āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4754 (1)

দাজ্জাল বউ

পর্বঃ প্রথম (১ম)

লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (বালিকার হ্নৎস্পন্দন)



---কি দাদু ভাই বাসর ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছো ।(হাসতে হাসতে বলল দাদু)
---না দাদু ভয় পাবো কেন ।(নাসির)
---দাদু ভাই মুখে বললে হবে । তোমার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে হুম ।
---কি যে বল না দাদু আমি ভয় পাবো কেন বউ কি বাঘ নাকি পেত্নি যে ভয় পাচ্ছি ।
---দাদু ভাই বউ কখনো বাঘ কখনো কখনো পেত্নি হয় যদি ঠিক মতো কাজ না করতে পার ।
---কি বল দাদু ঠিক মতো কাজ না করতে পারলে কি কাজ দাদু ।
---আরে দাদু ভাই তুমি বোঝো নাই নাকি না বোঝার বান করছো ।
---আমি সত্যি বলছি দাদু ।
---দাদু ভাই আমি তোমাকে বুঝাতে পারবো । আমারও বন্ধুরা বলেছিল আমিও প্রথমে বুঝি নাই পরে ঠিক বুঝতে পেরেছিলাম ।
---কি বল দাদু ।
---তা বলবো না । আমি নাতিভাইয়ের কাছে শুনে নিব যে ঠিক মতো কাজ করতে পেরেছে কিনা ।(দুষ্টামির হাসি দিয়ে)

সালার বুইড়া যদি কিছু হয় তোমারে যে কি করমু তা আমি নিজেই জানি না । তোমার এই দাদু ভাইরে বললে কি হতো সালার বুইড়া । (মনে মনে বলছি)

---কি দাদু ভাই এই বুইড়াকে বকা দিচ্ছো তাই না ।
---কি যে বল দাদু আমি তোমাকে বকছি এই কথা বলতে  পারলা ।
---দাদু ভাই চুল কিন্তু এমনি এমনি সাদা হয় নাই । আমি তোমার মতো ছিলাম । আমিও আমার বন্ধুদের বকা দিয়েছিলাম ।
সালার বুইড়া সব বুঝতে পারে ।
---হুম (দাঁত বাহির কইরা দিলাম হাসি)
---দাদু ভাই যা এখন নাতিভাই মনে হয় একা একা বসে কি করছে ।
---হুম তোমার নাতিভাই একা হা-ডু-ডু খেলছে ।
---আরে দাদু ভাই কি বল হা-ডু-ডু সে একা খেলতে পারবে না তোমাকে ছাড়া ।
---মানে ।
---দাদু ভাই মানে বলতে হবে না যাও ।
এই বলে দরজা খুলে রুমের ভেতর ঢুকিয়ে দিল । সালার বুইড়ার শক্তি আছে বটে আমার মতো ইয়াং ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে পারতো না ।
এইসব ভেবে খাটের দিকে গেলাম ।
খাটের কাছে গিয়ে দাড়িয়ে গেলাম ।
আমার বউ খাট থেকে নেমে আমার পা ছুঁয়ে সালাম করলো । আবার খাটে গিয়ে বসে পরলো ।
একটু খানি আর চোখে দেখলাম অনেক সুন্দর লাগছে । বিয়ের আগে দেখেছিলাম তখন সরমের কারনে ভালো করে দেখি নি ।
ও আমাদের তো পরিচয় তো দেইনি আমি মোঃ নাসির ইসলাম মাহিম
আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য ।
আমি আমার আব্বুর অফিসে দেখা শোনা করি মানে আমার আব্বুর অফিসে চাকরি করি ।
বাড়ি বেলকুচি
আর আমার বউ মানে রাকা ।
আমার বউ এর নাম  মোছাঃ রুকাইয়া খাতুন রাকা
তার পরিবারে এক মাত্র মেয়ে খুব রাগি ।
থাক আর বলবো না । পরে সময় হলে বলে ফেলব ।

