#গুন্ডী_মেয়ে
।
পর্বঃ প্রথম (১ম)
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম (মাহাদির আব্বু)
।
।
।
মাথাটা বিলিয়ে দিচ্ছে আম্মু আর ডাকছে ।
---আব্বু অনেক ঘুম হয়েছে এখন ওঠো । ( আম্মু )
---মামনি আর একটু ঘুমাতে দাও না প্লিজ । ( নাসির )
---না আব্বু অনেক ঘুম হয়ছে আর আজ কলেজের প্রথম দিন একটু আগে যেতে হবে ।
---হুম একটু পড়ে উঠবো মামনি যাও । (ঘুম ঘুম চোখে)
---না অনেক ঘুম হয়ছে আর তোর স্যার আঙ্কেল একটু আগে যেতে বলেছে তোকে নাকি চেনে না তাই আগে গিয়ে পরিচয় হয়ে নিবে ।
---হুম মামনি কলেজে গিয়ে দেখা করবো আর এখন একটু ঘুমাতে দাও না মামনি । (ঘুম ঘুম চোখে বললাম)
---কি বলছিস হ্যা আজকে না তোর কলেজে প্রথম দিন ।
---হুম এখন তো সাড়ে ৭ টা বাজে কলেজ তো নয় টার সময় মামনি ।
---হুম এখন উঠে ফ্রেশ হতে হতে অলরেডি নয় টা বেজে যাবে ।
---মামনি আর একটু ঘুমাবো যাও ।
---ওকে কিন্তু বেশি না ।
---ওকে ।
এই বলে আম্মু চলে গেলো । নামায ও কিছুখন কোরআন পড়ে এসে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ।
ইস্ এ কয়েক মাস কতো ভালো করে ঘুমাই তে পারলাম । এখন আর একটু শান্তি মতো ঘুমাতে দিবে না আর তার কারন হচ্ছে আমার পড়াশোনার জন্য টাইম মতো সব কিছু করতে হবে ।
।
ওহ্ আপনাদের তো পরিচয় দিতে ভুলে গেছি ।
।
আমি
মোঃ রাসেল ইসলাম নাসির
আর এতখন যার সাথে কথা বললাম তিনি হচ্ছেন আমার মা ।
আমার ফ্যামেলি তে আমি আমার মা বাবা থাকি ।
আরে ভাবছেন দাদা দাদি নাই আরে না আমাদের ফ্যামেলি অনেক বড় সবাই আছে ।
কিন্তু আব্বুকে দুই মাস আগে ঢাকায় বদলি করাতে আব্বু নতুন বাসা ঠিক করেছে ।
এ কয় মাস আমি সবার সাথে গ্রামের বাড়ি ছিলাম ।
কিছুদিন আগে আব্বুর নতুন বাসায় আসছি । এখানে আব্বুর নাকি এক বন্ধু কলেজের প্রিনসিপাল থাকায় সেখানে আমাকে সেই কলেজে ভর্তি করে দিয়েছে ।
অনেক বক বক করলাম । এখন উঠে পড়ি ।
এই বলে উঠে গিয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম ।
।
---মামনি একটু তারাতারি কর না দেরি হচ্ছে তো । (নাসির)
---আব্বু এখন দেরি হচ্ছে তাই না । (আম্মু)
---হুম মামনি ।
---আব্বু মামনি কে একটু তারাতারি খেতে দিতে বল না ।
---হুম বলছি তারাতারি দাও তো আমার আব্বুর দেরি হচ্ছে তো । (হেসে আব্বু)
---তখন যে বললাম এখন ওঠো কিন্তু উঠলা না আর এখন বলছো দেরি হচ্ছে ।
---হুম একটু না হয় দেরিতে উঠেছে তাই বলে তুমি দেরি করতে পারনা ।
---মামনি দেন না ।
---এই নি তারাতারি খেয়ে নি । আর শোন তোমার আব্বু তোমাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে অফিসে যাবে ।
