āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4746 (1)

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ প্রথম ( ১ম )

লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )



ল্যাম্পপোষ্টের আলো জ্বলছে । জানালা দিয়ে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বাহিরে ।  জোনাকির আলো গুলি দেখা যাচ্ছে ।
মাঝে মাঝে গাড়ির গ্লাসে এসে পড়ছে । দেখতে খুব ভালো লাগছে । তাদের আলো গুলি জ্বলে আর নিবে যায় ।
এসব দেখার পর মনের অজান্তে কেমন জানি অশান্তি বোধ হচ্ছে ।
এ কেমন ভালো লাগা অর্ধেক ভালো আর অর্ধেক খারাপ এটাকে কি ভালোলাগা বলে নাকি ভালোলাগা বলে না । বুঝে উঠে পারছিনা । মাথার ভেতর এক অন্য রকম চিন্তা ভাবনা । এখন কি করি বুঝে উঠে পারছিনা ।
এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ গাড়ির ব্রেক এর উপর পা পরে যায় । তখনি গাড়িটা রাস্তার মাঝ খানে থেমে যায় ।
সামনে কিছু নেই কিন্তু কেনো ব্রেক চেপে বসলাম বুঝে ওঠার আগে গ্লাসে নক করার শব্দ চলে আসে । তখনি গ্লাসের দিকে তাকালাম দেখি পুলিশ অফিসার । শরীর গরম হয়ে গেলো । শরীর দিয়ে ঘাম বের হচ্ছে ।
গ্লাসটা নামিয়ে অফিসারের দিকে তাকিয়ে চিন্তে পারলাম । তখন একটু দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেললাম । যাক বাবা বাঁচা গেলো অন্য অফিসার হলে একটু সমস্যা হতো ।
অফিসারের কথায় আমার ঘোর কাটলো ,
---নানু ভাই এভাবে কেউ রাস্তার মাঝ খানে গাড়ি ব্রেক করে । ( অফিসার )
---না মানে ই.. ( মাহিম )
.
কথাটা না শোনার আগেই সে বললো ,
---নানু ভাই এতো রাতে কোথায় যাওয়া হচ্ছে ।
---না মানে নাইট ক্লাবের দিকে ।
---এতো রাতে গিয়ে কি করবে ।
---ইয়ে মানে এক বন্ধু আসতে বলছিলো তাই যাচ্ছি ।
---আমার জানা মতে ঢাকার নাইট ক্লাব গুলি খুব ভালো জায়গা না নানু ভাই । সেখানে অনেক খারাপ খারাপ লোকেরা যায় ।
---ইয়ে মানে নানু আমার বন্ধু আসতে বলছিলো তাই ।
---হুম বুঝেছি । দেখি মাথাটা একটু এগিয়ে আনো তো । ( হাতটা আমার কপালের দিকে এগিয়ে )
---জ্বী নানু । ( আমি মাথাটা এগিয়ে )
.
নানু কপালটা হাত দিয়ে দেখে বললো ,
---কপালটা অনেক গরম জ্বর এসেছে মেডিসিন খেয়েছো বলে মনে হয়না ।
---নানু এই মাত্র মনে হয় জ্বর এসেছে ।
---নানু ভাই তুমি কি পাগল হয়ে গেলে নাকি ।
---কেনো নানু ।
---জ্বর কি এই মাত্র এসে কপালটা গরম হয় ।
---না মানে কখন যে জ্বর এসেছে জানি না ।
---হু বুঝেছি এক মিনিট থাকো আমি আসছি ।
.
কথাটা বলেই গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো ।
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কি যেন বের করে আনছে ।
ওহ্ পানির বোতল হাতে কি যেন । বুঝতে পারলাম মেডিসিন হবে হয় তো ।
নানু এসে বললো ,
---নানু ভাই এটা খেয়ে নাও ।
---নানু আমি মেডিসিন খেতে পারবো না ।
---কি বললে । ( চোখটা বড় বড় করে )
---না মানে দাও ।
.
আমি মেডিসিন খেয়ে নিলাম ।
এস আই বলে কথা । যদি না খায় তাহলে চোখ দুটি আমাকে খেয়ে ফেলবে ।
পুলিশ বেটা তোমাকে দেখে আমি ভয় পাই এই দুচোখে । যেভাবে চোখ দুটি বড় বড় করে রে বাবা ।
নানু আবার বললো ,
---মেডিসিন কিনে নিয়ে যেও ।
---জ্বী নানু আর মেডিসিন কি সাথে সাথে রাখো নাকি ।
---না নানু ভাই তোমার নানু ভাইয়ের জন্য কিনেছি তার নাকি অনেক জ্বর এসেছে ।
---কি বলো একটু তো ফোন করলো না নানু ভাই ।
---সে ফোন করতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি না করেছি ।
---কেনো নানু ।
---কারণ তোমরা তো দেখতে আসবে না শুধু ফোনে কথা বলো । তোমরা অনেক ব্যস্ত মানুষ । তোমার মামনি তো ইউনিভার্সিটি নিয়ে ব্যস্ত , আর তোমার আব্বু তো অফিস নিয়ে , আর তোমার তো কোনো কথা নাই বিশাল ব্যস্ত মানুষ তাই ফোন করে জানানো দরকার মনে করি না ।
---তাই বলে ফোন করে নি । দুজনকে দেখাবো মজা ।
---পারবে না ।
---মামুনির দু দিন ছুটি আছে আর আমারও অফিসে কাজের চাপ কোম তখন আব্বুকে বলে নানু ভাইকে দেখে আসবো ।
---সত্যি বলছো নানু ভাই ।
---হ্যা নানু সত্যি বলছি ।
---এখন বাসায় যাও নাইট ক্লাবে যেতে হবে না ।
---( নিশ্চুপ )
.
আমি কোনো কথা না বলায় তখন নানু বললো ,
---আচ্ছা যাও কিন্তু ।
---কি নানু ।
---তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে ।
---ওকে ।
---ভালো থেকো আল্লাহ হাফেজ ।
---জ্বী নানু ।

বলেই নানু গাড়ির দিকে চলে গেলো ।
পাশের কিছু লোক এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলো যে আজ আমার খবর আছে ।
কিন্তু নানু থাকায় বেঁচে গেলাম । অবশ্য অন্য কোন পুলিশ অফিসার থাকলে সমস্যা হতো কারণ এভাবে রাস্তার ভেতর এরকম ভাবে গাড়ি চালানো ঠিক না ।
.
পুলিশ অফিসার চলে গেলেন । আমিও আমার গন্তব্যের দিকে রওনা হলাম ।

