āĻŦৃāĻšāϏ্āĻĒāϤিāĻŦাāϰ, ā§Ģ āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3046

রাতে বাসায় আসতেই ছোট বোন জিজ্ঞেস করলো,
-ভাইয়া,মোবাইল দাও?
-কার মোবাইল?
-কার আবার,আমার।যেটা তুমি সকালবেলা আমাকে না বলে নিয়ে চলে গেছো।
-দেখ আপু,আমি তোর মোবাইল নেইনি।(মিথ্যা কথা)
-দেখ ভাইয়া,ফাজলামি করিস না।মা কিন্তু তোকে মোবাইল নিয়ে যেতে দেখেছে।তাড়াতাড়ি আমার মোবাইল বের কর?
-সত্যি বলছি,আমি তোর মোবাইল নেই নি।(আসলে ঘুরতে গিয়ে মোবাইলটা হাত থেকে পড়ে যায়।ফলে ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যায়।তাই দিতে ভয় পাচ্ছি)
-তুমি দিবা নাকি অন্য উপায় অবলম্বন করবো?
-ভয় পেয়ে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিলাম।না জানি কি করে।(একবার আমার সাথে ঝগড়া করে আমার সব জামাকাপড় পুড়িয়ে দিয়েছিলো)
মোবাইল দেখেই ও কান্না করছে আর বলছে,
-ভাইয়া এটা তুমি কি করলা?
-সরি আপু।আসলে হাত থেকে পড়ে গিয়ে এই অবস্থা হয়েছে।
-আমি এতো কিছু জানি না।ডিসপ্লে ঠিক করতে তুমি এখন আমাকে টাকা দিবা।
-আমার কাছে এখন টাকা নেই।পরে দিবো।
-না,তুমি এখনি দিবা?
-বললাম তো নেই।
-তুমি দিবা নাকি?
-না দিবো না।কি করবি,যা করতে পারিস কর
-আচ্ছা,আমি এই টাকা তুলেই ছাড়বো।দেখে নিও।
-হুম,যাহ
অতঃপর টাকা না দিয়েই ফ্রেস হতে রুমে গেলাম।গিয়ে দেখি আমার এক খালাতো বোন শুয়ে আছে।মাকে ডাক দিলাম,
-মা,সোনিয়া কখন এলো?
-তুই বাড়ি থেকে বের হবার পরই এসেছে।
-ও,তা ও আমার রুমে শুয়ে আছে কেনো গেস্টরুমে পাঠাও?
-কি বলিস,ও কি একাই গেস্ট রুমে শুতে পারবে নাকি।তাইতো ওকে আমি তোর রুমে শুতে বলেছি।তুই বাবা,কষ্ট করে গেস্টরুমে গিয়ে শো।
কি বলবো,বুজতে পারছি না।নিজের বাসায় নিজেই গেস্ট।এখন রাগে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।
সকালবেলা,
ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠেই বাথরুমের দিকে দৌড়।তাড়াতাড়ি যেতে হবে।আমাকে প্রকৃতি ডাকছে।এখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দিলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
একি বাথরুমে তালা মারল কে?অন্য রুমে ঢুকে দেখি একই অবস্থা।মাকে ডাক দিলাম,
-মা সব বাথরুমে তালা দেয়া কেনো?
তখন ছোট বোন এসে বলল,
-আমি দিয়েছি।আগে আমার ডিসপ্লে ঠিক করার টাকা দাও,তারপর তালা খুলে দেব।
-বোন আমার তালা খুলে দে,আমি তোর সব টাকা দিয়ে দেব।ওরি বাবা(অনেক জোরে চাপ দিছে)
-না,হবে না।এখন দাও?
-আরে টাকা আমি দিব মানে আমার বাপ দিবে।তারপর প্যান্টের পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দিলাম)
এমন সময় বাবা এসে বলছে,
-ওই শয়তান,আমি দিবো মানে?মোবাইলের ডিসপ্লে তুই নষ্ট করছস,আমি দেবো মানে কি?
