#শহরের_মেয়ে
।
পর্বঃ চতুর্থ ( ৪ষ্ঠা )
।
।
।
---ঠাসসসসসসসসস ।
এটা কি হলো আজকেউ । আমার গালটা সরকারি পাইছে নাকি ।
প্রতিদিন এভাবে কি চড় খেতে হবে নাকি । এভাবে প্রতিদিন চড় খেলে গাল আর গাল থাকবে না । কি করা যায় এখন ।
---এই ছেলে কি ভাবিস ।
---ক কই কি কিছু না ।
---তোতলাচ্ছিস ক্যান ।
.
সায়েম একটু দূরে থেকে মিষ্টি মিষ্টি হাসছে ।
---এ এমনি । কি বলবেন বলেন তাড়াতাড়ি ।
---কি বললি তুই ।
---কই কিছু না ।
---শোন সেদিন তুই নিহাকে কি করেছিস বল ।
---কই কিছু না তো ।
---কিহ্ । ( চোখটা বড় বড় করে )
---সেদিন একটু হাত ধরতে চেয়েছিলো কিন্তু ধরতে দেই নি ।
---নিহা হাত ধরতে চেয়েছিল নাকি তুই । (ভ্রু টা নাচিয়ে)
---আমি সত্যি বলছি নিহা ধরতে চেয়েছিলো ।
---আমি বুঝেগেছি ।
---কিহ্ বুঝেগেছেন ।
---সব তোর জন্য হচ্ছে । ফাজিল ছেলে ।
.
কথাগুলি এভাবে সহ্য করা যাবে না । এর একটি কিছু করতে হবে । তাই আমিও বললাম ,
---স্টপ ইউর মাউথ । ( রেগে গিয়ে ঝরে কথাটা বললাম) ।
---কিহ্ আমাকে চোখ গরম করে কথা হচ্ছে ।
---আপনি কি সরকার নাকি কোন ভদ্র মহিলা যে গরম হয়ে কথা বলতে পারবো না ।
শোনেন সেদিন মেরে ছিলেন কিছু বলিনি । আজকেউ মারলেন আবার বড় বড় কথা কন ।
আপনার তো উচিৎ ছিলো সেদিন কি জন্যে আপনার বোনের চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে । সেই ঘটনা পুরোটা না শুনে আমাকে মেরেছিলেন আমি কিছু বলিনি ।
সেদিনও কথাটা না শুনে আমাকে মেরেছিলেন কিছু বলি ।
কিন্তু আজ আমাকে কারন ছাড়া মারলেন আবার বড় বড় কথা বলেন ।
---আমার ভূ...
---আমি জানি এই কথাগুলি বলবেন আমার ভুল হয়েছে ।
---আমি সত্যি ।
---চুপ আজকে আমাকে বলতে দিন ।
সেদিন কিছু বলিনি কারণ ।
My mother to me cites how large man is adorations anymore how their is withs plats
and
my mother this cites , how man is should teach owing ...
.
So , when this like do no any affiliations .
you after for waged abashed ...
.
( আমার মা আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে বড় দের সম্মান দিতে হয় আর কিভাবে তাদের সাথে কথা বলতে হয় ।
এবং
আমার মা এটাও শিখিয়েছে কীভাবে মানুষকে উচিত শিক্ষা দিতে হয় )
।
( তাই কখনো কাউকে এমন কিছু করবেন না যাতে আপনি পরে সেটার জন্য লজ্জিত হোন )
।
নিহার বোন আর কিছু বললো না ।
আমি আর কোন কথা না বলে আমি সায়েমকে বললাম ,
---চল রে ।
---হুম আয় ।
।
বাসার দিকে রওনা দিলাম ।
.
---শোন মেয়েটিকে মানে নিহার বোনকে এভাবে কথাগুলি না বলতে পারতি ।
---শোন যেরকম তার সাথে সেরকম ব্যবহার করা উচিত ।
---হুম তা ঠিক কিন্তু নিহা যদি জানতে পারে ।
---জানলে জানুক সমস্যা নাই ।
---তুই ওকে পছন্দ করিস না ।
---জানি না কিন্তু নিহাকে ভালোলাগে কিন্তু ।
---কিন্তু কি ।
---দুই তিন দিন এর দেখা কি ভালোবাসা বলে নাকি । আর সব চেয়ে বড় কথা হলো তার বাসা শহরে । আর শহরের মেয়েদের বয় ফেন্ড থাকে রে । So , you Niha topic Dele . (তাই নিহার কথা বাদ দাও)
---তুই একটু ভাবিস । তুই ওকে ভালোবেসেছিস বা ভালোবেসে ফেলেছিস কিনা ।
---ধ্যাত বাদ দেতো এ কথা । আর এসব কথা মামনি যেন না জানতে পারে ।
---হুম ।
।
দুজনে হেঁটে সোজা বাসায় আসলাম ।
বাসায় এসে ফ্রেশ হলাম । অনেক ঘেমে গেছি ।
রাতের খাবার খেতে বসেছি তখন আব্বু বললো ,
---নাসির তোর ছোট আঙ্কেল ফোন দিয়েছিলো ।
---আব্বু কাল সকালে যাবো আঙ্কেলকে বলে দিয়েন ।
মামনি আমার কথাটা শুনে বললো ,
---আর কয়েকদিন পরে চাকরিটা জয়েন করলে হবে না আব্বু ।
.
মামনির কথা শুনে বুঝতে পারলাম আরও কিছুদিন মামনির কাছে থাকতে বলছে ।
---না মামনি অনেক ঘোরাঘুরি করেছি ।
---নাসিরের মা ওকে কাজের সময় কাজ করতে দেওয়া ভালো । আবার পরে কাজে মন বসাতে পারবেনা ।
.
আব্বুকি আমাদেরকে দেখে ফেলেছে নাকি ।
আব্বুর কথাটা শুনে বুঝতে পারলাম সে কি বলতে চাইছেন ।
---জ্বী আব্বু কাজের সময় কাজ করতে হবে ।
---সায়েম তুমি যেন যাওনা আর কিছুদিন তুমি থাকো ।
.
কথাটা শুনে সায়েম আমার দিকে তাকালো । আর ভ্রু কুঁচকে বললো কি বলবো । আমি বললাম তোর ইচ্ছে ।
---বড় আব্বু আমি একা একা এখানে থাকতে পারবো না ।
.
আমি জানি এই কথা বলবে ।
আব্বু বললো ,
---তোমার ইচ্ছে ।
---জ্বী বড় আব্বু ।
।
মামনি কিছু বলছে না । মামনির দিকে তাকাতে বুঝলাম মামনি কান্না করছে ।
আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা ।
তখন মামনি বললো ,
---তোরা হাত দিয়ে নিয়ে খা । (কান্না জড়িত কন্ঠ)
---কেনো আপনি কি করবেন ।
মামনি কোন উত্তর না দিয়ে রুমে চলে গেলো ।
মামনি চায় আমি আর সায়েম কিছুদিন থেকে যায় কিন্তু আমি যাচ্ছি যদি সায়েম থাকতো তাহলে মামনি কিছু মনে করতো না । কিন্তু দুজনি চলে যাচ্ছি ।
আব্বুর কথায় ঘোর কাটলো ,
---কি রে ভাত সামনে নিয়ে কি ভাবছিস ।
---কিছু না ।
---খেয়েনি তাড়াতাড়ি ।
।
আমি খেয়ে মামনির রুমে চলে এলাম ।
দরজা কাছে দাড়িয়ে আছি । তখন মামনি বললো ,
---দাড়িয়ে কেনো ভিতরে আসেন ।
---মামনি ভাত খান নাই । চলেন ভাত খাই ।
---না আব্বু আমার খিদে নাই ।
---মিথ্যে বলেন কেনো ।
---কই মিথ্যে বললাম ।
---আচ্ছা কালকে যাবো না ।
---সত্যি বলছিস ।
---হ্যা মামনি ।
।
মামনির মুখে কোণে হাসি ফুটে উঠলো ।
আমি মনে মনে ভাবছি কোন মা চায় না তার ছেলে তার থেকে দূরে থাকুক । তেমনি আমার মামনি চায় না ।
---কি ভাবছিস এখন ।
---কিছু না মামনি । চলেন খেতে যাই ।
---চলো ।
।
বুঝতে পারলাম এখন মামনির রাগ কমেছে । এখন আমার ভালো লাগছ কারণ মামনি হাসছে ।
।
রাতে শুয়ে আছি সায়েম ও । সে ফোন নিয়ে ব্যস্ত । সারাদিন ফোন কানের কাছে ধরে থাকতে ভালো লাগে বুঝতে পারি না ।
বিকালে সায়েমের কথা মনে পরে গেলো । তুই কি নিহাকে ভালোবেসেছিস ।
আমি কি সত্যি নিহাকে ভালোবেসেছি ।
আজিব ব্যাপার দুই দিনে কি আর ভালোবাসা হয় নাকি আবেগ । কিছু কাজ করছে না মাথায় । এখন ঘুমিয়ে পরি ।
।
দুইদিন পর ।
।
সকালে নামাজ পড়ে আসছি । রুমে বসে আছি । ঢাকার যাবো আজ ।
যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি । তখনি বললো ,
---তোর ফোনে দিয়েছিলো ।
---কে ফোন দিয়েছিলো মামনি ।
---নাম বলেনি ।
---ও কিছু বলেছে ।
---না । আমি হ্যালো বললাম কিন্তু ওপাশ থেকে কথা না বলে ফোন কেটে দেয় । কে ফোন দিয়েছিলো ।
.