এখন আমি আমার ছোট করে পরিচয় দেই ।
আমি ,
মোঃ নাসির ইসলাম মাহিম
পেশায় আব্বুর অফিসে চাকরি করি ।
মা বাবা দুজনে আছে ।
.
আর এতখন এস আই পুলিশ অফিসার সাথে কথা বললাম তিনি আমার মামুনির আব্বা ।
মানে আমার নানু ( নানা ) ।
নানু আমাকে বলেছিল পুলিশের এস আই এর চাকরি করতে কিন্তু আমি বলেছিলাম না আমি পেটুক হবো না । তখন নানু ও ফ্যামিলির সবাই বলেছিলো পেটুক মানে । পেটুক মানে ঘুষের চাকরি করবো না কারণ পুলিশের চাকরি করলে ঘুষ খেতে হবে আর ঘুষের টাকা পেটে গেলে আমার পেটটা ইয়া বড় হয়ে যাবে ।
আমার কথাটা শুনে সবাই হেসে দিয়ে ছিলো ।
আমি মাথা নিচু করে ছিলাম । তারপর নানু বলেছিলো আমি কি ঘুষ খাইছি নানু ভাই । আমি তখন বলেছিলাম আমি কি সাথে ছিলাম নানু নতুন নতুন অবস্থাতে খেতে পারো তাই আমি আব্বুর অফিসে চাকরি করবো । তখন নানু বলেছিলো ঠিক আছে পড়াশোনা শেষ কর তোমার যেটা খুশি সেটা করো । আমি তখন বলেছিলাম ঠিক আছে নানু ।
.
আপনাদের কে অনেক কিছু বলেছি । অন্য সময় আরও কিছু বলবো ।
আপনাদের সাথে কথাটা বলতে বলতে নাইট ক্লাবে এসে গেছি ।
আমি গাড়িটা পার্ক করে রেখে দিলাম ।
তারপর ক্লাবে ঢুকে সায়েমকে ফোন দিলাম ।
একবার ফোন বেজে কেটে গেলো ।
আবার ফোন দিলাম । এই বার কিছুখন বাজার পর ফোনটা রিসিভ করলো ,
---কোথায় রে তুই ।(মাহিম)
---ডিং করছি ।(সায়েম)
---তোরে আমি এইটা বলছি নাকি ।
---বুঝছি তুই গ্রেটে দাড়িয়ে আছিস ।
---হু দাড়িয়ে আছি ।
---সামনে একটু এগিয়ে এসে ডান দিকে আসবি তার পর বাম দিকে তাকাবি দেখবি আমি বসে আছি ।
---আচ্ছা আমি আসছি ।
.
বলেই ফোনটা কেটে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম । সায়েমের নির্দেশনা মতো এগুতে লাগলাম ।
ডান দিক এগিয়ে বাম দিকে তাকিয়ে সায়েমকে দেখতে পারলাম । ডিং করছে ।
আমি সামনে দিকে যাচ্ছি তখনি একটা মেয়ে সাথে ধাক্কা লাগে ।
মেয়েটিকে সরি বলবো তখন মেয়েটিকে দেখে থ হয়ে তা0র দিকে তাকিয়ে আছি । এতো সুন্দর মেয়ে হতে পারে পরী ছাড়া ভাবতে পারি না ।
তখন মেয়েটি বললো ,
---সরি আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেই নি আপনার কোথাও লেগেছ

#ভাড়াটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ দ্বিতীয়  ( ২য় )



