#দাজ্জাল_বউ
।
পর্বঃ চতুর্থ ( ৪ )
।
।
।
গাড়ি তার আপন বেগে ছুটে চলছে ।।।
আমি বসে আছি কিছু একটা ভাবতে চাচ্ছি কিন্তু কেন জানি ভাবতে পারছিনা ।।।
আমি একটু রাকার দিকে তাকালাম দেখি মুখটা কেন জানি শুকনো দেখাচ্ছে । কি যেন চিন্তা করছে ।
---কিছু হয়েছে তোমার । (নাসির)
---নাহ্ । (রাকা)
---এভাবে কথা বলছো কেন ।
---কই নাতো । আমি ঠিক আছি ।
আর কিছু বললাম না । গাড়ি দূতবেগে চলছে ।
গাড়িটা সিরাজগঞ্জ শহরের কাছাকাছি এসে র্পৌছেছে ।
অত্যঃপর
রাকার বাসার ভেতর গাড়ি নিয়ে থামালো ।
কিছু সংখ্যক লোক এবং পিচ্চি ছেলেরা বলছে জামাই এসে গেছে ।
আমাদেরকে বাড়ির ভেতর নিয়ে যাওয়া হলো ।
রাকার রুমে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো ।
সবাই মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত হলো আর শালিকাগুলি আমাকে নিয়ে ।
।
অনেকখন জার্নি করে খুব ক্লান্ত বোধ মনে হচ্ছে ।
রুমে একা বসে আছি । রাকাকে নিয়ে গেছে তাদের বাড়ির সদস্যরা আমাকেও নিতে চাইলো কিন্তু আমি গেলাম না ।
একটু খারাপ লাগছে ।
---ভাইয়া আসতে পারি । (মিম)
---আসো । (নাসির)
---ভাইয়া খুব খারাপ লাগছে নাকি ।
---জার্নি করেছি তো তাই একটু খারাপ লাগছে ।
---আচ্ছা তাহলে আপনি রেশ নিন আমি তাহলে যাই ।
---আরে না সমস্যা নাই । কি জন্যে এসেছো । আর তানজিম কোথায় ।
---একটু গল্প করতে এসেছি । আর তানজিম ওর রুমে আছে ।
---আরে একটু কেন সারারাত গল্প করবো কেমন ।
---সত্যি বলছেন ।
---হুম ।
---আচ্ছা ভাইয়া আপনি কি কখনো প্রেম করেছেন ।
---হাহাহা প্রেম করবো আমি ।
---হাসেন কেন আর প্রেম করবো আমি এটা বুঝলাম না ।
---মানে আমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারিনা হাত পা কাঁপে ।
---হিহিহি তাই ভাইয়া ।
---হুম ।
---আচ্ছা কোন দিনও বলেন নাই ।
---হুম একদিন এক বন্ধুর তার প্রেমিকাকে তার একটা চিঠি দিতে গিয়েছিলাম তখন মেয়েটি বলেছিল এটা কি আমি বলেছিলাম আপনাকে আমার বন্ধু পছন্দ করে তাই চিঠি দিয়েছে এটা বলে এক দৌড়ে পালিয়ে গেছিলাম পরের দিন স্কুল যাই দেখি মেয়েটি ও তার বান্ধবীরা আমাকে উদেশ্য করে হাসছে তার পর থেকে কোন মেয়েকে কিছু বলি নাই ।
---হাহাহাহাহা ভাইয়া আপনি এতো ভীতু ।
এটা বলে মিম হাসতে লাগলো ।
এভাবে কিছুখন গল্প হলো ।
অত্যঃপর
খাওয়া দাওয়া শেষ করে ।
আবার গল্প করতে লাগলাম এবার দুজন না আমি রাকা এবং আরও চার জন মিলে ।
রাকা শুধু সবার কথা শুনছে কিন্তু বলছে না ।
মিম ও রাকার ভাবি এতো কমেডি কথা বলে যে না হেসে পারিনা ।
---আচ্ছা অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমাতে হবে । (রাকার ভাবি)
---আর একটু গল্প করা যাক কেমন । (নাসির)
