ইলিশ
আসলে আমি ভালো লিখতে পারি না, বা সুন্দর করে লেখা আমার পক্ষে সম্ভবও না তাও পাঠকদের একটা গল্প উপহার দেবো বলে ঠিক করলাম, যানি না আপনাদের কেমন লাগবে যদি ভালো লাগে তবে আমার লেখাটা সার্থক হবে।
যদিও ঘটনাটা আমার না, আমার ঘনিষ্ট বন্ধু সুমনের, আমি আর সুমন কর্ম ক্ষেত্রে একই জায়গায় থাকি তাই নানান গল্পের মধ্যে অশরিরীদের নিয়ে কথা ওঠায় গল্পটা জানতে পারলাম।
মুক্তি যুদ্ধের আগার কথা। সুমনের দাদু কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করতো, বলিষ্ঠ্য দেহ আর কঠোর পরিশ্রমি একটা লোক, প্রচুর শক্তি আর মনোবল সব সময় তার শরিরে শক্তি যোগাতো। আর আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখার পক্ষে ছিলোনা বেচারা।
আর পরিশ্রম করবেই বা না কেনো, অকালে বাবা মারা গেলো বেচারার, তাই সংসারে পুরো দায়িত্ব এসে পরে তার ঘারে, তাতে একটুও ঘাবরে যায়নি সে হাসি মুখে মেনে নিয়েছে নিয়তির বিধান। ছেলে হিসেবে খারাপ নয় সে। এলাকার দশ জন তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ থাকত।
অনেক দুরে দুরে কাজ করত সে, তখন কার সময় রাস্তা ঘাট এত সুন্দর ছিল না। গ্রাম থেকে উপজেলা শহরে আসতে সাত আট মাইল রাস্তা হেটে আসতে হতো। তার পর কাজ শেষে পার্টটাইম কাজ করতো কোনো এক নাম করা মিষ্টির দোকানে। নয়টা দশটা পর্যন্ত কাজ করতো সে, তার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতো, এভাবেই দিন কাটছিল তার।
নিত্যদিন রাত বিরাতে বাড়ি ফেরাই ছিলো তার কর্মের একটা অংশ। সুতরাং ভয় ভিতি তার ছিলোনা বললেই চলে, একদিন মিষ্টির অর্ডার ছিলো কোনো এক বিয়ে বাড়ির, প্রচুর কাজ থাকায় দোকান থেকেই বের হতে অনেক রাত হয়ে গেলো, দোকানের মালিক রাতটা থেকে যেতে অনেক অনুরোধ করলেও তিনি থাকতে রাজি হলেন না।
দোকান থেকে বের হতেই তার এক বন্ধুর সাথে দেখা, বন্ধুর সাথে কুশল বিনিময় করে আসার সময় এক হালী ইলিশ মাছ ধরিয়ে দিলো, বলল নে বাড়ি গিয়ে ভাই বোনদের সাথে খাবি। এ দিকে অনেক দিনের পুরোনো বন্ধু মানাও করতে লজ্জাবোধ করছে, হঠাৎ তার বন্ধু বলে উঠলো কিরে ভুতের ভয় করছিস নাকি, তুই তো এক ভুত তোর আবার ভুতের ভয় কিসের, হাতে হাসতে বিদায় নিলো বন্ধুর কাছ থেকে। কারন বন্ধুটা জানতো দাদুর অনেক সাহস।
অবশেষে মাছ হাতে নিয়ে বাড়ির দিকে পা বারালো দাদু, হাটতে হাটতে শহর ছেরে গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করলো, বার বার তার একটা কথাই মনে হলো এতো রাতে মাছ নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হলো না, তাও আবার ইলিশ মাছ। ভয় যে তার কাজ করলনা তা কিন্তু নয়। মনে অনেক সাহস সঞ্চয় করে পা বারালো সে।