---সরি আমি ইচ্ছে করে ধাক্কা দেই নি আপনার কোথাও লেগেছে ।
.
মেয়েটার কথা শুনে কিছু বলতে পারছিনা।
কিহ্ মিষ্টি কন্ঠ পাগল করে দিচ্ছে আমায়।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি কিছুই মুখ থেকে বের হচ্ছে না।
কি অদ্ভুত ব্যাপার আমি বোবা হয়ে গেলাম।
তারপর মেয়েটা আবার বললো,
---আপনার কোথাও লেগেছে।
.
আবারও সেই মায়া ভরা কন্ঠ আমায় বোবা বানিয়ে ফেলছে। কি বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
তবুও বললাম,
---ইট'স্ ওকে ।  আমি ঠিক আছি আপনার কিছু হয়নি তো।
.
আমার কথাটা শুনে অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। কৌতুহল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
হয়তো এটা বোজার চেষ্টা করছে আমার মাথায় কোন সমস্যা আছে নাকি।
কারণ ধাক্কাটা মেয়েটি মেরেছে আর আমি উপ্রে পরে যাবার অপক্রম।
তারপর মেয়েটা মিষ্টি হাসি দেয়।
আহ্ কি সুন্দর হাসি মাতাল করে দিচ্ছে।
হাসিটা দেওয়ার কারণ আছে আমার মুখের যে অবস্থা যে কেউ হাসবে।
তারপর মেয়েটা বললো,
---আমার কিছু হয়নি।
.
বাহ্ খুব সুন্দর করে কথা গুলি বলছে।  শুনতে খুব ভালো লাগছে।
কিছুখন তার দিকে চেয়ে থাকলাম। তার চোখের ভাষা বোজার চেষ্টা করছি আমাকে নিয়ে কিছু ভাবছে নাকি।
কিন্তুু ব্যার্থ হলাম। কিছুই বুজতে পেলাম না।
কিছুখন এভাবে চেয়ে থাকা দেখে মেয়েটা লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকালো।
এর মধ্যে একটা মেয়ে এসে মেয়েটিকে বললো,
---কি হয়েছে দোস্ত।
---কিছুনা।
---তাহলে দাড়িয়ে কেন চল।
.
মেয়েটা আমার দিকে তাকালো।
তারপর মেয়েটিকে বললো,
---চল।
.
মেয়েটার চলে যাচ্ছে। আমি গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছি।
আমি কিছু বুজতে পারছি না। মেয়েটা ওমন করে আমার দিকে তাকালো কেনো।
আমার ভাবনা গুলি উরিয়ে দিয়ে মেয়েটা পিছনের দিকে তাকালো। তারপর আবার মিষ্টি হাসি দিয়ে আবার যেতে লাগলো।
বাহ্ কি দৃশ্য স্বপ্ন দেখছি নাতো ।
এর মধ্যে ভাবনা গুলির মধ্যে ছেদ পরলো একটা ছেলের ধাক্কায়।
মেজাজটা গরম হয়ে গেলো কিন্তুু কিছুই করার নেই।
তারপর ছেলটা বললো,
---স্যরি ভাইয়া।
.
কি বলবো কিছু বলার নাই,
---ইট'স্ ওকে।
.
তারপর তাকালাম দেখি নাই আর সেখানে। এদিক ওদিক তাকালাম কোথাও খুঁজে পেলাম না। আর নাইট ক্লাবে কাউকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভ একটা কাজ। তবুও অনেক খুঁজলাম কিন্তু পেলাম না।
তারপর সায়েম আমার দিকে এগিয়ে আসলো। সায়েম এসে বললো,
---কিরে কাকে খুঁজতেছিস।
---একটা মেয়েকে।
---মানে একটা মেয়ে মানে আর আমার জানা মতে তোর তো কোন মেয়ে ফেন্ড বা গার্লফেন্ড নেই।
---আরে সেরকম মেয়ে না।
---সেরকম মেয়ে না মানে।
---একজনের সাথে ধাক্কা লেগে যায়।
---তারপর।
---তারপর মেয়েটা স্যরি বললো।
---তাতো বলবে কারণ নিশ্চয় সে ধাক্কা মেরেছে আর তোর যে চেহারা তা তো তুই জানিস সেজন্য স্যরি বলেছে এতে খোঁজার কি আছে মেয়েটাকে ।
---আরে বোঝার চেষ্টা করবি না তুই।
---কি বোঝার চেষ্টা করবো।
---আরে গাধা যদি মেয়েটার দেখা পেতাম তাহলে আমার ভালো হতো।
---বুজেছি দোস্ত সেই মেয়েটার প্রেমে পর গেছিস তাই না আর এখন মেয়েটাকে খুঁজতেছিস তাই না।
---তুই কিন্তুু বেশি বলতেছিস।
---হু বলবো তো কারণ যে ছেলে কলেজ আর ভার্সিটি  লাইফ এ অনেক গুলি প্রেমের অফার পেয়ে রিজেক্ট দিছিস আর এখন নিজেই নাকি কোন মেয়েকে দেখে এখন খুঁজতেছে।
---দেখ বেশি বুজবি না। আর কথা না শুনে উল্টা পাল্টা কথা বলছিস।
---আচ্ছা বল কোন কারণে মেয়েটাকে খুঁজতেছিস।
---মামনির জন্য খুঁজতেছিস।
---মানে।
---মানে মামনি বলেছে আমার কোন পছন্দের মেয়ে আছে নাকি যদি থাকে তাহলে বল আমি তাকে আমার ছেলের পুত্রবধূ করে আনবো আর যদি না থাকে তাহলে তার ভার্সিটির ম্যাডামের একটা মেয়ে আছে তাকে নাকি পুত্রবধূ করে আনবে। তুই তো জানিস আমি এখন বিয়ে করবো না। আমার বিয়ের কথা শুনলে এ্যালার্জি চলে আসে। আবিরের বউ এর কথা শুনে বিয়ে করতে মন চায় না। উঠতে বসতে কথা শোনায় আবিরকে। কোথায় যাও, এখন কোথায় আছো তাড়াতাড়ি বাসায় এসো, আর কোন মেয়ের সাথে কথা বলবে না , তোমার শার্টের সাথে পারফিউম এর গন্ধ আসছে কেনো, তোমার শার্টের সাথে এতো বড় চুল কেন নিশ্চয় কোন মেয়ের সাথে ড্যেটিং এ গেছিলে ইত্যাদি ইত্যাদি এটা শোনার পর কেউ কি নিজে নিজে কপালে এতো দুঃখ টেনে আনতে চায় তুই বল।
.
আমার কথা শুনে সায়েম হাসতে লাগলো।
মেজাজটা গরম হতে লাগলো কিছু বলতে পারছি বন্ধু বলে নিজের মেজাজটা নিজেই নিজেই নিজের ভেতর রখে দিচ্ছি।
আমার মুখটা রাগে লাল হতে দেখে হাসি থামিয়ে বললো,
---তোর কথায় মেয়েটার সম্পর্ক কি।
---আমি বলেছি আমার পছন্দের মানুষ আছে এটা শুনে খুশি হয়ে বলতে লাগলো আচ্ছা তাহলে ভালো হলো আমাকে কষ্ট করে খুঁজতে হবে না তা মেয়েটা দেখতে কেমন কি করে কোথায় থাকে বাসার ঠিকানাটা বল আমি আমার পুত্রবধূকে দেখে আসি তখন আমি বললাম এতো তাড়াহুড়া করছো কেন তখন মামুনি বললো আরে আমার ছেলের বউকে আমি দেখে আসবো আর তার বাবার সাথে বিয়ের কথাটা পাকা করে আসবো তখন আমি বললাম মামুনি আমি তো মেয়েটির বাসা চিনি না শুধু তাকে চিনি তখন মামুনি বললো ঠিক আছে তাহলে কাল নিয়ে আসবি তখন আমি হ্যা বলে দিলাম মনে মনে ভাবলাম কাল একটা অজুহাত দিয়ে বাঁচা যাবে। ঠিক সেরকম একটা বুদ্ধি দিয়ে বেঁচে গেলাম কিন্তুু তিনি বললেন যে কাল নিয়ে এসো তখন আবার জামেলায় পরলাম কাল কি অজুহাত দিয়ে বাঁচবো তবুও মামুনিকে বললাম ঠিক আছে কাল নিয়ে আসবো। তারপর কোন কিছু উপায় পেলাম না। তারপর কোন মেয়েকে পেলাম না। তারপর কি আর করা মামুনিকে বললাম মেয়েটি আসবে না। তারপর তিনি বললেন আর কোন কোথা শুনবে না তিনি আমার সাথে যাবে মেয়েটিকে দেখতে তখন কি বলবো বুজতে পারলাম না।
