āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4722

দুইদিন হলো বন্ধুর ভাইয়ের বিয়ের সুবাদে কুমিল্লা এসেছি, এক সপ্তাহ থাকার প্লান আছে। ভাবলাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ঘুরতে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ কিন্তু বন্ধুর কাজিন বললো আজ গিয়ে লাভ নেই ভাইয়া,কালকে যেয়ো, কালকে কালচারাল প্রোগ্রাম আছে। ওর কথায় থেমে গেলাম।
.
রাফি পড়লো লাল পাঞ্জাবি আর আমি পড়লাম রাফির কাজিনের নীল পাঞ্জাবি। পারফিউম মেরে খুব সাধারন একটা পার্ট নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
.
গেটের বিপরীত পাশে আমরা ঠায় দাঁড়িয়ে আছি, কোনও নড়াচড়া নেই, দৃষ্টি গেটের বাম পাশে দাড়ানো একঝাক শাড়ি পরিহিতা কিশোরীদের উপর। গুনীজন বলে থাকেন প্রকৃতির রূপ আর নারীর রূপ হলো ধরনীর সবচেয়ে সুন্দর দুটি জিনিস। নিজের এলাকায় না হয় দুচারটে মেয়ের দিকে তাকানোর অধিকার আছে কিন্তু অন্য এলাকার মেয়েদের দিকে তাকাতে অপরাধবোধ হচ্ছে। রাফি বললো দোস্ত ড্রেস ম্যাচিং করে পিছনে লেগে যা। আমি তো আর তাহসান না যে বলবো দোস্ত পিছনে লাগবো মানে! আমি বললাম ওকে দোস্ত তুমি যাও তোমার লক্ষে আর আমি আমার লক্ষে। তাহসান আপু তো এমন একটিং করেন যেনো ভাজা মাছটা উলটে খেতে জানেনা। বাট আমি মানে আমার মত ছেলেরা ভাজা মাছের কাটা সহ চিবিয়ে খেতে পারি।
.
আমার পাঞ্জাবির কালারের সাথে ভালই মেচ করছে ওই মেয়েটার শাড়িটা। সিনেমার মত তাকেই নাইকার মত সবাই মধ্যমনি করে রেখেছে। মেয়েদের দু তিনটা ক্ষুদ্র দল হলো আর আমার আর রাফির ক্ষুদ্র দল একক হয়ে গেলো।  রাফি অভয় দিয়ে বললো রুহী কোনও সমস্যা নাই ক্যাম্পাসের বড় ভাইরা আমার পরিচিত আছে, কোনও প্রব্লেম এ পড়লে হ্যালো, মাগার সামহালকে।
.
নীল শাড়ি পরা মেয়েটার নাম শুনে ফেলেছি সিনেম্যাটিক কায়দায়। কায়দাটা কিছুই নয়, দূর থেকে ওর এক বান্ধবি ডাক দিলো এশা কেমন আছিস? আর এই বলে জড়িয়ে ধরলো ব্যস আমার নাম জানা হয়ে গেলো। নীল শাড়ি, ঠোটে গাঢ় করে দেওয়া লিপস্টিক আর খোলা চুলে দারুন লাগছিলো এশাকে। কিন্তু একঘন্টা ধরে ঘুরছি এখনও হায় হ্যালো ও করতে পারলাম না। হুট করে ক্লাস এইটের কথা মনে পরে গেলো, আমি একটা মেয়েকে খুব পছন্দ করতাম কিন্তু আজও মেয়েটার সাথে কথা বলতে পারিনি, এই ভেবে বুকের মধ্যে ছ্যাৎ করে উঠলো। আসলে বন্ধুদের সামনে আমরা সবাই হালুম কিন্তু মেয়েদের সামনে গেলে মেও।
.
