অন্যদল
Pawky Kerf
--------------
- "ওর যোনিপথে অনেক দুর্গন্ধ ছিল!"
- 'কেমন গন্ধ?'
- "মাসিকের গন্ধ ছিল, বেশ অপরিষ্কার।"
- 'ভালোবাসতে ওকে?"
- "নাহ, ওর ভরা যৌবনকে, সুগঠিত স্তন-যুগলকে।'
- "চাইলে তো রেপ করতে পারতে, তা করোনাই কেন? অন্তত বেঁচে থাকত।"
- "রেপ করলে হয়ত ওর সুগঠিত দেহের ক্ষতি হত, তবে যাই বলো, দুর্গন্ধযুক্ত সেই রক্ত গুলো বেশ তাঁজা ছিল।"
- "চুপ কর খানকির*লা, ও আমার স্ত্রী ছিল।"
.
নিশার সাথে আমার পরিচয় বসুন্ধরা শপিং মলে। লম্বা, সুস্বাস্থ্য, তাতের শাড়ী পরে এসেছিল সেদিন। সবার আগে নজড় কাড়ল ওর পেট, সেখানে কোন ভাঁজ ছিলনা, বেশ ভরাট। কেন জানি খুব ভালো লেগে যায়। ভালোবেসে ফেলি। তবে তখন আমি বুঝিনি যে ভালোবাসাটা আসলে আমার ক্ষেত্রে যৌন নির্ভর। নিজের চাহিদার কারণে কামণা করেছিলাম যেটাকে আমি নাম দিয়েছি ভালোবাসা। হা হা হা, এ কেমন আমি?
নিশার একটি পাঁচ বছরের মেয়ে ছিল, নিপা নাম ছিল ওর, বেশ মিষ্টি মেয়ে, তবে মায়ের রূপ বা সৌন্দর্য পায়নি তেমন। নিশার স্বামী একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকুরী করত।
.
- "ইক্সিউজ মি! আমি রাইহান, কোন সাহায্য করতে পারি?"
- "হ্যালো আমি নিশা! না ধন্যবাদ লাগবেনা, আমি কি আপনাকে চিনি?"
- "না হয়ত না, তবে আপনাকে চেনা চেনা লাগছে, বোধ হয় আপনাকে ফেসবুকে দেখেছি। আপনার ফেসবুক আইডির নাম বলা যাবে মিলিয়ে দেখতাম!"
- "হা হা হা, আমি তো অপরিচিত কাউকে ফ্রেন্ড করিনা, আমার আইডি হচ্ছে নিশা রাহমান। "
- " কে বলছে অপরিচিত? এই পরচিত, অন্তত বলতে তো পারি যে বসুন্ধরা মলে কথা হয়েছে। হা হা হা!"
- "আমি যাই, অনেক কাজে আছে। By the way, আমি কিন্তু বিবাহিত। হা হা হা "
.
নিশা চলে গেল, কিন্তু হঠাৎ মনে হল যেন কেউ আমার বুকে একটা পাহাড় রেখে দিল, এত কষ্ট হচ্ছে, শ্বাস নিতে। তবে কি ইতিমধ্যেই প্রেমে পরে গেছি? কিন্তু আমার মাথায় তো অন্য একটা কথা ঘুরতেছে। কথাটি হল, "ইশ! নাকি জানি কোন ভাগ্যবান এমন যৌবন সুধা পান করার কপাল নিয়ে জন্মগ্রহন করেছে।"
বাসায় এসে আমি নিশার দেয়া নামে ফেসবুকে সার্চ করছিলাম, পাইনি, তবে একটু ঘেটে কিছু টা নিচেই পেয়ে গেলাম ছবি সহ আইডি। এর পর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেয়া এবং মেসেজে নিজের পরিচয় দিলাম, ঘন্টা পাঁচেকের মধ্যে ওদিক থেকে রিপ্লাই আসে। আর ওই পাঁচ ঘন্টা আমার কাছে ছিল পাঁচশো বছরের মত।
নিশার সাথে প্রতিদিন চ্যাটিং হত। আমি ফ্রি হতে চাইতাম, প্রথম প্রথম ও কেমন যেন করত, তবে বেশ কিছু দিনের মধ্যেই ও ফ্রি হতে শুরু করল। আমাদের প্রায়শই দেখা হত বসুন্ধরাতে।
নিশার এখন সব কিছু জানি আমি, ওর ফ্যামিলি, স্টাটাস সবকিছুই। ওরা দুই বোন, ওর ছোট বোনের নাম দিশা, বাবা-মা নরসিংদী তে থাকেন। সবকিছুই জানি, আমার সবকিছুও বলে দিয়েছি, পরিচয়, কি করি, যাবতীয় সব। আমরা এখন খুব ভালো মিশে গেছি। নিশা মাঝে মাঝে আফসুস করে বলে যে, ইশ! আমার যদি বিয়ে না হত তবে আমি তোমাকে বিয়ে করতাম। মাঝে মাঝে আমরা কল্পনার দেশে হারিয়ে যেতাম।
.
