ্যান হয়। হোক না তারা কুকুর। অতঃপর আমার বন্ধু গান গাইতে শুরু করতে ছাদে বসে থাকা কাকটা কা কা কা শুরু করে দেয়। আমার অনেক মজা লাগছিল আবার অনেক রাগও হচ্ছিল। এত কষ্ট করে গান গাইলাম আর আমাদের সাথে গাইল কে। তারপর দুজনে একসাথে গাইতে শুরু করি আর সাথে সাথে কোথা থেকে যেন দুইটা ডিম আসে। একদম ছ্যারা-ব্যারা অবস্থা। অবশ্য তারপর থেকে আমাদের আর বাজার করতে হয়নি। সকাল বেলা গান গাইলে পাশের বাসা থেকে আলু, পটল, লাউ, ডিম সব চলে আসে জানালা দিয়ে।
>জ্যোতি…ওঠ বাবা বাজার করতে হবে… (বাবা)
-হুম চল… (আমি)
*
হ্যাঁ আমি জ্যোতি। নামটা বেশ অদ্ভুত তাই না। করার কিছু নাই, আমার বাবা শখ করে রাখছে। অবশ্য আমার দাদার নামছিল রাধিকা। য়দিও বা আমরা দুজনেই ছেলে মানুষ। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হল আমার বাবা। আর কোকিল কন্ঠ হল আমার মায়ের। আর আমি হলাম তাদের আদরের বাদর ছেলে।
*
-বাবা শুরু কর… আমি ধরতেছি। (আমি)
অতঃপর গান শুরু হয়ে গেল। কিন্তু আজ কোন সারা নেই। আজ কি সবাই কানে তুলা দিছে নাকি। এত জোড়ে জোড়ে চিৎকার করছি কিন্তু কোন সারা নেই।
-বাবা আজকে শুধু একটা পেয়াজ… (আমি)
>সবাই কেমন ধীরে ধীরে র্কৃপণ হয়ে গেছে তাই না। (বাবা)
-হুম বাবা। আগে ডিম, টমাটো দিতো কিন্তু এখন শুধু একটা পেয়াজ… (আমি)
>চল আজকে বাজারে যেতেই হবে। (বাবা)
*
জনাবা স্বপ্না (আমার মায়ের নাম) আমরা বাজারে যাব। নাস্তা রেডি হয়েছে। (আমি)
-আউচ…মা লাগছে তো। কানটা তো ছিড়ে গেল… (মা আমর কান ধরেছে)
<যাক ছিড়ে। (আরো শক্ত করে ধরে মা)
-ছিড়ে গেলে তো মানুষ মেয়ে বিয়ে দিবে না আমার সাথে। আর তুমি দাদি হতে পারবানা। (আমি)
>আর একটু জোড়ে ধরো… (বাবা)
-বাবা তুমিও… (আমি)
>হুম আমিও। (বাবা)
-তা তো হবেই। তুমি তো তোমার বাবা কে ঠিকই দাদা বানাইছো। এখন আমার কি হয় হোক… (আমি)
<শয়তান ছেলে… দাড়া দেখাচ্ছি মজা… (মা আমার কান ছেড়ে দিয়ে)
কান ছাড়ার সাথে ভো দৌড় দিয়ে একদম রুমে আসলাম। অতঃপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বাবা জন্য অপেক্ষা করছি…
-আদিল আহম্মেদ (আমার বাবার নাম) আপনার হলো। আর কতক্ষণ। (আমি)
>হয়েছে পারফিউমটা দিয়েই আসতেছি। (বাবা)
কিছুক্ষণপর…
-ও ড্যাড তোমাকে একদম সাহরুক খানের মত লাগছে। মনে হচ্ছে তুমি আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছো। (আমি)
>Thank you for your cute complement. (বাবা)
-Your welcome. এখন চল। না হলে কিছুই পাওয়া যাবেনা। আর মায়ের কাছে তোমার… বুঝতেই তো পরছো… (আমি)
>হুম (বাবা)
*
অতঃপর একটা রিকশা নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রাস্তায় বেশ কিছু কপোতি দেখা যাচ্ছে।
-বাবা তুমি কিন্তু এদিক ওদিক তাকাবা না… বুজলা (আমি)
>উফফ জ্যোতি! তোকে কতবার বলেছি বাইরে বের হলে আমাকে বাবা ডাকবি না। (বাবা)
-মা-মা-মা বাবাকে বাবা ডাকবো না তো কি মা ডাকবো.. (আমি)
