āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ…āĻ•্āϟোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§­

3001

নিশ্চুপ লুকোচুরি..
.
আমি- মনে কি পড়ে আমায়?
রুবি- জানিনা।
-ঘৃণার কোন পর্যায়ে আমি!
-জানিনা।
-দৃশ্যরূপের জগতে আমি কি শূণ্য?
-জানিনা কিছু।
-কেন এমনটা করলে?
-সরি আমি।
-কি দোষ ছিল আমার?
-সরি নাজিম।
-চোঁখের পানির মূল্য দিতে পারবে?
-নিশ্চুপ।
-চলে যেতে কি এতটুকু বাঁধে নি?
-নিশ্চুপ।
-চুপ করে থেকো না রুবি।জানতে চাই আমি।
কি দোষ ছিল আমার?
কোন অপরাধে এতটা দোষী?
কি কারণে বেদনার নীলে ফেলেছ তুমি?
বলো,জবাব চাই আমি।
-নিশ্চুপ (মাথানত)..
-কি রে?বলবে না?নাকি বলার ভাষা নাই!
-সরি...বাই...
-হা হা!!!(বিষাদের হাসি,চোঁখের কোণে জলকণার চিহ্ন)..
.
রুবি চলে গেল।অথচ বুঝতে চাইল না আমার আকুতিগুলো।বুঝলো না আমার অাত্নকান্না,আমি যে আজও বিবাগী তার তরে,তার মাঝে ভাসিডুবি।তার নিকটে জীবন খুঁজি।জীবনের স্রোতে যে তুমি!তোমাকেই তো মানি আমার ভূমি।
কি রে রুবি!
চাইলেই তো তুমি ছুঁয়ে দিতে পারো আমায়।আমি তো তোমার মাঝেই বসত করি,তোমার ভেতরেই তো খুঁজি নিজের অস্তি।তুমিই তো সব,আমার ঠিকানা,বাস্তবতার চেতনা।
জানোনা রে তুমি!
তুমি বিহনে সত্যিই বিষাদ বর্বর আমি।কি রে সেদিনও তো চলে গিয়েছিলে,আজ আবার কেন গেলে!
.
ছাদের ওপর ফুলের চারাগুলোয় পানি দিতে দিতে সকালের সূর্য অনেকটা উপরে উঠে গেছে।তাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে ধীরে ধীরে।ছাদ থেকে নামে যেতে হবে।অফিসে লেট করলে বসের পেদানী।
নামার পথে ব্রাশ হাতে কারো অনুপ্রবেশ।চোঁখ আটকে গেছে তার ওপর।কিন্তু অবাক ও বড়।মেয়ে মানুষের ঘুম থেকে ওঠা এত লেট!!
যাই হোক নেমে পড়তে হবে।
.
ব্রেকফাস্ট খাবার সময়..
মা-শোন,পাশের ফ্লাটে নতুন ফ্যামিলি উঠেছে।
আমি-ভাল।
বাবা-দেখিস আবার মেয়েটার প্রেমে পড়িস না।
আমি-কিহ!!!
মা-জব তো করিস,বিয়ে করতে কি হয়?
আমি- বিয়ে আর আমি!তার ওপর আবার প্রেম!!!
বাবা- তাতে কি?দেখতেও খারাপ নয়।
আমি-দুজনে কি শুরু করছো সকাল সকাল?
মা-ঠিকই হইছে,এবার একটা বিয়ে কর।
আমি- এবার একটা করব!তাইলে পরেরবার কয়টা করতে হবে?
বাবা- কোন কাহিনী চলবেনা,তোর মা পছন্দ করে ফেলছে।
আমি-যেই না চেহারা!(মুখ ভেংচিয়ে)তারওপর আটটায় ব্রাশ করা।
মা-তারমানে দেখা হইছে?
-আচ্ছা বাই...
.
আসার সময় লক্ষ করলাম বাবা মা দুজনেই মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে।হাসির মানে বুঝি!
তবে মেয়েটা দেখতে অনেক কিউট।নয়নে জাদু করার মত।মায়া আছে তার দুনয়নে।সত্যিই প্রেমে পড়ার মত!
.