আরে আমি তো কথার কথা বলছিলাম।তোমরা এটা নিয়ে এতো কথা বলছো কেনো?তাড়াতাড়ি তালা খুলে দিতে বলো।ওরি বাবা
আহ্,কি সুখ!পৃথিবীর সব সুখ জেনো এখানেই।কিন্তু এটা ভেবে খারাপ লাগছে যে,আমার সব টাকা শেষ।আমার মতো হতদরিদ্রের পকেট এখন ফাঁকা।বোন যে এরকম একটা কাণ্ড করবে,ঘুণাক্ষরেও বুজতে পারিনি।
এখন আমার পালা।বোনের কাছ থেকে টাকা নিতেই হবে।আর সেটা হলো ব্লাকমেইল।কাল মোবাইলে একসাথে ওর আর একজন অপরিচিত ছেলের ছবি দেখেছি।ওটাই এখন আমার একমাত্র হাতিয়ার।বোনের কাছে গিয়ে,
-আপু জানিস,আমার কাছে না একজন ছেলের ছবি আছে,সাথে তুইও?
-কার ছবি?
-এই দেখ।(কাল ছবিটা আমার মেমোরিতে কপি করে রেখে দিয়েছিলাম।জানতাম এই ছবিই আমার বিপদের বন্ধু হবে)
-ছবি দেখে অনেকটা ভয়ের চাহনি।
-চল,গিয়ে বাবা মাকে ছবিটা দেখিয়ে আসি?
-প্লিজ,ভাইয়া।এই কাজ করিস না।তুমি যা চাইবা তাই দিবো।তবুও করিস না।
-আচ্ছা করবো না।তাইলে সকালে আমার থেকে নেয়া টাকা দে?
-ওটা তো আমার প্রাপ্প টাকা।
-আচ্ছা,বাবা মাকে ছবিটা দেখিয়েই আসি।
-এই না না,আমি দিচ্ছি তোর টাকা।এই নে।
-হবে না,সকালে আমার সাথে এরকম করার জন্য আরো পাঁচশ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে।
-না,দিবো না।
-ঠিক আছে।
-দাঁড়া,এই নে।
আহ্ কি মজা।আরো পাঁচশ টাকা লাভ।আমার সাথে বাটপারি।এখন লোও ঠেলা।
.
.রুমে বসে ল্যাপটপে ফেসবুকিং করছি।এমন সময় সোনিয়ার আগমন।এসে বলছে ঘুরতে নিয়ে যেতে।
-দেখ আপু,আমি পারব না।তুই বরং সানজিদার সাথে আশেপাশে কোথাও ঘুরে আয়?
-না,ভাইয়া।তুমি নিয়ে গেলে বেশি মজা হবে।
-পারবো না।(ধমকের সুরে)
পরে দেখি,কাঁদতে কাঁদতে সোনিয়া চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর ছোট বোন এসে বলছে,
-ভাইয়া,তুমি সোনিয়াকে ধমক দিছো?
-আরে ও ঘুরতে যেতে চায়।আমি না বলাতেও জেদ করছে।
-তার মানে,তুমি আমাদের ঘুরতে নিয়ে যাবে না?
-না।
-ওকে,আচ্ছা ভাইয়া বলতো দেখি আব্বুর পকেট থেকে টাকা চুরি করছে কে?
-কে আবার,আমি।(এই রে মুখ ফসকে বের হয়ে গেলো)
-এক্সজেক্টলি,তুমি।দেখ,আমি ভিডিও করেছি।তোমাকে কি সুন্দর দেখতে লাগছে।একদম পাক্কা চোর।মাঝে মাঝেই তুমি আব্বুর পকেট মারো।সেটার ভিডিও আমার কাছে আছে।(ভিডিও দেখে আমার গোবেচারার মতো অবস্থা)
-দেখ আপু,ভিডিও ক্লিপ্টা আমাকে দিয়ে দে,লক্ষী বোন আমার।
-ও এখন লক্ষী হয়ে গেলাম।আগে যে আমাকে ডাইনী বলতে?
-আর কক্ষনো বলবো না।দেখ,এই কানে ধরছি।
-হুম,।তবে,এখন এই দুই বোনকে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে?