আমি গিয়ে খাটে বসলাম ।
আমার বউ মানে রাকা ইয়া বড় ঘোমটা দিয়ে বসে আছে ।
বাংলা সিনেমার মতো দৃশ্য আহ্ দেখতে খুব সুন্দর লাগছে ।
আমি সাহস করে গিয়ে রাকার ঘোমটা সরিয়ে ফেললাম ।
যেমনি ঘোমটা খুললাম ওমনি ভয় পেয়ে গেলাম ।
এ মা এতো বড় বড় করে চেয়ে আছে কেন পুরাই পেত্নির মতো চেয়ে আছে ।
তখনি রাকা বলে উঠলো ,
---আপনার এতখন লাগে রুমে আসতে । (খুব গরম হয়ে)
---না মানে একটু কাজ ছিলতো তাই দেরি হয়ে গেছে । (নাসির)
---ওই কি বললেন বিয়ের দিনও আপনার কাজ করা লাগবে ।
---না মানে ।
---বলতে হবে না যান ওযু করে আসেন ।
---ওযু করে আসবো মানে ।
---ওতো মানে মানে করতে হবে না যেটা বলছি সেটা করুন ।
---ওকে যাচ্ছি । আপনি করবেন না ।
---হুম আমি আপনার সাথে যাচ্ছি ।

এই বলে দুজন ওয়াশ রুমে চলে গেলাম । সেখান থেকে ওযু করে দুজনে রুমে আসলাম ।
তারপর দুজনে দুই রাকাত নফল নামায পরে নিলাম ।

এখন দুজনে বসে আছি খাটের মাঝ খানে ।
কেউ কথা বলছি না ।
রাকা প্রথমে কথা বলল ,
---আপনি কথা বলেন না কেন ।(রাকা)
---কি বলবো বুঝতে পারছি না ।(নাসির)
---ও আচ্ছা আপনি এতো দেরি করে ঘরে আসলেন কেন ।
---দাদুর সাথে কিছু কথা বলছিলাম তো তাই খেয়াল ছিলো না কত বাজে ।
---কি কথা বলছিলেন হু ।
---দাদু বলছিল আপনি নাকি একা হা-ডু-ডু খেলতে পারেন না তাই আমাকে নাকি আপনার সাথে খেলতে হবে ।
---হাহাহা খেলবেন নাকি হ্যা ।(হেসে হেসে)
---হুম আচ্ছা ওটা কিভাবে খেলে ।
---সেটা একটু পর বুঝবেন ।
এর মধ্যে ফোন বেজে উঠলো ।