বিকেলে চারাগুলোয় পানি দেবার সময় রাজকণ্যার আগমন।চারাগুলোয় হাত বুলিয়ে দেয় আবার আমার দিকে দেখে।আমি চোঁখ ওঠানামার মাঝে তার পানে দৃষ্টিপাতন করি।হাসি হাসি ভাব মুখে তবে বুঝিনা হাসে কি না!!কিছুক্ষণ সময় পেরোনোর পর..
.
আমি- কেমন আছেন?
মেয়ে- দেখতেই তো পারছেন।(ঘাড় তেড়া উত্তর)..
- ওহ!
- হ্যাঁ।
ভাব নিল।মনেহয় খুব বেশি ডেমাগ।তারপর আমি আমার মত উনি ওনার মত।কিছুক্ষণ পর..
.
মেয়ে- আপনার নাম?
আমি- আছে কোন একটা(ভাব ব্যাক করার চেষ্টা)..
- নাজিম।লিখাপড়া শেষ করে জব করছেন প্রাইভেট কম্পানিতে।শান্ত টাইপের মেয়ে দেখলেই পালিয়ে বেড়ান।আর চোঁখের চশমার প্রতি অধিক যত্নবান।
- এতকিছু জানলেন কি করে?
-এম্নিতেই।
-আপনার নাম?
-হবে কোন একটা!
-ধ্যাত!
-ফ্যাত...
-আচ্ছা বাই...
.
কি মেয়েরে বাবা!
এমন ভাব নেয়,যেন প্রিয়াঙ্কার নানী লাগে।যাইহোক,ভালো লাগছে।
এমন করেই কাটতে থাকে সময়,কেঁটে যায় দিন।ঝগড়ার ফাঁকে ফ্রেন্ডশিপ।প্রতিটা ক্ষণ তাকে ঘিড়েই বর্ধিত হয়।কথার চেয়ে বেশি ঝগড়া হয়।কিন্তু কদিন যাবৎ কাজের জন্য বাইরে আসতে হইছে।ফোনে কথা হলেও জানিনা কেমন আছে!
বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গেল,বাসায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি।কাজগুলো শেষ করার পর বাসায় আসছি।দেখি ছাদে খুজে পাওয়া যায় কি না!রুমে তো নেই।ছাদেই থাকবে সিওর।আর ছাদে ওঠার পরপরই...
.
রুবি- ঐ ভুলে গেছো নাকি?
আমি- ভুললেই বা কি?
-গলা টিপে মেরে ফেলব।
-কেন?
-এম্নি।
-ভালো।
-আর যদি ভোলার কথা শুনি তো?
-তো কি?
-আই লাভ ইউ..
-এতদিন লাগল?
-নিজে তো পারোনি।
-তাতে কি?
-তাতে কি মানে?
-কি হত?
-যদি অন্যকারো হতাম?
-চুপ,একদম চুপ।
-লাভ ইউ।
-লাভ ইউ টু।
-এতদিন আসোনি কেন?
-কাজের চাপ ছিল।
-ভালো।
-চোঁখের নিচে দাগ পড়ছে কেন?
-কি জানি?
-ঘুমাও নি কতদিন?
-জানিনা।
-শরীরও তো খারাপ লাগছে।
-এম্নিতেই।
-ঠিকমত খাওনি কতদিন?
-বাদ দাও,এখন ঠিক হবে।
-হুমমম,বুঝি।
-কি বুঝো?
-পরের ফ্লাটের পোলায় পাত্তা দেয়নি।
-নাজিম???(রেগে)..
-কি?
-যা ভাগ।
-কই?
-আমি কি জানি!
একটু সামনে গিয়ে বাঁহাত টেনে বুকে নিয়ে তার চুলে নাক ডুবিয়ে।ওদিকে সূর্য তার যাবার ঘন্টা বাজিয়ে দিচ্ছে।রক্তিম লালিমাময় আকাশ।ছাদের ওপর আমি আর রুবি।
.
ভালবাসা নামক মায়ার বন্দীতে বেশ চলে যায় জীবন।মা বাবা জানে বিষয়টা।একদিন বিয়ের সমন্ধ নিয়ে রুবিদের ফ্লাটে যায়।সবই ঠিকঠাক,রুবির ফ্যামিলিও রাজি।কিন্তু রুবি নিজেই না করে দেয়।সঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলনা।বাবা মা মাথা নিচু করে চলে আসে সামনে।বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এমনটা।
কি করে করব!
