বখাটে
.
.
পর্ব-৭ এবং শেষ
যথারীতি পরী রাতের বেলার বকুল তলায়
এলো শুভর সাথে দেখা করতে।
সময়টা ছিলো চাঁদনী রাত,চারদিকে আলোয় ভরা।যদি ও চাঁদের কোন কিরণ নেই কিন্ত
তখন,যে চাঁদটাকে দেখবে ভুলে যাবে যে বিষয়টা,ক্ষণিকের জন্য কবি হয়ে যাবে সবাই।তবু শুভ হয় তো সে সময় কবি হতে
পারছে না কারণ তার মাঝে ব্যথার পাহাড় গড়ে ওঠেছে।এ পাহাড়ের নীচে পড়ে
ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে তার ব্যকুল মন।
.
--ভালো থেকো পরী..শুভ।
--ভালো থাকার সময়টাই যে উপহার দিয়ে
যাচ্ছ যে তুমি।
--আমি আসবো,আবার আসবো তোমার কাছে ফিরে,ভালোবাসবো তোমায় শত কষ্টের মাঝে,খুঁজবো তোমায় প্রতিটি পলকহীন
দৃষ্টির মাঝে,আঁকবো ছবি তোমার প্রতিটি মূহুত্বে এই রিদয়ের ক্যানভাসে।
তুমি আমার অনুপ্ররণা
তুমি আমার সাধনা।
কথা দাও তুমি ভুলে যাবে না মোরে
শত এক ফালি আনন্দের ভীড়ে।
(কথাগুলো বলছে শুভ আর চোখ নামক
সাগর দিয়ে স্রোতের ন্যায় অশ্রু ঝরছে
অবিরত)
.
পরী কিছু বললো না শুধু অশ্রু ঝড়াছে,আর
বলবেই বা শুভর কথা শুনে পরী একদম
র্নিবাক হয়ে গেছে।
.
--কিছু বলো..শুভ
--কি বলবো?
--ভুল যাবে নাতো?
--শুধু বলবো তোমার কোলেই যেন আমার মৃত্যু লেখা থাকে।
.
ক্ষণিকের জন্য দুজন নিরব হয়ে যায়।
কে বলবে আজ রাতের পর থেকে আর
৫ টি বছর তাদের দেখা হবে না কোন
কথা হবে না।কারণ শর্তের মধ্যে যোগাযোগ বিছিন্ন রাখতে হবে বলে পরীর বাবা
বলছে।নিরবতা ভেঙ্গে শুভ বললো
--ঠিক মতো খেঁয়ে নিও।
--কথা নেই।
--ভালো থাকো,বিদায়।
--বিদায়..আস্তে করে।
--বাসায় চলে যাও।
.
পরী গুটি গুটি পায়ে হেঁটে যাচ্ছে যেন ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না।
শুভ ঠাঁয় দাড়িয়ে আছে যেন নড়াচড়ার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছে।
শুভর পায়ের নিচের মাটি যেন সড়ে যাচ্ছে,পৃথিবীটা ঘুরছে যেন এই বুঝি তার হ্রদপীন্ডটা পরী কেড়ে নিয়ে গেল।
হঠাৎ শুভ দেখলো পরী ঝড়ের গতিতে দৌড়ে এসে শুভকে জাপটে ধরলো।
.
--ভালোবাসি,অনেক ভালোবাসা তোমায়।
--তোমার ভালোবাসার জোড়েই আমি ফিরে আসবো সফল হয়ে নিদিষ্ট সময়ের আগেই।
--একদম আমার কথা বেশী ভাববে না,সময়মতো খেঁয়ে নিও।আর যাবার আগে
একটু আদর করে দিয়ে যাও।
--শুভ একটু হেসে দিয়ে পরী কপালে ভালোবাসার পরস এঁকে দিলো এবং
বললো আর পিছু ফিরে তাকিয়ো না
সোজা বাসায় চলে যাও।
.