---আচ্ছা আমি একটু বাহিরে থেকে কথা বলে আসি ।
---এখানে বলেন সমস্যা নাই । আর যদি সমস্যা হয় তাইলে বেলকুনিতে গিয়ে কথা বলেন ।
---না একটু বাহিরে যেতে হবে ।
---আচ্ছা যান কিন্তু তারাতারি আসবেন ।
---আচ্ছা ।
এই বলে বাহিরে গিয়ে ফোনটা রিসিভ করলাম ।
---হ্যালো (নাসির)
---নাসির কেমন চলছে বাসর রাত ।(ভাবি)
---কি যে বলেন ভাবি ।
---কেন এখনো কিছু হয় নাই ।
---না ভাবি ।
---আর শোন বিড়াল কিন্তু বাসর রাতে মারতে হয় ।(হেসে হেসে)
এই বলে ফোনটা কেটে দিল সালার সব অদ্ভুত অদ্ভুত কথা জা আগে কথনও শুনিনি ।
নিচে থেকে খুব মজা নিচ্ছে কাল সকালে ধরমুনি ।
এই বলে রুমে ঢুকলাম ।
---আপনি এতোখন কথা বললেন ।
---না মানে ভাবি ফোন দিয়েছিল ।
---জানেন না আমি একা একা রুমে থাকতে ভয় পাই ।
---ও আমি তো জানি না । আচ্ছা পরবর্তী বাসর ঘরে ভুল হবে না ।(কথাটা বলে জিব্বা কামর দিলাম)
---তুই কি বললি আর একটা বিয়ে করবি । ওই কাছে আসবি না যা বলেছি ।
---না তো তুমি থাকতে আর একটা বিয়ে করবো ক্যা । আর আমি বাসর ঘর ছেড়ে কোথায় যাবো বল ।
---না তোকে দিয়ে বিশ্বাস নাই যা ওই বেলকুনিতে গিয়ে শুয়ে থাক ।
---দেখ এই রাতে শুয়ে থাকলে মশা কামড়ে শেষ হয়ে যাবো ।
---না তোর এই শাস্তি যা । আর না গেলে কান্না করমু কিন্তু ।
কি আর করা গেলাম একটা বালিশ আর চাদর নিয়ে ।
কিছুখন পর বুঝতে পারলাম মশার কি ঝালা ।
অত্যঃপর ভিতর থেকে শব্দ পেলাম ।
---এই যে আপনি ভিতরে আসেন ।
তখন তুই তুই করল আর এখন আপনি ।
---কি হলো কথা শুনতে পাচ্ছেন না ।
কি আর করা বিয়ে যেন করেছি এখন সব কিছু করতে হবে । কেন যে রাকার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারি না ।
---জ্বী আসছি ।
ভিতরে গেলাম ।
---আমার পাশে শুয়ে পড়েন । আমার একা একা ভয় লাগে ।
---আচ্ছা ।
এই বলে পাশে শুয়ে গেলাম ।
---শোনেন আমাকে টাচ করবেন না বলে দিলাম ।
---হুম ।
দুজন শুয়ে আছি ।
গভীর রাতে ঘুম ভেংগ্গে গেলো ।
রাকা আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে ।
এমন অবস্থা কোন পুরুষও ঠিক থাকতে পারবে না ।
তেমনি আমিও পারি নাই ।


চলবে পরবর্তী পর্বে ।

দাজ্জাল বউ

পর্বঃ দ্বিতীয়  ( ২য় )



কারও স্পর্শে ঘুমটা ভেংগ্গে গেলো ।
চোখটা খুলে দেখি রাকা মাথায় হাত বিলিয়ে দিচ্ছে ।
---এখন উঠে পরুন সকাল হয়েছে । (রাকা)
---হুম একটু পরে উঠি । (নাসির)
---কিহ্ বললেন আপনি ।
---বললাম একটু পরে উঠি
---ওঠবেন কি নাকি পানি ঢেলে দিব । (গরম হয়ে)
---বাবা তুমি দাজ্জাল বউ বিয়ে করালে কেন একটু ঘুমাতে দেই না  ।
---হুম দাজ্জাল বউ । দেখবেন দাজ্জাল বউ কি করতে পারে উঠবেন কিনা নাকি পানি , দারান আমি পানি আনছি ।
---ওই দারান । থাক কিছুই আনতে হবে না আমি উঠতেছি ।
---এই তো লক্ষী ছেলে । (
আমার গালটা ধরে বললো)

