āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3002

== পীরুর আত্মহুতি  ==
:
আজ প্রায় ৬মাস হয়ে গেছে গ্রামের বাড়ি যাইনা। কেন জানি যেতে ইচ্ছেও হয়না। গ্রামের সবুজ শ্যামল পরিবেশের চেয়ে শহরের যান্ত্রিক পরিবেশটাই আমার ভালো লাগে। হয়তো আমার এই কথাটার সাথে কেউ ই একমত হতে পারবেন না। তবে এটাই সত্য। আজকে সকালে আম্মু কল দিয়ে অনেকবার বললো বাড়ি যেতে, কিন্তু আমি মানা করে দিলাম।
আমার সোজা উত্তর সময় হলেই আমি যাবো।
.
আমি রাহাত। পড়াশুনার তাগিদে শহরে পাড়ি জমিয়েছি দীর্ঘ ৫ বছর হতে চললো। বাবা মার একমাত্র সন্তান আমি। আমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাদের। তাই প্রতিনিয়তই তাদের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য চেষ্টা করছি। আমার এই ৫ বছরের জীবনে আমি মাত্র একজন ই বন্ধু পেয়েছি। সে হলো নীল। সেই বন্ধুর মতো বন্ধু। আমার জীবনের প্রত্যেকটা ধাপে আমি ওকে পাশে পেয়েছি। আমার পাশে ছিল ছায়ার মতো। কোনদিন এমন হয়নি যে আমার প্রয়োজনে আমি ওকে ডেকে পাশে পাইনি।  ওদের গ্রামের বাড়ি খুলনায়। পরিক্ষা শেষ তাই ও গ্রামের বাড়ি গিয়েছে। অবশ্য আমাকে অনেকভাবে ওর সাথে নিতে চেয়েছিল কিন্তু আমি যাইনি।
.
বিকেল ৪টা বাজে। রাস্তায় আনমনে হাটছি। ব্যস্ত শহরটাকে দেখতে ভালোই লাগছে। সবাই যার যার মতো আপন পথে ছুটে যাচ্ছে। কেউ কারো দিকে তাকানোর সময়টা মাত্র নেই। হঠাৎ করেই ফোনটা বেজে উঠলো, দেখলাম যে নীল ফোন করেছে....
"হ্যা বল?
"দোস্ত কোথায় তুই??
"এইতো হাটছি। কেন??
"ঘটনাতো ঘইটা গেছেরে..
"কি হইছে??
"আরে পীরুর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে...
পীরু হলো নীলের ছোটবোন। ওর মুখে পীরুর কথা অনেক শুনেছি তবে কোনদিন ওকে দেখা হয়নি। উল্লেখ্য যে নীল ছিল একটি রক্ষনশীল পরিবারের সন্তান। অনেক ইচ্ছে হতো দেখতে তবে সম্ভব হয়নি।
"বলিস কি?? কবে বিয়ে??
"আগামিদিন। তুই এক কাজ কর দোস্ত তুই আজকে রাতেই খুলনা চলে আয়...
"নারে ভালো লাগেনা...
"দেখ রাহাত। আমাদের ৫বছরের বন্ধুত্বে কোনদিন তোকে আমাদের বাড়িতে আনতে পারিনি। আজও আসবিনা??
"নারে। শরীরটা ভালো নাই।
"আসবিনা তুই??
"দেখ পারলেত আমি আসতাম ই। তাইনা??