কিছুখন পর মামুনিকে বললাম কিছু দিন সময় দিন তাকে বুজিয়ে আপনার কাছে নিয়ে আসবো।
কিন্তুু মামুনি বললেন যে ৩ দিন সময় দেওয়া হলো কিন্তুু গত ২ দিন পার হয়েছে কোন উপায় খুঁজে পেলাম না।
.
এক এক করে সব ঘটণা বলে ফেললাম একবারে।
আমার কথা শুনে সায়েম কৌতুহুলের মতো চেয়ে আছে,
তারপর সায়েম বললো,
---হু বুজলাম তা এই মেয়েকে দিয়ে কি দরকার।
---তুই এটা বুজতে পারছিস না।
---না কিছুই বুজতে পারছিনা।
---এই মেয়েকে নিয়ে যদি মামুনির সামনে নিয়ে বলি এই দেখ তোমার বউ মা।
---হু তা পৃথিবীতে কত মেয়ে থাকতে এই মেয়েকে কেন।
---আরে সব মেয়েকে তো গার্লফেন্ড বানাতে পারিনা।
---হু কিন্তুু তোর প্রাণ প্রিয় আব্বাজান সে কি বলে।
---সে কি আর মামুনির কথায় অব্যাধ হতে পারে।
---হাহাহাহাহা জানি। কিন্তু সেই মেয়েকে ছাড়া হয়না।
---দেখ বলেছি সব মেয়েকে তো আর গার্লফেন্ড বানানো যাবে না। আমার একটা ইয়ে আছে না আর মামুনি তো ছোট না যে যেকোন একটাকে নিয়ে গেলে বুজতে পারবেনা আমার সম্পর্কে সব জানেন কেমন মেয়ে পছন্দ তাই যদি এই সুন্দরীকে নিয়ে বলি তাহলে বিশ্বাস হবে।
---শুধু একটা যেকোন মেয়েকে নিয়ে বলবে কিন্তু হবে না তোর।  এখন কোথায় পাবি সুন্দরীকে।
---এখন খুঁজতে হবে।
---তুই খুঁজবিনা।
---আরে আমি কি চিনি তাকে যে খুঁজে বের করবো।
---আচ্ছা ঠিক আছে এখন আমাকে খুঁজতে হবে।
---আরে বাধ দে কাল একটা এনে দিবো।
.
আমি সায়েমের কথা শুনে আর কিছু বললাম।
তখন সায়েম বললো,
---চল ওখানে বসি।
---চল।
.
আমি আর সায়েম সামনের দিকে চলে এলাম।
.
ভাবছেন যে ড্রিংক  করছেনা কেনো।
আরে আপনাদের তো আসল কথা বলা হয়নি।
আসুন সামনে গিয়ে বলি,
আমি ড্রিংক  করতে পছন্দ করি না।
কিন্তুু সায়েম মাঝে মাঝে করে তাই ওর কিছু হয়না আর যদি মামুনি শোনে যে আমি নাইট ক্লাবে তাহলে বাসায় ঠায় হবে না রাস্তায় হবে।
.
এর মধ্যে কিছুখন এদিক খুঁজতেছিলাম যদি পেয়ে যায় তাহলে এই টুকু সাহায্য করতে বলবো আর পরের সব ঘটণা আমি সেরে ফেলবো।
কিন্তু কোথাও দেখা পেলাম না সুন্দরীর।
.
এখন বলি কেন আসছি এখানে তখন আবিরের কথা বলেছিলাম না সেই আবিরের কথা বলছি।
আমার এরকম অবস্থা দেখে বুজেছিল আমার কেন হয়েছে তখন বুজলাম বন্ধু কাকে বলে এর নাম বন্দু আর বন্ধুরা ছাড়া কেউ বুজতে পারবে না। থাক এসব কথা এখন বলি সে কথা গুলি।
আবির এরকম অবস্থা দেখে বললো তারপর সব বলে দিলাম।  আমার কথা শুনে আবির ও হাসলো তারপর বললো কাজ হয়ে যাবে মেয়েটা অনেক সুন্দর চাইলে বিয়ে করতে পারবি তখন বললাম আমার কাজটা হলে চলবে বিয়ের কথা বাধদে ।
সেই জন্য এখানে আসছি আর সায়েমকে বলেছিলাম ও এখানে আসতে আমার দেরি হওয়াতে সায়েম আগেই আসছে।
এখন বুজছেন এখানে কেন আসছি।
.
ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি আবিরের দেওয়া টাইম পার হয়ে গেছে কিন্তুু আবির এখনো আসছেনা কেনো।
আর কিছুখন অপেক্ষা করলাম।
সায়েম ফুর্তি করে যাচ্ছে ওর কোন খেয়াল হচ্ছে না আমি এখানে একা একা কি করছি ।
কিছুখন পর ফোনটা ভাইব্রেটের শব্দে কেপে উঠলো ফোনটা বের করে দেখি আবিরের কল করেছে। আমি একটু খুশি হলাম হয়তো আবির এসে গেছে।
ফোনটা রিসিভ করে বললাম,
---কোথায় দাড়িয়ে আছিস।
---বাসায় আছি ।
---মানে বাসায় কেন।
---কিছু মনে করিস না দোস্ত শোশুর বাড়ি থেকে মেহমান আসছে তাই যেতে পারলাম না কিছু মনে করবি না আন্টিকে বুজিয়ে বল কাল নিয়ে আসবো।
.
আবিরের কথা শুনে হাসি মুখটা কেমন যেনো হয়ে গেলো।
রাগ রে ফোন টা কেটে দিলাম।
তারপর আবার আবির ফোন দিলো কিন্তুু আমি ধরলাম না কেটে দিলাম।
তারপর কয়েক বারর ফোন দিলো ধরলাম না।
ফোনটা সুইচ অফ করে রাখলাম।
সালার সবাই সার্থ পর। সবাই সবাইকে নিজের দিকে লক্ষ রাখে  অন্য জনের উপকারে আসে না।
.
কিছু করার নেই সব বিদির কপালের লিখোন।
তাই আর কিছু করার নাই এখন যার জন্য এসেছিলাম সে আসবে না আর তার জন্য অপেক্ষা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
তাই সেই মেয়েকে খুঁজতে লাগলাম।
ঝমকালো লাইট আর ডি.জে গান ভালো লাগছে কিন্তুু মনের ভেতর একটা কথা বার বার মনে পড়ছে আজকে কিন্তুু শেষ দিন কোসন অজুহাত চলবেনা।
মামুনি হয়তো বুজে ফেলেছে আমার কোন পছন্দের মেয়ে নেই আর কেউ বা বুজতে পারবেনা যদি থাকতো তাহলে ঠিক প্রথম দিন যেতাম কিন্তুু ৩ দিন এর এক দিন ও নিয়ে যেতে পারলাম না। সেটা বুজতে পেরে আরও বেশি করে চাপ দিচ্ছে। কি আর করা এখন আমাকে বিয়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে সুন্দরী মেয়ে খুঁজে বের করা।
তাই খুঁজতে লাগলাম।
অনেক খোঁজার পর বিরুক্তি হয়ে খোঁজা বন্ধ করে দিলাম।
মনে মনে ভাবলাম আর খুঁজবোনা যা কপালে আছে তাই হবে হয় বিয়ে না হয় আবার চান্চ পাবো যেকোন একটা হবে কপালে।

