গল্পঃ----অচেনা মেয়েটির ভালবাসা
....................
••ঠাস,স,স (একটা অচেনা মেয়ে)
আমি: এই আপনি আমাকে মারলেন কেন?
মেয়ে:--তো কি করব? কয়েকদিন ধরে কলেজে যাওনা
কেন?
আমি:--আমার ইচ্ছা তাই যাইনা।তাতে আপনার কি।
আমাকে কি চিনেন।আমাকে মারার অধিকার আপনাকে
কে দিয়েছে?
মেয়ে:--এত কথার উত্তর দিতে পারবনা।এখন চল.....(আরে
মেয়েতো সরাসরি তুমিতে চলে গেছে।যেন অনেক বছর
ধরে চেনে আমাকে)
আমি:--কোথায় যাব। আর আপনার সাথেই বা যাব কেন? আমি
কি আপনাকে চিনি?
মেয়েটি:-- চিনতে হবেনা।এত কথা বল কেন? তাড়াতাড়ি আস।
বলেই হাত ধরে টানতে লাগল।অনিশ্চা সত্বেও ওর সাথে
গেলাম।মেয়েটা একটা রিক্সা ডেকে আমাকেও তুলে
নিল।
রিক্সা একটা পার্কে এসে থামল।আশ্চর্য আমাকে এই
পার্কে আনার মানেটা কি! আমিতো আর ওর বি.এফ না!
শুনেছি পার্কে কপোত-কপোতিরাই আসে।রিক্সায় আজব
মেয়েটার সাথে কোনো কথাই হয়নি।এই আজব মেয়েটার
উদ্দেশ্য কি কে জানে।আসলে মেয়েরা কখন কি করে
নিজেরাও বলতে পারেনা।
মেয়েটি পার্কে এসেই চুপ করে বসে আসে কোনো কথা
বলছেনা।উহ আর থাকতে পারছিনা।এমনিতেই চড় খেয়ে
ক্ষেপে আছি।আর আবার ডেকে এনে চুপ করে আছে।ইচ্ছে
করছে ফর্সা গালে আমিও একটা কষে দিয়ে দিই।এরকম
ফর্সা গালে দাগ পড়লে বিশ্রী লাগবে তাই দিলামনা।
আর চুপ করে থাকতে পারলামনা।
আমি:--এই মেয়ে এই ভাবে ডেকে এনে কথা বলছেননা
কেন?
মেয়ে:--বলছি তো তুমি শুনতে পাচ্ছনা।(আস্ত ফাজিল তো
মেয়েটা।এখনো একটা টু শব্দও করেনি।)
--এভাবে ডেকে আনার মানেটা কি?চেনা নেই জানা
নেই।
--কেন না চিনলে কি আনা যায়না?
--না
--কি কারনে এনেছেন বলেন?
--কথা বলব বলে।
--দেখুন আগে আপনার পরিচয় দিন।
--পরিচয় দেয়ার দরকার নেই।এতদিন কোথায় ছিলে বল।
কেন কলেজে যাওনি?
--বলতে পারবনা।সে কৈফিয়ত আপনাকে দিতে যাব কোন
দু:খে।
-- দিতে হবে।
--না বলছিনা
--ওকে দাড়াও বলে।বসা থেকে উঠে আবার চড় মারার
জন্য হাত উঠালো।
--বলছি বলছি
--বল
--বাড়িতে ছিলাম।
--তাহলে কলেজে আসনি কেন?