হাতে ফোনটা নিয়ে দেখলাম আনকমন নাম্বার ।
---চিনিনা মামনি ।
---ও আচ্ছা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে খেতে আয় ।
---জ্বী মামনি ।
---তাড়াতাড়ি এসো ।
বলে মামনি চলে গেলো ।
.
সায়েম ঘামাচ্ছে আমি ওকে ডাকলাম ,
---এই সায়েম উঠে পর ।
---একটু পর উঠি ঘুমাতে দে ।
---অনেক বাজে এখন উঠে পর ।
---একটু ঘুমাতে দেনা ভাই ।
---মামনি কে ডাক দিবো ... মা...
---উঠছি ডাক দিস না ।
---হিহিহি । উঠে ফ্রেশ হয়েনি আর কয়েক দিন থেকে যা ।
---হু ।
---যা ফ্রেশ হ ।
।
সায়েম উঠে ফ্রেশ হতে গেলো । সায়েম আমার চাইতে মামনিক দিয়ে ভয় খায় । মামনি খুব রাগি ।
।
অতঃপর
।
মামনির রুমে গিয়ে দেখি মামনি কান্না করছে । গিয়ে মামনিকে বললাম ,
---কান্না করছেন ক্যানো ।
---(নিশ্চুপ)
---আরে কথা বলেন । না হলে যাবো না আমি ।
---এই নি । হাতে কিছু টাকা দিয়ে
---কি মামনি আর টাকা দিচ্ছেন ক্যানো ।
---এটা নিয়ে যা কাজে লাগবে । ( কান্না জড়িত কন্ঠ )
---মামনি আব্বু আমাকে টাকা দিয়েছেতো ।
---কথা না বলে নিয়ে যা ।
.
টাকাগুলি নিয়ে নিলাম । আগেও র্ভাসিটিতে পড়তে এরকম যাওয়ার সময় জমানো টাকা দিয়ে দিতো ।
আমারও কন্ঠ কেমন জানি হয়ে গেলো ,
---হুম শুধু টাকা দিবা আর কিছু দিবা না মামনি ।
আমার কথাটা মামনি বুঝতে পেরে বললেন ,
---হুম অবশ্যই দেবো ।
কথাটা বলেই আমার কপালে চুমু এঁকে দিলেন আর মাথায় হাত বিলিয়ে কিছু চুল এলোমেলো করে দিয়ে একটু হেসে বললো ,
---অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে এখন যা ।
.
পৃথিবীতে সুখ বলে যদি কিছু থাকে তাহলে মা বাবার আদর ভালোবাসা তার ভেতর একটি ।
---জ্বী মামনি ।
---শোন ।
---বলেন ।
---বাসায় গিয়ে তোর ছোট আঙ্কেলকে বলিস ফোনে আমার সাথে কথা বলতে ।
.
জানি কি বলবে মামনি । আঙ্কেলকে বলবে সে যেন অফিসের কাজ ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয় । আমাকে যেন কোন মতে বকে না । আর সব কিছু ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে দেয় । বেশি চাপ যেন না দেয় ব্লা ব্লা ।
।
যখন র্ভাসিটিতে ভর্তি হলাম তখনও বলেছিলেন । কি কান্ড ঘটেছিলো বেচারার । থাক এসব কথা ।
।
আমার মামনিকে আঙ্কেল সম্মান ও ভয়ও পায় । কারণ একমাত্র বড় ভাইয়ের বউ । শুধু বড় ভাইয়ের বউ না ছোট আম্মুর বান্ধবী বটে । কথা না শুনলে কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছন হাহাহাহাহাহাহাহাহা ।
---আচ্ছা গিয়ে আঙ্কেলকে ফোন দিতে বলবো ।
---ওকে এখন বের হও ।
---জ্বী । আপনি কোন টেনশন করেন না যেন । আর ঠিক মতো খাবেন ।
---হুম । অনেক দেরি হচ্ছে যা ।
।
যাওয়ার সময় সায়েমকে বললাম ,
---মামনিকে দেখিস ।
---হুম টেনশন করিস না । আর আম্মুকে বলিস কিছুদিন পর আসবে ।
---আর মামনি যখন তোকে যেতে বলে তখন যাস ।
---যা এখন দেরি হচ্ছে তো ।
---আল্লাহ হাফেজ । মিষ্টি হেসে বললাম মামনিকে আর সায়েম ।
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (মাহাদির আব্বু)
#শহরের_মেয়ে
।
পর্বঃ পঞ্চম (৫ম)
।
।
।
এখন বসে আছি বাসের ভেতর । বাস তার নিজ গতি বেগে চলছে । আমি বসে রাস্তার প্রাকৃতি দৃশ্য দেখছি । বাতাস এসে চুল গুলি এলোমেলো করে দিচ্ছে । কেমন জানি মামনির ও আব্বুর জন্য খারাপ লাগছে । মনটা ভালো নেই । চাকরিটা করতে হবে আর আমি তাড়াতাড়ি এসেছি কারণ যদি ওই মেয়ের সামনে পরি তাহলে আমাকে আস্ত রাখবেনা #গুন্ডী_মেয়ে রে বাবা ।
.
এক বাস স্টপে বাসটি থামালো ।
কেমন জানি এক প্রকার বিরক্তি লাগছ ।
তখন সেখান থেকে এক মেয়ে উঠে পরলো । মেয়েটি নেভিব্লু বোরকা পরেছে , হিজাব পরেছে একদম পর্দাশীল মেয়েরা যেমন করে রাস্তায় বের হলে যেরকম করে পরিপাটি হয়ে বের হয় সেরকম । কিন্তু খালি বোরকাটা কালো না ।
মেয়েটি সিট খুঁজতে লাগলো । পুরো বাসে ৩টা সিট খালি আছে । আমার পাশের সিট খালি আছে আরও পাশে একটা আছে আর আমার সামনের সিটটা । সবাই মেয়েটির দিকে চেয়ে আছে ।
কেমন জানি মেয়েটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে । সে নিহা নাতো । মনে হচ্ছে তাকে আমি চিনি আর তার চোখ দুটি নিহার মতো দেখতে । এটা কি নিহা । ধ্যাত এটা নিহা হতে যাবে কেনো । সত্যি কি আমি নিহাকে ভালোবেসে ফেলেছি । ধ্যাত কি যে ভাবিনা ।
মেয়েটি ৩টা সিট খালি দেখে । মেয়েটি কিযেন বির বির করে কি যেনো বলছে । আরে ভাবছেন আমি কেমন করে বুঝতে পারলাম হ্যা । তার মুখের সামনে কাপড় নড়ছে তাই ভাবলাম ।
.