আহ্ কতো স্বপ্ন ছিলো সিনেমার মত বিয়ের পরের দিনে সকালে বউ আমাকে একটা লিপ কিস্ করবে ।
সালার কপাল রে এই টুকু স্বপ্ন সত্যি হলো না ।
আরও যে কত স্বপ্ন ছিলো সেগুলো মনে হয় আর স্বপ্ন সত্যি হবে না । স্বপ্ন থেকে যাবে ।
থাক এসব কথা এগুলি বলে আর লাভ নাই যা হবার তা তো হয়ে গেছে এই দাজ্জাল মেয়েকে বিয়ে করে ।
ঘুম থেকে উঠে চলে গেলাম ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হতে ।
অত্যঃপর
রুমে বসে আছি বউ পাশে নেই নিচে গেছে একা একা কেমন জানি শূন্যতা লাগছে ।
তাই একটু নিচে যাচ্ছি । সিঁড়ি দিয়ে নেমে দেখি ।
বউ আর দাদু কথা বলছে হেসে হেসে ।
একটু হিংসা লাগছে সালার বুইড়া ঘরে একটা বউ থাকতে নাতিন বউ এর লগে টাংকি মেরে হেসে হেসে কথা বলা হচ্ছে ।
সালার বুইড়া দেখি আমার দিকে তাকিয়ে রাকাকে কি যেন বলল । তখনি রাকাও আমার দিকে তাকালো ।
দাদু দেখি কে যেন বলে অট্ট হাসিতে হাসতে লাগলো ।
তখনি মেজাজটা গরম হয়ে গেলো । আর তখন নিচে নামলাম না সোজা রুমের দিকে গেলাম ।

রুমে গিয়ে ভাবলাম । আচ্ছা বউ আর দাদু হেসে উঠলো কেন । কালকের রাতের কথা বলাবলি করছিল নাতো আমাকে দেখে সেই জন্য হেসে উঠলো নাকি , নাকি অন্য কিছুর জন্য হেসেছে । পরে দাদুর কাছে শুনে নিবো তারা মানে দাদু আর রাকা আমার দিকে তাকিয়ে কি বলে হাসল ।

---আরে ছোট আব্বু এখানে দাড়িয়ে কেন নিচে যাবে নাকি । (ছোট মামি)
---হ্যা মামি একটু নিচে যেতে চাইছিলাম একা একা ঘরে কেমন জানি লাগছে তাই একটু বাহিরে যেতে চাইছিলাম  । (নাসির)
---তাহলে চলেন যাই আপনার বউ এর কাছে যাই তাইলে বাহিরে চাইতে অনেক ভালো লাগবে  । (মিষ্টি হেসে হেসে)
---কি যে বলেন না ছোট মামি ।
---ইস্ আব্বু বুঝি লজ্জা লাগে ।
---হে আল্লাহ আমি কি করলাম বিয়ে করে সবাই শুধু আমাকে নিয়ে মজা নেয় ।
---কি বল এগুলি আব্বু ।

ধ্যাত এখান থেকে চলে এলাম রুমে । মেজাজটা ১০০০ ভোল্টে গরম হয়ে গেছে ।

ওখান থেকে চলে এসে রুমে এসে বসে আছি ।
মাথাটা প্রচন্ড গরম হয়ে আছে । সালার সবাই মজা নেয় । আগে জানলে বিয়ে করতাম না । মানুষ কেন যে বিয়ে করে বুঝি না । বিয়ে শুধু প্যারা ছাড়া আর কিছু নাই ।
রুমে বসে এগুলি ভাবছি ।
কে যেন দরজা নক করছে ।
ভিতরে আসতে পারেন ।
আর একজন এর আগমন এটাও বুঝি আমার ১২টা বাজাবে ।