>ঐ বদ আমি তোকে মা ডাকতে বলছি… (বাবা)
-তো কি ডাকবো…
>আমার নাম ধরে ডাকবি…
-যাহ্ তা হয় নাকি। বাবার নাম ধরে কেউ ডাকে।
>হুম ডাকবি তুই।
-আচ্ছা। ঠিক আছে…
*
>এই যে রুপসী তোমার নাম্বারটা দিবা? (একটা মেয়েকে দেখে বাবা)
<আগে তো তোমার নাম্বারটা দাও। (মেয়েটা)
>01********* (বাবা) মেয়েটাও কম নয়
<তোমার পারফিউমের সুবাসটা কিন্তু দারুন। কি পারফিউম গো এটা? (মেয়েটা)
বাবার লাইনে একটু পানি ঢেলে দেই। (মনে মনে)
-বাবা কি হচ্ছে এসব… (আমি)
আমার মুখে বাবা কথা শুনে মেয়েটা বাবার দিকে এমন ভাবে তাকালো যে বাবাকে গিলে খাবে। খাওয়ারই কথা পাশে ছেলেকে নিয়ে মেয়েদের সাথে টাংকি মারা আরকি। আর বাবাও রিকশাওলাকে জোড়ে যেতে বলল।
-বাবা এটা তুমি কি করলা। নিজের ছেলের লাইনটা করাইতে পারলানা। (কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলাম)
>চুপ তুই আর আমার সাথে কথা বলিসনা। কত দিন পর একটা মেয়েকে বাগে আনছিলাম আর তুই এক ডাকে সব শেষ করে দিলি। (বাবা)
-আরে ঐটাতো তোমার বৌমার মত তাই আরকি। (আমি)
>নিজের হবু মা সম্পর্কে কিসব বলিস আবোল-তাবোল। (বাবা)
-ওর বয়স দেখেছো তোমার সাথে যায়। য়ায় আমার মত একটা হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে… (আমি)
>কি এমন বয়স হয়েছে আমার। এই তো মাত্র…
-মাত্র বল..বল.. মাত্র কত?
>কত আর হবে এই ৪০-৪২।
-তাহলে তুমি কিভাবে লাইন মারতে চাও…
>কেন আমি আমি ওর সাথে প্রেম করতে পারবনা। এখন এইটাই ফ্যাশন।
-এই কথা তো মাকে বলাই লাগবে… (একটু চাপ দিলাম)
>কি? কি কথা…
-এই যে তুমি রাস্তায় বৌমার বয়সী মেয়েদের সাথে লাইন মারতে চাও…
>তো বলবি… আমি কি তোর মাকে ভ-ভ-ভয় পাই নাকি…
-সেটা বুঝতেই পারবে…
*
অতঃপর রিকশা থেকে নেমে বাবা ছেলে বাজারে ঢুকলাম। ঢুকেই তোমাথায় হাত। ভাল সব জিনিস শেষ। বাবার লাভ চক্করে পরে সব শেষ। জানিনা ভাল কিছু পাব কিনা। মা আজকে আমাদের শেষ করে ফেলবে। যাই হোক অনেক ঘোরাঘুরি বাজার শেষে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসার সময়…
-বাবা দেখ তোমার জন্য পারফেক্ট… (আমি)
>ধুর ওর বয়স বেশি। (বাবা)
-নিজেরটা চিন্তা করছো… (আমি)
>আচ্ছা এত করে যখন বলছিস। একবার ট্রাই করে দেখি… (বাবা)
-হুম। যাও আমি এখানে আছি।
অতঃপর বাবা মেয়ে পটানোর জন্য চলে গেল। আর আমি না না। বাবা যার কাছে গেছে তার পিছনে আর একটা মেয়ে আসছে যার জন্য আমি বাবাকে ওখানে পাঠিয়ে দিলাম। আর আমি একদম সুপার-ম্যান স্টাইলে মেয়েটার সামনে হাজির…
-Excuse me! (আমি)
<হুম বলেন? (মেয়েটা)
-তুমি কি সেই মেয়ে যাকে আমি এতদিন ধরে খুজেছি? (আমি)
<মানে… (মেয়েটা)
-কি অর্পূব যেন চাঁদের পরী…
<কি সব আবোল-তাবোল বলতেছেন।
-না না আমি পাগল নই…
<আরে আপনাকে পাগল কে বলল?
-না কেউ বলেনি। তবে তোমাকে দেখার পর মনে হচ্ছে পাগল হয়ে যাব।
<আপনার মাথায় কি ছিট আছে…
-না না ছিট টিট কিছুই নেই। কথা আছে?
<কি কথা?
-কথা হচ্ছে কথা তা না…
>তা না তাহলে কি?
