#মুখোশ
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )
।
।
।
---এই যে মিঃ । ( মেয়েটি )
।
মেয়েটি একটু দৌড়ে এসে ,
---হ্যালো মিঃ কানে শুনতে পান না । ( মেয়েটি )
---সায়েম একটু পরে কথা বলি । ( নাসির )
---ওকে । ( সায়েম )
।
ফোনটা পকেটে রেখে বললাম ,
---জ্বী আমাকে বলছেন ।
---এখানে তো আপনি ছাড়া কেউ দাড়িয়ে নেই ।
---ও আচ্ছা কি বলবেন বলেন ।
---আরে আমি তো আপনার ছোট বাট আপনি করে বলছেন কেনো তুমি করে বলেন ।
---no tnx .
---আচ্ছা আপনি এরকম কেন সেই কবে থেকে আপনার পেছনে ঘুরঘুর করছি কিন্তু আপনি কোন পাত্তাই দিচ্ছেন না । যদি অন্য কেউ হতো তাহলে এতো দিনে রেলিশন হয়ে যেত ।
---হুম আমি এরকম আর কিছু বলবেন ।
---আচ্ছা আপনি বিরক্ত হচ্ছেন কেনো ।
---আমার ভালো লাগে না মেয়েদের সাথে কথা বলতে ।
---ও আচ্ছা তা আপনার নাম্বারটা দেওয়া যাবে কি ।
---আপনি আমার নাম্বার দিয়ে কি করবেন ।
---নাম্বার দিয়ে কি করে জানেন না হ্যা আপনার নাম্বার চাইয়া চাইয়া দেখবো ।
---শোনেন আমার সম্পর্কে জেনে তার পর নাম্বার নিয়েন ।
---আমার কিছু জানতে হবে না এবং কি কিছুই শুনতে হবে না নাম্বার দিন ।
---প্লিজ আমার সম্পর্কে জেনে তারপর কথা বলবেন এখন আমাকে যেতে হবে ।
।
এই বলে চলে আসতে লাগলাম ।
তখন বলে উঠলো ,
---আপনি নাম্বার দিলেন না ঠিক আছে কাল দেখা যাবে ।
।
আমি আর কিছু না বলে চলে আসলাম ।
এখন আমি আপনাদের কাছে আমাদের পরিচয় দেই ।
যার সাথে এতখন কথা হলো সে হলো মোছাঃ আলিসা রহমান সাথী ।
এবার অনার্সের ফাইনাল ইয়ার এ পড়ে ।
।
আমি মোঃ নাসির ইসলাম ফাহিম ।
বাবা মা নাই ।
আমি যখন পৃথিবীতে আসি তখন নাকি মা আমাকে জন্ম দিতে মারা যায় আর সেই জন্য আমার বাবা কে জানি না ।
ছোট থেকে বস্তির এক খালার কাছে বড় হয়েছি ।
থাক আজ আর না অন্য দিন বলবো ।
।
টুন ... টুন ... টুন
---হ্যা বল । ( নাসির )
---কই তুই । ( সায়েম )
---বাসায় আছি ।
---আজকে একটু তাড়াতাড়ি আসবি কিন্তু কাজটা অনেক বড় ধরনের আর শোন ফুল লোড করে আনবি দুই টাতে ।
---ওকে বাট কত দিবে বল ।
---সে বলেছে ফোরর্টি পারসেন্ট দিবে ।
---কি বলিস হ্যা বড় কাজ ফোরর্টি পারসেন্ট দিবে মানে ফিফ্টি পারসেন্ট দিলে কাজ হবে , আর তা না দিলে হবে না বলে দে ।
---আমি বলেছিলাম কিন্তু সে বলেছে আসতে ।
---আচ্ছা আমি আসছি তুই বাসার সামনে দাড়িয়ে থাক ।
---আচ্ছা আমি রেডি হচ্ছি ।
---ওকে বায় ।
।
এই বলে ফোনটা কেটে দুইটি ফুল লোড করে নিলাম ।
কতো দিন হলো একটাও কাজ করছি না ।
বাইকটা নিয়ে বের হলাম অন্ধকারের পৃথিবীতে ।
---এতো সময় লাগে আসতে ।
---আরে পুলিশ ফলো করছিল ।
---মানে কি বলিস তুই ।
---হ্যা ঠিক বলছি ।
---আর পুলিশ কেনো ফলো করবে ।
---আচ্ছা সে তো পুলিশের লোক না ।
---আরে দোস্তো কি যে বলিস সে হবে কেনো তুই কোনো টেনশন নিস না চল ।
---উঠে আয় ।
---চল ।
।
বাইক নিয়ে চলে এলাম সেই বাড়িতে ।
।
---আসো আসো বসো । ( লোকটি )
---আপনি কি সোমসের আলী । ( নাসির )
---জ্বী আপনি নাসির তাইনা ।
---হুম ।
---সায়েম আমাকে তোমার সম্পর্কে সব বলেছে ।
---কাজটা কি আপনার মার্ডার নাকি সোজা উপড়ে ।
---আরে না দুইটার ভেতর একটাও না ।
---তাহলে কি করতে হবে ।
---শুধু তাকে ভয় দেখিয়ে বলবে যে জমিটা সমসেরকে দিয়ে দিন ।
---সায়েম যে বললো মা..