---হ্যা ভাইয়া ঠিক বলেছেন । (মিম)
---মিম এখন তোমার আপু আর ভাইয়াকে ঘুমাতে দাও সকালে আবার গল্প করবো । (ভাবি)
---আচ্ছা ভাইয়া সকালে গল্প হবে । গুড নাইট । (মিম)
---গুড নাইট ।
এই বলে সবাই চলে গেলো ।
মিম ফ্রেশ হয়ে আসলো । আমি দরজাটা লক দিয়ে খাটের দিকে যাচ্ছি শুয়ে পরবো কিন্তু কে যেন পিছনে থেকে হাত ধরল ও এরুমে রাকা ছাড়া কেউ নাই ।
আমি পিছনে ঘুরে দারালাম দেখি রাকা কেমন ভাবে তাকিয়ে আছে ।
আচ্ছা রাকার তো ভূত ধরেছে নাকি রাকা এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন তখনি বলল ,
---ওই তুই কই যাস । (রাকা)
---অনেক ক্লান্ত লাগছে তাই ঘুমাবো ।
---আমি কাছে থাকলে শুধু বিভিন্ন কাজ থাকে হু ।
---কি বল এগুলি ।
এটা বলার সাথে সাথে রাকা আমাকে ধাক্কা দিয়ে খাটের উপর ফেলে দিল আমিও ওর হাত ধরে টান দিয়ে আমার উপরে ফেলি দুজনে খাটের উপরে ।
আমি নিচে মানে রাকা ধাক্কা দেওয়ার ফলে আমি টান দেওয়াতে আমার বুকের উপরে রাকা আর আমি নিচে ।
---ওই তুই এতো লুচু কেন । (রাকা)
---আমি আবার কি করলাম । (নাসির)
---তুই খুব খারাপ বউ এর সাথে কথা বলিস না শুধু শালিকার সাথে গল্প করিস ।
---না মানে ।
---ওই শালিকার সাথে গল্প করতে খুব ভালো লাগে তাই না হু ।
---ওই কি বলো ও তোমার বোন হয়না ।
---ওই লুচু চুপ । কথা বলবি না সালা ।
---কি বল এসব আর আমি তোমার সালা ।
---নিজের বউকে ছেড়ে অন্য জন্যের সাথে টাংকি মারিস সালা ।
---হুম মারবোই তো যদি নিজের বউ আমাকে না ভালোবাসে ।
---ওই তুই ভালোবাসা বুঝিস হ্যা ।
---হু বুঝিতো ।
---হু তুই কচু বুঝিস হাবলু ।
আমি সেদিন কি চেয়েছিলাম জানিস তোকে একটু জোর দেখিয়েছিলাম দেখি তুই আমাকে জোর করে কিছু বলিস কিনা ।
তারপর আবার ডেকে আনলাম পরীক্ষা করতে চাইছিলাম যে সত্যি কি রকম সেজন্য তোকে বলেছিলাম আমাকে টাচ না করতে কিন্তু তুই জোর করে কিছু করিস নাই আমি ইচ্ছে করে তোকে জড়িয়ে ধরেছিলাম শুধু তখনি একটু জড়িয়ে ধরেছিলি আবার কি মনে করে আবার ছেড়ে দিলি ।
তুই আমার চোখের ভাষা বুঝতে পারিস নাই ।
তুই আমার দাজ্জাল গিরি দেখে বুঝিস নাই আমি কি চাইছি আর কি চাই ।
আর যেদিন তোকে দেখেছি তখন তোকে ভালো লাগে আর এর মধ্যে সব ঠিকঠাক হয় তখন তোর দাদুর কাছে তোর নাম্বার চেয়েছিলাম কিন্তু তোর দাদু বলেছিল তুই বলে কারও সাথে বলিস না তাই তোর নাম্বারটা নিলাম না ।
তখন নিজেই ভাবলাম যখন তোকে কাছে পাবো তখন না হয় কথা বলবো ।
আমি এরকম একজনকে আল্লাহুর কাছে চেয়েছিলাম যে সে যেন আমাকে ছাড়া আর কারও সাথে কথা না বলে । কিন্তু সেই রকম তুই ।
আমি এরকমতো চাইনি যে আমাকে ভালোবাসবেনা ।
এখন ছাড় কেউ দেখে ফেললে আর খারাপ ভাববে ।
.