-বিয়ে করবে আমাকে? (আমি)
<ওহ এই কথা… আচ্ছা দাড়াও একটু… (মেয়েটা)
*
ওহ ইয়েস। আমি মনে হয় সফল হতে চলেছি। বাজার করতে এসে বিয়ে। আহ্ মজাই আলাদা। বাবা তুমি খাও ছেকা আমার এদিকে হইতেছে জোড়া।
*
কয়েক মিনিট পর…
<ইনি হলেন আমার স্বামী। আর এই হল আমার মেয়ে। (এ্কটা লম্বা লোক আর একটা পাঁচ বছর মত মেয়েকে দেখিয়ে দিয়ে।)
-তবে লোকটাকে দেখে মনে হয় পুলিশে জব করে। আজ আমি গেছি… প্রথম বলে ছয় না বোল্ড হয়ে গেলাম। (মনে মনে)
<কি হল চুপসে গেলে যে। (মেয়েটা)
-অর্পূব। আপনাদের দারুণ মানিয়েছে খালামনি (আমি)
<খালামনি! তুমি কি যেন বলবে… (মেয়েটা)
-না ইয়ে মানে কথা হচ্ছে আপনাদের মেয়ে কিন্তু অনেক কিউট। আমার পছন্দ হয়েছে। বড় হলে আমার সাথে বিয়ে দিবেন কিন্তু। (আমি)
<আচ্ছা ঠিক আছে। (মেয়েটা)
অতঃপর ওখান থেকে চলে আসতেছি আর ভাবছি জানিনা কত বছর বয়সে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের বয়সে পাঁচ বছরের একটা মেয়ে আছে। দেশের আইন কত নিচে নেমে গেছে। বাল্যবিবাহ আইন না করে যদি বিবাহ আইন করতো যে ২৫ বছরের মধ্যে ছেলে মেয়ের উভয়ের বিয়ে বাধ্যতামুলক। তাহলে সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হত। আর সরকার বলতেও পারতো যে আমার দেশে আইনের যথাযথ ব্যবহার হয়। তা না বাল্যবিবাহ আেইন করে রাখছে।
>কি আব্বাজান কাজ হল। একদম কি হবু শশুরের সাথে কথা বলে আসলেন নাকি? (বাবা)
-হুম। তবে শশুরের সাথে না। শাশুরির সাথে। (আমি)
>শাশুরি কোথায়?
-ঐ যে মেয়েটা ঐটা।
>তাহলে বৌমা কোনটা?
-কেন ঐ যে কোলে… (আমি)
>কিভাবে আব্বাজান? (বাবা)
-কেন তুমি যেভাবে অল্পবয়সী মেয়েদের টাংকি মারো সেভাবে?
>কি হইছে খুলে বল আমাকে… (বাবা)
-….
অতঃপর বাবাকে সব খুলে বললাম। আমার কথা শুণে বাবা হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগরিখায় এমন অবস্থা। আমার এদিকে ফাটে আর উনি সুতা দিয়ে ঘুড়ি ওড়ায়। হেসে নাও। বাড়িতে গেলে মজা পাবে। অতঃপর বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে আসার পর…
<এগুলো কি আনছো? (মা)
>কেন? কি হয়েছে? (বাবা)
<পচা মাছ, পচা তরকারি সব কিছুই তো নষ্ট। আবার বলছো কি হয়েছে? (মা)
-আমার কোন দোষ নাই মা। বাবা রস্তায় কচি কচি বৌমার বয়সী মেয়েদের সাথে টাংকি মারছিল। আর তার জন্য বাজারে পৌছাতে দেরী হয়। আর দেরী হলে তো জানোই কি হয়। (বাবাকে একটা বেশ বড় সড় বাশ দিলাম। আমার কথা শুনে হাসা হচ্ছিল না। এখন)
<কিহ্। এত বড় সাহস। (মা)
>এই না না ও মিথ্যা কথা বলছে। আসলে ও মেয়েদের সাথে… (বাবা)
<কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা সেটা জানা আছে ভাল করে। তোমার চরিত্র সম্পর্কে আমি জানি। (মা)
-বাবা এবার কেমন লাগে। তখন তো বেশ হা হা হা করে হাসছিলে। এখন আমি হাসি। (মনে মনে)
>আরে না তুমি কথা বুঝতেছো না। আসলে হয়েছে… (বাবা আমার কথা সব বলে দিছে)
<ওর বয়স এটা ও তো এইটা করবেই। কিন্তু তুমি কেন? (মা) এই নে বাবা কমপ্লান খাও।
-আমার সোনা মা। দাও! (আমি)
আহ্ কত্ত আদর। এই বয়সে কমপ্লান। মায়ের জুড়ি নেই। এই না হলে মা।
-আউচ… মা লাগছে তো। (আমি)
<লাগুক। শয়তান ছেলে। বাবার নামে উল্টা পাল্টা কথা। (মা)
একদিকে মা আর অন্য দিকে বাবা আবার মুচকি মুচকি হাসছে। ঠিক আছে এবার হাতে প্রমাণ ছিলনা তাই বেচে গেলে কিন্তু আগামীতে মাফ নেই।
-মা ভুল হয়েছে। এবারের মত মাফ করে দাও। (আমি)