---আরে সেটা পরে ।
---আপনার কথা বুঝলাম না ।
---মানে সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল তো একটু বাঁকা করতে হবে না হয় তখন সেটা করবে ।
---ও কাজটা তো রিক্সের , যদি সে পুলিশের কাছে কমপ্লেন করে ।
---আরে পুলিশের দিকটা আমি দেখবো ।
---হুম তা কতো দিবেন ।
---তুমি বলো কত নিবে ।
---১ লক্ষ ২০ হাজার ।
---বেশি হলো না ।
---তাহলে আপনি বলেন কতো দিবেন ।
---৫০ হাজার ।
---হবে না ।
---তাহলে কতো হলে কাজ করবে ।
---১ লক্ষ ।
---আরে জমি তো ১ লক্ষ দাম হবে না ।
---১ লক্ষ হবে না কিন্তু এখানে ফেক্টারী করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করবেন তো এই ১ লক্ষ টাকা আপনার কিছুই না ।
---৮০ হাজার দিবো ।
---যদি আমাকে দিয়ে কাজ করান তাহলে ১ এর কোম হবে না ।
।
বলেই বের হতে যাচ্ছি ।
তখনি সমসের আলী বললো ,
---ডান ।
---ওকে কাজ হয়ে যাবে ।
---কবে আর তাড়াতাড়ি কাজ করতে হবে ফেক্টারীর কাজ শুরু করতে হবে ।
---ওকে হয়ে যাবে ।
---আচ্ছা এখানে ২০ হাজার আছে আর বাকিটা কাজ শেষ হলে ।
---সায়েম এটা নিয়ে নি ।
---হুম দোস্তো ।
---তাহলে কাজটা কবে হবে ।
---কাল তো পারবো না তারপরের দিন কাজ হয়ে যাবে ।
---আচ্ছা তাড়াতাড়ি কর আর ফেক্টারীর কাজ আমি এই মাসের শেষের দিকে শুরু করতে চাই ।
---এই মাসে আপনি ফেক্টারীর কাজ করতে পারবেন ।
---হুম আমি বিশ্বাস করি , আর তাই তোমাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছি ।
---কোন টেনশন কইরেন না কাজ হয়ে যাবে । নাকে তেল দিয়ে ঘুমান ।
এই নাসির যেখানে যাই সেখানে প্রথমে গরম হয় ,
তারপর আগুন হয় ,
আর সেই আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় ।
তাই কেউ বলে আগুন ,
আবার কেউ বলে বারুদের গোলা ।
তাই নামটা আমার অগ্নি বারুদ ।
---( সমসের আলী নিশ্চুপ )
---আরে ভয় পেলেন নাকি ।
---না.. নাতো ।
---আরে ভয়ের কিছু নাই চললাম ,
সায়েম চল ,
আল্লাহ হাফেজ ।
।
বলেই বের হয়ে আসলাম রুমের ভেতর থেকে ।
---কোথায় যাইবি দোস্তো ।
---বাসায় চল খালা মনে হয় চিন্তা করছে ।
---হুম চল , আর আমাকে নামিয়ে দিয়ে যাস বাসার সামনে ।
---আচ্ছা চল ।
।
এখনো সমসের আলীর বাড়ির ভেতর আছি ।
অনেক বড় বাড়ি ।
থাক আর সমসের আলীর বাসা বর্ণনা দিবো না ।
।
বাইকের কাছে যাচ্ছি ।
বাইকের কাছে এসে গেছি ।
হঠাৎ মনে হলো পিস্তল দুইটি কোমরে ঠিক আছে কিনা ।
হাত দিয়ে দেখি ঠিক আছে ।
পিছনে তাকিয়ে সায়েমকে বাইকে উঠতে বলবো বলবো তখনি হঠাৎ করে চোখটা আটকে গেলো সায়েমের পিছনের দিকে ওটা কে ।
আরে আলিসা এখানে কেনো ।
আমাদের তো ফলো করছে না ।
