"সিনিয়র গার্লফ্রেন্ড"
লেখায়:- Eyvan Rahman
-------
(পুরো গল্প দিয়ে ৪০-৪৫মিনিটের শর্ট ফিল্ম করা যাবে)-----
আজ তপুর ভার্সিটির ১ম ক্লাশ।
--আপু ১ম বর্ষের ক্লাশ রুম কোন দিকে।(তপু)
--দুই তলার হাতের ডানে ২০৩নং কক্ষটা.(তন্বী)
--আচ্ছা আপু(তপু)
হন্ হন্ করে ক্লাশে চলে যায়।পরে তপু ভাবছে এ্যাহহে্ আপুকে ধন্যবাদ দেই নি।ধুর কি কাজ করলাম।ক্লাশ শেষে তপু বের হচ্ছে ডিপার্টমেন্টের সামনে তন্বী দাঁড়ানো ছিল।
--হাই আপু কেমন আছেন?(তপু)
--তুমি কে?(তন্বী)
--আপু আজ সকালে যে আমায় ক্লাশ রুম দেখিয়ে দিলেন আমি সেই।আপনাকে ধন্যবাদ দিতে আসলাম।(তপু)
--শুন আমি তোমার সিনিয়র, সো বুঝতেই পারছো।(তন্বী)
--হুমম,ধন্যবাদ আপু সকালে হেল্পের জন্য।(তপু)
বেশ কয়েকটা ক্লাশ করে কয়েকটা বন্ধু জোগাড় করে।বারটা ছিল সোমবার,সময়টা ছিল ১২টা তপু ওর চারজন বন্ধু নিয়ে মাঠের সেই সবুজ ঘাসে বসে।তপুর বন্ধু অনিক গিটার বাজাচ্ছে।
>দোস্ত আমি একটা গান গাই।(তপু)
> তোকে মানা করছে কে?(অনিক)
>আচ্ছা তুই গিটার বাজাবি, আর তোরা তালি দিস।শুরু করলাম---
[হেই আপু,তুমি সিনিয়র
আমি তোমার জুনিয়র,
প্রেমে পরেছি তোমার
u need my for]
গানটা তন্বী শুনে ফেলে।এবার---
--এই সুন্দর গানটা কে গেয়েছে?(তন্বী)
--আই আপু আই।(এক লাফে দাঁড়িয়ে তপু)
--আজ থেকে এমন গান গাইলে কান ধরে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিব...mind it.(tonni)
--sorry apu.(tapu)
তপু ২৮তম ব্যাচ,আর তন্বী ২৬তম ব্যাচ।তপু এক বছর তন্বীকে খুব ভয় করে,খুব সম্মান দিয়ে চলে।এমনটাও হয়েছে, "তপু তন্বী থেকে দশ হাত দূরে থাকতো।"যাইহোক এক বছর পর তন্বী ৩য় ও তপু ২য় বর্ষে।তপু এক বছরে ক্যাম্পাসের সব হাল-চাল মাথায় বুঝে নেয়।
একদিন বিকেলে বেলায়---
--তন্বী আপু কেমন আছেন?(তপু)
--ভাল,তুমি?(তন্বী)
--ভালো,আপু আপনার বয়ফ্রেন্ড কি করে?(তপু)
--মানে?(তন্বী)
--না মানে বলছিলাম যে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কোন এক বড় আপুর সাথে প্রেম করবো...(তপু)
--ঐ বেয়াদব তোর মাথা ঠিক আছে।(তন্বী)
--ছোটদের যে ভালোবাসতে পারে না সে মানুষ নয়,সে হল তেলাপোকা।(তপু)
--এই বানীটা কে বলেছে?আমি তাকে এক কাপ কফি খাওয়াবো।ইশ্ সে নাই যে।(তন্বী)
--আপু আমি বলেছি এই বানীটা।(তপু)
--থাপ্পড় দিয়া দাঁত ফালাইয়া দিমু,স্টুপিড।(তন্বী)
--একটা গান গেয়েছিলাম সেটাও ভুল বললেন,আজ একটা বানী বললাম এটাও ভুল ধরলেন।আপনি আসলেই একটা তেলাপোকা।(তপু)
এটা বলেই দ্রুত পায়ে চলে যায়,তন্বী পেছন থেকে বলছে , "কাল ক্যাম্পাসে আসিস না,আসলে তোর খবর আছে।"
পরেরদিন তপু ক্লাশে যায়,তবে তন্বীর সাথে দেখা হয় না।ক্লাশ শেষে তপু ও ওর ফ্রেন্ডরা মিলে টং দোকানে চা খাচ্ছে।চিলের মত উড়ে আসে তন্বী।
তন্বী :- তপু এ দিকে আয় তো একটু?
