āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3010

গল্পের নামঃ গুন্ডা মেয়ে 3

হসপিটাল থেকে মেসে  চলে এসেছি,  ৩দিন হলো,
এই তিন দিনে নীলার কেয়ার দেখে আমি মুগ্ধ,প্রতিদিন সকালে আসবে এসে কিছু উপদেশ দিবে,  (যেমন ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করতে হবে ,  ঔসধ ঠিক সময়  মত খেতে হবে,  রাতে একদম গেম খেলা চলবে না, ঘুমতে হবে, ইত্যাদি আর অনেক কথা,  যা শুনতে শুনতে আমার কান একদম ঝালাপালা, মেয়েটা আর কিছু না পারুক উপদেশ দিতে খুব ভালো পারে, একদম রফিক স্যারের মত, স্কুলের প্রথম দিন, বাবা স্কুলে র্ভতি করতে নিয়ে গেছে,
আর ওমনি শুরু হলো স্যারের উপদেশ, ঠিক মত ক্লাসে আসতে হবে,  স্কুল বাদ দেওয়া চলবে না,  ভালোভাবে পড়া লেখা করতে হবে, ইত্যাদি এমন কি আমার বাবাকেও কিছু উপদেশ দিয়েছিল!
৭দিন পর,,
ক্যমপাসে  বসে আছি,  নীলা এখনো আসে নি,  তাই খুব একা একা লাগছে,  আবার ভালোও লাগছে,  কারন আমার একা বসে থাকতে ভালোই লাগে,  হিমুর মত,  ঘন্টার পর  ঘন্টা বসে কোন আবল তাবল চিন্তা  নিয়ে, না হয় কল্পনার জগৎ তে হারিয়ে গিয়ে,
মাঝে মাঝে মনে হত হিমু হব,  একটি হলুদ পানজাবি পরে সারাদিন রাস্তায় রাস্তায়  টো টো কম্পানির ম্যানেজার এর মত ঘুরব,  কারো সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না,  যেখানে মন চায় সেখানে যাব,  পারলে মানুষের একটু উপকার করব,  না পারলে করব না। কিন্তু সেটা আর হয় নি,   গ্রাম এ থাকতে বাবার কারনে,  সারাখন চোখে চোখে রাখতেন।  এমন বাবা আমি পৃথিবীতে কমই দেখেছি,  যে কি না ছেলে কোথায় কি করে তার সবই জানা, চাকরি বাকরির কোন নামই নাই সুধু  তার গুনধর ছেলে কে পাহারা দেওয়া, এটাই ছিল তার একমাএ কাজ,   ইন্টার পাশ করে  বাবার  হাত থেকে মুক্তি পাই,  চলে আসি,  ঢাকা,  কলেজে   র্ভতি হই, দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল,  কিন্তু হঠাৎ ফেসে যাই  নীলার প্রেমে, যে কিনা আমার বাবার থেকেও ডেনজারাস, কিন্তু তাকে ছারা এখন নিজেকে কল্পনা করতে পারি না, বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি তাকে, নীলাও হয়ত আমাকে খুব ভালোবাসে,  কিন্তু তার এতো ভালোবাসার মুল্য আমি কখনোই দিতে পারি না,  কারন আমি তো ছন্নছাড়া, হিমু হবার তিব্র ইচ্ছা আমার ভিতর,  কিন্তু হিমু হতে কখনোই পাড়ি না , কারণ আমি তো নীলাকে ছেরে কোথাও পালাতে পারবো না,  বড্ড ভালবাসি তাকে,  আর নীলাও  কখনো ছারবে না,  পারলে মরে যাবে,  এমন কথাও সে বলেছে। যার কারনে আর হিমু হতে পারি নি! 
