āĻļুāĻ•্āϰāĻŦাāϰ, ā§Ŧ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3100 (2)


#প্রতিস্থাপন 3
সকালের সেই ছেলেটার কথা ভাবছি। ওদের জন্য না পারলেও অল্প কিছু করা দরকার। হ্যাঁ এটা আমাদের দায়িত্ব। বাবার সাথে কথা বলতে হবে। ওরা কত কষ্ট করে থাকে। কত দিন না খেয়ে থাকে। আর আমরা বিলাসিতার কারণে কত কিছু অপচয় করি। কিন্তু যদি এটা ওদের কাজে লাগাই তাহলে ওদের আর কষ্টটা থাকবে না। ওদেরও তো একটাই জীবন। আর সবারই ভাল করে সুস্থ সবল ভাবে বেচে থাকার অধিকার আছে। জানি এটা আমার একার পক্ষে সমম্ভব না। তবুও যেটুকু পারি করতে তো কোন সমস্যা নেই। হয়তো আমার হাত ধরেই কিছু মানুষ নতুন করে বেচে থাকার স্বাদ পাবে। হয়তো তারা একসময় স্বাবলম্বী হয়ে ‍উঠবে। আর তারাও হয়তো সবাই না হোক তাদের মধ্যে কেউ এমন একটা উদ্দ্যেগ নিবে।
রাতে খাওয়ার পর বাবার সাথে ব্যপারটা নিয়ে কথা বললাম। বাবা আমার কথা শুনে খানিকটা ভাবল। ভাবার পর আমাকে সম্মতি প্রদান করল। হ্যাঁ এটা করা যায়। এব্যপারে ওনার বাকি দুজন বন্ধুর সাথে কথা বলবে। আর একটা শর্ত জুড়ে দিলেন। পড়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমাকে বিয়ে করতে হবে। সেই সাথে নিজেদের ব্যবসা সামলাতে হবে। একটু অসস্তি বোধ করলাম। তবুও বাবার কথায় রাজি হয়ে গেলাম। আমার জন্য কিছু মানুষ ভাল থাকে তাহলে কষ্ট করতে সমস্যা কোথায়। বাবার সাথে কথা বলে এসে বন্ধুদের ফোন করলাম। ওদের মধ্যে কেউ রাজি আবার কেউ বলল, রাস্তার কুকুরকে পোষা যায় না। কেননা ওরা পোষ মানেনা। ওদের জায়গা রাস্তায়। তাই আগবাড়িয়ে সাহাস্য করতে যাওয়ার দরকার নেই। জবাবে বললাম, হয়তো তোর কথাই ঠিক। হয়তো ওরা আমাকে মনে রাখবে না। তাতে কি? ওরা আর রাস্তায় রাস্তায় খাবার চুরি করার জন্য তো র্নিমম ভাবে অত্যাচারিত তো হবে না। কথাটা শুনে হাসলো। আর বলল, ঠিক আছে দোস্ত! আমিও আছি তোর সাথে। আমার বন্ধুদের নিয়ে আমি গর্বিত। কারণ সকল কাজে আমাকে ওদের সামর্থ অনুযায়ী বরাবর সাহায্য করেছে। আর অনেকে ভবিষ্যৎ বলেছে। কিন্তু সর্বাপরি সবাই এক হয়েই কাজটা শেষ করেছি।
মনের মধ্যে অনেক আনন্দ নিয়ে শুয়ে পরলাম। কালকে কলেজ বন্ধ তাই ইচ্ছে মত ঘুম দেওয়া যাবে। আর তো কয়েকটা দিন। বাবাকে তো কথা দিয়ে ফেলেছি যে, পড়া শেষ হলেই বিয়ে করব। জানিনা রাক্ষসী বউ আমাকে ঘুমাতে দেবে কিনা? তাই এখনই ভাল করে ঘুমিয়ে নেই। তবে একটা সমস্যা হলো আমি তো এখন স্বপ্নে মেঘলাকে দেখি। বিয়ে মেঘলার সাথে না হয় আর বিয়ের পর যদি স্বপ্নে মেঘলাকে দেখি তাহলে তো আমার বউ আমাকে বিবাগী করে বাপের বাড়ি চলে যাবে। শুনেছি বিয়ের পর নাকি ছেলেরা বউকে ছাড়া থাকতে পারেনা। যদি এমন হয় তাহলে দুইটা বিয়ে করব। একটা চলে গেলে আর একটা তো থাকবে। ধুর কি সব উল্টা পাল্টা ভাবছি। ঘুমাই এখন।