---কি মশাই মুখটা শুকনা কেন । কি হয়েছে । (ভাবি)
---কই নাতো । কিছুই হয়নি । (নাসির)
---আরে মুখে বললে হবে বুঝতে পারছি কি হয়েছে ।
---কি বুঝলেন হ্যা ।
---সেটা রাকার কাছে বলবো নি ।
---আচ্ছা ।
---মশাই ঠিক মতো বিলাই মারতে পারছেন কি ।
---কি বলেন ভাবি আমি বুঝতে পারি নাই তো । একটু ক্লিয়ার করে বলবেন ।
---আহারে ছোট ভাই আপনি কি পিটার খাও যে এখনো বোঝেন নাই । বল বল তারাতারি লজ্জা করতে নাই ।
---হে আল্লাহ কি ঝালায় পরলাম আমি সব খানে শুধু আমাকে নিয়ে মজা লয় ।
---কেন ছোট ভাই কি হয়ছে হু । রাতে বুঝি...
---আচ্ছা ভাবি আপনাদের কি সরম বলতে কিছু নাই । বাসর রাতের কথা কি শুনতে হয় ।
---হু ছোট ভাই সরম নাই ক্যা । আপনি বলে ফেলেন সমস্যা নাই ক্যা ।
---হে আল্লাহ তুমি আমাকে বাঁচাও সবার হাত থেকে সবাই আমারে পাগল পাইছে ।
---হিহিহি ।
---হাসেন হাসেন মন প্রাণ খুলে বেশি বেশি করে হাসেন ।
---কেন ছোট ভাই খুব প্যারার মধ্যে আছো বুঝি ।
---ভাবি মেজাজ কিন্তু হাই ভোল্টে গরম হয়ে যাইতেছে ।
---আচ্ছা আমি যাইতেছি ।
---আচ্ছা যান তাইলে ।
---ওকে যাচ্ছি ।
এই বলে ভাবি চলে গেলো ।
ইস্ আগে জানলে বিয়ে করতাম না সালার কেন যে বিয়ে করলাম ।

আবার রুমে এসে ,
---ছোট ভাই আপনার বউকে মানে রাকাকে পাঠিয়ে দিবো ।
---জানি না আপনার মাথা ।
---আপনার দাজ্জাল বউকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ।
---যাইবেন নাকি । নাকি আমি উঠবো । (উঠে দারালাম)
---আচ্ছা যাচ্ছি ।
এই বলে চলে গেলো ।

আর ভালো লাগে না ।

রাকা দাজ্জাল হলেও অনেক ভালো লাগে । দেখতে অনেক সুন্দর এবং মায়াবতী সেই জন্য রাকার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারি না ।
না আর একা একা ভালো লাগছে না ।
এখন অনেক বাজে একটু পর দুপুর হয়ে যাবে ।
একটু পর আবার রাকার বাড়ি থেকে অথাৎ শোশুর বাড়ি থেকে লোকজন আসবে ।
তাই একটু বাহিরে থেকে ঘুরে আসি ভালো লাগবে তাই বিছানা থেকে নেমে মোবাইল ফোনটা নিয়ে বাহিরের রওনা হচ্ছি ।
এর মধ্যে দাজ্জাল বউ এর আগমন ।
বাহিরে যাওয়ার জন্য পা বারাবো তখনি দাজ্জাল বউ মানে রাকা আমার শার্টে কলারটা ধরে বলল ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।


ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।


লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (বালিকার হ্নৎস্পন্দন)

#দাজ্জাল_বউ

পর্বঃ তৃতীয়  (৩য়)