"ওকে যা আসতে হবেনা। আজ থেকে তোর সাথে আমার কোন বন্ধুত্ব নাই।
"ধুররর। ওকে আসতেছি।
"ওকে মামা রাতের বাসেই চলে আয়।

--- কি আর করার বাধ্য হয়েই রাজি হতে হলো। তা না হলে বন্ধুত্ব এখানেই শেষ হয়ে যেত। রুমে গিয়ে জলদি রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ি। কারন ঢাকা থেকে খুলনা অনেক দুর। রাত ৮টায় বাস ছাড়লো। পীরুর বিয়েতে তেমন কিছুই নিতে পারলাম না। অবশ্য নেওয়ার সময়ও পাইনি। তবে শুনেছিলাম পীরু পায়েল অনেক পছন্দ করে। তাই ওর জন্য একজোড়া পায়েল কিনে নিলাম। সাথে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা। বাস তার আপন গতিতে ছুটে যাচ্ছে গন্তব্যে। আমি আপনমনে সম্মুখে চেয়ে আছি। হঠাৎ দেখতে পেলাম মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে একটা মেয়ে বাসটা সিগন্যাল দিল। প্রাণহানির হাত থেকে বাচার জন্য ড্রাইভার আচমকাই বাসটা থামালেন।  মেয়েটির বাসের স্টাফের সাথে কি যেন বলে বাসে উঠে পড়ে। খেয়াল করে দেখলাম মেয়েটার পুরো মুখ একটা ঘোমটা দ্বারা আবৃত। চোলগুলো ঘোমটার সাইড দিয়ে বের হয়ে রয়েছে। আর কালো রঙের একটা ড্রেস পড়েছে। ভাবলাম এত রাতে এই মেয়ে কোথা থেকে আসলো!! কি জানি হয়তো কোন প্রবলেম হয়েছে। বাসে আর কোন সিট না থাকায় মেয়েটা আমার পাশের সিটে বসলো।
-
আমি আর সেদিকে মনযোগ না দিয়ে বাসের ভ্রমণ উপভোগ করতে লাগলাম। আমি আবার ভ্রমনে যেতে অনেক পছন্দ করি। একটু পর কারো কান্নার আওয়াজে আমার মনযোগ ভাঙলো। একি!!! দেখলাম যে আমার পাশে বসা মেয়েটি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে।  এবার বুঝতে পারলাম যে নিশ্চয়ই বিএফের সাথে পালিয়ে আসছিল। হয়তো ধোকা দিছে। আবার ভাবলাম ধুর কি ভাবছি। এমনওতো হতে পারে মেয়েটার কোন প্রবলেম হয়েছে। ক্রমেই মেয়েটার কান্না বাড়তে লাগলো। একবার ভাবি জিজ্ঞেস করবো নাকি আবার ভাবি না। তারপরেও জিজ্ঞেস করেই ফেললাম...
"এইযে শুনতে পাচ্ছেন?
"------
"আপনি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন??
মেয়েটি মাথা নাড়িয়ে সায় দিল।
"আপনি কান্না করছেন কেন??
"-----
"বলা যাবে কি কেন কান্না করছেন??
"আপনি জেনে কি করবেন আর!! আমারতো সব শেষ হয়ে গেছে। এটা বলেই মেয়েটা আবারো কান্না করতে শুরু করলো।
আমি এবার একদম ই সিউর হলাম যে মেয়েটা বিএফের সাথে  বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
"তখনি মেয়েটা কান্না থেকে মৃদু হাসি দিয়ে বললো যে- কি ভাবছেন? আমি বাসা থেকে পালিয়েছি??
আসলেই মানুষ এমন। সবার উপরের দিকটাই খুজে।
"না মানে.... ( আমি অনেকটাই অবাক হলাম, এই মেয়ে এটা বুঝলো কি করে )
"আপনার কাছে একটু পানি হবে? খুব পানির পিপাসা পেয়েছে..
"হুম অবশ্যই। এইযে নিন...
মেয়েটি মুখ থেকে উড়নাটা সামান্য সরিয়ে পানি খেল। তার ফাকে ওর মুখটা একটু দেখতে পেলাম তবে একজন মানুষ চিনার পক্ষে এটা যথেষ্ট নয়।
"জানতে চেয়েছিলেন না কেন কান্না করছি? শুনবেন?
এই বলেই মেয়েটা আবার কান্না করে দিল।
"হুম বলুন...
"আমার নাম আভা। বাবা মায়ের অনেক আদরের সন্তান আমি। খুব ভালোবাসে আমাকে.....
"জ্বি তারপর?
"কিছুদিন ধরেই আব্বু আমাকে বিয়ের কথা বলছিল। আমি একটা ছেলেকে ভালোবাসি। বাবার কাছে ছেলেটির কথা বলাতে বাবা আমাকে অনেক মেরেছিল....
"আপনার আব্বুকে ভালো করে বুঝিয়ে বললেই পারতেন?
"বলেছিলাম। কিন্তু বাবা আমার কোন কথা শুনেনি। তার একটাই কথা যার সাথে তিনি আমাকে বিয়ে দিবেন তাকেই বিয়ে করতে হবে।
"ও। তারপর?
"তারপর ৩দিন আব্বু আমাকে বাসা থেকে বের হতে দেয়নি। অনেক চেষ্টা করেছিলাম ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করার, কিন্তু পারিনি।
"তারপর কি হলো?
"তারপর একদিন আব্বু এসে বললো যে আগামীকাল তোমাকে দেখতে আসবে রেডি হয়ে থেক। 
জানেন সেদিন আমি অনেক কান্না করেছিলাম, অনেক বেশি। ছেলেটার কথা খুব মনে পড়ছিল।
"মেয়েটার কথা যত শুনছি ততই আগ্রহ বাড়তে থাকলো।  তারপর কি হলো?
"তারপর আর কি হবে। যারা  দেখতে আসছিল তারা আমাকে দেখে পছন্দ করে ফেলে। তখনি বিয়ের কথা ফাইনাল করে ফেলে যে আগামি শুক্রবার আমার বিয়ে।
"এরপর??