>যাহ্ এবারের মত ছেড়ে দিলাম। গোসল করে খেতে আয়। (মা)
*
অতঃপর মায়ের হাত থেকে মুক্তি পেল আমার কানটা। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি তাকে চোখে চোখে বুঝিয়ে দিলাম এবার পার পাইছো কিন্তু আগামীতে পাবা না। বাবাও বুঝিয়ে দিল দেখা যাবে।
তারপর গোসল করে খেতে আসলাম। এসে জানতে পারলাম আজ নাকি বাবার বন্ধুর বিবাহ্ বার্ষিকী। তাই বাবা মা সন্ধ্যায় ওখানে যাবে। আর সাথে আমাকেও যেতে হবে। যদিও বা আমার কোন ইচ্ছা নেই। সেই ছোট বেলায় গিয়েছিলাম। আর যাওয়া হয়নি। কিন্তু আজকে মনে হয় যেতে হবে। আমাকে নাকি নিয়ে যেতে বলেছে। আমি আবার কারো কথা ফেলতে পারিনা। তাই রাজি হয়ে গেলাম।
*
সন্ধ্যায় আমারা ওনাদের বাসায় উপস্থিত হলাম। আমাকে দেখে বেশ খুশি হয়েছে ওনারা। কিন্তু আমার মনটা বেশ খারাপ। এত গুলো মানুষ কিন্তু কোন মেয়ে নেই। তাই অনাথ শিশুর মত সোফায় বসে আছি।
>জ্যোতি এদিকে আসো? (বাবা)
-হুম বাবা বল… (আমি)]
>আহসান এই হলো আমার ছেলে জ্যোতি। (বাবা)
<অনেক বড় হয়ে গেছো বাবা। অনেক ছোটতে তোমাকে দেখেছি (আহসান কাকু)
-জ্বি কাকু। আপনিও তো আমাদের বাসায় আসেন না। (আমি)
>তোর মেয়েটা কোথায়? (বাবা)
-কাকুর মেয়ে আছে? (আমি)
>হুম। ইশিতা। ভুলে গেছিস। তোর সাথে খেলতো? (বাবা)
-ওহ। তা কোথায়? (আমি)
<ঐ যে। (আহসান কাকু হাত দিয়ে দেখিয়ে দিল)
*
মুহূর্তেই আমার অনাথ ভাবটা কেটে গেল। যেখানে দেখালো সেখানে তো ডজ্জন ধরা কপোতি। অথচ এতক্ষণ একজনকেও দেখলাম না। সবার মুখ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কোন একটা মেয়ের মুখটা দেখা যাচ্ছে না। একটা অন্য রকম ভাব মেয়েটার মধ্যে। সবার থেকে আলাদা। পিছন থেকে শুধু কানটাই দেখা যাচ্ছে। হালকা বাতাসে চুলগুলো উড়তেছে। মুখটা দেখার জন্য মনটা শুধু আনচান করছে। পিছন থেকেই যে এত মায়াবী জানিনা সরাসরি দেখলে কি হবে আমার।
To be continue…
লেখা: লিটন (খচ্চোর)
#অবাক_পৃথিবী 2
☆
নাহ্ কিছুতেই মুখটা দেখতে পাচ্ছি না। কি করা যায়? ওখানে কি যাব? নাহ গেলে আবার কি না কি মনে করবে তখন লেও ঠেলা। নাহ্ কিছু একটা করতে হবে? রুপসী মুখটা দেখাও না। আর কত ডিগ্রি বাকতে হবে। নাহ্ এভাবে হবে না। অন্য কিছু ভাবতে হবে… হুম! আইডিয়া…
কয়েক মিনিট পর…
-বউ তুমি এখানে আর আমি তোমাকে কোথায় কোথায় না খুজলাম। তুমি জানোনা তোমাকে না দেখলে আমার ভাল লাগেনা। তোমার চাঁদ মুখ খানা একটু দেখাও না। (আমি)
>কি বল এসব। মানুষ দেখলে কি বলবে আর এক্ষুণি তো তোমার কাছ থেকে আসলাম… (ঘুরতে ঘুরতে মেয়েটা)
-আমার বউয়ের সাথে আ-আ-আ-আ-আ-আ-আ…. (এ তো সেই সকালের খালামণি) আমার মাথা উপর নিচে ঘুরতেছে। আর কিছু মনে নেই…
*
কিছু সময় পর…
-মাথাটা বেশ ধরেছে। বউ না বউ ও বাবা ক্যাটরিণা আমার বউ হবে। ঐটা আমার বাচ্চা বিছানা এত কোমল কেন? ও বাবা টেডি বিড়াল ও আছে দেখছি। ও মা রাত ও তো হয়ে গেছে। এটা তো আমার ঘর না। কার ঘরে যে ভুল করে ঢুকে পরেছি। নাহ্ কেউ দেখে ফেলার আগে এখান থেকে যেতে হবে। তাই করি…
>আরে আরে কোথায় যান? এখানে শুয়ে থাকেন? (অর্পূব এক কন্ঠস্বর)
-ইয়ে না মানে ইয়ে আমার কোন দোষ নেই। আমি ভুল করে ঢুকে পরেছি। (আমি)
>আপনি ভুল করে ঢুকতে যাবেন কেন? আমরাই তো আপনাকে এখানে এনেছি। (অর্পূব সুন্দর একটা মেয়ে)
-কিহ্ আপনারা। (আমি)
>হুম। এখন শুয়ে থাকেন? (মেয়েটা)
-আমার সাথে কিছু করেন নি তো। আমার সব শেষ (লজ্জা ভাব নিয়ে আমি)
>কি সব আবোল তাবোল বকছেন?
