āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4746 (5)

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ ত্রয়োদশ  ( ১৩তম )



কেমন জানি মাথাটা করছে । এতো কিছু ভাবতে ভালো লাগেনা । মাহির আব্বু ভেতরে আসলেন । মামনি মাহির আব্বুকে বললো ,
---কি রে কেমন আছিস । ভুলে গেছিস চিনতে পারছোস না ।
.
মামনির কথায় মনে হচ্ছে এরা দুজন দুজনকে চেনে আগে থেকে ।
---এই তো আছি এক রকম । ভুলে যাই নাই রে সময়ের পরিবর্তনে নিজে চেন্জ হয়েছি । তুই কেমন আছিস ।
---এই তো আল্লাহুর রহমতে ভালো আছি ।  তুই অনেক চেন্জ হয়েছিস ।
---হুমমমম চেন্জ অনেক চেন্জ ।
.
এটা বলে আর কিছু বললোনা ।
তখন মামনি আবার বললো ,
---তিশা কোথায় তোদের সাথে আশে নাই নাকি বাসায় আছে ।
---হুমমম বাসায় না চাঁদের দেশে বসে আছে ।
---মানে বুঝলাম না ।
---তিশা আজ থেকে ৭ বছর আগে মারা গেছে ।
---কিহ্ বলছিস তুই তিশা মারা গেছে ।
.
কথাটা শুনে মামনি মনে হয় শোক খেয়েছে । হয়তো সব চেয়ে ভালো বান্ধুবী ছিলো ।
মাহির দিকে তাকালাম দেখি কাঁন্না করছে ।
তারপর আবার মামনি বললো ,
---একটু খবর তো দিলি না তোরা বেইমান হয়ে গেলি ।
---তুই তো তোর আব্বু বদলি হয়ে যাওয়াতে তোর আব্বুর সাথে চলে গেলি তখন তিশা একা একা হয়ে যায় । পরে ঠিক হয়ে যায় কয়েক মাস পরে । এভাবে কেটে গেলো দিন ।
আমাদের বিয়ে হয়ে যায় । বিয়ের আগে তোকে কত খুঁজেছি পাই নি । তোর আব্বুর কোন খোঁজ পাইনি  পরে কিছু করার নেই বিয়ে করে ফেলি তোকে ছাড়া ।
---বুঝতে পারছি আব্বু অনেক টেনশনে ছিলো চাকরি নিয়ে । নতুন নতুন চাকরি তাই অনেক কষ্ট হচ্ছিলো তখন তোদের কাছে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু আব্বা না করাতে আসি নাই আর ।
---ও ।
---আচ্ছা এসব কথা বাদ দে  মাহির পাশে বস ।
.
মাহির আব্বু কেঁদে দিলো মাহির এ অবস্থা দেখে ।
.
মাহি কেদে দিলো তার সাথে ছোট বোনটি কেঁদে দিলো ।
জানি না এ কান্নার কারণ কি ।
মাহির আব্বু জিঙ্গেস করলো ,
---কেমন করে এক্সিডেন্ট হয়ছিস মা ।
---ফোনে আন্টির সাথে কথা বলার সময় বুঝতে পারি নাই আব্বু যে পিছনে বাইক ছিলো তখন । রাস্তা পার হতে বাইকের সাথে তারপরে আর কি হয়েছে মনে নাই ।
.
কথা বলেই কেঁদে দিলো মাহি ।
এভাবে কান্না দেখে নার্সটি বলে উঠলো ,
---পেসেন্ট কিন্তুু পুরোপুরি সুস্থ না তাই এভাবে পেসেন্টকে ব্যবহার করবেন না তাহলে কিন্তুু ব্রেনে আঘাত আনতে পারে প্লিজ পেসেন্টকে একা থাকতে দিন । নাহলে পেসেন্টের কিন্তু অন্য দিকে সমস্যা হতে পারে ।
---ঠিক আছে ।
---আমি এখন ঘুমের ঔষুধ খায়ে দিচ্ছি একটু পর ঘুমিয়ে যাবে । 
---হুমমম
.
নার্সটি কিছু ঔষুধ খায়ে দিলো । সবাই বসে আছি কেউ কোন কথা বলছেনা । সবাই চুপ হয়ে আছে কেনো বুঝতে পারছিনা ।
একটু পর মাহির আব্বুর ফোনে ফোন আসলো ।
তিনি কথা বলছেন ।
.
কিছুখন কথা বলার পর ।
মামনি জিঙ্গেস করলো ,
---বাসায় কি হয়েছে ।
---তেমন কিছুনা মা একা একা আছে তাই মিমকে  যেতে বলছে ।
---তুই যা ।
---না আমি থাকি মিমকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ।
---আরে কোনো সমস্যা নাই তুই যা আমি আছি না ।
---না মাহি...
.
তার আগে বলে উঠলো ।
---আমি আছি মাহির কোনন সমস্যা হবেনা । তুই খালা আম্মার কাছে যা সে বিদ্রমানুষ ।
.
মামনির কথা শুনে কি যেনো ভেবে বললো ।
---আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি  ।
তখন মাহির আব্বা চলে গেলো মাহির ছোট বোনকে নিয়ে ।
মাহি ঘুমিয়ে পরেছে । অবশ্য ঘুমের ঔষুধ খায়ে দিছে ।
.
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সন্ধ্যা ৬ টা বাজে ।
মামনি অনেক টেনশনে আছে । আবার মামনির হার্টের সমস্যা হবে । এতো টেনশন হচ্ছে কেনো আমার ।
মাহি শুয়ে আছে কেবিনে । মাথায় ব্যান্ডিজ , হাতে ব্যান্ডিজ করা , সাথে স্যালাইন দেওয়া আছে ।
এসব কিছুর জন্য আমি দায়ী । আমার জন্য হয়েছে সব ।
.
মামনির কথায় চুমকে উঠি ,
---কিছু ভাবছিস ।
---আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি মামনি ।
.
কথাটা শুনে মামনি আমার দিকে তাকালো । 
শরীর ঘেমে যাচ্ছে । আমি কি বলছি এসব । দম বন্ধ হয়ে আসছে । এরকম কষ্ট হচ্ছে কেনো । নাকি আমার শাস্তি এটা বুঝতে পারছিনা । হাত দিয়ে মুখের ঘাম মুছে ফেললাম ।
মামনি তাকিয়ে আছে কিছু বোঝার চেষ্টা করছে ।
---মা...
.
কথা বলার মামনি বলে উঠলো ,
---মাহিম এরকম করছিস কেনো ।
---কেমন মামনি ।
---হঠাৎ মাঝে মাঝে কেমন করে চুমকে উঠিস । মাহিম তোর কি হয়েছে এরকম মাঝে মাঝে চিন্তিত থাকার সময় হঠাৎ কথা বললে চুমকে বলিস আমি কিছু করিনি । আমি ইচ্ছে করে করিনি আমার কোন দোষ নেই এরকম করিস কেনো কিছু হয়েছে তোর ।

---নিশ্চুপ ।
---কি রে মাহিম বল আমাদের সাথে শেয়ার কর আমি তোর বন্ধু হয়ে সাহায্য করবো ।
.