তপু বুঝেছে কাহিনী খারাপ।বুদ্ধির খেলা শুরু করে তপু।
তপু:- আপু আজ তোমায় এত কিউট লাগছে বলে শেষ হবে না?
তন্বী :- ধুর কি যে বলিস না তুই।
তপু:- সত্যি তুমি আমার এক ব্যাচের বড় না হলে আজকেই প্রপোজ করতাম,মাইরি বলছি।
তন্বী :- তুই আসলেই একটা।
তপু ভাবছে মামা কাম হইছে,আমার ফাঁদে তন্বী পা দিয়েছে।রাগ গলে মধু বের হচ্ছে।এইবার---
তপু:- আপু খুব ইচ্ছে ছিল তোমায় বার্গার খাওয়াবো,কিন্তু মানিব্যাগে টাকা নাই।তুমি ১০০টাকা ধার দিবা কাল দিয়ে দিব।হুমম প্রমিস।
তন্বী :- ওকে চল।
(তপু মহাখুশি ডাইনী আজ পরী হয়ে সাথে লেগে আছে.তো সেইদিন শেষ।তন্বী তো খুশি তো বাকবাকুম করতেছে,তাকে নাকি আজ কিউট লাগছে)
আরও একটি বছর কেটে গেল,তপু ৩য় বর্ষে,তন্বী ফাইনাল ইয়ারে।এখন ওরা বন্ধুর মতই।আজব ব্যাপার হল তন্বীর কোন বয়ফ্রেন্ড নেই।কারন হল ছেলেদের বিশ্বাস পায় না।
শুরু হল নতুন অধ্যায়---সকালে তন্বীর ফোন--
তন্বী :- তপু দ্রুত ক্যাম্পাসে আয় তো?
তপু:- আজ ক্লাশ করবো না,সরি।
তন্বী :- প্লিজ আয়।
তপু:- শর্ত হল আমার হাত ধরে ২০মিনিট হাঁটতে হবে।তবে যদি কোন কারনে এই ২০মিনিটের মধ্যে হাত ছেড়ে দাও তাহলে আবার ৩০মিনিট হাত ধরে হাঁটতে হবে।(কঠিন ব্যাপার)
তন্বী :- এটা কোন ব্যাপার না।আয় তুই।
তপু:- আচ্ছা।
(এইতো নদীর স্রোত ও নৌকা একদিকে যাচ্ছে।)
বাহ্ দুজনে হাত ধরে হাঁটছে,এদিকে তপুর ফ্রেন্ড ও তন্বী ফ্রেন্ডদের চোখ কপালে উঠেছে।হাত ধরে চলার সময়----
তপু:-এমন করে হাত ধরে যদি সারাজীবন চলে পারতাম?
তন্বী :- এই ছ্যোঁকড়া আমি কিন্তু তোর সিনিয়র,মনেরাখিস।
তপু:- সিনিয়র বলে তো এখনো শান্ত আছি,তা না হলে কত কি করতাম।
তন্বী:- তোকে কিন্তু----------।
তপু:- বুঝবা একদিন যেদিন আমি হারিয়ে যাবো।
তন্বী:- চুপ কর?এই কোনদিন শুনেছিস যে বউ বয়সে বড়,আর জামাই বয়সে ছোট হয়।
এবার ইভান লেখকের লজিকটা তপুর পক্ষে দিলাম।
তপু:- সমান অধিকার চাও ঠিক আছে।তাহলে সমান কাজ করতে হবে,হুমমম।
তন্বী :- মানে?