---মামনি আমি আব্বুর সাথে যাব না আজকে বন্ধুদের সাথে যাব ।
---কি বললা বন্ধুদের সাথে যাবে । না তোমাকে তোমার বন্ধুদের সাথে যেতে হবে না ।
---কেন মামনি ।
---না করেছি না আমি । (রেগে)
---আরে এরকম করছো কেন তুমি ছেলেটার সাথে ।
---আরে তুমি বুঝতে পারছোনা সেদিন ওই দৃশ্যটা দেখে ।
---ও সেই মেয়েটার কথা বলছো ।
---হুম আর ওটা মেয়ে বলে না একদম ছেলেদের মত গুন্ডা বলে । কেমন ছেলেদের মত শার্ট আর প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়ায় ।
।
আমি খাচ্ছি আর কথা গুলি শুনছি । এই কথাটা শুনে আম্মুর দিকে তাকালাম আর বললাম ,
---কে মামনি ওই মেয়েটা ।
---নাসির ওটা মেয়ে না একটা কি যেন বলে মেয়েদেরকে ।
---গুন্ডী মেয়ে বলে তাইনা মামনি ।
---হ্যা ঠিক বলেছিস ওটা গুন্ডী মেয়ে আমার একদম পছন্দ হয়না ।
।
এটা শোনার পর আব্বু আর আমি হেসে দিলাম ।
।
---হাসছো কেন তোমরা দুজন খাও তারাতারি ।
---হুম তারাতারি খাচ্ছি কিন্তু মামনি ওই মেয়েটা কে ।
---জানি না ওই মেয়েটা কে কিন্তু শুনেছি ওর নাকি বড় ভাইয়ের জন্য এরকম হয়েছে ।
---ও ।
---আরে আব্বু তোমার মামনি তো শুধু দূর থেকে দেখেছে ।
---আমি পাশের রুমের ভাবির কাছে শুনেছি আর আমি নিজের চোখে দূর থেকে দেখেছি ছেলেটার কি না অবস্থা করে ছাড়ল ।
---কেন মামনি কি করেছে মেয়ে টা ।
---আরে বলিস না একটা ছেলেকে দেখি মার দিয়ে কান ধরিয়ে উঠবস করাচ্ছে ।
---হাহাহা তাই । হয়তো ওই ছেলেটা মেয়েদের কিছু বলছিল সেজন্য হয়তো ওই গুন্ডী মেয়েটা শাস্তি দিছে ।
---হয়তো এটাও হতে পারে সেজন্য শাস্তি দিচ্ছে ।
---হুম ।
---কিন্তু মেয়েটা একদম ডেন্জার গুন্ডী মাইয়া আর সেজন্য তো তোর আব্বুর সাথে যেতে বলছি যদি কিছু করে ফেলে তোকে ।
---ও আচ্ছা সে জন্য । মামনি কিছু হবে না আমার আমি তো আর ওদের কিছু বলবো না ।
---না একা যেতে হবে না তোমার আব্বুর সাথে যাও ।(রেগে গিয়ে বললেন)
---মামনি আমি তো আর একা যাবো না পাশের রুমে আন্টির ছেলে যাবে আমাদের সাথে প্লিজ না কর না ।
---আমাকে এক কথা বার বার বলতে হবে নাকি না করেছি যাবে না যাবে না । (চোখটা বড় বড় করে)
---আরে তুমি এরকম করছো কেন হ্যা ছেলেটা একা যেতে চাইছে যেতে দাও ওর তো একটু মন চায় বন্ধুদের সাথে যেতে ।
---এই তোমার জন্য ওকে কিছু বলতে পারি না বেশি আদর দিয়ে মাথায় তুলছ ।
---আব্বু আমি বন্ধুদের সাথে যাব না আপনার সাথে যাব । (মনটা খারাপ করে)
---আরে আব্বু রাগ করছো কেন তোমার আম্মু না বলে তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে যাবে আমি বলে দিচ্ছি । কেউ কি খাওয়া বন্ধ করে নাকি এবার খাও । আর যদি আরও টাকা লাগে আমার ডয়ারে আছে নিয়ে নিও ।