সব কিছু চিন্তা বাদ দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১২ঃ৪০ বেজে গেছে।
তখন বুজতে পারলাম অনেক ধেরি হয়ে গেছে এখন বাসায় যেতে হবে।
সায়েমের কাছে যাবো তখন পাশে থেকে কয়েকটা মেয়ের হাসির শব্দ পেলাম। তখন তাদের দিকে তাকাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম।
বাহ্ কি সুন্দর হাসি আমাকে মাতাল করে দিচ্ছে।
সে এখানে আর আমি সব যায়গায় দিয়ে খুঁজে হয়রান।
তাকে দেখে মুখে হাসি ফুঁটে উঠলো  যাক বাবা বাঁচা গেলাম মেয়েটাকে অবশেষে পাওয়া গেলো।
আমি মেয়েটার কাছে যাবো তখন মনে হলো।
আমি সত্যি পাগল হলাম নাকি চিনি জানি না আমি বললে সে রাজি হবে আর তার বয়ফেন্ড থাকতো পারে।
আর সে তো সুন্দরী নিশ্চয় বয়ফেন্ড আছে।
সাত পাঁচ চৌদ্দ বুজ বেবে মেয়েগুলির কাছে গেলাম না।
এর মধ্যে একটা মেয়ে ড্রিংক নিয়ে আসলো।
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সবাই হাতে নিলো ড্রিংক কিন্তুু সে নিলো না।
সবাই মেয়েটাকে বললো কিরে খা সমস্যা নাই আমরা খাচ্ছি তুইও খা আর এটা খেলে কিচ্ছু হবে না।
মেয়েটা সবার কথায় ড্রিংক এর গ্লাসটা হাতে নিয়ে গন্ধ পেয়ে আবার টেবিলে রেখে দিলো এটা দেখে সবাই এক সাথে হেসে উঠলো। সবার হাসি দেখে মেয়েটা লজ্জা পেলো।
তারপর এক বান্ধুবী বললো খা সমস্যা নাই আমরা আছি কিছু হলে আমরা দেখবো।
মেয়েটা এদিক ওদিক তাকিয়ে গ্লাসটা হাতে নিয়ে এক চুমুকে খেয়ে নিলো।
একটু পর এদিক তাকালো কাউকে খুঁজছে মনে হয় কিন্তু তাকে পাচ্ছে না। মুখটা কালো করে বসে রইলো।
তখন আমার বুজজতে বাকি রইলো না ওর পাশে যে মেয়ে গুলি আছে হয়তো টেনে কিন্তুু বান্ধুবী না।
তারপর আবার কাউকে খুঁজছে এদিক ওদিক তাকিয়ে কিন্তুু একটি বার সামনের দিকে তাকাচ্ছে না।
আর তাকিয়ে আমাকে দেখতে পাবে না কারণ আমার সামনে একটা ছেলে দাড়িয়ে ড্যান্স করছে।
আবারও মেয়েটা এদিক ওদিক তাকিয়ে কাকে যেন খুঁজতেঠে কিন্তু না পেয়ে মুখটা ছোট করে রেখেছে।
আমার মনে হচ্ছে মেয়েটার কাছে গেলে মেয়েটার ভালো হবে।
তাই মেয়েটার দিকে গেলাম। এর মধ্যে আর একটা ড্রিংক এর গ্লাস এনে দিচ্ছে । কিছু না বলে হাতে নিলো তারপর সবার কথায় আবার খেয়ে ফেললো।
আমি সেখানে যাওয়াতে মেয়েটি খুশি হলো আর কি যেন বলতে গিয়ে থেমে গেলো তখন পাশের মেয়েটি বলে উঠলো,
---কি হয় ছেলেটা।
.
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
---বয়ফেন্ড হয় আমার।
.
মেয়েটার কথা শুনে টাসকি খেলাম কি বলে মেয়েটা মাথা কি ঠিক আছে নাকি ড্রিংক করাতে মাথার তার ছিঁড়ে গেছে।
তখন আর একটা মেয়ে বললো,
---কিন্তু তুই তো বলেছি তোর কোন বয়ফেন্ড নেই।
---আরে তোদেরকে স্যারপ্রাইজ দিবো বলে বলি নি কখনো তাই আজকে তোদের স্যারপ্রাইজ দিলাম।
---অনেক হ্যান্ডস্যাম রে বয়ফেন্ড তোর চেয়ে বেশি সুন্দর।
---হু এই জন্য তোদেরকে বলিনি কখনো যদি আমার ব্যাপারে কিছু বলিস তাই।
---তাই তলে তলে এতো দূর হু।
---আসলে ভাইয়া ও মানে আমাদের বন্ধু তাই সবাই মিলে মজা করে ড্রিংক করছি তাই যদি কিছু মনে না করেন আর ও ইচ্ছে করে ড্রিংক করতে চাইনি আমরা জোর করে করিয়েছি তাই ওকে কিছু বলবেন না।
.
মেয়েটার কথা শুনে আমি কি বলো বুজতে পারছিনা  আর এসব কি হচ্ছে ওরা সবাই আমাকে নিয়ে মজা নিচ্ছে না তো।
মেয়েটার কথা শুনে বাস্তবে ফিরলাম,
---ভাইয়া কিহলো বলেন।
---ও হ্যা আসলে আপনারা....
.
আমাকে কথা না বলতে দিয়ে মেয়েটা বললো,
---আরে কিছু বলবেনা আর আমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে।
---আর দেখে বুজতে পেরেছি তোরা কথা বল আমরা আসছি।
.
আর একটা মেয়ে বললো,
---ভাইয়া আমাদের বাসায় আসবেন কিন্তু।
.
আমি কি বলবো বুজে উঠে পারছিনা তবুও বললাম,
---ঠিক আছে যাবো।
---আচ্ছা ভালো থাকবেন ভাইয়া বাই।
---বাই।
.
আমি কি স্বপ্ন দেখতেছি নাকি ব্যস্তবে ঘটছে । যা মনে মনে বলেছিলাম তাই হচ্ছে এটা কি সত্যি হচ্ছে নাকি মজা নিচ্ছে। না এটা মজা বলে মনে হচ্ছে না।
তখন মেয়েটার চোখের দিকে তাকালাম মেয়েটা আমার দিকে তাকালো, 
দুজনে দুজনার দিকে তাকিয়ে আছি।
কোন কথা বলছি কেউ।
আমি তার চোখ দেখে বুজতে পারলাম ড্রিংক করাতে চোখ দুটি ঘুম তাড়া করছে।
ঘুম আসার আগে তাকে আমার কথা গুলি বলে ফেলি যখন বলতে যাবো তখন মেয়েটা বললো,
---এখানে বসুন।
.
মেয়েটার কথা শুনে আমি তো অবাক।
কি বলে তার পাশে বসতে বলছে।
আমি তখন বললাম,
---না মানে ঠিক আছে আমি এখানে বসে থাকি আপনার পাশে বসতে হবেনা।
.
আমার কথাটা শুনে আবার আমার চোখের দিকে তাকালো, তাররপর আবার মিষ্টি হাসি দিলো।
তখন আবার বললো,
---সমস্যা নেই বসেন।
.
আমি উঠে মেয়েটার কাছে বসতে যাবো তখন সায়েম ডাক দিলো। মেজাজটা গরম হয়ে গেলো যখনি রোমান্টিক এ চলে আসি তখন কেউ তার ব্যগ্রাত ঘটায়।
কি আর করা বন্ধু বলে কথা।
---আচ্ছা ২ মিনিট বসুন আমি আসছি।
.
আমার কথাটা শুনে মুখটা ফেঁকাসে হয়ে গেলো তারপর মেয়েটা মাথা দিয়ে বললো আচ্ছা যানন।
.
চলে গেলাম সায়েমের কাছে।
বললাম
---ডাকলি কেন।
---তোর আম্মা ফোন করেছে।
---মামুনি ফোন করেছে এতো রাতে তাও আবার তোর ফোনে আমার ফোনে তো কল দিতে পারতো।
---তোর ফোনে দিয়ে সুইচ অফ বলছে তাই আমার কাছে কল দিয়ে বললো তোমার সাথে মাহিম আছে নাকি আমি বললাম জ্বী আন্টি আছে ওর গার্লফেন্ডের সাথে পার্টিতে এসেছে সাথে আমাকে নিয়ে এসেছে আর মাহিমের ফোনে চার্জ শেষ তাই ফোনটা অফ হয়েছে  ।
---কি বলছিস এসব গার্লফেন্ড পার্টি ফোনে চার্জ শেষ  মাথা ঠিক আছে।
---মাথা আমার ঠিক আছে তোর ঠিক নাই।
---মানে।
---যদি বলি নাইট ক্লাবে আছি আর তোর গার্লফেন্ড খুঁজতেছি তাহলে কি হতো।
---হু তাই তো ঠিক বলেছিস এবার একটা কাজের কাজ করলি কিন্তুু।
---কিন্তুু কি।
---গার্লফেন্ড পাবো কই।
---ওই মেয়েকে আমরা দুজন বুজিয়ে রাজি করাবো শুধু তোর সাথে একবার তোর বাসায় তোর আম্মার সাথে অভিনয় করবে তারপর আমি যে বুদ্ধি শিখিয়ে দেবোবো তখন সেই ভাবে করবি বাস কাজ শেষ। আর তোর আম্মা ফোন দিতে বলেছে কথা বলা শেষ হলে।
---রাইট। আমি এখনি ফোন দিচ্ছি।
.
ফোনটা বের করে দেখি ঠিক ফোন অফ।
ফোনটা অন করে কল দিবো তখন সায়েম বললো,
---আমাকে মিথ্যে বাদি বানাবি নাকি।
---ও মনে নাই দে ফোন দে।
.
আমার ফোনটা আবার অফ করে সায়েমের ফোনটা নিয়ে কল দিলাম।
.
কিছুখন কথা বলার পর ফোন রেখে দিলাম।
তারপর সায়েমকে বললাম,
---মামুনি তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বললো।  চল মেয়েটার কাছে গিয়ে সব কিছু বুজিয়ে বলে রাজি করি।
---চল।
.
দুজনে চলে এলাম মেয়েটার কাছে।
এসে দেখি মেয়েটা ছোঁফায় ঘুমিয়ে পরেছে। সব শেষ এখন কি করি। সায়েমের দিককে তাকালাম সায়েম বললো,
---মুখের উপর পানি ছিঁটিয়ে দিয়ে ঘুম ভাঙ্গা।
---না থাক এটা  দরকার নেই।
---তাহলে কি হবে এখন।
---জানি না।
---কি করবি এখন।
---যা কপালে আছে তাই হবে।
---আচ্ছা চল বাসায় যায়।।
---তুই কি পাগল হইলি নাকি এরকম একটা সুন্দরী মেয়েকে রেখে গেলে কি অবস্থা হবে বুজতে পারছিস।
---তাই তো মেয়েটাকে একা ফেলে রেখে গেলে কি হবে বুজতে পারছি।
---কিছুখন অপেক্ষা করি যদি মেয়েটার বান্ধুবী বা কেউ আসে তাহলে তাদেকে বলে দিবো তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়।
---আচ্ছা ঠিক আছে।
.
আমি আর সায়েম মেয়েটার পাশে বসে রইলাম।।
.
অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেলো কিন্তুু কেউ এলো না।
ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি ০১ঃ২৫ মিনিট।
তখন সায়েম বললো,
---আর কতখন অপেক্ষা করবি এর চাইতে মেয়েটাকে তোর বাসায় নিয়ে যা। আর যদি আন্টি জিঙ্গেস করে বলবি অনেক ট্যায়ার্ড লাগছে সেজন্য ঘুমিয়ে গেছে। আর  যা হবার তা তো হয়ে গেছে।
.
আমি সায়েমের কথা গুলি কিছুখন ভেবে বললাম,
---আচ্ছা ঠিক আছে চল।