রাকা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে এক এক করে সব কথা বলে ফেলল ।
কথা গুলো বলার পর লাইটের আলোতে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি রাকার চোখের কোণে পানি টলমল করছে এখনই ঝর্না প্রবাহিত হতে পারে ।
---না ছাড়ব না আর কেউ দেখবে না কারন দরজা বন্ধ করে লক করেছি হুম ।
---তাই কি ছাড়েন আমাকে ।
---না ছাড়ব না ।
রাকা অনেক চেষ্টা করে নিজেকে ছাড়ানো ব্যর্থ হলো ।
আমি রাকাকে ছাড়তে চাচ্ছি না ।
রাকা এখন আর কিছু বলছেনা শুধু চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ।
আমি এবার রাকার চোখের ভাষা বুঝতে পেরেছি রাকা কি চাচ্ছে আমার কাছ থেকে ।।
---ওই কি করছো একদম এটা করবে না...উমউম
রাকার নরম ঠোঁট আর আমার ঠোঁট এখন হয়েগেলো।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (বালিকার হ্নৎস্পন্দন)
#দাজ্জাল_বউ
।
পর্বঃ পঞ্চম ৫ম (শেষ পর্ব)
।
।
।
শোশুর বাড়ি থেকে চলে এসেছি দুদিন ধরে ।
এখন আরও বেশি দাজ্জাল গিরি করে রাকা ।
---এখন উঠে পড়ুন সময় নাই । (রাকা)
---না আজকে তুমি নামাজ পড় আমি কালকে পড়ব কেমন । (নাসির)
---কি কয়লি তুই । উঠবি নাকি পানি ঢেলে দিব হ্যা ।
---ওকে উঠছি ।
অত্যঃপর
তাহাজ্জুদের নামাজ পরে নিলাম ।
রাকা যা করতে বলবে তাই করা লাগে । না করলে দাজ্জাল গিরি শুরু হয় । আর রাকা যাই করে না কেন সব আমার ভালোর জন্য করে ।
---আপনে এখন শুয়ে পরুন । (রাকা)
---হুম । (নাসির)
---আর শুনুন ।
---হ্যা বল ।
---কিছু না যাও শুয়ে পর । (মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে)
এটা বলে কোরআন শরিফ পড়তে বসলো আর আমি গিয়ে খাটে শুয়ে পড়লাম ।
আজকে একটু ভালো ঘুম হবে । আজ অফিস ছুটির দিন ।
অত্যঃপর
ফজরের নামাজের সময় দাজ্জাল গিরি করে উঠিয়ে দিল । ফজরের নামাজ পড়ে আসলাম । ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুম কারন অফিস ছুটির দিনে কোন কাজ নাই ঘুম ছাড়া শুধু মাঝে মাঝে বাজার করতে হয় ।
---ওই এখনো ঘুমাচ্ছো ওঠো তারাতারি । (রাকা)
---না আর একটু ঘুমাই । (নাসির)
---না তারাতারি ওঠো বলছি ।
---কেন আজ তো অফিস ছুটি ।
---যাও ওঠো বলছি বাজারে যেতে হবে ।
---কি বলছো বাজারে যেতে হবে মানে আব্বু...।
---বাবাকে আমি বলে দিয়েছি তার অনেক বয়স হোয়েছে সে আর বাজারে যাবে না ।
---হায়রে কপাল রে । যাও কাল থেকে বাজার করবো ।
---না এখন উঠবে কিনা সেটা বলছি ।
---না উঠবো না ।
।
তখনি আম্মুকে ডেকে বলে ।