---হুম ।
---আর ওকে বক বা না ।
---হুম আমি আর কিছুই বলবো না তোমার ছেলেকে ।
---আরে তুমিও কি রাগ করেছো নাকি তাহলে ওরকম করে বলছো কেন ।
---ও ।
এভাবে কিছুখন আব্বুর সাথে আর আম্মুর সাথে কথা হলো ।
।
রুমে আসলাম এসে ঘা টা হেলিয়ে দিয়ে শুয়ে পরলাম ।
অত্যঃপর বন্ধুদের ফোন দিলাম ।
ওদের কে বের হতে বললাম ।
আমি ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হতে গেলাম ।
অত্যঃপর
ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে মামনিকে বললাম ,
---মামনি আমি কলেজে যাচ্ছি । (নাসির)
---(কোন কথা বললনা)
।
আমি আর কিছু না বলে রুমের দিকে যেতে লাগলাম।
।
---কিরে কলেজে যাবি না ।
।
আমি কথা না বলে রুমে চলে এলাম ব্যাগটা খাটের উপর রেখে বসে পরলাম।
।
মামনি এসে পাশে এসে বসে মাথায় হাত বিলিয়ে দিয়ে বলল ,
---কিরে আমি কথা না বলায় তুই কলেজে যাবি না ।
আমি কিচ্ছু বলছিনা ।
---আরে আমি রাগ করেছি আর আমাকে রাগ ভাংগাবে তা না তুই রাগ করে বসে আছিস ।
---তাইলে মামনি আপনি কথা কননা ক্যা সেজন্য তো রাগ করেছি ।(কেঁদে কেঁদে)
---হাহাহাহা ।
---আজ আমার কলেজের প্রথম দিন একটু হাসি মুখে বলবে যে আব্বু দেখে শুনে যেইও তা না রাগ করে আছে ।
---ওরে বাবা আপনি এত কথা কথায় থেকে শিখছে হুম ।
---হুম অনেক কথা ।
---লক্ষী ছেলে আমার দেরি হচ্ছে তো এখন যাও । (কপালে চুমু দিয়ে)
---ওকে মামনি ।
আমি যেতে লাগলাম তখন মামনি ডাক দিল ।
---একটু ধারা ।
এই বলে মামনি রুমে গিয়ে কি যেন হাতে নিয়ে আসলো ।
।
---এই নি ৫০০ টাকা তোর বন্ধুরা মিলে খেয়ে নিশ ।
---মামনি লাগবে না আব্বু তো দিয়ে দিছে ।
---চুপচাপ নিয়ে তারাতারি যা অনেক দেরি হয়েছে ।
---আল্লাহ হাফেজ ।
।
এই বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিচে আসলাম দেখি বন্ধরা সবাই দাড়িয়ে আছে গিয়ে বললাম চল এখন যাই ।
এই বলে কলেজের দিকে যাচ্ছি ।
বাসা থেকে কলেজ বেশি দূর না ১০ মিনিট লাগবে যেতে ।
অত্যঃপর কলেজের কাছাকাছি এসে পড়েছি ।
হঠাৎ আবির বলে উঠলো ,
---ওই দেখ গুন্ডী মেয়ে । ( আবির )
---ওই যে বাইকের উপর বসে আছে যে ওই টা । [ হাত দিয়ে ইশারা করে ] (নাসির )
---হুম আর হাত দিয়ে ইশারা করিস না তাইলে অসুবিধা হবে ।
---দূর তোরা শুধু শুধু টেনশন নিচ্ছিস ওরা কিছু করতে পারবে না রে ।
---কাম সারছে রে ডাকছে রে । ( সায়েম )
---দূর ভয় খাচ্ছিস ।
হাত দিয়ে ইশারা করছে ওরা যেতে ।
---কে আমি । ( সায়েম )
হাতের ইশারায় আমাকে বললো ।
---আমি ।
ইশারায় যেতে বলল
