written by:- Ni Alif
.
লেগুনার পিছনে ঝুইল্লা মেসে পৌঁছে ভাবলাম একখান জম্পেস ঘুম দিমু মাগার রুমে ঢুইক্কা দেখি সেই অবস্থা নাই। মেসের প্রতিটা বিছানায় তিড়িং বিড়িং কইরা কেউ না কেউ শুইয়া আছে। বাথরুমে ঢুকতে গিয়া দেখি ভেতর থেকে লক। আধঘন্টা যাবদ অপেক্ষা করিয়া বাথরুমে ঢুকার পরিকল্পনা বাতিল করিয়া আবার রুমে ঢুকলাম। বেডের উপ্রে মন্টু ভাই চিৎ হইয়া নাক ডাকছেন, ডাকাডাকি কইরা তার ঘুম ভাঙ্গাতে না পেরে একসপ্তাহ ধরে না ধোয়া মোজা তার নাকের কাছে ধরতেই বেচারা ও মাগো বলে উঠে বসলেন।
.
--আলিফ কখন আসছো?
.
-জ্বী ভাই আধঘন্টা হলো।
.
--তো ডাকোনি কেন?
.
-বাথরুমের সামনে সিরিয়ালে ছিলাম।
.
--রাতের বেলা বাথরুমে সিরিয়াল তো থাকেনা।
.
-ভিত্রে কেউ মনে হয় হাগতে বসে ঘুমাইছে।
.
কালাম ভাই শীতে কাঁপতে কাঁপতে রুমে ঢুকলেন, তার মুখ দেখে মনে হচ্ছে বেচারা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ফিরছেন।
.
-কালাম ভাই বাথরুমে আপনি ছিলেন?
.
--হ ভাই।
.
-ভাই পেট খারাপ নাকি?
.
--কাপড় ধুচ্ছিলাম।
.
-এতোক্ষন ধরে?
.
--কি করাম, আমার গার্লফ্রেন্ডের গিফ্ট করা শার্ট মতিন পড়ছিলো। হুইল, সাবান দিয়াও কাজ হয়নি এখন হারপিকে ডুবাইয়া রাইখা আসলাম।
.
-ভাই হারপিকেও কাজ হইবোনা, শার্টখান মতিন ভাইরে গিফ্ট দিয়া দেন।
.
--শেষ চেষ্টা করে দেখি।
.
বেচারা কালাম ভাই আবারো বাথরুমে ঢুকলেন।
মতিন ভাই খুবই আন্তরিক ব্যক্তি, তিনি যে কারো শার্ট, প্যান্ট এমনকি জাঙ্গিয়া পর্যন্ত বিনা অনুমতিতে ভালোবেসে নিজের মনে করে ব্যবহার করেন। সমস্যা একটাই মতিন ভাইয়ের ব্যবহার করা জিনিস পুনরায় আজ অবদি কেহ ব্যবহার করিতে সাহস করে নাই, মতিন ভাই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একাই রুমের বেশিরভাগ স্থান দখল করে থাকেন বাকি জায়গায় অন্যরা জড়াজড়ি করে ঘুমায়। সমস্যা হলো মতিন ভাইয়ের পানি ফোবিয়া আছে, তিনি সপ্তাহে অথবা দু সপ্তাহে একবার গোসল দেন।
.
একঘন্টা যুদ্ধের পরে কালাম ভাই তার গার্লফ্রেন্ডের দেয়া শখের শার্টটা ছুঁড়ে ফেলে শুয়ে পড়লেন।
.
রাতে সবাই ফ্লোরে খেতে বসেছি, মেসের খাবার সাধারনত খাবার অযোগ্য হয় কিন্তু আজকের মাছের ঝোল অসাধারন হয়েছে। সবার চোখ আনন্দে চকচক করছে। কয়েক লোকমা খাওয়ার পরে যখন মাছের পেট উন্মুক্ত করলাম তখন মাছের নাড়িভুড়ি উকি দিতেই সকলে বুঝিতে পারিলাম তরকারির স্বাদের রহস্য। সবাই গাজর খেয়ে শুয়ে পড়লাম। লাইট অফ করতেই কালাম ভাই চিৎকার করে উঠলেনঃ
.
