→গল্পঃ ভাগ্যচক্র
.
কমলাবানু গ্রামের মেয়ে, যেমন সহজ সরল তেমনি আনস্মার্ট কিন্তু খুব মেধাবী। তাইতো গ্রামের স্কুল শেষ করে সে এখন শহরের কলেজে পড়ে। মেয়ের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে করিম সাহেব দিনমজুরী করে উপার্জিত অর্থ কমলাবানুর লেখাপড়ায় খরচ করেন। করিম সাহেবের স্বপ্ন মেয়ে ডাক্তার হবে, ছেলে হলে হয়তো ইঞ্জিনিয়ার এর স্বপ্ন দেখতো।
.
স্কুলে থাকতেই দশ পনেরোটা বিয়ের প্রস্তাব এসেছিলো কমলার, কিন্তু সবকটাই না করে দিয়েছে তার বাবা। এখনও মাঝে মাঝে আসে তবে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় করিম সাহেব। ঠিক একিভাবে আমাকেও তাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
.
আমি রফিক, চ্যায়ারম্যান এর ছোট ছেলে। এস এস সি পাশ করতে পারিনাই। সারাদিন বাবার টাকায় তেলখরচ করে বাইক চালিয়ে গ্রাম বন্দর ঘুরে বেড়াই। এলাকায় ফাতরা নামের উপাধি আছে আমার। কারো মাথায় বেল ভেঙে খেতে না পারি কিন্তু দশ বারোজনের মাথা এম্নিতেই ফাটিয়েছি। আর হ্যা অনেকে আবার ঘাড় ত্যাড়াও বলে থাকে, যদিও আমার পেশীবহুল ঘাড় অনেক সোজা। স্কুলে পড়তে যাওয়া মেয়েরা আমার জন্য অতীষ্ঠ, শুনেছি ডজন খানিক মেয়ে আমার ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
.
কমলাবানু কেও পছন্দ করি এই স্কুলে থেকেই, কিন্তু সে কলেজে চলে যাবার পর আর স্কুলে ডিস্টার্ব করতে যাইনা। অনেক মেয়েরা এর জন্য নতুন করে আবার স্কুল শুরু করেছে, এই ভেবে সত্যিই নিজেকে খুব মহান মনে হচ্ছে।
.
কমলার এস এস সি পরীক্ষার কিছুদিন আগে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলাম। যার জন্য বাবা মেয়ের মুখে অজশ্র গালি শুনতে হয়েছিলো আমাকে, এই যেমন- কুত্তা, লম্পট, দুশ্চরিত্র, বেহায়া ইত্যাদি।
.
এলাকায় দাপট ছিলো, দাপট দেখিয়ে হয়তো ভিলেনের মত কমলাকে বিয়েও করতে পারতাম কিন্ত করিনি। কেননা ভিলেন হওয়ার আমার শখ নাই। বাসার দামি ডিভিডি আর একুশ ইঞ্চি কালার টিভিটাতে বাংলা হিন্দী মিলিয়ে অনেক ছবি দেখা হয়েছে। তো সেখান থেকে আমাকে হিরোর ক্যারেকটার গুলোই ভাল লেগেছে। তাইতো হিরোইজম এর কথা ভেবেই কমলাকে জোর করে বিয়ে করিনি। আর এটাই বুঝি আমার ভুল তাইতো এখন পাখি শহরে উড়াল দিয়েছে।
.
কমলার কাছে যেতে হলে আমাকে এস এস সি পাশ করতে হবে, ভাল করে পড়াশুনা করতে হবে। যদিও আমি কমলার থেকে জুনিয়র হয়ে যাচ্ছি তবুও আমাকে সেখানে যেতেই হবে। কমলার কাছে আমি যাবই। জানিনা এখানে কোন আকর্ষন বল কাজ করছে তবে এটা জানি যে কমলাকে আমার জয় করতে হবে।
.
পড়াশুনা শুরু করে দিয়েছি, পরিবার এলাকাবাসী তো অবাক। কয়েকজন নাক ছিটকালেও আমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করলো এমন লোকেরই সংখ্যা বেশি। তাইতো প্রাইভেট, কোচিং, মাস্টার নতুন বই, ব্যাগ এগুলো নিয়ে হুলস্থুল কান্ড বাধিয়ে দিলাম।
.