---ওই যাস না রে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই ।
---না রে থাক আমি শুনে আসি ।
এই বলে বীরপুরুষের মত এগিয়ে যেতে লাগলাম ।
।
।
।
চলবে দ্বিতীয় পর্বে ।।।
#গুন্ডী_মেয়ে
।
পর্বঃ দ্বিতীয় ( ২য় )
।
।
।
বীরপুরুষের মত গিয়ে সামনে দাঁড়া লাম ।
গুন্ডী মেয়েটি বলল ,
---ওই তোর নাম কি । ( গুন্ডী মেয়ে )
আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে বললাম ,
---জ্বী আমাকে বলছেন । ( নাসির )
---নেকামি করিস হ্যা । তুই ছাড়া কে আছে এখানে । [ গানটা বের করে ]
---ওটা কিই..কি আ আ আপনার হাতে । [ তোতলাতে তোতলাতে বললাম ]
---ওটা কি সেটা তুই নিশ্চয় বুঝতে পারছিস ।
---হ্যা নিশ.. নিশ্চয় বুঝ..বুঝ.. বুঝতে পারছি ।
---তাইলে যা বলি তাই ঠিকঠাক করে উত্তর দে ।
---হ্যা কি...কি.. কিন্তু আপনি আ.. আ.. আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন ।
---ওই সালা তোর কাছ থেকে আমাকে শিখতে হবে নাকি ।
এমা এটা মেয়ে নাকি না পুরুষ । মামনি ঠিকই বলেছিল যে ওইটা মেয়ে না আস্ত একটা পুরুষ ।
---ওই ছেমরা কি ভাবতেছোস ।
---কই কি..কি..কিছু না.. নাতো ।
---ওই তোর লগে এতো পেচাল পারতে মন চাইছে না বল তোর নাম কি । গানটা হাতে নিয়ে
---আ.. আমার না.. না.. নাম ।
---ওই বেটা এতো তোতলাচ্ছো ক্যান । ( পাশের মেয়েটি )
---এমনি ।
---ওই ছেমরা তারাতারি বল টাইম নাই অনেক কাজ আছে কলেজে যেতে হবে তারাতারি বল ।
---জ্বী আমার নাম মোঃ রাসেল ইসলাম নাসির ।
বাড়ি সিরাজগঞ্জ । এখানে নতুন আসছি । আর তিতুমীর কলেজে ভর্তি হয়ছি । ( একদমে বলে দিলাম )
---ও তাইলে তুই নতুন ।
---জ্বী হ্যা ।
---শোন আমি শ্রাবণী এটা আমার গাংগ বুঝছোস ।
---জ্বী আপু ।
---ওই ছেমরা তুই আমাকে আপু বলবি না ।
---ক্যা..ক্যানো কোন সমস্যা ।
---না মানে কোন সমস্যা না বাট তুই আমারে আপু বলবি না ।
---ও আচ্ছা তাইলে আন্টি বলবো । ( একটু দুষ্টুমি করে )
---কি বললি আমি তোর আন্টির মতো দেখতে এটা দেখছোস । ( পিস্তল দেখিয়ে )
---জি..জ্বী দে..দে..দেখতে পারছি ।
---এটা কিন্তু কলে চাপ দিয়ে চালিয়ে দিবো ।
---না..না থা..থা..থাক চাপ দিতে হবে না ।
---হুম বাট আমাকে শ্রাবণী বলবি ।
---জ্বী তাইলে আমি যাই আপু ।
---কি ।
---না আপনারে বলি নাই ওনাদের বলছি ।
---যা এখান থেকে যা ।
---জ্বী ।
।
।
এই বলে ওখান থেকে চলে আসলাম ।।
।
।
।
---ওই ছেলেটা কিন্তু সেই । (ছনিয়া )
---হুম অনেক সুন্দর রে । ( জেরিন )
---আর যাই বলিস শ্রাবণীর সাথে হেব্বি লাগবে । ( বর্ষা )
---ওই তোরা চুপ থাকবি নাকি হ্যা । ( শ্রাবণী )