তপু:- ছেলেরা বিয়ে করলে বউ তাঁদের থেকে বয়সে ছোট হয়,সমান অধিকারের সূত্রে তুমি বয়সে বড় আমি ছোট হলে সমস্যা কোথায়?(লেখকের যুক্তি)
তন্বী :- শয়তান ভালোই হয়েছিস।আর মাত্র ৫মিনিট আছে,যত পারিস বক বক করে নে।
তপুর নতুন বুদ্ধি এল (লেখকের মাথা থেকে)
তপু:- I love u.
তন্বী:- কিহ্?(হাত ছেড়ে দেয়)
তপু:- হা হা হা হা হাত ছেড়েছো।চুক্তি অনুযায়ী আরও ৩০মিনিট হাত ধরে হাঁটতে হবে।
তন্বী :- অসম্ভব।
তপু:- তাহলে মনে করবো তুমি মিথ্যাবাদী বলেই তপু দৌড় দেয়।
(৭দিন কথা হয় না ওদের সাথে,৮ম দিনে বিকালে তন্বী র ফোন):-----
তন্বী:- তপু পার্কে আয়?
তপু:- কেন?
তন্বী :- চুক্তি অনুযায়ী আজ ৩০মিনিট তোর হাত ধরে হাঁটবো।
চলছে এমন করে,আর ধীরে ধীরে ওরা আরও ক্লোজ হচ্ছে।
তপু ও তন্বী বয়সে ছোট-বড় হলেও এখন ওরা বেশ ক্লোজ।ক্লোজ বলবো না বলতে পারেন খুব ভালো বন্ধু।একদিন ক্যাম্পাসে---
তন্বী:- ঐ তপু শোন!
তপু:- হুমম বল।
তন্বী:- তোর গার্লফ্রেন্ড নেই নাকি।
তপু:- আছে,তোমাকে কাল দেখাবো।তুমি কাল লাল শাড়ী পড়ে পার্কে এসো।
তন্বী:- আচ্ছা।
পরেরদিন বিকালে পার্কে---
তন্বী:- তপু আর কত লেট করবো?তোর গার্লফ্রেন্ড কই?
তপু:- ঐ পশ্চিম আকাশটা লাল টকটকে।কি সুন্দর ঠিক তোমার মতো।
তন্বী:- তোর গার্লফ্রেন্ড কই?
তপু:- তুমিই আমার গার্লফ্রেন্ড।শুধু জিএফ নয় তুমি আমার বউ।
তন্বী:- কিহ্!!!(১০০০বোল্ডের একটা থাপ্পড় তপুর গালে)
পার্কের লোকজন পুরাই অবাক।মেঘহীন আকাশে বজ্রপাতের আগমন।তপু কিছু না বলে চলে যায়।ফোন অফ,ফেবু আইডি ও ডিঅ্যাকটিভ।রাতে তন্বী বুঝতে পারে কাজটি ঠিক হয় নি।কাল তপুকে সরি বলবে তন্বী।ক্যাম্পাসে গিয়ে তপুকে পায় নি,তপুর বন্ধুদের থেকে জানতে পারে তপু ক্লাশে আসে নি।
তন্বীর ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে সরি বলার জন্য।কিন্তু তিনদিন ক্যাম্পাসে দেখা নেই তপুর।৪র্থ দিন তপুর আগমন ক্লাশে।
তন্বীর মুখটা কেমন যেন শুঁটকি মাছের মত শুঁকিয়ে গেছে।দেখে মনেহয় খুব মানসিক চাপে আছে।
তন্বী:- এই তপু দাঁড়া।
তপু:- কিছু বলবেন?
তন্বী:- আমার ভুল হয়েছে মাফ করে দে।
তপু:- বেয়াদবি করেছি শাসন করেছেন।এখানে মাফ চাওয়ার কি আছে?