এদিকে শুভ বিকাল বেলা তার সব বন্ধুদের
কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রেখেছিলো।
শুভ তার বন্ধুদের বলে রেখে গেল,আমার
অনুপস্থিতে যেন গ্রামের মানুষগুলো যেন
কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখিস তোরা।
আর মাস্টার চাচার কাছে তার পিস্তল
দিয়ে বললো
--চাচা এখন আর এই
জিনিজটার দরকার পরবে না এটা
আপনার কাছে রেখে নিন,এটা আপনার
কাছে আমানত হিসাবে রেখে গেলাম
যদি কোনদিন দরকার বলে মনে
সেদিন দিয়ে নিবো।
মাস্টার চাচা,বন্ধু-বান্ধব এবং গ্রামের
সব লোকজনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে
শুভ চলে গেল দুর প্রবাসে।
.
৪বছর ৭মাস শুভ দেশে ফিরে আসবে কারণ শুভ আজ প্রতিষ্ঠিত।
প্রায় এই পাঁচ বছরের প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য কতো না চেষ্টা করেছে,কতো যে পরিশ্রম করেছে তা এখন শুভর কাছেই অজানা। তবু পিছনে তাকাবার সময় নেই শুভর। মন প্রাণ এবং তার সমস্ত পৃথিবী জুড়ে শুধু পরী আর পরী। .
শুভকে বিমান বন্দর থেকে আনার জন্য তার সমস্ত বন্ধুরা বিমান বন্দরে হাজির,সবার মুখে হাসির রেখা ঝকমক করছে। .
শুভ বিমান বন্দরে পৌছিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে।শুভ ও আজ ভীষণ খুশি কারণ এতো গুলো বছর পর সবাইকে দেখে।শুভ বন্ধুদের কাছে জানতে চাইলো পরীর কথা। কিন্ত তার বন্ধুর বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে বললো,আগে বাসায় তারপর শুনবি।
.
শুভ ও তার বন্ধুরা গাড়িতে করে আসছে। পথিপথে শুভ কতবার তার বন্ধুদের কাছে জানতে চেয়েছে পরীর কথা কিন্ত তার বন্ধুদের এক কথা যে আগে বাসায় চল তারপর সব বলবো তর
পরীর কথা।
.
এদিকে শুভ আগমনের বার্তায় গ্রামের
মানুষ যেন কোন অমূল্য রতন পেতে চলেছে।
সবাই দলে দলে শুভর বাসার সামনে
ভীড় করছে শুভকে দেখার জন্য।
.
বাসায় এসে শুভ বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারলো পরীর বিয়ে হয়ে গেছে।
শুভ বাকরুদ্র হয়ে যায়।
যার জন্য বখাটে জীবন ছেড়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলাম সে কি না অন্য কারো
জীবন সঙ্গি হয়ে গেছে!!
শুভর চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে
কিন্ত লোকে বলবে কি ছেলে সবার
সামনে যে কাঁদতে নেই।
শুধু অবিরত অশ্রু ঝরছে চোখ দিয়ে।
সব বন্ধুরা শুভকে বুঝানোর চেষ্টা করছে
যে পরীকে ভুলে যেতে।
.
শুভ ভালো করে খোঁজ করে জানতে পারে যে পরীর বাবা কাশেম চেয়ারম্যান পরীকে
জোর করে গত দু বছর আগে বিয়ে
দিয়ে দেয়।
তার মানে পরীর কথাই ঠিক ছিলো যে শুভকে প্রবাসে পাঠিয়ে পরীর কাছ
থেকে দুরে সড়িয়ে দেওয়াই ছিলো পরীর
বাবার মূল লক্ষ।
.
সত্যিই আজ পরীর কথাটা খুব মনে পড়ছে
শুভর।পরী বলেছিলো তোমাকে প্রবাসে
পাঠিয়ে দিয়ে আমার কাছ থেকে তোমাকে
দুরে সড়িয়ে দিবে।তখন তুমি বুঝবে এবং
তখন তুমি তোমার ভুলের জন্য অনেক
কাঁদবে।শুভ চিৎকার করে উঠলো
পরী পরী বলে।
.