ছ মাসের মধ্যে আমি নিশার সাথে উসকিয়ে ফসকিয়ে ওর সাথে যৌনমিলন করি। নিশা আমাকে ভালোবেসে ফেলেছিল, আমিমি ওর দেহকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। সুযোগ পেলেই আমি আর নিশা একাকার হয়ে যাই, স্বর্গের জগতে। আমরা বেশ ভালোই পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে গেছিলাম। কিন্তু না আমার ভালো লাগছিলনা। নিশাকে পুরোপুরি আমার কাছে পেতে ইচ্ছে হল, অন্য একটা ছেলে কেন ওকে উপভোগ করবে? ওকে সুধু আমি উপভোগ করবে, আর কেউ না, দরকার হলে প্রান নিয়ে নিব।
.
১ বছরের মাথায় নিশা আর আমি ধরা খেয়ে যাই। নিশার সেই ছোট্ট ৪ বছরের মেয়েটা সব বুঝে ফেলে। ও ওর আব্বুকে সব বলে দেয় আমাদের মেলামেশার কথা। নিপা যে নিশার স্বামী মানে নিপার আব্বুকে সব বলে দেয় তা নিশা জানতনা, আমি জেনে গেছিলাম কোনো এক ভাবে। এই মেয়েটিই এখন আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল।
আমি এক বড় চাল খেলার পরিকল্পমা করলাম, এক ঢিলে দুই পাখি মারার চিন্তা, কিন্তু তা হলোনা, আমি নিপাকে খুন করে ফেললাম। এই টুকু মেয়ে বেঁচে থেকে কি হবে, তারচেয়ে ভালো ওকে অল্পতেই জান্নাতে পাঠিয়ে দেই, আর আমি নিশাকে উপভোগ করতে থাকি।
.
মেয়েটা স্কুলে যাচ্ছিল, বেশি কিছু করিনাই, লাইসেন্স বিহীন একটা ট্রাক রাস্তায় নামি, ওকে কেবল হাল্কা ধাক্কা দিয়ে ট্রাকের নিচে ফেলে দেই, ব্যাস কাজ শেষ। নিপা মুহূর্তেই নিস্তেজ হয়ে যায়। আর এর পেছনে সব দোষ দিয়ে দেই নিশার স্বামীর উপরে। আমি নিশার মনে ওলট পালটা চিন্তা ঢুকিয়ে দেই। নিপার মৃত্যুতে নিশা কেমন যেন হয়ে যায়। নিশা এমন পাগল হয়ে যায় যে ও ওর মেয়ের খুনীকে পেলে সে যেই হোক না কেন প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। কি সুন্দর দেহের অধীকারী মেয়েটা মেয়ে হারানোর বেদনায় যেন জীর্ণ হয়ে যায়। মেয়ে হারানোর বেদনায় নিশার স্বামীও কিছু বুজ্জে উঠতে পারেনা। এমন সময়ে আমি নিশার সাথে একা দেখা করে ওকে ঠিক এভাবেই বুঝাই যে, "আমার আর ওর (নিশা) সম্পর্কের কথা ওর স্বামী জেনে যায়, তাই ওর স্বামী নিপাকে অবৈধ সন্তান ভেবে দুনিয়া থেকে সড়িয়ে দেয়। নিশা আমার কথা বিশ্বাস করে। কারণ ওর স্বামীই নিশাকে বলে যে নিপাকে হয়ত আমি মেরেছি, কিন্তু অন্ধ ভালোবাসায় নিশা আমার কথাই বিশ্বাস করে।
.