--ইচ্ছা করেই আসিনি।
--ইচ্ছা করেই আসনি মানে? কাল থেকে যেন আসতে
দেখি।
--পারবনা
--পারবানা মানে! না আসলে বুঝতে পারবা।
--ওকে না আসলে নাই।কিন্তু মনে রেখো।( বলেই মেয়েটি
চলে যেতে লাগলো)
-- আরে আমাকে এখানে রেখে কোথায় যাচ্ছেন।আমার
কাছে টাকা নেই।আমি হাটতে পারিনা.হাটলে পা
ব্যাথা হয়(চলে গেলো)
আজিব তো হঠাৎ করে আমাকে এখানে নিয়ে আসার
মানেটা কি! পরিচয়ও দিলনা।আবার ধমকে গেল কাল
নাকি কলেজে যেতে হবে।
অবশেষে হেটেই বাড়িতে আসতে হলো।ভাগ্যিস
পার্কটা বাড়ি থেকে বেশী দুরে নয়।নইলে আজকে যে
কি হতো।বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে মেয়েটির কথা
ভাবতে লাগলাম।কলেজেতো কোনদিন দেখিনি মনে
হয়।মনে হয় নতুন।অবশ্য আমিও নতুন ।।কিন্তু আমি প্রাই
সবাইকে চিনি।কেননা আমি প্রতিদিন ক্লাশ মিস
করলেও কলেজের গেইটে বসে সুন্দরি মেয়েদের
দেখা মিস করিনা..।আর এই মেয়েটাও সেইরাম কিউট।
কিউটের ডিব্বা একটা।তবুও এতদিন কেন যে চোখে
পড়লনা কেন কে জানে..।
মেয়েটা পুরা বিকেল টাই মাটি করে দিলো।চায়ের
দোকানে খবর শুনতে যাচ্ছিলাম।মানে আপনারা
জানেনিতো চায়ের দোকান হলো বাংলা দেশের
সবচেয়ে বড় নিউজ চ্যানেল।যেখানে কিনা ছোট্ট একটি
পিঁপড়া থেকে শুরু করে ডাইনোসর পর্যন্ত
সব বিষয়ে খবর পাঠ করা হয়।।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মেয়েটির কথা মনে পড়ল।আজ
কলেজে যেতে বলেছে মেয়েটি।কিন্তু বড্ড অলস
লাগছে।আবার ভয়ও লাগছে,যদি কলেজে না যাই
তাহলে পরে কলেজে গেলে আবার মারবেনাতো
আমাকে।
ধুর আমার অত কিছু ভেবে লাভ নেই।কোথাকার কোন এক
অপরিচিত মেয়ে এসে আমায় শাসন করবে।আর আমি
কিনা ছেলে হয়ে তা সহ্য করবো।তা হয়না।সামান্য
একটা মেয়ের ভয়ে কিনা আমার এত সুন্দর সাধের
ঘুমটাকে বলি দিয়ে কলেজে যাবো।তা কখনো হয়না।
দেখি সে আমার কি করতে পারে।আজও আমি কলেজে
যাবোনা।সারাদিন বাড়িতে বসে ফেসবুকে গুটাগুটি
করবো।
দুপুরে খাবার খেয়ে খুব ঘুম পাচ্ছে।তাই আমার রুমে
ঘুমাতে গেলাম।বেশী দেরি হলনা তাডাতাড়িই ঘুমিয়ে
পড়লাম।
কতক্ষন ঘুমিয়েছি বলতে পারবনা।হঠাৎ কিসের প্রচন্ড
ঝাকুনিতে ঘুম ভেঙে গেলো।মনে হচ্ছে ভুমিকম্প।আমি
আবার ভুমিকম্পকে খুব ভয় পাই।কম্বলের নিচ থেকেই
চিৎকার দিলাম,আম্মাগো আমারে বাচাও।আমি শেষ।ও
মাগো আমারে বাচাও ,আইজ আমি
শেষ।
একনাগারে কিছুক্ষন ষাঁড়ের মত চিল্লালাম।মনে হল
ভুমিকম্পটা থামল।যাক বাবা বাঁচলাম।এদিকে প্রচন্ড
ঝাকুনিতে ঘুমের মুডটাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।ভাবলাম
ফেবুতে ভুমিকম্পের একটা স্টাটাস দিই।
স্টাটাস লিখছি,এমন সময় হঠাৎ আবার ভুমিকম্প শুরু হল।
আরে কি ব্যাপার! খাটটা আবার কাঁপতেছে যে! ভয়ে
চোখ বন্ধ করে ফেললাম।চিৎকার দিতে যাব এমন সময়
কম্পন থামল।আর সাথে সাথে আমার গায়ের ওপর থেকে
কম্বলটাও সরে গেল।বাব্বা কখনো এইভাবে একসাথে
দুইটি ভুমিকম্প হতে দেখিনি। তখনও চোখ খুলিনি ।চোখ
বন্ধ করে এসব ভাবছি।
চোখ খুলে যা দেখলাম তাতে হাসব কি কাঁদব বুঝতে
পারছিনা।এটা কে আমার সামনে।এতো কালকের সেই
ডাইনি মেয়েটা।এখানে কি করছে এই মেয়েটা!! আমার
বাসার ঠিকানা কোথায় পেল এ মেয়ে!!?