শুভর মাথায় এখন মৃত্যু খেলা করছে,
চেয়ারম্যানকে মানে পরীর বাবাকে তার
শর্ত ভঙ্গের জন্য শাস্তি পেতে হবে তা হলো
মৃত্যু।শুভ দৌড়ে মাস্টার চাচার কাছে
গেল এবং বললো..
--স্যার আমার সেই আমানতটা এখন দরকার ভীষণ দরকার..শুভ
--কিসের জন্য বলছো আমি বুঝতে পারছি বাবা কিন্ত একবার ভেবে দেখ কাজটা করা ঠিক হবে?..মাস্টার
--ভাবতে হলে বিবেক দরকার হবে সেটা
আমার এই মূহুত্বে বিদ্যমান নেই স্যার।
শুধু জানি এখন আমার একটা কাজ বাকী জীবনে সেটা পরে জানতে পারবেন।
--তুমি যথেষ্ট বিবেকবান একটা ছেলে সবাই জানে,তুমি যা করবে ভেবেই করবে আমার বিস্বাস।(পিস্তলটা হাতে দিয়ে মাস্টার কথাগুলো বললো শুভকে)
শুভ মাস্টারকে শুধু ধন্যবান জানিয়ে দৌড় দিলো পরীর বাসার দিকে।
.
পথে এক ব্যক্তি জানালো পরী এখন শশুর
বাড়িতে।বাড়িতে শুধু তার বাবা একা
আর কেউ নেই,কারণ পরীর পরিবারে
শুধু বাবাই ছিলো তার মা গত
হয়েছে তার জম্মের পরেই।
.
শুভ পরীর বাসায় গিয়ে কাসেম কাসেম
করে চিৎকার করতে লাগলো।
একটু পর পরীর বাবা বেড়িয়ে এলো এবং
বলল..
--কি ব্যপার কি হয়েছে?..পরীর বাবা
--শুভ বলতে লাগলো..কি দোষ ছিলো আমার কেন আমার কাছ থেকে পরীকে দুরে সড়িয়ে দিলেন।আমার ভালোবাসায় তো কোন লোভ ছিলো না ছিলো না কোন অপূর্নতা তবে
কেন এভাবে আমার সাজানো বাগানকে
তজনজ করে দিলেন।আপনার কথা মতো
আমি পাঁচটি বছর কঠোর পরিশ্রম
করে আজ আমি প্রতিষ্ঠিত কেন আপনার
দেওয়া প্রতিশ্রুতি আপনি ভেঙ্গে ফেললেন।
--কি মনে হয় তোমার মতো বখাটে সাথে
আমার মেয়েকে বিয়ে দিবো।বামন হয়ে
চাঁদের দিকে হাত বাড়াও এতো সাহস
তোমার।সেদিন পরী যেটা বলছিলো
সেটাই সত্যি তোমার দুরে সড়িয়ে দেওয়াই
ছিলো আমার মূল লক্ষ্য।
--তবে সেদিন আমি যেটা বলছিলাম
সেটাই এখন বাস্তবায়ন হবে,দুনিয়ার কেউ
আর আপনকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না,,(বলেই শুভ পিস্তলটা কোমড়
থেকে বের করে গুলি করতে যাবে ঠিক
তখনি পরীর চিৎকার শুভ বলে)
.
--কি করছো তুমি??..পরী
--তোমার বাবার মতো পাপী মানুষ এই সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচার কোন
অধিকার নেই।
--তবু ঐনি আমার বাবা।
--যে বাবা তার মেয়ের ভালবাসার দাম
দেয় না তার ভালোবাসার মানুষকে
বিয়ে করে সুখি হতে দেয় না
সে কেমন বাবা?
--আমি আবার কাকে ভালোবাসলাম
আর কাকেই বা বিয়ে করতে চাইছিলাম।
তোমাকে বুঝি হা হা,তোমার মতো একটা
বখাটে ছেলেকে আমি বিয়ে করবো,আরে
ঐসব ছিলো আমায অভিনয়।
--অভিনয়!!