মামনির দিকে তাকালাম । মামনি পারবেনা নিজেকে সেভ করতে পারবেনা । আমাকে আর বিশ্বাস করতে পারবেনা কোনো দিন । মামনি সত্যি আমি অপরাধী এমন মিথ্যে নাটক করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত আপনার সামনে ।
আপনি হয়তো পরে জানতে পারবেন কিন্তু তবুও বলতে পারবোনা । মামনি বলতে পারবোনা ক্ষমা করে দিয়ো ।
---নিশ্চুপ ।
---আরে কথা বল ।
---কিছুনা মামনি ।
---এটা জিঙ্গেস করছি ।
.
মাথা নিচু করে আছি ।
---আমার দিকে তাকিয়ে কথা বল ।
---কি বলবো সত্যি বলছি আমার কিছু হয়নি ।
.
মামনি রেগে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ।
মামনি মিথ্যা কথা বলা পছন্দ করেনা । কিন্তু আমি যে মিথ্যা বলছি এর প্রমাণ মামনি নিজেই ।
.
ফোনটা ব্রাইভেটের শব্দে কেঁপে উঠলো । ফোনটা বের করে দেখি আব্বু ফোন দিয়েছে । মামনির দিকে তাকালাম রেগে আছে ।
---হ্যালো আব্বু ।
---আব্বু তোমার আম্মুর কিছু হয়েছে ।
---না আব্বু কেনো ।
---তোমার আম্মুকে বিকেল থেকে ফোন  দিচ্ছি কিন্তু ধরছেনা ।
---হয়তো সাইলেন্ট ( Silent ) করে রেখেছে ।
---তোমার আম্মুর কাছে দাও তো ।
.
আমি মামনিকে ফোনটা এগিয়ে দিলাম ।
---আব্বু আপনার সাথে কথা বলবে ।
.
কোন কথা বললো না ।
ফোনটা নিয়ে আব্বুর সাথে কথা বলছে ।
---হ্যালো ।
---ফোন কোথায় রেখেছো ।
---কেনো ।
---কতবার ফোন দিয়েছি দেখো ।
.
মামনি ফোনটা বের করে দেখে ।
---ও ফোনটা সাইলেন্ট ছিলো ।
---মাহি কেমন আছে ।
---এখন সুস্থ ঘুমিয়ে পড়েছে ।
---আমি অনেক টেনশনে ছিলাম ।
---কেমনে জানলে মাহি এক্সিডেন্ট করেছে ।
---মাহিম বলেছে ।
---কি করছো ।
---শুয়ে আছি কেনো ।
---এমনি খেয়েছো ।
---না আর এই সন্ধ্যার সময় কে খায় বলোতো ।
---এখন কতো বাজে তা জানিনা খুব টেনশনে ছিলাম ।
---এখন তো টেনশন মুক্ত হয়েছে ।
---এখনো হয়নি যতখন পযন্ত না মাহি সুস্থ না হয় ।
---কিছু খেয়েছো ।
---না ।
---আর দুপুরের খাবার মনে হয় ফ্রিজে রেখে দিছো ।
---হ্যা কেনো ।
---ফ্রিজের খাবার খাওয়ার দরকার নেই মাহিমকে পাঠিয়ে দিচ্ছি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে যাবে ।
---থাক এতো ঝামেলার দরকার নেই ফ্রিজের খাবার খেতে পারবো ।
---এতো বেশি বুঝতে হবে না মাহিমকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ।
---তোমার যা ভালো মনে হয় তাই করো ।
---বাই ।
.
ফোনটা কেটে দিলো । মামনি আব্বুর সাথে কি কথা বলছিলো আমাকে নিয়ে । মামনিকে জিঙ্গেস করবো না থাক আবার রেগে যাক এটা চাই না ।
মামনি বলে উঠলো ,
---মাহিম ।
---জ্বী মামনি ।
---তুই বাসায় যা ।
---কেনো মামনি ।
---তোর আব্বুর জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে যা ।
---আব্বুর জন্য খাবার নাই বাসায় ।
---এতো বেশি বুঝিস কেনো আর কেমনে থাকবে বল আমি এখানে না রান্না করবে কে । খালি বেশি কথা বলে যেটা বলি সেটার কোনো উত্তর নেই আবার মুখের কথা বলে । ( রাগি কন্ঠে )
.
কি বলেছি আমি আপনাকে শুধু বলেছি আব্বুর জন্য খাবার নাই বাসায় । এইটুকু বলেছি বলে বেশি কথা বলি আর মুখে মুখে কথা বলি আর কোন কথা বলবো না । মনটা খারাপ করে বসে আছি । মামনির দিকে তাকাচ্ছি না ।
.
একটু পর মামনি বলে উঠলো ,
---মাহিম ।
---বলেন ।
---রাগ করে মন খারাপ করেছিস আব্বু ।
---না ।
---আমার কাছে আয় ।
---কেনো ।
---আসতে বলছি আয় ।
.
আমি উঠে গিয়ে ফ্লোরে (Floor) বসে মামনির হাঁটুর উপর মাথা রাখলাম । পা দুটি দুহাত দিয়ে ঝরিয়ে ধরলাম ।
মামনি হাত দিয়ে মাথা বিলিয়ে দিচ্ছে ।
---মিথ্যে বলিস কেনো ।
---কি মিথ্যে বলেছি মামনি ।
---রাগ করিস নি আর মন খারাপ করিস নি তুই ।
.
কিছু বললাম না । পা দুটি আরও জোরে করে ধরলাম । মামনি আপনি বোঝেন তাহলে এরকম করেন কেনো ।
---জানিস মাহিম আমার মিথ্যে একদম পছন্দ না তবুও বলিস কেনো খুব রাগ হয় তখন ।
---জানি ।
---সত্যি এরকম করিস না । তুই জানিস না আমি তোকে কত ভালোবাসি । তোর এরকম দেখে সহ্য হয় না । এভাবে মাঝে মাঝে কি ভাবিস তার পর কিছু বললে চুমকে উঠিস । যদি আমাকে না বলতে পারিশ আব্বুকে বল সমস্যা নেই । তোর এরকম দেখে আমি থাকতে পারিনা । আমার কেমন জানি মনে হয় তুই কিছু লুকাচ্ছিস ।
.
মাথা তুলে মামনির মুখের দিকে তাকালাম । দেখি মামনির কেঁদে কেঁদে বলছিলো কথাগুলি । মামনির কান্না দেখে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলো । এতো ভালোবাসো মামনি সত্যি আমি ভাগ্যবান যে আপনার মতো একজন মামনি পেয়েছি ।
---আরে পাগল কাঁদছিস কেনো । ( পানি মুছে দিয়ে )
.