পুরা রিনা খানের লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার
দিকে.।
এতক্ষনে এটা বুঝতে পারলাম যে ভুমিকম্প দুইটার
উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে।এই ডাইনিটাই তাহলে
আমার খাটটাকে ঝাকুনি দিয়ে ঘুমের বারটা বাজিয়ে
দিয়েছে।রাগ হলেও এটুকু ভেবে শান্তি পেলাম
যে,আমার বাড়িতে এসেছে যখন ইচ্ছেমত ঝাড়ি দিতে
পারব।আর মনে হচ্ছে বাড়িতে কেউ নেই।নাহলে এই
মেয়েকে কখনো আমার রুমে ঢুকতে দিতনা।
এবারে আমি ভালমতো কালকের ঘটনাগুলোর প্রতিশোধ
নিতে পারব।তাই একটু বড় করে ঝাড়ি দিয়ে বললাম
--আপনি এখানে কেন? আর আমার সাধের ঘুমের এ অবস্থা
করলেন কেন?
--কি বললে! কলেজে না গিয়ে সাধের ঘুম দেয়া হচ্ছে
না? দাড়াও! ( এই বলে মেয়েটা বাইরে গেল।)
ওরেব্বা,! মেয়ে দেখি পুরাই ধানি লঙ্কা।আমার
বাড়িতে,আমার রুমে এসে আমার চেয়ে বড় গলায়
আমাকে ধমক দিচ্ছে।এখন বাইরে গিয়ে না জানি কি
করে বসে!! একটা বালতি নিয়ে রুমে ঢুকল মেয়েটা। মনে
হচ্ছে পানির বালতি।
--উঠ বলছি'
--না পারবনা
--তাহলে আমি তুলছি ।বলে মেয়েটি আমার কাছে আসতে
লাগল।হাতের বালতির দিকে তাকিয়ে দেখি পুরাটাই
পানি ভর্তি।এই মেয়েকে বিশ্বাস নেই,পানি ঢেলে
দিতে পারে।
--এই দাড়ান,দাড়ান.।আমি উঠছি।
--হু উঠ।
রাগে আমার কান্না পাচ্ছে।এই অদ্ভুদ
মেয়েটাকে কিছু বলতেও পারছিনা।কিছু বললেই অবস্থা
খারাপ করে দেবে। উঠে পড়তে হলো।চুপ করে আছি।কিছু
বলার সাহসও পাচ্ছিনা।
--কি হলো চুপ করে রইলে কেন?
--না মানে,ইয়ে মানে,,,,,
--কি মানে মানে করছ এত? কাল কি বলেছিলাম শুনতে
পাওনি? ও বুঝেছি আমার ওপর জেদ ধরে যাওনি তাইনা।
ভেবেছ কিছু করতে পারবনা।আমার কাছ থেকে বাঁচতে
পারবেনা চান্দু।এখন যাও লক্ষি ছেলের মত করে গোসল
করে এসে রেডি হও।বেড়াতে যাব।
আমাকে চান্দু বলাতে রাগটা আরো একটু বাড়ল।তাই চুপ
করে দাড়িয়ে রইলাম।
--কি হল শুনতে পাওনি কি বললাম।
--এই দুপুরে কোথাও যেতে পারবনা।
--দুপুর!! কটা বাজে দেখতো?
--ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি বেলা সাড়ে চারটা। সেকি
তাহলে আমি কি মারা গেছিলাম নাকি।দুপুরে
শুয়েছিলাম বারটা তিপ্পান্ন মিনিটে।এত তাড়াতাড়ি
সাড়ে চারটা বেজে গেল কিভাবে!!!!!! রাতেওতো এত
ঘুমাইনা আমি..।নিশ্চয় ঘুম চোখে ভুল দেখেছি।আবার
ঘড়ি দেখলাম ঠিকই আছে।নিশ্চইয় মরা থেকে আবার
জেগে উঠেছি.।
--তবুও যেতে পারবনা আমি।
--পারতে হবে...
--না পারবনা..
--আর একবার বলোতো দেখি..!
--পারবনা....( মেয়েটি ছড়াট করে এক বালতি পানি
আমাকে ঢেলে দিল।)একি করল মেয়েটা??!! আমাকে
ভেজা বেড়াল বানিয়ে দিল একদম।
--তাড়াতাড়ি গোসল করে আসো.,,দেরি হয়ে যাচ্ছে।
রাগে গজগজ করতে করতে বাথরুমে চলে গেলাম গোসল
করতে।গোসল শেষে এসে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে চুপচাপ
মেয়েটির সাথে বের হয়ে গেলাম।অনেক্ষন ঘুরাঘুরি
করার পর ফিরে আসার সময় বলল
--কালকে যেন কলেজে আসতে না দেখি।।( আমি এর
মানে বুঝে গেছি কাল কলেজে না গেলে খবর আছে।
আজ বহুদিন পর কলেজে গেলাম।বন্ধুরা সবাই ঘিরে ধরল।
সবারই এক কথা কেন এতদিন কলেজে যাইনি?
বললাম এমনি অসুস্থতার কারনে আসিনি।
এটা বলে দেখি পড়লাম আরেক বিপদে।বন্ধুদের মধ্যে
রিফা রাগ ভাব নিয়ে বলল...
--তোর অসুখ আর আমাদের একটুও জানাসনি? তুই
আমাদের বন্ধু ভাবিসনা??
শেষে কোনরকম হাসিমুখে আলু-পটল উত্তর দিয়ে
সামলালাম।বন্ধুদের সাথে ক্লাস করার জন্য রুমে
যাচ্ছি।সিড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে যাবো......
এমন সময় শার্টের কলারে টান পড়ল!মনে হচ্ছে কেউ
কলারে টান দিছে।পিছনে ফিরতেই দেখি আজব
।
মেয়েটি লাল মরিচ রঙ ধারন করে,,চোখ দুটি ইয়া বড় বড়
করে তাকিয়ে আসে।কাঁচা খেয়ে ফেলবে যেন।অবশ্য
তেমন অবাক হলামনা কারন এই মেয়েটির জন্যেই তো
কলেজে আসতে হয়েছে।
--ওই..ওই মেয়েদের সাথে কি কথা বললে?
--কিছু না।
--তাড়াতাড়ি বল.....
--এতদিন কলেজে আসিনি কেন সেটা জানতে চাইছিল
আরকি!
--আর ওই পেত্নিটা কে?
--কোন পেত্নি?
--ওই যে হেসে হেসে কথা বলছিলা?
--ও রানির কথা বলছ?
--কোন রানি? কিসের রানি?
--আমার বন্ধু রানি।
--শুধু বন্ধু নাকি অন্য কিছু?
--অন্য কিছু হতে যাবে কেন! ও আমার রানি(একটু
রাগানোর জন্যে )
--কি বললা তুমি? আরেকবার বলোতো!!!