--হ্যা অভিনয়,এখন যানতো এখান থেকে
বলে শুভর পিছন ফিরে তাকালো।
.
ঠাস ঠাস দুইটা গুলির আওয়াজ,শুভ
সাথে সাথে মাটিতে লুটিতে পড়লো।
আর শুভ বলতে লাগলো..আমার ভালবাসা
তো অভিনয় ছিলো না,জানো আমি
সত্যি তোমায় আমার জীবনের থেকে
বেশী ভালোবেসে
আমি যে তোমায় কথা দিয়েছিলাম তোমায় ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। আমি আমার কথা রাখতে পেরেছি এখন আমার কোন দুঃখ নেই। ভালো থেকো সুখে থেকো।
জানো এই পাঁচটি বছর শুধু তোমায় ভেবে দিন-রাত কাটিয়ে দিয়েছি। সত্যি তুমি মস্ত বড় অভিনেত্রী হয়ে গেলে আমি বুঝতেই পারলাম না। তোমায় অনেক কথা বলার ছিলো কিন্ত উপর ওয়ালা মনে হয় আর বলতে দিলো না।যাবার আগে একটা কথাই বলে যাই আমি কিন্ত উপরে গিয়েও তোমায় ভালোবাসবো ওখানে আর কেউ তোমাকে ভালবাসতে বাঁধা দিবে না হা হা। বিদায়...
.
পরী পাথরের মূর্তির হয়ে শুভর কথাগুলো শুনছিলো।
শুভর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবে তখন পরী দৌড়ে গিয়ে শুভর কাছে গিয়ে শুভর হাত থেকে পিস্তল নিয়ে পরীর মাথার কাছে সেট করে ঠাস,আর কোন শব্দ হলো না কারণ পিস্তলে একটাই গুলি ছিলো। এবার পরী বলতে শুরু করলো,, ---হ্যা আমি অভিনেত্রী মস্ত বড় অভিনেত্রি তা না হলে এই পাঁচটি বছর আমি কাটাতে পারতাম না। তুমি জানো না আমার বিয়ে হবার পর আমি কতবার আত্তোহরন করতে গিয়েছিলাম,কিন্ত আমি পারিনি কারণ প্রত্যেকবার তোমার প্রতিচ্ছবি আমার সামনে ভেসে উঠেছিলো।
আর এখন অভিনয় টুকু করেছিলাম তুমি যাতে আমায় ভুল বুঝে দুরে সরে গিয়ে নতুন করে বাঁচতে পারো কিন্ত তুমি একি করলে!!
শুধু তুমিই কথা রাখতে পারো আমি পারি না,আমি ও আমার
কথা রাখলাম।
আমি তোমায় কথা দিয়েছিলাম তোমার কোলে আমার মৃত্যু যেন হয়,আমি সেটাই করলাম।
চলো শুভ আমরা ঐ দুর
আকাশের তারা হয়ে দুজন দুজনকে ভালোবাসি,ঐখানে কেউ আমাদের বাঁধা দিবে না।
চলো শুভ চলো.....
.
অবশেষে গল্পটা শেষ দিতে পারলাম। শেষের দিকে যদিও ছোট করে ফেলেছি সময়ের অভাবে। আপনারা জানেন গল্পটা শেষের লিখতে গিয়ে নিজের চোখে অশ্রু কেন জানি চলমল করেছিলো,
এর আগে কোন গল্প লিখতে গিয়ে এমনটা হয়নি।যাইহোক গল্পটা আপনাদের কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।
আর যারা এই গল্পের আগের পর্ব পড়তে ইচ্ছুক তারা আমার ব্যক্তিগত এই পেজে দেখতে পারেন,এখানে কিছু পর্ব দেওয়া আছে
ভালোবাসার রং
.
লেখা-Md Jasim uddin Shuvo
(ক্ষুদ্র লেখক)
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ā§Ē āĻ āĻ্āĻোāĻŦāϰ, ⧍ā§Ļā§§ā§
2973 (4)
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§§:ā§Šā§¨ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