আমার রুবি তো এমন নয়।
রুবি তো আমাতে মিশে গেছে।
তবে এমন হবার মানে কি!!
জানিনা কিছু,সত্যিই জানিনা।পরিবেশ আমার অনুকূলে নাকি রুবির চাওয়াতে!
.
সেদিনের পর থেকে আর ছাদে যাইনি।রুবি গেছে কি না সঠিক জানিনা।সৃতিচরণ করতে চাইনা আমি,তবুও মনে পড়ে তাকে।
কি করে ভুলবো রে!
আমি তো তোর মাঝে।
.
শুনলাম ওরা নাকি বাসা ছেরে চলে গেছে।দেখা হয়নি একদিনও।সকালে অফিসে যাই বিকেলে মামার টংয়ে কাটিয়ে দেই।এমন করেই কাটছিল সময়।অনেকটা সময় পেরিয়েছে,রুবি নামক মানুষটির সৃতি আজও আমায় কাঁদায়।এখনো বিশ্বাস করতে পারিনা আমি।
রুবি তো আমার!
সেই রুবি,যে রুবি আমার জন্য নিজের খেয়াল নেয়নি।যে রুবি দিনরাতকে সমান করে ফেলেছিল আমার জন্য।প্রতিটা মহুর্ত আমার জন্য পার করেছে।
কিন্তু কি কারণে সে দুরে!
আর কেনই বা সে চলে গেল?
কি ছিল না আমার চাওয়াতে!
কি ছিল না তার পাওয়াতে!!
পাওয়ার ভান্ডার কি খুব বড় ছিল!!!
নাকি আমার ভালবাসা তুলনায় কম ছিল!!!
.
জানিনা আমি,কিছুই না।শুধু এ প্রশ্নগুলো আমায় কাঁদিয়ে তোলে বার বার।
কেন এমনটা করলে রে রুবি!
বুঝোনি তুমি,নাকি বুঝতে চাওনি?
.
অনেকটা দিন গেল।সে আসেনি জীবনে,একবারো দেখতে আসেনি।অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মানুষের আনাগোনা দেখছি।কেউ বা দ্রুত,কেউ মন্থর আবার কেউ দ্রুতও নয় মন্থরও নয়।তিনটার মাঝেই মিশে আছে গতি।
গতি!
জীবনের সুর।জীবনটাই তো কোন না কোন গতিতে ছুটে চলা।থেমে থাকে না,চলছে তো চলছে।শুধু পরিস্থিতির ওপর অবস্থান নির্ভর করে।
হঠাৎই মেয়েলি কন্ঠে কে যেন ডেকে উঠল "স্যার"।ডাকটা খুবকরে চেনা।খানিকটা রুবির মত।পিছন ফিরতেই থমকে "থ"দুজনেই।চুপ থাকার পর ঘোড় কাটিয়ে..
.
আমি-তো কেমন আছেন?
রুবি-ভালো নেই।
-কেন?
-জানিনা।
-অফিসে জয়েন কতদিন থেকে?
-আজ থেকে।
-ভালো।
-আপনি কেমন আছেন?
-যেমন দেখছেন।
-সরি আমি।
-কেন?
-এম্নি।
-রুবি,মনে কি পড়ে আমায়?
- জানিনা।
-ঘৃণার কোন পর্যায়ে আমি!
-জানিনা।
-দৃশ্যরূপের জগতে আমি কি শূণ্য?
-জানিনা কিছু।
-কেন এমনটা করলে?
-সরি আমি।
-কি দোষ ছিল আমার?
-সরি নাজিম।
-চোঁখের পানির মূল্য দিতে পারবে?
-নিশ্চুপ।
-চলে যেতে কি এতটুকু বাঁধে নি?
-নিশ্চুপ।
-চুপ করে থেকো না রুবি।জানতে চাই আমি।
কি দোষ ছিল আমার?
কোন অপরাধে এতটা দোষী?
কি কারণে বেদনার নীলে ফেলেছ তুমি?
বলো,জবাব চাই আমি।
-নিশ্চুপ (মাথানত)..
-কি রে?বলবে না?নাকি বলার ভাষা নাই!
-সরি...বাই...
