āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3017

গল্পের নামঃ ঝুমকো।
.
শিহাব তাড়াতাড়ি হাটছে। ভার্সিটির ক্লাসের জন্য আজ অনেক দেরি হয়েছে গেছে। এটা শিহাবের নিত্যদিনের অভ্যাস। এই সেই করে হলেও তার দেরি হবেই হবে। দ্রুতবেগে হাটছে শিহাব তখন ফারিয়ার ফোন এলো।
- হুম বল।
~ কই তুই? আসবি না?
- আমি পথে।
কথা বলতে বলতেই শিহাব হাটার স্পিড বাড়িয়ে দিল। তাই অসতর্কতার কারণে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়েই গেল। মেয়েটাও পড়ে গেল এবং সেও তাড়াহুড়োয় ছিল। তাই তাড়াতাড়ি উঠে স্যরি বলেই চলে গেল। শিহাব মেয়েটার চেহারাও দেখতে পারেনি। ধাক্কা খেয়ে পড়ার সময় পা এবং চলে যাওয়ার সময় ড্রেস দেখেছে। মনে হল হঠাৎ একটা ঝড় এসে বাড়ি মেরে চলে গেল। ওদিকে ফারিয়া ফোনে চিল্লাচ্ছে। রাগে শিহাব বলল,
- রাখ তো।
শিহাব কল কেটে দিল।
.
মোবাইল পকেটে রেখে হাটা দেয়ার সময় শিহাব খেয়াল করলো ঘটনাস্থলে একটা ঝুমকো পড়ে আছে। শিহাব ভাবলো এটা সেই মেয়ের। শিহাব একটু দৌড় দিয়ে সামনে যেয়ে এদিক সেদিক তাকালো কিন্তু সেই ড্রেস পরা কাউকে দেখলো না। শিহাব ঝুমকোটা নিয়ে ভার্সিটি চলে এলো।য
.
ক্যাম্পাসে বসে শিহাব ঝুমকোটার দিকে তাকিয়ে আছে। বেশ সুন্দরই। কারুকাজ করা আছে। মেয়েটার চয়েস আছে বলতে হবে। এদিকে ফারিয়া ও সাহেদ এসে চুপচাপ শিহাবের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর ফারিয়া অট্টহাসি দিয়ে বলল,
~ তোর তো গার্লফ্রেন্ড নাই। তো হাতে ঝুমকো নিয়ে বসে আছিস কেন? তাও আবার একটা?
- প্রেমে পড়েছি।
এই কথা শুনে ফারিয়া ও সাহেদ দুজনই লাফিয়ে বলল, "মেয়ে কে? নাম কি? কোথায় পড়ে? কোথায় থাকে?"
- জানি না।
= দেখতে কেমন? (সাহেদ)
- তাও জানি না।
~ না দেখেই প্রেমে পড়লি? (ফারিয়া)
- হ্যাঁরে।
~ আমি কিছুই বুঝলাম না। কি হইছে একটু খুলে বল তো।
অতঃপর শিহাব সকালের ঘটনাটি খুলে বলল।
= মামা এটা লাইফ। কোনো বাংলা ছবি নয় যে একটা ঝুমকো দিয়ে ঝুমকাওয়ালীকে বের করে ফেলবি। (সাহেদ)
- ট্রাই তো করতে পারি।
~ তুই সাহেদের কথায় কান দিস নাতো। তুই খুঁজার ট্রাই কর। আমি তোর সাথে আছি।
.
পরেরদিন শিহাব যথাসময়ে সেই স্থানে দাঁড়িয়ে রইলো। সামনে দিয়ে যে মেয়েই যাচ্ছে তাকেই ঝুমকোটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করছে এটা কি আপনার? সবাই না বলে চলে যাচ্ছে। এভাবে কেটে গেল কিছুদিন। কিন্তু হ্যাঁ কেউই বলল না।
.
উদাস মনে ক্যাম্পাসে বসে আছে শিহাব।
ফারিয়া এসে বলল,
~ মন খারাপ করিস না। আগামীকাল আমি তোর সাথে যাব সেখানে। আমিও খুঁজার চেষ্টা করব।
- আচ্ছা।
.