---আম্মা আপনার ছেলেতো উঠছে না তো । (রাকা)
---কি বল বউমা গাধাটা এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই । (আম্মু)
---না আম্মা উঠে নাই ।
---বউমা এক কাজ কর এক বালটি পানি এনে গাধাটার শরীরের উপর ঢেলে দাও ।
---জ্বী আম্মা আনতেছি ।
।
আরে আম্মু কি বলেরে । আর এ মেয়েরেতো বিশ্বাস নাই পানি এনে ঢেলে দিবে ।
এ কথা শোনার পর কি আর ঘুমিয়ে থাকা যায় ।
।
আমি তারাতারি উঠে গেলাম ।
উঠে যাওয়ার সময় দেখি আম্মা ও রাকা দুজনে হাসছে ।
অত্যঃপর
ফ্রেশ হয়ে নিলাম ।
বাজারে যাওয়ার সময় দেখি আব্বু চেয়ার এ বসে পেপার পড়ছে আমাকে দেখে না দেখার বান করে পেপার পড়ছে ।
আমি যাওয়ার সময় দেখি পেপার রেখে আব্বুও হাসছে ।
সব সহ্য করে নিচ্ছি ।
বাজারে লিস নিয়ে বাজারে গেলাম ।
ইস্ বাজার করতে কত ঝামেলা । কোনটার কত দাম তাও জানি না ।
অত্যঃপর
বাজার থেকে বাজার করে নিয়ে আসলাম ।
কিছুটা ক্লান্ত হয়ছি আর ভালো লাগে না এগুলি ।
ঘেমে গেছি একটু এখন একটু রেশ নেওয়া লাগবে ।
তাই রুমে গেলাম ।
রুমে গিয়ে ফ্যানটা ছেড়ে বসে আছি ।
আহ্ কি শান্তি ।
এর মধ্যে দাজ্জাল বউ রুমে আসলেন ।
বুঝেছি আবার কাজ করতে হবে ।
---এই তুমিতো ঘেমে গেছো । (রাকা)
[ এখন দরদ দেখাতে আসছে মনে মনে বললাম ]
---কই নাতো ঘেমে যাইনি ঠিক আছি । (নাসির)
---এমন করে বলছো কেন ।
এই বলে রাকা তার আঁচল দিয়ে ঘাম মুছে দিলো ।
---কোথায় এমন করে বলছি ।
---এখন তো বাবার বয়স হয়েছে তার আর পরিশ্রম করা যাবে না ।
রাকার কথা শুনে রাকার মুখের দিকে তাকালাম আসলেই তো রাকা ঠিক বলেছে আমি তো কখনো ভাবিনি ।
---ওমন করে তাকিয়ে কি দেখছো আর ভাবছো ।
---কিছু না ।
---পানি খাবে ।
---হুম ।
।
---এই নিন পানি খান ।
ঢক ঢক ঢক করে পানি খেলাম ।
---আচ্ছা তুমি কি রাগ করেছো ।
---না ।
---তাইলে কথা বলছো না ক্যা ।
---এমনি ।
---আচ্ছা না বললে ।
এই বলে রাকা মনটা খারাপ করে চলে যাচ্ছিল তখনি ওর হাতটি ধরে ফেলি ।
---হাত ধরছো কেন ছাড়ো ।
---না ছাড়বো না ।
---আরে পরিবারের জন্য খাবার তৈরি করতে হবে তো ।
---শুধু পরিবারের জন্য খাবার তৈরি করলে হবে আমার জন্য পেশাল খাবারটা দিবে না ।
---কি পেশাল খাবার ।
---তুমি জানো না বুঝি হুম ।
---ওই একদম না ।
এই বলে হাতটি ছাড়িয়ে নিয়ে গেলো ।
।
কিছুখন পর শুয়ে শুয়ে ভাবছি একটু রান্না ঘরে যাই ।
।
---এখানে কি হু । (রাকা)
---একটু হেল্প করতে আসছি । (নাসির)
---যে বাজার করতে পারে না সে নাকি হেল্প করতে আসছে হুম । (মুখ বাঁকা করে বলল রাকা)