-হা হা!!!(বিষাদের হাসি,চোঁখের কোণে জলকণার চিহ্ন)..
.
রুবি চলে গেল।অথচ বুঝতে চাইল না আমার আকুতিগুলো।বুঝলো না আমার অাত্নকান্না,আমি যে আজও বিবাগী তার তরে,তার মাঝে ভাসিডুবি।তার নিকটে জীবন খুঁজি।জীবনের স্রোতে যে তুমি!তোমাকেই তো মানি আমার ভূমি।
কি রে রুবি!
চাইলেই তো তুমি ছুঁয়ে দিতে পারো আমায়।আমি তো তোমার মাঝেই বসত করি,তোমার ভেতরেই তো খুঁজি নিজের অস্তি।তুমিই তো সব,আমার ঠিকানা,বাস্তবতার চেতনা।
জানোনা রে তুমি!
তুমি বিহনে সত্যিই বিষাদ বর্বর আমি।কি রে সেদিনও তো চলে গিয়েছিলে,আজ আবার কেন গেলে!
.
দিনগুলো কাটছে।রুবির সাথে একই অফিসে।যে যার মত।প্রশ্নগুলো কুঁড়ে কুঁড়ে খায় আমায়।শুধু একবার যদি বলত!
নাহ্ সে বলেনি।বলেনি আমায় কিছু।আড়ালে মুখ লুকিয়ে কান্নার স্রোত চোঁখ দিয়ে বয়ে পড়ে।সে দেখেনা নাকি দেখেও বুঝেনা!
.
একদিন সবাই মিলে ছোট অনুষ্ঠান করছে অফিসে।সেখানে যে যার মত কথা বলছে।এক পর্যায়ে সবার জীবনে স্বরণীয় কথা গুলো জানতে চাইলো।এক পর্যায়ে আমার পালা।বলতে লাগলাম সবকিছু।সবশেষে একটা কথাই বের হল..
"কেন এমনটা করলে রুবি?"
সবাই আশ্চর্য নয়নে আমার পানে তাকিয়ে।কেউ বা ভাবছে আজব।কেউ বোঝার চেষ্টা করছে।কিন্তু রুবি উঠে গেছে আগেই।জানালো না আজও,বুঝালো না আমায়।
.
কিছুক্ষণ পর চলে আসল সে।অতপর নিজের জীবনীতে তার উত্তর দিতে লাগল...
"মেয়েটি ছেলেটিকে হারাতে না চাইলেও বাধ্যকতা ছিল তার।
সে চায়নি ছেলেটিকে কষ্ট না দিতে।
সে ছেলেটিকে 'বাবা'ডাক হতে বঞ্চিত করতে পারবে না বলেই এমনটা।
যেদিন ছেলেটি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বাবা মাকে পাঠায় তার কদিন আগে মেয়েটির অসুস্থতা দেখা দেয়।যা ছিল সবার অজানা।এবং যে কারণে সে চায়নি তার জীবনে ছেলেটিকে জড়াতে।"
কথা গুলো বলেই রুবি কেঁদে ফেলছে।সবাই চেয়ে দেখছে আর সববেয়ে বেশি অবাক বুনে গেছে হয়ত।
অতপর রুবির পানে তাকিয়ে দেখছি খুবকরে।সে ও চেয়ে আছে আমার পানে।নির্বাক দুজনেই,নিশ্চুপ পরিবেশ।আমি উঠে দাঁড়িয়ে তার বাঁহাত টেনে প্রথম দিনের মত আজও তাকে বুকে টেনে 'হু হু'করে কাঁদছি।সেও কাঁদছে।এ কান্নার মাঝে সবাই তৃপ্তির হাসি হাসছে।আমি মুখ তার চুলের ওপর ধরে গন্ধ নিয়ে চলছি,সে ও বুকে মুখ লুকিয়ে।
.
লুকোচুরি চলছে দুজনের মাঝে।লুকোচুরি চলে জীবনের সুরে।লুকোচুরি ছারা জীবন পরিপূর্ণ হয়না।হারানো ফেরানো এমন গতিকে হয়ত বলা যেতে পারে...
.
"নিশ্চুপ লুকোচুরি"..
.
লিখা: MD Nazim(রংহীন বর্ণীল)..

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