আমিও মামনির চোখের পানি মুছে দিলাম ।
---আমার মামনির জন্য ।
---আচ্ছা এখন যা দেরি হয়ে যাচ্ছে ।
---আচ্ছা মামনি ।
.
আমি উঠে যেতে লাগলাম । তখন মামনি ডাক দিলো ।
---মাহিম একটু এদিকে আয় ।
.
আমি মামনির কাছে এলাম ।
মামনি দাড়িয়ে কপালে চুমু দিলো । তারপর হাত দিয়ে চুল এলোমেলো করে দিলো ।
---যা এখন ।
---ওকে লাভ ইউ মামনি ।
.
আমি হসপিটালের রুম থেকে বের হয়ে রেস্টুরেন্টের দিকে রওনা দিলাম ।
হসপিটালের কিছুটা দূরে রেস্টুরেন্ট আছে ।
.
রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খাবার নিয়ে এলাম মামনি আর মাহির জন্য ।
.
রুমে গিয়ে দেখি মাহি আর মামনি কথা বলছে । পাশে নার্স দাড়িয়ে আছে ।
আমি গিয়ে মামনিকে খাবার দিলাম ।
---এগুলি আনলি কেনো ।
---কেনো আবার খাবে ।
---না খেয়ে থাকতে পারতাম তো এগুলি আনার কি দরকার ছিলো বল ।
---বেশি কথা না বলে আপনি আর মাহি খেয়ে ফেলবেন ।
---ঠিক আছে ।
.
একটা হাসি দিলাম ।
মাহিকে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
---এখন কেমন লাগছে তোমার ।
---ভালো কিন্তুু হাত ব্যথা করছে ।
.
তখন কথাটা শুনে নার্সটি বললো ,
---ব্যথা করবে এই ঔষুধ খেলে সব সেরে যাবে ।
---কিন্তুু এখন যে খুব ব্যথা করছে ম্যাম ।
---সমস্যা নেই একটু ধয্য ধরেন ।
.
মামনি তখন বলে উঠলো ,
---সেরে যাবে মা তুই চিন্তা করিস না ।
---আচ্ছা মাহি তুমি এই ঔষুধ খেয়ে ফেলো ব্যথা করবেনা আর ।
.
তখন মাহিকে ঔষুধ খায়ে দিলো ।
.
---একটু পর আর ব্যথা করবেনা ।
.
কথাটা বলেই তারপর নার্সটি চলে গেলো ।
তখন মামনি বললো ,
---মাহিম যা অনেক রাত হয়েছে ।
---যাচ্ছি মামনি ।
.
আমি বের হবো তখন মামনি বললো ,
---মাহিম ।
.
আমি মামনির কাছে গেলাম ।
---কিছু বলবেন ।
---হ্যা ।
---আজকে আসতে হবে না  তুই তোর আব্বুর সাথে খেয়ে শুয়ে পর কোনো টেনশন না করে ঘুমিয়ে পরবি ।
.

---ওকে মামনি ।
---আর শোন ।
---বলেন ।
---তোর মারজিয়াকে ফোন করে বলিস সকালে যেন এসে রান্না করে দেয় ।
---থাক মামনি সকালে রান্না না করে হোটেল থেকে আব্বু জন্য নিয়ে আসবো ।
---যেটা বলছি সেটা কর ।
---ও যে খালি আমার সাথে মারামারি করে ।
---মারজিয়া মারামারি করে নাকি তুই করিস বল ।
---ওই একি কথা হলো মামনি ।
---আমি তোর আন্টিকে ফোন করে বলে দিবো নি ।
---ঠিক আর  আন্টিকে বলে দিয়েন যেন আমার সাথে ইচ্ছে করে  ঝগড়া আর মারামারি না করে ।
.
কথার মাঝে মাহি বলে উঠলো ,
---আন্টি মারজিয়া কে ।
---মাহিমের ফুপাতো বোন ।
---ও ।
---সারাখন শুধু ঝগড়া করবে যদি এক সাথে থাকে কিন্তুু কেউ কাউকে সহ্য করতে পারেনা ।
---আমি করিনা শুধু মারজিয়া চুন্নি আমার সাথে ঝগড়া করতে আসে তাহলে কি আমি ছেড়ে দিবো ।
---বলতে হবেনা চুপ কর মাহিম ।
---আন্টি কোথায় থাকে মারজিয়ারা ।
---মতিঝিল ।
---ও ।
---মারজিয়াকে কেউ কিছু বলতে পারে মাহিমের জন্য ।
---বুঝলাম না আন্টি ।
---মানে মারজিয়াকে কেউ বোকা দিলে তার খবর আছে । মাহিম মারজিয়াকে খুব ভালোবাসে যা চাইবে তাই এনে দিবে ।
---ও তাহলে তাড়া কি ওখানে থাকে ।
---মারজিয়ার আম্মু - আব্বু মতিঝিল থাকতো আর মাহিম মারজিয়াকে নিয়ে আসে আমাদের বাসায় আর মাহিম বলে মারজিয়া এখানে থেকে পড়াশোনা করবে । প্রতিদিন মাহিম মারজিয়াকে কলেজে পৌঁছে দিতো আবার নিয়ে আসতো । কিন্তু একদিন মিষ্টিকে নিয়ে মারজিয়ার সাথে ঝগড়া হলো ।
---কেনো আন্টি ।
---যখন মিষ্টি চলে গেলো তখন মাহিম অনেক ভেংঙ্গে পরে ঠিকমতো খেতোনা এটা দেখে মারজিয়া আর সহ্য করতে পারতো না । মারজিয়া খেতো না । এভাবে কয়েক দিন কেটে যেতে লাগলো এটা সহ্য করতে না পেরে তখন মারজিয়া বলে তুই আমাকে  সেটা চাই নাকি মিষ্টিকে তখন মাহিম বলে দুজনকে চাই । মারজিয়া তখন বলে যেকোন একজনকে বল । তখন মাহিম কোন উত্তর দিলো না কয়েকবার জিঙ্গেস করে উত্তর না পেয়ে তখন মারজিয়া রাগ করে বলে যদি আমাকে চাই তাহলে তাকে ভুলে নতুন কাউকে সঙ্গী করে নি আর যদি না করিস আমি চলে গেলাম । যদি এই ডিসিশন নিতে পারিস বলিস তখন । মাহিম অনেক চেষ্টা করে আটকাতে পারে নি । মাহিম আরও ভেংঙ্গে পরলো ।  মারজিয়া প্রতিদিন মাহিমের খবর নিতো ফোনে কিন্তুু মারজিয়া বলেছিলো সেটা যেন মাহিম না জানে । তাই এখনো পযন্ত আমাদের বাসায় এসে থাকে না যদি থাকে একদিন।।
---মারজিয়া খুব ভালোবাসে তাহলে মাহিমকে ।
.