---বাজার করতে না পাড়লে আমি কিন্তু রান্না করতে পারি হুম দেখবে ।
---ওই তুমি আসবে না ।
---কেন ।
---রুমে যাও তোমার হেল্প করা লাগবে না ।
---প্লিজ ।
---ওকে ।
---লক্ষী বউ আমার কত ভালো ।
---হুম পাম ভালো মারতে পার ।
---পাম না সত্যি বলছি ।
---ওই তুমি কিছু করবে না ।
---আমি লবণ লাগলে লবণ দিবো ।
---হুম হিহিহি ।
আমি শুধু দাড়িয়ে রান্না করা দেখছি আর রান্নাতে লবণ লাগলে রাকা লবণ দেখিয়ে দেয় কতটুক লাগবে আমি সেই পরিমাণ মতো দিচ্ছি ।
।
কিছুখন পর ।
---আমি কি একটু ঢাকনাটা খুলে দেখতে পারি । (নাসির)
---হুম দেখ আর সাবধানে । (রাকা)
---ওহ্ ।
---এই কি হলো তোমার কি হলো দেখি দেখি ।
---কিছু না একটু হাতে লেগেছে ।
---কই দেখি ।
---কিছু হয়নি তো পাগলী ।
---কি বলছো হ্যা কিছু হয়নি তোমার এটা কি হয়েছে দেখেছো হুম অনেকটা লাল হয়েছে ঠোসা পরবে হাতটা মনে হয় পুড়ে গেছে । (কেঁদে কেঁদে)
---আরে কাঁদছো কেন কিছু হয়নি তো বলছি ।
---হুম বললে হলো কিছু হয়নি এখন আমি কি করি বুঝতে পারছিনা ।
---আরে সত্যি বলছি কিছু হয়নি কেঁদো না প্লিজ ।
---আম্মা । (কেঁদে কেঁদে রাকা ডাকছে)
সারা এলো না ।
---আম্মা । (আবারও কেঁদে কেঁদে)
---জ্বী বউমা । (আম্মু)
---একটু তারাতারি আসেন আম্মা ।
আম্মু রান্না ঘরে এসে ।
---কি হয়েছে বউমা আর কাঁদছো কেন ।
---দেখেন না আপনার ছেলের হাতটা পুড়ে গেছে আর বলছে তার নাকি কিছুই হয়নি বলছে । (কেঁদে কেঁদে বলছে)
---আরে দেখি খোকা কি হয়ছে । (আম্মু)
---এই যে দেখো আম্মু কিছু হয়নি । (নাসির)
---হুম দেখেছি খোকা ।
---আম্মা আপনার ছেলেকে কতো বার বলেছি যে রুমে যাও কিন্তু গেলো না আরও জিত করে... (কেঁদে কেঁদে)
---আরে বউমা কেঁদো না ঠিক হয়ে যাবে । (আম্মু)
---কতোবার করে বললাম যাও রুমে যাও কিন্তু গেলোনা ।
---বউমা কেঁদোনা খোকাকে রুমে নিয়ে যাও আর হাতটার ওখানে মেডিসিন লাগিয়ে দাও । (আম্মু)
---জ্বী আম্মা । (রাকা)
---এই রুমে চলেন । (রাকা)
রাকা আমাকে রুমে নিয়ে যাচ্ছে ।
আর রাকা কাঁদছে ।
অত্যঃপর
রাকা আমাকে রুমে নিয়ে গিয়ে খাটে বসতে বলে ।
আমি খাটের উপর বসে আছি ।
রাকা আমার হাতে মেডিসিন লাগিয়ে দিচ্ছে আর বলছে ।
---কতোবার করে বললাম যাও রুমে গিয়ে শুয়ে থাকো না উনি শুনলেন না । হেল্প করবে আমাকে আর বলে আমি বাজার করতে পারিনা কিন্তু রান্না করতে পারি ।
আমার কথা একটাও শোনেনা । আমি যেটা করতে দেবোনা সেটা আরও জিত করে করবে ।