তারপর সেখান থেকে বের হয়ে সোজা বাসার গিকে রওনা দিলাম।
তারপর সায়েমকে সায়েমের বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আবার বাসার দিকে চলতে লাগলাম।
.
মাথার ভেতর  একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে কাল মেয়েটাকে মামুনি কি জিঙ্গেস করে আর মেয়েটা কি উত্তর দেয়।
এসব ভাবতে ভাবতে চলে এলাম বাসায়।
তারপর গাড়িটা পার্ক করে রেখে মেয়েটাকে কোলে করে নিয়ে বাসায় ঢুকলাম।
এই প্রথম কোন মেয়েকে কোলে নিলাম।
দেখি মামুনি হুইয়েল চেয়ারে বসে আছে।
দেখে বুজতে পেলাম খুব টেনশনে আছে।
তারপর মামুনি বললো তোর রুমে নিয়ে যা।
আমি মেয়েটাকে নিয়ে আমার রুমে নিয়ে খাটে শুয়ে দিলাম তখন মামুনি বললো,
---ফোনে বলতে পারতিস যে আজকে যেতে পারবোনা ও ঘুমিয়ে পরেছে সকালে যাবো । আমি কি কিছু বলতাম ।
.
মামুনির কথায় নিজেকে কেমন জানি ঘৃণ্যা করতে ইচ্ছে করছে এরকম একটা মেয়েকে রাতে আমার বাসায় নিয়ে আসা ঠিক হয় নাই। কাল মামুনি যখন জানতে পারবে মেয়েটা আমার  কিছু হয়না তখন মামুনি আমাকে আর  মেয়েটাকে কি বলবে। আর লোকে সমাজে কি বলবে আমাকে আর মেয়েটাকে।
ভাবণা গুলি মামুনির কথায় ছেদ পরছে,
---কি রে মামুনিকে দেখে খুব ভয় পাস।
---না মানে আপনি যেটাটা ভাবতেছেন সে.....
.
কথাটা বলতে না দিয়ে মামুনি বললো,
---আর বলতে হবে না অনেক রাত হয়েছে যা পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে পর আমি এদিক দেখতেছি  ।
---না মানে আমি সব কিছু করছি আপনি শুয়ে পরেন।
---বেয়াদব কয় কি বিয়ে না করে,
      যাও এখান থেকে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পর আমি সব করছি ।