আরে তাহলে আলিসা কি সি আই ডি নাকি ।
না হবে না আর সেরকম তো না ।
---আরে এমন করে তাকিয়ে কি দেখছো । ( আলিসা )
---কো কই কিছু না । ( নাসির )
---ও ।
---আপনি এতো রাতে এখানে , আর কি করেন এখানে ।
---এখানে ভাইয়ার সাথে এসেছিলাম তারপর ভাইয়ার কাজ ছিলো সেখানে চলে যায় অবশ্য আমাকে বাসায় পোঁছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তোমাকে দেখে বললাম ভাইয়া তুমি যাও আমি একাই যেতে পারবো ।
---আপনি একা একা যেতে পারবেন মানে ।
---না মানে তুমি আছো না ।
---আমি আছি মানে ।
---তোমাকে যখন বাসা থেকে বের হতে দেখলাম তখন ভাবলাম যে ভাইয়া তার কাজ করুক আর আমি তো তোমার সাথে যেতে পারবো ।
।
কথাটা শুনে সায়েম আমার দিকে আমি সায়েম দিকে তাকালাম ।
---আরে কথাটা শুনে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো ।
---এমনি ।
---ওহ্ চল বাসায় যেতে হবে আম্মু অনেক টেনশন করছে ।
---না মানে ।
---না মানে কি হ্যা ।
---সায়েম আর আমি আমরা কি একটু কথা বলে আসতে পারি ।
---ওকে যাও ।
---সায়েম আয় ।
।
---আচ্ছা মেয়েটি কে দোস্ত ।
---ওই যে আমার বাসায় দুইটার পরের বাসায় ।
---দেখ মেয়েটা কেমন করে তাকিয়ে আছে মেয়েটি সুবিধার মনে হচ্ছে না ।
।
সায়েম এর কথাটা শুনে পিছনের দিকে তাকালাম । ঠিকই তো কে মেয়েটি যে আমার পিছনে লেগে আছে ।
---আচ্ছা এখন কি করি ।
।
---তোর কাছে তো ফুল লোড করা আছে যদি ধরে ফেলে ।
ওই কি করছিস এখন ওখানে হাত দেওয়া যাবে না । আবার এখানে বের করা যাবে না তাহলে ধরা খেয়ে যাবো ।
---তাহলে এখন কি করা যায় ।
---মাথা কাজ করছে না দোস্ত ।
---অনেকখন হয়ে গেলো চল ।
---ওই মেয়েকে কখনো তোর শরীর টাচ করতে দিবি না আর যদি দিতে চায় তখন বলবি যে কেউ আমাকে টাচ করলে আমি বাইক চালাতে পারি না ।
---হুম ।
।
আবার চলে আসলাম ।
---এতখন লাগে কথা বলতে ।
---না মানে ।
---ধ্যাত সরাসরি বলেন আমাকে তুমি নিয়ে যাবে কি না নাকি আমি একাই যাবো ।
---আচ্ছা চল ।
---হুম আপনি একটা রিক্সা নিয়ে যান । ( আলিসা সায়েমকে বলে )
---জ্বী আপু ।
---কি হলো চলো ।
---ও হ্যা ।
।
বাইক নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
আমি বাইকটা চালাচ্ছি আর ভাবতেছি এই মেয়েটা কে আগে কখনো দেখি নাই কিন্তু এই এক মাস ধরে দেখছি তাও আবার আমার পিছনে পরে আছে । এটা কেমন জানি মনের ভেতর খটকা লাগছে ।
---আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো ।
ধপ করে ব্রেক ধরলাম তখন আলিসা আমার শরীর জাপটে ধরে ।
---এই ভাবে কেউ ব্রেক ধরে নাকি আর একটু হলে পরে যেতাম ।
---ওহ্ সরি ।