-সাঈদ খবরদার আরেকবার যদি কম্বলের ভেতরে পাদ মারবি তো লাথি খাবি, পাদ মারার সময় কম্বলের ভেতর থেকে পাছা বের করতে পারিসনা?
.
সাঈদ অপরাধির স্বরে বললোঃ
--সরি ভাই পরেরবার বিষয়টা খেয়াল রাখবো।
.
রাতে যে যতো দেরিতেই ঘুমাক সকাল সাতটায় কেউ বিছানায় থাকেনা যদিও দশটার পূর্বে কারো কোন কাজ নেই। তার কারন তিনটা, বাথরুমে সিরিয়াল পাওয়া, বাড়িওয়ালাকে পানির জন্য ডেকে তোলা, এবং পাশের ছাদের সুন্দরীদের সামনে ভাব নেয়া।
সকালে হট্টোগোলের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো, কম্বল জড়িয়ে বারান্দায় এসে দেখি সাড়ে চারফুট সাইজের ছাগল দাড়িওয়ালা এক যুবক মেসের পোলাপাইনদের ঝাড়ি দিতাছে।
--খবরদার কেউ পাশের ছাদে উঁকি ঝুকি দিবিনা, এলাকায় দাঁড়িয়ে ব্রি খাবিনা। লোকাল পোলাপাইনদের রিস্পেক্ট দিয়া কথা বলবি।
.
বক্তব্য শুনে বুঝলাম তিনি এলাকার বড় ভাই, যদিও সাইজে ও গঠনে তাহা বুঝা মুশকিল। আমারে দেখে বললেনঃ
.
--নতুন মাল নাকি?
.
-জ্বে ভাই স্লামুআলাইকুম, ভ্লা আছেন? আসেন ভিতরে বসেন।
.
--না। এলাকায় ভদ্র ভাবে থাকবা।
.
-জ্বে ভাই।
.
আবিষ্কার করলাম সেন্টু ভাই বাইরে নাই, তার রুমে গিয়া দেখি বেচারা উবু হয়ে শুয়ে আছেন, কু কু জাতিয় শব্দ করছেন। সিরাজ ভাই তার বাহু মালিশ করছেন।
.
-সেন্টু ভাই কি হইছে সকাল সকাল মালিশ ক্যান?
.
সিরাজ ভাই বললেনঃ
--আলিফ ভাই সকালে কই ছিলা?
.
-পরিমিনর লগে কক্সবাজার ঘুড়তে গেছিলাম।
.
--বিরাট জিনিস মিস করছো।
.
-ক্যারে কিতা হইছিলো?
.
--পাশের ছাদে দাঁড়ানো সুন্দরী নাকি সেন্টু ভাইরে লাইন দিতাছিলো, সেন্টু ভাই তারে ইম্প্রেস করার জন্য প্রতিদিন সকালে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ব্যায়াম করে। আজ ব্যায়াম করার সময় আলুর বস্তা তুলছে ঠিক তখনি লুঙ্গি ঢিলা হইয়া নিচে পইড়া গেছে, বেচারা বস্তা ছেলে লুঙ্গি ধরতে গেছে আর বস্তা পড়ছে বেচারার ঘাড়ে। পট করে শব্দ হইছে মনে হয় হাড্ডি ফাঁটছে। হাড্ডি ফাঁটছে ফাটুক সমস্যা হলো লুঙ্গি নিয়া। কেমন ঘটনা বলেন। সেন্টু ভাই মাইন্সেরে মুখ দেখাইবো ক্যামতে?
.
মালিশের এক পর্যায়ে পট করে শব্দ হলো, সেন্টু ভাই চিৎকার দিলেন, “আই উলালা, মরি গেনু।”
.
