#বোকা_ছেলে 7
☆
রাতে খাওয়ার পর সজল ঘরে বসে আছে। মনে হচ্ছে সে নতুন বউ। আর একটু পর ওর বর আসবে। কিন্তু এছাড়া তো আর কিছুই করার নেই। যে কাজ করেছে এটা আবার ঐশী না শুনে ফেলে। শুনে গেলে তো সর্বনাশ। সজলের চোখে মুখে শুধু চিন্তা আর চিন্তা। কি হবে বলাই যাচ্ছে না। একটু যে উকি দিয়ে দেখবে তারও উপায় নেই। কিছু না পেয়ে পেট চুলকাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর ঐশী আসল…
ঐশীর চোখে মুখে শুধু রাগ আর রাগ। রাগের কারণে লাল হয়ে গেছে সে। আজ যে সজলের অবস্থা খারাপ সেটা সজল ঠিক বুঝতে পেরেছে। কি করবে বুঝতে পারতেছে না। আবার ঐশী এদিকে আসছেও না। সজল একটু একটু করে পিছাতে পিছাতে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে ফেলেছে। একদম নাকানি চুবানি খাওয়ার মত অবস্থা।
-আজ আমি শেষ। দেয়ালেও পিঠ ঠেকে গেছে। মা বলেছিল দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নাকি সব শেষ। আত্নসর্ম্পণ ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু কি করব। আর ও তো যে ভাবে তাকিয়ে আছে তাতে মনে হচ্ছে আজ সত্যি সত্যি কোন রাক্ষসীর গুহায় ওর আহার হয়ে বসে বসে ওর অপেক্ষা করছি। নাহ্ বাচতে হবে। ভাবতে হবে….???? পেয়েছি… এতেই কাজ হবে….
মনে মনে ভাবছে সজল। কোন একটা বুদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন আবার মনে মনে হাসছে। ওদিকে ঐশী আবার ভ্রু কুচকে দেখছে। ঐশীও বুঝতে পারছে না কেন সজল হাসছে।
-এদিকে আসবে না… নাকি দরজায় দাড়িয়ে থাকবে…
সজল ঐশীকে ডেকে বলল। আর ঐশী পুরোটাই অবাক। কি করলাম আর কি হয়ে গেল।
>মনে হচ্ছে আমার বোকা বরটার মাথায় একটু একটু বুদ্ধি আসতে শুরু করেছে… (মনে মনে ঐশী)
-কি হল দাড়িয়ে থাকবে… যদি তাই হয় তাহলে তুমি ওখানে থাকো আমিও আসতেছি… (সজল)
>তাই বুঝি আসবে… তাহলে আসো…
-আচ্ছা ঠিক আছে… আসতেছি…
>এই আসা লাগবে না… আমিই আসছি…
*
দরজাটা লাগিয়ে সজলের দিকে যাচ্ছে। আর সজলের অবস্থা আরো খারাপ। এবার তার পালানোর রাস্তাটাও বন্ধ। চিন্তাটা আরো বেশি বেরে গেল। কি হবে এবার তার…
>কি বউকে দেখতে না পেয়ে মন খারাপ হচ্ছিল… (ঐশী)
-মন খারাপ… হ্যাঁ মন তো খারাপ হলো এখন… জানিনা এখন আমার কি হবে… (মনে মনে)
>কি হল…
-হুম… (অভিমানী সুরে)
>হয়েছে হয়েছে আর ভনিতা করতে হবে না… (ভেঙচি কেটে)
-ওহ্ আমার কষ্ট হলে সেটা তোমার কাছে ভনিতা… আর তুমি মিথ্যা কষ্টের কথা বললেও সেটা ঠিক… (মুখ ঘুরিয়ে)
>কি বললে আমি মিথ্যে বলেছি… (রাগি গলায়)
-সত্যি মিথ্যা বলে কি লাভ… তুমি তো আর আমাকে ভালবাসো না… যে আমার কষ্টটা বুঝবে…
>দুই দিনে কথা তো ভালই শিখেছো…
-জানতাম তুমি এটাই বলবে…
>তো কি বলা লাগবে… (মনে মনে হেসে)
-থাক আর বলে কি লাভ… তুমি তো আমাকে ভালবেসে বিয়ে করনি… আমার জন্যই বিয়ে করেছে…
>কি বললে…
-ঠিকি তো বলেছি… আমার সাথে ঐটা না করলে তো আর তোমাকে আমাকে বিয়ে করতে হতো না…
>আবার সেই পুরোনো কথা… বল কি বললে তোমাকে ভালবাসা হবে… (নিচু স্বরে)
-কি আবার… সেটা বুঝি অজানা তোমার কাছে…
>ওওও বুঝেছি…
-…???
>তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি… (সজলের গলায় ঝুলে পরে)
-এটা তো মিথ্যে বলছো…
>তাহলে বল কি করলে সত্যি হবে…
সজলের হাত দুটো সরিয়ে বুকের মধ্যে পিঠ ঠেকিয়ে সরানো হাত দুটোকে নিজের হাত দিয়ে চেপে ধরে বলল ঐশী। আর সজল তো কমল হাতের ছোয়ায় পাগল প্রায়।
দুজনেই চুপ চাপ। ঐ ভাবেই জড়িয়ে ধরে আছে। কারো মুখে কোন কথা নেই।
কিছুক্ষণ পর…
-আমাকে কতটা ভালবাসো… (সজল)
>নিজের থেকেও বেশি… (ঐশী)
-তাহলে কেউ যদি আমার নামে মিথ্যা কথা বলে তুমি সেটা কি বিশ্বাস করবে…
>কেন এভাবে বলছো কেন… আর কি করে জানব যে কথাটা সত্য না মিথ্যা…
-কেন আমার উপর কি তোমার কোন ধারণা নেই… যে আমি কি করতে পারি আর কি করতে পারি না…
>তা কি করতে পারেন আর কি করতে পারেন না আমাকে একটু বলেন দেখি…
-এই যে ভাল করে মিথ্যা বলতে পারি না…
>কি করে বুঝবো…
-এই যে আমি কিন্তু তোমার বাবাকে মারি নি… (বলেই জিহব্বায় কামড় দিল সজল)
>কি বললে… (সজলকে ফেলে দিয়ে রাগী গলায়)
-আমি সত্যি বলছি আমি সোলার কাকুকে মারিনি… সোলার দেখায়নি জন্য মাথায় চাটি মারিনি… আর হাতের কুনুই দিয়ে জন সিনার মত সোলার মাথায় মারিনি…
>কি বললে… সত্যিই তুমি মিথ্যাটা ঠিক করে বলতে পারো না। আমার বাবাকে তাহলে তুমি মেরেছো… আর তখন ভাল মানুষ সাজা হয়েছিল…
-এই না না… তুমি রাগ করো না…
>চুপ করো তুমি আমার সাথে কথা বলবে না… এ আমি কি করেছি… যাকে বোকা ভেবে ভালবাসলাম আজ তার আসল রুপ বের হয়ে আসল। এ আসলে একটা রুপধারী শয়তান… (কান্না করার মত করে)
-এই দেখ… আমি আসলে চিনতে পারিনি…
>চুপ করো… তুমি এর আগেও তুমি এই একই কাজ করেছো…
-ওও ঐটা তোমার বাবা ছিল… তাহলে এটা কে… দাড়াও আমি তাহলে শাশুড়ি মায়ের ঘর থেকে বের করে দিয়ে আসি…
বলেই সজল ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। আর চুপি চুপি করে ডাকতে লাগলো…
-শাশুড়ি মা শাশুড়ি মা… তারাতাড়ি দরজা খুলন… (সজল)
<কেন কি হয়েছে বাবা… (দরজা খুলে শাশুড়ি মা)
-ঘর থেকে ঐ সোলার লোকটাকে বের করে দিন… ওটা শশুড় বাবা নয়… ওটা বহুরুপী…
<কি বলছো কি বাবা…
-হ্যাঁ মা আমিও জানতাম না… ঐশী তো আমাকে বলল… তাই তো চলে আসলাম…
<কি… ঐ তুই কে বের হহ্ ঘর থেকে…
>কি করছো কি… আর জামাই কি বলে… (শুশুড়)
<কি বলে সেটা পরে বলছি… তুই আগে বের হ্হ ঘর থেকে… হায় হায় না জানি আমি কি কি বললাম এই লোকটাকে… আমার স্বামী যদি একবার শোনে তাহলে কি হবে… ছিঃ ছিঃ ছিঃ
>কি যা তা বলছো… আমিও তো তোমার স্বামী…
-এই বদ লোক তুই এখানে কি করিস… বের হয়ে যা… (সজল)
>কি যা তা বলছো তোমরা কিছুই তো বুঝতে পারছি না… (শশুড়)