পরেরদিন শিহাব ও ফারিয়া যথাস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। ফারিয়া ঝুমকোটা হাতে নিয়ে প্রতিটি মেয়েকে জিজ্ঞেস করছে এটা কি তার নাকি? কিন্তু কেউই হ্যাঁ বলছে না। শিহাব পিছনে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বেশ কিছুক্ষণ পর শিহাব এসে বলল,
- চল যাই। সময় পেরিয়ে গেছে।
~ তুই তো কিছুই জানিস না যে এখানে রেগুলার আসে কিনা বা আসলেও কখনো আসে।
- কি যে করি!
~ এখন ভার্সিটিতে চল বাকিটা পরে দেখব।
.
ফারিয়া একটু সামনে যেতেই নিধিকে দেখে ডাক দিল। নিধি তার বোন। টুকিটাকি কথা বলে নিধি চলে গেল। ফারিয়া ও শিহাব ভার্সিটি চলে এলো। কিছু কাজ থাকার কারণে শিহাব ভার্সিটি থেকে তাড়াতাড়ি চলে যায়। রাতে শিহাব ফারিয়াকে ফোন করল। রিসিভ করল,
- দোস্ত আমার ঝুমকোটা মনে হয় তোর কাছে।
~ কই নাতো।
- একটু খুঁজে দেখ। প্লিজ দোস্ত।
~ আচ্ছা আমি দেখতেছি।
.
ফারিয়া ব্যাগে খুঁজে দেখলো যে ঝুমকোটা তার কাছে। নিধির সাথে দেখা হওয়ার পর দুষ্টামিটার কারণে ঝুমকো দিতে ভুলে গেছে। ফারিয়া শিহাবকে কল দিল।
~ হুম আমার কাছেই। কাল নিয়ে আসব।
- এখন দিয়ে দে। আমি এখন আসি।
~ বাপরে এত আবেগ?
- তুই বুঝবি নারে।
~ এখন আসার দরকার নেই। আমি ভার্সিটিতে নিয়ে আসব।
- আচ্ছা। মনে করে নিয়ে আসিস।
.
ফারিয়া ফোন কেটে দিয়ে ভাবতে লাগলো সামান্য ঝুমকোর জন্য এত পাগল। যদি মেয়েটাকে পেয়ে তো মনে হয় মাথায় করে নাচবে। ফারিয়া ঝুমকোটা হাতে নিয়ে বলল, "তুই কোন ভাগ্যবতী ঝুমকো রে?" ফারিয়া টেবিলের উপর ঝুমকোটা রেখে পড়তে বসলো।
.
ফারিয়া কিছুক্ষণ পড়ে ডিনার করতে এলো। ফারিয়া ভার্সিটিতে পড়ে আর নিধি কলেজে। মামার বাড়িতে এক সাথেই থাকে। বাবা মা গ্রামের বাড়িতে থাকে। মামা ফারিয়াদেরকে খুব ভালবাসে। তাই তারা সব সুযোগ সুবিধা পায়। মামার ফ্যামিলি বড় তাই পাশের ফ্ল্যাটে ফারিয়ারা আলাদা ভাবে থাকে। তবে মামা তাদের দেখাশোনায় কোনো কমতি রাখে না।
.
ডিনার শেষে দু বোন গল্প করছে। কৌতূহল বশতঃ  ফারিয়া শিহাবের ঝুমকোর ব্যাপারটা নিধিকে বলল।
> ওয়াও! আপু বলিস কি! আজকাল এমন ছেলে হয় নাকি? মেয়েটা খুব লাকী।
~ খুঁজে পেলে তবেই তো লাকী হত। সে তো জানেও না যে একটা ছেলে তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।
দুজনে কিছুক্ষণ শিহাবকে নিয়ে আলোচনা করে ঘুমিয়ে পড়ল।
.
পরেরদিন যথারীতি দুই বোন নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। ফারিয়া ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেল। ঠিক তখনই নিধি ফারিয়ার রুমে এসে ব্যাগে টাকা খুঁজতে লাগলো। এটা নিধির নিত্য রুটিন। ফারিয়া জেনেও টাকা ওখানেই রাখে। হয়তো এটা বড় বোনের একটা গুণ। নিধি কিছু টাকা নিয়ে চলে যেতে লাগলো ঠিক তখনই টেবিলে পড়ে থাকা ঝুমকোটা চোখে পড়লো। হাতে নিয়ে একটু দেখার পর মনে মনে বলল, "আরে এটা তো আমার হারিয়ে যাওয়া ঝুমকো। আগেই সন্দেহ হয়েছিল যে এই কুত্তিটাই নিয়েছে।" নিধি চুপচাপ ঝুমকোটা নিয়ে নিজ রুমে এলো। তারপর ঝুমকো জোড়া কানে পড়লো।
.