আমি দাড়িয়ে শুনছিলাম । এটা তো জানি না মারজিয়া ফোন করে সব খবর নিতো আর আমি কতো কি বলেছি । স্যরি রে মারজিয়া ।
---মামনি এগুলি না বললে হতো ।
---যা এখন ।
---আচ্ছা খেয়ে নিয়েন ।
---অনেক রাত হয়েছে যা আরও রাত হবে ।
---ওকে যদি কিছু লাগে বলবেন মামনি ।
---ওকে বলবো যা এখন ।
.
আমি রুম থেকে বের হয়ে বাসার উদেশ্য রওনা দিলাম ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ চতুর্দশ  ( ১৪তম )



রাত ১১ঃ০৫ বাজে ড্রাইনিং টেবিলে বসে আব্বু আর আমি খাবার খাচ্ছি । আব্বুর অবস্থা এখন ভালো ।
---মাহি এখন কেমন আছে  আব্বু ।
---এখন ভালো আছে ডাক্তার বলেছে কোন প্রব্লেম নেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে ।
---তুই কোনো টেনশোন করিস না ।
---জ্বী আব্বু ।
---আর শোন আমি এখন সুস্থ আছি কাল থেকে আমি অফিসে যাবো ।
---আব্বু আপনিতো এখনো পুরোপুরি সুস্থ না কোন টেনশন করা যাবেনা ডাক্তার আঙ্কেল বলেছে কিছুদিন রেস্টে থাকতে আর মামনি শুনলে আমাকে বকবে ।
---আরে পাগল সমস্যা নেই আমি এখন সুস্থ আছি আর তোমার আম্মু কিছু বলবেনা ।
---না আব্বু আপনি কাল মামনির কাছে যাবেন ।
---আরে পাগল তুমি হসপিটালে....
---না আব্বু ।
---মামনিকে খুব ভয় করে ।
.
আমি আর কিছু বললাম না খাবার খাওয়ার মনোযোগী হলাম ।
একটু পর আবার  আব্বু বললো ,
---আব্বু তোমার আম্মু কি কিছু খেয়েছে ।
---রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে দিয়ে এসেছি আব্বু ।
---ভালো করছো । তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরো ।
---জ্বী ।
.
খাবার শেষ করে রুমে এসে শুয়ে পরলাম ।
ঘুম আসছেনা । অনেক চেষ্টা করলাম ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তুু ঘুম আসছেনা
অনেক কিছু মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে ।
.
সকালে কারও ডাকে ঘুমটা ভেংঙ্গে গেলো ,
---ভাইয়া তুমি এখনো ঘুমাচ্ছিস ।
.
চোখটা খুলে দেখি মারজিয়া । এতো সকালে কেমন করে আসলো আর অনেক সুন্দর লাগছে ।
---ভাইয়া তুমি এভাবে কি ভাবছো আর ওমন করে তাকিয়ে কি দেখছো ।
---আমি আমার ছোট বোনটাকে দেখছি ২ বছরে কতো বড় হয়েছে কতো সুন্দর হয়েছে ।
---ভাইয়া তুমি না আগের মতো রয়ে গেছো ।
---হুমমম তোর জন্য তো আর বদলানো যাবেনা । যদি বদলে যাই তাহলে তোকে ভালোবাসবে কে হুমমম ।
---হুমমম জানি সব বদলে গেছে শুধু এই ভালোবাসা বদলে যাই নি ।
---হুমমম কখন আসছিস ।
---ভাইয়া আমি কখন আসছি সেটা নাভেবে তুমি উঠো দেখো কতো বাজে ।
---কতো বাজেরে ।
---৭:৫৫ বাজে ।
---কি বলিস রে ।
---হুমমম যেটা বাজে সেটা বলছি তুমি উঠো আমি গেলাম ।
.
বলেই চলে যেতে লাগলো । কতো পরিবর্তন হয়েছে ছোট মারজিয়া ও ও মারজিয়া তো এখন ছোট না ভার্সিটে পড়ে ।
মারজিয়া দরজার কাছে চলে গেছে তখনি আমি বলে উঠলো ,
---কি রে আজ ঝগড়া না করে চলে যাচ্ছিস ।
.
কথাটা শুনে আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিলো আর বললো ,
---হুমম কোথায় যাচ্ছি তুমি জানো ভাইয়া ।
---না । আর না বললে কেমনে জানবো তুই কোথায় যাচ্ছিস ।
.
আমার দিকে এগিয়ে এলো তারপর বললো ,
---আমি জানি আবার তুমি ঘুমাবে তাই পানি আনতে ।
---এখনো তোর এই দুষ্টুমি ভুলিস নাই ।
---কেমনে ভুলবো আমি যাই কাউকে না বিজিয়ে আমার দিন কাটবে না আজ ।
---হাহাহাহাহা তুই না ।
.
বলেই উঠে দিলাম ওয়াশ রুমে দৌড় ।
আসার সময় মারজিয়া হাসলো । অনেক দিন পর ছোট বোনটার হাসি শুনলাম ।
ওয়াশ রুম থেকে শুনতে পেলাম ।
---ভাইয়া তুমি তো তয়লা নিলি না ।
---একটু দিয়ে যা ।
---যাবো । রাগি হয়ে
---না না আসতে হবে না আমি আসছি ।
.
আমি ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে এলাম ব্রাশ নিয়ে । দাড়িয়ে আছে দেখে হাসছে । অনেক দিন পর আবারও হাসি দেখতে পেলাম ।
---ভাইয়া তুই একবার নিচের দিকে তাকা ।
---কেনো নিচে তাকাবো রে ।
---একটু তাকা ।
.
নিচের দিকে তাকালাম । আরে সত্যি তো জুতো উল্টো পরেছি আর ব্রাশের পেসটুকু প্যান্টে বরেছে ।
এটা দেখে এতো হাসি রে তোর যা প্রতিদিন এরকম করবো ।
---ঘড়ির দিকে তাকা দেখো কতো বাজে ।
.
আরে ৮:১৫ বাজে আজকে খায়ছে আমারে ।
আবারও দৌড় দিলাম ওয়াশ রুমের দিকে ।
.
খাবার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছি ।
---মারজিয়া তুই ও বস আমাদের সাথে ।
---না মামা আপনারা খান আমি পরে খাবো ।
---আরে বস সবাই এক সাথে খাই । দেখ তোর ভাইয়া তোকে না বলে একাই খেয়ে নিচ্ছে ।
---মারজিয়া বস দুজনে এক সাথে খাই ।
---এক সাথে খাবে তুই তো অর্ধেক খাবার খাইছিস আর এখন বলছিস হুমমম ।
---দেখ এখন কতো বাজে আমার টাইম নেই তাই বলি নাই ।
---দেখতে হবে না জানি এখন তো একজন আছে আমাকে কেনো বলবে ।
---আব্বু দেখনা রাগ করছে ।
---তুই বস মা তুই তো ভালো করে জানিস ও কি রকম সময় না থাকলে কি করে ।
---কি রে ভাইয়া খাবার নিলি না আরও ।
---এখন টাইম নাই রে ।
---সকালে দেরি করে উঠবি  তাই টাইম থাকবে ।
.