কিছুটা পথ যাবার পর মনে হলো কেউ বুঝি দাদুর পেছন পেছন আসছে, সাহস করে পেছনে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই, ভাবলো ইলিশ মাছ সাথে তো তাই বাজে চিন্তা মাথায় ঢুকছে, সব চিন্তা ঝেরে তারা তারি পা চালাতে লাগল।
হঠাৎ তিন চারটা কালো বিড়াল দাদুর চার পাশ দিয়ে ঘুর ঘুর করতে লাগল, মাছ খাবার আশায়,
দাদু মনে মনে বলল মাছ তো দুরের কথা মাছের আশঁটেও তোদের ভাগ্যে জুটবে না।
হঠাৎ কে যেনো বলে উঠলো, আজ তোকে তোর মাছ সহ রেখে দেবো, তোর অনেক সাহস।তাই না।
সাহসের কথা বলার সাথে সাথে দাদুর বুকের পাটা আরো বড় হয়ে গেলো।
কেউ যেনো পিছন থেকে দাদুর ঘাড়টা শক্ত করে ধরলো।
দাদুও ডান হাতে মাছ ধরে বাম হাত দিয়ে পেছনের হাতটা ধরে ফেলল, ধরলো তো ধরলো,
দাদুর হাতটা ভুতে তো দুরে কথা, কোনো কুস্তিগিরীও হাতটা মনে হয় ছাড়াতে পারতো না।
এভাবে রাত ভর ধস্তা ধস্তি করার পর দাদুকে পুকুরে দিকে টানছিলো অশরিরীটা হঠাৎ দাদু ভাবলো পুকুরের দিকে নিয়ে গেলে আমি আর ওর সাথে পারবো না, তাই বুদ্ধি করে মাছটা ওর মুখের সামনে ধরলো, তখন ধস্তা ধস্তি বন্ধকরে মাছটা শুখতে লাগলো, তখন দাদু দেখলো পিচাশটা দেখতে কেমন।
পুরো শরিরে বড় বড় লোমে ভরা, গায়ে আঁশটে গন্ধ, আর শরিরটা খুব ঠান্ডা।
হঠাৎ দাদু ডান হাতে ওর গলা চেপে বা হাতে নাকে মুখে ঘুসি, এ ভাবে কতটা ঘুসি যে ওর নাকে মুখে পরছে তা বলা মুসকিল। তার পর একটু একটু করে দাদুর শরিরটা ক্লান্ত হয়ে পড়লো।
পাশের একটা তাল গাছে হন হন করে উঠে গেলো পিচাশটা, তার পর দাদুকে বলল নাকে গলায় দে না রে একটা মাছ অনেক তো মারলি, পরে দাদুর অনেক মায়া হলো, দাদু দেখলো মারা মারি করার সময় একটা মাছের লেজের অংসটুকু কিসে যেনো খেয়ে ফেলেছে,
দিতে পারি আমার চলা ফেরা করার সময় তুই তো দুর তোর গুষ্টির কেউ যেনো আমার সামনে না পরে, আর প্রথমেই যদি ভালো মতো চাইতি তবে মারা মারির কোনো দরকার ছিলো না এমনি তোকে একটা মাছ দিয়ে দিতাম। পরে একটা মাছ তাল গাছের দিকে ছুড়ে দিলো দাদু তার পর পিছনের দিকে না তাকিয়ে হন হন করে বাড়ির দিকে ছুটলো।
বাড়ি পৌছে দাদুর মাকে ডাকলো, দাদুর মাতো ঘড়ের ভিতর থেকে তারা তারি বের হলো দেখলো তার ছেলের সারা শরিরে কাদা আর কাদা, বুঝতে বাকি রইলো না, রাতে গরম জলে গসল করে তার পর ঘরে ঢুকলো, দাদুর মা একটা কথাই বলেছিলো বাবা ভয় পাইচিস। দাদু বলল না মা, দাদুর মা যানে তার ছেলে ভয় পাবার ছেলে না। জীবন যুদ্ধের সৈনিক তার ছেলে।
Collected
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