"ফেব্রুয়ারি"
লেখাঃতৌফিক আহমেদ(মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে)
............
গতকাল ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি,ভ্যালেন্টাইনস ডে।যে দিনটাকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।এই দিনটার ইতিহাস সম্পর্কে খুব কম মানুষই হয়তো জানেন।কিন্তু জেনে বা না জেনে আধুনিক প্রজন্মের কিছু বিকৃত মানসিকতার ছেলেমেয়েরা এই দিনটাকে ঘিরে অশ্লীলতা,নোংরামিতে মেতে ওঠে।এতেই তারা তাদের প্রেম ভালোবাসা খুজে পায়।আর এই নোংরামির কারনে কিছু দিন পরে কত নিষ্পাপ প্রাণ যে পৃথিবীর আলো দেখার আগেই হারিয়ে যায় এর কোনো হিসাব নেই।
.
গতকাল আমাদের এলাকার ২জন মেয়ে তাদের সতিত্ব হারিয়েছে।একজন ইচ্ছাকৃতভাবে গোপনে অন্যজন অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ্যে।গোপনীয়তার কারনে একজন শুধুই তার সতিত্ব হারিয়েছে কিন্তু প্রকাশ হওয়ার কারনে অন্যজন হারিয়েছে তার সতিত্ব,সম্মান সব।
আচ্ছা ভাল ভাবে বুঝিয়ে লেখি...
তন্নি আমাদের এলাকার ধনী ঘরের একটা মেয়ে।ধনী ঘরের মেয়ে হওয়ার পাশাপাশি আধুনিক মনমানসিকতারও।দেখতেও অনেক সুন্দরী।৩ মাস হল সে ফাহাদ নামের একটা ছেলের সাথে প্রেম করে।পাশের এলাকারই ছেলেটা।ছেলেটাও অনেক ধনী আর আধুনিক ধাচের।দুজনের মধ্যে অনেক মিল আর প্রেমটাও অনেক গভীর।তো ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার পরপরই তাদের প্রেমটা বহুগুনে বেড়ে যায়।
ফেব্রুয়ারি মাসের যত গুলো ডে আছে সব তারা পালন করেছে আর গতকাল ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করেছে।তাদের প্রেমটা এতই গভীর যে মাত্র ৩ মাসের প্রেমেই তারা শারীরিক সম্পর্ক করে ফেলে।গতকাল তারা সারাদিন ঘুরাঘুরি করে,অনেক জায়গায় যায়,একসাথে খাওয়া দাওয়া করে।তারপর ছেলেটার সাথে সন্ধ্যার দিকে একটা রুমে যায় আর রুমের ভিতরে নগ্নতার মাধ্যমে নিজেদের ভালোবাসার প্রমাণ দেয়।এদের মত কিছু আধুনিক ছেলে মেয়ে তাদের ভ্যালেন্টাইনস ডে এভাবেই পালন করেছে।এরপর কি হতে পারে এটা না বোঝার মত কিছু না।
.
গতকাল সন্ধ্যার পরেই আমাদের পাশের এলাকায় কলেজের শহীদ মিনারে বসে কিছু ছেলেরা আড্ডা দিচ্ছিল আর নেশা করছিল।হ্যা শহীদ মিনারে বসে।যে শহীদ মিনারে এই ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখে খালি পায়ে ফুল দেয়া হয় শহীদদের সম্মান জানানোর জন্য।এই শহীদ মিনারে সারা বছরে সবাই জুতা পরে উঠে,কলেজের ছেলেমেয়েরা আড্ডা দেয়,সিগারেট খায়।আবার রাতের বেলা এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা এখানে বসে নেশা করে।
আর ফেব্রুয়ারি মাসের মাত্র একটা দিনের জন্য তারা এই শহীদ মিনারকে সর্বোচ্চ সম্মান জানায়,ভাষা শহীদদের সম্মান জানায়।একটা দিনের জন্য শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর দরকার কি।এক দিনের এই সম্মানে তারা কি আসলেই সম্মানিত হোন?
.