---আর যাই বলিস শ্রাবণী ছেলেটা কিন্তু হেব্বি সুন্দর তোর জন্য পারফেক্ট । ( সন্ধা )
---দূর কি যে বলিস না ধ্যাত চল কলেজে যাই । ( শ্রাবণী )
।
।
ক্লাস শুরু হতে ১৫ মিনিট বাকি আছে তাই বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম ।
।
---কিরে নাসির গেলি বাঘের বাচ্চা হয়ে আর আইলি বিড়ালের মতো । ( আবির )
---আর বলিস না যখন ওর হাতে গানটা পিস্তল দেখলাম আর তখন ভয় পেয়ে গেলাম ।
---হাহাহা ।
---হাসিস না সালা ।
---চল ক্লাসে যাই ।
---ওহ্ থাক প্রিনসিপাল স্যারের সাথে দেখা করে আসি ।
---ওকে যা আমি ক্লাসে যাই ।
---ওকে ।
এই বলে প্রিনসিপাল স্যারের রুমের দিকে গেলাম ।
অত্যঃপর দেখা করে এসে ক্লাস রুমে গেলাম ।
ঢুকতে দেখতে পেলাম প্রথম সিটে শ্রাবণীরা বসে আছে ।
বুঝতে পারলাম যে আমরা একই ডির্পামেন্ট পড়ি ।
আমি গিয়ে কয়েক সিট পিছনে গিয়ে বসে পরলাম বন্ধুদের সাথে ।
অত্যঃপর
ক্লাসে স্যার এসে গেল ।
কলেজে প্রথম দিন বলে স্যার সবার সাথে পরিচিত হন ।
অত্যঃপর
স্যার ক্লাস নিতে থাকে ।
এভাবে ক্লাস শেষ হয় ।
অত্যঃপর
অভাবে এক এক করে সব ক্লাস শেষ হয় ।
।
---নাসির চল বাড়িতে যাই । ( সায়েম )
---চল যাই । ( নাসির )
---আচ্ছা নাসির মেয়েটা কিন্তু হেব্বি লাগে ।
---হুম দেখতে ভালো লাগে সায়েম চালিয়ে যা ।
---কি যে বলিস আমার আছে ।
---আছে মানে ।
---আরে গাধা আমার গার্লফেন্ড আছে ।
---ও তাই ।
---হুম ।
---তো ফুঁচকা খাই ।
---চল ।
এই বলে রাস্তার পাশে ফুঁচকার দোকানে গেলাম ।
।
---মামা ফুঁচকা দেন । ( নাসির )
---এই নিন মামা । ( ফুঁচকা ওয়ালা )
---আচ্ছা ওই মেয়ের আব্বা আম্মা কিছু বলে না ।
---জানি না বাট ওর চাচা একজন নেতা তো তাই ।
---আরে নেতা তো ওর চাচা কিন্তু ও কেন এরকম ।
---আরে ওর চাচার জন্য না ও ওর ভাইয়ের জন্য এরকম হয়ছে ।
---ওর ভাইয়ের জন্য মানে ।
---আরে তুই শুনিস নাই এ এলাকায় এক মাস্তান রেজোয়ান নাম শুনেছিস নাই ।
---ও হ্যা শুনেছি ।
---শ্রাবণী হলো ওর চাচাতো বোন ।
---ও ।
---ওর নিজের বোনের মত ভালোবাসে । যদি কেউ কিছু বলত তখন ওর ভাই এসে আচ্ছা মত মার দিত । আর এরকম আচরণ দেখে দেখে নিজেও এরকম হয়েছে ।
---হুম ঠিক । কিন্তু সেজন্য এর আব্বা আম্মা কিছু বলে না ।
---না কিছু বলে না আর বলে লাভ কি বল শুনবে না ।
---ও । মামনি ফোন দিচ্ছে তারাতারি বাসায় যেতে হবে ।
---আচ্ছা চল যাই ।
---মামা এই নিন ।
এই বলে টাকা দিয়ে বাসায় যাচ্ছি ।
।
অত্যঃপর
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম ।
।
এখন প্রতিদিন আব্বু কলেজে নামিয়ে দেয় তাই বিদায় এখন আর ঝামেলায় পরতে হয় না ।