<কি যা তা বল তুই কে… (শাশুড়ি)
>এই ঐশী ঐশী… এদিকে আয়… দেখতো তোর মা আর জামাই মনে হয় পাগল হয়ে গেছে…
<কি হয়েছে বাবা… (ঐশী ছুটে এসে)
>দেখতো এই লোকটা কি বলছে এটা নাকি তোর বাবা… জামাই না বললে তো সর্বনাশ হয়ে যেত… (শাশুড়ি)
<কি বলেছে তোমার জামাই…
>কি আবার তুই যা বলেছিস… যে এটা তোর বাবা নয়…
<এই তুমি কি বলেছো মা কে… (ঐশী)
-কেন তুমি যা বলেছো… (সজল)
<আমি তোমাকে কি বলেছি… আমি তোমাকে এটা বলেছি। …না মা… তুমি ২৫ বছর সংসার করার পরে চিনতে পারছো না…
>এ মা জামাইয়ের মাথায় কি সিট আছে… (শশুড়)
<বাদ দাও তো বাবা…
বলেই সজলকে টেনে ঘরে নিয়ে আসল।
*
ঐশী রাগে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। বার বার সজল কিছু বলতে গিয়ে বলতে পারছে না…
-তুমি রাগ করেছো… আর রাগ করো না… আমি আর কখনও এমন করবো না… (সজল মন খারাপ করে)
>চুপ করো তুমি আর কোন কথা বলবা না… কালকে তুমি চলে যাবা… (ঐশী)
-আর তুমি…
>আমি আর তোমার সাথে যাবো না… পারবো না তোমার সাথে সংসার করতে….
বলেই অন্যদিকে মুখ ঘরিয়ে শুয়ে পরল। সজল বৃথা চেষ্টা করল না। ও বুঝতে পেরেছে কোন কাজ হবে না। আজ সব চেয়ে বেশি বোকামি হয়ে গেছে। আজ ওর সত্যি নিজেকে বোকা মনে হচ্ছে। কান্নার একটা শব্দ আসছে। কে কাদছে সজল ভাল করেই বুঝতে পারছে। কিন্তু সাহস পাচ্ছে না চোখের জল মুছে দেবার…
-আমি সত্যি একটা বোকা। আমার মা আমাকে বলদ বলে আসলেই আমি একটা বলদ। আমার মত বলদের কোন জায়গা নেই এ পৃথিবীতে। পেটের মধ্যে যত বর্জ্য আবর্জনা তে ভর্তি। আমি শুধু এ পৃথিবীর বোঝা। কোন অধিকার নেই আমার এ পৃথিবীতে থাকার। তুমি ঠিক বলেছো আমার মত বোকার সাথে সংসার করে তোমার জীবনটা কেন নষ্ট করবে। আমি কালকে চলে যাবো। তবে বাসায় না… কোন একটা গাড়ির নিচে চাপা পরে চলে যাবো বহুদূর… আর জালাবো না তোমায়। তোমাকেও আর তখন কোন কথা শুনতে হবে না যে তোমার বর বোকা… কালকেই গাড়ির নিচে পরে পরলোকে চলে যা…
সজলের কথা শেষ না হতেই ঐশী হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরল। চোখের মধ্যে কত মায়া নিয়ে। চোখ দুটো যেন বলছে যেও না। তাহলে আমার কি হবে।
>এভাবে বলো না… তুমি চলে গেলে আমি কি নিয়ে থাকবো। আর কখনও এমন কথা মুখে আনবে না…
-কিন্তু…
>আর কোন কিন্তু নয়। আমার বোকা বর ই ভাল। তুমি শুধু তোমার বুদ্ধিটা একটু পরিষ্কার কর… তাতেই হবে…
-তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি…
>আমিও…
অতঃপর ঐশী সজলকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল…
*