তন্বী:- এমন রাগ করে কথা বলিস না প্লিজ।আর ফোনটা অন কর।
তপু:- এটা আমার পারসনাল ব্যাপার।গেলাম ভালো থাকেন।
তন্বী:- শোন প্লিজ,আমায় মাফ করে দে।আর ফোনটা অন করিস প্লিজ।
তপু ফোনটা অন করে.রাতে তন্বীর ফোন--
তন্বী:- আমার কাজটা ঠিক হয় নি।(কান্নার সুইচ খুলে দিয়ে)
তপু:- কান্নার কি আছে?
তন্বী:- দেখ আমি বড় তুই ছোট,এসব সম্ভব না।
তপু:- চুপ।
তন্বী:- আমায় মাফ করে দে।তোকে সরি বলার জন্য তিনটা দিন খুঁজেছি পাই নি।এই তিন দিনে আমি অনেক কষ্টে ছিলাম।জানিস এই তিনদিন ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমাইছি।তোর জন্য অনেক খারাপ লাগছে এখনো।প্লিজ মাফ করে দে।(কান্না চলছে)
তপু:- কাল থেকে দশ দিন তুমি আমায় তুমি করে বলবে।
তন্বী:- হুমম রাজি
চলছে এমন করেই।তবে সকলেই হতভম্ভ যে, "তন্বী তপুকে তুমি করে বলে।আর আগের চেয়ে খুব ক্লােজ।"
১০তম দিনে,,,,
তন্বী:- তপু চলো চা খাই?
তপু:- কিহ্ চা!আমার প্রিয় জিনিস।চলো যাই।
তন্বী:- শোন বিলটা আমি দিব।
তপু:- তবে কফি খাবো।
তন্বী:- চলো মানা করছে কে?আজকেই শেষ দিন জ্বালানোর।
দুষ্টুমিষ্টি টাইম নিয়ে শেষ হয় অনার্স।তন্বী এমবিএ করছে,তবে তপু ছোট একটা চাকরিতে জয়েন করে।"৩বছরের বড় আমার বউ" এমন একটি পোস্টে তপু তন্বীকে ম্যানশন করে।তন্বী এর কারন জানতে চাইলে তপু বলে "তোমাকে ভালোবাসি।"
তন্বীর আম্মু হসপিটালে থাকে, তখন তন্বীর আম্মুকে রক্ত দেয় তপু।তন্বীর আম্মু জানতে চায়, "তপু কে?".তন্বী বলে তপু আমার বন্ধু।তন্বীর আম্মু বলে ছেলেটা অনেক ভালোরে তন্বী।
আর কি শুনবেন পাঠক এখানেই শেষ।
নাহ্ ওদের মিলিয়ে দেওয়াটা দায়িত্ব আমার।চলুন ----
ম্যানশনকৃত গল্প,তন্বীর আম্মুর সাপোর্ট,তন্বীর আম্মুকে রক্ত দেওয়া,তপুর সাথে কাটানো সময়,তপুর ভালো মন এসব মিলিয়ে তন্বী এখন তপুর প্রেমে পরেছে।তন্বীর ফোন----
তন্বী:- তপু বিকালে দেখা করো?
তপু:- তুমি আমায় তুমি করে বলছো এটা কি ঠিক শুনছি?
তন্বী:- হুমমম,তুমি তুমি তুৃমি----- তুমি।
বিকালে পার্কে----
তন্বী:- তুমি কি সত্যি ভালোবাসো?
তপু:- হুমমম।
তন্বী:- I lv u বলো!
তপু:- I love u.
তন্বী:- lv u too.
তপু:- আমার বড় আপু আমায় ভালোবাসে হি হি হি।
তন্বী:- শয়তানী করলে খবর আছে।মেরে তক্তা বানাবো।
তপু:- "বড় আপু গার্লফ্রেন্ড হলে বউ ও গার্ডিয়ানের দুটো দায়িত্ব পালন করে।":- লেখক(ইভান)
তন্বী:- আবার!!!!
তপু:- I love u sweet heart. (বুকে জরিয়ে ধরে)
লেখায়:- Eyvan Rahman(গাঙচিল)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
3062
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:⧍ā§Ģ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻাāϞোāĻ āϞাāĻāϞো āϏāĻŽā§āĻ āĻাāĻāϞো
āĻāϤ্āϤāϰāĻŽুāĻুāύ