āĻŦুāϧāĻŦাāϰ, ⧍⧧ āĻĢেāĻŦ্āϰুāϝ়াāϰী, ⧍ā§Ļā§§ā§Ž

4733

"দীর্ঘশ্বাস"

ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিনের দিকে চেয়ে আছি। কি আশ্চর্য!  রুপার কথা বাদই দিলাম,  অন্য কারোরও কোনো বর্ষবরন এর মেসেজ আসছেনা উইশ করার জন্য কেউই ফোনও করছেনা।

নিজের চুলে নিজেই বিলি কাটতে কাটতে গত বছরের ঠিক এই দিনটির কথাই মনে করছি। স্মৃতির পৃষ্ঠা উল্টিয়ে সাময়িক বেদনা পাওয়ার সুন্দর প্রক্রিয়া এটা। সুখের স্মৃতিটাকে সবাই মিস করে আর দুঃখের স্মৃতিটা স্বরন করে সবাই উপস্থিত কষ্ট অনুভব করে। আমার সাথে ঘটে যাওয়া রুপার স্মৃতি গুলো যে কোন ক্যাটাগরিতে পড়বে ঠিক বুঝতে পারছিনা।

সেদিন রুপা ফোনের পরে ফোন মেসেজের পরে মেসেজ দিতেই ছিলো। রুপা লজ্জাবতি পাতার মত একটুকুতেই চুপসে যায়,  আসলে কথাটা এরকম হবে  যে রুপা একটুকুতেই হার্ট হয় আবার খুব সহজেই খুশি হয়। তার মাঝে বিরাজ করতো কিশোরী চাঞ্চলতা আবার অল্পতেই ব্যাথা পাওয়ার প্রচন্ড আবেগিকতা। অনেকবার হয়ে গেলো এবার ফোনটা ধরা দরকার। ফোনটা ধরলাম আর ওপাশ থেকে আমার প্রেয়সীর সুমিষ্ট কন্ঠ ভেসে আসলো কিন্তু তাতে একটু রাগ আর ব্যস্ততাও মিশ্রিত ছিল,

রুপাঃ কি ব্যাপার রুপক, ফোন ধরছিলেনা কেনো?  ফোনটা রিসিভ করতে কি খুব কষ্ট হয়?  আর আমার ফোন তুমি এতবার ইগনর করলে!  কেনো? আচ্ছা বাদ দাও, এগারোটার মধ্যে লাল পাঞ্জাবি টা না পড়ে আসলে খুন করে ফেলবো।

আমিঃ হুম।

রুপাঃ কথার যাতে কোনও নড়চড় না হয়। রাখছি এখন। বাই।

রুপা রেগে গেলে খুব দ্রুতগতিতে কথা বলতে পারে, আমি অবশ্য সবসময়ই পারি। যাই হোক রুপাকে কথা দিয়েছি পহেলা বৈশাখে সারাদিন ওর সাথে ঘুরবো লাল পাঞ্জাবি পরে আর ও পড়বো  সাদা লাল মিক্সড কালারের একটা শাড়ি। তাকে কোনওদিন ভাল কিছু গিফট দিতে পারিনি কিন্তু আজ জীবনের দামী জিনিস অর্থাৎ কিছু সময় আর সান্নিধ্য দেবো তাকে। আমি যে খুব ব্যস্ত ঠিক তা না ইচ্ছে করলেই প্রতিটাদিন তাকে সময় দিতে পারি ঘুরতে পারি কিন্তু তা আমি করিনা। কেননা প্রতিটা জিনিসের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকাটাই ভাল, জিনিস টা পেয়ে গেলে তারপ্রতি আর ইন্টারেস্ট থাকেনা। তাই ভালবাসাকে প্রজাপতির মত আকাশে উড়িয়ে দেওয়াই ভাল তাহলে দুটি মন ই হাত উচিয়ে ধরার চেষ্টা করবে আর ভালবাসার প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়বে আর সম্পর্কটাও হবে প্রগাঢ়।

যথারীতি সময় কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে দশ মিনিটের মত লেট করলাম। রুপাকে একগুচ্ছ গোলাপ হাতে আমার জন্য অপেক্ষা করতে দেখছি। রিকশা থেকে নেমেই তার সামনে গিয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম - সরি বাবুনি। কয়েক সেকেন্ডের জন্য তার চোখের দিকে তাকিয়ে নতুন ভাবে প্রেমে পড়লাম তার। কবি সাহিত্যিকেরা প্রেয়সী তথা কাহিনীর নায়িকার সৌন্দর্য্য বর্ননা করতে গিয়ে কতইনা ভুল শুদ্ধ উপমার ব্যবহার করে, সত্যিকারের সৌন্দর্য্য তখন অনুমান করা খুব কষ্টের হয়ে পড়ে। কিছু জিনিস আছে ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। রুপার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়েই আছি, অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে। এত সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে আমার মত একটা বেঢপ ছেলে ঘুরবে এই ভেবে আমাকেই কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে।