না আর বসে থাকা যাবে না,  চলে যেতে হবে, তবে কিসের জন্য নীলা  আসলো না সেটাও অজানা।  আজকে একবার ও ফোন দেই নি নীলা, 
হেটে হেটে মেসে যাচ্ছি,  পকেটে সে রকম টাকাও নেই,  পকেটে যা আছে,  তা দিয়ে কেবল দুটো সিগারেটই হবে,  গাড়ি ভাড়া আর হবে না।  আজকাল রিকশা ভারা এত বেশি,  কল্পনার বাহির,  হেটে গেলে যেখানে যেতে পাঁচ মিনিট লাগে সেই ভারা বিশ টাকা,
আমার কাছে বিশ টাকা নেই, আছে  মজিবরের ছবিওয়ালা চকচকে একটা দশ টাকার নোট, আর পাচ টাকার একটা কয়েন, 
আমার হেটে যেতে প্রবলেম নেই,  তাই দুটো সিগারেট নিয়ে কড়া রোদ্রের মধ্যে হেটে হেটে মেসে যাচ্ছি,  রোদ্রে এক ধরনের ভিটামিন থাকে,  যেটা শরিরের জন্য খুব প্রয়োজন,  এতে অসুখ বিশুখ ও কম হয়, যারা রোদ্রের আলো সহ্য করতে পারে না,  তাদের অসুখ বিশুখ বেশি, যেমন, তারা একটু রোদ্রে হাটলে তাদের তর্ক পুরে যায় সর্দি কাশি জ্বর আরো কত কিছু ,  আমি দেখিনি যে ভিখুক,,,,,   কিংবা  কুকুর এর তক পুরে যেতে,কিংবা সর্দি জ্বর হতে,   তারা তো সারাদিনই রোদ্রের মধ্যে হাটে, 
এই রোদ্রের মধ্যে আমি আর আমার সঙ্গি একটি কুকুর,  কুকুর টা বেশ কিছুদিন ধরের আমার সাথে যাওয়া আসা করে, এর বিনিময়ে সে কিছুই চায় না, আবার এও হতে পারে,  সে চায় ঠিকি আমি বুঝি না, বা দেওয়ার চেষ্টা করি না, 
সিগারেট এ দুটো কষে টান দিয়ে কুকুর কে জিগেস করতেছি, কিরে কালকে কই ছিলি দেখলাম না?
উওরে সে গেউ ঘেউ করতে করতে পায়ের দিকে তাকাল
বুঝতে পারলাম,  হয়ত তাকে কেউ মেরেছে যার কারনে কালকে সে আসতে পারে নি, হয়ত চুরি করে খেতে গেছিল,  সেজন্য গরম ভাতের মার,  অথবা লাঠি দিয়ে বারি মেরেছে?
পৃথিবী টা বড়ই সার্থপর বুঝলি,  কেউ কারো না,  তুই যদি বিলেতি কুকুর হতি তবে তোর খাওয়ারের অভাব হতো না, চুরি করে খেতে হত না, তবে তুই স্বাধিন জিবন পেতি না, বন্ধি থাকতে হতো,
উওরে সে সুধু কুই কুই সব্দ করলো,  তার মানে সে বল্ল,  তা ঠিক, 
আমি মেস পেয়ে গেলাম,  কুকুর টাকে জিগেস করলাম কই যাবি, 
সে কোন উওর দিলো না,  তার মানে তার যাওয়ার জাইগা নেই,  কারন পা ভাঙা,  এই ভাঙা পা নিয়ে ঘোরা সম্ভব না, 
বোস দেখি ঘরে খাওয়ার আছে নাকি? 
সে গাছের ছায়ায় বসে পরল!

