গল্পঃ----এত্ত গুলা ভালবাসি তোকে।
..............
তানভীরঃ- ঐ
নেহাঃ- কি
তানভীরঃ- দেনা ?
নেহাঃ- কি দিবো ?
তানভীরঃ- অল্প একটু দেনা ?
নেহাঃ- পরিস্কার করে বল কি দিবো ?
তানভীরঃ- জানিস না আমি কি চাই তোর কাছে ?
নেহাঃ- মনে নাই আবার বল ?
তানভীরঃ- একটু ভালোবাসা দেনা ?
নেহাঃ- হবে না।অন্য জায়গায় ট্রাই কর।
তানভীরঃ- একটু দিলে কি এমন ক্ষতি হবে তোর ?
নেহাঃ- প্যাচাল পারিস না হবে না ব্যাস হবে না।
তানভীরঃ- তুই ভিষন কিপ্টা ?
নেহাঃ- (রেগে গিয়ে) কিপ্টা বললি ক্যান?
তানভীরঃ- কিপ্টা না হলে একটু হলেও ভালোবাসা দিতি ?
নেহাঃ- (আরো রেগে গিয়ে) হ্যা আমি কিপ্টা এবার খুশি তো ?
তানভীরঃ- শুধু তুই না। তোর বাবা কিপ্টা,তোর মা কিপ্টা,তোর ভাই কিপ্টা তোর তোর..... ফ্যামিলির সবাই কিপ্টা।
নেহাঃ- (উঠে দাড়িয়ে) তুই আসলেই একটা ফাজিল,বজ্জাত,পাজি আর আর...... অনেক কিছু বললো।বলেই হাতে বই ছিলো ওটা দিয়ে আমার পিঠে ৮-১০ বাড়ি দিয়ে চলে গেলো।
ঐ আপনারা কি ভাবছেন। আমি ছ্যাচরা তাইনা। কারন একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আমি ওর কাছে এ রকম করছি তাই।কিন্তু আপনাদের ধারনা ভুল।মেয়েটাও আমাকে ভালোবাসে কিন্তু মুখে শিকার করে না।এই জন্য আমি এরকম করি।ও হ্যা আপনাদের তো আমার পরিচয় দেয়নি এখনো। আমি তানভীর ইন্টার ২য় বর্ষে পড়ি। আব্বু আম্মুর একমাত্র দুস্টু মিস্টি ছেলে। আরে আমি না আব্বু আম্মু আমাকে বলে তাই বলছি।আর ঐ যে উনি আরে চিনলেন না যার সঙ্গে একটু আগে ঝগড়া হলো ওর নাম নেহা।দেখতে একদম দুধে আলতা বললে ভূল হবেনা।কোমর পর্যন্ত লম্বা চুল,মুখের গঠন গোলাকার,
হাসলে গালে টোল পড়ে, ঠোটে হালকা লিপিস্টিক দেওয়াতে আরোও ভালো লাগে দেখতে ওকে। কারন আমার মনটা তো নেহাকে দিয়ে ফেলেছি।আর আমরা এক সাথে একই কলেজে পড়ি।আর এতক্ষন কলেজ মাঠেই বসেছিলাম আমরা। ও তো রাগ করে ক্লাসে চলে গেলো।আর আমি বসে আছি সেখানেই।যায় আমিও ক্লাসে যায়।ক্লাসে বসে আছি কিন্তু নেহা আমার দিকে একবার ও তাকাচ্ছেনা। খুব রাগ হচ্ছে মেয়েটার উপর একবার তাকালে কি হয়।ঐ তো আমার দিকে তাকাচ্ছে এবার। আমিও দিলাম একটা চোঁখ টিপ্পানি।দিয়েই ভ্রু উপরে তুলে বোঝালাম কেমন লাগলো।নেহা তো পুরা পাকা লঙ্কার মতো রেগে লাল হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমাকে কাছে পেলে বড় হাড়িতে করে আগুনের উপর রেখে ছুপ বানিয়ে খেয়ে ফেলবে নয়তো শীব কাবাব বানাবে।আমি দাঁত ক্যালানি দিয়ে অন্য দিকে ঘুরে তাকালাম।একটু পর ক্লাস শেষ হলো।সবাই বের হয়ে যাচ্ছে তাই আমিও বের হয়ে মাঠে দাড়িয়ে আছি।আ আ আ ...... আমার কান গেলো রে।তাকিয়ে দেখি নেহা আমার কান ধরে টানতে টানতে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।আমি বললাম কান ছাড় বলছি রাক্ষুসি তুই কি আমার কান ছিড়ে খেয়ে ফেলবি নাকি।কিন্তু কে শোনে কার কথা। টানতে টানতে আমাকে স্কুলের একটা ফাকা যায়গায় নিয়ে এলো।
আমি: এই নেহা ছাড় না খুব লাগছে তো।শোন আমার কান যদি ছিড়ে যায় তবে তোকে কিন্তু সবাই কান ছেড়া জামাই এর বউ বলে ক্ষাপাবে।
যাক বাবা এবার কানটা ছাড়লো।
নেহাঃ- রাগি লুক নিয়ে। তোর সমস্যা কি?আমিঃ- কই আমার তো কোনো সমস্যা নাই।সমস্যা তো তোর এত গুলা ছেলে মেয়েদের ভিতর তুই আমার কান টানতে টানতে নিয়ে আসলি।
নেহাঃ- ক্লাসের ভিতর আমাকে চোঁখ টিপ্পানি দিলি ক্যান?