আমি খাবার খেয়ে রুমে এলাম ।
অফিসের জন্য বের হলাম । ঘড়ির দিকে তাকালা দেখি ৮ঃ৫৫  বাজে ।
যাক বাবা আজকেউ দেরি হয়ে যাবে । একটু সায়েমের সাথে দেখা করবো সেটাও হবে না ।
সিঁড়ি দিয়ে নেমে দরজার কাছে এসেছি বের হবো তখন মারজিয়া ডাক দিলো ,
---ভাইয়া দারা তো ।
.
দাড়িয়ে গেলাম ।
---কিছু বলবি আর হাতে কি ওটা ।
---এখানে খাবার আছে তুই অফিসে যেতে মামিকে দিয়ে যাস ।
---আমি পারবোনা আর অফিসে যেতে এমনি লেট হয়েগেছে ।
.
আব্বু কোথা থেকে বলে উঠলো ,
---আমি যাবো আমাকে নিয়ে যা ।
.
আব্বু দেখি রেডি হয়ে বের হয়ে আসছে ।
---কোথায় আব্বু ।
---তোর আম্মু ফোন দিয়েছিলো বলেছে মাহিমের কাছে খাবার দিয়ে দিতে তখন বললাম আমি আসছি সাথে ।
---এখন কত বাজে দেখেছেন ।
---সমস্যা নেই মতিনকে ফোন করে বলে দিয়েছি একটু দেরি হলে সমস্যা নেই ।
---আচ্ছা তাড়াতাড়ি বের হন ।
---আমি রেডি ।
---তোর জন্য কি আনতে হবে মারজিয়া ।
---তুই জানিস না কি ফেভারিট ।
---ও আচ্ছা যদি কিছু লাগে তাহহলে ফোন দিস ।
---ঠিক আছে যা এখন ।
.
বাসা থেকে বের হলাম । আজকে একটু সায়েমের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলামম কিন্তুু হলো না । তাই হসপিটালের দিকে চললাম ।
ও হ্যা একটা কথা ভাবছেন যে প্রথমে মারজিয়া তুমি করে বললো আর এখন তুই করে । মানে যেটা হচ্ছে সেটা হলো আজ প্রথম কথা হলো অনেক দিন পর তাই তুমি থেকে শুরু করলো তাই এখন তুই করে বলবে । বেশি ছোট না বরং ৫ বছরের ছোট মারজিয়া  ।
.
হসপিটালে চলে এলাম । আব্বুকে মাহির কেবিন রুমে পৌঁছে দিলাম । আমি মামনির দিকে তাকালাম মুখটা শুকনো জয়ে আছে । খুব টেনশনে আছে মামনি । মাহির দিকে তাকালাম দেখি উনি কিছুটা টেনশনে আছে ।
আমি তখন বললাম ,
---আমার অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি চলে গেলাম ।
----আচ্ছা ঠিক আছে যা ।
.
আমি হসপিটাল থেবে বের হয়ে অফিসের দিকে যাচ্ছি ।
কিছুখন পর অফিসে চলে এলাম ।
.
সন্ধ্যায় বাসায় আসলাম । আসার সময় মারজিয়ার জন্য ক্যাটবেরী নিয়ে আসলাম ।
এনে মারজিয়াকে দিলাম খুব খুশি হলো ।
.
রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে আছি ।
তখন মনে হলো মামনিকে একটু ফোন দেই ।
---হ্যালো মামনি ।
---কি হয়েছে ।
---কিছুনা মাহি কেমন আছে আর মাহির কি অবস্থা মামনি ।
---এই তো এখন সুস্থ আছে । তুই খেয়েছিস ।
---জ্বী মামনি ।
---মারজিয়া কোথায় খেয়েছে ।
---দুজনে খেয়েছি এক সাথে আর মারজিয়া পাশের রুমে আছে কথা বলবেন ।
---দে তো একটু কথা বলি ।
.
আমি ডাক দিলাম ।
---মারজিয়া ,,,  মারজিয়া  ,,,,
কোন উত্তর এলোনা ।
---মামনি মারজিয়া মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে ।
---ও তাহলে ডাক দেওয়ার দরকার নেই ।
---আচ্ছা দিনে কথা বলবেন ।
.
ফোনটা কেটে দিবো তখন মারজিয়া বলে উঠলো ,
---ভাইয়া তুই ডাকছিস কেনো ।
---মামনি কথা বলবে তোর সাথে ।
---দে ।
.
---মামনি ধরেন কথা বলেন ।

বলে ফোনটা  দিলাম মারজিয়াকে ।
মারজিয়া ফোনে কথা বলছে ।
---হ্যালো ।
---মারজিয়া খেয়েছিস ।
---জ্বী মামি খেয়েছি ।
---ঠিক আছে এখন রুমে গিয়ে শুয়ে পর ।
---আচ্ছা বাই ।
---মাহিমের কাছে ফোনটা দেতো ।
---দিচ্ছি ।
.
---ভাইয়া মামি তোর সাথে কথা বলবে ।
---দে ।
.
---হ্যা বলো মামনি ।
---এখন ঘুমিয়ে পর ।
---আচ্ছা এখনি ঘুমিয়ে পরতেছি ।
---আর শোন মারজিয়ার সাথে যেনো কোন ঝগড়া করিস না ।
---আমি করি না মারজিয়া তো আগে আগে আমার সাথে ঝগড়া করে ।
.
কথাটা শুনে বললো ,
---কি বললি আমি তোর সাথে ঝগড়া করি ।
---দেখছেন এখনি মারতে আসছে ।
---মেজাজটা গরম করো না আমার ।
---আচ্ছা ঠিক আছে ।
---ঘুমিয়ে পর এখন ।
.
ফোনটা কেটে দিলাম । মারজিয়াকে জিঙ্গেস করলাম ,
---কি রে মামনি ফোনে তক কি বললো ।
---সেটা শুনতে হবেনা ঘুমিয়ে পর আমার খুব ঘুম ধরছে ।
.
বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেলো । আমি তখন ঘুমিয়ে পরলাম ।
.
সকালে উঠে খেয়ে হসপিটালে মামনি আর আব্বু ও মাহির জন্য খাবার নিয়ে যাবো ।
বের হলাম হসপিটালের দিকে রওনা দিলাম  ।
হসপিটালে খাবার দিয়ে অফিসে চলেগেলাম । সন্ধ্যায় বাসায় যায় সাথে মারজিয়ার জন্য কিছু পছন্দের জিনিম নিয়ে যায় । সেগুলি দেখে মারজিয়া অনেক খুশি হয় ।
.
