গল্পঃ অস্তিত্ব
(একশন থ্রিলার)
লেখকঃ সানশাইন ক্রিস্টাল
১.
নিরব জামান, সিক্রেট এজেন্সির দক্ষ এজেন্ট। ১৩ টা ভাষা তার আয়ত্তে। পাশাপাশি জুডো-কারাতেও। প্রায় সব মিশনেই সাকসেসফুল। সপ্তাহ খানেক হল একটা মিশন শেষ করল। আপাতত মগবাজারে নতুন বাসা নিয়েছে আত্মগোপনের জন্য। কিছুদিনের মধ্যেই নেক্সট টার্গেট ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু নীরব আগামী একমাস কোনো কাজ নিতে চায় না। একমাস এনজয় করতে চায়। তাই সে grindr আইডি খুলেছে। জাতে সমকামী হলেও সে তালে ঠিক। grindr এ ফার্স্টেই একটা টিনেজ ছেলের সাথে পরিচয় হল। নাম শান্ত। ১৭ বছর বয়স, সাতরাস্তার দিকে থাকে। ইন্টারে পরছে। ছবিতে দেখতে কিউট। তবে মেয়েলী স্বভাবের হতে পারে। নীরব দেখা করার সিদ্ধান্তই নিল, যেহেতু grindr এ ফার্স্ট মেসেজ এর থেকে পাওয়া....
সকাল এগারোটায় শান্তর হাতিরঝিলে এসে নীরবকে ফোন দেয়ার কথা। কিন্তু ফোন এলো দুপুর দেড়টায়। শান্ত ফোনে কিছু দায়সাড়া যুক্তি দিল। সে স্টুডেন্ট লাইফ লিড করে, মেসে থাকে, নিজের কাজ নিজে করতে হয়, আজকে কাপড় ধুইতে ধুইতে তার টাইম শেষ। হঠাৎ করেই নীরব জিজ্ঞেস করল, "আমি কি জানতে চেয়েছি কেনো আসো নি?" শান্ত যেন ফোনের ওপাশে হতভম্ব হয়ে গেল। নীরব আর ঘাটাল না, একসাথে লাঞ্চের অফার করল। কিন্তু শান্ত মানা করে দিল। বলল," মেসে মিল দেয়া, বিকেলে আসব।" নীরব আর বাঁধা দিল না। আসুক, দেখা যাবে ছেলেটার সহ্যসীমা......
শীতকালে হাতিরঝিলের শেষ বিকেল সত্যিই উপভোগ্য। পনেরো মিনিট ধরে একসাথে দুজনে বসে আছে। শান্ত বাদাম চিবুচ্ছে, নীরব সিগারেট টানছে। শান্ত বলল সে সিগারেট খায় না, অথচ ঠোট দেখেই যে কেউ বুঝবে, শান্ত চেইন স্মোকার। এতে সিক্রেট এজেন্সিতে কাজ করতে হয় না। নীরব যেহেতু এজেন্সীর তাই একটু খুটিয়ে দেখতে লাগল। শরীর স্বাস্থ্য ভালই। তবে বেশিদিন হয়নি এ স্বাস্থ্যের দেখলেই বুঝা যায়। ফুল হাতা শার্টের হাতার বোতাম লাগানো বাম হাতটা ডান হাত থেকে ফোলা লাগছে। হয়ত জখম আছে, ব্যান্ডেজ করা। চুল ঘাড় পর্যন্ত ঝুলে পরেছে। আর অতিরিক্ত ফর্সা। বিকেলের নরম রোদেও অস্বস্তিবোধ করেছে। এর মানে গরম শান্তর অপছন্দ। সম্ভবত সবসময় এসির মধ্যে থাকে। তাই চুল বড়। দিনের বেলা ঘুমায়, রাত ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না, তাই এত ফর্সা। তবে মেসে থাকা ইন্টার স্টুডেন্টের ক্ষেত্রে এসি রুমে থাকা আর দিনে ঘুমিয়ে রাতে কাজ করা অসম্ভব ব্যাপার। নীরবের সন্দেহ হল, শান্ত মিথ্যা বলেছে। অবশ্য গে কমিউনিটিতে সবাই পরিচয় গোপন রাখতে চায়। এ সোসাইটিতে কারো গোপনীয়তা ভঙ্গ করা ঠিক না, তারপরও নীরব মজা নেয়ার সুযোগ ছাড়ল না। জিজ্ঞেস করল, "দিনের বেলা ঘুমোতে কেমন লাগে?" শান্ত নীরবের দিকে ঘুরে তাকাল কিন্তু