কিন্তু শ্রাবণী ও তার বান্ধবীরা চোখ বড় বড় করে চেয়ে থাকে আমি দেখে না দেখার বান করি ।
।
এভাবে কয়েক দিন ক্লাস এ চেয়ে থাকে ।
।
এভাবে কাটতে থাকে দিন ।
আজকে আব্বুর অফিস ছুটি তাই নিজে যেতে হবে তাই বন্ধুদের বলে দিয়েছি আমাকে নিয়ে যেতে ।
---কিরে আয় নিচে আয় আমি দাড়িয়ে আছি । ( সায়েম )
---আসছি দুই মিনিট দারা । ( নাসির )
---ওকে আয় ।
ফোনটা কেটে রুম থেকে বের হয়ে ।
---মামনি আমি গেলাম ।
---দেখে যেও ।
---ওকে ।
এই বলে রওনা হলাম ।
।
---চল ।
---চল যাই ।
---এত সময় লাগে নাকি বাসা বের হতে ।
---আর বলিস একটু দেরি হয়ছে ।
এভাবে কথা বলতে কলেজের কাছাকাছি এসে গেছি ।
।
---এই যে নাসির ভাইয়া । ( ছনিয়া )
---তোকে ডাকছে । ( সায়েম )
---আরে না ডাকে আমি যাবো না । ( নাসির )
---তুই যা পরে সমস্যা হবে ।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে
।।।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার
দৃষ্টিতে দেখবেন ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )
#গুন্ডী_মেয়ে
।
পর্বঃ তৃতীয় (৩য়)
।
।
।
---আরে ভয় করিস না ওরা কিছু করতে পারবে না । (নাসির)
---না ওরা কিন্তু সিরিয়াস । (সায়েম)
---ধ্যাত চল তো সেটা পরে দেখা যাবে ।
এই বলে দুজনে কলেজে চলে গেলাম ।
।
---দেখেছিস শ্রাবণী ছেলেটার কত বড় সাহস আমরা ডাকার পরও সে আসলো না চলে গেল । (ছনিয়া)
---হুম ছেলেটার সাহস আছে বটে বাট পিস্তলের কাছে সবাই হার মানবে । (শ্রাবণী)
---হুম তুই কি মেরে ফেলবি নাকি ।
---আরে না শুধু ভয় দেখাব ।
---ও ।
---ছনিয়া ওই ছেলেটা দেখতে খুব সুন্দর তাই না ।
---না মানে ।
---না মানে কি ।
---একটু কালো ।
---হাহাহা কালকে যে বললি যে খুব সুন্দর দেখতে অনেক ভালো ।
---হুম দেখতে খারাপ না কিন্তু শ্যামলা তাই কিন্তু তুই কি ওই ছেলেটার প্রেমে পরে গেছিস ।
---জানি না বাট কাল থেকে কেমন জানি ওর কথা মনে পরছে ।
---আরে সামথিং সামথিং হুম ।
---এই জন্য কাল শ্রাবণী ওই ছেলেকে আপু বলতে নিষেধ করেছে ।
---ওমা সেদিন যেভাবে ওই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ছিল শ্রাবণী তখনি বুঝেছিলাম ।
---ওই তোরা চুপ থাকবি ।
---আরে লজ্জা লাগে বুঝি হুম ।
---ধ্যাত ।
---শ্রাবণী ওই ছেলের নাম্বার এনে দিব ।
---কিরে কথা বল ।
---বর্ষা দেখ শ্রাবণী কথা বলছে না মনে হয় নাম্বারটা লাগবে ।
---আচ্ছা কলেজ ছুটি হোক তখন যাবার সময় রেখে দিব ।
---রাইট তখন নিয়ে নিব ।
---আচ্ছা শ্রাবণী কথা বলছিস না ক্যা নাকি স্বপ্নের ভেতর ডুবে আছিস ।
---ধ্যাত তোরা না ।
এভাবে ওদের মাঝে কথা হচ্ছে ।
।