এভাবে প্রতিদিন সকালে উঠে খাবার খেয়ে হসপিটালে মামনির আর মাহির জন্য খাবার নিয়ে যাই । এভাবে চলে যাচ্ছে দিন গুলি এদিকে সময় ফুরিয়ে আসতেছে ।
.
এভাবে কেটে গেলো কয়েক দিন এর মধ্যে মামনি একদিন বাসায় আসে তারপর মামনি আবার হসপিটালে চলে যায় । মামনির ভার্সিটে মনে হয় কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়েছে ।
.
এভাবে কেটে গেলো কয়েক দিন ।
আজ মাহিকে দেখতে যাবে মারজিয়া তাই রান্না করছে ।
আমি গিয়ে বলাম ,
---পিচ্চি আপু সাহায্য করবো কি ।
---না ভাইয়া তুই রুমে গিয়ে বস খাবার হলে তোকে ডাক দিবো ।
---একা একা ভালো লাগছেনা ।
---এখনতো লাগবেনা আজ গার্লফেন্ডকে নিয়ে আসা হবে তাই এখন কি আর ভালো লাগবে ।
---তুই বেশি বেশি বলছিস কিন্তু ।
---কই বেশি বললাম ।
.
আমি আর কিছু বললাম না । রান্নাঘরে ডুকে দাড়িয়ে রইলাম ।
দেখি মারজিয়া সব একাই করছে ।
---আমি একটু রান্না করি মারজিয়া ।
---ভাইয়া তুই কিন্তু পারবিনা ।
---আরে দেখ পারি কিনা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখ ।
---আরে মাছ বাজতে পারবিনা ।
---তুই অন্য কাজ কর আমি মাছ বাজতেছি ।
---ভাইয়া পারবিনা আর তোর হাতে লেগে যাবে তো ।
---আরে তোকে বলছিনা অন্য কাজ করতে ।
---আচ্ছা ঠিক আছে হাতে যেনো লাগেনা ।
.
মারজিয়া অন্য কাজ করছে আমি মাছ বাজতেছি ।
কয়েকটা বাজলাম ।
আহহ্হহহহহহ......
---ভাইয়াাাা.......



আমি গল্পটা ১৬ পর্বে শেষ করতে চেয়েছিলাম ।
কিন্তুু  কয়েক জন বাধে সবাই বলছে গল্পটা আরও বড় করতে তাই আমি গল্পাটা  ২০ পর্ব শেষ করবো ।।।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ পঞ্চদশ  ( ১৫তম )



---আহহহহ।।
---ভাইয়া কি হয়েছে তোর ।
---কিছু হয়নি ।
---মিথ্যা বলিস কেনো দেখি ।
---না রে তেমন কিছু না ।
.
হাতটা দেখে কাঁদতে লাগলো ।
---আরে কাঁদছিস কেনো ।
---কাঁদ নাকি হাসবো বললাম যে তোর কোন কিছু করতে হবে না কিন্তুু শুনলি না । আবার বলে কিছু হয়নি হাতে ঠোসা পরে গেছে ।
---আরে কাঁদিস না কিছু হয়নি ।
---তুই চুপ করবি ।
---আচ্ছা চুপ করলাম কাঁদিস না ।
---তুই থাক আমি আমি আসছি ।
---কোনে যাস ।
---জাহান্নামে চুপ করে বসে থাক আমি আসছি ।
.
বলে দৌড় দিলো । মনে হয় মেডিসিন এর জন্য গেছে । পাগলীটা খুব ভালোবাসে আমায় আর তা নাহলে কাঁদতো না ।
হাতটা খুব ব্যথা আর জ্বালা করছে । তবুও বুুঝতে দেয় নি তবুও বুঝে ফেলেছে । আর কেনো বুঝবেনা এরকম হয়েছে তাদের সাথে মানে যারা  রান্না করে তারা বোঝে গরম তেল হাতে লাগলে কেমন লাগে । তাই মারজিয়া বোঝে ফেলেছে কেমন লাগছে ।
.
★যদি পৃথিবীতে ভালোবাসা বলে থাকে সেটা হলো মা-বাবার ভালোবাসা ।
আর আমি বলি মা-বাবার পরে যদি ভালোবাসা থাকে সেটা হলো ভাই-বোনের ভালোবাসা ।
এই ভালোবাসার মাঝে থাকেনা কোন কিছু পাওয়ার আশা ও কোন কিছু লাভের জন্য বা কোন কিছু পাওয়ার বিনিময়ে এই ভালোবাসা নয় ।
এটা হলো সেই ভালোবাসা যেটার মধ্যে এক/একাধিক ভাই-বোনের ভালোবাসা যে ভালোবাসার মাঝে কোনো কুমতি নেই ।
নেই কোন ধোকা শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা ।
.
মারজিয়া আমার নিজের বোন না কিন্তুু আমি ও মারজিয়া দুজন নিজের ভাই-বোন বলি ।
কেউ বুঝতে পারবেনা আর কেউ বলতে পারবেনা আমারা দুজন আপন ভাই-বোন না থাক ওসব কথা ।
.
অনেকখন ধরে বসে আছি মনে হয় অনেক খোঁজাখুঁজি করছে কিন্তুু পাচ্ছে না ।
একটু পরে দেখি মারজিয়া আসতেছে ।
---ভাইয়া হাতটা দে ।
.
হাতে মেডিসিন দিয়ে পরিস্কার করে দিলো ।
একটু জ্বালা করছে কিন্তুু মারজিয়ার ভালোবাসা দেখে সেটা অনুভব মনে হচ্ছে না ।
তারপর ক্রিম লাগিয়ে দিলো । আরও একটা মেডিসিন লাগিয়ে দিলো  তারপর ব্যান্ডিস করে দিলো হাতে ।
তারপর চোখটা মুছে বললো ,
---ভাইয়া কেমন লাগছে ।
---যেখানে আমার পিচ্চি বোনটা চিকিৎসা করছে সেখানে বড় বড় এমবি বি এস ফেল খাবে ।
---আরে এটা জিঙ্গেস করছি ।
---তুই এখনে বুুঝতে পারছিসনা আমার ভালো লাগছে ।
---মিথ্যে বলছিস না তো ভাইয়া আমাকে ।
---আরে তোকে কোনো দিন মিথ্যা বলেছি ।
---ইমমমমমম বলেছিস কিন্তুু সব সময় না ।
---সত্যি বলছি ভালো লাগছে ।
---তাহলে এখন গিয়ে শুয়ে পর আমি রান্না করে নিয়ে আসছি ।
---আমি এখানে থাকি ।
---যেটা বললাম সেটা কর ।
---আরে মারজিয়া আমার পছন্দের খাবার রান্না করছিস আমাকে থাকতে দে ।
---আমার কিন্তুু রাগ উঠতেছে ।
---আমি একটু প....