মোটেও চমকাল না। নীরব বুঝতে পারল শান্ত ভাল অভিনেতা। নীরবের প্রশ্নের জবাব দিল, "আমি কীভাবে জানব? দিনের বেলাতো ঘুমাই না।" শুধু ভাল অভিনেতা নয়, বেশ মিথ্যাবাদীও সেটাও নীরব বুঝতে পারল। শান্ত যে সকাল এগারোটায় ঘুমিয়ে ছিল আর দুপুর দেড়টায় ঘুম থেকে জেগে ফোন দিয়েছে সে ব্যাপারে নীরবের কোনো সন্দেহ নেই। কাপড় ধোয়া বাহানা মাত্র। অথচ শান্তর মিথ্যা বলায় কোনো জড়তা নেই। বোঝা যায়, শান্তর প্রচুর মিথ্যা বলার অভ্যাস আছে। নীরব ঘাটানো বন্ধ করল, এত মিথ্যা শুনতে ইচ্ছা করছে না। হঠাৎ ফোন এল শান্তর। কিছু টুকটাক কথা বলল। কিন্তু নীরবের কাছে সন্দেহজনক লাগল। সিক্রেট এজেন্সির লোক বলেই হয়তো সামান্য ব্যাপারেই সন্দেহ জাগে। ফোন কেটেই শান্ত বলল তাকে যেতে হবে। জরুরী কাজ আছে। মজা নেওয়ার সুযোগটা এবারও নীরব ছাড়ল না, বলল, "তোমার তো রাত ছাড়া কাজ থাকে না।" এবার শান্ত চমকাল। নীরবের দিকে এক নাগাড়ে টানা ৪ সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করল, "আমাদের কি আগে কখনও দেখা হয়েছে?" শান্তকে এতোটা চমকাতে দেখে নীরব ভড়কে গেল, জবাব দিল, "কখনও না।" শান্ত জোর করে একটু হাসল, "তাহলে আবার দেখা হবে।" কথাটা বলে উঠে দাড়াল। নীরবও উঠল, এবার একটু এজেন্সি জাতীয় চিন্তা-ভাবনা, সন্দেহ বাদ দিয়ে যে কাজে এসেছে সে ব্যাপারে বলল,"আজ আমাদের ডেট ছিল।" এবারও শান্ত খুব শান্তভাবেই জবাব দিল,"বলেছিলাম আজ আমরা মিট করব। তাই বলে যে ফ্লাটে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এটা একটা সাধারণ ডেট, রুমডেটের কথা তুমি আমায় বল নি।" নীরব আর জবাব খুঁজে পেল না। তাই বিদায় দিতে হল। কিন্তু তার কানে একটা কথা বাজনা বাজাচ্ছে। "তাহলে আবার দেখা হবে।" ......দেখা যাক কি হয়।
২.
রাত দশটা।
নীরব ডিনারের অর্ডার করল দীপ্তর জন্য, ছেলেটার ছবি দেখেই ভালো লেগেছিল। আজ রাত শান্তর জন্য বরাদ্দ রেখেছিল কিন্তু ও তো এলো না। তাই নীরবকেই ডাকতে হল। এবার আর ভুল করল না। সরাসরি ডেটের প্রপোজই করেছে। দীপ্ত পথে, আসতে বড়জোড় আর ২০ মিনিট লাগবে। আজ রাত খেলা হবে একহাত......
রাত দশটা
ভারতীয় এজেন্ট, রবি, ধানমণ্ডির একটা বাড়ির সামনে দাড়িয়ে। মোটামুটি বড়ই একটা বাড়ি। দোতলা, দেখলে সবাই মালিকের সৌখিনতার প্রশংসা করবে। কিন্তু রবি জানে এ বাড়ির নিচে মাটির তলায় আরও ৬ টি গ্রাউন্ড ফ্লোর আছে। বাংলাদেশের বড় বড় সিক্রেট এজেন্সীগুলোর একটির মূল কার্যালয় এখানে। বাড়িটা বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ মনে হলেও এর ইলেক্ট্রনিক সিকিউরিটি ফিল্ড অনেক কঠিন। তবে ফিল্ডের সবটাই আচার্য হ্যাক করে ফেলেছে। আচার্য ভারতীয় এজেন্সীরই হ্যাকার। তাই রবির ভয় লাগছে না, বরং মজা লাগছে খুব। আজরাতে খেলা হবে একহাত.......