ওই দূরে দেখতে পাচ্ছি একজোড়া রেড কাপল বসে আছে, ভাল করে দেখতে গিয়ে দেখলাম রাফি আর লালি আই মিন লাল শাড়ি পরা মেয়েটা, আর আমি দুই ঘন্টা ধরে এখনও ঘুরছি তো ঘুরছি। শার্লক হোমস সহ বেশ কয়েকজনের গোয়েন্দা গল্প পড়া আছে সেই জ্ঞানে বুঝতে পারলাম যে এশাকে আমি শুধু না আরেকটা ছেলেও ফলো করছে। তবে ছেলেটার গায়ে ছাই রঙা একটা টিশার্ট আর আমার গায়ে নীল পাঞ্জাবি আর এটাই আমার আশার আলো আর এটাই আমার সফলতার কাণ্ডারি এই ভেবে নতুন ভাবে জেগে উঠলাম নতুন উজ্জীবিত শক্তিতে।
.
- এক্সকিউজ মি এশা একটু শুনবেন
- কেনো দুই ঘন্টা ফলো করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেন
- না মানে, তাহলে আপনিও আমাকে লক্ষ্য করছিলেন
- হুম করছিলাম,  তো কি হইছে?
.
তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি,
.
-এই যে মিস্টার কি দেখেন?  জীবনে মেয়ে মানুষ দেখেন নাই?
- আপনার চোখ গুলো খুব সুন্দর, মনে হচ্ছে হারিয়ে যাই ওই চোখের অতল গহবরে আর প্রেম কে ছুয়ে আসি
- ও শুধু চোখ সুন্দর আমার?
- না না, আপনার তো পুরো শরীর টাই সুন্দর, আপনার দিকে তাকিয়ে তো আমি জনম জনম কাটিয়ে দিতে পারবো
- হোয়াট ডু ইউ মিন? আমার পুরা শরীর সুন্দর মানে, লোকজন ডাকবো নাকি
- এই যে শুনুন, যতটুকু রেগেছেন এনাফ আর রাগবেন না প্লিজ, রাগি চেহারায় আপনাকে ভয়ংকর সুন্দর লাগে।
- হইছে থাক, বাংলা সিনেমার সস্তা ডায়লগ আর দিতে হবেনা
- মিস এশা এই ডায়লগ আমি জেকি চেইনের কাছে শিখেছি
- জেকি চেইনের কোন রোমান্টিক মুভি দেখেছেন আপনি হা
- ওহে নীল আঁচল নীলাম্বরী আমি বাংলার জেকি চেইন রুবেল এর কথা বলছি
- হা হা অনেক মজা করে কথা বলেন তো আপনি,  নাম কি আপনার?
- জ্বি আমার নাম রুহী, দিনাজপুর থেকে
- দিনাজপুর মানে? দিনাজপুর থেকে লাইন মারতে আসছেন নাকি ভিক্টোরিয়ায়?
- না মানে এক বন্ধুর ভাইয়ের বিয়েতে এসেছি। যাই হোক আমরা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলবো নাকি কোথাও গিয়ে বসে গল্প করবো
- হ্যা অবশ্যই।
.
পাঠকেরা হয়তো ভাবছেন, এহ মেয়ে পটানো এত সোজা, সত্যি কথা মেয়ে পটানো অনেক কঠিন। উপরে এশার সাথে যতগুলো কথা হয়েছে তার পুরোটাই কল্পনা। কেননা বিকেল পর্যন্ত তার পিছনে ঘুরেছি ঠিকি কিন্তু একটিবার শুনছেন বলার সাহস হয়নি। হয়তো বলার ট্রাই করতাম কিন্তু তার সাথের মেয়েটি ছিপকালির মত ছিলো তাই আর বলা হয়নি।
.
বাসায় ফিরে মেয়েটির কথা ভাবছি আর ভাবছি আর মনের অজান্তেই স্বপ্ন বুনছি। জানি সব স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে তবুও বিনে পয়সার স্বপ্ন দেখেই যাই। আমাদের মত ছেলেদের স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কি আছে! তাইতো মাঝে মাঝে এত স্বপ্ন দেখে থাকি যে স্বপ্ন টাও দোষ করে ফেলে। তাই স্বপ্ন না দেখাই ভাল কিন্তু না দেখে আবার পারিনা।
.
_________________________
লিখাঃ আমিম এহসান
_________________________

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