সবার চোখে কেমন করে দিয়ে মেয়েটি এসে আমার পাশে বসলো ।
বাসের সবাই আমাদের দিকে আড় চোখে তাকালো । আমি মাথা উঁচু করে চোখটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখলাম সবাই চেয়ে আছে আমাদের দিকে ।
পাশে একটা মেয়ে বসা আছে , সেখানে অবশ্য সিট খালি ।
সবাই ভাবছে এমন একটা সুন্দরী মেয়ে এমন একটা আনস্মার্ট ছেলের পাশে বসে পরলো ।
আমি আর কিছু বললাম না । আমি তো আর ইচ্ছে করে বসাই নি সেই মেয়েতো তার ইচ্ছে মতো বসলো ।
বাসটি তার আপন গতিতে চলছে ।
অনেক পথ অতিক্রম করার পর জ্যামের মাঝে আটকে গেলো বাসটি । তখন কেমন জানি অসহ্য লাগছে ।
মেয়েটি সেটা দেখে বুঝতে পেরে । তখন মেয়েটি পানির বোতল বের করে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো ,
---এই নাও পানি খাও । (মেয়েটি)
মেয়েটির কথা শুনে চুমকে উঠলাম ।
এটাতো নিহার কন্ঠ মতো । আবারও মেয়েটি বললো ,
---কি হলো নাও ।
এটাই নিহা । আর তা নাহলে অচেনা মানুষ তুমি করে বলবে না ।
---আরে কি ভাবছো আমি নিহা এখন নাওতো । (পানির বোতল হাতে দিয়ে)
---ধন্যবাদ ।
ঢক ঢক করে খেয়ে নিলাম ।
---এই নিন ।
---কেমন আছেন ।
---আলহামদুলিল্লাহ আপনি ।
---ভালো । কোথায় যাও ।
---ছোট আক্কেলের বাসায় । আপনি ।
---বাসায় যাচ্ছি ।
---কোথায় গিয়েছিলেন ।
---আন্টির বাসায় ।
সরি সেদিন কার ব্যবহারের জন্য ।
আহ্ কি সুন্দর লাগছে । এরকম একটা মেয়ে সরি বলছে এটা কাল্পনিক নাকি ।
আবার বললো ,
---কি হলো এরকম ভাবে চেয়ে আছেন কেনো ।
---কই এ এমনি ।
---সরি বলেছি কিন্তু ।
---ইট'স্ ওকে ।
নিজে নিজে অদ্ভুত লাগছে । এরকম একটা ব্যপারকে সামান্য সরি তে সব রাগ নিমেশে শেষ হয়ে গেলো । আমি কি স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তবে ঘটছে সব । আমি কি নিহার প্রেমে পরে গেলাম ।
---আচ্ছা সেদিন চলে আসছেন কেনো ।
---কলেজে একটা কাজ ছিলো ।
---ও ।
।
আমি আর কথা বললাম না ।
কিছুখন পর নিহা আবার বললো ,
---চুপ করে আছেন কেনো কথা বলেন ।
---এমনি ।
---এমনি মানে ।
---আমি নিজ থেকে কিছু বলতে পারিনা যদি কেউ কথা না বলে ।
দৈর্ঘ শ্বাস ছেড়ে নিহা বললো ,
---ও তাই ।
---হু ।
---তা তোমার ফোন নাম্বারটা দেওয়া যাবে ।
নিহা আমার দিকে তাকিয়ে বললো ।
কিহ্ চাউনি চোখ দুটি ।
শুধু চোখ দুটি বের হয়ে আছে ।
---না মানে ।
---কি না মানে মানে করছো ।
---কিছু না ।
---নাম্বারটা বলেন ।
আমি তার চোখের দিকে তাকালাম বুঝতে পারছিনা এই চোখ দুটি আমাকে নিহার প্রতি দুর্বল করছে । আমি নাম্বারটি বলে দিলাম ।
---01863219025....
---ফোনটা দাও তো ।
---কেনো ।
---দিতে বলছি দাও ।
নিহা কেমন জানি আমার প্রতি জোর দেখাচ্ছে ।
---কি হলো দাও তো ।
ফোনটা হাতে থেকে নিয়ে নিলো ।
কিছুখন কি যেন করে আবার আমার দিকে ফোনটা ফেরত দিয়ে দিলো ।
---ফোন নাও ।
---হুম ।
---আমার নাম্বারটা সেভ করে দিয়েছি ।
---বুঝলাম না ।
---এটা বোঝার কি আছে । আমার নাম্বারটা সেভ করে দিয়েছি যেন চিনতে ভুল না হয় ।
---ও ।
নিহা সত্যি কি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছি । আমি কি নিহাকে । না এটা হতে পারে না । যদি মামনি তার কোন মেয়ে পছন্দ করে রাখে তাহলে কি হবে ।
কিছুখন ভেবে একটু দূরত্ব করলাম ।
নিহা আমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে হেসে দিলো ।
বাহ্ নিহার হাসি যেন নিহার প্রতি দুর্বল করছে । আমি কিছুখন তার দিকে তাকিয়ে রাস্তার যানবোহন আর ব্যস্ত মানুষের পথ চলা দেখছি ।
একটু পর নিহা একটু আমার দিকে ঘেষে বললো । আমার ডান হাতের উপরে নিহা তার বাম হাত রাখলো । আমি চুমকে উঠলাম । এই প্রথম কোন মেয়ে মানে নিহা আমার হাত স্পর্শ করছে । আমি তার দিকে তাকালাম । নিহা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে আগে থেকে । আমি তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি । নিহার চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না কারণ সে হিজাব দিয়ে মুখ ডেকেছে ।
আমি নিহার চোখের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে পারছিনা । মায়াবী দুটি চোখ নিহার চোখ দুটি কি যেন বলছে ।
আমার এই ভাবে চেয়ে থাকতে দেখতে বললো ,
---কি দেখছো এরকম ভাবে ।
---তোমার মায়াবী দুটি চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করছি ।
নিহা আমার কতটা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলো । মুখটা ঘুরিয়ে ফেললো । আমিও মুখটা ঘুরিয়ে আবার সেই ব্যস্ত মানুষের দিকে তাকিয়ে নিহার কথা ভাবতে লাগলাম ।
।
কিছুখন পর নিহা বললো ,
---তুমি আমাকে এরকম ভাবে সারা জীবন হাতটা ধরে থাকবে ।
নিহার কথাটা শুনে আমি নিহার চোখের দিকে তাকালাম ।
আর তার চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করলাম । মায়াবী চোখ দুটি বলছে তুমি আমাকে এরকম ভাবে সারা জীবন ধরে থাকবে ।
আমি নিহাকে বললাম ,
---আমি তোমাকে....