রাত দশটা পঁচিশ,
অপেক্ষা আর নীরবের সহ্য হচ্ছে না। দীপ্ত এসেছে ১০ মিনিট হয়ে গেল। বাট শান্তর মতই চুপচাপ বসে আছে। দুই-একটা প্রশ্ন করলে এক কথায় জবাব দিয়ে চুপ হয়ে যাচ্ছে। ছেলেটা খুব ম্যানলি, তাই নীরবও সাহস করে আগেভাগে কিছু করতে মন সায় দিচ্ছে না। অবশেষে মনের বিরুদ্ধেই উঠে দাড়াল। ধীরে ধীরে এগোলও। সোফার পিছে গিয়ে দাঁড়িয়ে ধীরে কানে চুমু খেল। দীপ্ত যেন ভাইব্রেট করে উঠল। শান্ত বুঝতে পারছে দীপ্তকে উত্তেজিত করার সময় হয়েছে। দীপ্তর থুতনি ধরে ধীরে ধীরে নিজের দিকে ঘুরাল। ঠোটে ঠোট ছুয়ে গেল। হারিয়ে গেল একে অপরের মাঝে।
রাত দশটা পঁচিশ,
রবি আন্ডারগ্রাউন্ডের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে। এপর্যন্ত আসতে তাকে মূল গেটের পাসওয়ার্ড ভাংতে হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করতে হয়েছে। বাংলাদেশে লোডশেডিং কে রবি ধন্যবাদ জানায়, তা না হলে এতক্ষণে তাকে ক্রসফায়ারে মরতে হত। এরপর তাকে ভিতরে প্রবেশের প্রতিটা দরজার পাস ভাংতে হয়েছে। রবির কানে একটা ছোট্ট যন্ত্র লাগানো, এটা দিয়ে সে আচার্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে। আচার্য পাস ভাঙার ডাটা রবিকে বলে দিচ্ছে এবং রবি ডাটা এন্ট্রি করে দরজা খুলছে। এভাবেই সে এখন আন্ডারগ্রাউন্ডের প্রবেশদ্বারে। এখানে এসে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। রবি আচার্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। কোনোভাবে এই দরজা এবং এর আশেপাশের নেটওয়ার্ক ড্যামেজ রাখা হচ্ছে। তার মানে বিদ্যুৎ বন্ধ করলেও নিচে জেনারেটর আছে। যতটা সহজ মনে করেছিল ততটা নয়। রবি বুঝতে পারছে যে সে বিপদের মধ্যে আছে.........
রাত দশটা চল্লিশ,
কতক্ষণ চুমু খেল জানা নেই তাদের। চুমুর মধ্যেই তারা বিবস্ত্র হল। একে অপরকে শক্তভসবে জড়িয়ে ধরল। শরীরের সাথে শরীর ঘষা খাচ্ছে। মানুষের শরীরে ২০৬ টা হাড় থাকে। কিন্তু এদের দেখলে যে কেউ বলবে এদের হাড় ২০৭ টা। নাভির নিচে আপনা-আপনি একটা অতিরিক্ত হাড় উঠে এসেছে দুজনের। উভয়েই সঙ্গমে প্রস্তুত। কিন্তু চুমু যেন শেষ হয় না। ছাড়ে তো আবার ধরে। বড়জোড় এক সেকেন্ড বিরতি আবার টানা পাঁচ মিনিট চুমু। চুমু তে আজ কি হল দুজনের কেউই জানে না। হঠাৎ নীরবের ফোন বাজতে লাগল। এ সুন্দর বাসর যেন একটা আয়নার মত ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। সঙ্গম আর হল না.......
নীরব ফোনটা রিসিভ করল। খুব হইচই হচ্ছে ওপাশে সাথে গোলাগুলির শব্দ। কোনোমতে একটা বাক্য শোনা গেল, "উইর অ্যাটাকড" মুহুর্তেই বোমা ফাটার শব্দ। নীরবের শরীরের সঙ্গমের উত্তেজনা দূর হয়ে যুদ্ধের উত্তেজনা বাঁজতে লাগল। আর বুঝতে দেরী নেই কী ঘটেছে। কোনোমতে গায়ে কাপড় জড়িয়ে ছিটকে ঘর থেকে বেরোলো, এক মুহূর্তও আর দেরী করা যাবে না, যা ঘটার এতক্ষণে ঘটে গেছে। দীপ্ত শুধু তাকিয়ে আছে কিছুই বুঝতে পারছে না। এটাও বুঝতে পারছে না চলে যাবে নাকি থাকবে, নীরবের ফেরার অপেক্ষা করবে। অবশেষে সে থাকার সিদ্ধান্ত নিল। উঠে বাইরের দরজা লাগিয়ে রান্না ঘরের দিকে এগোল। উদ্দেশ্য একটা বেগুন, গাজর, মুলা বা এ জাতীয় অন্য কোনো সবজি খোজা.......