---তোমার মুখটা এরকম দেখাচ্ছে কেনো কিছু চিন্তা করছো কি ।
।
আরে এই মেয়ে তো সিরিয়াস সব বুঝে ফেলছে । না এরকম করা যাবে না তাহলে ধরা খাবো ।
---আরে কি হলো কিছু বলছো না যে ।
---না , কিছু না ।
---বাসায় আসো চা খেয়ে যাবে ।
---না থাক অন্য দিন খাবো ।
ওখান থেকে রওনা দিলাম ।
আলিসা তখন আমার শরীর জাপটে ধরেছিল তখন তো ইচ্ছে করে ধরে ধরেছিল নাতো ।
ধ্যাত কি যে ভাবি আমি ।
তারপর বাসায় চলে এলাম ।
দুই দিন পর ।
---আরে আসো আসো বসো । ( সমসের আলী )
---টাকা কই । ( নাসির )
---আছে , বলো কি খাবে ।
---কিছু খাবো না কাজ আছে তাড়াতাড়ি করেন ।
---কিছু খেয়ে যাও ।
---না আজ খাবো না পরে যদি কোন একদিন আসি তখন খেয়ে যাবো ।
---আচ্ছা এখানে পুরো টাকা আছে দেখে নিতে পারো ।
---না দেখতে হবে না আপনার কথায় বিশ্বাস হয়েছে । আচ্ছা আমি তাহলে আসি ।
।
রওনা দিলাম বাসার দিকে । বাসায় গিয়ে কিছু টাকা ইতিমখানায় দিতে হবে ।
।
আমি বাসার সামনে এসে দেখি আলিসা আমার বাসার সামনে দাড়িয়ে আছে । আলিসা কি করে আমার বাসার সামনে । কেমন জানি আলিসা আমাকে ফলো করে যখন কোথাও যাই তারপর সে সেখানে হাজির এটা কেমন করে হতে পারে । যে আমি যখন কোথাও যাই সেখানে আলিসা এসে হাজির । আলিসাকে আজকে কিছু জিঙ্গেস করতে হবে ।
আমি বাইকটা নিয়ে বাসার সামনে থামাতে আলিসা চমকে উঠে ।
---হঠাৎ এখানে কি করেন আমার বাসার সামনে কোন কিছু প্রয়োজন । ( নাসির )
---এমনি আর কোন কারণ ছাড়া আসতে পারিনা । ( আলিসা )
---হুম আসতে পারেন আচ্ছা ভিতরে এসে বসেন তারপর কথা বলি ।
---আচ্ছা চলো ।
।
চাবিটা দিয়ে লকটা খুলে রুমের দিকে গেলাম ।
---এখানে বসেন কি খাবেন কফি না চা ।
---চা আর তুমি করে বলো ।
---না মানে তুমি বলতে ভালো লাগে না আর তাই বলতে পারবো না।
---আচ্ছা তুমি বলতে পারবে না তাহলে চলে যাবো আমি ।
---আরে চলে যাবেন মানে ।
---আর একবার আপনি বললে চলে যাবো ।
---আরে আমি আপনাকে তুমি বলতে যাবো কেনো আপনিতো আমার কিছু হন না ।
---আমি তোমাকে পছন্দ করি ভালোবাসি ।
।
আচ্ছা এই মেয়ে কি বুঝতে পারছিনা ।
সে কি আসলে আমার প্রতি দুর্বল নাকি আমাকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার সব ইনফোরমিশোন নিতে আসছে ।
---কি হলো আমি চলে গেলাম ।
---আচ্ছা আপনি ... ও সরি তুমি বসো আমি চা বানিয়ে আনছি ।
---আচ্ছা যাও ।
---ওকে ।
।
আমি চা বানানোর জন্য রান্না ঘরে গেলাম ।
কিছুখন পর চা বানিয়ে রুমে আসতে দেখি আলিসা কি যেন খুঁজতেছে ।
আমি তখন বললাম ,
---কি খোঁজো তুমি ।
---কো... কই কি.. কিছু না ।
---আমি তো দেখলাম তুমি কি যেন খুঁজতেছো ।