--আরে কিছু না.।
--কিছু না মানে? ও তোমার কি হয়?
--ও আমার জি.এফ।
--জি.এফ মানে?
--জি.এফ মানে আমার প্রে....(
ঠাস ঠাস করে...কি যেন একটা শব্দ হলো)পরে অনুভব
করতে পারলাম আমার গালে মরিচের গুড়ো ঢেলে দেয়া
হইছে।অর্থাৎ চড় মারছে।
চোখ মুখ লাল করে ক্লাসে চলে গেল।আর আমার বন্ধু
বান্ধবিরাও এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন ভূত
দেখেছে।
মেয়েটাকে এভাবে বলা ঠিক হয়নি বুজতে পারছি।আর
এটাও বুঝতে বাকি রইলনা যে মেয়েটা আমাকে
ভালবাসে।শুধু ভালবাসেনা।অনেক বেশীই ভালবাসে।
তাই আমার মুখে অন্য মেয়ের কথা শুনতে পারছেনা।
আসলে রানি আমার জি.এফ না।এই রাগি মেয়েটার
রাগি মুখ দেখতে খুব ভাল লাগে।সত্যি বলতে আমিও
এতদিনে এই রাগি মেয়েটার গোল গোল চোখের প্রেমে
পড়ে গেছি।
কিন্তু এতটা রেগে যে আমাকে চড় মারবে সেটা বুঝতে
পারিনি।ভাবলাম ক্লাসে যাবনা।তাই দাড়িয়ে রইলাম
চুপ করে।কিন্তু পরে আবার কি ভেবে ক্লাসে চলে
গেলাম।
ক্লাসে এসে দেখি কোনো সিটই খালি নেই।সামনের
একটা বেঞ্ঝ খালি আছে।আর তাতে ঐ রাগি মেয়েটা
বসা।আর কি করার চুপচাপ তার পাশে গিয়ে বসলাম।
--তুই এখানে বসছিস কেন?
--কেন বসতে পারিনা?
--না পারিসনা।
--আসলে সরি ..আমি মিথ্যে বলেছি।রানি আমার জি.এফ
না।ও আমার চাচাতো বোন।আজ নাকি ওর বার্থডে
পার্টি উদযাপন করা হবে ত বলতে এসেছিল।আর জানতে
চাইল এতদিন কেন কলেজে আসিনি।ব্যস এতটুকুই ।আর
কোনো সম্পর্ক নেই আমাদের মাঝে।
--আমি তোর কাছে এসব জানতে চেয়েছি? তুই এখানে
বসবিনা ব্যস।চলে যা।
--যাবনা।এই প্লিজ মাফ করে দাওনা।রাগ করে
থেকোনা আর।
--আমি কিন্তু স্যারকে বলে দেব এবার।চলে যাও বলছি।
--বলে দাও।আমিতো আর কিছু করিনি।
--আচ্ছা তুই থাক ।আমি ক্লাস করবনা।(উঠে দাড়াতে
গেল)আমার সামান্য রাগ উঠল।এত করে বলছি তবু
শুনছেনাতাই বললাম....
--এই ছি ছি,,তোমার মত এত ভাল ছাত্রী ক্লাস না করলে
মানাইনা।আমিই চলে যাচ্ছি।(বলে উঠে পড়লাম চলে
যাওয়ার জন্য)
স্যার: এই কি ব্যাপার আশিক,,তুমি দাড়ালে কেন?
আমি: স্যার পেট ব্যথা করছে.।মনে হচ্ছে ক্লাস করতে
পারবনা।
--ও আচ্ছা তাহলে চলে যাও।
--ওকে স্যার(ঘুরে দাড়ালাম)
--এই আশিক!
--হু,,জ্বি স্যার?