কথাটা শেষ না হতে বাসটি ব্রেক করে ।
তখন কথাটা বলতে পারলাম না ।
তখন নিহা বললো ,
---এখন হাতটা ছাড়ো এখানে আমাকে নামতে হবে ।
আমি নিহার কথাটা শুনে হাতের দিকে তাকালো । দেখি আমি নিহার হাত ধরে আছি সিটের উপর ।
তখন আবার নিহা বললো ,
---কি হলো ছাড়ো ।
আমি তাড়াতাড়ি করে হাত ছেড়ে দিলাম ।
নিহা হাতটি সরিয়ে নিলো।
তার পর কেমন করে চেয়ে থেকে একটা হাসি দিলো । আমার কেমন জানি লজ্জা লাগলো।
তখন নিহা বললো,
---আচ্ছা আসি এখন। আমাকে এখানে নামতে হবে।
আমি কি বলবো বুজতে পারছিনা।
মাথা দিয়ে হ্যা যাও সুচুক বললাম।।
---ফোন দিবো রাতে।
---ওকে।
---আল্লাহ হাফেজ।
নিহা চলে যাচ্ছে।
আমি শুধু তার দিকে তাকিয়ে আছি।
নিহা নেমে দাড়িয়ে বললো,
---রাতে কথা হবে।
---ওকে।
।
গাড়ি ছেড়ে দিলো।
আমি মাথাটা বের করে পিছনের দিকে তাকালাম।
দেখি এখনো দাড়িয়ে আছি নিহা।
আর আমার এ অব্যস্তা দেখে বলছে।
মাথায় ভিতরে নাও ব্যথা পাবে।
আমি মাথাটা ভেতরে আনলাম।
আর ভাবছি এরকম পরিবর্তন হলো কেনো।
আপনি থেকে তুমি তে নেমে এলাম।
আমিও কি নিহার প্রেমে পরে গেলাম।
ভাবতে ভাবতে একটা হাসি দিলাম।
হঠাৎ সামনের সিটের মানুষগুলি আমাকে কেমন চোখে তাকিয়ে আছে।
একটু লজ্জা বোধ হলো।
কারণ আমার আচারণগুলি কেমন।
আমি একাই একাই কিছু বলে হাসছি তাই।
আমি মাথাটা গুড়িয়ে জানালা দিকে তাকিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে লাগলাম।
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (মাহাদির আব্বু)
#শহরের_মেয়ে
।
পর্বঃ ষষ্ঠ এবং সপ্তম শেষ পর্ব
।
।
।
রাতে শুয়ে থেকে ভাইসিটি গেম খেলছি ল্যাপটপে ।
তখন ফোনটা ভাইব্রেটের শব্দে কাঁপছে কিন্তু ফোনটা রিসিভ করছি না । কিছুখন পর বেজে কেটে গেলো । আবার তখন ফোনটা ভাইব্রেটের শব্দে কাঁপছে তাও ফোনটা রিসিভ করছি না । কিছুখন পর আবার বেজে কেটে গেলো ।
আমি মোবাইলের স্কিনের উপর না তাকিয়ে ।
মনোযোগ দিয়ে মিশনটি শেষ করার চেষ্টা করছি ।
তখন আবার শব্দ হচ্ছে ।
তখন স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখি নাম রুকাইয়া চৌধুরী নিহা ।
তখন বুঝতে পারলাম নিহা ফোন দিচ্ছে ।
ফোনটা রিসিভ করে বললাম ,
---হ্যালো ।
---ফোন ধরতে এতো সময় লাগে । ( রেগে )
---না মানে ।
---না মানে মানে করতে হবে না । এখন বলো কি করছো ।
---এই তো শুয়ে ল্যাপটপে গেম খেলছি । আপনি কি করেন ।
.
আমার কথাটা শুনে হেসে উঠলো । আহ্ কি সুন্দর হাসি সেই একি রকম হাসি ।
আমি আবার বললাম ,
---হাসছেন যে ।
---তুমি কি ছোট নাকি যে গেম খেলতেছো ।
---আরে গেম খেলা কি ছোট বড় আছে নাকি ।
---তা নাই । কিন্তু গেম তো ছোটরা খেলে ।
---হুম তা খেলে কিন্তু আমার এ গেম বেশি পছন্দ । আর অফিসের কাজ শেষ আজকে তাই এখন ঘুম আসছে না সেই জন্য গেম খেলছি ।
---গুড বয় ।
---মানে ।
---মানে বুঝতে হবে না ।
---আপনি কিন্তু বললেন না কি করছেন ।
---আরে আপনি আপনি করছেন কেনো তুমি করে বলো ।
---ওকে ।
---ওহ্ হ্যা আমি এখন ছাঁদে বসে চাঁদ দেখছি ।
.
কিহ্ রোমান্টিকরে বাবা এতো রাতে ছাঁদে বসে চাঁদ দেখছে ।
---কিহ্ হলো কথা বলছো না যে ।
---তুমি খুব রোমান্টিক ।
---কেনো ।
---এই যে রাতে একা একা বসে চাঁদ দেখছেন ।
---আমার রাতে চাঁদ দেখতে খুব ভালো লাগে ।
---ওহ্ নো পুলিশ ।
---পুলিশ মানে । কিছু হয়েছে নাকি ।
---ক্রেস হয়ছে ।
---মানে ।
---মানে ক্রেস হয়ছে । এখন পুলিশ আমাকে তাড়া করছে ।
---তাহলে কথা বলছো কীভাবে ।
---আরে গাধা আমি যে গেম খেলছি সেখানে ক্রেস হয় পুলিশের সামনে মানুষকে মারলে আর পুলিশের গাড়ির সাথে আঘাত আনলে ।
---ওহ্ আমি মনে করছি সত্যি সত্যি পুলিশ তাড়া করছে । ( কেমন দীর্ঘ শ্বাস ফেলে )
---হাহাহা ।
---হাসছো কেনো ।
---বুঝতে পারছি তুমি কখনো গেম খেলোনা তাই বুঝতে পারো নি ।
---বাদ দাওতো গেম খেলা । ছাঁদে উঠে চাঁদ দেখো ।
---না মানে মিশনটা শেষ হয়নি তো ।
---বাদ দাও মিশন টিশন । ছাঁদে উঠে দুজন চাঁদ দেখি ।
---না মানে আমি ভয় খাই রাতে ছাঁদে যেতে ।
---হাহাহা ।
.
এই মেয়ে তো আমাকে তার হাসির প্রতি দুর্বল করছে ।
---হাসছো কেনো ।
---তোমার কথা শুনে ।
---আমি কি বলেছি ।
---তুমি এতো বড় হয়ে এখনো ভয় পাও তাই ।
---না মানে এমনি বললাম ।
---তাহলে ছাঁদে যাও ।
---ওকে যাচ্ছি ।
.
আমি ফোনটা কেটে ছাঁদের দিকে গেলাম । একটা ভয় লাগছে ছোটআম্মু যদি কিছু বলে তাহলে আমি কি বলবো ।
ধ্যাত এতো ভাবলে চলবে না ।
সিঁড়ি দিয়ে সোজা ছাঁদে চলে এলাম । এই রাতে ছাঁদে একা একা একটু ভয় করছে মনের ভেতর ।
আবার ফোনটা বেজে উঠলো । দেখি নিহা কল করেছে ,
---কি ভয় করছে নাকি ।
---এরকম একটা চাঁদ পাশে থাকলে কি আর ভয় করবে ।
---বাহ্ সুন্দর করে কথা বলো তো তুমি ।
---কই ।
---এই যে একটু আগে বলছিলে ।
---ও ।
---একটা কবিতা বলো তো ।
---পারি না ।
---আমি জানি তুমি পারো বলোতো ।
আমি কবিতা বললাম,
তুমি নেই, জানি তুমি ফিরে আসবেনা কখনো,
হইতো অনেক কষ্টের মাঝে পাবোনা তোমার
সান্তনা, তোমার হাসিতে লুকানো থাকবেনা_
খুব গোপনে লালন করা আমার কষ্ট গুলো,
তবু আমি জানি,আমি তোমাকে ভালোবেসে
যাব ,কারন তুমি না থাকলেও তোমার ভালবাসা
আমার সাথে থাকবে প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিতি সময়
---বাহ্ অনেক সুন্দর হয়ছে ।
---ধন্যবাদ ।
---এখন রুমে গিয়ে শুয়ে পর ।
---হুম তুমিও যাও ।
।
আমি ছাঁদে থেকে রুমে এসে শুয়ে পরলাম ।
ভাবছি আচ্ছা নিহা এরকম করছে কেনো । সে আমাকে তার প্রতি দুর্বল করেছে । আমিও কি নিহাকে ভালোবাসে ফেলেছি নাকি । হ্যা আমি নিহাকে ভালোবেসে ফেলেছি ।
এগুলি ভাবতে ভাবতে কখন যে শুয়ে পরেছি মনেই নেই ।
।
সকালে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে কিছুখন কোরআন শরিফ তেলোয়াত করলাম ।
মসজিদ থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে অফিসে যাই ।
।
রাতে নিহাকে ফোন দিবো তখনই ফোনটা কেঁপে উঠলো । দেখি নিহা ফোন দিয়েছে । ফোনটা রিসিভ করে বললাম ,
---হ্যালো ।
---কেমন আছো ।
---আলহামদুলিল্লাহ ভালো । তুমি ।
---আমিও ভালো আছি । কি করো ।
---অফিসের কাজ সেরে শুয়ে আছি । তুমি ।
---আমিও শুয়ে আছি ।
---আজকে চাঁদ দেখতে ছাঁদে যাবে না ।
---না ।
---কেনো কিছু হয়েছে নাকি ।
---না কিছু হয়নি এমনি ।
---ও ।
.