---না মানে একা একা বসে আছি তাই রিমোট খুঁজতে ছিলাম একটু কার্টুন দেখবো ।
---ও রিমোট তো খাটের মাঝ খানে আছে ।
---ও আমি দেখতে পাইনি ।
---আচ্ছা বাদ দাও তো চা খাও ।
---দাও ।
।
---ফোন বাজছে ধর ।
---ও হ্যা ।
---কে ফোন দিচ্ছে ।
---স্যার ।
---স্যার মানে ।
---মানে বাসায় স্যার এসে আমাকে না পেয়ে মনে হয় ফোন দিয়েছে ।
---ও , আচ্ছা তুমি কি কিছু লুকাচ্ছো তোমার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে ।
---না নাতো ।
ধপ করে আলিসার চা এর কাপটা পরে যায় ।
---আরে কাপটা ভেঙ্গে গেছে ।
---সরি আমি ইচ্ছে করে ফেলি নাই ।
---ইট ইস্ ওকে আমি আবার চা বানিয়ে আনছি তুমি বসে থাকো ।
---ওকে ।
।
নাসির চলে যায় চা বানানোর জন্য ।
আর এদিকে আলিসা ফোনটা বের করে ফোন দেয় সেই নাম্বার এ । যে নাম্বার থেকে একটু আগে কল এসে ছিল সেই নাম্বারে ।
---হ্যালো স্যার । ( আলিসা )
---হুম ফোন ধরতে এতো সময় লাগে । ( স্যার )
---পাশে ছিলো ।
---আমি তো ভয় খেয়ে খেয়েছিলাম ।
---আরে টেনশন নিয়ো না ।
---হুম টেনশন কি এমনি এমনি হয় । বলেছিলাম তুই এই ক্রেসটা নিস না । কিন্তু তুই তা শুনলি না আর তাই ক্রেসটি নিলি । খুব ভয় করে তোকে নিয়ে যদি সে জানতে পারে তুই তাকে ধরার জন্য ওর পিছু নিয়েছিস তাহলে কি করবে বুঝতে পারছিস ।
---সত্যের জন্য আল্লাহু আমার পাশে আছে ও কিছু করতে পারবেনা ।
---একটু তাড়াতাড়ি আসবি কিন্তু বাসায় ।
---আব্বু ও আসছে রাখি ।
।
---এই নিন তোমার চা । কে ফোন দিয়েছিলো ।
---এক বান্ধবী ফোন দিয়েছিলো ।
---ও তা কি মনে করে আজ আমার বাসায় ।
---এমনি ভালো লাগছে না তাই তোমার বাসায় আসলাম । কেনো তোমার সমস্যা হবে কি ।
---না এমনি বললাম ।
---ও ।
---আচ্ছা আমি বের হবো তুমি কি বাসায় যাবে ।
---কেনো আজ কোথায় যাবে ।
---একটা কাজ আছে সেখানে যেতে হবে ।
---কি কাজ আছে ।
---সেটা পরে বলবো ।
---এখন বলা যায় না ।
---আরে না পরে বলবো কেমন ।
---আচ্ছা ।
---আমি রেডি হচ্ছি যাওয়ার সময় তোমাকে তোমার ভাষায় নামিয়ে দিবো ।
---ওকে ।
---তুমি এখানে বসে থাকো আমি ৫ মিনিটে আসছি ।
---আচ্ছা ।
।
নাসির তার ওয়াশ রুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে ।
আর এদিকে আলিসা বসে আছে নাসির আজ কোথায় যায় ।
আলিসা কিছুখন রুমের ভেতর কিছুখন খুঁজে কিছুই পেলো না ।
এর মাঝে খাটের উপর নাসিরের ফোনে ম্যাসেজ আসে ।
তখন আলিসা নাসিরের ফোনে ম্যাসেজ চেক করতে যায় ।
ম্যাসেজ এসেছে ,
দোস্তো আজ বিকাল ৪ টায় গুলশান ১১ নাম্বার রোডে পাশে একটা ব্লিডিং আছে ৫ তলায় উপরে সেখানে আয় ।
এটা পড়ে আলিসা ভাবতে থাকে কি কাজ এতো জরুরি ।