-আরে আমি নিয়ে যাব তো,সব খরচও আমার।তবুও তুই ভিডিও ক্লিপটা আব্বুকে দেখাস না।
-ওকে,তাহলে আমরা দুজন রেডি হয়ে আসি।
মনে মনে ভাবছি,কি হয়ে গেলো।বোনতো দেখি আমার থেকেও এক ডিগ্রী উপরে।দূর,কিছু টাকার জন্য ওর সাথে লাগতে গিয়েছিলাম।এখন আমারই উপর দিয়ে তলোয়ারবাজি করছে।।
ভাবছি,ও এ ভিডিও শুট করলো কখন?বোন দেখি আমার হাড়ির খবরও রাখে।না জানি আরো কতো খবর জানে।নাহ্ আর ওর সাথে লাগতে যাব না।
এখন রেস্টুরেন্টে বসে দুজন খাবার সাভার করতে ব্যাস্ত।আমার এই গোবেচারা চেহেরার দিকে কেও তাকাচ্ছেও না।দুই রাক্ষসী খেয়ে ১৫০০ টাকা বিল বানিয়ে ফেলেছে।আর এদিকে আমার পকেট ফাঁকা।
নিজেদের গাড়ি দিয়ে বাসায় ফিরছি।জানালা খোলা
থাকায় দুজন বখাটে মোটরসাইকেলে বসে ডিসট্রাব করছে।মেজাজটা বিগড়ে গেলো।মাঝে মাঝে আবার গায়ে হাত দেয়ার চেষ্টা করছে।কত্ত বড় সাহস,ওরা কিনা আমার বোনদের সাথে ইভটিজিং করছে।আজকে ওদের খবর বের করছি।
গাড়ি থামালে মোটরসাইকেলের ছেলে দুটিও গাড়ি থামায়।গিয়েই পুলিশ বলে দেই দু'তিনটা থাপ্পড়।প্রথমে মানতে চায়নি,আমি পুলিশ।পরে আইডি কার্ড দেখাতেই হাতে পায়ে ধরে মাফ চাইছে।
-এই বদমাশরা,আমার কাছে মাফ চেয়ে লাভ নেই।যদি আমার বোনদের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিতে পারিস,তাহলে মাফ করবো।
এরপর ওরা দুজন দৌড়ে গাড়ির কাছে গিয়ে বোনদের কাছে হাত জোড় করে মাফ চাইছে আর বলছে,আর কক্ষনো এই কাজ করবে না।
দেখলাম ওরা ফিরে আসছে।মনে হয় মাফ করে দিছে।কিন্তু আমি মাফ করতে পারছি না।এখনো রাগে আমার শরীর জ্বলছে।কত্ত বড় সাহস ওদের।তাই আরো তিন চারটা ঘুষি,চড় মেরে চলে আসলাম।আসতেই বোন বলছে,
-ভাইয়া,তুমি ওদের কি বলছো?
-বলছি,আমি পুলিশ।
-কি বলো,ওরা মানলো?
-আরে না।প্রথমে মানতে চায়নি।পরে পুলিশের একটা আইডি কার্ড দেখাতেই মানল।
-সেকি ভাইয়া,শেষ পর্যন্ত তুমি ফ্রডের ধান্ধা শুরু করলা?
-আরে কি আবোলতাবোল বকছিস।কার্ডটা আমি আমার এক বন্ধুকে দিয়ে বানিয়েছি।ও আবার এসব ঝালি কার্ড বানাতে পারে।তাই বানিয়ে নিয়েছি।যাতে বিপদের দিনে কাজে লাগে।
দেখি,বোন দুজন আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।
-আরে ছাড়।গাড়ি চালাতে কষ্ট হচ্ছে?
-ভাইয়া,তুমি অনেক ভালো।তুমি পৃথিবীর সব থেকে ভালো ভাই।
-আর আমার আপুটা ডাইনী।
-ভাইয়া?
-আরে নাহ্,আমার বোন গুলো পৃথিবীর সব থেকে ভালো বোন।
-ভাইয়া,আমরা তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
-থাক হয়েছে,আমার পকেট খালি করে এখন ভালোবাসা দেখানো হচ্ছে।
-যাও তোমার টাকা মাফ।বাসায় গিয়ে দিয়ে দেব।
-সত্যি আপু।আমিও তোকে অনেক ভালোবাসি।
-আর আমি?(সোনিয়া)
-আরে পাগলী,তোকেও।
পৃথিবীর সব ভাই বোনের ভালোবাসাই মধুর হয়।চিরকাল বেঁচে থাকুক ভাই বোনের এই অটুট বন্ধন।

writer:****Ohidul Islam Nahid *****(Broken Heart)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