(কথাগুলি এক এক করে বলছে আর হাতে মেডিসিন দিয়ে দিচ্ছে আর মাঝে মাঝে চোখের পানি মুছে নিচ্ছে )
---আরে পাগলী সত্যি বলছি কিছুই হয়নি ।
---আমারই ভুল হয়েছে সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তোমাকে বাজারে করতে দিয়ে যদি না দিতাম তাহলে আর এরকম হতো না । (কেঁদে কেঁদে)
---আরে হয়ছে এখন প্লিজ আর কেঁদো না তাইলে কিন্তু ।
---কিন্তু কি ।
---আমি মেডিসিন লাগাবো না ।
---ওকে আর কাঁদবো না এই যে হাসছি হিহিহি । (একটু হাসির মতো করে)
---ওকে এখন হয়ছে তুমি এখন গোসল করে আসো খেতে যাবো ।
---হুম একটু পরে যাই তুমি একটু রেশ নাও আমি তোমার মাথায় বিলিয়ে দিচ্ছি ।
---না যাও আগে গোসল করে আসো ।
---না তুমি আগে রেশ নাও তার পর ।
---না আগে যাও ।
---ওকে যাচ্ছি একদম কিছু করবেনা কিছু লাগলে ডাক দিয়ো ।
এই বলে চলে গেলো গোসল করতে ।
।
সত্যি আমি অনেক ভাগ্যবান ব্যক্তি যে আল্লাহ তা'আলা এমন একটা দাজ্জাল বউ দিয়েছে ।
অত্যঃপর
গোসল করে এসেছে ।
।
অত্যঃপর
।
---আপনার খাবার এখানে আনছি কেমন । (রাকা)
---আমি টেবিলে গিয়ে খেতে পারবো । (নাসির)
---না যাওয়া লাগবেনা আমি এখানে আনছি ।
---আচ্ছা পাগলী আমিতো যেতে পারবো ।
---একদম কথা বলবে না হ্যা যা বলছি তাই কর ।
এটা বলে খাবার আনতে গেল ।
।
রাকা খাবার নিয়ে আসছে । আমাকে খাইয়ে দিতেছে ।
---এই হা করুন । (রাকা)
---হা । (নাসির)
---লক্ষী ছেলের মতো সব খেয়ে ফেলবে কেমন ।
---তুমিও খাও ।
এই ভাবে রাকা এক লোকমা করে আমাকে রাকা খাইয়ে দিচ্ছে আর রাকাও খাচ্ছে অনেক ভালো লাগছে ।
---এই আর একটু প্লিজ ।
---না আর পারছি না তো ।
---আর এই টুকু নাও প্লিজ ।
---ওকে হা ।
এখন খাওয়া শেষ ।
আজ অনেক সেবা করেছে ।
।
রাতে রাকা বললো ,
---এই আজকে একটু ছাঁদে যাবে ।
---কেন ।
---দেখো আকাশে কত তারা আর সুন্দর চাঁদ উঠেছে ।
---হুম অনেক সুন্দর চলো যাই ।
দুজনে ছাদে যাচ্ছি ।
।
এখন আমরা দুজনে ছাদে বসে আসি ।
চাঁদের আলোতে রাকাকে অনেক সুন্দর লাগছে ।
---এই ।
---কি ।
---আমাকে ছেড়ে যাবে নাতো ।
---না যাবো না ।
---সত্যি বলছোতো ।
---হুম সত্যি বলছি আমি আমার দাজ্জাল বউকে ছেড়ে কোথাও যাবো না । তুমি তো যাবেনা আমাকে ছেড়ে ।
---আমিও আমার বোকা বরকে ছাড়া কোথাও যাবো না ।
।
তারপর রাকা আমার কাঁধে মাথা রাখে ।
এখন আমি আর রাকা চাঁদ দেখছি ।
।
।
।
সমাপ্ত ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (বালিকার হ্নৎস্পন্দন)
।
।
।
= = =আল্লাহ হাফেজ= = =
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