āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4743

"অসমাপ্ত ভালোবাসা"
লেখাঃতৌফিক আহমেদ(মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে)
..........
নীলা আর তৌফিকের ৩ বছরের রিলেশন।রিলেশনটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে।পরিবারের সম্মতিটাই শুধু বাকী।ওদের দিন গুলো ভালোই যাচ্ছে।দুজন দুজনকে প্রচন্ড রকম ভালবাসে।চঞ্চলতা নীলার একটি গুন আর পিচ্চিদের মত নীলার আবদার গুলো যেন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।নীলার এই গুনগুলোকেই ভালবাসে তৌফিক।
.
তবে ভালোবাসায় রাগারাগি থাকবে না,তা কিভাবে হয়?অল্প একটু ঝগড়াতেই নীলা অভিমান করে।অভিমান করলে নীলার সময় গুলো কাটে অস্থিরতায়।তৌফিকের একটু অনুপস্থিতি নীলার সময়গুলোকে উলট পালট করে দেয়।কিন্তু তৌফিক ওর অভিমান ভাংগায় না।আবার তৌফিক কোনো কারনে অভিমান করলে টেনশনে সত্যিই নীলার মাথায় ব্যাথা শুরু হয়।নীলার মাথা ব্যথার কথা সে সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখে।কিন্তু তৌফিককে অনেকবার বলে এটার কথা।কিন্তু তৌফিক এটাকে এড়িয়ে যায়।
.
রাগ,অভিমান,ভালবাসা নিয়ে ওদের সম্পর্ক এগিয়ে যেতে থাকল।হাজারটা টেক্স দিয়ে তৌফিকের অভিমান ভাংগাতে পারে নীলা।কিন্তু তৌফিক কখনো স্যাক্রিফাইস করতে পারে না।নীলা যেমন ব্যস্ত থাকে তৌফিকের অভিমান ভাংগাতে।তৌফিকের ঠিক তেমনই সেদিকে কোনো খেয়াল থাকে না।কিন্তু নীলার মাথার ব্যথাটা সত্যিই আস্তে আস্তে বেড়ে যেতে থাকে।একসময় নীলা নীরবে মাথা ব্যথার পেইন কিলার খেয়ে ব্যথাটা কন্ট্রোলে নিয়ে আসে।
.
তৌফিককে বললে ও তেমন পাত্তা না দেওয়াই এখন আর ওর সাথেও এটা শেয়ার করে না নীলা।এমন এক সময় আসল যখন একটু টেনশন করলেই নীলার মাথার ব্যথাটা যন্ত্রনা দিতে শুরু করে।নীলা প্রতিবারই পেইন কিলার দিয়ে ব্যথাটাকে দমিয়ে রাখে।হঠাৎ একদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে নীলা আর তৌফিকের ঝগড়া হলো।এদিকে নীলার মাথা ব্যাথাটা বাড়ছিল।একবারও সেটা ও তৌফিককে বলেনি।বরং ব্যাথার কারনে নীলাও আজ রাগ দেখালো ওর সাথে।ততক্ষনে কথাবার্তা ছাড়াই ফেসবুক থেকে বের হয়ে গেলো তৌফিক।
.
এদিকে ম্যাসেজ করেতেই থাকলো নীলাঃতৌফিক আমার কষ্ট হয় তুমি এমন করলে।তোমার অনুপস্তিতি আমাকে ছটফট করায়।তোমাকে খুব ভালবাসি।
এরকম অনেক গুলো ম্যাসেজ দিল নীলা।কিন্তু একটাও সীন হল না।এবার নীলা তৌফিককে ফোন দিল।কিন্তু পরিচিত ভয়েস টাই সে শুনতে পেলো।দুঃখিত,আপনার কাংখিত নাম্বারটিতে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
.
এদিকে মাথার ব্যথাটা নীলাকে যেন আস্তে আস্তে কাবু করে ফেলছে।তৌফিক ফোন অফ করে বসে আছে আর ভাবছে নীলার কথা।তৌফিক জানে নীলা ওকে খুব ভালবাসে আর ওর রাগ ভাংগাবেই।নীলার পন্থা গুলো তৌফিকের কাছে খুব ভাল লাগে। নীলার অনেক কথাই ও ন্যাকামী বলে এড়িয়ে যায়।তবুও ও চায় এরকম ন্যাকমী যেন নীলা সবসময় করে।ভালোই লাগে ওর।
.
তৌফিকের অভিমানটা কমে আসলো,ফোনটা অন করল।অন হওয়ার সাথে সাথেই ছোট্ট একটা টেক্সট আসলো ফোনে।সাথে সাথে নীলার নাম্বারে ফোন দিল ও।কয়েকবার রিং হতেই ফোনটা রিসিভ হল...
-হ্যালো কে বলছেন?
-আমি তৌফিক,নীলা কোথায়?
- ও তৌফিক ভাইয়া,আমি ওর বান্ধবী।একটা দুঃসংবাদ আছে।
এবার তৌফিকের কাছে সবকিছু কেমন যেন লাগছে,অজানা একটা ভয় যেন ওকে আকড়ে ধরছে।
-নীলার কি হয়েছে,ওকে ফোন দাও।
-ভাইয়া,নীলা অপারেশন থিয়েটারে।
- মানে,কি বলছো।কি হয়েছে নীলার?