রুপা রাগ করেনি এটা তার চোখের দিকে চেয়েই বুঝেছি তা না হলে সেও আমার চোখের দিক এভাবে তাকিয়ে থাকতনা। হয়তো চোখের দিকে তাকিয়ে আমার লুকোনো প্রেম সে দেখতে পেয়েছে তবুও রাগের ভান করে আমার হাতে গোলাপ গুচ্ছ গুজে দিয়ে - "এই নাও, তোমার জন্য ফুল এনেছিলাম" এই বলে ঘুরে পন পন করে হাটা শুরু করলো। আমি ফুল হাতে নিয়ে ভাবছি ইসস মেয়েটা আমায় প্রচন্ড ভালবাসে কেননা আজ যেখানে আমার ফুল দেওয়ার কথা আজ সেখানে রুপাই আমাকে ফুল দিলো। ভেতর থেকে অকৃত্তিম ভালবাসা অনুভব করছি। রুপা হাটার গতি কমিয়ে দিয়েছে,  সে আমার জন্যই অপেক্ষা করছে যে কখন তার হাত খপ করে ধরে তাকে থামাবো। একটু দৌড়ে গিয়ে তাই করলাম।

রুপাঃ আমি চলে গেলেই বুঝি ভাল হতো তাইনা।

আমিঃ কোনও কথা হবেনা জানু,  আজ সারাদিন তোমার সাথেই তো থাকবো শুরুতেই রাগ অভিমান করলে কেমন হয় বলো?

রুপাঃ জানো তো কচু, রাগ অভিমানে ভালবাসা আরও বৃদ্ধি পায়। আর তোমার আরও আগে আমার হাত ধরে থামানোর দরকার ছিলো, দেরি করলে কেনো?

আমিঃ না মানে রুপা তোমার দেওয়া ফুল হাতে নিয়ে কল্পনার জগৎ এ চলে গিয়েছিলাম। দেখছি যে, কে বা কারা আমায় তাড়া করেছে আর আমি দৌড়াতে দৌড়াতে এক ফুলের বাগানে ঢুকে গেলাম, কিছুদুর গিয়ে দেখি তুমি, ফুল দিয়ে আমায় বরন করে নিলে, আশ্রয় দিলে এমন এক জায়গায় যেখানে সারাজীবন আমি বাস করতে চাই।

রুপাঃ কোথায় আশ্রয় দিলাম??  হুম..

আমিঃ তোমার হৃদয়ে..

রুপাঃ উফফ কি রোমান্টিক আমার দুষ্ট টা..  লাভ ইউ সো মাচ।

সেখান থেকে আমরা কলেজ ফাংশনে গেলাম এরপর গোর এ শহীদ মিনার তারপর পার্ক ও
মেলায় গিয়েছিলাম। ভালবাসার শীতল প্রশান্তিময় মূহুর্তে আবর্তিত ছিলাম সারাটাদিন।
কিন্তু আজ বুঝতে পারছি আমরা দুজন দুজনার কেবল ক্ষনিকের জন্য ছিলাম।  আমার পাঁজর থেকে রুপাকে তৈরি করেননি বিধাতা। কেননা গতকালই রুপা আর তার বর শুভ সাহেবকে দেখলাম একসাথে শপিং করতে। আমি দূর থেকে দেখেছি আর প্রার্থনা করেছি সুখে থাকুক সে। প্রত্যেকটি ভালবাসা পূর্নতা পাওয়ার যোগ্য নয় কিছু অসমাপ্ত প্রেম ভালবাসা স্মৃতির পাতাতেই ভাল মানায়। আর তা মনে করে দুচোখের অশ্রু বের করতে স্মৃতি সুনিপুণ ও পারদর্শী ভূমিকা পালন করে। তেমনি এই অল্প সময়ে একটু অশ্রুজল আমার গন্ডদেশ বেয়ে পড়ছে।

-আমিম এহসান

āĻ•োāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāχ:

āĻāĻ•āϟি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āϟ āĻ•āϰুāύ