রাত দশটা চল্লিশ
গতপনের মিনিটে রবিকে ১১ জন এজেন্টকে বেঁহুশ করে বাঁধতে হয়েছে। কিন্তু এখনও আচার্যের কোনো সিগনাল আসেনি। সে কি করছে কে জানে। রবি আর অপেক্ষা করতে পারল না। সাথে প্রচুর বিস্ফোরক আছে। সে দরজাটা গুড়িয়ে দিল। দুহাতে দুটো পিস্তল নিয়ে নিল। দুটোরই ম্যগাজিন ফুল। মনে মনে কিছু হিসেব করে নিল। ২৭ জন এজেন্টের ১২ জন হেডকোয়ার্টারের বাইরে ছিল, ১১ জন বাইরে বেঁহুশ, একজন এখনও বাইরে, আসে নি। তাহলে ভিতরে আরো ১৫ জন আছে। আর বন্দুক এ গুলি আছে ২৪ টা। এক্সট্রা গুলি ৯ টা, মিশন পসিবল। রবি বন্দুক দুটির সেফটি ক্যাচ অন করে সামনের দিকে পা বাড়াল.......
ফার্স্ট ফ্লোরের প্রতিটা এজেন্ট দরজা ভাঙার শব্দে সতর্ক হয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। কিন্তু সুযোগ পায়নি। ৫ জনকে খুন করতে রবির মাত্র ৭ টি গুলি খরচ হল। দরজা ভাঙার পরই আচার্য আবার যোগাযোগ করতে পারছে।
---যাক, কানেক্ট হল। ৫ জনকে দেখা যাচ্ছে।
---ওগুলো লাশ পরে আছে। ফার্স্ট ফ্লোর ক্লিয়ার।
---উপরতলায় ১১ জন আছে।
---সব বেঁহুশ।
---নাইস, সেকেন্ড ফ্লোর মালপত্রে বোঝাই। ওই ফ্লোরে কেউ কাজ করে না এবং থার্ড আর ফোর্থ ফ্লোরে যারা কাজ করে তারা বাইরে বেহুশ। ফিফথ ফ্লোরে ৭ জন আছে। লাস্ট ফ্লোরে ৩ জন।
রবি ফিফথ ফ্লোরে নেমে আসল। সাথে সাথে আচার্য আবারও ডিস্কানেক্ট হয়ে গেল। এবারও রবির ভয় লাগল না। তার আশেপাশে জীবিত ৭ জন এজেন্টে যাদের অবস্থান জানা নেই। আনট্রাক ৭ জনের বিপক্ষে সে একা কিছুই না। তবুও সে জানে শেষ মুহুর্তে জয় তারই হবে। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস কাজ করছে তার মাঝে।
৩.
রাত ১১ টা ৭ মিনিট
নীরবের হেডকোয়ার্টারে পৌছতে প্রায় ৫ মিনিটের মত লাগবে, এ সময়ই আশফাকের ফোন আসল। আশফাক সিক্রেট এজেন্সীরই ইলেক্ট্রনিকসের জাদুকর। ইলেক্ট্রনিক জগতের সব ধরনের কাজ ওর জানা। নীরব প্রথম থেকেই এর উপর ক্রাশ। ফোনটা রিসিভ করল।
আশফাক---তুমি কোথায়? হেড এ অ্যাটাক হয়েছে।
নীরব---আমার আর কয়েকটা মিনিট লাগবে পৌছতে। তুমি কোথায়।
---আমি সিক্সথ ফ্লোরে। অ্যান্টি-এজেন্ট একজনই, ফিফথ ফ্লোরেই অনেকক্ষণ ধরে আছে। আমি ইন্টার-রেঞ্জ অন করে স্বেচ্ছায় ধরা দিচ্ছি। পাস তো তুমি জানো। বাকিটা তোমার হাতে।
---আমাদের ইন্টেলিজেন্স কই?
---সবাই ধরাশায়ী। অ্যান্টি-এজেন্ট
কে ট্রাক করার আগেই সব শেষ করে দিল। ভাগ্য ভালো যে ছয় তলায় জেনারেটর আছে। এখন ট্রাক করতে পারছি। কিন্তু ট্রাক করলে কী হবে? ওকে শেষ করার জন্য তুমি ছাড়া আর কেউ বাকী নেই।
---ও কোন ইন্টেলিজেন্স?
---ইন্ডিয়ান।
---নাম নাকি কোড?
---নাম রবি।
---হুম। আমার আর এক মিনিট লাগবে।
---ওকে, জাস্ট ডু ইট........