-আজ রাতে হঠাৎ নীলা ফোন দিলো,তার মাথায় নাকি প্রচন্ড যন্ত্রনা।আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে বলল।আমি তাড়াতাড়ি ওর বাসায় গিয়ে দেখি ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।কি করব বুঝতে পারছিলাম না।পাশেই ফোনটা পরে থাকতে দেখলাম।হাতে নিয়ে দেখি ডায়াল কলে শুধু আপনার নাম্বার।ফোন দিয়ে দেখলাম বন্ধ।তাই টেক্সট করে রাখছিলাম আর আমি ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম।
-কোন হাসপাতাল?
-ওর এলাকার পাশের একটা হাসপাতাল।আমি মেসেজে ঠিকানা দিচ্ছি আপনি আসেন।
-আমি আসতেছি।
৩০ মিনিট পর তৌফিক হাসপাতালে তে চলে আসল।ওর চোখের কোনে অশ্রু চলে আসলো।ভাবতে লাগল নীলার দেখানো পন্থা গুলোকে ন্যাকামী ভেবে অবহেলা করাই আজ নীলাকে এখানে এনে দাড় করিয়ে দিয়েছে।ওর বুকের মাঝে আজ কেমন জানি একটা শুন্যতা উকি দিচ্ছে।অপারেশন থিয়েটার থেকে ডাক্তার বেরিয়ে আসতেই তৌফিক বলল..
-আমার নীলার কি হয়েছে।কোথায় সে?
-নিশ্চুপ ডাক্তার
-কি হয়েছে নীলার?
-স্যরি,শি ইজ নো মোর।অনেক দেরী হয়ে গেছে।ওকে বাচাতে পারলাম না।
কিছুই বলতে পারছে না তৌফিক।বাকরুদ্ধ হয়ে শুধু চোখের পানি ফেলছে।যেন একটা স্তব্দ হয়ে থাকা মুর্তি দাড়িয়ে আছে।
ডাক্তার বলে যেতেই থাকলো- নীলার মাথায় টিউমার হয়েছিল।অনেকদিন আগে থেকেই এটা মাথায় উপস্থিত।কখনো হয়তো ডাক্তার দেখায়নি।কারন অপরিকল্পিত ভাবে অতিরিক্ত পেইন কিলার খাওয়া থেকে এটাই বুঝা যাচ্ছে।পেইন কিলার শুধু ব্যথা কমিয়েছে কিন্তু টিউমার টা বেড়েছে তার আপন গতিতে।অতিরিক্ত পেইন কিলার সেটাকে আরো খারাপ করে দিয়েছিল।আর আজ তা মাথায় রক্তক্ষরনের জন্ম দেয়।অনেক দেরী করে ফেলেছেন আপনারা।শুরুতে ট্রিটমেন্ট নিলে নীলার এই অবস্থা হত না।
.
ডুকরে কাদতে থাকলো তৌফিক।আজ ওর অবহেলাতেই নীলাকে হারালো।আজ একমাস হলো,তৌফিক একটা বদ্ধ ঘরে বসে আছে।এর মধ্যে ও কারো সাথে যোগাযোগ করেনি।এমনকি ফেসবুকেও ঢুকেনি।হঠাৎ কি মনে করে তৌফিক ফেসবুকে ঢুকলো।এতোদিনের ম্যাসেজ গুলো একটার পর একটা শো করতে থাকলো।এর মধ্যে নীলার করা লাস্ট ম্যাসেজগুলোও ছিল।তৌফিকের চোখ ভিজে গেলো নীলার লাস্ট ম্যাসেজ দেখে
-জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো,আমি যাতে তোমার অভিমান ভাংগাই এটা তোমার খুব ভাল লাগে।আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি।তাই কোনো কারন ছাড়াই আমি তোমার অভিমান ভাংগাই।তুমি অভিমান না করলে হয়তো আমি তোমাকে ভালবাসতাম না।কারন আমি আমার অভিমানী তৌফিককে খুব ভালোবাসি।কিন্তু আমার মাথার পেইন টা ন্যাকামী না।এটা তুমি বুঝলে না।
আর পড়তে পারলো না তৌফিক।এরপর একটা মেসেজ লেখল..
-নীলা তোমাকে খুব ভালবাসি আমি।তোমার রাগ ভাংগানোর পন্থা গুলোকে ভালোবাসি।কেন তুমি চলে গেলে।
সেন্ড বাটনে ক্লিক করলো কিন্তু ম্যাসেজটি গেল না।কারন নীলার বন্ধুরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নীলার আইডিটা ডিয়েক্টিভ করে দিয়েছে।তৌফিক বদ্ধ ঘরে কাদতে লাগল।একসময় ফেসবুক থেকে বেড়িয়ে গেল ও।এরপর তৌফিককে কেউ কোনোদিন ফেসবুকে দেখেনি।বাইরেও কেউ ওকে কখনো দেখেনি।
তবে প্রতি বছর নির্দিষ্ট একটা দিনে নীলার কবরে কেউ লাল গোলাপ রেখে যায়।

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