কলিংবেল বেজে উঠলো।
> কে? (নিধি)
- আমি ফারিয়ার বন্ধু।
নিধি দরজার লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখল শিহাব। গতকাল ফারিয়ার সাথে দেখেছিল তাই চিনে। নিধি দরজা খুলল।
- ফারিয়া আছে?
> জ্বি ভাইয়া। আসুন ভেতরে বসুন। আমি আপুকে ডেকে দিচ্ছি।
.
শিহাব ভেতরে বসলো। নিধি ফারিয়ার রুমে যেয়ে শিহাবের কথা বলল। তারপর শিহাবকে হালকা নাস্তা পানি দিল। তখনই শিহাবের চোখ নিধির কানে দুলতে থাকা ঝুমকোর দিকে পড়লো। শিহাব দেখেই বুঝেছে এটাই তার ঝুমকো। কারণ এই কয়েকদিন সে ঝুমকোটাকে এতটাই আগলে রেখেছিল যে চিনতে ভুল হবে না। শিহাব মনে মনে বলল, এ কি! এটা তো সেই ঝুমকো। নিধির দু কানে দুটা ঝুমকো দেখে শিহাবের মাথা ঘুরতে লাগল।
.
- কিছু মনে না করলে একটা প্রশ্ন করতে পারি?
> জ্বি ভাইয়া বলুন।
- আপনার কানের ঝুমকো দুটো কার?
> আমারই। কেন ভাইয়া?
- খুব সুন্দর। ভাবছি বোনের জন্য কিনব।
> এটা **** মার্কেট থেকে কিনেছি। এই এক জোড়াই ছিল। তবুও যেয়ে দেখতে পারেন।
- ধন্যবাদ।
.
নিধি চলে গেল। একটু পর ফারিয়া এসে দেখল শিহাব নেই। সে নিধিকে ডেকে বলল,
~ কিরে তুই না বললি শিহাব এসেছে। কই?
- এসেছিল কিন্তু ………
ফারিয়া শিহাবকে কল দিল। শিহাব বলল কাজ আছে তাই চলে এসেছে। ফারিয়াও বুঝেছে যে শিহাব ঝুমকোটার জন্যই এসেছে। মনে মনে ভাবতে লাগল সেই মেয়েটা অনেক ভাগ্যবতী।
.
ফারিয়া রুমে এসে দেখল ঝুমকো নেই। ফারিয়া পাগলের মত খুঁজতে লাগল। কিন্তু পেল না। নিধি এসে দেখে বুঝল যে ঝুমকোটা খুঁজতেছে। মুচকি হেসে বলল,
> কি খুঁজিস?
~ এখানে শিহাবের একটা ঝুমকো ছিল। তুই দেখেছিস?
নিধির চোখ কপালে উঠে গেল। শিহাবের ঝুমকো!
> উনি কি ঝুমকো পড়ে?
~ আরে এটাই সেই ঝুমকো। গতকাল ভুলে নিয়ে এসেছিলাম।
.
নিধি স্তব্ধ হয়ে পাথরের মত দাঁড়িয়ে রইল। মুখ থেকে একটা শব্দও বের করতে পারছে না। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। নিধির মনে পড়লো যে ঝুমকো যেদিন কিনেছিল সেদিন রাস্তায় একটা ছেলের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়েছিল। তারমানে ঝুমকোটা আপু নেইনি। সেখানে পড়ে গিয়েছিল। আর সেই ছেলেটাই শিহাব ছিল। অর্থাৎ শিহাব তার প্রেমেই হাবুডুবু খাচ্ছে!
.
জানালার হালকা বাতাসে নিধির কানের পাশ থেকে চুল সরে গেল। ফারিয়ার চোখে ঝুমকো জোড়া পড়লো। অবাক দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে। নিধিও বুঝল। মাথা নিচু করে ঝুমকো জোড়া চুল দিয়ে ঢেকে দিল।
.
বেশ কিছুক্ষণ নীরবতার পর ফারিয়া বলল,
~ এই ঝুমকো কবে কিনলি?
> কিছুদিন আগে।
~ শিহাব দেখেছে?