--মেডিসিন খেও কিন্তু।
--ওকে স্যার।ধন্যবাদ স্যার।
বাইরে চলে আসলাম।আসার সময় দেখলাম মেয়েটার মুখ
কালো করে রেখেছে।এতক্ষন তো আমার ওপর রাগ করে
ছিলা।এবারে নাও বাশঁ..লও ঠেলা।
আমিও এমন লুক নিয়ে চলে এসেছি,যে মেয়েটা ভাববে
অামি তার আচরনে কষ্ট পেয়েছি।
এরপর ভাবলাম আর ক্লাস করবনা।স্যারকে যেহেতু বলে
এসেছি পেট ব্যাথা করছে তাই আর চিন্তা নেই।
কলেজের গেইটের সামনের ক্যান্টিনে ঢুকলাম নাস্তা
করতে।
হালকা নাস্তা করে বাড়িতে ফেরার পথ ধরলাম।
ততক্ষনে ক্লাস শেষ হয়ে গিয়েছে।
রাস্তায় হাটা ধরছি।শুনতে পেলাম অামাকে কেউ
ডাকতেছে।তাকিয়ে দেখি অন্তরা।
ওকে দেখে আরো বেশী ইমোশনাল করার জন্য
তাড়াতাড়ি হাটা ধরলাম।
মেয়েটা দৌড়ে এসে আমার পথ আটকাল।চোখ মুখ লাল
হয়ে আছে।মনে হয় কান্না করেছে।তারমানে ঔষুধে কাজ
হয়েছে।উহ মেয়েটা এত কিউট কেন?কাদলেও দেখি
পরির মত লাগে।আমি বারবার পরিটার প্রেমে পড়ে
যাচ্ছি।
মেয়েটা: সরি....
অামি: কিসের জন্য?(ভাব নিচ্ছি)
--এত কিছু করার জন্য।
--কিসের এত কিছু?আর আপনি কে?
--তুমি আমাকে চিননা?কান্না কান্না কন্ঠে।আবার
দেখি তুমিও ডাকা শুরু করেছে।তারমানে অনেক
ইমোশনাল হয়েছে।আহা কত সুখ.,,,
--না চিনিনা।পথ ছাড়ুন।
--দেখো ভুল একবার করেছি মাফ করে দেয়া যায়না?
--আচ্ছা মাফ করলাম।এবার খুশি।
--হ্যা।চড়টা মারার পর অামিও অনেক কষ্ট পেয়েছি।সরি।
--আমার কিছু হয়নি।
-- তাহলে গালটা যে লাল হয়ে রয়েছে এখনো।খুব জোড়ে
লেগেছে তাইনা?(গালটা এখনো লাল হয়ে আছে!!!
এতক্ষন হলো তবু! আয়না থাকতো দেখে নিতাম।
--একটা যদি দাও তাহলে ঠিক হবে।
--পাজি কোথাকার।প্রপোজ কর আগে তারপর দিব।
--পারবনা।আর এখানে ফুল কোথায় পাব?একটা কলম আর
খাতা আছে শুধু।
--ওটা দিয়েই কর।
রাগকুমারি তোমার হাসি,যেন মধুর বর্ষন
তোমায় নিয়ে সাজাতে চাই.প্রেমের ভুবন।
রাগকুমারি তুমি কি হবে? আমার ভোরের পাখি?
দেখবো তোমায় প্রতিদিন,জুড়াবো আমার আখিঁ।
তোমার অপেক্ষায় ছিলাম..আজ রয়েছি পাশাপাশি,
বলবে কি একবার তোমায় ভালবাসি?
কথা দিলাম পাশে থাকবো,ভালবাসবো আজীবন..
তোমায় পেলে ধন্য হবে আমার এই জীবন।
রাখবো তোমায় বুকের মাঝে,থেকো কাছাকাছি,,
পরান পাখি বলছি তোমায় ভালবাসি,ভালবাসি
,ভালবাসি।
--হুম আমিও ভালবাসি।পাগলটাকে।
--শুধু তোমার পাগল
--হুুম।
এভাবে শুরু হয়ে গেল নতুন একটা ভালবাসার গল্প.........
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