নীরব হেড কোয়ার্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে। সে শুধু তাড়াহুড়া করে চলে এসেছে। সাথে ল্যাপটপ আনে নি। তাই ইন্টার রেঞ্জ অন থাকা সত্ত্বেও সে অ্যান্টি-এজেন্টকে ট্রাক করতে পারছে না। কি করা যায় ভাবতে ভাবতে ব্যাপারটা মাথায় এল। দ্রুত দীপ্তকে কল দিল।
---দীপ্ত, তুমি কোথায়
---তোমার বাসায়ই, অপেক্ষা করছি।
---দেশকে ভালোবাসো?
---আজব, ফোন করে এটা কী জিজ্ঞেস করছ?
---আরেহ্ বল না।
---বাসি।
---তাহলে এবার দেশপ্রেম দেখাও।
---কীভাবে?
---ল্যপটপ অন কর। পাস ***** দেও।
---হুম, করেছি।
---ব্রডব্যান্ড কানেক্ট করে গুগল ম্যাপে ঢুকে আমার নাম্বার ট্রাক কর। আমার জি.পি.এস অন আছে।
---হুম, করেছি। লোকেশন ধানমন্ডি দেখাচ্ছে।
---আমার দক্ষিণের বাড়িটায় স্টার বসানো আছে। স্টারে ক্লিক করে ফয়াউন্ডেশন অপশনে ****** পাস দেও। ইন্টার-রেঞ্জ অন আছে।
---হুম, হয়ে গেছে। হোয়াদ দ্য ফিস!!! মাটির নিচে ছয়টা ফ্লোর!
---গুড জব। এবার আসল কাজ। গ্রীন সাইন কয়টা? রেড কয়টা? লোকেশন সহ জানাও।
---গ্রীন ২৬ টা। গ্রাউন্ড ফ্লোরে একসাথে ১১ টা। ফার্স্ট ফ্লোরে ৫ টা, সেকেন্ড, থার্ড, ফোর্থ ফ্লোর খালি। ফিফথ ফ্লোরে ৭ টা। সিক্সথ ফ্লোরে ৩ টা গ্রীন, একটা রেড।
---গুড। এবার আমার সাথে কানেক্ট থাকো। যখন যা জিজ্ঞেস করব, সাথে সাথে বলবে। তোমার উপর আমার জীবন, অস্তিত্ব সব ছেড়ে দিচ্ছি।
---আরেকটা হোয়াইট সাইন ফার্স্ট ফ্লোরে। সিড়ি ধরে নামছে।
---ওটা আমিই। তোমার কাজ শুধু আমায় ইনফর্ম করা রেড সাইন কোথায় আছে।
---তুমি কি করছ বলতো।
---বিদেশি গুপ্তচরের সাথে যুদ্ধ।
---সত্যি! ইশ যদি লাইভ দেখতে পারতাম।
---ল্যাপটপ এর একদম নিচে ডানে কর্ণারে লাইভ অপশনে ক্লিক কর।
---হোয়াদ দা ফাক!!! এটা কীভাবে সম্ভব?
---আমার চোখের লেন্সে ক্যামেরা বসানো। আমি যা দেখি, তুমিও তাই দেখছ। কিন্তু শুধু লাইভই দেখ না। রেড এর লোকেশন দেখ। আমরা জাস্ট পাঁচ মিনিট সময় নিব। আমি কোন ফ্লোরে আছি?
--- ফোর্থ। রেড সাইন নড়ছে। হ্যা, ও উপরে উঠে আসছে।..... ও ফিফথ ফ্লোরে আছে।
---ওকে, আমাকে লুকোতে হবে।
---কুইক, ও ফোর্থ ফ্লোরে আসতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় নিবে।
---হুম, আমি রেডী।
---রেড তোমার পাশেই। মাঝে শুধু দেয়ালের তফাৎ।
---জুম করে দেখ, দেয়াল থেকে ওর দূরত্ব কতটুকু।
---বড়জোড় এক হাত, নড়ছে না। একদম স্টিল। হোয়াদ দ্য ফাক!!! দেয়াল কীভাবে রেডকে ধাক্কা দিল? তুমি দেয়াল নাড়ালে কীভাবে?
---ওটা দরজা ছিল। দেয়াল না। আমি লাত্থি দিলাম। আর দরজাটা খুলে গেল।
---ও আচ্ছা। রেড নড়ছে। সম্ভবত উঠে দাড়াচ্ছে।
---ইনজয় দ্য ফাইট অন লাইভ। .....
৪.