.
বড় বড় চোখ করে তাকালো থাকার আর সাহস পেলাম না ।
---আচ্ছা যাচ্ছি ।
.
রান্না ঘর থেকে চলে এলাম ।
.
রুমে এসে শুয়ে পরলাম । ভাবতে অবাক হই আল্লাহ তা'আলা আমাকে একটা ছোট বোন দিয়েছে ।  এতো বড় উপহার দিয়েছে আমি ভাবতে অবাক হই ।
.
শুয়ে আছি তখন মারজিয়া রুমে খাবার নিয়ে আসলো ।
.
আহ্ খাবার দেখে জ্বিব্বায় পানি এসে গেলো ।
---ভাইয়া হা কর ।
---হাআআআ ।
.
অনেক দিন পর মারজিয়া খায়ে দিচ্ছে । সেই কবে খেয়েছিলাম মারজিয়ার হাতে ভাত । কতো কি হয়ে গেলো মাঝখানে ভাবতে চোখে পানি এসে গেলো ।
---কি রে ভাইয়া কাঁদছিস কেনো ।
---এমনি ।
---আমি জানি কি জন্য কাঁদছিস ভাইয়া ।
---বল কি জন্যে কাঁদছি ।
---আমি তোকে খায়ে দিচ্ছি সেই জন্য ।
---আচ্ছা তোর মনে আছে শেষ কবে খায়ে দিছিলি ।
---হ্যা ।
---তাহলে বল ।
---২ বছর ৬ মাস ৩ দিন । জানিস ভাইয়া যখন চলে গেলাম তখন খুব কষ্ট হচ্ছিলো । ভাইয়া তোকে ছাড়া বাঁচতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো । মনে হয় আমি বাঁচবোনা কিন্তু অনেক কষ্ট করে থেকেছি । প্রতিদিন মামির কাছে ফোন দিয়ে জিঙ্গেস করেছি তুই কেমন আছিস , কি করছিস , খেয়েছিস কিনা সব খবর নিতাম ।
কিন্তু তুই যখন আম্মুর কাছে ফোন করে আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিস তখন ইচ্ছে করতো কথা বলি কিন্তু কথা বললে আমি আর ফাঁকে থাকতে পারতাম না তাই যত কষ্ট হোক আমি সহ্য করে নিতাম ।
তবুও ইচ্ছে করতো তোকে দেখতে ভাইয়া কিন্তু তবুও যেতাম না তোদের বাড়িতে ।
যখন খাবার টেবিলে খাবার খেতে তোর কথা মনে হতো তখন খাবার রেখে উঠে আসতাম । আম্মু কিছু বলতো না আর খাবার খেতে জোর করতো না । আব্বু রেগে যেতো কিন্তু তবুও কিছু বলতোনা ।
যখন রাতে স্বপ্ন দেখতাম তোর সাথে মারামারি করছি তখন মামি এসে তোকে বকা দিতো তখন ঘুমটা ভেংগ্গে যেতো তখন খুব কান্না করতাম আর ঘুম আসতো না ।
.
মারজিয়ার কথা শুনে চোখ দিয়ে কখন পানি গরিয়ে পরেছে জানি না । মারজিয়া চোখের পানি মুছে আমার দিকে তাকালো দেখে আমি কাঁদছি ।
---কি রে ভাইয়া কাঁদছিস কেনো ।
---এমনি । তুই কাঁদছিস কেনো ।
---এমনি আর এমনি কেউ কাঁদে নাকি ভাইয়া ।
---তুই যে কারণে কাঁদছিস আমিও সেই কারণে ।
---এখন খা অনেক বাজে ।
---তুই ও খা ।
---না ভাইয়া আমি পরে খাবো ।
---এখন খা ।
---না ।
.
আমি বিছানা থেকে উঠে যেতে লাগলাম ।
---কোথায় যাস ভাইয়া ।
---ওয়াশ রুমে ।
---কেনো খাবি না ।
---তুই না খেলে খাবো না ।
---তুই খা আমি তোকে খায়ে তারপর খাবো ।
.
আমি ওয়াশ রুমের দিকে যেতে লাগলাম ।
---আয় আমি খাবো ।
.
আমি খাটে গিয়ে বসলাম ।
মাথায় হাতটা বুলিয়ে ।
---তুই আমার লক্ষী বোন.... আহহহহ ।
---পেলি তো দুঃখ ।
---আরে কিছু না এখন আমাকে খায়ে দে আর তুই খা ।
---নি বড় হা কর ।
---হাআআআআআআ ।
---হাহাহাহা ।
.
মারজিয়া আমাকে খায়ে দিচ্ছে ও নিজেও খাচ্ছে ।
.
খাবার শেষ করে বললাম ,
---তাড়াতাড়ি রেডি হবি ।
---আচ্ছা ভাইয়া ।
---যা এখন ।
.
মারজিয়া চলে গেলো ।
আমি ভাবতে লাগলাম কতো ভালোবাসে আমায় পাগলাটী । একটু রেশ দেওয়ার জন্য শুয়ে ভাবতে লাগলাম ।
.
একটু রেশ নিয়ে রেডি হচ্ছি হসপিটালে যাওয়ার জন্য ।
কিছুখন পর রেডি হয়ে মারজিয়ার রুমের দিকে গেলাম ।
.
দাড়িয়ে আছি দরজার কাছে এখনো বের হচ্ছে না মেজাজটা গরম করে দিচ্ছে ।
---হয়নি তোর ।
.
মারজিয়া রুম থেকে বললো ,
---না ভাইয়া ।
---কতো বাজে দেখেছিস ।
---হ্যা ভাইয়া ।
---আসবো ।
---আয় ভাইয়া মেকআপ লাগিয়ে দিয়ে যা ।
.
আমি আর কিছু না বলে চলে এলাম নিচে ।
.
বসে ফোন টেপাটেপি করছি তখন পিচ্চিটা এসে বললো ,
---ভাই চল ।
.
আমি একবার তাকিয়ে দেখছি বাহ্ সুন্দর লাগছে কিন্তু মেকআপ এর রাখেনি ।
---মেকআপ আর রাখিস নাই মেকআপ বক্সে ।
---কয়দিন পরে মেকআপ খাবি ।

কয়কি পিচ্চি আর কোনো কথা বলার সাহস পেলাম না । আবার কি বলি আর ও কি কথা বলে ।
---চল ।
---চল ।
.
বাসা থেকে বের হলাম ।
.
গাড়ি চালাচ্ছি কিন্তু মারজিয়া কোনো কথা বলছেনা কেমন জানি ভালো লাগছেনা । মারজিয়া রাগ করেছে নাকি ।
---কি রে রাগ করেছিস নাকি ।
---নিশ্চুপ ।
.