> হুম। উনি এটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিল তার বোনের জন্য কিনবে নাকি।
~ ওর কোনো বোন নেই। তারমানে শিহাবও জেনে গেছে ঝুমকোটা তোর।
.
নিধি চুপচাপ দাঁড়িয়েই রইল।
~ যাক অবশেষে পেলাম তো ঝুমকোওয়ালীকে।আমি তো খুব খুশি যে ভাগ্যবতী মেয়েটা তুই।
> ধুর আপু কি যে বলিস!
নিধি লজ্জা পেয়ে দৌড়ে চলে গেল। শিহাবের পুরো ব্যাপারটা শুনে নিধি শিহাবের প্রতি কিছুটা আকৃষ্ট হয়েছিল। এমন ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। আর এখন সবকিছু জেনে মনের এককোণে অজানা অনুভূতি কাজ করছে। মনে মনে ভাবছে এমন ছেলের লাইফ পার্টনার হলে তো ভালই হবে।
.
ফারিয়া ভার্সিটি চলে এলো। শিহাব একবারও ঝুমকোর কথা জিজ্ঞেস করেনি। কিন্তু মনের মধ্যে কথা চাপিয়েও রাখতে পারছে না। শত হোক প্রথম ভালবাসা। এই কয়েকদিনে নিজের কল্পনাতে সেই ঝুমকোওয়ালী অনেক ভালবেসে ফেলেছে। শিহাব কাজের বাহানা করে বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে সেই মোড়ে চলে এলো।
.
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর নিধিকে আসতে দেখল। নিধিও দূর থেকে শিহাবকে লক্ষ্য করেছে। আসলে আজ সারাদিনই নিধি শিহাবকে নিয়ে ভেবেছে। আর মন বলছিলই যে শিহাবকে এখানে পাবে। আর সেটাই হল। পরস্পরের মাঝে দূরত্ব যত কমতে লাগল তাদের হৃদস্পন্দন তত বাড়তে লাগল। নিধির পা শিহাবের কাছে এসে থমকে গেল। শিহাবেরও কপালে ঘাম জমে গেছে। দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো। নিধি আস্তে আস্তে বাসার দিকে পা বাড়াতে লাগল। তখনই শিহাব ডাক দিল।
.
- এই শুনো।
নিধির পা থমকে গেল। হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। শিহাব নিধির কাছে এলো। নিধির চোখ মাটির দিকেই তাকিয়ে আছে। শিহাব একটা বই বের করে নিধির দিকে বাড়িয়ে বলল,
- এটা তোমার বোনকে দিও।
নিধি ভেবেছিল শিহাব মনের কথা বলবে কিন্তু নাহ বলল না। নিধি বইটা নিয়ে বলল,
> আর কিছু?
.
শিহাব নিধির ভাবভঙ্গি দেখে বুঝেছে যে নিধি সবই জানে। শিহাব মনে মনে বলল যা হবার হবে আগে বলে দেই।
- আমি এই ঝুমকো পড়া মেয়েটিকে খুব ভা…ভা…ল…বেসে ফেলেছি। এক সাথে আগামীর পথগুলো চলতে চাই। সুখেদুখে পাশে পেতে চাই। অনুমতি হবে কি?
নিধির মুখ থেকে কথা বেরোচ্ছে না। গলা শুকিয়ে যেন কাঠ হয়ে গেছে। শিহাব কিছুক্ষণ নিধির দিকে তাকিয়ে রইলো। নিধি কয়েকবার আড় চোখে তাকালো।
- ঠিক আছে বুঝেছি। অসুবিধা নেই।
.
শিহাব হাটা দিল।
> এই শুনুন।
- জ্বি।
নিধি তার ঝুমকো জোড়া খুলে শিহাবের হাতে দিয়ে বলল,
> বিয়ের পর এই ঝুমকো জোড়া আমাকে নিজ হাতে পরিয়ে দিবেন।
নিধি মুচকি হাসি দিয়ে হেটে চলে গেল। শিহাব তার উত্তর পেয়ে গেছে। সে ঝুমকো জোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বাসায় চলে গেল। অন্যদিকে আড়াল থেকে ফারিয়া সবকিছুই দেখেছে। সেও খুব খুশি। পরিশেষে সবাই হাসিমুখে চলে গেল।
.
লিখাঃ Nishi Chowdhuri (রাত্রির আম্মু)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