4729

"বাসর রাত" -সবার পড়ার অনুমতি নাই

এংগেইজমেন্ট এর ঠিক দুই মাস পর আজ দীপা আর আমার বিয়ে। বিয়েটাকে এরেঞ্জ ম্যারেজ লাভ ম্যারেজ দুটোই বলা যাবে। কেননা এই দুই মাসে প্রেম জিনিসটার অভিজ্ঞতা পুরোপুরিভাবেও অর্জন করেছি দুজনই।

যাই হোক, বাসর ঘরে ঢুকলাম। দীপা সিনেমার বউদের মত হাটুতে থুতনী লাগিয়ে বসে আছে। চুপচাপ বিছানার এক পাশে গিয়ে বালিশে হেলান দিয়ে বসলাম। পঁয়তাল্লিশ মিনিট হয়ে গেলো লজ্জায় কেউ একটা কথা বলিনি।

ফোন টা হাতে নিয়ে নিরবতা ভেঙ্গে বললাম,
- দীপা দেখো তো কোন পিকটা ফেসবুকে আপলোড দিবো?

সাথে সাথে দীপা কাছে এসে ফটো দেখিয়ে দিচ্ছে আর বলছে,
- এটা না ওটা, এটা ভাল হয়নি, এটা ভালই উঠেছে পরিবারের সবাই আছি। এটাই আপলোড দাও।

কেটে যাওয়া পঁয়তাল্লিশ মিনিটের জন্য খুব আফসোস হচ্ছে।

পিক আপলোড দিলাম। কমেন্টের আর মেসেজের রিপ্লায় দিতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। এদিকে কখন যে দীপা আমার ফেসবুকিং দেখতে দেখতে আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতেই পারিনি।

অনেক্ষন দীপাকে দেখলাম। আসলেই বাসর রাত অনেক মধুর। আস্তে করে দীপাকে শুইয়ে দিলাম।  নিজের থেকে সে কাথা টা টেনে নিলো।

এই সেই ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানিনা। ফযরের আযানের কিছুক্ষন আগে এলার্ম বাজলো আর দীপাও ডাকাডাকি শুরু করে দিলো,
-এই রুহী ওঠো, গোসল দিবানা, নামাযে যাবানা...

ঘুম কাতুরে চোখ আমার ইয়া বড় হয়ে গেলো, এত ভোরে বাবার জন্মেও গোসল করিনাই আর নতুন বউ এগুলা কি বলে।

আমিঃ আচ্ছা গোসল দিবো ঠিক আছে কিন্তু...

দীপাঃ চুপ।  কোনও কিন্তু না...

অতঃপর আযান দিলো নামাযে গেলাম। উফ ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।

-আমিম এহসান