মারজিয়া কথা বলছেনা কেনো আবার বললাম ।
---মারজিয়া রাগ করেছিস ।
.
গ্লাসে দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ মুছে ফেললো ।
গাড়িটা এক পাশে থামালাম ।
.
মারজিয়ার কাছে গিয়ে বসলাম । মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম ,
---কাঁদছিস কেনো পাগলী ।
.
কথাটা শুনে আমাকে ঝরিয়ে ধরলো ।
---আরে পাগলী না কেঁদে কি হয়েছে তোর আমাকে বল ।
---ভাইয়া আবার তো আগের মতো হয়ে যাবি না ।
---এই জন্য কাঁদছিস ।
---আগে বল না ।
---আচ্ছা এখন যেরকম আছি সেরকম থাকবো এখন কাঁদিস না ।
---সত্যি বলছিস তো ভাইয়া ।
---আরে তোর ভাইয়া তোর কাছে মিথ্যে বলে ।
---না আর যদি আগের মতো হয়ে যাস তাহলে আমি অনেক দূরে চলে যাবো আর কোনো দিন ফিরে আসবোনা ।
---দূর পাগলী আর কোনো দিন এ কথা বলবিনা তাহলে মার দিবো আর পাগলী কয় কি তুই কোথায় যাবি হুম তুই যেখানে যাবি আমি তোকে খুঁজে বের করবো আর আমার কাছে নিয়ে আসবো ।
.
চোখ মুছে দিলো মারজিয়া ।
---ভাইয়া চল ।
---তাহলে একটু হাসি দে ।
---তাহলে আমি যাবোনা ।
---আচ্ছা দিচ্ছি হিহিহিহি হয়ছে ।
---হুমমম ।
.
আমার ড্রাইভিং সিটে এলাম ।
কতো ভালোবাসে আমায় পাগলীটা আমাকে । যা তোর জন্য সব করবো তুই যা চাস তাই করবো ।
---ভাইয়া কিছু হয়েছে ।
---না রে পাগলী কিছু হয়নি ।
---আচ্ছা চলো তাহলে ।
--হুম যাচ্ছি ।
.
আবার গাড়ি চাবি দিয়ে স্টার্ট দিলাম ।
চলতে থাকলাম হসপিটালের দিকে ।
.
প্রায় ১ঃ২০ ঘন্টা পর চলে এলাম ।
.
হসপিটালের রুমে গিয়ে দেখি মামনি আব্বু আর মাহি হাসা হাসি করছে ।
মারজিয়ার বলে উঠলো ,
---ভাইয়া দাড়িয়ে রইলি কেনো চল ।
---চল ।
.
আমাদের দেখে মাহির হাসি বন্ধ হয়ে গেলো ।
মুখে কালো মেঘের ছাপ দেখা যাচ্ছে ।
কি কথা হচ্ছিলো যে আমাকে দেখে হাসি মুখটা পেচার মতো হয়ে গেলো ।
---কি রে ভাইয়া বস ।
---ও হ্যা বসছি ।
.
আমি চেয়ারে বসে গেলাম ।
হাতটা পকেট থেকে বের করিনি এখনো । মাহির দিকে তাকিয়ে আছি কেমন হাসি মুখটা কেমন হয়েগেছে ।
মাহি আমার দিকে তাকিয়ে দেখে আমি তাকিয়ে আছি । চোখে চোখ পড়াতে চোখটা সরিয়ে নিলাম ।
আব্বু বলে উঠলো ,
---আব্বু তোমার নানুভাই এসেছিলো ।
---কখন আব্বু ।
---সকালে এসেছিলো ।
---তা এসেছিলো কেনো ।
---তোমার আম্মু ফোন করেছিলো কাল রাতে ।
---নানুভাইকে কে এনেছিলো ।
---তোমার নানু ।
---ও ।
.
এর মধ্যে মারজিয়া বলে উঠলো ,
---মামি ভাইয়ার হাতে কি হয়েছে দেখেন ।
---ওই চুন্নি কি হয়েছে.....  আরে মামনি কিছু হয়নি তো ।
---কেনো মারজিয়া মাহিমের হাতে কি হয়ছে ।
---আপনি দেখেন ।
---মাহিম কি হয়েছে তোর হাতে ।
---কই তেমন কিছুনা ।
---তাহলে হাতটা বের কর ।
.
কি আর করা প্যান্টের পকেট থেকে হাতটা বের করে ফেললাম ।
আঙ্গুল গুলি ব্যান্ডিস করে দিয়েছে ।
এটা দেখে মামনি আমার কাছে এসে বসলেন । মামনির চোখে পানি এসেছে ।
---আব্বু কেমন করে হলো ।
---মাছ বাজতে গিয়ে ।
---কেনো মারজিয়া কোথায় ছিলো ।
---না করে ছিলো কিন্তু আমি জোর করে বললাম আমি বাজতে পারি আমাকে দে কিন্তুু মারজিয়া দিতে চাই নি পরে জোর করাতে আমাকে বাজতে দিলো । পরে কয়েকটা বাজার পর তার পরের গুলি দিতে গিয়ে তেল এসে হাতে লেগে যায় তখন ম
মারজিয়া কেঁদে দিলো পরে অনেক কথা বললো  তারপরে হাতটা ব্যান্ডিস করে দেয় আর খাইয়ে দিয়েছে আজ ।
---হুমমম বুঝলাম কিন্তুু তোর নানুভাই আজ সন্ধ্যায় সময় যেতে বলেছে মারজিয়া আর মাহিকে নিয়ে ।
---কেনো মামনি ।
---তা তোর নানুভাই জানে ।
---আজ তো নানুর ছুটি কিন্তুু পেটুক বেটা থাকলো না কেনো ।
---মাহিম এটা ঠিক হলো না আমার আব্বা পেটুক না বরং তোর আব্বু পেটুক আর আব্বার নাকি কাজ আছে সেই জন্য থাকে নাই তোকে যেতে বলেছে ।
---না হতে পারে না আমার আব্বু পেটুক না ।
---ঠিক বলেছিস আব্বু তোমার আম্মু মিথ্যে বলে । আমি কি শুটকি মানুষ হয়ে পেটুক হতে পারি ।
---তাহলে আমার আব্বু পেটুক না ।
---পেটুক না কিন্তুু সামনে এতো বড় পেট কেনো ।
.
হাহাহাহাহা সবাই হেসে দিলো ।
---আসলে কি জানিস ভাইয়া নানু না পেট কোমানোর জন্য জিম করে যাতে তুই বুঝতে না পারিসহ যে পেটুক ।
.
আবার সবাই হেসে উঠলাম ।
তারপরে অনেকখন কথা বললাম হাসা হাসি করলাম ।
তাপরে মাহিকে নিয়ে আসা হলো আমাদের বাসায় । এখন মাহি পুরোপুরি সুস্থ ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