দাদা! এই দাদা উঠ কয়টা বাজে? দাদা…আ-আ-আ-আ-আ… নাহ্ আমার কানটা গেলরে। ওই তুই এভাবে চিৎকার করছিস কেন? আর তোর কি গলা না আর কিছু আমার কানের পর্দাটা মনে ফেটেই গেল। দেখতো রক্ত বের হচ্ছে নাকি। বলেই কানটা ভূমির দিকে এগিয়ে দিলাম। ভুমি আমার ছোট বোন। আমাকে ডাকতে ডাকতে কানের কাছে এমন চিৎকার করছে যে কানের পর্দা ফেটে যাবার উপক্রম। আমি পারবো না, তুই নিজে দেখ আর না পারলে তোর বউ আন সে দেখে দেবে। বলে ছুটে চলে গেল। আমার বউ দাড়া বাবাকে বলে তোর ব্যবস্থা করছি। আর ঘুমানো হলো না। উঠে পরলাম। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে টিভি দেখছি। দারুণ একটা নাটক হচ্ছে “বউয়ের জালা”। বেশ মজাদার একটা ব্যপার। দুপুরে আর বাইরে বের হলাম না। ছুটির দিনে বিকেলের আগে কোথাও যাইনা আমি। আজও তার ব্যতিক্রম হল না।
দুপুরে খাওয়ার পর খানিক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। অতঃপর বিকেলে একটু বাইরে যাওয়ার জন্য বের হলাম। র্সূযটা পশ্চিমে হেলে পরেছে। সময়টা বেশ ভাল। আর আজকের আবহাওয়াটাও। কপোত কপোতিদের জন্য একটা অনুকূল আবহাওয়া। আফসুস শুধু আমার কোন প্রেমিকা নেই। থাকলে এই পরন্ত বিকেলে তার সাথে এই অর্পূবক্ষণ উপভোগ করতাম। সবই একটা কপালের ব্যপার। কয়েকদিন থেকেই একজনকে পটানোর চেষ্টা করছি কিন্তু সে আর হয়ে উঠল না। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ফুটপাত ধরে হাটছি।
এই যে, মিস্টার শান্ত? কোথায় চললেন? কথাটা শুনে পিছু ফিরতে যাবো তখন আবারো, এই যে এই দিকে। কথা শুনে তাকাতেই দেখতে পেলাম পুষ্পিতা রিকশায়। কোথাও না। এই বিকেলটা উপভোগ করার জন্য কোন একটা নদীর ধারে কাশবনের পাশ দিয়ে হাটবো। হয়তো বা কোথাও একটু খানিক্ষণ বসব। কিন্তু আপনি কোথায় যাচ্ছেন? বাব-বা কথাতো ভালই বলতে জানেন। রিকশায় উঠুন? আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল। একটু অসস্তিতে পরলাম। একটা মেয়ের সাথে রিকশায় উঠব। লোকে কি ভাববে? আমার চোখে মুখে ভয়ের আশঙ্কা অথচ মেয়েটার মুখ দেখে কিছুই মনে হচ্ছে না। রিকশায় ওঠা যায়। তবুও বললাম, ধন্যবাদ। আমি হেটেই যেতে পারবো। আমার কথা তার পছন্দ হলো না। তাই বলল, আমার হাটতে ভাল লাগে না। রিকশায় উঠেন। মানে ঠিক বুঝলাম না আপনার কথা। অদ্ভুত কথাটা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম। চোখ গুলো বড় বড় করে আমাকে বলল, আপনাকে অত বুঝতে হবে না। আপনি বড্ড মানে খোঁজেন। আপনি কি গোয়েন্দা? আবারও অবাক হলাম। আরে না আমি গোয়েন্দা হতে যাবো কেন? আমার কথা শুনে বলল, তাহলে অত মানে মানে না করে রিকশায় উঠেন। আমি মেয়ে হয়ে আপনাকে উঠতে বলছি আর আপনি ছেলে হয়ে উঠতে ভয় পাচ্ছেন। সত্যি মেয়েটা অদ্ভুত। আর কথা না বাড়িয়ে রিকশায় উঠে পরলাম। যাই বলে বলুক না কেন আজকে বিকেলটা ভালই কাটবে। বরই রোমাঞ্চকর ব্যপার।