-সব কিছু লুটে নিয়ে এখন বলছেন আমি পাগল।
>এই যে মিস্টার কথা বুঝে শুনে বলবেন? আমরা কি লুটে নিব আপনার?
-এ মা এ একাই নয় সবাই মিলে! এখন আমি মুখ দেখাব কি ভাবে?
>এই যে দেখুন আপনি হঠ্যাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে আমার গায়ের উপর পরেন। আর তাই আপনাকে এ রুমে নিয়ে আসা হয়। (মেয়েটা)
-হুম আমাকে বোকা পেয়েছেন? আমি জ্ঞান হারালে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন রুমে কেন? (আমি)
>কি আজব। আপনি আমাদের বাসায় অসুস্থ হলেন আর না দেখেই হাসপাতালে নিয়ে যাব?
-নিজেকে খুব চালাক মনে করেন? আমি আপনাদের বাসায় আসতে যাব কেন?
>কেন তা জানিনা। তবে যতদুর জানি আজ আমার বাবা মায়ের বিবাহ্ বার্ষিকী তাই হয়তো আপনার বাবা মায়ের সাথে এসছেন। (মেয়েটা)
*
আহ্ মাথাটা কেমন জানি চক্কর দিচ্ছে। সব কেমন এলোমেলো মনে হচ্ছে। হুম এবার মনে পরেছে… আমি তো বাবার সাথে বাবার বন্ধুর বিবাহ বাষির্কীতে এসেছি। আর বাবার বন্ধুর মেয়েটার মুখ দেখতে গিয়ে ভুল করে সকালের সেই খালামনিকে বউ বলে ফেলেছিলাম। আর তাকে দেখে মাথা ঘুরে কারো উপর পরে যাই। কিন্তু কাকুতো বলেনি যে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আর একটা বাচ্চাও আছে। কপাল না ওনার না আমার পুরোটাই খারাপ ভাবলাম কাকুর মেয়েকে নিয়ে একটা ঘর বাধবো। কিন্তু কপালে নাই ঘি টোকা দিলে হবে কি। পুরাই আজব। নাহ্ মেয়েটাকে অনেক ভুল ভাল বলে ফেলেছি। ওকে সরি বলা দরকার।
-আমি আসলে বুঝতে পারিনি। হঠ্যাৎ করে নিজেকে এখানে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তাই এমনটা হয়েছে। আমাকে মাফ… (আমি)
>….??? (কোন সাড়া শব্দ নেই)
*
আরে কোথায় গেল। এখুনি তো এখানে ছিল। কিছু না ভেবে কিসব বলাম মেয়েটাকে। এখন কি মনে করবে। বাবা ঠিকি বলে আমি আসলেই একটা গাধা। নাহ্ অনেকক্ষণ হয়ে গেছে। এখন একটু বাইরে যাওয়া যাক। মনে হয় কেক কাটা হয়ে গেছে।
অতঃপর ঘর থেকে বাইরে বের হতেই আমার চোখ কপালে। সেই খালামনি তার স্বামী, আমার বাবা মা, কাকু কাকিমা পুরো পল্টন একসাথে বসে গল্প করছে। না জানি কি কি বলছে। ইজ্জতের বারটা বাজছে। না এখানে থাকা যাবে না। যেতে হবে…
>এই যে আমার আদরের দুলাল একমাত্র পুত্র বের হয়েছে। (বাবা)
-ইশশশশ ধরা পরে গেলাম। (মনে মনে)
>যে কিনা সবাইকে রাস্তাঘাটে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বেরায়। (বাবা)
-বাবা প্লিজ… আজকের দিনটা আমাকে ছেড়ে দাও। (সবাইকে হাই দিয়ে)
>হুম। ওকে বসো এখানে? সবার সাথে পরিচিত হও। (বাবা)
-হুম… বাহ্ কাকু আপনাদের সোফা বেশ অদ্ভুত। মনে হচ্ছে কারো কোলে বসে আছি। (সোফায় বসে)
সবাই আমার দিকে কেমন জানি অবাক চোখ তাকাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমি আবার কোন অপরাধ করে ফেলেছি।
>ওরে হতোছাড়া কোলের মত নারে কোলে বসেছিস। (বাবা)
-বাবা তুমিও না। দারুন জোক্স বলতে পারো। (আমি)
>জোক্স দাড়া তোকে মজা দেখাচ্ছি। জোক্স বলছি না… (বাবা)