"এরপরই ঘটে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনা। ছেলেটার সাথে প্রায় ১মাস যোগাযোগ ছিলনা আমার। তারপর যখন ও নাকি শুনলো আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তখন সে নিজেকে শেষ করে ফেলে.....
কথাটা বলেই মেয়েটি কান্না করে শুরু করে। এবার সে অনেক বেশি কান্না করছে। কোনভাবেই তার কান্না থামানো যাচ্ছে না।  একটুপর কান্না বন্ধ করে সে নিজ থেকেই আবার বলতে শুরু করলো...
"শুনবেন না তারপর কি হয়েছিল??
"আমি হুম বলে মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এতক্ষনে মেয়েটার মুখটা দেখলাম। প্রচন্ড মায়াবি চেহারা। তবে তার চোখদুটো লাল হয়ে আছে। হয়তো অনেক কান্না করছে তাই। ফর্সা গালদুটোতে চোখের পানি পড়ার দাগটা স্পষ্ট দেখ যাচ্ছে।
"হুম বলুন তারপর কি হয়েছিল??
"তারপর আমি অনেক কান্না করেছিলাম। এটা কি হলো আমার সাথে!!! আমার জন্য ছেলেটা নিজের জীবনটা শেষ করে দিল। নিজেকে খুব অপরাধি মনে হচ্ছিল....
"এরপর??
"অতঃপর আমি সিদ্ধান্ত নেই যে যারা আমার ভালোবাসার মূল্য দিতে পারলোনা। তাদের কাছে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। তাই কাউকে না জানিয়েই অনেক কষ্টে বাসা থেকে বের হয়ে দুরে চলে যাচ্ছি....
"কিন্তু আপনি কোথায় যাবেন??
"জানিনা। তবে জানি অনেক দুরে যেতে পারবো, অনেক বেশি।
মেয়েটার কথা শুনে নিজেরই খারাপ লাগতে শুরু করলো। আসলে আমাদের মা বাবা যে কেমন বুঝিনা। তারা মনে করে তার ছেলে বা মেয়ে যার সাথে প্রেম করে সেই ছেলে বা মেয়েটাই দুনিয়ার সবথেকে খারাপ। আর বাকি সবাই ভালো।
"আপনার কাছে একটা টিস্যু হবে?
"হুম নিন।
মেয়েটি তার চোখের পানিগুলো মুছতে শুরু করে।
"জানেন ছেলেটাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল.... অনেক ভালোবাসতো আমাকে। আমিও কম বাসতাম না। কিন্তু কখনও ভাবিনি এমন হয়ে যাবে।
--মেয়েটার প্রত্যেকটা কথাই আমার মনটা ছুয়ে যাচ্ছিল। মেয়েটার প্রতি অনেক মায়া জন্মে গেছে। ইচ্ছে হচ্ছে মেয়েটার হাতটা শক্ত করে ধরে বলি যে-  আর কষ্ট পেওনা তুমি। কিন্তু এটা কখনও সম্ভব না।
"আচ্ছা আপনি কোথায় যাবেন?
"জ্বি আমার এক বন্ধুর বোনের বিয়েতে।
"ও। তাহলেত ভালোই। আপনি একটা শুভ কাজে যাচ্ছিলেন আর আমার জন্য আপনার মনটা খারাপ হলো। সরি।
"আমিকি একবারও বলেছি এই কথা?
"নাহ কিন্তু তাও.....
"ইটস ওকে। আমার কোন মন খারাপ হয়নি।
"হুম।

---ততক্ষনে আমার বাসের ভ্রমন প্রায় ৮ঘন্টা হয়ে গেছে। প্রায় খুলনা পৌছে গেছি। রাতের আধার কাটিয়ে সামান্য আলো ফুটতে শুরু করেছে। মেয়েটার সাথে অনেকবার চোখাচোখি হয়েছে। যতবার মেয়েটার দিকে তাকাই ততবারই মনে কেমন যেন একটা আঘাত অনুভত হয়। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হয় শুধু। আসলেই মেয়েটা অনেক সুন্দর। মেয়েটার কথা শুনে আমি ওর মায়ায় পড়ে গেছি। তার কষ্টের ভাগটা নিতে পারলে খারাপ হতো না....
"খুলনা শহরে পৌছার আগে আরেকটা স্টেশনে বাস থামলো। মেয়েটা আমাকে বললো যে...
"এই যে শুনছেন?
"হুম বলুন?
"আমি এখানে নেমে যাবো। আপনি ভালো থাকবেন।  আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। ও যদি এখন নেমে যায় তাহলে আর কোনদিন ওকে খুজে পাবোনা..... 
ও যখনি সিট থেকে উঠতে যাবে তখনি আমি ওর হাতটা ঝাপটে ধরলাম। আর বললাম....
"কোথায় যাবেন??
"জানিনা।
"তাহলে কেন অজানা পথে পা বাড়াচ্ছেন?
