এক সাহিত্য পাগল লেডি ডাক্তারে চেম্বারে গিয়েছিলাম সামান্য জ্বর নিয়ে। সে অনেক্ষণ ধরে চোখ নাক জিভ পরিক্ষা করলেন। মাথার চুল থেকে হাতের আঙ্গুল, কোন কিছুই বাদ রাখলেন না পরিক্ষা করতে। সত্যি বলতে তাকে দেখতে কোন ক্রমেই ডাক্তারের মতো মনে হয় না। দেখে মনে হয় দার্শনিক বা কবি। চেহারায় ভেসে ওঠে তার গুরুগম্ভীর আচরণ।
অনেক্ষণ বাদে তিনি একটা প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন। আমিও তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে এসে তা এক ফার্মেসীতে দিলাম ঔষধ দেয়ার জন্য। অনেক ভীর তবুও ফার্মেসীর ছেলেটা প্রেসক্রিপশন উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখে কিছুটা রাগত স্বরে বললেন, "এখন ফাজলামি করার সময় নাই, ভাগেন।"
আমি কিছুই না বুঝে বোকার মতো তা নিয়ে আরেক ফার্মেসীতে গেলাম। ফার্মেসীর ছেলেটা প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়েই দেখেই হো হো করে ছাগলের মতো শব্দে হেসে উঠলেন! আমি পুরাই বেকুব তখন।
ছেলেটি প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে জোড়ে জোড়ে পড়তে লাগলেন------
("সামান্য জ্বর হইছে কি তা, চোখ তো দারুণ নীল;
শান্ত এবং নিরব সে চোখ পদ্ম ফোটা ঝিল।
মুখ যেন তার শুভ্র শ্যামল, ঠোট ছুঁয়েছে ফুলে;
ইচ্ছে করে হাত ছেড়ে দেই সেই যুবকের চুলে।
হে দয়াময় এমন অসুখ রোজই দিয়ো তারে;
আসে যেনো এই চেম্বারে যুবক বারে-বারে।
কোনটা লিখি ঔষধ আমি, নিজেই যাচ্ছি ভুলে;
ইচ্ছে তাহার দেই রাঙিয়ে প্যারাসিটামলে।
এন্ট্রাসিড না সেকলো দিবো? পাই না ভেবে কূল;
ইস, পুলাতো তো নয়, দেখতে যেনো ডুমুর গাছের ফুল।
কি ঔষধ দেই ছাতার মাথা, মাথাই তো ঠিক নেই;
নাপা দিবো! না থাক আট দশ পদের ইঞ্জেকশনই দেই।
তাতেও যদি না সারে রোগ, আসিস আমার ঘর;
সিজার করে সারিয়ে দিবো তোর শরীরের জ্বর।")
পড়া শেষ করেই ছেলেটি কয় ভাই, "ডাক্তার দেখাইছেন না আপনার জি এফ এইটা লিখে দিয়েছে?"
কইলাম, "ভাই, দেখেন এটা ডাক্তারের প্যাড। আর নিচে তার সই করাও আছে।
শেষে সেই ফার্মেসীর ছেলেটা বললেন, "ভাই ঐ ডাক্তারের মনে হয় মাথায় সমস্যা আছে। কিন্তু ভাই তার প্রেসক্রিপশন তো আগেও অনেক পাইছি, এমন উদ্ভট তো ছিলো না?"
আমি কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থেকে তার হাত হইতে প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাড়ীর পথ ধরলাম। এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম জ্বর হোক আর অন্য অসুখ হোক তবুও কোনদিন আর কোন লেডী ডাক্তারে কাছে যাব না। মরে গেলেও।
রেজাউল রেজা
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