কি হলো? কি ভাবছেন? আরে বাপরে মনের কথাটা আবার শুনে ফেলল নাকি। অপ্রস্তুত হয়ে বললাম না কিছু না। তবে একটা বিষয় দেখে খুব অবাক হচ্ছি। কি বিষয়? আমার দিকে তাকিয়ে বলল। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের পিছনে সারা জীবন লেগে থাকলেও কোর সারা পাওয়া যায় না। আবার অনেকেই আছে যারা খুব সহজেই কত আপন করে নিতে পারে। আপনার কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না। একটু বুঝিয়ে বলেন? আমার দিকে চেয়ে বলল। রিকশা আপন গতিতে চলছে। উদ্দেশ্য আমার অজানা। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বললাম, এই যে আপনার সাথে আমার কালকেই পরিচয় হলো আর আজকেই একসাথে রিকশায় বসে আছি। আমার কথাটা যেন ওর কাছে কৌতুক মনে হলো। ঠোটের কোণে এক চিলটে হাসি রেখে বলল, হতে পারে আপনার সাথে আমার কোন এক ঘনিষ্ট সর্ম্পক রয়েছে। আবার এ ও হতো পারো আমরা এক সুতায় বাধা। কিন্তু আপনি আমাকে আপনি করে বলছেন কেন? আমি তো আপনার বয়সে ছোট আর কলেজেও তাহলে আপনি করে কেন এই বলা। কথাটা শুনে একটু অবাক হলাম। বললাম, তুই-তুমির মধ্যে যে ভালবাসা থাকে না। সেটা অনেক সময় আপনি করে বলার মাঝে লুকিয়ে থাকে। হয়তো সবাই সেটা বুঝতে পারে না। কিন্তু সবার সাথে একই শব্দে কথা বললে কোন প্রকার টান সৃষ্টি হয়না। হুম ভাল বলেছেন। এখন নামেন আমরা এসে গেছি। কথা শুনে খেয়াল করলাম চিরচেনা সেই কুসুম মারির চর। অনেক দিন থেকে আসা হয় না। শেষ বার যখন এসেছিলাম তখন কাশবনটাতে শুধু কিছু যায়গায় সবুজ কাশবন ছিল। কিন্তু আজ সেটা পাল্টে গেছে। শরতের এই নীল আকাশের নিচে সাদা মেঘের তলে কাশবনে সাদা কাশ ফুলে ভরে গেছে। কি হল শুধু তাকিয়ে আছেন যে? হাটবেন না। কথাটা শুনে ভাবনায় ছেদ ঘটালাম। ছোট করে একটা ধন্যবাদ দিলাম এমন একটা মুর্হুত উপহার দেওয়ার জন্য। কিন্তু ধন্যবাদ শুনে বলে বসল, ধন্যবাদের দরকার নেই শুধু আপনার হাতটা ধরে এই বিকেলে হাটার সুযোগ দিলেই হবে। আর হ্যাঁ আপনার কাধেঁ মাথা রেখে কোন এক জায়গায় বসে র্সূয আস্তো যাওয়া দেখতে দিলে হবে? মেয়েটার এমন অদ্ভুত আবদার শুনে অবাক হলাম। কি জানি একটা ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। দুজনেই হাটছি কোন কথা ছাড়াই। মেয়েটা আমার হাত ধরে আছে। বিকেলটা রোমান্টিক ভাবে উপভোগ করছি।
আপনি একটা নিরস মানুষ। কথাটা শুনে ভীষণ অবাক হলাম। জিজ্ঞেস করলাম কেন আমার আবার রস কোথায় পিপড়ে খেয়ে ফেলল। কথাটা শুনে হাসল। কিন্তু ভাল লাগল না। মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম কিছু একটার কমতি আছে। তাই আর দেরি না করে মেয়েটাকে বসতে বলে আমি একটু ঝোপের মধ্যে ঢুকলাম। কিছুকক্ষণ পর কয়েকটা সাদা কাশফুল নিয়ে আসলাম। আমার হাতে কাশফুল দেখে বলল, কি হবে এটা দিয়ে? বললাম ফুলের রাণী যদি কিছু মনে না করেন তাহলে কি আপনার অলঙ্কার গুলো পরিয়ে দিতে পারি। কিছুটা লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বলল, ঠিক আছে। আমি একটা ফুল ছিড়ে ছোট ছোট করে খোপায় আর কানের পাশ দিয়ে দিয়ে দিলাম। আর বাকি গুলো হাতে ধরিয়ে দিলাম। বললাম, এখন সুন্দর লাগছে। তবে আরও ভাল লাগবে যদি নাকে