কাজের কারনে দুদিন মেসে ফিরতে পারিনি, তৃতিয়দিন সকাল সকাল মেসে ফিরে দেখি সব দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করার পরে মন্টু ভাই দরজা খুললেনঃ
.
--আলিফ কই ছিলা দুইদিন?
.
-কাজে ছিলাম ভাই, ব্যাপার কি আজ সবাই রুমে ক্যান? পাশের ছাঁদে সুন্দরী আসেনি?
.
--সামনের সপ্তাহে হেতির বিয়া।
.
-ও আচ্ছা।
.
বাথরুমে ঢুকে একটু জোরে বললামঃ
-আসার সময় দেখলাম সামনের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া আসছে, দুইটা সুন্দরী মেয়ে দেখলাম।
.
বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি মেসে দরজাগুলো খোলা, পোলাপাইন ব্রাশ হাতে গামছা কাঁধে নিয়ে মেসের নিচে হাঁটাহাটি করছে। ব্যাগ গুছিয়ে বের হবার সময় দেখি স্বঘোষিত এলাকার বড় ভাই এসে উপস্থিত। আমাকে দেখে বললোঃ
.
--কিরে পোলাপাইন সব কই?
.
-ক্যারে তোর কি দরকার, সকাল সকাল মেসে তোর কি কাজ? যা তোর স্কুলে দেরি হচ্ছে।
.
--ওই মিয়া কারে কি কস, চিনস আমারে?
.
-হ চিনি তো, তুই সেই পোলা যার সাইজের জাঙ্গিয়া বাজারে পাওয়া যায়না, প্যান্টের ভিত্রে ছোট বাচ্চার প্যান্ট পইড়া বেড়াস।
.
--তোরে খাইছি।
.
-আগে কমপ্লান খাইয়া আয়?
.
--তোর ঠ্যাং ভাইঙ্গা হাতে ধরায় দিমু।
.
-কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করিসনা তো, বেটা রাবারের জাঙ্গিয়া পড়াইয়া প্যান্টের রাবার টাইনা ধইরা ছাইড়া দিমু। ব্যাটা তোর হাঁটার স্টাইল চেঞ্জ কইরা দিমু।
.
--তুই এখানেই দাঁড়া, পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসতেছি।
.
-হ আমারে বলদ পাইছো, তুমি লোক আনবা আমারে পিডানোর লাইগা আর মুই বাংলা সিনেমার হিরোর মতো পিডানি খাবার লাইগা খাঁড়ামু। তুই গেলে মুই ও দৌঁড় দিমু।
.
--তুই খাঁড়া আমি আইতাছি।
.
-না খাঁড়ামুনা।
.
বড় ভাইয়ের পেছন পেছন মুই ও মেস থেইক্কা পগাড় পার, পরে অবশ্য শুনছি রুম মেটদের তিনি ছ্যাঁচা দিছেন, আমারে ছ্যাঁচা দেয়ার জন্য শাসিয়ে গেছেন। বাট মুই ডোন্ট কেয়ার।
āĻāϞ্āĻĒ āϏংāĻ্āϰāĻš āĻāϰা āĻāĻŽাāϰ āύেāĻļা। āϰোāĻŽাāύ্āĻিāĻ, āĻৌāϤিāĻ, āϰāĻŽ্āϝ, āĻৌāϤুāĻ āϏāĻš āĻšাāĻাāϰো āĻāϞ্āĻĒ āĻāĻে āĻāĻŽাāϰ āϏংāĻ্āϰāĻšে।
āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž
4787
āĻāϰ āĻĻ্āĻŦাāϰা āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰা
Rahathossain1010100@gmail.com
āĻāĻ āϏāĻŽā§ে
ā§:ā§Ģ⧍ PM

āĻāϤে āϏāĻĻāϏ্āϝāϤা:
āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝāĻুāϞি āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ (Atom)
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