যখন মেসে এসে প্রছালাম, তখন দুপুর দুইটা বাজে,  গায়ে থাকা র্শাট টা ঘামে ভিজে গেছে,  মনে হয় এই মাএ পচা পুকুর থেকে ডুব দিয়ে আসলাম,  কারন গা দিয়ে প্রচন্ড ঘামের গন্ধ বের হচ্ছে, রুমে ঢুকে শার্ট টা খুলে গোসল করে,  খেতে বসলাম দেখলাম গরুর মাংস রান্না করা হয়েছে,  তাই খুশি হয়ে খেতে বসলাম,  মাংশের ঝোল দিয়ে ভাত মাখিয়েছি এমন সময় মনে হল কুকুর এর কথা,  তাকে তো বাইরে বসিয়ে রেখে এসেছি,

কিন্তু মাংস একপিস, তোই মাংস টা তুলে রাখলাম কারন,  কুকুর খেতে দিতে হবে প্রতিদিন তো আর খেতে চায় না,
আমি খাওয়া শেষ করে কুকুরের কাছে গেলাম,  সে উঠে দাড়ালো,  বল্লাম আয় খেয়ে যা,  তোর ভাগ্য টা ভালো আজ মাংশ রান্না হয়েছে, 
ভাত,  আর মাংস খেতে দিলাম,  সে আমার দিকে তাকালো,  চোখে পানি টলমল করছে, হয়ত বলতে চাচ্ছে, এতো কিছুর কি দরকার ছিল,  সুধু ভাত দিলেই তো  হতো! 
বল্লাম খা পেট ভরে খা,  আমি গেলাম,  সে হ্যা সম্মতি জানালো, 
রুমে চলে আসলাম,  মোবাইল টা চার্জে লাগিয়ে একটা ঘুম দিলাম,
সন্ধার সময় ঘুম ভাঙলো, উঠে ফ্রেস হয়ে ঘুরতে বের হলাম, আমি আর কুকুর ,  একটা সিগারেট জ্বলিয়ে হাটছি, আর কুকুরে সাথে কথা বলছি, এমন সময় নিলা ফোন দিল, 
হ্যলো, নীলা, কেমন আছো,  সারাদিন ফোন দাও নি কেন,?
ভালো নেই. বাবা বিয়ে ঠিক করছে,  কোন কথা সুনবে না?
কি?? কি  বলছো এসব  হুম, আমি তোমাকে ভালোবাসি,  তোমাকে ছাড়া আমি বাচবো না, বাচতে শিখিয়ে এখন মাঝপথ থেকে হাত ছেরে দিচ্ছো,??
আমাকে নিয়ে পালাতে পারবে, ?  পালিয়ে বিয়ে করতে পারবে? ( নিলা)
আমি নিরব,  কোন কথা বলতে পারছি না,  কারন আমার বলার মতো কোন ভাষা নেই,  আমি যে বেকার, নিজেই ভালোভাবে চলতে পারি না, 
কি হলো কথা বলছো না কেন?  (নিলা)
নিশ্চুপ------
চুপ করে থেকো না, কিছু তো বলো,( নিলা)
---------
কালকে চাঁরটার সময় পার্কে এসো!  (নিলা) বলেই ফোনটা কেটে দিল!
এটা কি হলো কিছুই বুঝতে পারলাম,  না হঠাৎ,  করে পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, যাকে এতো ভালোবাসি সেও ছেড়ে চলে যাবে???
মেসে চলে আসলাম, কিছুই ভালো লাগছে না,  চারিদিকে সুধু শূর্নতা,  চিৎকার করে কাদবো,  সেটাও পারি না,  কারন আমি ছেলে মানুষ,ছেলে মানুষের কাদতে নেই, 
বিকেলে পার্কে গেলাম,  দেখি নিলা দাড়িয়ে আছে,
গিয়ে নিলার পিছনে দাড়ালাম,
কখন এসেছ,
এইতো কিছুক্ষন আগে!
কি ভাবলে?
ভাবার মত কিছুই নেই,  তুমি বিয়ে করে নাও, তোমার বাবার পছন্দের ছেলেকে?? অনেক সুখি হবে? আমার এই অনিশ্চিত জিবনের সাথে তোমাকে জ্বরাতে চাই না,  এই জিবনে কিছুই নেই আছে শুধু দুঃখ, কষ্ট বেদনা, যেটা তুমি সহ্য করতে পারবে না,
নিলার চোখে পানি টলমল করছে,  এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চোখের দিকে?  মনে হয় অনেক কিছু বলার ছিল, কিন্তু ভাষা হারিয়ে ফেলেছে,
দৌরে এসে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরল,
আমি তখন তার গায়ে আলত করে হাত টা বুলিয়ে বলতে পারি নি,  এই পাগলি কাদছো কেন,  আমি তো আছি,  কিচ্ছু হবে না,  কারন আমি তো অসহায় , খুব অসহায়, 
আমি তোমাকে ছাড়া থাকবো কি করে বলতে পার?  আমার সব অনুভৃতি জুরে তো শুধুই তুমি! কাদতে কাদতে নিলা!
সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে, আমার কথা হয়ত আর মনেই পরবে না,
পারবে আমাকে ছারা ভালো থাকতে,,??(নিলা)
ভালো থাকার অভিনয় করতে করতে আমিও শিখে যাব!!
ভালো থেকো, চলে আছতেছি,  নিলা কাদতেছে,  আর হাত বাড়িয়ে বলতেছে,  যেয়ো না নিরব,  আমি তোমাকে ছারা থাকতে পারব না, 
আমি আর পিছু ফিরে তাকাই নি!!! তাকালেই হয়ত,
আর আসতে পারব না, কাদতে কাদতে এক সময় ঠিক বাসায় চলে যাবে,  আমি চাই নিলা ভালো থাকুক, সুখে থাকুক,  শুধু ভালোবাসা দিয়ে কাউকে সুখি করা যায় না,  সুখ থাকে অর্থ সম্পদে, যেটা আমার নেই!
  বড্ড ভালোবেসে ছিলাম, রে পাগলি,  কিন্তু বিধাতা হয়ত চায় না, 
লেখক আইডি---
                          Nistobdho Nirob(হিমু)

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