সারাদিন অফিস থেকে বাসায় এসে রাতে এভাবে প্রতিদিন কথা হচ্ছে নাসির আর নিহার মধ্যে ।
এভাবে নাসির নিহাকে ভালোবেসে ফেলে । কিন্তু নাসির কিভাবে নিহাকে বলবে বুঝতে পারছে । তাই আর নিহাকে বলছে না নাসির নিহাকে ভালোবাসে । তাই প্রতিদিন শুধু ফোনে কথা হচ্ছে নাসির আর নিহার মধ্যে ।
.
এভাবে এক এক করে অনেক দিন চলে গেলো । তবুও নাসির নিহাকে বলতে পারছেনা আমি তোমাকে ভালোবাসি । নিহা নাসিরকে ভালোবাসে এটা বুঝতে পারে নাসির । কিন্তু একটা ভয় কাজ করে যদি নিহা নাসিরকে ভালো বন্ধু মনে করে তাহলে তো নিহা অনেক কষ্ট পাবে তাই নাসির আর নিহাকে কিছু বলে না ।
.
এদিকে নিহার পরীক্ষা সামনে ।
.
এভাবে কিছু দিন কেটে গেলো ।
.
আজ অফিস ছুটি একটু শুয়ে আছি । এর মধ্যে ছোটআম্মু খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেলো । আমি উঠে খেতে গেলাম ।
দেখি আঙ্কেল আর ছোটআম্মু কি যেন কথাবার্তা বলছে ।
সায়েম ও এখনো আসে নাই আমাদের বাসা থেকে । পড়াশোনা শেষ তাই বলে এতো দিন থাকবে । কেমন জানি একা একা ভালো লাগছে না ।
এগুলি ভাবতে ডয়িং রুমে চলে এলাম । এসে কিছু শুনতে পেলাম যা শুনলাম তা হলো কারও বিয়ের কথা ।
ছোট আম্মু বললো ,
---দাড়িয়ে আছেন কেনো আব্বাজান বসো ।
.
আমি বসে পরলাম । ছোট আম্মু খাবার দিলো । আমি খেতে লাগলাম । আবার সেই কথা বলতে লাগলো দুজন । ভাবছি সায়েমের বিয়ের জন্য মনে হয় । অনেক দিন ধরে বিয়ে খাই না এখন বিয়ে খেতে পারবো ।
আমি ছোট আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললাম ,
---কার বিয়ে ছোটআম্মু সায়েমের নাকি ।
---আব্বাজান আপনে জানেন নাই এখনো কার বিয়ে ।
---সায়েমের মা দেখছো তোমার ছেলে এখন কি বলে এখনো জানে না ।
---আঙ্কেল আপনারা কি বলছেন বুঝতে পারছিনা তো ।
---শোনেন আব্বাজান আপনার জন্য পাত্রী দেখেছে ভাবি ।
.
কথাটা শুনে আকাশ ভেঙ্গে পরলো মাথায় । কি বলছে এসব সবে মাত্র চাকরিতে জয়েন করছি আর এখন নাকি বিয়ে করতে হবে ।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা ।
আবার ছোটআম্মু বললো ,
---কি হলো আব্বাজান খাওয়া বাদ দিয়ে কি ভাবছেন ।
---ছোটআম্মু আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না ।
---কেনো কি হয়েছে ।
---না মানে সবে মাত্র চাকরিতে জয়েন করলাম আর এখন নাকি বিয়ে না আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না । আর ...
,
বলেই থেমে গেলাম ।
---আর কি আব্বাজান ।
---না মানে আমারও তো মত নেওয়ার প্রয়োজন আছে । আর আমারও পছন্দের দরকার আছে । যদি আমারও কাউকে ভালো লেগে থাকে । যদি কাউকে আমি ভালোবেসে থাকি সেটা না শুনে হুট করে মামনি মেয়ে দেখছে ।
.
আমি কথাটা মাথা নিচু করে বললাম ।
একটু ছোটআম্মুর দিকে তাকালাম দেখি আমার এরকম কথা শুনে মুখটা কেমন জানি হয়ে গেছে ।
হয়তো আমাকে দিয়ে এরকম কথা আশা করেনি ।
আর বিশেষ করে ছোটআম্মুর মুখের সামনে যেরকম কথা বলছি । কিন্তু মামনির সামনে একটু বলতে পারতাম না । কারণ মামনিকে দেখে খুব ভয় পাই শুধু আমি ভয় খাই না আমার আব্বু খায় অনেক ।
আমি মাথা নিচু করে খেতে লাগলাম ।
তখন ছোট আম্মু আবার বললো ,
---আব্বাজান আপনি কাউকে ভালোবাসেন নাকি না কাউকে পছন্দ করেন ।
.
আমি এখন কি বলি বুঝে উঠতে পারছিনা ।
---কি হলো বলেন আব্বাজান ।
---নিশ্চুপ ।
---আরে আব্বাজান মেয়ে দেখলে কি বিয়ে হয় । আর শোনেন মেয়ে যদি পছন্দ হয় তাহলে হবে আর যদি আপনার কোন মেয়েকে পছন্দ করেন তাহলে বলবেন আমরা তার সাথে বিয়ে দিবো । আর আপনার যেখানে মত নেই সেখানে হবে না । আপনার সুখীতো আমাদের সুখ । কাকে পছন্দ করেন , বাড়ি কোথায় সব কিছু বলবেন আমাকে বন্ধু ভেবে ।
---আমাকে কিছুদিন সময় দিন ছোট আম্মু । আর এগুলি কিছু বলবেন না মামনিকে ।
---আপনাকে ১০ দিন সময় দেওয়া হলো আব্বাজান ।
---ওকে ।
---কি হলো সব না খেয়ে কোথায় জান ।
---আমার খেতে ভালো লাগছে না ।
.
এই বলে চলে এলাম রুমে ।
ভাবছি নিহার কথা বলে দিবো নাকি । না আগেই বলবো না । আজকে নিহাকে আমি ভালোবাসি নিহা একথাটি বলে দিবো । যদি সে আমাকে ভালোবাসে তাহলে আমাকে তার উত্তর দিয়ে দেবে আর অন্য উত্তর পেয়ে যাবো ।
এগুলি ভাবতেছি তখনি ফোনটা বেজে উঠলো । ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি নিহা ফোন নিয়েছে । ফোনটা রিসিভ করলাম ,
---হ্যালো ।
---আজকে কি একটু দেখা করতে পারবে ।
---পারবো আর এরকম করে কথা বলছো কেনো কিছু হয়েছে ।
---না ।
---কখন আর কোথায় দেখা করতে হবে ।
---লেকের পাড়ে বিকেল ৪টা ।
---ওকে ।
ফোনটা কেটে গেলো । আমি ট্রাই করলাম ফোন দেওয়ার জন্য কিন্তু ফোন যাচ্ছেনা ।
হঠাৎ করে কি হলো মেয়েটার ।
অনেক বার ট্রাই করলাম কিন্তু সেই আগের কথা বলছে কম্পিউটার থেকে ।
আমি আর ট্রাই করলাম না ।
তাই একটু ঘুম দিলাম ।
।
কখন থেকে বসে আছি । কিন্তু নিহার আসার কোন নাম গন্ধ নাই । অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না ।
নিহা কি আসবে না নাকি মিথ্যা বলেছে । নিহা কি কোথাও লুকিয়ে মজা নিচ্ছে ।
আমি একটু চারপাশে তাকালাম কিন্তু কোথাও নেই ।
এখন আমি এভাবে বসে থাকবো নাকি চলে যাবো বুঝতে পারছিনা । আর কিছুখন বসে থাকি যদি এর মধ্যে আসে তাহলে ভালো আর না আসলে বাসায় যাবো ।
।
কিছুখন পর ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি ৪:৩৫ বাজে । যখনি বাসার দিকে রওনা দিবো তখন দেখি নিহা আসছে । যাক বাবা অপেক্ষার সফল হয়েছে ।
---এতো সময় লাগে আসতে ।
---সরি ।
---সরি বলতে হবে না । হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি কেমন ।
---নাহ্ ।
---কেনো ।
---এমনি আর আমাকে বাসায় তাড়াতাড়ি যেতে হবে ।
---মানে বুঝলাম না আর তোমাকে এরকম লাগছে কেনো কিছু হয়েছে ।
---নাহ্ কিছু হয়নি ।
---ও কি বলবে বলো ।
---আচ্ছা সত্যি করে একটা কথা বলবে ।
---কি কথা ।
---বলছি আগে বলো বলবে ।
---আচ্ছা বলবো বলো কি কথা ।
.