যে ছেলেরা আড্ডা দিচ্ছিল তারা বলছিল,একটু আগে যে ফাহাদের কাছে ভিডিওটা দেখলাম ভিডিওটা পুরাই অস্থির।শালায় মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই মেয়েটাকে বিছানায় নিছে।ওর তো বাপের টাকা আছে তাই সহজেই পটাইতে পারছে।আর মেয়েটাও ভাল না,মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ফাহাদের সাথে সেক্স করছে।আর যেসব ড্রেস পড়ে রাস্তায় বের হয়।সবাই শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে থাকে।শুধু ধনী ঘরের মেয়ে দেখে কেউ কিছু বলতে পারেনা।কিন্তু ফাহাদ শালায় কাজ করে ফেলছে।আমরা যে কবে এসব করতে পারব?
ঠিক তখনই ওখান দিয়ে কেউ একজন হেটে আসছিল।যে আসছিল সে আমাদের এলাকারই মেয়ে মিতু।মধ্যবিত্ত ঘরের অনেক ভদ্র একটা মেয়ে।এলাকার সবাই জানে মেয়েটা অনেক ভদ্র,শান্ত শিষ্ট।দেখতেও বেশ সুন্দরী।কলেজে ওঠার পর থেকে তার জন্য অনেক বিয়ের প্রস্তাব এসেছে কিন্তু সে না করে দিয়েছে।কারন তার বাবার রোজগারে সংসার চলে না।তাই সে কলেজে ওঠার পর থেকেই টিউশনি করায়।আর এখন এই রাতের বেলা সে টিউশনি থেকেই ফিরছিল।
.
কিন্তু তার ভাগ্যের উপরে মনে হয় গতকাল কালো মেঘ জমেছিল।ওই ছেলেগুলো মিতুকে ধরে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে।শহীদ মিনারের পেছনে নিয়ে তারা সবাই মিলে মিতুকে ধর্ষণ করে।শহীদ মিনার মেয়েটার চিৎকার মনে রাখলেও সমাজের মানুষগুলো এসব ভুলে যাবে।এসব ভুলে গিয়ে আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি তারা শহীদ মিনার খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে,খালি পায়ে ফুল দিয়ে সম্মান জানাবে।তারা মাতৃভাষা দিবস পালন করবে।যে দেশে মায়েরাই সুরক্ষিত নয়,সেদেশে ভাষাকে সম্মান জানানোর মানে কি?
গতরাতে ধর্ষণ করার সময় ছেলেগুলো বলছিল,ওই মেয়ের সাথে কিছু না করতে পারলাম।ওকে শুধু রাস্তায় দেখেই মজা নিব।এখন এই মেয়েকে দিয়েই তৃষ্ণা মেটাই।মিতু তাদের অনেক হাতজোর করেছিল,বলেছিল তার সম্মান চলে গেলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না।কিন্তু তারা ওর কোনো কথা শোনেনি।তারা জোর করে তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর তারা মিতুকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।সকালে মিতুকে কলেজের সবাই ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এসব জানার পর মিতুর বাবা অজ্ঞান হয়ে যান,ওর মা তো পাগলের মত হয়ে যান।আর মিতুও কোনো কথা বলেনি এপর্যন্ত।যে মানুষেরা গতকাল পর্যন্তও মিতুকে ভাল মেয়ে বলত।তারাই আজ বলছে মেয়েটা ভাল না,রাতের বেলা বাড়ির বাইরে থাকে এসবতো হবেই তাহলে।
.
এটাই হল আমাদের সমাজ ব্যবস্থা,যে মেয়েটা রাস্তায় অশ্লীল ড্রেস পড়ে বের হয় আর গোপনে নিজের ইচ্ছায় নিজের দেহ একটা ছেলের কাছে বিলিয়ে দেয় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।কিন্তু যে মেয়েটাকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়।তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সতিত্ব,সম্মান সব কেড়ে নেয়া হয় তার বিরুদ্ধে তখন অভিযোগের কমতি থাকেনা।সে হয়ে যায় সমাজের সবচেয়ে খারাপ মেয়ে।
.
এতকিছুর পর আমার অবচেতন মন শুধু বার বার এটাই জানতে চায় ফেব্রুয়ারি তুমি কার?
ভাষার নাকি ভালোবাসার নাকি আধুনিক ছেলেমেয়েদের নোংরামি,অশ্লীলতার?
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4744
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§Ž:ā§Ļā§Ļ AM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