রাত এগারোটা,
রবি ফোর্থ ফ্লোরে ফিরে এল, আচার্যও কানেকশন পেল।
---তুমি আমায় ওদের লোকেশন বল। আমি ডাইরেক্ট অ্যাকশনে যাচ্ছি।
---সম্ভব না। ড্যামেজ রেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাক করতে পারছি না। তোমার সাথে একটু পর কানেকশনও কাট হয়ে যাবে।
---শিট। আমি তাহলে রিস্ক নিচ্ছি।
---হুম। নাও।
রবি আবার ফিফথ ফ্লোরে নেমে এল। এ ফ্লোরে ৭ জন এজেন্টই জানে রবি সিড়ির গোড়ায় আছে। তাই রবি যে কোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। রবিও বুঝতে পারল সে বেশী সময় পাবে না। ওরা ৭ জন যে কোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। হঠাৎ করেই মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল। প্রতিটা ফ্লোরেরই কাঠামো একই, রবি ফিফথ ফ্লোর সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা করে এক টুকরা বিস্ফোরক করিডর ধরে ছুড়ে দিয়ে সেকেন্ড কাউন্ট শুরু করল। ফোর, থ্রি, টু, ওয়ান..... বুমমমম.....
রবির আইডিয়াটা কাজ করেছে। ৭ জন এজেন্টই বের হয়ে বিস্ফোরক লক্ষ্য করে একটানা গুলি করল। সাথে দুই একজন জয়োধ্বনিও করল। রবিও মুহুর্তের মধ্যে আরও ৮ টা গুলি খরচ করল। ফিফথ ফ্লোর ফিনিশ। ৭ টা লাশ, সমান দূরত্বে পরে আছে, দৃশ্যটা রবির খুব ভাল লাগল। একটা পিস্তলের চেম্বার খালি হয়ে গেছে। পিস্তলটা ফেলে দিয়ে সে সিক্সথ ফ্লোরের দিকে পা বাড়াল।
সিক্সথ ফ্লোর অন্ধকার হয়ে আছে। সে সিড়ি ধরে নিচে নামতে লাগল। হঠাৎ দুজনের কন্ঠ শুনতে পেল,
---রবি ফিনিশড
---কীভাবে বুঝলে?
---শুনলে না উপরে গোলাগুলি হল।
---তাতে কী! রবি যদি গুলি করে থাকে?
---তুমি জয়োধ্বনি শুন নি?
---তা ঠিক। আচ্ছা চল।
রবি বুঝতে পারছে এদের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারটা বেঁচে আছে। রবিকে ট্রাক করে ডিটেইলস বের করে ফেলেছে। তাই ওরা রবির নাম জানে। রবি মনে মনে খুশিও হল, ওরা ভাবছে রবি মারা গেছে। রবি দ্রুত সিড়িতে পজিশন নিল। ওরা দুজন সিড়ির কাছে আসতেই রবি ট্রিগার টিপল। আরও দুটি লাশ পরে গেল।
রবি আবার হিসেব কষতে বসল। এখনও দুইজন বাকি। একজন হেডকোয়ার্টারেই আছে, আরেকজন হেডকোয়ার্টারের বাইরে। সে চারপাশে তাকাল বাকি একজনকে খুঁজতে। হঠাৎ আরেকটা কন্ঠ শোনা গেল,
---গুলি চালাবেন না
---তো কী করব?
---আমি আত্মসমর্পণ করছি।
---লজ্জা করছে না? ভিক্ষা চাইছ?
---যা ইচ্ছা বলুন। কিন্তু গুলি চালাবেন না।
---তোমাকে বাঁচিয়ে রেখে আমার লাভ?
---আপনি যা চান তাই পাবেন।
---তোমাদের কাছে যত গোপন ইনফরমেশন আছে সব চাই।
---করিডরের শেষ রুমে মূল কম্পিউটার।
---জেনারেটর টা কোথায়?
---ওর পাশের রুমেই।
---ধন্যবাদ, তোমায় আর আমার দরকার নেই।
রবি ট্রিগার আবার চাপল। আশফাকের লাশটা ওর পায়ের কাছে হেলে পড়ল। রক্তের সরু একটা ধারা এগিয়ে চলল। রবি করিডর ধরে এগোল। জেনারেটরের রুমে ঢুকে মূল কম্পিউটার ব্যতীত বাকী সব কানেকশন খুলে ফেলল। ২০ সেকেন্ডের মাথায় আচার্যের কন্ঠ ভেসে এল।
---বাহ্! ১০ মিনিটে অল ক্লিয়ার?
---ইয়াপ! মিশন কমপ্লিট।
রবি কম্পিউটার রুমে এল। টেবিলের উপর কয়েকটা পেন্ড্রাইভ আছে। সে একটা ৬৪ জিবি পেন্ড্রাইভ তুলে নিল। তার পকেট থেকে নিজের পেন্ড্রাইভ বের করে কম্পিউটারে এন্ট্রি করাল। তার পেন্ড্রাইভ এ একটি ভাইরাস প্রোগ্রাম আছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ভাইরাস টি কম্পিউটারের সব হিডেন আনহিডেন ফোল্ডার লিস্ট আকারে বের করে দিল। রবি সবগুলো ফোল্ডার ৬৪ জিবি পেন্ড্রাইভে মুভ করতে লাগল। হঠাৎ রবির কানের যন্ত্র সাড়া দিতে লাগল।
---কেউ একজন আছে থার্ড ফ্লোরের সিড়ি বেয়ে ফোর্থ ফ্লোরে নামছে।
---ওয়াও, আমি জানি এটা কে।
---কে?