নিহা আমার চোখের দিকে কিছুখন তাকিয়ে থাকল । তারপর কি যেন বির বির করে কি যেন বলছে ।
---তুমি কি আমাকে ভালোবাসো ।
.
নিহার কথাটা শুনে চুমকে উঠলাম । কি বলবো এখন আমি ।
---কি হলো বলো ।
---হ্যা ভালোবাসি । কিন্তু হঠাৎ করে একথা বললে যে কিছু হয়েছে ।
---জানতে ইচ্ছে করছিল তাই । আচ্ছা তুমি তো জিঙ্গেস করলে না আমি ভালোবাসি কিনা ।
---আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই ।
---যদি বলি ভালোবাসিনা ।
---আমি বিশ্বাস করি না ।
---কেনো বিশ্বাস করোনা ।
---যদি কোন মেয়ে কোন ছেলেকে ভালো না বাসে তাহলে প্রতিদিন কখনো তাকে ফোন করে কখনো বলবে খেয়েছো নাকি , কি করো , কেমন আছো , অসুস্থ হলে কীভাবে , কখনো মাঝে মাঝে ভালোবাসো কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলি কিছুই ফোন করে জিঙ্গেস করতো না ।
বাসে কোন মেয়ের পাশে সিট খালি থাকায় না বসে আমার কাছে বসে এটা কোন মেয়ে করবে না যদি তাকে না ভালোবাসে ।
কোন মেয়ে তার হাত ধরতে দিবে না অন্য ছেলে ।
কিন্তু সেদিন তোমার হাত ধরেছিলাম তুমিও ধরেছিলে । এটা কোন মেয়ে করবে কোন ছেলেকে যদি না ভালোবাসে ।
.
আমি এক এক করে সব বলে দিলাম ।
নিহা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে দাড়িয়ে আছে ।
নিহার ঠোঁট কাঁপছে চোখের কোণে মেঘ জমেছে কিছু বলতে পারছেনা ।
তবুও নিহা কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছেনা ।
---যদি একটা রিকুয়েষ্ট করি রাখবে ।
---কি রিকুয়েষ্ট ।
---আগে বলো রাখবে ।
---বলো ।
---তুমি আমাকে ভুলে যাও ।
.
নিহার কথাটা শুনে বুকের মাঝে চিন চিন করে ব্যথা অনুভব হলো ।
---কি হলো বলো রাখবে ।
---কিন্তু কেনো বলো । নাকি অন্য...
কথাটা শেষ হতে দিয়ে নিহা বললো ,
---আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি না । আমি তোমাকে ভালোবাসি । কিন্তু ।
---কিন্তু কি ।
---বাসায় থেকে পাত্র ঠিক করেছে ।
.
কথাটা শুনে থ্ হয়ে গেলাম । কি বলবো বুঝতে পারছিনা ।
---বাসায় বলো আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না দুই দিন পরে তো পরীক্ষা ।
---বলেছিলাম কিন্তু পাত্রের আম্মা বলেছে বিয়ে হবে পরীক্ষার পরে ।
---ও তা ছেলে দেখতে কেমন ।
---জানি না ।
---মানে ।
---সে দেখেনি কিন্তু তার আম্মা নাকি আমার ছবি দেখেছে তার নাকি পাত্রী পছন্দ হয়েছে ।
আর আব্বা আম্মার সাথে কথা বলেছে কাল নাকি দেখতে আসবে আমায় ।
।
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা । মুখ অবশ হয়ে গেছে । বোবাদের মতো কোন কথা বলতে পারছিনা । আমি শুধু নিহার কথাগুলি শুনছি ।
আবার নিহা বললো ,
---পরিবারের বড় মেয়ে আমি । আমার কোন চাওয়া অপূর্ন রাখে নি । তাই আমি তাদেরকে কষ্ট দিতে চাই না । তাই তুমি কাউকে বিয়ে করে সুখী হও । আসলে ভুলটা আমার ছিলো যদি পারো ক্ষমা করে দিও ।
এটা বলে নিহা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো ।
চোখ দিয়ে পানি ঝরছে কিন্তু আমি দাড়িয়ে আছি । পা দুটি জর বস্তু হয়ে গেছে একটু এগুতে পারছিনা ।
এরকম হচ্ছে কেনো আমার সাথে ।
এভাবে কিছুখন দাড়িয়ে থাকলাম । আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছিনা ।
।
।
#সপ্তম
।
।
।
ওখান থেকে বাসায় আসলাম । আমার এই অবস্থা দেখে ছোটআম্মু জিঙ্গেস করেছিলো কিছু হয়েছে কি না । কিন্তু আমি কিছু না বলে রুমে এসে দরজা লক করে শুয়ে পরলাম ।
কিছুই ভাবতে পারছিনা কেমন জানি নিহাকে খুব মনে পরছে ।
ফোনটা বের করে নিহার নাম্বারে ফোন দিলাম । কিন্তু বরাবরই একই কথা বলে যাচ্ছে আপনার কাঙ্খিত নাম্বারটি বন্ধ আছে । আবার ট্রাই করলাম কিন্তু আবারও সেই একি কথা বলছে ।
আর ট্রাই করলাম না ।
এখন আমাকে ঘুমাতে হবে না হলে এগুলি মাথা থেকে নামবে না ।
তাই ডয়ারের ভেতর থেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিলাম ।
কিছুখন পর চোখ দুটি ছোট হয়ে আসছে । আমি আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না ।
।
কারও ডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।
---আব্বাজান এখন উঠেন ।
---আর একটু ঘুমাতে দেন ।
---এখন কতো বাজে সে খেয়াল আছে আব্বাজান ।
---কতো বাজে ।
---১২ টা বাজে ।
---কি বলছেন আপনি ।
---ঠিক বলছি ।
.
মনে মনে ভাবলাম অফিস আজকে শেষ । অবশ্য কিছু বলবে না কারণ নিজেদের অফিস তো তাই তবুও অফিসের একটা রুল আছে না ।
---কি ভাবছেন , আজকে অফিসে যেতে হবে না । আপনার ছোট আঙ্কেল বলেগেছে ।
আর এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিন আজকে ভাবি আর ভাইয়া আসবে ।
---আব্বু আর মামনি আসবে ।
---হুম আসবে । আচ্ছা এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও ।
.
আমি উঠে ফ্রেশ হলাম ।
.
অতঃপর
.
বিকেলে শুয়ে আছি তখন মামনি এসে বললো ,
---কি করো ।
---শুয়ে আছি ।
---মন খারাপ ।
---না কেনো ।
---এমনি । তোর ছোট আম্মু কিছু বলেছে ।
---হ্যা ।
---তা তোমার মত কি ।
.
কি বলি এখন মামনিকে ।
---না মানে ।
---না মানে কি । তুমি কি কাউকে পছন্দ করো ।
---হ্যা মানে না ।
---হ্যা মানে না বুঝলাম না ।
---কিছু না মামনি আপনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করেন ।
---গুড বয় । আমি জানি আমার কথা তুমি রাখবে ।
---হুম ।
---কাল মেয়েকে দেখে আসতে পারো ।
---আমার দেখা লাগবেনা আপনি তো আর আমার জন্য খারাপ কোন মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে না ।
---হুম জানি তাই বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে এসেছি ।
---আপনার যা ভালো মনে হয় সেটা করেন ।
---মেয়েটার ১৫ তারিখে পরীক্ষা শেষ হবে আর জানুয়ারির ২০ তারিখে বিয়ে ।
.
