"শহীদ মিনার ও আমি"
লেখাঃতৌফিক আহমেদ(মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে)
.................
..আজকেতো তোমাকে অনেক পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
..হ্যা,কাল থেকে সবাই মিলে ঝাড়ু দিয়ে,পানি দিয়ে খুবই যত্ন সহকারে আমাকে পরিষ্কার করছে।
..আজকের দিনটাতো তোমার ভালই কাটে।সবাই এত সম্মান জানায়,খালি পায়ে ফুল দিয়ে যায়।ভালই লাগে তোমার নাকি?
..আর বলোনা,আমি যে কলেজের মাঠে আছি।এই কলেজের কত কিছুই দেখলাম।আমাকে ঘিরেই তারা কত কিছু করে।এসব বলতে কেমন যেনো লাগে।আজকে তুমি এসেছ তাই তোমার কাছেই বলি...
সারাটা বছর এই কলেজের ছেলেমেয়েগুলো আমার ব্যবহার করে।যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই ব্যবহার করে।আমার সিঁড়িতে বসে আড্ডা দেয়,পড়ালেখা করে,প্রেম করে,মজা করে,অনুষ্ঠান করে।আবার রাতের বেলাও আমাকে ব্যবহার করে নিজেদের কাজের জন্য,ভাল কাজের জন্য না কিন্তু,সব অনৈতিক কাজের জন্য।
আজকের এই দিনটায় আমার চারপাশে ফুলের সমাহার,ফুলের সুভাস পাই।কিন্তু সারা বছর আমার চারপাশে থাকে সিগারেট,গাজা,মানুষ ও পশু-পাখির প্রস্রাব,পায়খানার দুর্গন্ধ।সারা বছর এসবের গন্ধ পেতে পেতে অভ্যাস হয়ে গেছে।তাই এই একটা দিন ফুলের সুগন্ধ পেলে কেমন যেন অস্বস্তি লাগে।
.
আজকের এই দিনটাকে ঘিরে তোমার জাতি কত আয়োজন করে,দেখেছ কি?কালো ব্যাচ লাগিয়ে,খালি পায়ে ফুল দিয়ে সম্মান জানায়।সারা বছরতো আমার চারপাশ সিগারেটের কালো ধোয়ায় ভরে থাকে।এই একদিনের জন্য কেন যা তারা কালো ব্যাচ লাগায় বুঝে উঠতে পারিনা।
মাঝে মাঝেতো মনে হয় যে এদের থেকে ঐ কাকটা আমাকে বেশি সম্মান জানাচ্ছে।কারন ও সারা জীবনই কালো পোষাকে আর খালি পায়ে আমার সামনে আসে।আর তোমার জাতি আসে একদিনের জন্য।এতেই তারা মনে করে তারা খুব মহৎ কাজ করে ফেলেছে।তারা দেশ প্রেমিক,ভাষা প্রেমিক।
.
এই কলেজের কিছু ছেলেমেয়ে আমার দেয়ালের পিছনে লুকিয়ে একসাথে মিলে যেসব কার্যকলাপ করে,কি আর বলব।ওরাতো লজ্জা পায়ই না বরং আমার নিজের কাছেই তখন খুব লজ্জা লাগে।এসবই নাকি তাদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ,ভালবাসার প্রমাণ।
সারা বছরই আমাকে ব্যবহার করে এরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে।সেসব অনুষ্ঠানে তারা হিন্দি আর ইংরেজি গানের সুরে মেতে উঠে।কেউ যদি ভুল করেও বলে ফেলে আরে বাংলা গান বাজাও।তখন এদের আত্মসম্মানে লাগে।সেই লোকটাকে গালি দেয়,গালিটা কিন্তু আবার খাটি বাংলাতেই দেয়।বলে যে,আজকে কি বাংলা গান বাজানোর দিন,হিন্দি বাজাও আর মজা করো।
.
তখন আমার খুব কষ্ট লাগে।যে ভাষার জন্য এত গুলো যুবক নিজেদের জীবন দিয়ে দিল,যে ভাষার জন্য আজ আমি এই দেশের প্রতিটা জেলায় অবস্থিত।সেই দেশের সেই জাতির মানুষ গুলোই আজ আমার উপরে দাঁড়িয়ে এই ভাষার অমর্যাদা করছে।
কিছু দিন আগের কথাই বলি,গত ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে রাতের বেলা এই এলাকার ছেলেগুলো আমাকে ব্যবহার করে খুব মজা করেছে।সিগারেট,মদ,গাজা খেয়ে মাতাল হয়ে মাতলামি করেছে।সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে হিন্দি আর ইংরেজি গান বাজিয়েছে।
তারা নাকি ভালবাসা দিবস পালন করেছে।কিন্তু আমি এসবের মাঝে কোনো ভালবাসা খুজে পাইনি।গান,বাজনা করা,মাতলামি করা কিসের ভালবাসা দিবস।আমিতো এসব বুঝিনা,তোমার জাতিই ভাল বুঝে।
কিন্তু আজকে সেই ছেলেগুলোকেই দেখলাম রাত ১২ টার সময় সবার আগে ফুল দেবার জন্য চলে এসেছে।তাদের ভেতরে মনে হয় লজ্জাবোধ বলতে কোনো কিছু কাজ করেনা।এদের আর কি বলব,এদেরতো সঠিক শিক্ষা দেয়া হয়নি।
.
সারা বছর আমার উপরে ময়লা,গাছের পাতা,মানুষের জুতার ধুলো,সিগারেটের ছাই এসব থাকে।কিন্তু একটা দিনের জন্য তারা আমাকে ধুয়ে,মুছে পরিষ্কার করে ফেলে।আচ্ছা আমাকে পরিষ্কার করার কি দরকার?
আমিতো শুধু ইট,বালু,সিমেন্ট দিয়ে দাড় করানো একটা দালান।এদেরতো দরকার নিজের ভেতরের মনুষ্যত্বকে পরিষ্কার করা,নিজেদের সমাজকে পরিষ্কার করা।তাহলেইতো সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আর সেই যুবক গুলোকে সম্মান জানানোর জন্য আমার মত একটা দালানকে ফুল দিতে হবে কেন?যার যার মন থেকে তাদের জন্য দোয়া করো,শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করো।
..তোমার সব কথাই শুনলাম,বুঝলাম।আসলে আমাদের সমাজটা এখন এভাবেই চলছে।কিন্তু আশা করি কোনো একদিন হয়তোবা পরিবর্তন আসবে।
..হ্যা,এটাইতো শুধু আশা।আচ্ছা তোমার অনেক সময় নষ্ট করলাম।আসলে কথা গুলো কাউকে বলা হয়না।তোমাকে দেখে মনে হল তোমার কাছে বলা যেতে পারে তাই বললাম।
..কি যে বল,সময় নষ্ট করবে কেন।ভাল করেছ কথাগুলো বলে,অনেক কিছুই জানতে পারলাম।এখন আমি যাই।মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে শহীদ ভাইদের জন্য দোয়া করব।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4742
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§Ļā§Ļ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