-তা নয়তো কি। কাকু দেখতো আমি নাকি কারো কো…ও (আমি)
<হুম (চোখ গুলো বড় বড় করে কাকু)
আমি একদম সোনা ব্যাজ্গ এর মত এক কোণায় চলে গেলাম। না গিয়ে তো উপায় নেই আবার সেই খালামনির কোলে বসে পরেছিলাম। আজ যে কি হয়েছে আমার শুধু ঐ খালামনির সাথে এমনটা হচ্ছে।
>মিলি দেখছো আমার ছেলের কাজ কর্ম। বিয়ে বিয়ে করে এমন পাগল হয়েছে চারিদিকে কি হচ্ছে বুঝতেই পারছে না। (বাবা)
-বলে নাও বাবা আমি এখন গাদ্দায় পরছি না। (মনে মনে)
<হুম। তবে তোমার ছেলেটা কিন্তু অনেক কিউট। (সেই খালামনি)
-হুম…হুম…হুম গলাটা একটু ঝেরে নিয়ে একটু ভাব নিয়ে বসলাম।
>কিউট কিন্তু বদের হাড্ডি। (বাবা)
-বাবা এক মিনিট… (আমি)
আমার এভাবে কথা বলা দেখে সবাই অবাক…
>হুম কি… (বাবা)
-আমি তো জানি কাকুর মেয়ের নাম ইশিতা আর তুমিও তো তাই বলেছিলে। তাহলে মিলি বলছো কেন? (আমি)
>হুম তাই তো। আহসানের মেয়ের নাম তো ইশিতা। (বাবা)
-তাহলে মিলিকে। তাহলে কাকুর কি আর একটা মেয়ে আছে আবার তার বিয়ে হয়েছে? (আমি)
>কি বলছিস আবোল তাবোল। মিলি তোমার আন্টি আহসানের বোন। (বাবা)
-আ্যাঁ… (আমি)
>হ্যাঁ… (সবাই)
আবার বোকা হয়ে গেলাম। না আর বোকা হওয়া যাবে না। কিছু একটা করতে হবে।
-কাকু আপনাদের কেক কাটা হয়ে গেছে। আপনাদের গোল্ডেন বিবাহ্ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। (আমি)
<কি বলছো বাবা সবে মাত্র ৩২তম বিবাহ্ বার্ষিকী আর তুমি শততম বিবাহ্ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছো? তোমাকে ছাড়া কি কেক কাটতে পারি… দেখেছিস তোর ছেলে কত র্স্মাট (বাবাকে বলল) আর তুই শুধু আজে বাজে কথা বলিস। (কাকু)
-আপনি কি যে বলেন কাকু। (একটু ভাব নিয়ে)
<দেখেছিস কত ভদ্র ছেলে। (কাকু)
>হুম কত না ভদ্র তুই দেখ। রাস্তায় রাস্তায় মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বেরায় সে নাকি ভদ্র (বাবা)
<তা তো করবেই। এই বয়সে এগুলো হতেই পারে। (কাকু)
-আরে কাকু ঐ বুড়োর কথা বাদ দাও তো। যে এখনো বৌমার বয়সী মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় সে কি করে ভদ্র ছেলে চিনবে। (ফুলটচে ছক্কা মেরে দিলাম)
<হ্যা…রে আদিল তুই এখনও। (কাকু)
-এখনো মানে… বাবা আগে কতগুলো প্রেম করছে… (আমি)
<তুমি জানোনা বাবা তোমার বাবা ছিল প্রেম কুমার। কলেজের সব মেয়ের সাথে লাইন মারতো। (কাকু)
-মা….আ তুমি এমন একজন কে বিয়ে করেছো। আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে পারতে না। (আমি)
>চুপ কর বদমাশ ছেলে। (মা)
-কাকু বল না মা কত নম্বর ছিল। (আমি)
<তোমার মা তো ছিল…. (কাকু)
>জ্যোতি চুপ করবি। আর ভাইজান আপনিও না। (মা)
-কাকু আপনি বলেন। দেখছেন আমার বাবার মুখটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ইশশশ বাবাকে যা লাগছে না… (আমি)
<আপনার কাকু আর কি বলবে? উনিও কম নয়… (একটা মেয়েলী কন্ঠ মনে হচ্ছে বেশ রেগে আছে)
-কাকু কে মেয়েটা (মেয়েটাকে না দেখেই আমি)