অত্যঃপর
কলেজ ছুটির হয়েছে ।
---নাসির এদিক দিয়ে যাস না । (সায়েম)
---কেন । (নাসির)
---আরে সকালে শ্রাবণী আসার সময় যেভাবে তাকিয়ে ছিল হয়তো ওরা কিছু করতে পারে তার চাইতে চল ওই রাস্তা দিয়ে যাই ।
---আরে তোদের জন্য ওরা এতো সুজুক পায় যদি আজ আমরা অন্য রাস্তা দিয়ে যাই তাইলে কাল ।
---আরে সমস্যা নাই কাল এতোটুকু রাগ থাকবেনা ।
---কি রাগ হাহাহা ।
---আরে হাসিস না সালা ।
---চল যাই ।
---আরে অন্য ।
---চুপ সালা আমার সাথে আয় ভয় নাই ।
এই বলে দুজনে সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি ।
কিছুখন হাঁটার পর সেই রাস্তার কাছে এসে গেছি যেখানে শ্রাবণীর আড্ডার জায়গা ।
শ্রাবণীদের পিছু ফেলে যাওয়ার সময় পিছন থেকে ডাকছে ।
---এই যে ভাইয়া । (বর্ষা)
আমি হেটে চলেছি ।
দৌড় দিয়ে কাছে এসে বলল ,
---ভাইয়া কখন থেকে ডাকছি । (বর্ষা)
---কই আমি তো শুনতে পাই নি । (নাসির)
---ও ভাইয়া আপনার নাম্বারটা কি দেওয়া যাবে ।
---না কেন ।
---একটু দরকার ছিল ।
---আমার বউ অন্য কাওকে আমার নাম্বার দিতে নিষেধ করেছে ।
---মানে ভাইয়া আপনি বিয়ে করেছে বউ আছে আপনার ঘরে ।
---হুম আছে সাথে বাচ্চা আছে একটা । (মনে হাসছি)
---ও মাই গড ।
---কেন ।
---না মানে এমনি আচ্ছা যান তাহলে আপনে যান ।
এই বলে মেয়েটা শ্রাবণীর কাছে গেলো ।
আর কি যেন বলল আমি দাড়িয়ে দেখছি দেখি গুন্ডী কি করে ।
দেখি শ্রাবণী বাইক থেকে নেমে চোখ দুটি বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
এমা ভাবসাপ ভালো না তারাতারি এখান থেকে যেতে হবে না হলে কপালে দুঃখ আছে এটা ভেবে পথ চলা শুরু করলাম ।
তখনি গুন্ডী মেয়ের ডাক শুনতে পেলাম ।
আমাকে তারাতারি যেতে হবে নাহলে আমি শেষ ।
আমি আরও তারাতারি হাঁটতে থাকি ।
কিন্তু শ্রাবণী দৌড়ে এসে সামনে ধারায় ।
---কি রে ছেমরা ডাকি কানে শুনিস না । (হাঁপাতে হাঁপাতে চোখটা বড় বড় করে বলল শ্রাবণী)
---কি ভদ্র ভাষায় কথা বল । (নাসির)
---ভদ্র ভাষায় কথা বলবো হ্যা সালা ।
---কি আমি সালা ।
---তোর বউ আছে ।
---হুম আছে ।
---ওই তোর ফোন দে ।
---ফোন দে মানে ।
---মানে তোর ফোনটা দে ।
এই বলে প্যান্টের পকেট থেকে ফোন বের করে নিলো ।
---এই এটা কি করছো ভালো হবে না কিন্তু ।
---কি বললি ভালো হবে না ।
---হুম ভালো হবে না ।
---এই নি তোর ফোন ।
---আমার ফোন নাম্বার নিয়ে কোন লাভ নাই এটা আমার বউ ব্যবহার করে ।
---কি বললি তুই ।
---কই কি বললাম ।
---ও আচ্ছা আমাকে যেতে দিন ।
---যদি না যেতে দেই ।
---প্লিজ যেতে দাও ।
---হুম যা কিন্তু তোর বাসার ঠিকানা দে তো ।