.
মামুনির অর্ধক কথা বুজতে পারলাম না। তখন আবার বললাম,
---আপনি ঘুমাবেন না।
---সেটা আপনার চিন্তা করা লাবেনা যাও ঘুমাও গিয়ে।
.
আমি আর কিছু বললাম না।
পাশের রুমে এসে শুয়ে পরলাম।
.
শুয়ে শুয়ে ভাবতেছি কাল সকালে মামুনি মেয়েটার কথা শুনে কি হয় কে যানে।
আল্লাহ একটা কিছু কর।
আল্লাহুর হুকুম কখনো পালন করিনি তিনি আজকে কি  আমার ডাক শুনবে নাকি শুনবে না।
আল্লাহুকে মনে মনে কয়েক বার বললাম কালকে এমন কিছু করো না যাতে মামুনি কষ্ট পায়।
তারপর চোখ দুটি বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরলাম ।



চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম

#ভারাটে_গার্লফেন্ড

পর্বঃ তৃতীয়  ( ৩য় )



সকাল সকাল ঘুমটা ভেঙ্গে গেল মামুনির ডাকাডাকি ছাড়া ।
বাহিরে পাখিরা ডাকাডাকি করছে আরও কিছু পাখি  ঝিকিমিকি করছে ।
জানালা বেধ করে সূর্যি মামা আমার ঘরে উুঁকি মেরেছে । আর সূর্যি মামার কিছু আলো এসে আমার গালে কপালে ও সারা রুমে ছড়িয়ে পরেছে ।
বিছানা থেকে উঠে জানালার কাছে চলে এলাম ।
বাহিরের প্রকৃতি দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে আমার সকালের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে । আর তাই জানালা হাত দিয়ে গ্লাসটা সরিয়ে বাহিরের সকালের দৃশ্য দেখতে লাগলাম । কিহ্ অপূর্ব সব দৃশ্য সব কিছু সুন্দর লাগছে পাখিরা ডালে বসে আছে , কিছু পাখি খেলা করছে, লাল টুকটুকে গোলাপ ফুঁটে আছে , কিছু সূর্যমুখী ফুল ইয়া ববড় হয়ে সূর্যের দিকে চেয়ে আছে নানা রকম ফুল ফুঁটে আছে বাগানে  ।
আরে ভাবছেন এগুলি তো বাগানে বা নার্সারিতে দেখতে পাওয়া যায় । হ্যা বাগানে দেখতে পাওয়া যায় আর সেই রকম ভাবে আব্বু ছোট খাটো একটা বাগান বানিয়ে রেখেছে আমাদের বাসায় খালি জায়গায় বিশেষ ককরে আমার আর আব্বুর ঘরের জানালার পাশে বাগানটা তৈরি করেছে শুধু আমার আর আব্বুর রুমের জানালার পাশে বললে ভুল হবে আমি আজ যে রুমে আছি সেই রুম থেকে দেখা যায় । শুধু এই তিন রুম বললে ভুল হবে বরং যা আমাদের সব রুম থেকে দেখা যায় তাই আমি যে রুমে শুয়ে আছি সে রুম থেকে দেখতে পারছি । আব্বু এমন ভাবে বাগানটা তৈরি করেছে যেকেউ মনটা খারাপ করে এসে যদি জানালার পাশে এসে দাড়ায় তাহলে নিমিষে মনটা ভালো হয়ে যাবে  আর অনেক রকম গাছ এনে আব্বু বাগানটি বিভিন্ন রকম ফুলের গাছ কিছু ফলের গাছ অনেক গুলি গাছ এনে বাগানটি সাজিয়ে রেখেছে । শুনেছিলাম আব্বু নাকি এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে খুব পছন্দ করেন শুধু শুনে বিশ্বাস হয়নি এগুলি দেখে আর বিশ্বাস না করে থাকতে পারলাম না। 
যেন কারও মন খারাপ থাকলে যদি কেউ একাবার বাগানের কাছে দাড়িয়ে থেকে প্রকৃতি দৃশ্য দেখে তাহলে যে কারও নিমিষে মনটা এমনি ভালো হয়ে যাবে  বা সকাল সকাল প্রকৃতি দৃশ্য দেখে মনটা ভালো হয়ে যায় ।  .
হঠাৎ কালকের কথা মনে পরে যায় । মুখে হাসি মুখটা কালোতে পরিনত হয়ে যায়। কি হবে আল্লাহ ভালো জানে।
জনালার কাছ থেকে এসে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে ।
রুম থেকে বের হয়ে আমার রুমের দিকে যাচ্ছি ।
দরজা দিয়ে ঢুকতে ধাক্কা লেগে যায় । ওহ্ আমি তো ভুলে গেছি আমার রুমে কেউ আছে ।
মাথাটা তুলে স্যরি বলার জন্য যখন মেয়েটার দিকে তাকালাম তাকিয়ে পলকহীন হয়ে তাকিয়ে থাকলাম । চোখের দৃষ্টি সরাতে পারছিনা । এতো সুন্দর করে আল্লাহ তা'আলা বানিয়েছে সত্যি খুব সুন্দর । আমাকেউ আল্লাহ তা'আলা কোম সুন্দর করে বানায় নি তা নাহলে স্কুল , কলেজ ও ভার্সিটি লাইফে এতো মেয়ের প্রোপোজ পেতাম ।
আমি মেয়েটির পা থেকে মাথা অবধি দেখে নিলাম । বাহ্ নীল শাড়ী পরেছে সাথে ঠোঁটে হালকা গোলাপি লিপিষ্টিক নিয়েছে সাথে মেকআপ করেছে কিছু চুল সামনে দিয়ে দিছে শুধু পা টা দেখতে পেলাম না কারণ শাড়িটার জন্য দেখতে পাচ্ছি না সব মিলে একটা অপ্সরী মতো লাগছে ।
এখন বুঝতে পারলাম মামনি রাতে অর্ধেক কথা ।
আমার এরকম চেয়ে থাকা দেখে মেয়েটি বললো,
---কি দেখছেন এমন করে ।
.
মেয়েটির এরকম কথা শুনে আমি কিছু না ভেবে বলে দিলাম ,
---আপনাকে দেখছি যে আল্লাহ তা আলা কত সুন্দর করে আপনাকে বানিয়েছে ।
.
আমার কথাটা শুনে লজ্জায় লাল বর্ণ হয়ে গেছে ।
কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলো কারণ তখন মামনি এসে হাজির ।
মামনি এসে সেও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । মামনি পা থেকে মাথা অবধি দেখে একটা মন জুরানো হাসি দিয়ে বললো,
---বাহ্ এখন রাতের চেয়ে অনেক ভালো দেখাচ্ছে ।
.
মামনি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে কিছু একটা লক্ষ করছিল তারপর মামনি বললো,
---মা কানের দুল তো নাওনি কানে ।
.
মামনির কথা শুনে কানে হাত দিয়ে দেখে নিলো আসলে তো ঠিক কানের দুল নেয়নি ।
আমিও এটা লক্ষ করিনি । আর দেখতে পারবো কেমনে চুল দিয়ে ডেকে ছিলো ।
আর মামনি কেমনে দেখল ।
কথায় আছে না গুরুজনের চোখ দুই এর অধিক হয় কারও চারটি না হয় কারও ছয়টি ।
মেয়েটির কথায় ঘোর কাটলো ,
---না মানে আন্টি মনে ছিলোনা ।
---হু তা এখন চলো কানে নিবে ।
.
মামনি মেয়েটিকে রুমে নিয়ে গেলো ।
আমিও মামনির পিছু পিছু চলে গেলাম ।
.
আমি এখন রেডি হচ্ছি অফিসে যাওয়ার জন্য ।
রেডি হয়ে মামনিদের দিকে তাকিয়ে আছি ।
এর মধ্যে মামনি আরও কিছু গহনা পরিয়ে দিল ।
ট্রাই টা বাধবো তখন মামনি বললো ,
---কোথায় যাবি ।
.
আমি পিছু ঘুরে মামনিকে মুচকি হেসে বললাম ,
---কেন মামনি আপনি জানেন না প্রতিদিন কোথায় যাই আমি অফিসে ।
.
আমার কথাটা শুনে মামনি আর মেয়েটি হেসে উঠলো আর বললো ,
---কতো বাজে একবার দেখেছিস ।
---কেন আর কেনই বা দেখবো আমি তো কখনো ঘুম থেকে দেরিতে উঠি না যে দেখতে হবে । ( একটু ভাব নিয়ে )
---হু জানি তো  সেটা দেখা যাচ্ছে এখন দেখ কতো বাজে ।
.
কথাটা শুনে ঘড়ির দিকে তাকালাম তাকিয়ে অবাক হলাম ১০:৫০ ।
মামনি মুড টা নষ্ট করে দিলো । নিজের ছেলে বলে কথা তাই বলে এরকম করে মুডটা নষ্ট করে দিলো ।
.
আজকেউ দেরি হয়ে গেলো । নিজের অফিসে তাই প্রতিদিন দেরি করে গেলে কিছু বলেনা তাই প্রতিদিন দেরি হবে । যদি অন্যের অফিসে চাকরি করতাম তাহলে প্রতিদিন বকা খেতে হতো না হয় চকরি থেকে বরখাস্ত হতাম ।
.
ঘড়ির টাইম দেখে দৌড় দেবার উপক্রম তখন মামনি বলে উঠলো ,
---অফিসে যেতে হবে না ।
---মানে ।
---মানে আজ অফিসে যেতে হবেনা তোর আব্বু বলেছে ।
---ও থ্যাংকু মামনি তাহলে আজ সারাদিন ঘুমিয়ে থাকতে পারবো ।
---তা আর হবে না ।
---কেন মামনি আর আজ তো অফিসে যেতে না করেছে ।
---হু কিন্তু কেন করেছে তা শুনতে হবে না ।
---হু জানি কেন করেছে ।
---কি জানিস ।
---আজ আমি সারাদিন ঘুমাবো কারন কাল অনেক রাতে এসেছি সেটা হয় তো আপনি বলেছেন সেজন্য অফিসে যেতে না করেছে ।
---সেজন্য না ।
---তা হলে কি জন্যে ।
---সেটা এখন বলবো না । এখন চল খেতে যাই ।
---হু মামনি চলেন খেতে যাই অনেক ক্ষুধা লেগেছে ।
---হু চল । মা তুমি আসো ।
.
আমি খাবার খাচ্ছি আর মেয়েটির দিকে আর চোখে তাকিয়ে আছি ।
সে খাওয়া বাদ দিয়ে কি যেন ভাবছে ।