>আমার মেয়ে ইশিতা। (কাকু)
-তাই… কেমন মেয়ে আপনি যে বাবাকে ফাঁদে ফেলছেন। মেয়ে মানেই র্স্বাথপর। (ঘুরতে ঘুরতে আমি)
>আপনি আবার কেমন হুম… (মেয়েটা)
*
কি অর্পুব। এত সুন্দর কিভাবে কেউ হয়। কালো শাড়ি আর ভেজা খোলা চুলে অর্পূব সুন্দর। চোখের পলক পরে না। কি দিয়ে বানিয়ে তোমাকে। কত না আদরে বানিয়েছে তোমাকে। এ তো সেই মেয়েটা যার সাথে ঘরে কথা বলছিলাম। ও যদি আমার বউ হতো।
*
>ও হ্যালো… এভাবে কি দেখেন? (মেয়েটা মানে ইশিতা) -...??? (অবাক চোখে তাকিয়ে আছি)
>কি ব্যপার… কি বলাম… (ইশিতা)
<জ্যোতি কি হলো… (বাবা আমাকে নাড়া দিয়ে)
-হুম… হুম… কই কিছু না তো…(আমি)
*
বাবা নাড়া দেওয়াতে বাস্তবে ফিরলাম। আর নিজেকে আবিষ্কার করলাম মেঝেতে। সবাই কেমন জানি অবাক দৃষ্টিতে আমাদের মানে আমার আর ইশিতার দিকে তাকিয়ে আছে। আবার কি করলাম বুঝতে পারছি না। ওহ হ্যাঁ ইুশতাকে দেখে পরে গেছি। আহা কি অর্পূব মায়াবী চোখ গোলাপের পাপড়ির মত ঠোট যুগল। আর হাসিটা যেন কোন মায়া পরী হাসছে।
*
>কি হল… এভাবে দেখছেন কেন? (ইশিতা)
-না মানে ইয়ে মানে আমার মাফ হইছে, আপনি ভুল করে দেন? (আমি)
>কিহ্… (ইশিতা)
*
সবাই কেম জানি মুচকি মুচকি হাসছে। কিন্তু কেউ কোন কথা বলছে না। আমিও বেশ অবাক হচ্ছি। কি করছি আমি।
*
-না মানে আমার ভুল হইছে আমাকে মাফ করেন? (আমি)
>মাফ কিন্তু কেন? (ইশিতা)
-ঐ যে তখন আবোল তাবোল বলার জন্য। (আমি)
>আরে না ঠিক আছে। এতে মাফ চাওয়ার কি আছে। এখন উঠেন আর আপনার বাবার কাছে মাফ চান? (ইশিতা)
-হুম… বাবা আমাকে মাফ করে দাও… (বাবার পায়ে চিমটি কেটে)
>আউউচ্… হয়েছে হয়েছে। (বাবা)
<আবার কি হল… (মা)
>না কিছু না। এখন চল কেক কাটি… (বাবা)
*
বাবাকে চোখে চোখে বুঝিয়ে দিলাম ওকে আমার চাই। কিন্তু বাবা নারাজ। তাই আমিও জানিয়ে দিলাম ওকে আমি আমার করে নেবই।
*
অতঃপর কেক কাটা হল। কাকু কাকিমাকে আর কাকিমা কাকুকে খাইয়ে দিল। আর আমি ওনাদের খাইয়ে দিলাম। ইশিতাকেও খাওয়াইতে গেছিলাম কিন্তু যত বড় হা করছিল আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম কেক না খেয়ে আবার আমার হাত না খেয়ে ফেলে তাই ওকে না দিয়ে নিজেই কেয়ে নিয়েছি। অবশ্য আমার উপর খুব রেগেছে। তাই আমাকেও জব্দ করতে চেয়েছিল। কিন্তু খালামনির জন্য বেচে গেছি। যাই হোক এই প্রথম খালামনি আমার একটা উপকারে আসল। বুঝতে পারছি ইশিতাকে পটাতে হলে আগে খালামনিকে পটাতে হবে। তবে খুব লজ্জা লাগছে কোন মুখে আমি ওনার সাথে কথা বলব। ওনার সাথে যা করেছি। তাতে উনি যে আমাকে ইশিতার হাত থেকে রক্ষা করেছে এটাই বিশাল। তবে এই অযুহাতে তার সাথে কথা বলা যেতেই পারে। কিন্তু আজকে ইশিতার সাথে কোন কারণ ছাড়াই কথা বলা যেতে পারে। আর খালামনিকে পরে দেখব। এখন কাজে মন দেওয়া দরকার।
>জ্যোতি এই জ্যোতি… কি হয়েছে বাবা। এমন খাম্বা মেরে আছিস কেন? (মা)
-হুম… হুম না কিছু না। (মায়ের ডাকে বাস্তবে ফিরলাম)
>তাহলে এখানে দাড়িয়ে আছো কেন? ইশিতা তোকে ডেকে গেছে। যাও ওখানে… (মা)