আজকে হাতেনাতে ধরা যাবে ।
এটা নাসিরকে বুঝতে দেওয়া যাবে না ।
ফোনটা যেখানে ছিল সেখানে রেখে দেয় ।
আলিসা সোফায় বসে পরে ।
তারপর নাসির রুমে চলে আসে ।
---তোমার ফোনে কে জেনো ফোন দিয়েছিল ।
---কে ফোন দিয়েছিল ।
---দেখি নাই ।
---ও ।
।
---কি রে ফোন দিয়েছিলি কেনো ।
---দোস্ত যেখানে যেতে বলেছিল সেখানে যেতে হবে না ।
---তাহলে কোথায় যেতে হবে ।
---গুলশান ১১ নাম্বার রোডে পাশে ব্লিডিং এর ৫ তলায় উপরে আয় । আজকে মাল গুলি নিয়ে যেতে হবে অনেক টাকা দিবে ।
---আচ্ছা আমি আসবো , বাই ।
---কে ফোন দিয়েছিলো ।
---এক বন্ধু তার জন্মদিনে যেতে হবে ।
---ও আচ্ছা আমি তাহলে বাসায় যাই ।
---ওকে ।
।
আলিসা বাসায় চলে যায় ।
নাসির যেখানে যেতে চেয়েছিল সেখানে যেতে হবে না বিকালে যেতে হবে ।
অনেক বড় কাজ । অনেক টাকা পাওয়া যাবে । তাই ঘুমিয়ে পরলো ।
।
।
---কোথায় আসবে তোর মাল নিতে ।
---এখানে তো আসতে বললো ।
---এই অস্ত্র গুলি কেমনে পাচার করবি ।
---আরে তার কাছে পোঁছে দিতে হবে না এখানে আসবে বলেছে ।
---ও তা এখনো আসছে না কেনো ।
---জানি না কিন্তু আমাদেরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এটা করেনি ।
---মানে কি বলছিস ।
পিছন থেকে কে জেনো বলে উঠলো ,
---মানে আমি বলছি ।
---তুমি এখানে আর কিভাবে এলে ।
---হুম আমি এখানে তোমাকে ধরার জন্য এসেছি ।
।
কথাটা শুনে চুমকে উঠলো নাসির ,
---আমাকে মানে ।
---তোমাকে ধরার জন্য আমি এই নাটকটি করি ।
---মানে তুমি পুলিশ ।
---হ্যা আমি পুলিশ আর এখানে যে আসতে বলেছিলো তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ।
আমি আজকে তোমার ফোনে ম্যাসেজ দেখে এই প্লানের কথা জানতে পারি ।
আর আমি ফ্রোস্কে এই জায়গায় আসতে বলি আর যে নিতে আসছিলো তার কাছে অস্ত্র থাকায় তাকে গ্রেফতার করে ।
আর তোমাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ নিচে দাড়িয়ে আছে ।
পালানোর চেষ্টা করোনা ।
---আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিলো তুমি হয়তো সি আই ডি ।
---তোমার ধারণা ঠিক । কিন্তু ধরতে পারো নি তাই না । আমি সেই ভাবে খেলেছি এবং চাল গুলি ভেবে দিয়েছি ।
---জানি একদিন ধরা পরে যাবো হয়তো এখন খেয়েছি ।
---পাপ করতে করতে যখন পূর্ণ হয় তখন তাকে এমনি ধরা দিতে হয় ।
---জানি তাই হয়তো আমার আজকে হয়েছে ।
---আজকে আমি স্যাকসেস ।
ওকে নিয়ে যাও ।
।
।
।
।
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম
মাহিম ( মাহাদির আব্বু )
।
।
।
★★★আল্লাহ হাফেজ★★★
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