খুব কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনা করতে লাগলাম। মাথায় ঘিলু থাকার কারনে বুঝতেও পারতাম সবি। নতুন বন্ধু বান্ধবি আর পড়াশুনার চাপে কমলাকে পুরোপুরি ভাবে ভুলে গেলাম। রিতা নামের একটা মেয়ে প্রপোজ ও করে বসলো। আসলে মাথায় কিছু ঢুকেনা, যেমনি টাংকিবাজি ছেড়ে দিয়ে ভদ্র নম্র হয়ে পড়াশুনা করতে লাগলাম ঠিক তখনি মেয়েরা নিজ থেকে এসেই প্রেম নিবেদন করছে। আর ইতিহাস দেখলে দেখা যায় যে আমি দশবার শিটি দিলেও একটা মেয়ে একবারও ঘুরে তাকাতনা। রিতা না মিতা রিজেক্টেড।
.
যেমনটি আশা করেছিলাম তার থেকেও ভাল রেজাল্ট করলাম সবি শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগ এ। শহরের নামকরা কলেজে ভর্তি হলাম। নিজে নিজে খুব খুশি হলাম। মনে থাকলে হয়তো কমলাকে খুজতাম সিনেমার মত কিন্তু না আমি কাউকেও খুজিনি। পড়াশুনা করতে করতে বইয়ের পোকা হয়ে গেলাম। ক্লাসের পড়া ছাড়াও বেশ কিছু সাহিত্য কাব্য ও জেনারেল নলেজও পড়া হয়। ক্লাস, ডিবেটিং, প্রতিযোগিতা সব মিলিয়ে আমি এখন একজন পার্ফেক্ট স্টুডেন্ট। তার চিহ্ন স্বরুপ আমার চোখে গোল ফ্রেমের একটা চশমা, তবে সব সময় পরিনা।
.
এবার যেমনটি আশা করেছিলাম তেমনটিই রেজাল্ট করলাম, এডমিশন টেস্ট এর প্রিপারেশন নিলাম। মেডিকেল এ চান্স পেয়েও গেলাম। আমার খুশি দেখে কে, এলাকায় বাবার গৌরব আরোও বেড়ে গেলো।
.
আধুনিক আর ফ্যাশনবাল মানুষগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে লাগলাম। পড়াশুনা ঠিকমত চালালাম। বন্ধুদেরও সময় দিতাম, টুকটাক লেখালিখিও করতে শুরু করলাম।
.
অর্ধেকের বেশি ডাক্তার হয়েই গেছি আমি রায়হান স্যারের আন্ডারে ইন্টার্নি করছি। ও হ্যা আমি আবার মা ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ হতে চলেছি। রায়হান স্যারের বেশ কিছু রোগিকে আমিই দেখতাম, সব রকমের অপারেশনে উপস্থিত থাকতাম, ছোট খাট অনেক অপারেশনও করতাম।
.
হটাৎ করে একদিন একটা গর্ভবতী মা এলেন, এমারজেন্সি সিজার করতে হবে। বাট রায়হান স্যার সহ বেশ কিছু স্যার একটা জরুরী মিটিং এ ব্যস্ত। ইন্টার্নি আমরা সিনিয়র দুজন আছি, সায়রা আর আমি।
.
ও হ্যা বলে নেই সায়রা আমার জি এফ একসাথেই ইন্টার্নি করছি । যাই হোক অপারেশন সাকসেস ফুল, অর্ধেকের বেশি ক্রেডিট অবশ্য সায়রার দিকেই যায়।
.
রুগীকে দেখতে গেলাম ওষুধ বাচ্চাকে মাকে চেক করতে। কাছে গিয়ে দেখি করিম সাহেব মানে কমলার বাবা বসে আছেন। কমলার তো কোনও বোন ছিলোনা তাহলে কি এটাই কমলা। কি মিরাক্কেল! ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!
.
বাবা মেয়েকে বিস্মিত করে তাদের ফি বিশ পার্সেন্ট এর মধ্যেই ব্যবস্থা করে দিলাম।
.
সায়রা বলছে-কি ব্যাপার হুম?
আমি- উপর ওয়ালা চাইলে ওই বাচ্চার বাপ আমি হতাম
সায়রা- মানে কি?
আমি- এই হলো সেই কমলা বুঝলেন ডাক্তার আপা
সায়রা- ডাক্তার আপা না ডাক্তার বউ।
আমি- তা ডাক্তার বউ আমি সত্যিকারের বাপ হবো শুনি
সায়রা- চুপ,
.
___লিখাঃ আমিম এহসান
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4718
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ēā§Ļ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