ভালবাসা সত্যিই এমন। দুটি নিষ্পাপ মনের মিলন। ঘুমন্ত এই দুই নিষ্পাপ মুখ দুটোকে বেশ মায়াবি লাগছে। দক্ষিণ জানালা দিয়ে জ্যোস্নার আলো ওদের মুখে এসে পরায় আরো মায়াবী করে তুলেছে ওদের। কি নিষ্পাপ চাহনি। কত ভরসা মেয়েটার ছেলেটার উপর। ছেলেটা বোকা তবুও মেয়েটার মনের বিশ্বাস যে সে তার যত চাওয়া পাওয়া সব এই বোকা ছেলেটাই পুরণ করবে। আর এই ছেলেটাও জানেনা সে মেয়েটাকে অনেকটা বেশি ভালবেসে ফেলেছে। তাই তো মেয়েটার চোখের জল দেখতে পারে না।
*
পরের দিন…
ঐশী কখন যে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা তৈরী করতে গিয়েছে সজল বুঝতেই পারেনি। ঘুম থেকে উঠে দেখে ঐশী নেই। কেন নেই সেটা সজলের জানা। তাই তো কোন কিছু না করে ফ্রেশ হতে চলে গেল। ফ্রেশ হয়ে এসে দেখতেছে ওর ছোট শালিকা হাতে কিসের যেন একটা নিয়ে দাড়িয়ে আছে…
-আরে শ্রেয়া তুমি… বসো এখানে… (সজল)
>হ্যাঁ আমি… আসার পর থেকে তো একবারও আমার খবর নিলেন না। শুধু দিদিকে নিয়ে ব্যস্ত… আমরা যেন কেউ না… (শ্রেয়া সজলের শালিকা)
-এই দেখ কান্ড ঠিক আছে আজ তোমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হব… (সজল)
>হুম… (মুখটা মোচড় দিয়ে)
-হা হা হা… মুখটা বাকা করলে তোমাকে দারুণ লাগে… আর একবার ঐরকম কর প্লিজ…
>হয়েছে… হয়েছে… দিদি এটা পাঠিয়ে দিলেন…
-এটা আবার কি…
>স্নো…
-এটা দিয়ে কি করব…
>মুখে মাখবেন…
-তাহলে কি হবে…
>মুখটা পরিষ্কার হবে… ভাল করে মেখে নাস্তা করতে আসেন… (হাতে দিয়ে)
-আচ্ছা… তুমি যাও আমি আসতেছি…
>হুম… আর আজ বিকালে কিন্তু হচ্ছে তাহলে… (মুখ বাকা করে)
বলে চলে গেল। আর সজল ওটা হাতে নিয়ে ভাবছে…
-বউ এটা পাঠিয়েছে… এটা দিয়ে যদি মুখ পরিষ্কার হয় তাহলে পেট পরিষ্কার হবে… তাহলে আমার বুদ্ধিতে কোন আর ময়লা থাকবে না। বুঝতে পেরেছি বউ কাল রাতে বুদ্ধি পরিষ্কার করতে বলেছিল। তারমানে এই জন্য পাঠিয়েছে… কিন্তু শ্রেয়া যে বলল মুখে মাখতে… ও বুঝেছি… খাওয়ার কথা বললে তো লোকে জেনে যাবে আমার বুদ্ধি কম। তাই মাখার কথা বলেছে… কি বুদ্ধি আমার বউয়ের। আমারো কম কোথায় ঠিক ধরতে পেরেছি… হুম তাই করি…
এসব ভাবার পর আর কোন কিছু না ভেবে সজল ৬0 গ্রাম স্নো খেয়ে ফেলল। তাও আবার খালি পেটে…
*
কিছুক্ষণ পর…
সজল বিছানায় গড়া গড়ি করছে। খালি পেটে খাওয়ার ফলে রাসায়নিক সব পর্দাথ তাদের বিক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। পেটের মধ্যে জ্বালা পোড়া শুরু হয়ে গেছে। আর সজল ভাবছে কাজ শুরু হয়ে গেছে পরিষ্কার করার। কিন্তু ধীরে ধীরে পেটের ব্যথা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু তবুও সজল সহ্য করে আছে। যে বুদ্ধি তাকে পরিষ্কার করতে হবে। ওদিকে ঐশী আবার নাস্তা খেতে ডাকতেছে। কিন্তু সজল আর যাওয়ার অবস্তায় নেই। না পেরে ঐশী নিজে এসেছে…