আমি কিছু বলছিনা । কি বলবো মামনির মুখের উপর তো কথা বলতে পারিনা । আর বলেই কি লাভ নিহাকে তো আর পাবো না ।
---আচ্ছা এখন তুমি উঠে নামাজ পড়তে যাও ।
---জ্বী যাচ্ছি ।
.
আমি নামাজ পড়তে গেলাম ।
.
রাতে শুয়ে আছি নিহার নাম্বারে ট্রাই করলাম কিন্তু সেই আগের মতো কম্পিউটারের কথা ।
।
প্রতিদিন অফিসে যাই । রাতে কিছুখন নিহার কথা মনে পরলে অজান্তে চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি গাল দিয়ে গড়িয়ে পরলো । এদিকে নিহার কোন খোঁজ খবর নাই ।
এভাবে কাটতে থাকে দিন গুলি ।
একদিন একদিন করে পুরো ২০ দিন কেটে গেলো ।
।
অতঃপর
।
আজকে দুমদাম করে বিয়ে হলো মামনির পছন্দ করা সেই মেয়েকে ।
আমি এখন পযন্ত মেয়েকে দেখেনি । কারণ আমার পছন্দ মতো বিয়ে না ।
.
মেয়েটি মানে আজকে আমার সাথে যার বিয়ে হলো সে বাসর ঘরে বসে আছে আর আমি ছাঁদে রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছি । বাসর ঘরে যেতে একদম ভালো লাগছেনা । আমি তো নিহাকে ভালোবাসি আর তাকে ছাড়া আমি কাউকে আমার স্ত্রী বলে মেনে নিতে পারি না । নিহার কথা ভাবতে চোখটা ঝাপসা হয়ে এলো ।
আমার কাঁধে কারও হাত রাখাতে আমি চুমকে উঠে পিছনের দিকে তাকালাম ।
দেখি সায়েম,
সায়েম তখন বললো,
---তুই এখানে আর আমি সারা বাড়ি খুঁজে হয়রান কি করিস এখানে একা একা।
---কিছুনা কেনো কিছু বলবি।
---বলবি মানে ভাবি একা একা বসে আছে।
---বসে থাকুক সমস্যা কি।
---বসে থাকুক মানে তুই গিয়ে ভাবির সাথে গিয়ে কথাবার্তা বল। বেচারি একা একা ভয় খাবে তো অচেনা বাড়িতে।
---তুই গিয়ে তোর ভাবির সাথে থাক যা না আমি পারবো না।
---অস্তাগফিরুল্লা সালা কয় কি।
---না মানে তুই গিয়ে তোর ভাবির সাথে গল্প কর।
---আরে কেনো।
---কেনো।
---আমি এখনো নিহাকে ভালোবাসি ওকে ছাড়া কাউকে আমার বউ বলে মেনে নিতে পারবোনা।
---যে চলে গেছে তাকে ভেবে কোন লাভ আছে। তার চাইতে নতুন ভাবিকে নিহার মতো ভালোবাস এতে মেয়েটি খুশি হবে।
---কি বলিস তুই আমি যাকে ভালোবাসি তাকে ছাড়া অন্য কাউকে নয় বুজলি।
---আরে ভাই চলতো গেলি বুজতে পারবি।
---মানে।
---কিছুনা চল এখন।
.
বলেই আমাকে সায়েম জোর করে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিলো আর বলে গেলো দেখিস সামলাতে পারিস কিনা আর সকালে আমার গিফ্ট পাই যেনো।
.
আমি একটু এগিয়ে খাটের কাছে গেলাম। মেয়েটি লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে বিছানার মাঝ খানে।
দেখতে ভালো হবে। আমি কিছু বলছিনা।
.
একটু পর।
.
কেউ কিছু বলছিনা।
আমি বলতে লাগলাম।
শোন,
মামনির পছন্দ মতো বিয়ে হয়েছে।
আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাইনি।
কিন্তুু মামনির কথা রেখে বিয়ে করেছি।
তাই আমার কাছ থেকে কোন কিছু পাওয়ার আশা করবেনা।
সব মমেয়ের একটা স্বাপ্ন থাকে আজকের রাতকে নিয়ে তেমনি তোমার ও আছে।
জানিনা তোমার মনে কতো স্বপ্ন আছে আজকের রাতকে নিয়ে। কিন্তু সেটা হয়তো আমি পূরণ করতে পারবোনা।
কারণ আমি একজনকে ভালোবাসি।
আমি তোমাকে স্ত্রী মর্যাদা দিতে পারবোনা।
কারণ আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি তাকে ছাড়া অন্য কাউকে স্ত্রী বলে মেনে নিতে পারবোনা।
আর আমার কাছে স্ত্রীর অধিকার দেখাতে আসবেনা।
.
আমি কথা গুলি এক এক করে বলে ফেললাম।
কিন্তু মেয়েটি কোন কিছু বলছেনা।
হয়তো আজকে আমার কাছ থেকে এরকম কথা আশা করে নি।
আমি আর কিছু না বলে শুতে যাবো তখন মেয়েটি বললো,
---নামাজ পড়বে কে।
.
কথা শুনে চুমকে উঠলাম এটাতো নিহার কন্ঠ।
ধ্যাত নিহাকে বেশি ভালোবেসেছি তাই হয়তো আমি কন্ঠ সুর তাি মনে করছি।
আমি কিছু বললাম না।
যখনি বিছানায় উঠবো তখন আবার বললো,
---নামাজ না পড়ে শুয়ে পড়ছেন মানে।
.
নাহ্ এটা ভূল শুনছি না এটা কি নিহা।
আমি আর না শুয়ে তার দিকে তাকালাম
দেখি লম্বা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।
একটু কি ঘোমটা খুলে দেখবো নাকি।
মেয়েটির কাছে গেলাম।
তারপর মেয়েটির সামনে বসে পরলাম।
ভাবছি ঘোমটা খুলে দেখবো একটু, আবার মনে হলো যদি নিহা না হয় তাহলে।
আমি কিছু ভাবতে পারছিনা।
সব কিছু ভেবে যখনি ঘোমটা তুরবো তখন মেয়েটি বললো,
---আমার অনুমতি ছাড়া আমাকে টাচ্ করছেন আপনি ।
.
এমা এটাতো মনে ছিলোনা,
---স্যরি ভুল হয়েগেছে এখন কি তোমার ঘোমটা কি সরিয়রে একটু দেকতে পারি।
---নাহ্।
.
মেয়েটার কথা শুনে কেমন জানি শট্ খেলাম বললাম,
---কেনো।
---২ রাকাত নফল নামাজ পড়েন তারপর।
---নামাজ পড়া ছাড়াতো দেখা যায়।
---জানি, আমার ছোট বেলা একটা স্বাপ্ন আছে আগে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে তারপর আমাকে দেখতে পারবেন। তাহলে আপনি নামাজ পড়ে আসেন।
.
আমি আর কিছু না বলে দাড়িয়ে গেলাম।
হাইরে মেয়ের স্বাপ্ন রে আগে নামাজ তারপর দেখাবে।
.
আমি ওয়াশ রুমে দিকে যেতে লাগলাম তখন মেয়েটা বললো,
---আপনি একাই নামাজ পড়বেন আমাকে তো বললেন না।
---ও হ্যা ভুলে গেছি স্যরি চলেন।
---ভূলে গেছেন নাকি নিহার কন্ঠের মতো আমার কন্ঠ এক দেখে আমাকে দেখতে চাইছেন তাই তাড়াতাড়ি করে ওযু করে এসে নামাজ পড়ে দেখে নিবেন।
.
মেয়েটার কথা শুনে চুমকে উঠলাম আর হবার কথা ।
কারণ এসব কথা কেমনে জানলো।
আর তার জন্য মনে হয় আমার কথা গুলি কিছু মনে করছিলোনা।
আর এসব কথা সায়েম মনে হয় বলেছে তাছাড়া কেমনে জানবে।
---কি ভাবছেন চলেন।
---হ্যা চলেন।
.