কিভাবে মেয়েটি,  আর তাকে এভাবে নিয়ে আশা ঠিক হয় নাই কারণ মামনি মনে করেছে এটাই আমার গার্লফেন্ড কিন্তুু এটাতো না । এটা আমি মামনিকে কেমন করে বলি । না আমাকে বলতে হবে । না হলে মামনি পরে জানতে পারলে মেয়েটির কাছে ছোট হবে আর কষ্ট পাবে । সব কিছু ভেবে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম বলে দেওয়া ভালো ।
---মা.....
.
কথাটা বলার আগেই মামনি মেয়েটিকে বললো ,
---কি রে মা কি ভাবছিস খাবার সামনে নিয়ে কিছু ভাবতে নেই তাড়াতাড়ি খেয়ে নি ।
.
মামনির কথাটা শুনে মেয়েটি চুমকে উঠলো আর বললো,
---না মানে ।
---না মানে কি কোন সমস্যা ।
---না আন্টি তেমন সমস্যা না ।
---তাহলে খাবার সামনে নিয়ে কিছু ভাবতে নেই । আর যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে বল সেটা আমরা চেষ্টা করবো ।
---কোন সমস্যা না আন্টি বাবাকে শুধু মনে পরছে ।
---কেন মা বাবাকে বুজি বলে আসোনি ।
.
কথাটা শুনে মেয়েটি আমার দিকে তাকালো । আমি বুজতে পারছি কেন তাকালো । আমি কি বলবো এখন মেয়েটিকে ।
আমার এরকম মুখ দেখে মেয়েটি বললো ,
---হ্যা আন্টি বলেছি তবুও কেমন জানি বাবাকে খুব মনে পরছে ।
.
মেয়েটির কথা শুনে দৈর্ঘ্য শ্বাস ছাড়লাম ।
যাক বাবা বাঁচা গেলো । বুদ্ধি আছে বটে ।
---তা ফোন করো এখন ।
---না মানে ফোন করেছিলাম মাহিমের ফোনটা দিয়ে কিন্তুু ফোনে পাচ্ছিলাম না। কয়েকবার ফোন দিয়ে ছিলাম কিন্তুু রেন্সপন্স পাইনি তাই আর দেই নি  ।
.
কথাটা শুনে পকেটে হাত দিয়ে দেখি ফোন নেই । রাতে বিছানার উপরে রেখে এসেছিলাম ।
মামনি বললো,
---এখন কথা বল মা তাহলে মনটা ভালো হয়ে যাবে ।
---হু । ( মাথাটা নারিয়ে )
---মাহিম তোর টা দেতো ।
---মামনি  ফোনটা...
---ডেসিং টেবিলে রাখা আছে ফোনটা ।
---নিয়ে আয়তো বাবা ।
---জ্বী যাচ্ছি মামনি ।
.
ফোনটা নিয়ে এসে মেয়েটিকে বললাম,
---এই নাও  ফোন ।
.
ফোনটা নিয়ে কল দিলো ।
কিছুখন কথা বললো মেয়েটি তারপর আবার ফোনটা দিয়ে দিলো ।
আমি ফোনটা নিলাম।।
---আচ্ছা এখন খাও মা ।
---জ্বী আন্টি ।
---আচ্ছা মাহিম তোর আব্বু বলেছিলো আজ শপিং এ যেতে ।
---মানে শপিং কেন মামনি ।
---মানে শুক্রবারে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী তাই বলেছিলো আজ অফিসে না গিয়ে শপিং করে নিয়ে আসতে আর আমি কি কিনবো চয়েস করতে পারছি না তাই তোর আব্বু বললো মেয়েটিকে নিয়ে যাও সে পছন্দ করে দিবে ।
---ওহ্ মামনি আমার একটু খেয়াল নেই স্যরি স্যরি স্যরি ।
---হয়েছে এখন আর স্যরি বলতে হবে না । মা তুই যাবি না ।
.
মেয়েটি মামনির কথাটা শুনে আমার দিকে তাকালো । মেয়েটি কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তুু বলতে পাচ্ছে না ।
---না মানে আন্টি ।
---না মানে কি বল ।
.
আবার মেয়েটি আমার দিকে তাকালো । মেয়েটির তাকানোটা বুজতে পেরে না বোঝার চেষ্টা করছি ।
না পারছি মামনিকে বলতে । না পারছি মেয়েটিকে বোঝাতে । মাথাটা নামিয়ে খেতে লাগলাম ।
---কি হলো বল । আচ্ছা যেতে হবে না । মাহিম ওকে নিয়ে বসায় রেখে আয় খাওয়া শেষ হলে । ( রেগে বললো )
.
বলেই মামনি উঠে যাবে তখন মেয়েটি বললো ।
---আচ্ছা আন্টি আমি যাবো ।
.
আমি তাকালাম মেয়েটির দিকে ।
মেয়েটি আমার দিকে তাকালো ।
---সত্যি বলছিস তো নাকি আমাকে খুশি করার জন্য বলছিস ।
---সত্যি বলছি ।
---ওহ্ তোর নামটা তো জানা হয়নি মা । কি নাম তোর মা ।
---মাহি ।
.
নামটা শুনে তাকালাম বাহ্ খুব সুন্দর নাম । নামের সাথে পুরোপুরি মিল আছে তার সুন্দর্য সাথে ।
---পুরো নাম কি মা ।
---মাহিয়া ইসলাম মাহি ।
---কিসে পড় মা ।
---মেডিকেলে ।
---কোন কলেজে মা ।
---ঢাকা মেডিকেল কলেজ ।
---ওহ্ ডা. রফিকুল ইসলামকে চেনো ।
---জ্বী আন্টি ।
---তাহলে তো ভালো হলো ।
---কেন আন্টি ।
---আরে সে আমার বড় ভাই ।
---ও স্যার আমাকে খুব ভালোবাসে ।
---আচ্ছা খেয়ে নি রাতে কথা হবে ।
---না মানে আন্টি ।
---কোন না মানে চলবে না ।
---জ্বী আন্টি ।
.
রুমে বসে আছি মেয়েটি ( আর মেয়েটি বলা যাবে না কারণ নামটা জেনে গেছি )  মাহির  সাথে কিছু কথা বলবো ।
কিন্তু মামনি তাকে নিয়ে রুমে গেছে আজকে কোনন শাড়ি পরবে সেটা নাকি তাকে চয়েস করে দিবে  ।
মনের ভেতর কেমন জানি করছে ।
কিছুখন পর মেয়েটি আসলো রুমে ।
আমি দাড়িয়ে গেলাম ।
আমি কিছু বলতে গিয়ে কিছু বলতে পারছিনা ।
দুজনে নিরব আছি  কেউ কিছু বলছিনা ।
কিছুখন ভাবলাম কথাটা বলে দেই ।
আচ্ছা কথাটা বলে দেই ।
---আচ্ছা একটা কথা বলতে পারি আপনাকে ।
.
কথাটা শুনে তাকালো । কেমন মেয়েরে বাবা ফাষ্ট কিছু বলে না । আগে কথাটা ভাবে আমি কি বলছি ।
আবার বললাম  ,
---কি হলো কথা বলছেন না কেনো ।
---আচ্ছা বলেন ।
---কথাটা কেমন করে বলি বুজতে পারছিনা ।
.
কাথাটা শুনে আর করুন দৃষ্টিতে তাকালো । সে ভাবছে আমি কথাটা বলতে চাইছি  ।
অবশ্য কথাটা বলেছি প্রপোজ করার মতো ।
তারপর মাহি বললো ,
---আচ্ছা বলেন সমস্যা নাই যেমন করে বলতে চান সেরকম করে বলেন ।
---আমি আপনাকে......
.
কথাটা বলার আগেই মামনি চলে এলো ।
---কি রে মা চল । মাহিম চল তাড়াতাড়ি আবার বাসায় আসতে হবে ।
---আচ্ছা চলেন ।
.
আমি এখন গাড়ি চালাচ্ছি ।
পিছনে মামনি আর মাহি বসে কথা বলছে । মাঝে মাঝে গ্লাসের দিকে তাকাচ্ছি মাহি আমার।   দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছে ।
.
প্রায় আধঘন্টা পর বসুন্ধারা সিটি শপিং মলে পৌঁছে গেলাম ।
.
শপিং মলে ঘুরে ঘুরে কিছু শাড়ি দেখছে আমিও তাদের সাথে শাড়ি দেখতেছে ।
কিছুখন ঘুরে একটা শাড়ি চয়েস করল ।
মামনির আর মাহি ভালো করে দেখছে । শাড়িটা কেমন লাগবে পরবে  ।
তারপর বললো মাহি বললো ,
---আন্টি এই শাড়িটা কেমন ।
মাহির কথাটা শুনে তাকালাম দেখি একটা নীল শাড়ি ।
---খুব সুন্দর রে মা ।
---তাহলে এটা নিন ।
---আচ্ছা ২টা নীল শাড়ি  নি  ।
---২টা কেনো আন্টি ।
---একটা তোর জন্য ।
---লাগবেনা আন্টি আমার অনেক শাড়ি আছে তো ।
---বেশী বুজিস না যেটা বললাম সেটা কর ।
---জ্বী আন্টি  ।
---আচ্ছা তোর আঙ্কেল এর জন্য শার্ট পছন্দ কর ।
---তা হলে ওই দিকে যেতে হবে ।
---আচ্ছা চল ওই দিকে যাই ।
.
আমিও তাদের পিঁছু পিঁছু চলে গেলাম।।
মেয়েটি কয়েকটা শার্ট আমাকে দেখালো পছন্দ হলো না ।
পরে মামনি মাহিকে বললো তোর ইচ্ছে মতো পছন্দ করে দে ।
অতঃপর
অনেক গুলি শার্ট দেখলো কিন্তুু তার মনে ধরছেনা ।
একটা নীল শার্ট দেখে মামনিকে বললো ,
---এটা কেমন আন্টি ।
---তোর যেটা ভালো মনে হয় সেটা ২ টা করে রিয়ে নি ।
---আচ্ছা আন্টি ।
.
অতঃপর
.
শপিং মল থেকে বাসায় এলাম ।

.
রাতে ছাদে দাড়িয়ে আছি ।
আর ভাবছি এটা কি ঠিক হচ্ছে ।
মামনিকে সত্য কথাটা বলে দেই ।
না থাক সকালে বলে দিবো ।
যদি বলে দেই তাহলে তো বিয়ে  না না বিয়ে করতে পারবোনা আমি । থাক মেয়েটিকে যদি কিছু দিনের জন্য #ভাড়াটে করি তাহলে কেমন হবে । হ্যা তাই করবো ।
হঠাৎ মনে হলো কে যেন পিছনে দাড়িয়ে আছে ।
আমি পিছনে ঘুরে তাকাতে দেখি মাহি......।


চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।



ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।



লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদীর আব্বু )

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