দেওয়া যায়। সম্মতি দিল। আমিও ওর নাকে দিয়ে সুরসুরি দিয়ে দিলাম। ব্যাস্ শুরু হয়ে গেল হাছি। আর আমি ছুটে পালালাম। মেয়েটা কমরে হাত দিয়ে চোখ গুলো বড় বড় করে আমাকে তাড়া করল। অনেক ছোটাছুটির পর হাপিয়ে গেছি। বসে পরলাম নদীর ধারে। পুষ্পিতা পাশে এসে বসল। কাধে মাথা দিয়ে আছে। র্সূয তার দেশে চলে গেল। অর্পূব একটা সময় অতিবাহিত করলাম। সন্ধ্যা হতে চলেছে আর থাকা ঠিক হবে না। তাই বললাম, এই ফুলের রাণী অনেক তো হল চলেন এখন বাসায় যাওয়া যাক। আমার কথায় নারাজ, আর একটু থাকি? কিন্তু আর থাকা ঠিক হবে বলে হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে আসলাম। রিকশায় তুলে দিয়ে আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম। সত্যি মেয়েটা অদ্ভুত। আর তার ইচ্ছে গুলো অন্যরকম। এক দিনের পরিচয়ে মনে হল কত কাছের একজন। আর মেঘলা কত দিন ধরে শরষে দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু তেল আর হচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরষে নষ্ট হয়ে গেছে।
বাসায় এসে মেয়েটার কথা ভাবাচ্ছে। কি অদ্ভুত একটা মেয়ে। কিন্তু বারবার ভাবনায় মেঘলা ছেদ ঘটাচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বলতেই পারিনা।
সপ্তাহ খানেক পর…
বাবা বলে গেলেন যে আজকে বাসায় থাকতে। যেন কোথাও না যাই। সারাদিন নাকি আমি বাসায় থাকিনা। শুধু টো টো করে ঘুরে বেড়াই। বললাম কে আসবে? রাগাণ্বিত্ব গলায় বলল, তোমাকে সব বলতে হবে। বাসায় থাকতে বলছি থাকবে ব্যাস। আর কোন কথা যেন না হয়। বলেই হন হন করে বাইরে চলে গেল। ধুর ভাল্লাগে না। কারণটা জানতে হবে। মায়ের কাছে গেলাম। দেখি মা আর ভুমি বসে টিভি দেখছে। হুম এইবার বুঝেছি মনে হয় ভূমিকে দেখতে ছেলে পক্ষ আসবে? তবুও মাকে বললাম, আজকে কি বাসায় ভুমিকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে? আমার কথা শুনে মুখটা ভেংচি কেটে ভূমি বলল, জ্বি না আমাকে না তোকে তোর বউ দেখতে আসবে। মা দেখনা তোমার মেয়ে কি বলছে? উফফ তোরা থামবি নাকি আমি চলে যাবো? আমাদের কথা শুনে বিরক্তি ভাব নিয়ে মা কথাটা বলল। আজকে কে আসবে মা বাসায়? কে আবার তোর বাবার দুই বন্ধু আর তাদের পরিবার। মায়ের কথাটা কেমন জানি লাগছে। আমার চব্বিশ বছরে বাবার কোন বন্ধুকে আমি দেখিনী। আবার তাদের পরিবারসহ আসবে। ব্যপারটা কি? আমার কথা শুনে রাগে চলে গেলেন। আর পিচ্চিটা বলছে ব্যপার আর কি তোকে তাদের মেয়ের জন্য দেখতে আসছে। কানের নিচে দিব না একটা তখন বুঝবি। কথা শেষ না হতেই দৌড়ে পালালো।
ঘরে বসে গান শুনতেছি। শান্ত এই শান্ত… আসছি মা। মায়ের ডাকে সারা দিয়ে মায়ের কাছে গেলাম। বাবা এই নে টাকা বাজার থেকে একটা টয়লেট ক্লিনার নিয়ে আয় না। কি অবস্থা হয়েছে। আত্নীয়রা দেখলে কী ভাববে? কিন্তু মা বাবা তো আমাকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছে? তাচ্ছিল করে বললাম। সেটা আমি দেখে নেব এখন তুই যা?