"এটাই আমার করা উচিত...
"যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি?
"হুম বলুন।
"আপনিকি আমাকে আপনার অজানা পথের সাথী হিসেবে নিতে পারবেন? বিশ্বাস করুন এইটুকু সময়টাতে আমি যা বুঝলাম তাতে মনে হচ্ছে আপনার সাথে অজানা পথে পা বাড়ালে কোন ভুল হবেনা।
"মেয়েটা মুচকি হাসলো। তারপর বললো...
"সরি এটা কখনও সম্ভব না।
"একটু ভেবে দেখুন না?
"নাহ পারবোনা আমি।
এই বলেই মেয়েটা রহস্যময়ী একটা হাসি দিয়ে হাতটা ছাড়িয়ে চলে গেল। আমি শুধু তার চলে যাওয়ার পানে চেয়েছিলাম। যতক্ষন পর্যন্ত ওর অস্তিত্ব দেখা যায়।
.
সকাল ৭টায় বাস খুলনা এসে থামলো। বাস থেকে নেমেই নীলের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। মেয়েটার কথা খুব মনে পড়ছে। ইচ্ছে হচ্ছে আবার ফিরে যাই মেয়েটার কাছে। ওকে জড়িয়ে ধরে বলি...
"প্রিয় তুমি প্লীজ আমাকে ছেড়ে যেওনা। এইটুকু সময়তেই যে আমি আমার মনটা তোমাকে দিয়ে ফেলেছি। তুমি ছাড়া এখন আমার বেচে থাকাই বৃথা"

----প্রায় ২৫ মিনিট হাটার পর নীলদের বাড়িতে পৌছাই। গিয়েই দেখলাম বাড়িতে অনেক মানুষের উপস্থিতি। বিয়ে বাড়ি তাই হয়তো। নীলকে অনেকগুলো কল দিলাম কিন্তু রিসিভ করছেনা হয়তো ব্যস্ত অনেক। কিন্তু কই কাউকেইতো ব্যস্ত মনে হচ্ছেনা। বিয়ে বাড়িতে যেমন হৈ হুল্লর থাকার কথা তেমন কিছুই নেই। সবার মুখগুলোই কেমন যেন শুকিয়ে আছে। আস্তেআস্তে আমি বাড়ির উঠানে প্রবেশ করলাম।  উঠানে প্রবেশ করেই দেখলাম যে অনেক মানুষ গোলাকার হয়ে বসে আছে। চারদিকে আগরবাতি জ্বলছে। একদম মাঝে সাদা কাপড় দিয়ে মোড়ানো লম্বা কি যেন একটা রাখা আছে। আচ্ছা এটা কি কারো লাশ?
নাহ তা কি করে হয়!! বিয়ে বাড়িতে লাশ আসবে কোথা থেকে। এসব ভাবতে ভাবতে যখন তাদের কাছে পৌছলাম তখনই দেখলাম নীল সাদা কাপড়ে মোরানো বস্তুটাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে। ও আমাকে দেখেই উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দেয়....
"কি হইছে দোস্ত, এভাবে কান্না করতেছিস ক্যান??
"------
"দোস্ত বল কি হইছে??
"আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেলরে। সবকিছু!!!
"মানে???
"মানে পীরু আত্মহত্যা করেছে....
"কি!!!!!!! কি বলতেছিস এইসব!!!! তারমানে এটা পীরুর লাশ!!!
কথাটা শুনে আমার নিজেরই কান্না এসে যায়। নীলকে জড়িয়ে ধরে আমিও কেদে দেই। জিজ্ঞেস করলাম যে কেন এমন করলো ও...
"দোস্ত। ও নাকি একটা ছেলেকে ভালোবাসতো। কিন্তু আব্বু অন্য একটা ছেলের সাথে ওর বিয়ে ঠিক করায় ও এমন করে....
কথাটা শুনার পরই আমার বাসে দেখা মেয়েটার কথা মনে পড়ে যায়। মেয়েটাও ঠিক এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল।  কেন জানি পীরুকে দেখতে খুব ইচ্ছে হচ্ছিল।
তাই পীরুকে দেখার জন্য সামনে এগুলাম। একজনকে বললাম মুখ থেকে একটু কাপড়টা সরাতে....
"ওর মুখটা দেখেই আমি থ হয়ে যাই। এটা আমি কি দেখছি!!!! এটা কিভাবে সম্ভব!!!! এটা কখনও হতে পারেনা!!! এতো বাসে দেখা সেই মেয়েটা। যে কিনা আমার পানি খেয়েছিল। যার হাতটা পর্যন্ত আমি ধরেছিলাম।!!!
"নীল এটাই কি পীরু??
"হুম এটাই পীরু...

আমি পীরুর মুখের দিকে তাকিয়ে আর ঠিক থাকতে পারিনি। একটা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই....

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