আমি আর মেয়েটা ওয়াশ রুমে থেকে ওযু করে আসলাম।
আগে থেকে দুটি জায়নামাজ রেখে দিয়েছে কে যেন।
জায়নামাজ বিছিয়ে আমি সামনে আর মেয়েটা আমার পিছনে দাড়িয়ে নামাজ আদায় করলাম।
.
নামাজ শেষ করে আল্লাহুর কাছে কিছু চাইলাম।
.
অতঃপর
।
আমি আর মেয়েটা ধ্যাত কখন থেকে মেয়েটা বলে যাচ্ছি মানে বিয়ে করা বউটা বসে আছি খাটের মাঝখানে।
কেউ কিছু বলছিনা।
আমি তখন বললাম,
---যদি অনুমিত দিলে তোমাকে একবার দেখতে পারি।
.
কথাটা বলার সাথে বউটা ঘোমটা সরালো।
আমিতো দেখে টাসকি খাইলাম।
এটা নিহা, নাকি আমি ভুল দেখছি।
---কি হলো আর এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো।
.
আমি কিছু বললাম না। আমি কি সব সত্যি দেখছি নাকি স্বপ্ন।
একটু উঠে ধারালাম।
নিহা উঠে দাড়িয়ে বললো,
---আরে স্বপ্ন না আমি নিহা। আর এতো ভিতু তুমি।
---কেনো কি করেছি।
---দেখাচ্ছি কি করেছো।
.
প্যান্জাবী কলার ধরে আমিও তার কোমর ধরে ফেললাম।
নিহা আমার মুখের সামনে নিহার মুখ এনে বললো,
---তুমি একদম বোকা কিছু বুজতে পারিস না।
আমার ঘোমটা দিয়ে থাকতে অসহ্য লাগছিলো।
মনে করেছিলাম তুমি এসে ঘোমটা শরিয়ে দিবে তা না।
এসে বড় বড় কথা বললে।
---আমি যে তোমা...
নিহার হাত দিয়ে আমার ঠোঁট স্পর্শ করে আমাকে থামিয়ে দেয়।
এই প্রথম নিহা আমাকে এতো কাছে এসে আমাকে ছুঁয়ে দিলো।
আবার নিহা বললো,
---আমি জানি তুমি আমাকে অনেক অনেক ভালোবাসিস।
এখন সব ভালোবাসা দিয়ে সব কষ্ট দূর করেরে দিবো।
.
নিহার চোখে মুখে দুষ্টুমির ছাপ দেখতে পাচ্ছি।
তখনি নিহা আমাকে বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলো দিলো।
আমিও টান দিয়ে আমার উপ্রে ফেললাম।
তখন নিহা আমার বুকের উপরে শুয়ে পরলো।
এখনো নিহার চোখে মুখে দুষ্টামির দৃষ্টি যায় নাই।
নিহা তখন আববার বললো,
---একবারও জিঙ্গেস করলে না সব কিভাবে হলো। আচ্ছা জিঙ্গেস করতে হবেনা।
আমি বলছি।
রাত্রি আপুকে যেদিন সব বলে দিলাম আমি তোমাকে ভালোবাসি তখন রাত্রি আপি বললো আগে বলবি তো সেদিন থেকে ছেলেটাকে মেরে চলছি।
আমি তখন বললাম আমার কোনন কথাতো শুনলে না তুমি।
তখন বলে আমার ভূল হয়ে গেছে আমি গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিবো তখন আব্বু ফোন দিয়ে বললো আজকে ভার্সিটিতে একটা কাজ আছে আমাকে করতে হবে।
তখন আপুকে বললাম তুমি গিয়ে বলবে আমার ভূল হয়ে গেছে।
পরে শুনতে পেলাম আপুকে তুমি নাকি বকা দিছো তখন আমার কেমমন যেনো ভালো লাগছিলোনা।
পরে আর তোমার কথা ভূলে যাবো তকন আরো বেশি মনে পরলো।
পরে সিদ্ধানতো নিলাম যদি কখনো দেখা হয় তখন মনের কথাটা বলে দিবো।
পরে যখন আন্টির বাসা থেকে আসছি তখন বাসে সিট খুঁজতে লাগলাম তখন তোমাকে দেখতে পাই তখন যে আমার কতো ভালো লেগেছিলো বলে বুঝাতে পারবোনা।
পরে তোমার পাশে বসে পররলাম কিন্তু কুমি আমাকে চিনতে পারো নাই।
পরে যখন বললাম আমি নিজা তুমি যে কিভাবে তাকিয়ে ছিলে আমার লজ্জা করছিলো।
পরে যখন তোমার হাতের উপরে হাত রাখলাম তখন তুমিও আমার হাতটি ধরেছিলে আমি ধিরে ধিরে বলেছিলাম এভাবে সারাজীবন হাতটা ধরে রাখবে তখন শুনতে পেয়ে ছিলে। তখন আমার বেশি লজ্জা পেয়েছিলাম।
তার পর বুজতে পারলাম তুমিও আমাকে ভালোবাসো।
তাই তখন তোমার নাম্বারটা নিলাম।
পরে ধিরে ধিরে আমারদের সম্পর্কে গভীর হতে লাগলো।
পরে যখন বাসা থেকে বিয়ের চাপ দিলো তখন কি করবো বুজে উঠে পারছিলাম না।
তাই সেদিন ওই কথা গুলি বলে দিলাম।
পরের দিন আমাকে দেখতে এসে ছিলো তোমার আম্মা।
আমাকে পছন্দ হয়েছে তাই।
পরে আমি দরজা দিয়ে লক করে অনেক কাঁদলাম।
শুনেছি কাঁদলে নাকি মন হালকা হয়।
পরে ভাবি এসে পাত্রের ছবি দিয়ে গেলো আমার দেখার ইচ্ছে হয় নাই কারণ তোমমাকে ছাড়া কাউকে স্বামী হিসাবে মেনে নিবোনা তাই ছবি দেখে কি লাভ।
পরেরে যখন সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সুসাইড করবো।
সব কিছু পরিকল্পনা করলাম।
তখন হঠাৎ করে তোমার ছবির দিকে চোখ পরে গেলো তখন তাড়াতাড়ি করে ছবিটা দেখলাম দেখি তোমার ছবি।
তখন আর সুসাইড করা কথাটা বাদদ দিলাম।
পরে টেনশোন হলো যদি তুমমি রাজি না থাকো পরে বুজতে পারলাম তোমার আম্মুকে দেখে ভয় পাও।
তারপরে শুনতে পেলাম তুমি রাজি আছো।
পরে জানতে পারলাম সব কিছু রাত্রি আপু আর সায়েম করেছে।
আর তাই পড়াশোনা মনোযোগ দিয়ে করে পরীক্ষা দিলাম।
তখন ও ফোনটা অন করি নি কারণ।
সব কিছু তো আমি পেয়ে গেছি আর একটু সহ্য করি।
তার পর তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে আর কখনো তোমার সাথে কথা বলিনি এবং দেখা কররিনি।
.
এক এক করে সেই কখন থেকে সব বলে দিলো নিহা।
আমি কিছু বলতে পারলামনা তকন মনে হলো সায়েম আমাকে কেনো বললো সকালে আমি গিফ্ ট যেনো পাই।
.
নিহার আমার বুকের মাঝে শুয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে কথা গুলি বললো।
বুজতে পারলাম নিহা আমাকেও অনেক ভালোবাসে।
নিহার ঠোঁট কেমন যানি কাঁপছে।
.
আমি কিছু বলতে যাবো তখন নিহার ঠোঁট আমার ঠোঁট এক হয়ে গেছে ।
।
সবাই বাসর ঘরের সম্পর্কে জানেন তাই আর বেশি কিছু বললাম না।
তার পর আমি আর নিহা ভালোবাসার মাঝে হারিয়ে গেলাম।।।
।
।
।
সমাপ্ত========
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (মাহাদির আব্বু)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