রাকা আমার শার্টের কলার ধরে ফেলে আমিও সিনেমার মতো তাকেও ধরি ।
রাকা আমার শার্টের কলার ধরে তার কাছে নিয়ে গেলো ।
এতোটা কাছে নিলো যে আমাকে তার চোখ আর আমার চোখ কিছুটা দূরত্ব রেখে চোখের ভাষায় কিছু বলতে চাইছে ।
আমি রাকার চোখের পানে চেয়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করছি । আসলে কি ও দাজ্জাল নাকি দাজ্জাল বউ হয়ে মতো আমাকে শাসন করতে চায় । কিন্তু ব্যর্থ হয়ে গেলাম কিছুই বুঝতে পারছিনা ।
রাকা বলল ,
---তুই আমাকে একলা রেখে কোথায় যাস । (রাকা)
আমি নিশ্চুপ হয়ে রাকার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি ওর দাজ্জাল মার্কা চোখের ভাষা বুঝতে চাচ্ছি ।
---ওই তুই আমার কথা শুনতে পাশ নাই ।
---হুম আমি শুনতে পায়নি ।
---তুই কি কানে কোম শুনিশ ।
---হুম অনেক কানে কোম শুনি ।
আর কথা বলল না ।
এখনো আমার শার্টের কলার ধরে আছে আমিও ছাড়ছি না ।
আমি চাচ্ছি আমাকে এভাবে ধরে থাকুক ।।।
আবার রাকা বলল ,
---তুই কালকের রাতে ঠিক করিস নাই । আমাকে জড়িয়ে...
কথাটা শেষ নাহ্ হতে হতে কে যেন ঘরে প্রবেশ করল তখনি রাকা আমাকে ছেড়ে দিয়ে দূরত্ব বজায় রাখে । রাকা একটু লজ্জা পেয়েছে ।
---আরে দুলা ভাই সরি সরি নক করে আসতে ভুলেগেছি । (শালিকা)
---আচ্ছা তানজিম ঠিক আছে বস । (নাসির)
---জ্বী দুলা ভাই । আপনিও বসেন । আপু তুইও বস ।
এখন তিন জন খাটের উপর বসে আছি ।
-
---আচ্ছা ভাইয়া এই মাত্র কি রোমান্টিকটা ঘটতে ছিল একটু বলবেন । (দুষ্টামির বান করে)
কথাটা শুনে আমি রাকার দিকে তাকালাম দেখি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে । বুঝতে পারলাম টাইম বোমা টাইম মতো ফেটে যাবে আমার খবর আছে ।
---কি যে বলোনা চোখের ভেতর কি যেন পরেছিল তাই ওটা বেরকরে দিচ্ছিলো ।
(কথাটা গুরানো চেষ্টা করছি)
---চোখে ভেতর পরেছিল নাকি অন্য কিছু ।
---আসতে পারি । (আর একটা শালিকা আরও কিছু মেহমান )
---হুম আসো । (নাসির)
---কেমন আছেন ভাইয়া । (ছোট শালিকা মিম)
---জ্বী ভালো । তোমরা । (নাসির)
---জ্বী ভাইয়া ভালো । (ছোট শালিকা)
---আপু তুই কেমন আছিস । (ছোট শালিকা)
---ভালো । তুই । (রাকা)
---ভালো ।
---ওই তানজিম তুই এখানে আর আমরা খুঁজে হয়রান হ্যা । (ছোট শালিকা)
---হুম আমি এখানে কি দেখলাম জানিস । (তানজিম)
---কিরে আপু কি দেখলি বলনা ।
---রোমান্টিক দৃশ্য ।
---সেটা কি ।
---সেটাহলো ভাইয়া...
কথাটা শেষ করতে দিল না ।
---ওই তোরা চুপ থাকবি নাকি । (রাকা)
এর মধ্যে আব্বু ফোন দিল ।
---হ্যালো ।(নাসির)
---একটু নিচে আইতো । (আব্বু)
---জ্বী আব্বু আসতেছি ।
এই বলে ফোনটা কেটে বললাম ।
---তোমরা তোমার আপুর সাথে কথা বল আমার একটু কাজ আছে আমি আসি ।
---জ্বী ভাইয়া যান ।
আমি রুম থেকে বের হয়ে নিচে গেলাম ।

---আব্বু কিছু বলবেন । (নাসির)
---তোর ছোট মামাকে ফোন দিয়ে একটু তারাতারি জিনিস গুলো আনতে বল । (আব্বু)
---জ্বী আব্বু ফোন দিচ্ছি ।
---আর তুই একটু এদিক গুলি দেখ আমার কিছু কাজ আছে আমি যাচ্ছি ।
---জ্বী আব্বু আপনি যান আমি এদিকে দেখছি ।
---আর শোন ।
---জ্বী বলেন ।
---তোর ছোট মামা আসলে আমার কাছে পাঠিয়ে দিস ।
---জ্বী আব্বু আসলে পাঠিয়ে দেব ।