দিন সাতেক পরে হঠাৎ একদিন নিশা আমাকে ওর বাসায় ডাকে, আমি গিয়ে দেখি বাসায় নিশা আর ওর স্বামী দুজনেই আছে। আমি যাওয়া মাত্রই নিশা আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে আমার সাথে মিলনের চেস্টা করে, আমরা এক রুমে চলে গেলাম। অনেকদিন নিশাকে কাছে পাইনি এর লোভে। হঠাৎ খেয়াল করলাম নিশার গায়ে রক্ত। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। মুহূর্তেই এক গোঙ্গানো আওয়াজ পেলাম। অন্য রূম থেকে আসছে। আমি এক দৌড়ে ওই রূমে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি নিশার স্বামী মেঝেতে পড়ে আছে। রক্তে পুরো মেঝে লাল হয় আছে। নিশার স্বামীর হাত পা বাধা, ওর বুক ক্ষতবিক্ষত, আধেক মৃত। শুধু একটু পর পর গোঙ্গানি দিচ্ছে। হঠাৎ নিশা পিছন থেকে হাতে একটা বটি নিয়ে এসে নিশার স্বামীর গলায় সজোরে দুইটা টান দিল। মুহূর্তে দেহ থেকে মাথা আলাদা হয়ে গেল। রক্ত ফিনকি দিয়ে বের হচ্ছে, আর নিশা সেই রক্তে নিজেকে রক্তস্নাত করে নিল। ওর মুখে এক বিজয়ের উচ্ছাস ছিল।
নিশা তো ওর কাজ সেড়ে ফেলল, এবার আমার পালা, আমি আর নিশা মিলে পুরো ঘর মুছে পরিস্কার করলাম। আর নিশার স্বামীর লাশ টাকে দূরে এক অচেনা যায়গায় নদীতে ফেলে দিয়ে আসি। আর ওর স্বামীর জন্যে একটি গুম মামলা দিয়ে রাখি। নিপা তো রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গেল।
.
বেশ ভালোই ছিলাম আমরা মাসখানেক, আমি আর নিশা এখন একত্রেই থাকি, ইচ্ছে মত উপোভোগ করি ওর দেহকে, মাঝে মাঝে নিজেকে বেশ চালাক মনে হয়। কিন্তু বিপত্তি ঘটল কিছুদিন পরে। আর তা হলো নিশার বোন দিশা।
আমি দিশাকে এর আগে দেখিনি কখনো। নিশা ও দিশার বিষয়ে তেমন বলত না। ঘটনার মাসখানেক পরে দিশা বেড়াতে আসে নিশার বাসায়। নিশাকে একটু সময় দেয়, কিন্তু বিপত্তিটা ঠিক এখানেই। দিশার সাথে আমার দেখা হঅল, কিন্তু হায়, দিশা যে আরো সুন্দরী, আমি তো নিশার দেহের প্রতি ভালোবাসায় পড়েছিলাম। কিন্তু দিশা যে ছিল সর্বে সর্বা। সৃষ্টি কর্তা যে দিশাকে সব কিছু দিয়েছিল তার প্রমান দিশাকে দেখা মাত্রই পেয়ে যাই। যেমন দেহ, সুগঠিত সবকিছু তেমনি তার কথা আর আচরণ। দিশার মুখের কথা শুনেই যেন আমার কামের লালসা জেগে ওঠে। নিশার উপর থেকে আমার মন যে কখন উঠে যায় তা বুঝার আগেই দিশাকে কাছে পাওয়ার লালসা আমাকে রাতে ঘুমাতে দিতনা।
.