আমি: ও আমি তো ভাবছিলাম......
নেহাঃ- আমার দিকে ঝুকে এসে। কি কি ভাবছিলি বল ?
আমি: না মানে মনে করছিলাম তুই হয়তো অন্য কোনো ছেলের দিকে তাকিয়ে আছিস তাই তো পরিক্ষা করার জন্য আর কি........তার মানে তুই আমার দিকে তাকিয়ে ছিলি বলেই হেসে দিলাম।
নেহাঃ- ক্যান তুই কোনো রাজপুত্র নাকি তাকানো যাবে না। আর তাকালে ও চোখ টিপ্পানি দিতে হবে বাদর কোথাকার।
আমি: হাসি দিয়ে বললাম। হ্যা আমি রাজপুত্র শুধু তোর জন্য। আর তুই রাজকুমারি শুধু আমার জন্য।
নেহাঃ- কতবার বলবো তোকে আমি ভালবাসি না ভালোবাসি না...... ভালোবাসি।
আমি: হি হি........মুখ চেপে ধরে খুব হাসি পাচ্ছে.......
নেহাঃ- এখানে হাসির কি হলো?
আমি: আচ্ছা তুই যে লাস্টে বললি ভালোবাসি মনে নাই হি হি......।তাকিয়ে
দেখি নেহা হয়তো লজ্জা পেয়েছে।
নেহাঃ- ওকে বাবা ভুল হয়েছে। আর হ্যা আমি এ ও জানি যে তোকে ভালো না বেসে আমার শান্তি নাই।
আমি: যাক বাবা বাচলাম অবশেষে শিকার করলি তাহলে।
নেহাঃ- হু শিকার করলাম।এবার প্রোপোজ করে আমায় উদ্ধার কর?
আমি: ক্যান তুইকি গর্তে পড়েছিস নাকি।যে উদ্ধার করতে হবে ?
নেহাঃ- দেখ আমায় রাগবি না।ভালোবাসি
ভালোবাসি বলে তুই আমার মাথা খারাপ করে দিছিস।তাই তোকে আজকে এমন কিছু বলে আমায় প্রোপোজ কারতে হবে যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।যদি পারিস তবেই আমার ভালোবাসা পাবি ওকে।
আমি: ( আমি তো মহা চিন্তায় পড়ে গেলাম।) না মানে সবাই প্রোপোজ করার সময় যা বলে আমিও তাই বলবো তোকে।
নেহাঃ- হবে না।তাহলে তুই থাক আমি গেলাম।বলেই চলে যেতে লাগলো।
আমি: এই নেহা দাড়া কোথায় যাচ্ছিস বলছি তো।
নেহাঃ- ফিরে এসে....... বল ?
আমি: পাশে তাকিয়ে দেখি একটা ছোট নারকোল গাছ।একটা পাতা ছিড়ে সু্ন্দর করে একটা আংটি বানিয়ে ওর সামনে হাঠু গেড়ে বসলাম।তারপর বললাম তুই কি তোর মাকে ছোট্ট কিউট একটা নাতি উপহার দেওয়ার সুযোগ দিবি আমায়,আমার কোলে বসে তোর মাথার লম্বা কেশদ্বয় আঁছড়িয়ে তেল মাখানোর সুযোগ দিবি,আমার পাঁচ ফুট আড় সাত ফুট লম্বা পালোঙ্কে একা একা ঘুমাতে ভালো লাগেনা তাই আমার পালোঙ্কে ভালো লাগার সঙ্গি হবি, কথা দিলাম তোকে বুকের ভিতর জড়িয়ে রেখে আমার হাত পা দিয়ে গিট্টু দিয়ে রাখবো যেনো হারিয়য়ে যেতে না যেতে পারিস,আর তোকে জিলাপির মতো পেচিয়ে পেচিয়ে ভালো বাসতে দিবি যেনো প্যাচ খুলে তোকে কেউ আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে না পারে।
নেহা কি বলবে কিছু ভেবে পাচ্ছে না। একটু পর আমাকে উঠিয়ে দাড় করালো।কিছুক্ষন কি যেনো চিন্তা করলো তারপর আমার কাছে এলো।
নেহাঃ- পাজি,বদমাস,বজ্জাত,গরু,ছাগল ইত্যাদি গালি দিয়ে আমার বুকে কিল ঘুসি মারছে। আর বলছে এগুলো বলে কেউ কাউকে প্রোপোজ করে। তারপর থেমে গিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।কোনো কথা বলছেনা চুপ করে আছে।
আমি: খুব ভালোবাসি পাগলি তোকে।
নেহাঃ- আমিও তো।
আমি: স্পস্ট করে বল ?
নেহাঃ- এই পাগল টাকে এত্তগুলা ভালোবাসি।
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