অতঃপর আর কি! বের হলাম বাজারের উদ্দেশ্যে। যেতে যেগে সামনে সেই দিনের পিচ্চি ছেলেটাকে দেখে ডাকলাম। আমার ডাক শুনে ছেলেটা আমার কাছে এসে বলল, কিছু বলবেন স্যার? হ্যাঁ শোন তোমাকে একটা কাজ করতে হবে? আমার কথা শুনে বলল, কি কাজ স্যার? হেসে বললাম, তোমার বস্তির যত লোক আছে তোমাদের মত। ছোট ছোট তোমার মত ছেলে তারা যেন বিকেলে একটা যায়গায় বসে। আমি তোমাদের ওখানে যাবো। আমার কথা শুনে হেসে বলল, ঠিক আছে স্যার। বললাম কিছু খেয়েছো? আমার কথা শুনে মুখের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলল সকাল বেলা ট্যাপে তিন ঢক পানি খেয়েছি। ছেলেটার কথায় অবাক হলাম, এই টুকু একটা বাচ্চা ছেলে সে কিনা শুধু পানি খেয়ে আছে। আর আমার এখন পযর্ন্ত তিনবার খাওয়া হয়ে গেছে। একটু লেট হলেই আমার চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়। আর ও কিনা হাসছে। পাশের একটা হোটেলে পেট পুরে খাওয়ালাম। খেয়ে যাওয়ার সময় বলল, আপনি খুব ভাল স্যার। কথাটা শুনে একটা হাসি দিলাম।
অতঃপর আমার প্রয়োজনীয় বস্তুটি নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। কিছুটা সামনে যেতেই বুকটা কেমন জানি ধরপর ধরপর শুরু করে দিল। তার মানে মেঘলা আমার আসে পাশে কোথাও আছে। হুম ঠিক ধরেছি সামনে দেখা যাচ্ছে একটা মেয়েকে বাতাসে ধাক্কায় অবাধ্য চুল গুলোকে শাসনে রাখতে ব্যস্ত। কিন্তু তাহলে কি হয়! এমন মুর্হূতে যদি চুল গুলো স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে পুরো ব্যপারটা মাটি হয়ে যাবে। ঠিক করলাম আজকে মেঘলাকে প্রোপোজ করে ফেলবো। পরে কি হবে সেটা দেখা যাবে। ৪০ ইঞ্চি বডিটাকে ফুলিয়ে ৪৮ ইঞ্চি করে বাড়তি ৮ ইঞ্চি সাহস সহকারে মেঘলার দিকে পা বাড়ালাম। মেঘলা তার অবাধ্য চুল গুলোকে বস্ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বলে ফেললাম, মেঘ কণ্যা আমি কি বস্ আনবো তোমার এই অবাধ্য চুল গুলো? আমার কথা শুনেই আমার দিকে বিরক্তি ভরা দৃষ্টিতে তাকালো। খানিকটা ভয় পেলাম। কিন্তু ভয় পেলে চলবে না। আজকে বলতেই হবে। অবশ্য মেঘলা এখন আর চুলকে নিয়ন্ত্রণে আনার কোন চেষ্টাই করছে না। অথচ চুল গুলো বাধ্য চুলের মত শান্ত হয়ে গেল। আর সময় নষ্ট না করে বললাম, মেঘ কন্যা এই শরতের নীল আকাশে শুভ্র মেঘের মত আমার হৃদয় আকাশে তোমাকে জায়গা দিতে চাই। তোমার অবাধ্য চুল গুলোকে বাধ্য করার দায়িত্বটা না হয় আমাকে দাও। তোমার ঐ খালি হাতে নীল চুড়িতে ভরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা নিতে চাই। তোমার ছোয়ায় আমার এই অশান্ত মনটাকে শান্ত করতে চাই। তোমায় ভালবাসি! তোমার চোখে যে নক্ষত্র জ্বলে তার মত। আমি কোন কবি নই। কবিতাও পড়িনি। কবিদের মত অত সুন্দর করে বলতে পারবো না তোমায় ভালবাসার কথা। তবুও তুমি হৃদয় চীরে দেখ সেখানে তোমারই ছবি আকাঁ। কথা গুলো বলার পর মাথায় যে কি ভুত চাপলো যত সব ভুল ভাল কথা বলতে শুরু করলাম,
মেঘ কন্যা তোমাকে দেওয়ার মত আমার কাছে নিজের রক্তে লেখা কোন নেমপ্লেট নেই। নেই কোন তাজা গোলাপ। আছে শুধু হারপিক 10X যা জীবাণুর হাত থেকে একশ র্পাস্টেন সুরক্ষা। খুব অল্প পরিশ্রমেই ময়লা পরিস্কার করে টয়লেটকে করে তোলে নতুনের মত পরিস্কার। আমার কথা গুলো শুনে হাসতে হাসতে বলল, হুম আপনি ঐটা প্রতিদিন মাখেন। আপনার যত ময়লা আছে সব পরিস্কার হয়ে যাবে। আপনিও হবেন একদম শিশুর মত হা-হা-হা করতে করতে চলে গেল। আর আমি শুধু হা করে দেখলাম। কি বলতে যে কি বলে ফেললাম। নিজের গালে নিজেই থাপ্পর মারতে ইচ্ছে করছে। ও-মা লাগে তো।
To be continue....
লেখা: লিটন (খচ্চোর)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