---এজেন্ট নীরব জামান।
---ওয়েট, আমায় দেখতে দাও.......(কয়ে
ক সেকেন্ড পর) হুম, ঠিক আছে।
---তাহলে আবার দেখা হয়েই গেল।
---হুম, এখন কি করবে?
---মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে। লোকেশন বল, আমি উপরে উঠছি।
---ও পাঁচ তলায় অপেক্ষা করেছে।
---আমিও পাঁচ তলায় প্রায় চলে এসেছি।
---ও লুকোচ্ছে।
---এটা কীভাবে সম্ভব?
---তোমায় ট্রাক করে ওকে কেউ লোকেশন জানাচ্ছে।
---তাহলে আর মুখোমুখি হচ্ছি না, ডাইরেক্ট শ্যুট করব।
---ও তোমার ডানপাশের দেয়ালের পিছনে।
---ডানে দরজা আছে একটা।
---তাহলে পজিশন নাও শ্যুট কর। গুলি দরজা ভেদ করবে।
---পজিশন নিয়েছি।
---শ্যুট নাউ.......
রবি ট্রিগার টিপবে এমন সময় মনে হল দরজা টা তার দিকে ছিটকে আসছে। মুহুর্তের মধ্যে তাকে দরজাটা ধাক্কা দিল। সে নড়ারও সময় পেল না। পিস্তল হাত থেকে ছিটকে কোথাও পরে গেল। ৫ সেকেন্ড পর উঠে বসে মাথা ঝাকাল। চুল ঘন আর বড় হওয়ায় ধাক্কাটা তেমন একটা লাগে নি। হঠাৎ চোখে শক্তিশালী টর্চের আলো পরল। তাকে যেন অন্ধ করে দিল। মনে হল চোখের ভিতর আগুন ঢেলে দেওয়া হয়েছে। গলা চিরে আর্তচিৎকার বেরোল........
৫.
দীপ্ত ভিডিও প্লেয়ারের দিকে তাকিয়ে আছে লাইভ ফাইট দেখার জন্য। তবে হতাশ হল। স্ক্রিনে আলো ফুঁটে উঠেছে। নীরব হয়ত রেডের চেহারা দেখবে, তাই টর্চ জালিয়েছে। ২ সেকেন্ডের মধ্যেই স্ক্রীনে একটা চেহারা ভেসে উঠল। মুহুর্তে দীপ্ত হতাশা কেটে চমকাল। এ চেহারা তার চেনা। ছেলেটার নাম শান্ত, খুবই অল্পবয়েসী। গত সপ্তাহেই দীপ্তর সাথে কথা হয়ে grindr এ। তখন ছবি দেখেছিল। এতটুকু ছেলে কিনা সিক্রেট এজেন্ট!!!
নীরবও শান্তকে দেখে চমকে গেল। যেই ছেলে আজ বিকেলে তার সাথে পার্টনার হিসেবে মিট করল সেই কিনা তার শত্রু। এই কি না এজেন্ট রবি আর ছদ্মনাম শান্ত। নীরবের হতবাক হওয়াটা রবিকে কিছু সময় দিল। হাতে পিস্তল না থাকায় সে সরাসরি নীরবের উপর ঝাপিয়ে পরল। রবির আচমকা ঝাপ দেওয়ায় নিরব পরে গেল। টর্চ ভেঙে গেল, পিস্তল ছিটকে দূরে সরে গেল। তবে দ্রুত নীরব নিজেকে সামলে নিয়ে উঠে দাড়াল। রবিও প্রস্তুত হয়ে আছে নীরবের আক্রমণের জন্য। কিন্তু নীরব আক্রমণ করল না। ভাবতে লাগল, বিকেলে ছেলেটারর এক হাত ফুলে ছিল। ওই হাতে একটা জখম আছে। ওর দুর্বল জায়গা আপাতত ওটাই। কিন্তু কোন হাত তা নীরবের মনে নেই। সে মনে করার চেষ্টা করল। অন্যদিকে নীরবকে চুপচাপ দেখে রবিই প্রথম আক্রমণ করল। নীরব আক্রমণটা প্রতিহত করেই রবির হাত দুটো চেপে ধরল। আবারও রবির গলা চিড়ে আর্তচিৎকার বেরোল। নীরব হাত চেপে ধরেই বুঝল বাম হাত ফোলা, এ হাতেই জখম। সে ডান হাত ছেড়ে দিয়ে বাম হাতে চাপ বাড়াল। রবিরও চিৎকার বাড়ল। একসময় চিৎকার কমে এল। রবি নেতিয়ে পরল। ধীরে ধীরে অজ্ঞান হয়ে গেল। এবার নীরব হাত ছেড়ে দিয়ে দড়ি খুঁজে আনল। রবিকে একটা চেয়ারে শক্ত করে বেঁধে সিড়ির দিকে দৌড় দিল.......