-এ তো দেখি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।
>কিছু বললি… (মা)
-কই কিছু না তো? কোথায় ইশিতা? (আমি)
>ওর ঘরে ওর বন্ধুদের সাথে কথা বলছে। (মা)
*
হুম এ তো আমার চেয়ে বেশি ফাস্ট। যাই দেখি কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য। অবশ্য প্রথমবার কোন মেয়ের ঘরে যাচ্ছি তাই বুকটা কেমন জানি ধুক-ধুক-ধুক করছে। কিন্তু ওর আবার রুম কোনটা।
-খালামনি ইশিতার রুম কোনটা? (আমি)
>হুম… (আমার কথা শুনে এমন ভাবে তাকালে যেন আমি ওনার কাছে তাজমহল চাইছি)
-কি হল তুমি সরি আপনি এমন করে তাকাচ্ছেন কেন? (আমি)
>না তুমি আমার সাথে যা করেছো। এখন আবার ইশিতার রুম খুজছো কাহিনী কি… (খালামনি)
-না কাহিনী কিছু না। মা বলল ও নাকি আমাকে ডেকেছে তাই আরকি… (আমি)
>তাই..
-হুম। সত্যি বলছি মা এটাই বলেছে।
>হুম। ঐটা রুম। যাও
*
অতঃপর রুমে গেলাম। আমি তো পুরাই অবাক এটা ঐ রুমটা যেখানে আমি শুয়ে ছিলাম। যেখানে ইশিতার সাথে আমার ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। ঐ তো একটা মেয়ে জানালা খুলে দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে।
-হুমম… হুমম (আমি)
>আপনি… (ইশিতা)
-হুম আপনি নাকি ডেকেছেন? (আমি)
>আমি ডাকলেই আপনি আসবেন তাও আবার আমার রুমে… (ইশিতা)
-হুম কেন নয়…
>কেন এখন যদি আপনার সর্বস্য লুটে নেই।
-নাও সমস্যা নেই। তুমি তো নিবে… (আমি)
>তাই না… এই নাও (আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানার উপর ফেলে দিয়ে একদম আমার বুকের উপর বসে পরেছে)
-এই এই কি করছো কেউ দেখে ফেলবে তো। (আমি)
>দেখুক তাতে আমার কি? একদিন ঝগড়া হয়েছে বলে তুমি রাস্তা ঘাটে মেয়েদের প্রোপোজ করে বেড়াও। না জানি আগে কত জনের সাথে প্রেম করেছো। আর আজতো আন্টিকে। তোমাকে আজ আমি শেষ করে ফেলব… (ইশিতা)
-যাই করো এসব করো না। কেউ দেখলে সর্বনাশ হয়ে যাবে…
>কেন আর কেউ আছে এসব করার জন্য…
-ছিঃ ছিঃ কি বল এসব। তুমি ছাড়া আর কেউ আছে নাকি আমার তুমিই তো সব।
>তাই
-হুম।
>তাহলে…
-তাহলে কি… (আমি)
>ইশশশচচচ্
আমার মুখে আঙ্গুল রেখে। আমার র্শাটের কলার ধরে উপরে টেনে তুলল। অতঃপর আমার পায়ের উপর ওর পা রেখে চাপ দিয়ে কিছুটা লম্বা হয়ে আমার গলার দুই পাশ দিয়ে হাত রেখে চোখ দুটো বন্ধ করে আমার ঠোঁটে ওর লিপিস্টিক রাঙ্গা ঠোঁট যুগল ছুয়ে দিল। আমি ততক্ষণে ওর চুলের ভিতর দিয়ে কানের নিচে হাত রেখে আরো গভীর ভাবে ওর রিপিস্টিকের দাগ মেখে নিতে শুরু করলাম। অতঃপর ওকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। আর তখনি…
<ইশিতা এসব কি? তোমাকে কত আদর ভালবাসা দিয়ে আমরা মানুষ করলাম আর তুমি… ছিঃ ছিঃ ছিঃ (খালামনি)
দরজা খোলা ছিল খালামনি সব দেখে ফেলেছে। সব শেষ এবার কি হবে?
-না মানে খালামনি হয়েছে কি… (আমি)
<তুমি চুপ কর। আমি তোমাকে কিছু বলিনি…
To be continue…
লেখা: লিটন (খচ্চোর)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