দিশাকে নিয়ে আমার ভাবতেই হলনা, মেয়েটি যে কামাতুর ছিল এটি কখনো আমার মাথায়ই আসেনি। দিশা আমার সাথে মিশতে চাইত। আমাকে আর ধরে রাখে কে? আমিও সায় দিতে দিতে হয়ে গেল। দিশার সাথে সংগম করে আমি যে আনন্দ পেয়েছি তা নিশার ক্ষেত্রে হয়নি। কিন্তু অতি লোভে তাতি নষ্ট বলে কথা আমি ভুলে গিয়েছিলাম। নিশা জেনে গিয়েছে দিশা আর আমার সবকিছু.... এখন আমি কি করব?
.
সেদিন ছিল শনিবার। আমি আর নিশা ঘুরতে গিয়েছি নদীর তীরে। আমি আমার সব ভুল বুঝতে পেরিছিলাম, নিশার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, নিশা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে । কত ভালবাসা হলে একটা মেয়ে এমন ক্ষমা করতে পারে? আমি আরর নিশা নদীর তীরে হাঠছি, হঠাৎ নিশা বলে উঠল আমি ডাব খাব। সামনেই এক ডাবওয়ালা ছিল, আমি আর নিশা ডাবওয়ালার কাছে গিয়ে ডাব কিনলাম, আমরা ডাব খেলাম। কত্ত সুখ লাগতেছিল আমাদের, কোন প্যারা ছিলনা, কিন্তু হঠাৎ নিশা কেমন যেন ছটফট করতে লাগল, নিশা মারা গেল। সেদিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
.
দিশা আর আমি বিয়ে করলাম কোর্টে গিয়ে...
কিন্তু আমি আসলে ভুল যায়গাতে পা দিয়েছিল। দিশার সাথে অন্য একটা ছেলের সম্পর্ক ছিল। যেটা আমি জেনে যাই আমি আর সহ্য করতে না পেরে......... কারণ আমি অন্যদলের লোক!
.
আমি জানতাম না দিশা বিবাহিত ছিল। সত্যিই জানতাম না। মৃত্যু ঠিক আগে দিশা বলছিল যে, আমার স্বামী তোমাকে ছাড়বেনা, কথাটা বলা মাত্রই আমি দিশার গলায় জোড়ে ছুড়ি দিয়ে এক টান দিলাম, নিশা স্তব্ধ হয়ে গেল।
.
আমি রাইহান,
ক্রিমিনোলজী থেকে অনার্স শেষ করেছি।
আমি? হ্যা আমি অন্যদলের লোক। যে লোকটা আমাকে খানকির*লা বলেছিল ও ছিল দিশার স্বামী।
কত বড় সাহস আমাকে গালি দিয়েছে? হা হা, গালি দেয়া মাত্রই, ওর ঠিক গলার ওখানে ব্লেড দিয়ে একটা টান দিয়ে দেই। হা হা হা, এখন আর গালি দিচ্ছেনা।
.
এখন আমি অনেক ভাল আছি। বেশ সুখে আছি, ১ ছেলে ২ মেয়ে আমার। ছেলের নাম নিশান, মেয়ে দুইটার নাম দিশা আর নিপা।
আচ্ছা মাথায় কি প্রশ্ন আসেনা যে এত কিছুর পরেও আমি এত ভালো কিভাবে আছি?
হা হা হা, ভালো আছি কারণ আমি তো তোমাদের দলের না। আমি অন্যদলের মানুষ।
আমার দলটা হচ্ছে অন্যদল। কেউ এমন ঘটনা বিশাস করবেনা, কারণ ওরা অন্যদলের না। হা হা হা.....
হ্যা আমি যে দলের মানুষ, সেই দলটাই হচ্ছে অন্যদল।
.
.
.
# পুনশ্চ :
পাবনা সরকারি মেন্টাল হাসপাতাল থেকে একটা ডায়েরী পাওয়া যায়। কোন এক সুবাদে আমার কলিগ আমাকে এই ডায়েরী টা পড়ার জন্যে দেয়, আমি তো কেবল সংক্ষেপে উপস্থাপন করলাম। হয়ত ডায়েরীর মত সাঁজিয়ে লিখতে পারিনি। কারণ আমি তো অন্যদলের মানুষ না। আমার দল অন্যদল নয়।
(সমাপ্ত
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4776
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ē⧝ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