আশফাক গুলি খেয়েছে ৬ মিনিট হয়েছে। গুলিটা বুকে লাগে নি। বগল ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। নীরব এজেন্সীর ডাক্তারকে ফোন করে আশফাককে সিক্সথ ফ্লোরেই অপারেশন রুমের বেডে শুইয়ে দিল।
২০ মিনিট পর........ ডাক্তার আশফাককের বগল ব্যান্ডেজ করে বাকী ২৫ জন এজেন্টেরই জ্ঞান ফিরিয়েছে। রবি যাদের গুলি করেছে প্রত্যেকেই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট গায়ে ছিল। কিন্তু বুলেট এর ধাক্কা খুব জোরে লাগায় প্রত্যেকেই জ্ঞান হারিয়েছে। এখন সবাই সুস্থ। কোনো খুন হয় নি। রবিকে ওদের হাতে তুলে দিয়ে নীরব বাসায় ফিরে চলল......
দীপ্ত খুব উত্তেজনা নিয়েই অপেক্ষা করছিল। নীরব ফিরতেই দীপ্ত কংগ্রাটস জানাল। কিন্তু নীরবের কোনো দিকে খেয়াল নেই, সে বাথরুমে ঢুকে শাওয়ার নিয়ে সরাসরি বিছানায় এগোল। দীপ্তও বিছানায়ই ছিল। নীরব বড়ই ক্লান্ত। সে দীপ্তর বুকেই গুটিশুটি মেরে ঘুমোতে লাগল। দীপ্তও নীরবের চুলে বিলি কেটে ঘুম পাড়িয়ে দিল........
৬.
পরদিন সকাল ১০ টার দিকে নীরবের ঘুম ভাঙল। খুব ফ্রেশ লাগছে। পাশেই দীপ্ত ঘুমোচ্ছে। নীরব দীপ্তকে কিছুক্ষণ অবলোকন করল। তারপর আলতো করে ঠোটে একটা চুমু খেল। দীপ্তও চোখ মেলে তাকাল। চোখে এক বিশেষ আকুতি। নীরব দীপ্তের হাত দুটি আকড়ে ধরে বলল, "কাল রাতে তুমি আমার পাশে না থাকলে আজ আর আমার অস্তিত্ব থাকত না। আজীবন আমার পাশে থেকে এভাবেই আমার অস্তিত্ব রক্ষা করবে?" দীপ্ত আন্তরিকতার সাথে জবাব দিল, "থাকব, সবসময় থাকব।" নীরব আবার জিজ্ঞেস করল, "কাল যেনো আমরা কোথায় ছিলাম?" দীপ্ত এবার আর মুখে জবাব দিল না। নীরবের ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে জবাব দিল.......
ঘন্টাখানেক পর নীরব ফ্রেশ হয়ে ফোন হাতে নিল। কয়েকটা মেসেজ আছে। দুইটা আশফাকের, বাকীগুলো কোম্পানির। আশফাকের মেসেজগুলো অন করল। প্রথমটা কাল রাত ১১ টার কাছাকাছি পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আশফাক আত্মসমর্পণের আগেই পাঠিয়েছে। "আমি জানি তুমি আমায় বাঁচাবে। আমার অস্তিত্ব রক্ষা করবে।" আরেকটা আজ সকালে ৮ টার দিকে, "এবার না হয় আমায় রক্ষা করলে। আমার অস্তিত্বকে বাঁচিয়ে রাখলে। ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে তো?"
নীরবের মাথায় কেউ যেন মুগুর দিয়ে মারল। আশফাক তাকে ইঙ্গিতে ভালোবাসার কথা বলেছে। সে আশফাককে কখনো না করতে পারবে না। আর অন্যদিকে দীপ্তকে নিজে প্রস্তাব করেছে। নীরব কি করবে বুঝতে পারছে না। নিজের অস্তিত্ব নিয়ে এখন সে টানাটানিতে পরে গেল..........
.
*****সমাপ্ত*****
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