---দাদু ভাই কাজ কর্ম কতোদূর ।(নাসির)
---এইতো শেষের দিকে । (লোকটি)
---আচ্ছা ভালো করে কাজ করেন ।
রান্নার ওখান থেকে এসে যেখানে খাওয়াবে সেখানে আসলাম ।
ঘুরে ঘুরে দেখছি অনেক সুন্দর হয়ছে ।।।
অত্যঃপর ।
---মামা আপনাকে আব্বু দেখা করতে বলেছে । (নাসির)
---কোথায় । (ছোট মামা)
---আব্বুর রুমে যান ।
---আচ্ছা ।

রান্না করা এবং বিভিন্ন কাজ কর্ম শেষ ।

অত্যঃপর
এখন গোসল করার পালা ।
গোসল করানোর আগে নাকি কিছু খেলা আছে ।
পাশা খেলা আরও ইত্যাদি ইত্যাদি খেলা বলে খেলতে হবে তাও আবার আমাদের মানে আমাকে আর রাকাকে খেলতে হবে ।।।
আদিমযুগ থেকে প্রচলিত আসছে । এটা শুধু বেশির ভাগ গ্রাম অঞ্চলে প্রচলিত আছে ।।।
তারপর আমরা পাশা খেললাম আরও কত রকমের খেলা খেললাম ।।।
অত্যঃপর
সব খেলা শেষ করে আমাদের গোসল করানো হলো ।।।
তারপর খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করা হলো ।।।

আমি আর রাকা রুমে বসে আছি এর মধ্যে দুই শালিকা কোথায় থেকে চলে এলো বুঝতে পারলাম গল্প করবে ।।।
---দাড়িয়ে কেন বস । (নাসির)
---ভাইয়া বসতেছি । (মিম)
---ভাইয়া বাসর রাতে বিলাই কেমন মারলেন । (দুষ্টামির হেসে তানজিম)
---দেখছিস না ভাইয়া হাসছে । (মিম)
---কি যে বলনা বাসর রাতে কি বিলাই থাকে নাকি । (আমিও মজা করে বললাম)
---হুম থাকে মস্ত বড় বিড়াল থাকে ।
---তাই আমিতো জানি না ।
---হুম জানেন । বলেন কেমন বিলাই মারলেন । (এটা বলে দুজনে হেসে উঠলো)
---সেটা তোমাদের বোনই ভালো করে বলতে পারবে ।
---ওই তোরা থামবি । নাকি তোদের লজ্জা সরম কিছুই নাই বড় বোনের সামনে কি বলিস ।

এমা এ কি দেখছি রাতে তো কিছুই হয় নাই । রাকা এমন ভাব করছে যে সত্যি সত্যি বাসর ঘরে সব হয়েছে ।
রাকার কথা শুনে দুজনে চুপ মেরে গেছে ।
---আরে মন খারাপ করছো কেন । যাও তোমাদের বাড়িতে গিয়ে সব বলবো । (নাসির)
এটা বলে রাকার দিকে তাকালাম দেখি দাজ্জাল মার্কা বড় বড় চোখ করে চেয়ে আছে । বুঝতে পারলাম আজ রাতে নির্ঘাত কিছু ঘটবে আমার বাড়িতে যেটা দেখেছি আর তো রাকার বাড়ি । আমাকে বাঁচানো আর রাস্তা নাই ।
---হুম ভাইয়া ।
এভাবে কিছুখন দুই শালিকার সাথে গল্প করলাম ।।।

অতঃপর

এখন শোশুর বাড়ি যাবার পালা ।
সবাইকে বলে রাকার সাথে আমি এবং দুই শালিকা আরও কিছু লোক গাড়িতে উঠে পরলাম ।।।
গাড়িটা তার গন্তব্যের দিকে চলা শুরু করল ।।।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( বালিকার হ্নৎস্পন্দন )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