-তোমাকে কি বরণ করে নিয়ে যেতে হবে… (ঐশী)
সজল আর সহ্য করতে না পেরে অনেকটা জ্ঞান হারানোর মত অবস্থায়। সজলের অবস্থা দেখে ঐশী খুব চিন্তিত। অতঃপর ওর চোখে পরেছে স্নোর খালি প্যাকেট। আর বুঝার বাকি নেই সজলের এই অবস্থার কারণ।
*
কয়েক ঘন্টা পর…
সজল অনেকটা সুস্থ। ডাক্তার ওর পেট ওয়াশ করে সব বের করে ফেলেছে। সজলের একটা হাত ধরে ঐশী পাশে বসে কাঁদছে। আর বলতেছে…
>তুমি কেন এটা করতে গেলে। কালকে আমি তোমাকে চলে যেতে বলেছিলাম তাই জন্য… তুমি কি বুঝনি যে আমি রাগের মাথায় বলেছি… (ঐশী)
-আরে পাগলি সেই জন্য না। তুমি কালকে বললে না যে আমা বুদ্ধিতে ময়লা জমেছে। তাই পরিষ্কার করার জন্য খেয়েছি। (সজল)
>স্নো খেলে বুদ্ধি পরিষ্কার হয় কে বলেছে…
-কেউ না… শ্রেয়া বলল স্নো মাখলে মুখ পরিস্কার হয়। আর তুমি যেহেতু পাঠিয়েছো তাই আমি ভেবে ছিলাম যে বুদ্ধি পরিস্কার করার জন্য মনে হয় তুমি পাঠিয়েছো… তাই আমি খেয়ে ফেলেছি…
>এত বোকামি কেউ করে…
-হুম করে… তোমার এই বোকাটা তোমার জন্য করে… শুধু ভালবাসে বলে…
>হুম… (সজলের হাতটা জড়িয়ে ধরে)
*
৬মাস পরে…
ঐশী মাথা ঘুরে পরে গিয়েছে। ডাক্তার এসে বলে গেছে যে ভয়ের কিছু নেই। আর একটা সুখবর দিয়ে গেছে যে সজল বাবা হতে চলেছে। যা শুনে সজলের মা একদম আত্নহারা। কিন্তু সজল চিন্তিত…
>বৌমাতো মাথা ঘুরে পরে গিয়েছে… তুই কি করবি এখন… (মা)
-আচ্ছা মা আমারও কি পরে যাওয়া উচিত… (সজল)
>ধুর মরা… একটু বুদ্ধি শুদ্ধি বারা এখন থেকে… তুই বাবা হতে চলেছিস…
-ঐশী মা যা বলল তা কি ঠিক…
>জানিনা বলে সজলের বুকে মুখ লুকালো…
বউ ছেলের মাঝে না থেকে মা চলে গেলেন। সজল খুব আনন্দিত।
*
৬বছর পর…
সজল এখন প্রতিষ্ঠিত। একটা ভাল চাকুরি করে। আগের মত আর বোকা নেই। মেয়েটাই সব। মা, মেয়ে, বউ নিয়ে সুখের সংসার সজলের। সময়ের কবলে পরে বোকা ছেলেটা আজ চালাক হয়েছে। এখন বুদ্ধির জন্য আর মাথা নিচ পাশে করে রাথে না। ৫ বছরের মেয়েটাই বুদ্ধি দিয়ে দেয়। ঐশী আজ ব্যস্ত সংসার নিয়ে। সময়ের কবলে পরে সবাই পরিবর্তন হয়ে গেছে। শুধু পরিবর্তন হয়নি ওদের মাধ্যকার ভালবাসাটা। যা আজও ওদের মাঝে আছে। আর তার জন্যই বোধ হয় সংসারটা সুখের।
এভাইবেই সময়ের কবলে পরে বদলে যাবে বোকা ছেলেটার জীবন…
-
লেখা: লিটন (খচ্চোর)
বি/দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻļুāĻ্āϰāĻŦাāϰ, ā§Ŧ āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3102 (4)
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ģ:ā§§ā§Ž AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