---আমি কোন গুন্ডী মেয়েকে বাসার ঠিকানা দেই না ।
---কি আমি গুন্ডী মেয়ে ।
---না তো কি ছেলেদের পোশাক পরে ঘুরে বেরাও আর রাস্তার মোড়ে বসে থাকো ।
---আমি গুন্ডী হ্যা থাক দেখাচ্ছি মজা । (কি যেন খুঁজে)
আমি একটু দূরে গিয়ে দারালাম ।
কিছু ইটের টুকরা ছিল তাই দিয়ে ঢেল ছুড়ছে ।
---আরে এটা কি করছো লাগবে তো ।
---আমি গুন্ডী তাই যা করার কথা তাই করছি ।
---ওহ্ নো খুব জোরে লেগেছে । এটা কি হলো । (জোরে বললাম)
---তোর কপালটা ফাটিয়ে দিব সালা আমারে কয় গুন্ডী মেয়ে ।
---তুমি তো আসলে একটা গুন্ডী মেয়ে ।
---কি আমি... থাক দেখাচ্ছি । (বড় একটা ইটের টুকরা নিয়ে)
---ওমা ওটা কি নিয়ে আসছেরে বাবা ।
দিলাম বৌঁ দৌড় ।
আরে যদি না দৌড় দিতাম তাইলে আমি শেষ ।
।
।
---দেখ শ্রাবণী ছেলেটার মনে হয় কপাল টা ফেটে গেছে । (ছনিয়া)
---ফেটে গেছে ভালো হয়েছে সালা আমাকে বলে আমি নাকি গুন্ডী মেয়ে । (শ্রাবণী)
---হুম ঠিক বলেছে । বর্ষা
---কি ।
---আরে কিছু না ।
---চল কাল দেখা যাবে ।
এই বলে শ্রাবণীর গাংগ চলে গেল ।
।
।
ইস্ সালা কেন যে বলতে গেলাম ও কথা ।
মেডিসিন নিয়ে বাসায় যাচ্ছি ।
বাসায় ঢুকে মামনি জিঙ্গেস করল ।
---এত দেরি হলো যে , আর কপালে ওখানে কি হয়ছে । (আম্মু)
---কিছু না মামনি ল্যামপোষ্টের সাথে ধাক্কা খেয়ে এরকম হয়েছে ।
---চোখে দেখিস না রাস্তায় কি আছে আর এটাতো ল্যামপোষ্টের সাথে লাগে নাই ।
---আরে মামনি আমি কি আপনার কাছে কখনো মিথ্যে বলেছি ।
---না আর ঘরে মেডিসিন আছে আয় লাগিয়ে দেই ।
---না মামনি লাগবে না মেডিসিন লাগিয়ে নিয়েছি ।
এই বলে কথা না বাড়িয়ে সোজা রুমে চলে এলাম ।
এখন একটু ঘুম দিতে হবে ।
যে ঝড় হয়ছে রে বাবা গুন্ডী মেয়ে ।
ওহ্ ধ্যাত নিজেই ব্যথা পাইলাম ।
না আজকে রাগাইছি ।
অতঃপর
ঘুম দিলাম ।
।
।
রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে আছি একটু রেশ নিয়ে পড়তে বসতে হবে তখনি ফোন বেজে উঠলো ।
ফোনটা বের করে দেখি আনকমন নাম্বার ফোনটা রিসিভ করে বললাম ,
---হ্যালো । (নাসির)
---নিচে আয় । (শ্রাবণী)
কথাটা শোনার পর চুমকে উঠলাম আর বুঝতে বাকি নাই এটা গুন্ডী মেয়ে ছাড়া কেউ না ।
তবুও বললাম।,
---কে বলছেন ।
---আসতে বলছি আয় ।
---না যাব না ।
---থাক আমি আসতেছি ।
---ওই একদম আসবে আমার বাসায় ।
---তাহলে নিচে আয় ।
---ওকে আমি নিচে আসছি ।
আল্লাহু জানে আজকে আমার কপালে কি আছে ।
।
।
।
চলবে পরবর্তী পর্বে ।।।
।
।
।
লেখকঃ নাসির ইসলাম মাহিম ( মাহাদির আব্বু )
āĻোāύ āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āύেāĻ:
āĻāĻāĻি āĻŽāύ্āϤāĻŦ্āϝ āĻĒোāϏ্āĻ āĻāϰুāύ