"কবিতার উপর ক্রাশ খাওয়ার একটি গল্প"
রুহি সদ্য ভর্তি হওয়া কিউট মেয়েটার দিকে বার বার তাকাচ্ছে। আমি যে তাকাচ্ছিনা তা নয়, আমিও তাকাচ্ছি তবে আড়চোখে।
রুহি আর আমি খুব ভাল বন্ধু। আমরা দুজন দুজনের অনেক কাছের। সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তার লাইন মারার ইচ্ছে হয়, আমার যে ইচ্ছে হয়না তা না আবার। মেয়েটার দিকে ইশারা করে,
রুহিঃ স্বচ্ছ আজ থেকে এইটা তোর ভাবি।
আমিঃ জ্বি হ্যা, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এর সকল কিউট মেয়েগুলি আমার ভাবি।
উল্টাপাল্টা কথা বলতে বলতে রুহি আমাকে মেয়েটার কাছে নিয়ে গেলো। আমি অনুর দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়েই আছি, ওর নাম অনু। মেয়েটা কাব্য,সাহিত্য খুব ভাল চর্চা করে তার কথা বার্তা শুনে বুঝতে পারলাম। আরও অনেক কিছু জানার ছিল, কিন্তু রুহির বক বক এ তার আর সুযোগ হলোনা। প্রায় আধঘন্টার মত মহাভারত শুনালো অনুকে।
দু মাস যেতে না যেতেই অনু নাকি একটা দেয়ালিকা বের করবে। কাব্যপ্রেমী, সাহিত্যপ্রেমী বুঝতেই তো পারছেন। দেয়ালিকার সম্পাদক অনু নিজেই। রুহি সাধারন সম্পাদক এর পদ পেলো।
রুহি বলল অনুকে পটানোর এইটাই মোক্ষম সুযোগ, ফাটাফাটি একটা কবিতা লিখে অনুর মন জয় করতে হবে। কিন্তু রুহি আর আমার কারোরই এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই। যা হবার হবে দেখা যাবে।
দেয়ালিকা বের হলো।
রুহির কবিতা-
(অস্ফুটবাক্য)
বলেছি অনেক কথ্য,
মনের কথ্য বলতে পারিনি অদ্য,
তুমি প্রজাপতি সদ্য,
উড়ছো এ হৃদয়ে অনবদ্য.................
আমার কবিতা-
(প্রনয়)
প্রনয় প্রহর আসবে কবে
আছি অপেক্ষায়,
প্রেম দিয়ে আগলে রবো
কাছে যদি আসো সেচ্ছায়..........
পরের দিন ছুটির পর অনু একান্তভাবে আমায় ডেকে আবৃত্তি করলো,
"হবে মোর প্রনয় সাথী?
সুখে হবো সুখী, ব্যাথায় সমব্যাথী।"
আমার থেকে রুহির কবিতাটাই চমৎকার ছিল কিন্তু নারীমন কেনো যে আমার কবিতাটিকেই পছন্দ করলো ঠিক বুঝতে পারলাম না। যাই হোক আমি অনুর প্রেমের প্রস্তাব টি গ্রহন করিনি, কেননা প্রেমের সম্পর্কের থেকে আমার কাছে বন্ধুত্বের সম্পর্কটার দাম বেশি।
-Amim Ahsan
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